উষাকালে ঊর্মিমালা পর্ব ৪

উষাকালে ঊর্মিমালা পর্ব ৪
জিন্নাত চৌধুরী হাবিবা

রিয়াদ অপ্রস্তুত হেসে বলল,
-“ভাবির সাথে রসিকতা করছিলাম। তিনি বোধহয় রসিকতা বোঝেন না।”
উষা চোখ ছোট করে শান্তির উদ্দেশ্যে শুধালো,
-“মাথার ঘোমটা ফেলে শালার বউয়ের চুল দেখা, এ কেমন রসিকতা?”

রিয়াদ রসিকতার উদ্দেশ্যে কাজটি করেলেও এমন রসিকতা একেবারে পছন্দ করেনা উষা।
শান্তি রিয়াদকে চোখ রাঙিয়ে ঝাঁঝালো স্বরে বলল,
-“যে যা বোঝেনা, তার সাথে তেমন করতে যাও কেন?”
রিয়াদ লজ্জায় মাথানিচু করে নিলো।
উষা পাশ কাটিয়ে নিজের কাজে চলে গেলো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

বিকেলেই শান্তি তার স্বামী আর বাচ্চা নিয়ে শশুর বাড়ি চলে গেলো। মেয়ের গৃহত্যাগের কারণ জানতে পেরে নাসিমা বেগম উষার গোষ্ঠী শুদ্ধ ধুয়ে নিলেন। কিছুই বললনা উষা। বলতে বলতে একসময় থেমে যাবে। সে নির্বিকার রইলো। সন্ধ্যার জন্য হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করতে লিলি আর উষা রান্নাঘরে ঢুকলো। চায়ের পাতিল হাতে নিতেই নাসিমা বেগম উষার উদ্দেশ্যে চেঁচিয়ে বললেন,

-“কেউ যাতে আমার সংসারের কাজে হাত না দেয়। কারো হাতের এক ফোঁটা পানিও আমার গলা দিয়ে প্রবেশ করবেনা।”
পাতিলটা জায়গামতো রেখে দিলো উষা। ঘরে গিয়ে নিজেকে আরেকটু পরিপাটি করে আবারও বেরিয়ে এলো। আর কাজে হাত লাগালোনা। সোফায় পা তুলে বসলো। শামীমের ছোট বোন রিয়া নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। নিজের পড়াশোনা, রুম, ফোন এসব নিয়েই পড়ে থাকে। পরিবার নিয়ে অবশ্য তার কোন মাথা ব্যথা নেই। সে ও নাস্তা করার উদ্দেশ্যে উষার পাশে বসলো। উষাকে এমন নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে আয়েশ করে বসে থাকতে দেখে নাসিমা বেগম টি*ট*কা*রি করে বলল,

-“যেন কোন জমিদারের বেটি।”
উষা ফোন চালালেও তার মস্তিস্ক সজাগ। সে সরাসরি উত্তর দিলো,
-“ঠিকই ধরেছেন, আমার মা’ও আমাকে জমিদারের বেটি বলে ডাকে। তাছাড়া এখন’তো জমিদারিনী শাশুড়ীর জমিদারিনী পুত্রবধূ।”

লিলি নাস্তা নিয়ে আগে শাশুড়ীকে দিলো। বাকিগুলো নিয়ে উষা আর রিয়ার সাথে সোফায় এসে বসলো। রিয়া আর লিলি যদিও গল্প করছেনা, তবে নাসিমা বেগম আর উষার তর্কা*তর্কি শুনে চলেছে। পানির গ্লাস নিতে গিয়ে হাত ফসকে গ্লাসটি নিচে পড়ে ভেঙে গেলো।
নাসিমা বেগমের দৃষ্টিতে গ্লাস ভাঙা নয়, এ যেন বি*স্ফো*রণ ঘটেছে। যদি সম্পর্কটা স্বাভাবিক থাকতো, তখন হয়তো কিছুই বলতেন না।

-“তুমি কি লুলা? কাজকর্ম কিছুই কি মা শেখায়নি? নাকি মানুষের সংসার কিভাবে ভাঙতে হয় সেটা শিখিয়েছে?”
উষা দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
-“অন্যের সংসার কিভাবে ভা*ঙ*তে হয় সেটা আমার মায়ের কাছ থেকে নয়, আপনার কাছ থেকে শিখবো বলেই তো এসেছি।

আর আমার মা নাহয় আমাকে কাজকর্ম শেখায়নি। তা আপনি বুঝি ছোট মেয়েকে কাজকর্মে পিএইচডি করিয়ে ফেলেছেন?”
অতঃপর রিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল,

