একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি পর্ব ২৪

একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি পর্ব ২৪
সাদিয়া জাহান উম্মি

‘ এতো অভিমান আমার প্রতি যে ফিরেও তাকাবে নাহ!’
আরাফের করুন কন্ঠস্বরটি কানে এসে পৌছালো হিয়ার।কিন্তু হিয়া এতে কোন হেলদোল করলো নাহ।হিয়া আনমনে পরিষ্কার আকাশে মেঘেদের লুকোচুরি দেখতে ব্যস্ত।আরাফ এগিয়ে আসলো হিয়ার কাছে।কন্ঠটা আরো করুন করে বললো,
‘ এইভাবে মুখ ফিরিয়ে রেখো না হিয়া।কষ্ট হচ্ছে আমার।’

হিয়া তবুও কিছু বললো নাহ।কষ্ট পাচ্ছে পেতে থাকুক।হিয়াকে যে কষ্ট দিলো এতোদিন তার বেলায় কি?এইযে পিছনে দাড়ানো লোকটা কি জানে নাহ?হিয়া লোকটাকে ভালোবাসে?বুঝে না সে?সব বুঝে শুধু বুঝেও না বুঝার ভান ধরে আছে।হিয়া কথা বলবে নাহ। কেন বলবে?এতোদিন তো হিয়ার সাথে কথা না বলে দিব্যি ভালো ছিলো। তাহলে এখন কেন এতো আদিক্ষ্যেতা দেখাতে আসছে?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মানছে তার ভাই আর ভাবির জন্যেই সে ব্যস্ত ছিলো।কিন্তু এক।টা মেসেজ তো করতে পারতো ওকে।এতো কিসের ব্যস্ততা লোকটার?যে ওকে ভুলেই গিয়েছিলো।হিয়া ফোন করেছিলো সেটাও রিসিভ করেনি।কেন বলবে হিয়া কথা?একটুও কথা বলবে নাহ।হঠাৎ ভাবনার মাঝে আরাফ হেঁচকা টানে হিয়াকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে নেয়।হিয়ার চোখজোড়া ভরে আসে।কতোদিন ঠিক কতোদিন পর প্রিয় মানুষটির সান্নিধ্য পেলো ও।তার গায়ের ঘ্রানে নিজের মাখামাখি হলো।হিয়া ফুৃফিয়ে কেঁদে উঠলো।আরাফের বুকটা ধ্বক করে উঠে। হিয়াকে নিজের সাথে আরেকটু ভালোভাবে জড়িয়ে নিয়ে বলে,

‘ কাঁদেনা প্লিজ।আমি অনেকগুলো সরি হিয়া।আর কখনো এমন করবো নাহ। কাঁদেনাহ!’
হিয়া শব্দ করে এইবার কেঁদে উঠলো।নিজেকে আরাফের থেকে ছাড়ানোর জন্যে প্রানপন চেষ্টা করতে লাগলো।কাঁদতে কাঁদতে বলে,
‘ ছাড়ুন আমায়! আমাকে একদম ধরবেন না।একদম নাহ।এতোদিন তো ভালোই ছিলেন।তাহলে কেন এসেছেন?চলে যান।আমার কাছে একদম আসবেন নাহ!’

হিয়া এইভাবে ধস্তাধস্তি করায় আরাফের গায়ে অনেকি জায়গায় খামছি লেগে গিয়েছে।তাও আরাফ কিছু বললো না।হিয়াকে থামানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে নাহ। আরাফ এইবার হিয়ার দুগালে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরলো তারপর হিয়ার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।হিয়া আকস্মিক আক্রমনে পুরো জমে গিয়েছে।হাত-পা অসাড় হয়ে আসছে ওর। নিজের শরীরের ভর ছেড়ে দিতেই আরাফ হিয়াকে আগলে নেয় নিজের সাথে। আরেকটু ঘনিষ্টতম হয় দুজন।হিয়ার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরছে।কিছুক্ষন বাদ সরে আসে আরাফ।হিয়া এখনো চোখ বুঝে আছে।ঘনঘন শ্বাস ফেলছে।আরাফ হিয়ার কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে ধীর কন্ঠে বলে,

‘ ভালোবাসো আমায়।কেন স্বিকার করছো নাহ!’
হিয়া ক্রোদন কন্ঠে বলে,
‘ আমি কাউকে ভালোবাসি নাহ!’
‘ ভালোবাসো!’
‘ ভালোবাসি নাহ!’
‘ বাসো! ‘
‘ বাসি না।’
‘ ভালোবাসি নাহ!’
‘ ভালোবাসি!’

