আসক্তি পর্ব ১৯

আসক্তি পর্ব ১৯
লেখায়ঃআফিয়া আজাদ নিঝুম

শানের সকাল হয় পাখির চুলের মিষ্টি গন্ধে।নাকে কিছুটা সুড়সুড়ি লাগতেই চোখ মেলে তাকায় সে।হাতের একদম বগলের কাছে পাখির মাথাটা।মুচকি হেসে সিথি বরাবর লম্বা চুমু দেয়।পাখি কখন যে বুক থেকে হাতের উপর এসে শুয়েছে শানের খেয়াল আসছে না।হাতটা হালকা নাড়াতেই খেয়াল হয় ভীষণ ব্যথায় হাতের অবস্থা কাহিল।

“পাখি, এই পাখি, উঠবে না আজ?ভোর হচ্ছে তো? “-চাপাস্বরে পাখিকে ডাকে কিন্তু সে উঠে না।নড়েচড়ে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে
শান পাখির কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলে, “নামাজ পড়বা না নাকি? ”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এবার ধড়ফড় করে উঠে বসে পাখি।চোখ দুটো ভীষণ লাল ওর। শান বুঝতে পারে ওর ঘুমোঘোর এখনো কাটে নি। হালকা হাতে পাখির দু বাহুতে হালকা ঝাকানি দিতেই পাখি পরপর কয়েকবার চোখের পলক ফেলে শানের দিকে তাকায়।শান মুচকি হেসে পাখির দু চোখে চুমু এঁকে দিয়ে বলে,”তারাতারি ফ্রেশ হয়ে ওজু করে আসো, আমিও তো যাবো নাকি?”
পাখি ওজু করে এসে নামাজে দাঁড়ায়।আর শানও মসজিদের উদ্দেশ্যে চলে যায়।

সকাল হতে হতেই পাখি ওর গাছগুলোয় পানি দেয়। ছাদে কিছুটা একা সময় কাটায়।শান ততোক্ষনে মেডিকেলের কিছু কাগজপত্রে চোখ বুলাচ্ছে।এরপর পাখি নিচে এসে রান্নাঘরের দিকে যায়।শ্বাশুরি মা আর চাচি মা দুজনেই রান্নায় ব্যস্ত। পাখি তাদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে কোমড়ে আঁচল গুঁজে কাজে নেমে পড়ে।ওকে দেখে সবাই খুশি হয়।শর্মিলা বেগম কিছুটা হতাশার সুরেই বলে, “এভাবে যদি কখনো বড় বউমা টা একটু উঠে আসত!খুব খুশি হতাম।”

একে একে সবাই ডায়নিং এ চলে আসছে।পাখিও হাতে হাতে সমস্ত খাবার টেবিলে রাখলো।এরপর দাদিমা কে আনতে গেলো।
দাদির রুমে ঢুকে দাদিকে ডাকতে নিলে তিনি বলে ওঠেন “ছোট নাত বউ আমি টেবিলে খাইনা, এখানে খাই”
“আজ থেকে সবার সাথেই খাবেন”-পাখি মুচকি হেসে দাদিমা কে হাঁটতে সাহায্য করছে।
সবাই অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকে।
আহমেদ সাহেব চমকে শর্মিলার দিকে তাকান।শর্মিলা অবাক হয়ে পাখিকে বলে,”বউ মা তোমার দাদিমার খাবার তো ঘরেই দিই।তিনি ওখানে খায়।”

“মা দাদিজান তো এখনো হাঁটাচলা করতে পারে আলহামদুলিল্লাহ্‌, তাহলে কেন একা একা খাবে!”
“এই বয়সে অলটাইম বিরতিহীন গল্পের জন্যে কাউকে অবশ্যই প্রয়োজন হয়।আর দাদিজান কিনা একা একা খাবে!আজ থেকে আমাদের সাথেই খাবে।”দাদিকে টেবিলে আনতে আনতে বলেছে পাখি।এরপর সবার দিকে সবার প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা করছে।কেউ কিছু বলছে না তারমানে সবাই খুশি।দাদিমাও খুব খুশি আজ।