-“শোন রিয়া আপু, কাজকর্ম যেহেতু পারো। তবে বসে থাকা চলবেনা। কাল থেকে তুমি তোমার বড় ভাবির সাথে ভাগাভাগি করে কাজ করবে কেমন? আমি তো এমনিতেই অকর্মণ্য, তাছাড়া আমার হাতের কিছু খেলেই তো তোমার মায়ের শরীরে ফোস্কা পড়বে। হয়তো বি*ষ*টি*ষ ও মিশিয়ে দিতে পারি।”
রিয়া এতক্ষণ চুপ করে থাকলেও এবার বলল,
-“তোমার কিন্তু অতিরিক্ত মুখ চলে ভাবি।”

-“তা জ্ঞানের ভান্ডারের আপু তখন কোথায় ছিলেন? যখন আমার বোনের জীবনটা আপনার মা – ভাই নষ্ট করেছে। তখন মা-ভাইকে জ্ঞান দিতে পারলেন না? না-কি জ্ঞান শুধু অন্যের বেলাতেই আসে।”
-“বাড়িটাতে আর থাকা যাচ্ছে না। আর কিছুদিন গেলেই দম বন্ধ হয়ে মা*রা যাবো” বলেই ধুপধাপ পা ফেলে নিজের ঘরে চলে গেলো রিয়া।”

নাসিমা বেগম সেই যে ব*কা*ব*কি শুরু করলেন, সেটা শেষ হলো শামীম আসার পর। ছেলেকে দেখেই হামলে পড়ে হাপুসনয়নে কেঁদে ভাসালেন। শান্তির জামাইকে অ*প*মা*ন করে মেয়েটাকে বাড়ি ছাড়া করেছে। সন্ধ্যায় তাকে সহ রিয়াকে পর্যন্ত কথা শুনিয়েছে বলে জানালেন।

অফিসের কাজ সেরে ক্লান্ত শরীরটাকে একটু বিশ্রাম দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ঘরে ফিরলো শামীম। বিয়ের পর থেকেই যেন মানসিক শান্তি হারিয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার আগে, বাসায় ফেরার পরে তার কান ভারী হয়ে ওঠে। আজ এমনিতেই তার মেজাজ চ*ড়ে আছে। খিটখিটে মেজাজেই বলল,

-“তোমরা কী চাও বলতো? আমি বাড়ি ছেড়ে গেলে খুশি হবে? যদি আমি বাড়ি ছাড়লেই খুশি থাকো, তবে কালই উষাকে নিয়ে অন্য বাসায় উঠবো আমি। সে এমনি এমনিই তোমাদের অনেকগুলো কথা শুনিয়ে দিলো। আর তুমি মুখে তালা দিয়ে রেখেছো? তুমিও নিশ্চয়ই ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নও।”
মাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে গটগট পায়ে ঘরে প্রবেশ করলো শামীম। উষা কারো সাথে ফোনে কথা বলছে। হয়তো ওপাশে ঊর্মি হবে।

মাথা ঠান্ডা রাখতে শামীম সরাসরি গোসলে ঢুকলো।
-“মা-বাবা আর ভাবি কেমন আছে?”
ওপাশ থেকে ঊর্মি জবাব দিলো,
-“সবাই ভালো আছে।”
উষার মনটা ছোট হয়ে আছে। নিচু স্বরে জিজ্ঞেস করলো,

-“বাবা-মা আমার কথা কিছু বলে? এমনিতে তো আমার সাথে কথাই বলেনা।”
-“সব সময়ই তোর কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফে*লে। তুই কেন এমনটা করলি? তাদের ভাবনা যে সংসারে আমার সুখ হয়নি, সেই সংসারে তোর সুখ হবে কী করে?”
-“আমাকে নিয়ে ভাবে তাহলে? রা*গ কি কমেছে তাদের? সমস্যা নেই, বাকি যতটুকু আছে, আমি এসে সেটুকু রা*গও উধাও করে দেবো।”

ঊর্মি হেসে ফেললো। বলল,
-“বাবা মায়ের আদরের ছোট মেয়ে। তার উপর পাক্কা অভিনেত্রী। তাদের রাগ করার সুযোগ কি তুই দিবি?”
খিলখিল শব্দে হেসে উঠলো উষা। বলল,
-“ইশ! তোমাদের দুজনকে যেন আদর করেনা। তা ডঃ দেখাতে গিয়েছো?”