হিয়া চট করে চোখ মেকে তাকালো।অশ্রুসিক্ত নয়নজোড়ায় একআকাশসম অভিমান আরাফের প্রতি তা আরাফ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে।হিয়া আরাফকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।লোকটা জঘন্য খারাপ কিভাবে ট্রিক্স খাটিয়ে ওকে দিয়ে ভালোবাসি বলিয়ে নিলো।তার ভালোবাসি বলতে এতো সমস্যা কিসের?কেন এতো ভণিতা করছে সে।কিসের এতো অপেক্ষা তার?হিয়ার রাগ হলো প্রচুর রাগ।রাগী কন্ঠে বলে,
‘ খারাপ লোক।আমার আশেপাশেও যেন আপনাকে না দেখি।আমার থেকে দূরে থাকবেন।একদম আমার কাছে ঘেসবার চেষ্টা করবেন নাহ।নয়তো খুব খারাপ হয়ে যাবে। অসহ্য!’

হিয়া ধুপধাপ পা ফেলে চলে গেলো। এদিকে আরাফ অসহায় দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে বিরবির করে বললো,
‘ শশুড়ের মেয়ের বহুত রাগ।এই রাগ সামলে উঠবো আমি কিভাবে উপরওয়ালা ভালো জানেন।তার অভিমান ভাঙ্গাতে আমার অনেক কাঠখোর পোড়াতে হবে।যাক আরাফ একটু কষ্ট তো কর‍তেই হবে প্রেমে যেহেতু পরেছিস।চল কাজে লেগে পর।’
আরাফ নিজেও নিচে যাওয়ার জন্যে পা বাড়ালো।

আজানের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে অর্থ’র। চোখ মেলে তাকাতেই সবার আগে চোখ যায় নিজের বাহুতে ঘুমানো ঘুমন্ত প্রাহির দিকে।মেয়েটাকে ঘুমন্ত অবস্থায় আস্তো এক মায়ার রাজ্য মনে হয়।এতো মায়াময়ী কেন মেয়েটা? অর্থ’র মন চায় নিজের বুকের মাঝে ভরে রাখতে মেয়েটাকে। পুতুল বউ ওর।যাকে দেখলে শুধু আদর করতে ইচ্ছে করে অর্থ’র।অর্থ ঝুকে গিয়ে প্রাহির কপালে চুমু খেলো।পর পর প্রাহির দুগালেও চুমু দিলো।ঘুমের মধ্যে এরকম আজব ফিলিংস হতেই চোখ মেলে তাকায় প্রাহি।অর্থকে এইভাবে নিজের দিকে ঝুকে থাকতে দেখে ভড়কে যায় প্রাহি।কিছু বলার জন্যে মুখ খুলবে তার আগেই অর্থ প্রাহির ঠোঁটে শব্দ করে একটা চুমু খেয়ে নেয়।প্রাহি হা করে তাকিয়ে আছে অর্থ’র দিকে।লোকটার কি হলো?হঠাৎ এমন ব্যবহার করছে কেন?প্রাহি কাঁপাকাঁপা গলায় বলে,

‘ আপনি ঠিক আছেন?কি হয়েছে আপনার এমন করছেন কেন?’
অর্থ হাসলো।প্রাহির মাথা ঝিম ধরে গেলো।লোকটা হাসলে এতো সুন্দর লাগে দেখতে।যে প্রাহির মন চায় শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে।এইযে প্রাহির হার্ডবিট ফাস্ট হয়ে গিয়েছে।শরীরের প্রতিটা লোমকূপ দাঁড়িয়ে গিয়েছে।প্রাহির এমন মুগ্ধকর দৃষ্টি নিজের উপর নিবদ্ধ দেখে প্রান জুড়িয়ে গেলো অর্থ’র।প্রাহির গালে আলতো স্পর্শ করলো।প্রাহি আবেশে চোখ বুজে নিয়ে আবারও খুলে তাকালো অর্থ’র দিকে।অর্থ মোলায়েম কন্ঠে বলে,
‘ এইভাবে তাকাবে না প্রাহি।তোমার এমন দৃষ্টিতে যে আমার হৃদয়টা ধমকে যায়!’
প্রাহি ঘোরলাগা কন্ঠে বলে,
‘ কি করবো বলেন?আপনি এতো সুন্দর করে হাসেন কেন?আমার বুকে চিনচিনে ব্যাথা হয়।মাথা ঝিম ধরে যায়।আমি মুগ্ধ হয়ে যাই।’

