এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১১ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১১
লেখনীতে: তানজিল মীম

“অবাক চোখে তাকিয়ে আছে রিয়াদ তানজুর দিকে”!!এই প্রথমবার তানজুকে দেখে রিয়াদের চোখ আঁটকে গেছে, একটা লাল, হলুদ মিস্ক করা সুন্দর ঘাগড়া পড়েছে তানজু,চুলগুলো খুলে দিয়েছে,চোখে কাজল, আইলাইনার,সাথে মুখে হাল্কা মেকাপে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে রিয়াদের কাছে,এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিয়াদ’!!আর তানজু উপর থেকে সিঁড়ি বেয়ে নাচতে নাচতে নিচে নামছে….

“হুট করেই আজকে সাজতে খুব ইচ্ছে হলো আমার তাই এই সুন্দর ঘাগড়া পড়ে যাচ্ছি আমি আমার প্রিয় পিচ্চি খেলোয়াড়দের কাছে,চকলেটগুলো দিতে হবে না….
“একা একা বোর লাগছে ভিষন তাই ব্রেকফাস্ট সেরে যাচ্ছি আমি আমার পিচ্চি বন্ধুদের কাছে,সিঁড়ি বেয়েই নিচে নামছিলাম এমন সময় রিয়াদ ভাইয়াকে দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত ফিল করলাম আমি,সঙ্গে সঙ্গে লাফানো থামিয়ে ভাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে মুচকি হেঁসে বললাম আমিঃ

—-“গুড মর্নিং ভাইয়া…
—-“মর্নিং, তা এত সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছিস তুই…
—-“না তেমন কোথাও নয় তো একটু বাহিরে…
—-“ওহ,,
—-“হুম…
“বলেই দু’পা বের করতেই আম্মু এসে হাজির’!!
—-“কোথায় যাচ্ছিস তুই তাও আবার একা একা…
“উফ আম্মুরও এখনি ডাকা লাগলো এখন কি বলি, আমি হাল্কা হেঁসে আম্মুর দিকে তাকিয়ে বললামঃ
—-“না তেমন কোথাও নয় তো আম্মু,ওই একা একা ভালো লাগছিল না তাই একটু বাহিরে যাচ্ছিলাম…
—-“শিফা ওঁরা যখন নেই তখন একা তোর কোথাও যাওয়ার দরকার নেই….
—-“আরে আম্মু আমি দূরে কোথাও যাবো না এই সামনেই….
—-“না মানে না….

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—-“তুমি এমন কেন আর আমি একা কোথায় তরী আছে না আমার সাথে….
—-“কোথায় তরী…
“এমন সময় সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছিল তরী,ওকে দেখেই বলে উঠলাম আমিঃ
—-“ওই আসছে….
“তরীকে আসতে দেখে আম্মুও আর কিছু বললো না’!!আমি আর তরী একসাথে বের হতেই নানাভাই বলে উঠলঃ
—-“তোমরা একা কেন যাবে ময়না পাখি রিয়াদকেও সঙ্গে নিয়ে যাও…
“নানাভাইর কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার,শুঁকনো ঢোক গিলে বললাম আমি…
—-“কিন্তু নানাভাই….
—-“কোনো কিন্তু নয় এমনিতেই তো গ্রামের কিছু চিনে না রিয়াদ ওকে একটু ঘুরিয়ে দেখাও,
“এতটুকু আমাদের বলে রিয়াদ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললো নানাভাইঃ
—-“তুমি কি যাবে রিয়াদ ওদের সাথে…
“নানাভাইর কথা শুনে আমি তো ভেবেই নিয়ে ছিলাম রিয়াদ ভাইয়া না বলবে কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে বলে উঠলেন উনিঃ

—-“কেনো নয়,অবশ্যই যাবো নানাভাই…
—-“তাহলে আর কি তানজু তোমাদের সাথে রিয়াদকেও নিয়ে যাও,এমনিতেও তোমরা কালকে চলে যাবে আর রিয়াদও তো আবার আমেরিকায় চলে যাবে তাই ওকে একটু গ্রামটা ঘুরিয়ে দেখাও….
“বিনিময়ে আমিও আর কিছু বলতে পারলাম না নানাভাইর মুখের উপর,ইচ্ছে না থাকা সত্বেও বলে উঠলাম আমিঃ
—-“ঠিক আছে নানাভাই চলুন ভাইয়া (রিয়াদের দিকে তাকিয়ে)
“আমার কথা শুনে রিয়াদ ভাইয়া মুচকি হেঁসে বলে উঠলঃ
—-“জাস্ট দু’মিনিট আমি এক্ষুনি আসছি…
“বলেই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলেন উনি’!!আর আমি, তরী হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম ওনার জন্য,উফ না জানি আজ সারাদিন কেমন কাটবে আমার….