-“হু, এখন দাঁতের ট্রিটমেন্ট চলবে। আগামীকাল আবার যেতে হবে। হাড়ের ঔষধও চলছে। আমি বলেছি এসবের দরকার নেই। ভাইয়া আবদার করেছিলো টাকাগুলো দিয়ে জমি কিনবে। কিন্তু বাবা না করে দিলো।”
উষা এতক্ষণ যাবত মিষ্টি কন্ঠে কথা বললেও এবার তেতে গেলো।

-“তুমি বিশ্বাস করো তোমার ভাইকে? যে নিজের বউয়ের গয়না বিক্রি করে খেয়ে বসে আছে, সে এই টাকায় জমি কিনে তোমায় দেবে ভাবছো? উল্টো তোমাকে বোঝাবে তোমাকে ভরনপোষণ দিয়েছে। খবরদার এই ভুল করবেনা। নিজের ট্রিটমেন্ট করাও। তুমি চাওনা ভালোভাবে বাঁচতে? এখন তো সামান্য হাঁটাচলা করতেও অন্যের সাহায্য নিতে হয় তোমায়। কতকাল সবার খোঁটা শুনবে? কেউ কিছু না বললেও দুদিন পর আশিক ভাই ঠিকই বলবে, কথা শোনাতে তার বুক কাঁপবেনা। ভাবির সাথে কেমন ব্যবহার করে দেখনা তুমি?”

ঊর্মি হাঁপিয়ে যাওয়া গলায় বলল,
-“উদ্ধার করেছেন আমায়। এবার থামুন। বাবা এমনিতেই ভাইয়াকে থ্রেট দিয়ে দিয়েছে।
নিজের আর শামীমের খেয়াল রাখবি। তুই যেমন ভাবছিস, সে কিন্তু তেমন নয়। হয়তো তোর আর আম্মার চাপে পড়েই সে খানিকটা কঠোর আচরণ করে ফেলে তোর সাথে। সে কিন্তু খা*রা*প নয়। রাহাত ও খা*রা*প নয়, কিন্তু জানিনা হঠাৎ সে কেন এমন হয়ে গেলো।”

মেজাজ খা*রা*প হয়ে গেলো উষার। ধ্যাৎ বলে কল কে*টে দিলো। এখনও প্রাক্তন স্বামীর গুণগান।
শামীম গোসল সেরে একটা টিশার্ট পরে খাটে হেলান দিয়ে বসলো। উষার দিকে তোয়ালে এগিয়ে দিয়ে বলল,
-“চুল মুছে দাও।”
তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে উষা বাঁকা ভাবেই বলল,

-“নিজের কাজ নিজে করুন। যেদিন আপনার চোখে মায়ের অ*ন্যা*য় ধরা পড়বে, সেদিন আপনাকে বলতে হবেনা। আমি নিজ দায়িত্বে সব করবো। তা আজ নিচ থেকে মা পেট ভরিয়ে দেয়নি?”
শামীম নিজেকে যথেষ্ট ঠান্ডা রাখলো। শান্ত মেজাজেই চোখ বন্ধ করলো। নিজ থেকেই চুল মুছতে মুছতে শামীম উষার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

-“রিয়াদ ভাই তোমাকে কী বলেছে?”
-“আপনার সাধু রিয়াদ ভাই আমার মাথার ঘোমটা ফেলে দিয়ে চুল দেখতে এসেছেন। তিনি কি আপনার বোনের চুল দেখেনা? আপনার পুরো বোনটাকেই তো দেখে। তারপর ও শখ মেটেনা। ফা*ল*তু লোক।”
উষার চুল দেখতে চেয়েছিল শুনে শামীমের রা*গ হলো। পরক্ষণেই উষার কথা শুনে খুক খুক করে কেশে উঠলো।
ভ্রু কুঁচকে গেলো উষার। পাশ থেকে পানির গ্লাস তুলে দিয়ে বলল,

-“আপনার কি যক্ষা-টক্ষা আছে না-কি?”
শামীম পানি পান করে বলল,
-“নাহ্, তবে তোমার কথা শুনে ভবিষ্যতে এমন কিছু হতে পারে।”
মুখ বেঁকিয়ে বারান্দায় যাওয়া ধরতেই শামীম উষার হাত ধরে পাশে বসিয়ে দিল। জিজ্ঞেস করলো,
-“খেয়েছো দুপুরে?”
-“হুম।”

-“আজ কাজের চাপে আমার খাওয়া হয়নি। আমাকে খাবার খাইয়ে দেবে, আর আমি তোমাকে আমার শশুর বাড়িতে নিয়ে যাব।”
বাড়ির কথা শুনে মন ভালো হয়ে গেলো উষার। বলল,
-“খাবার এখানে এনে দিচ্ছি। তবে আমি খাইয়ে দিতে পারবোনা।”
শামীমের নির্লিপ্ত জবাব,
-“ঠিক আছে, আমিও কাউকে কোথাও নিতে পারবোনা।”
-“সুবিধাবাদী লোক” বলে বিড়বিড় করতে করতেই বেরিয়ে গেলো উষা। খাবার নিয়ে বসলো শামীমের সামনে। তাকে খাইয়ে দিতে গিয়েই প্রশ্ন করলো,

