এই শহর আমার পর্ব ১৪ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

এই শহর আমার পর্ব ১৪
Suraiya Aayat

দেখতে দেখতে রাত 12.30 বেজে গেল,বাইরে প্রচন্ড ঝোড়ো হাওয়া বইছিলো বলে মুগ্ধতা ঘরের জানালাগুলো দিতে এসেছিলো ৷ ঝড়ের সাথে যে ছিটছিট করে বৃষ্টিও পড়ছিলো তা মুগ্ধতা জানালা দিতে গিয়ে বুঝলো ৷ কতদিন বললেও ভুল হবে, কত বছর মুগ্ধতা বৃষ্টিতে ভেজে না , বৃষ্টিতে ভিজলেই ওর জ্বর ঠান্ডা কাশি শুরু হয়ে যাই তাই চাইলেও বৃষ্টিতে ভেজে না ৷ ঘরের জানালা বন্ধ করে মুগ্ধতা ব্যালকনিতে গেল, শুধু জানলা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি উপভোগ করার মাঝে কি তৃপ্তি আছে ? না নেই ৷ বৃষ্টিকে উপভোগ করতে হলে গা ভাসিয়ে দিতে হবে এই কালো মেঘের ঘনঘটায় আচ্ছন্ন ঝোড়ো হাওয়ার সাথে আর নিজেকে লেপটে নিতে হবে এই গুড়িগুড়ি বৃষ্টির ফোঁটাতে তারপর কোন একসময় অঝোর ধারাতে বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে দেবে সমগ্র শরীর, শিরা উপশিরা দিয়ে গরম রক্তের শিহরন বয়ে যাবে ৷ সব মন খারাপের কথন গুলি ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে যাবে, প্রশান্তি বিরাজ করবে সমগ্র শরীর জুড়ে ৷

এতকাল স্পর্শর ভয়ে বৃষ্টিতে ভিজতো না, কিন্তু আজকে তো আর স্পর্শ নেই, তাই চাইলেও ওকে আটকানোর মতো কেউ নেই ভেবে একটু তাচ্ছিলে্্যর সাথে হাসলো মুগ্ধতা ৷
বৃষ্টির দিনে শাড়ি না পরলে কি বড্ড বেমানান লাগে ? হাতে কাচের চুড়িগুলো ঝনঝন করে না বাজলে মুঝি মেঘের গুড়গুড় আওয়াজের সাথে তাল মেলানো যাই না ? পায়ের লাল আলতা বৃষ্টিতে ধুয়ে না গেলে বুঝি প্রকৃতির একজন হওয়া যাই না ! নূপুরের আওয়াজে ঝুমঝুম শব্দ না হলে বৃষ্টিও বুঝি দুঃখ পাই ?

কথাগুলো একমনে ভাবছে মুগ্ধতা ৷ আর মুচকি মুচকি হাসছে ৷ কই আগে তো কখনো এমন ভাবনা চিন্তা ওর মাঝে কাজ করতো না ! আগে তো এত আবেগি হয়ে কথা বলতে না ! আগে বৃষ্টি মানেই কেবল বুঝতো ছাদে গিয়ে লাফালাফি করা আর স্লিপ খেয়ে ধড়াম ধড়াম করে পড়া , কই এখন সেই ভাবনা গুলো তো আর আসছে না ? তাহলে ওউ কি বুঝতে শিখছে সব ! স্পর্শর ভাষায় যাকে বলে ম্যাচিওরিটি ৷

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কথাটা ভেবে মুগ্ধতা ওর হাতের কাচের চুড়িগুলো বাজালো ঝনঝন আওয়াজ করে, সত্তিই তো মেঘের গুড়গুড় আওয়াজের সাথে ওর চুড়ির আওয়াজ খুব ভালো ভাবেই সঙ্গ দিচ্ছে ৷ ওর কল্পনার সাথে বাকি ভাবনা গুলো মেলানোর জন্য পায়ের দিকে তাকলো , পায়ের আলতা বৃষ্টিতে ধুয়ে ধুয়ে যাচ্ছে , মুখে একরোখা হাসি নিয়ে এবার দু পায়ের আন্দোলনে নূপুরগুলো বাজিয়ে তুলল ৷ সত্তিই এক অদ্ভুত প্রশান্তি ছেয়ে যাচ্ছে শরীর জুড়ে ৷ কখনো বৃষ্টির দিনে শাড়ি, রেশমি চুড়ি, নূপুর আর আলতা পরার মতো উদ্ভট ভাবনাচিন্তা মুগ্ধতার কখনোই আসেনি, আজ হলো এমন ৷ মুগ্ধতা ব্যালকনির রেলিং ধরে বাইরের দিকে তাকালো, শনশন আওয়াজ হচ্ছে, ব্যালকনির পাশের কৃষ্ণচূড়া গাছটা তার মাথাটা হেলেদুলে দোলাচ্ছে ৷ এই সময় কৃষ্নচূড়া গাছটা ফুলে ভরে যাই, তাই তার লাল টকটকে পাপড়ি গুলো ঝরে ঝরে মাটিতে পড়ছে আবার অনেকগুলো ওর ব্যালকনির মেঝেতেও পড়ে আছে ৷ ফুলের টবগুলোতে জল জমেছে , শুকনো গোলাপের পাপড়ি ঝরে ঝরে টবের জলের মাঝে ভাসছে ৷ এখন যদি একটা নৌকা ভাসানো যেত, কতোইনা ভালো হতো ৷