“তা বউমা,তোমার দাদিজানের অলটাইম ননস্টপ গল্পের জন্যে লোক কবে আনছো?”-শর্মিলা বেগম সবার প্লেটে রুটি রাখতে রাখতে কথাটা বললেন। তারন কথায় চাচিমা একটু মুচকি হাসলেন।বাকিরা প্রশ্নাতুর চোখে তাকিয়ে আছে কেউ কিছু বুঝতে পারলো না।পাখিও অবাক হয়ে বললো,”মা আপনার অনুমতি পেলে আমাদের গ্রাম থেকে কাউকে আনাতে পারব। আর আমি তো আছি।কলেজ থেকে এসে আমি আসব দাদির কাছে”

পাখির কথায় এবার শব্দ করে হেসে দেয় শর্মিলা বেগম।তারপর হাসিটা চেপে রেখে বলে,”পাগলি মেয়ে আমি সে লোকের কথা বলিনি। বলছি তোমার দাদিমা নাতির ঘরে ছোট্ট নতুন সদস্য দেখতে চায়।তার সময় কাটাবার সঙ্গিও পেয়ে যাবে….”

কথাটা শেষ হতে না হতেই শানের কাশি উঠে যায়।মুখ থেকে রুটির টুকরো গুলো ছিটকে পরতেই পাখি মুখের সামনে দুহাত পেতে ধরে।সবাই ওদের দিকে চেয়ে আছে।এরপর পাখি পানির গ্লাসটা শানের দিকে এগিয়ে দেয়।দুজনার চোখাচোখি হতেই শ্বাশুরি মায়ের বলা কথাটা কানে বাজতে থাকতে পাখির।হাতের উপর উষ্ণ ছোঁয়া লাগায় ঘোর কেটে পাখি লজ্জায় নিজের ঘরে দৌড় দেয়।

শান বিড়বিড় করে বলে,”বাচ্চা আসার প্রথম কার্যক্রমই এখন সম্পন্ন হলো না, বাচ্চা তো দূরের কথা!”
“কিছু বললে ভাইয়া”, -রনির কথায় ভাবনায় ছেদ পরে শানের।সে কিছুটা থতমত খেয়ে জবাব দেয়, “এতো কান খাড়া ক্যান রে তোর”
ওদের দুজনের কথার মাঝখানে শর্মিলা বেগম বলে ওঠে,”তুই একটু দেখে শুনে খাবি না?এখনি বউমা না থাকলে কি হতো!ভাগ্যিস বউ মা হাত দুটো এগিয়ে দিয়েছিলো নইলে তোর সাখে সাথে সবার খাওয়াও শেষ হয়ে যেত”

“তা শান বউমাকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছো না কেন, যাও ঘুরে আসো!”-খেতে খেতে বললেন আহমেদ সাহেব।
শান সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিউত্তর করে, “হ্যা বাবা যাবো। আমি ছুটির জন্যে এপ্লাই করেছি। দেখি কি হয়”
এরপর সবাই সবার মতো নাস্তা সেড়ে উঠে যায়।সামিহাও উঠে যায় উপরে। শর্মিলা বেগম সেদিক চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বিড়বিড় করেন, “আমি কি কখনোই নাতি নাতনির মুখ দেখতে পারব না! ”