অর্থ প্রাহির কানের কাছে মুখ নিলো।প্রাহির ওর বামহাত দিয়ে অর্থ’র ঘাড়ে হাত রাখে।অর্থ প্রাহির গলায় মুখ ডুবিয়ে ছোট ছোট ভালোবাসার আবেশে ভড়িয়ে দেয়।প্রাহি পা দিয়ে বিছানার চাদর আকড়ে ধরে।লোকটা কি করছে মেরে ফেলবে প্রাহিকে?এ কেমন অসহ্য সুখ দিচ্ছে লোকটা।প্রাহি অর্থ’র চুল খামছে ধরে।কিয়ৎক্ষন বাদে সরে আসে অর্থ।প্রাহি বন্ধ চোখজোড়ায় সময় নিয়ে দুটো চুমু দেয়।প্রাহি সিক্ত চোখজোড়া মেলে তাকায় অর্থ’র দিকে।অর্থ নরম কন্ঠে বলে,
‘ তোমাকে দেখলেই আমার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায় প্রাহি।নিজেকে তখন নিয়ন্ত্রন করা অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে যায়।আমার ভীতরটা অস্থিরতায় ছেঁয়ে যায়।এই দুরত্ব আর কতদিন প্রাহি?তুমি কি আমায় স্বামি হিসেবে একটুও মানতে পারছো না?আমি কি তোমার উপর খুব জোড় করে ফেলছি?’

প্রাহির বুকটা অর্থ’র কথায় ছ্যাত করে উঠে।প্রাহি কি কোনভাবে অর্থকে খুব বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলছে?আসলেই তো আর কতো অপেক্ষা করবে লোকটা?দুটোমাস তো আর কম না।লোকটা ওর স্বামি।নিজের স্বামিকে তার হক থেকে প্রাহি বঞ্চিত করে ফেলেছে।অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছে।কি করবে প্রাহি?কিভাবে বুঝাবে লোকটাকে।যে প্রাহির কেমন লাগে।প্রাহি অস্থির হয়ে উঠে।অর্থকে সে খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছে ভাবতেই নিজেকে কেমন যেন পাগল পাগল লাগছে।প্রাহি অস্থিরভাবে নড়ে উঠতে নিতেই ডানহাতটা গিয়ে বাড়ি খায় বিছানার সাথে এটাচ্ড টি-টেবিলটার সাথে।সাথে যাথে তীব্র যন্ত্রনায় বিকট আর্তনাদ করে উঠে। অর্থ লাফ দিয়ে উঠে বসে।প্রাহিকে দুহাতে নিজের বুকে টেনে নেয়।প্রাহির প্রায় শব্দ করেই কাঁদছে।একেতো মনের ব্যাথা তার উপর ও প্রচুর জোড়ে বারি খেয়েছে হাতে।হাতটা ব্যাথা এখনো টনটন করছে।অর্থ প্রাহিকে বুকে নিয়েই কাঁপা গলায় বলে,

‘ আমি সরি।আমার কারনেই এমন হলো।সব আমার দোষ।আমার কারনেই তুমি এতো কষ্ট পাচ্ছো।দেখি কাঁদে না।আমি ডাক্তার কে ফোন করে আসতে বলছি। নড়ে না প্লিজ।’
এদিকে প্রাহির এমন আর্ত্মনাদ শুনে বাড়ির সকলে ওদের রুমের সামনে এসে ভীর জমিয়েছে।হেমন্ত অস্থির কন্ঠে ডেকে উঠলো,
‘ ভাইয়া প্লিজ দরজা খুলো।কি হলো প্রাহির?ও এমন চিৎকার করলো কেন ভাইয়া?’
রায়হানা বেগম বলছেন,

‘ আব্বা! দরজাটা খুলো আব্বা।আমাদের টেন্সন হচ্ছে।আব্বা!’
বাহিরে এমন চেঁচামেচি শুনে অর্থ হালকা ধমকে উঠলো,
‘ চুপ থাকো তোমরা।খুলছি আমি।প্রাহি ব্যাথা পেয়েছে ওকে একটু ভালোভাবে সুইয়ে দিয়ে আসি।’
অর্থ’র ধমকে সবাই চুপ হয়ে গেলো।অর্থ এইবার প্রাহিকে সুইয়ে দিলো।ওর ডানহাতটা আলতোভাবে উঠিয়ে হাতের নিচে বালিশ দিয়ে দিলো।যাতে ব্যাথাটা কম লাগে।প্রাহি ঠোঁট কামড়ে নিজের কান্না থামানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু প্রচন্ড ব্যাথায় যেন ওর নিশ্বাসটাও আটকে আসছে।ঘা’টা এখনো পুরো তাজা।অর্থ ছলছল চোখে তাকালো।ধরা গলায় বলে,
‘ কাদেঁনা।আমি সব ঠিক করে দিবো।একটু সহ্য করে নেও।’