মুগ্ধতা রেলিং ঘেসে ডানদিকের রাস্তার দিকে তাকালো, শহরটাকে দেখা যাচ্ছে, বড্ড ব্যাস্ত এই শহর ৷ স্পর্শর অনুপস্থিতি আজ বড্ড আচড় কাটছে মনে, গলা ছেড়ে চেঁচিয়ে বড্ড বলতে ইচ্ছা করছে
আপনার মনের#এই_শহর_আমার শুধু আমার ,যেখানে স্পর্শর ছোঁয়াতে একরাশ মুগ্ধতা বিরাজ করবে , ভালোবাসার রঙিন প্রজাপতি উড়বে, এই মেঘলা রাতেও যেন রঙধনু দেখা দেবে ৷

কানে আওয়াজ আসছে, গাড়ির পিপপিপ শব্দের আওয়াজ যা মূলত দারোয়ানকে বড়ো গেটটা খুলে দিওয়ার নির্দেশ জানাচ্ছে কারন সে আসতে চাই ৷ মুগ্ধতা খানিকটা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল , স্পর্শর গাড়ি ৷
মুগ্ধতা চোখ ফিরিয়ে নিলো, অশান্ত মনকে আরো অশান্ত করতে একরাশ আভিমান জমা হচ্ছে, স্পর্শর তুলনায় নিজের প্রতি অভিযোগ জানাচ্ছে বেশি , নিজেকে ম্যাচিওর করার অভিযোগ ৷
অন্য সময় হলে মুগ্ধতা হয়তো এখন স্পর্শর ভয়ে রুমে পালিয়ে যেত , কিন্তু এখন যেন পা দুটো আর সরতে চাইছে না, মনের ভিতর বারবার বলছে যে ,,,

” থাকনা মুগ্ধ ! সবসময় নিজেকে জোর করে চালানোর প্রয়োজন কি! কখনো প্রকৃতিকেও ওর দায়িত্বটা নিতে দে ৷ মানুষটাকে তোর কাছে আসতে দে , অধিকার খাটাতে দে , যদি একটিবার হলেও সে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরে তবে !”
মুগ্ধতা ঘরে গেল না ঠাই দাড়িয়ে রইলো ৷

স্পর্শকে স্পর্শ দেখা যাচ্ছে , গাড়ি রেখে ভিজে ভিজে আসছে সে ,সমগ্র শরীর যেন বড্ড বিচলিত ৷ মুগ্ধতা ততখন স্পর্শর দিকে তাকিয়ে ছিলো যতখন স্পর্শ চোখের সামনে ছিলো, বলাই বাহুল্য যে কিছুক্ষনের মধ্যেই ওর দরজায় নক পড়বে, ভেজা ভেজা গায়ে স্পর্শ এসে দরজার সামনে দাঁড়াবে, মুখের ভাবাবেগ ঠিক কেমন হবে তা মুগ্ধতা জানে না, কারন ওর কারনে যা যা পতিক্রিয়া স্পর্শ দেখিয়েছে তাতে স্পর্শ যথেষ্ট রেগেই আছে বলে মুগ্ধতার মনে হয় ৷
হাতেগোনা দেড় মিনিটের মধ্যেই দরজায় নক পড়লো ৷ মুগ্ধতার মা শিফা খানের গলার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, ব্যাস্ত ভঙ্গিতে ডাকছে যেমনটা মাঝরাতে কারোর গাঢ ঘুমটা ভেঙে গেলে যেমন হয় ঠিক তেমনটাই ৷ মুগ্ধতা আর বেশি কিছু না ভেবে পা বাড়ালো, না জানি ওকে এমন কাকভেজা অবস্থায় দেখে তাদের পতিক্রিয়া ঠিক কি হবে ৷
দরজা খুলতেই ছিটকানির খট করে আওয়াজে স্পর্শ সামনের দিকে তাকালো, মুগ্ধতা শাড়ি পরে কাকভেজা অবস্থায় দাড়িয়ে আছে সামনে ৷