শান রুমে এসে দেখে পাখি বেলকোনিতে দাঁড়িয়ে গাছ গুলো নেড়েচেড়ে দেখছে।পরনে হালকা নীলের জর্জেট শাড়ি।চুলগুলো ঢিলে খোপা করে ঘাড়ের উপর ছড়ানো।দেখতে মন্দ লাগছে না বরং শানকে খুব কাছে টানছে।পাখির একদম গা ঘেঁষে দাড়িয়ে যায়।পিছনে কারো অস্তিত্ব টের পায় পাখি।এবং এটাও বুঝতে পারে কে দাঁড়িয়েছে।লজ্জামাখা মুখটা নিচ করে ঠোঁটে মুচকি হাসির রেশ রেখে তাকিয়ে আছে।এই মূহূর্তে পাখিকে অনেক সুন্দর লাগছে।শান অপলক চেয়ে আছে সেদিকে।কারোর কোন সাড়া শব্দ নেই।
পাখি কিছুক্ষন পর মুখ তুলে তাকাতেই শানের চোখে ঘোর লাগা চাহনীর অস্তিত্ব খুঁজে পায়।লজ্জায় আরো ভীষণ কুকড়ে যায় মেয়টা।

মাথা নিচু রেখেই প্রশ্ন করে, “ওভাবে কি দেখছেন?”
শান মুচকি হেসেই জবাব দেয়, “আমার বউ কে ”
শানের কথায় পাখি আবারও লজ্জা পেয়ে চোখ বন্ধ করে
“তা আজ মেডিকেল নাই?”
পাখির কথার কোন উত্তর না দিয়ে শান আবার বলে,”মা’র কথার কোন পরিকল্পনা নেবে না? ”
“কোন কথার?”
“পরিবারে নতুন সদস্য!”

পাখির চঞ্চল চোখ লজ্জায় এদিক সেদিক তাকাচ্ছে।পালানোর রাস্তা খুঁজছে হয়ত।কিন্তু কি করে সম্ভব! এই সুঠাম দেহি মানুষের সামনে থেকে পালিয়ে যাওয়া মুখের কথা নয়।
পাখি একফাঁকে চলে আসার জন্যে পা বাড়াতেই শান ওর ডান হাতটা টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।পাখির নড়াচড়া বেড়ে যায়।চোখ তুলে শানের দিকে তাকানোর মতো ক্ষমতা তার হচ্ছে না।পাখির এই অবস্থা দেখে শান আরো একটু কাছে মিলিয়ে নেয়।

“রাতে কই থাকে এতো লজ্জা?যখন বুকের উপর মাথা রাখো,বগলের কাছে মাথা রাখো? হুহহমমম?”
পাখির লজ্জা আরো বেড়ে যায়।
“বাবা বলছে কোথাও থেকে ঘুড়ে আসতে, কোথায় যাবা বলো তো?”-দুহাতে পাখির কোমড় জড়িয়ে ধরতেই বলে ওঠে শান।
নতমুখী পাখি নিচুস্বরেই জবাব দেয়,”পরে, এখন না”
শানের দৃষ্টি পাখির কম্পনরত ঠোঁট জোড়া।একদৃষ্টে চেয়ে এগিয়ে যায় সেদিকে। পাখি ঠোঁটের হাসি এলিয়ে তাকে সরিয়ে দিয়ে রুমে ঢোকে।

“মেডিকেল যান। সময়ের কাজ সময়ে হয়”-বলতে বলতেই পাখি শানের জিনিস পত্র গুছিয়ে দেয়।
মাথা চুলকে ঘরে ঢোকে শান।ওয়াশরুমে যায় ফ্রেশ হতে।
কিছুক্ষন পর শানের ফোনের টোন বেজে ওঠে।পাখি তখন ড্রয়ার থেকে শানের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বের করছে।একবার কল কেটে যেতেই পাখি আবারও নিজের কাজে মন দেয়।কয়েক মূহূর্ত পর আবার কল আসে।ওয়াশরুমের দরজার কাছে গিয়ে একটু জোড়ে স্বরেই বলে,”আপনার ফোন এসছে”
শান পানির ট্যাপ বন্ধ করতে করতে জবাব দেয়,”দেখো কে? ”