অর্থ প্রাহির কপালে চুমু খেয়ে উঠে চলে গেলো দরজা খুলতে।তখনই হুরমুরিয়ে বাড়ির সবাই ঘরে প্রবেশ করলো।রায়হানা বেগম তো প্রাহির এই অবস্থা দেখে হাউমাউ করে কেঁদে দিলেন,
‘ ও আম্মা! মা আমার বেশি কষ্ট হচ্ছে।ও আব্বা হাতের ব্যান্ডেজটা তো ভিজে গিয়েছে রক্তে।কেমনে হলো এইগুলো।’
হেমন্ত এসে রায়হানা বেগমকে সোফায় বসিয়ে দিলো,
‘ বড়মা কাঁদেনা।আমরা আছি তো।কিছু হবে নাহ!’
মায়ের মন কি আর মানে? রায়হানা বেগম কেঁদেই যাচ্ছে।অর্থকে এটা সবাই এটা সেটা জিজ্ঞেস করছে কিন্তু অর্থ কারো কোন কথার জবাব দিলো না।শুধু শান্ত স্বরে বললো,

‘ হেমন্ত ডাক্তারকে আসতে বল।জলদি!’
ভাইয়ের কথা শুনে হিয়া এগিয়ে এসে বলে,
‘ ভাইয়া লাগবে না।আমি পারবো ভাবির ব্যান্ডেজটা করে দিতে।এটুকু আমি পারবো বিশ্বাস রাখো।’
অর্থ বোনের মাথায় হাত রেখে বলে,
‘ হুম! যা করার কর।বাট প্লিজ ওর যেন একটু কষ্ট না হয়।’
হিয়া কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।একটু তো যন্ত্রনা হবেই। হিয়া কিছু বললো না।ওর রুম থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার বক্সটা এনে।প্রাহির হাতের পুরনো ব্যান্ডেজটা খুলতে শুরু করলো।প্রাহির ব্যাথায় যেন দম আটকে গেলো।চিৎকার করে কেঁদে উঠে প্রাহি।

‘ হিয়া আস্তে প্লিজ হিয়া।আমার দম আটকে আসছে ব্যাথায়!’
অর্থ দ্রুত প্রাহির কাছে এসে ওকে বুকে জড়িয়ে নিলো।প্রাহি অর্থ’র বুকে মুখ গুজে দিয়ে কেঁদে উঠলো।হিয়ার চোখেও পানি।ও বললো,
‘ ভাইয়া ভাবিকে একটু সামলে রেখো।একটু কষ্ট তো হবেই ভাইয়া।ঘা’টা এখনো তাজা।তার উপর এইভাবে ব্যাথা পেয়েছে।কষ্ট তো হবেই ভাইয়া।’
অর্থ মাথা নাড়ালো।প্রাহি ব্যাথায় থেকে থেকে আর্তনাদ করে যাচ্ছে।সেই আর্তনাদে অর্থ’র হৃদপিন্ডকে ক্ষতবিক্ষত হলো বাজেভাবে।অবশেষে অনেকক্ষন পর ব্যান্ডেজ সম্পন্ন হলো।প্রাহির শরীরটা নিস্তেজ হয়ে গিয়েছে।ঘামে পুরো শরীর ভিজে গিয়েছে।অর্থ প্রাহিকে বুকে নিয়েই হেলান দিয়ে বসলো। চোখ বুজে বললো,

‘ মা প্রাহি দুপুরে কিছু খায়নি।তুমি খাবার পাঠাও রুমে।আর হিয়া তুই একটু কষ্ট করে ওয়াশরুম থেকে একমগ পানি,একটা রুমাল আর আলমারি থেকে প্রাহির জন্যে একসুট জামা বের করে দে।’
হিয়া মাথা নাড়িয়ে উঠে চলে গেলো।সবাই একে একে রুম থেকে বের হয়ে আসলো। সবাই বেড়িয়ে যেতে অর্থ প্রাহির নিস্তেজ শরীরটা বালিশে সুইয়ে দিলো।তারপর উঠে গিয়ে দরজা আটকে দিয়ে প্রাহির জামা খুলে ওর শরীর মুছে দিলো।তারপর নতুন জামা পরিয়ে দিলো।প্রাহি নিভু নিভু চোখে দেখছে অর্থকে।ওর চোখ দিয়ে আবারও জল গড়িয়ে পরলো।অর্থ তা যত্নসহকারে মুছে দিলো।

একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি পর্ব ২৩

‘ একদম কাঁদবে নাহ।আমার কষ্ট হচ্ছে প্রাহি!’
প্রাহি দূর্বলভাবে মাথা দুলালো।কিছুক্ষন পর রায়হানা বেগম খাবার পাঠাতেই অর্থ প্রাহিকে খাইয়ে দিয়ে নিজেও খেয়ে নিলো অবশ্য খাওয়ার ইচ্ছে নিলো না।প্রাহি জোড় করায় খেয়েছে।খাওয়া শেষ হতে দেরি।প্রাহিকে বুকে জড়িয়ে নিতে অর্থ’র দেরি হয়নি।বুকটা এখনো ধরাস ধরাস করছে।এই মেয়েটার কিছু হলে অর্থ নিজেকে সামলাতে পারবে না একটুও।একটুও পারবে নাহ।

একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি পর্ব ২৫