-“আপনার ভাই গা ঢাকা দিয়েছে কেন? আমার ভ*য়ে?”
মুখের খাবার গলাধঃকরণ করে শামীম বলল,
-“কাজে ঢাকা গিয়েছে। আজ হয়তো ফিরবে।”
কিছু একটা ভেবে হাসলো উষা। খাবার শেষ করে শুতে গিয়েই শামীমের উদ্দেশ্যে বলল,
-“কাল থেকে আমাকে ভোরে ডেকে দেবেন। নামায পড়বো।”

-“তুমি নিজেও আস্ত একটা স্নিগ্ধ ভোর।”
উষা চোখ ছোট করে বলল,
-“কিভাবে?”
-“উষা নামের অর্থ জানো?”
বুঝতে পেরে উষা শুয়ে পড়লো। গতদিনের মতো আজও একটা হাত তাকে আষ্টেপৃষ্টে ধরলো। আজ হাতের সাথে পা জোড়াও তাকে কোলবালিশের মতো জড়িয়ে ধরেছে।
উষা প্রশ্ন করলো,

-“আমি যদি আপনার ভাইয়ের মতো আপনাকে ছেড়ে চলে যাই?”
তড়াক করে উঠলো শামীম। আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরা বাঁধন ঢিলে হয়ে এলো। পরক্ষণেই পূনরায় হাতের বাঁধন দৃঢ় করে গভীর স্বরে বলল,
-“আমি যাওয়ার কোন রাস্তাই রাখবোনা।”
অগোচরে হাসলো উষা।

নামায পড়ে এক কাপ চা খাওয়া উষার অভ্যেস। আজও তার ব্যতিক্রম হলোনা। তিন কাপ চা বানালো। এক কাপ আনোয়ার হোসেনকে দিয়ে বাকি দুটো কাপ নিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরলো।
নাস্তার টেবিলে উষা অনেকবার খেয়াল করেছে লিলি তার দিকে অস্বাভাবিক দৃষ্টি দিচ্ছে। যেন পারলে চোখ দিয়েই তাকে ভস্ম করে দেবে। গতরাতেই রাহাত বাড়ি ফিরেছে।

তাদের ঘর থেকে বেশ চেঁচামেচির শব্দ পেলেও শামীম যেতে দিলোনা। উষা অনেকটা অবাক হলো রাহাতের চেহারার করুণ হাল দেখে। গালের হাড়গোড় বেরিয়ে আছে, চোখের নিচে কালির ছড়াছড়ি। যেন কতরাত ঘুমায়নি। কিন্তু কেন? তার তো ফূর্তিতে থাকার কথা। তাছাড়া চেঁচামেচিই বা কেন হলো?
ব্যাপারটা শুধু যে উষার চোখে ধরা পড়েছে, তেমনটা নয়। শামীমও বেশ লক্ষ করেছে ব্যাপারটি। স্বামী – স্ত্রী দুজনই রাহাতের ভাবনায় বিভোর হয়ে রইলো।

(শামীম চরিত্র নিয়ে কিছু কথা। অনেকেরই চরিত্রটি ভালোলাগছে না এইজন্য, যে সে কেন মাকে শা*স্তি দিচ্ছে না? মা বাবা সন্তানের উপর হাজার জু*লু*ম করলেও কোন সুসন্তান কি পারে মা বাবাকে শা*স্তি দিতে? আপনার আমার মা বাবা কোন অন্যায় বা ভুল করলে আমরা চাই তারা যেন শুধরে যায়। ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু নিজ হাতে তাদের কিভাবে শাস্তি দেওয়া যায়? এটা নিশ্চয়ই আমরা ভাবতে পারিনা।

উষাকালে ঊর্মিমালা পর্ব ৩

এবার আসি রাহাত আর নাসিমা বেগমের শা*স্তি কেন দিচ্ছে না উষা?
কোন কিছুই এত সহজভাবে হয়না। অন্যায়কারীরা সবাই শা*স্তি পাবে। তাছাড়া এতদিন বাড়িতে যে শান্তি বজায় ছিল, সেটা কিন্তু উষা থাকতে দিচ্ছে না। আস্তে আস্তে ঠিকই নাসিমা বেগমের শান্তি নষ্ট হবে। শুধুমাত্র অপেক্ষা।
আরেকটা ব্যাপার দেখিয়েছি, সেটা হলো উষার জে*দ। সে কিন্তু সব জে*দে*র ব*শেই করছে। অতিরিক্ত জে*দ করে কাজের কিছুই হয়না। প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে লড়তে হয় ঠান্ডা মাথায়। তাই উষাকে বুঝতে হবে, ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়া শিখতে হবে।
সবার মূল্যবান মন্তব্য আশা করছি। এতে করে আমি বুঝতে পারবো গল্পটা কিভাবে এগিয়ে নেওয়া উচিত। হ্যাপি রিডিং।)

উষাকালে ঊর্মিমালা পর্ব ৫