পাখি দ্রুত পায়ে ফোনের কাছে এসে দেখতে পায় ইংরেজি অক্ষরে NIRA লেখা।ভ্রুকুচকে যায় পাখির। নামটার চেনা চেনা লাগে।
রিসভ করতেই পাখি সালাম জানায়।
সালামের প্রতিউত্তরে নীরা কিছুই জানায় ; পাখির কন্ঠস্বর শুনে থমকে যায়।
পাখি দুই বার হ্যালো হ্যালো বলে কিন্তু কোন জবাব মেলে না, কলটা কাটতে গেলেই ওপাশে কারোর কথার আওয়াজ পেয়ে ফোনটা আবারও কানে ধরে।

“শান কোথায়?”-
“উনি তো একটু ব্যস্ত আছেন!কোন দরকার? আমায় বলুন আমি বলে দিচ্ছি।”
নীরার ভিতকার চাপা আর্তনাদ বার বার বলছে, “শান কখনোই নিজের ফোন অন্য কাউকেই ধরতে দিতো না কল রিসিভ করতে দেয়া তো দূরের কথা।আর আজ!”
নীরা নিজেকে সামলিয়ে প্রশ্ন করে, “তোমার শরীর এখন কেমন? আর আমাকে চিনতে পেরেছো?”
পাখি অবাক হয়ে যায়, শান্ত স্বরে জবাব দেয়,”হ্যা নামটা একটু চেনা চেনা লাগছে”
পাখির অমায়িক স্বরে নীরার গা জ্বলে যাচ্ছে একদম।
“আমি গাইনোক্লোসিস্ট ও সাইকেআট্রিস্ট ডাক্তার নীরা বলছি”-নীরা নিজের পদবী পরিচয় জানিয়ে খুব গর্ববোধ করে।

নীরার পরিচয় পাখির বুকের কোথাও যেন কম্পন সৃষ্টি করে দেয়।
পাখির কোন সাড়া না পেয়ে নীরা আবার বলে,”বিয়ের কিছুদিন পর যে আমার চেম্বারে এসছিলা,মনে নেই!”
“জ্বি।আচ্ছা আমার প্রবলে…..
“কে ফোন করেছে পাখি? “পাখির কথা শেষ না হতেই শান ওয়াশরুম ছেড়ে বেরিয়ে আসে
“ডক্টর নীরা”-পাখির চোখে মুখে অস্থির ভাব বিরাজ করছে।
শান থমকে দুটো শুকনো ঢোক গিলে পাখির থেকে ফোনটা নেয়।দু সেকেন্ড স্ক্রীনের নামের উপর দেখে কানে নিয়ে, “হ্যালো হ্যালো”বলেই কেটে দেয়।
মুখে অযাচিত স্মিত হাসি রেখে জবাব দেয়ে, “নেটওয়ার্ক প্রবলেম”

ওদিকে নীরার বুঝতে অসুবিধা হলো না, যে শান বউয়ের থেকে ওকে লুকিয়ে রাখতে চায়।ভ্রু উচিয়ে ঠোঁটে মুচকি হাসি রেখে ফোনটা রেখে দেয়।
“সার্জন সাহেব”-পাখির স্বরে কিছু একটা খুঁজে পেয়ে দ্রুত ঘুরে পাখির সামনে এসে দাঁড়ায়।পাখির চোখে চোখ পড়তেই চোখ সরিয়ে নেয় শান।ভাবনার অতল গহ্বরে পরে যায় এই মূহূর্তে
“নীরা কেন ফোন করলো?ও কি পাখিকে সবটা বললো নাকি অসুস্থ্যতার কথা বললো?সবটা যদি বলেও দেয় পাখি কি আমাকে ভুল বুঝবে নাকি সবটা খুলে বলার সুযোগ দেবে?”