মুগ্ধতাকে এমনভাবে দেখে স্পর্শ থমকে গেলে, এটা কি ওর সেই মুগ্ধ যে শাড়ি পরতে চাইনো না, যার চোখের দৃষ্টি ছিলো চঞ্চল, চাহনি ছিল দুষ্টুমিতে ভরা ! মুগ্ধতাকে দেখছে ও মুগ্ধ হয়ে কিন্তু মুগ্ধতা ওর দিকে তাকাচ্ছে না ৷ মুগ্ধতার মা ওকে এই অবস্থায় দেখে অবাক হয়ে বললেন
” মুগ্ধ তুই এভাবে ভিজলি কি করে ?”
” জানালা দিতে গিয়ে ভিজে গেছি আম্মু ৷”

স্পর্শ বুঝতে পারলো মুগ্ধতার কথার সমস্তটা সত্তি না, ও নিজের ইচ্ছাতেই ভিজেছে সেটা স্পর্শ বুঝতে পেরেছে ৷ তবুও এখন শিফা খানের সামনে কিছু বললো না, মুগ্ধতাকে একান্তে ও অনেক কিছু বলবে, মুগ্ধতাকে যেভাবে সকালে কষ্ট দিয়েছে ঠিক তোটাই বা তার ও বেশি ভালোবাসা দিয়ে পুষিয়ে দেবে ও ৷
” এখন যদি তোর ঠান্ডা লাগে তাহলে কি হবে বলতো ! আর স্পর্শও ভিজে গেছে কেমন ৷ তোরা বস আমি কফি করে আনছি, আর স্পর্শর জন্য জামা আনছি তোর ভাইয়ার কাছ থেকে ৷”
মুগ্ধতা বিচলিত গলায় বলল

” তার কোন দরকার নেই আম্মু , ওনার একসেট জামা আমার রুমে আছে ৷ ওনার জন্য তুমি যেটা কিনেছিলে সেটাই, এখন ওটাই পরুক ৷ আর এক কাপ কফি আনো ওনার জন্য, আমি খাবো না, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে, কফি খেলে ঘুম ছুটে যাবে ,সারারাত ঘুম আসবে না ৷”
উনি স্বাভাবিক ভাবেই বললেন
” আচ্ছা ৷”

কথাটা বলে উনি চলে গেলেন ৷ মুগ্ধতা রুমে ঢুকলো, স্পর্শ ও পিছন পিছন রুমে ঢুকলো, দরজা দিলো না কারন কিছুক্ষনের মধ্যেই শিফা খান কফি আনবেন ৷
মুগ্ধতা রুমে ঢুকে ওর ওয়াড্রব থেকে একটা সাদা কালারের শার্ট আর একটা জিন্স এনে বিছানার ওপর রেখে কিছু না বলে একটা কামিজ আর প্লাজো নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল ৷
স্পর্শ ব্যালকনিতে গেল,মুগ্ধতা ওয়াশরুম থেকে বেরোলে ও চেন্জ করতে ঢুকবে ৷
ততখনের জন্য ও ব্যালকনিতে গেল, আসার সময় মুগ্ধতাকে ও ব্যালকনিতে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছে ৷বৃষ্টি এখনো থামেনি বরং বেড়েছে, মাঝে মাঝেই হঠাৎ বৃষ্টি গুলো বড্ড বাধনছাড়া হয়, থামার নাম নেই না ৷
স্পর্শ দেখলো একটা নুপূর পড়ে আছে ফ্লোরে, মুগ্ধতার লাফালাফিতে হয়তো একটা খুলে পড়ে গেছে ৷ নুপূরটা তুলে মুচকি হাসলো ৷ নুপুরটা মুঠোয় নিয়ে বিড়বিড় করতে করতে একটা আবৃত্তি করলো

” জানোতো প্রিয় বহুদিন পর আজ তোমাকে রুক্ষ কন্ঠে বড্ড কড়া কড়া শব্দ শুনিয়ে থামিয়ে দিয়েছি তোমাকে, তোমার কম্পমান ঠোঁট গুলো কিছু বলতে চেয়েছিলো,তবে আমি তাকে বাধা দিয়েছি ৷ কিছু কিছু সময় থেমে যাওয়াটা সার্থকতার হয় ৷ যদি তুমি বুঝতে ঠিক কতোটা চাই তোমাকে তাহলে হয়তো থেমে যেতো তোমার এই ছটফটানি, আমাকে তোমার থেকে হারাতে দিতে না, আবদ্ধ করে রাখতে নিজের কাছে, হারানোর ভয়টা প্রবল হতো ৷ তোমার এই নিস্তব্ধতা যে বড্ড ভয়ংকর , মুগ্ধ হচ্ছি বারবার, হারাতে ইচ্ছা করছে তোমাতে ৷ আমি কি তোমার মাঝে হারাতে দেওয়া যাই না ?”
নূপুরটা হাতে করে রুমে এলো, মুগ্ধতা আয়নার সামনে বসে আছে, মুখটা মলীন লাগছে বড্ড, বিছানার ওপর ধোঁয়া ওঠা একটা কফির কাপ ৷ স্পর্শ জামা আর প্যান্ট নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো ৷