“আমায় যে ডক্টর নীরার কাছে নিছিলেন, নীরা কি বলেছিলো?আমার কী অসুখ আছে?তা তো কখনো বলেন নি আমায়”-পাখির কথায় ভাবনার ইতি ঘটে শানের।
এই মূহূর্তে শানের ভীষণ ইচ্ছে করছে পাখিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলতে, “আমার পাখির কিছু হয় নি। ”
পাখি উত্তরের অপেক্ষায় শানের দিকে চেয়ে আছে।
ফোনে হঠাৎ কোন কিছুর শব্দে দুজনেই আবার ফোনের দিকে তাকায়। অফিসের টাইম সেট করা আছে,সেটাই রিমাইন্ড দিচ্ছে।শান আর কোন কথা না বলে দ্রুত রেডি হয়ে বেরিয়ে যায়।পাখি যেন ঠাঁয় চেয়ে আছে সেদিকে।

শান আবারও আকষ্মাত ফিরে এসে পাখিকে শক্ত করে জড়িয়ে নেয় নিজের বুকে।এরপর কপালে গাঢ় চুমু এঁকে দেয়।পাখির চোখ কপালে উঠে যায়।আরো অবাক করে দিয়ে গলায় চুমু দিয়ে লম্বা লম্বা পায়ে বাহিরে চলে যায়।
“আমার কেন মনে হলো সার্জন আমার থেকে কিছু একটু লুকালো!আর ডাক্তার নীরা নামটা এতো কেন কলিজা কাপায়!সেদিন চেম্বারেও তাদের দুজনের কিছু কথা এখনো মনে আছে আমার।কোনভাবে তাদের কি কোন সম্পর্ক ছিলো অতীতে?
ছিঃছিঃ এসব কি ভাবছি।অভার থিংকিং যাকে বলে।এরকম কিছু থাকলে উনি আমায় বলতেন সবটা”-পাখির ভাবনার মাঝেই দরজায় টোকা পড়ে।

আসক্তি পর্ব ১৮

“ভাবি আসব!”-
টিনাকে দেখে পাখি উঠে গিয়ে তাকে নিয়ে আসতে আসতে ঠোঁটে কিঞ্চিত হাসি রেখেই বলে,”আরে আসো, অনুমতি লাগবে না।”
“আসলে বড় ভাবির রুমে এভাবে নক না করে গেলে উনি রেগে যান।ওনার নাকি প্রাইভেসি নষ্ট হয়।তাই কখনো আর কারোর রুমে অনুমতি না নিয়ে যাই না।”
“সমস্যা নেই যখন মন চাইবে আসিও”
টিনা ঘরটা ঘুরে ঘুরে দেখছে।সবগুলো গাছ দেখছে একে একে।পাখি কিছু একটা ভেবে টিনাকে টেনে বিছানায় বসায়,”তোমায় একটা কথা বলব টিনা? সত্যি সত্যি উত্তর দিবা কেমন?”

“আচ্ছা ভাবি বলো, চেষ্টা করব”
“টিনা, নীরা কে?”
সাথে সাথেই টিনার ঠোঁটের প্রসস্থ টা কমে আসে, হাসিটা ক্ষীণ হয়ে যায়।
“কি বলব এখন?সবটা কি বলব?ভাইয়া কেন জানায় নি সবটা?ভাবিকে সবটা জানানো উচিত ছিলো।এখন…. ”
পাখি টিনার সামনে তুড়ি বাজাতেই চমকে ওঠে সে।

“আসলে ভাবি আমি তো জানি না। কে নীরা? “-বলেই টিনা পাখির মুখের দিক চেয়ে থাকে।মুখ দেখে বুঝা যায় পাখি ওর কথা বিশ্বাস করলো না।তাই আবার বললো, “ভাবি আমি যাই।আমার অনলাইন ক্লাস আছে”
পাখি ওর হাত টা টেনে ধরে বলে,”আচ্ছা নীরার টপিক বাদ, তোমার হেল্প লাগবে টিনা”
“ককি হেল্প ভাবি”-কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলো জবাব দেয় টিনা।

আসক্তি পর্ব ২০