কফির কাপে একটা চুমুক দিয়ে মুগ্ধতার সামনে ধরলো ৷ মুগ্ধতা অবাক হয়েও যেন হলোনা, সবটা দেখেও যেন না দেখার ভান করার তুমুল চেষ্টা করছে ৷ স্পর্শ এবার বলে উঠলো
” এক চুমুক নাও এখান থেকে ৷”
মুগ্ধতা স্পর্শর দিকে তাকিয়ে বলল
” আমি কফি খাইনা !”
স্পর্শ আর এক চুমুক দিয়ে বলল
” খাওনা খেতে হবে ৷”
মুগ্ধতা খানিকটা রাগী চোখে বলল

” কোন কিছুতে জোর করা আমি পছন্দ করি না, তাছাড়া আমার ঘুম পাচ্ছে, এখন কফি খেলে আমার আর ঘুম আসবে না আপনি খেয়ে শুয়ে পড়ুন , আমার কাজ আছে ৷”
কথাটা বলে উঠে যেতে নিলেই স্পর্শ ওর হাতটা ধরে নিলো, মুগ্ধতা ঘুরে তাকলো ৷
” কিছু বলবেন?”
স্পর্শ মুগ্ধতার হাত টেনে ওর কোলে বসালো ৷
কফিটা ওর সামনে ধরে বলল
” ইসলামে স্বামীর কথার অমান্য করা একটা বড়ো গুনাহ, অবাধ্য স্ত্রী হতে নেই মুগ্ধ ৷ তাছাড়া আমার মাঝে নেশা ধরিয়ে এই কফি খেয়ে আমি সাররাত জেগে থাকবো আর তুমি ঘুমাবে সেটা কি করে হতে দিই বলো যতোই হোক স্ত্রীকে ভালোবাসার মতো একটা বিরাট অধিকার একটা স্বামীর থাকে ৷”
মুগ্ধতা বলল

” আমি সত্তিই অবাধ্য, আমি ইমম্য|চিওর, আমি কখনো কারোর ভালো ভাবতে পারিনা , তাই এগুলো আমাকে বলা বৃথা ৷”
কথাটা বলে কফিটা ও খেয়ে নিলো, ওর চোখজোড়া ছলছল করছে, স্পর্শ ওকে আবার ওর কাছে টেনে নিতে চাইছে কিন্তু ও যাবে না, কারন স্পর্শ ওকে আজ
এমন অনেক কিছুই বলেছে যার জন্য ওর এই পরিবর্তন আর তা হয়তো খুব বেশি করেই দরকার ছিলো ৷
বাম চোখের জলটা গড়িয়ে পড়ার আগেই মুগ্ধতা মুছে নিলো ৷
স্পর্শ মুগ্ধতার দিকে নেশাভরা চোখে তাকিয়ে বলল
” আই লাভ ইউ মুগ্ধ, এন্ড আই রিয়েলি লাভ ইউ, কান্ট লিভ উইথআউট ইউ ৷”

এই শহর আমার পর্ব ১৩

মুগ্ধতার শরীরজুড়ে শিহরন বয়ে গেল স্পর্শর বলা ভালোবাসি কথটায় ৷ এই তিনটে শব্দ শোনার জন্য ও কি কি না করেছে, কিন্তু তবুও কোথাও না কোথাও ভালো লাগার সাথে সমান তালে আভিমানটাও বড্ড কাজ করছে ৷
স্পর্শ মুগ্ধতার গলায় ঠোঁট ছোঁয়াতেই মুগ্ধতা সরে এলো ৷
একটু থেমে বলল
” আমার ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো ৷”

স্পর্শ ওর কাছে গিয়ে কিছু না বলে কোলে তুলে নিলো, এ বিরহ আর সহ্য হয় না ৷
বাইরে প্রচন্ড শব্দে বিদুৎ চমকাচ্ছে, মাঝে মাঝে বিদুৎ এর ঝলকানিতে ঘর আলোকিত হচ্ছে আর মুগ্ধতার চোখের কোনা বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে ৷ বড্ড বেশি কাছে চলে গেছে স্পর্শর ৷ ভালোবাসা গুলো গভীর হচ্ছে, উষ্ন ভালোবাসা গুলোকে থামানো অসম্ভব ৷ অনুভুতিগুলো যেন আপাতত অভিমানগুলোকে সরিয়ে রেখে মনের মাঝে ড্রাম বাজাচ্ছে , বাইরের দমকা হাওয়া জানালায় আছড়ে পড়ছে ৷ মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে এই শহর ৷

এই শহর আমার পর্ব ১৫