“বিছানায় চুপটি করে বসে আছে আহান,সে এখনো ভাবতে পারছে না শিফা চলে গেছে,কোথায় ভাবলো শিফাকে তার মনের কথাগুলো বলবে কিন্তু তা আর হলো কই তার আগেই চলে গেল শিফা,বড্ড মন খারাপ নিয়ে বসে আছে আহান বিছানার উপর’!!এমন সময় হন হন করে রুমে প্রবেশ করলো রিয়াদ,আহানের অবস্থা দেখে বললো সেঃ

—-“কি হইছে তোর বাংলা ছবির ছ্যাক খাওয়া নায়কদের মতো বসে আছিস কেনো…
—-“না তেমন কিছু নয় এমনি ভালো লাগছে না তাই আর কি…
—-“বাহিরে যাবি ঘুরতে….
—-“এখন ভালো লাগছে না তুই যা আমি পরে আসছি…
“রিয়াদও আর বেশি জোর করলো না’!!হাল্কা হেঁসে বললো সেঃ
—-“মন খারাপ করিস না সময় মতো সব হবে…
“এতটুকু বলে রিয়াদ একটা ব্লাক শার্ট, সাথে ব্লাক জিন্স, শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত বোল্ড করে,চুলগুলোকে সুন্দর মতো আঁচড়ে, হাতে ব্লাক ওয়াচ,আর ব্লাক জুতো পড়ে তৈরি সে,তারপর হাতে তার প্রিয় ক্যামেরাটা নিয়ে বললোঃ
—-“তাহলে তুই দেবদাস হয়ে বসে থাক আমরা যাচ্ছি….
“রিয়াদের কথা শুনে আহান অবাক হয়ে বললোঃ
—-“আমরা মানে কে কে যাচ্ছিস তোরা….
—-“ফিরে এসে বলবো…
“বলেই রিয়াদ দ্রুত বেরিয়ে গেল’!!আর রিয়াদের কাজ আর কান্ড দেখে স্তব্ধ হয়ে বললো আহানঃ
—-“যা বাবা চলে গেল….

—-“উফ,তরী রিয়াদ ভাইয়া এতক্ষণ কি করছে বল তো বাহিরে ঘুরতে যাচ্ছে নাকি বউ আনতে যাচ্ছে কে জানে দু’মিনিটের কথা বলে ১৫ মিনিট হয়ে গেল এখনও খবর নেই কেনো বলতো…
“প্রচন্ড হতাশা নিয়ে কথাটা বলে উঠলাম আমি তরীকে’!!আর আমার কথা শুনে তরী বলে উঠলঃ
—-“আমি কি করে বলবো তানজু আপু…
—-“ইস,বের হতে হতেই মনে হচ্ছে জোহরের আজান দিয়ে দিবে….
“এমন সময় মাথার চুল ঠিক করতে করতে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলো রিয়াদ’!!রিয়াদকে দেখে তরী হা হয়ে তাকিয়ে থেকে বললোঃ

—-“উফ,তানজু আপু রিয়াদ ভাইয়াকে জি সুন্দর লাগছে দেখো….
“তরী কথা শুনে আমিও চোখ তুলে তাকালাম ওদিকে’!!রিয়াদ ভাইয়ার লুকিং দেখে অবাক,
—-“আরেহ বাস গেলো ট্রাউজার আর গেঙ্গি পড়ে,আর এলো পুরো ব্লাক হয়ে তবে খারাপ না…
—-“খুব সুন্দর লাগছে ভাইয়াকে তাই না তানজু আপু…(হা হয়ে তাকিয়ে থেকে)
“তরীকে ওভাবে হাবার মতো তাকিয়ে থাকতে দেখে ওর মাথায় একটা বারি মেরে বললামঃ
—-“ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেন,চোখ তো বাহিরে বেরিয়ে আসবে মনে হয়….
“আমার কথা শুনে তরী আর কিছু বললো না চুপ করে রইলো’!!এরই মধ্যে রিয়াদ ভাইয়া আমাদের সামনে এসে বললোঃ
—-“এখন তাহলে যাওয়া যাক…
—-“একটা কথা বলবো ভাইয়া….
—-“হুম বল না…
—-“বলছিলাম কি বাহিরে ঘুরতে যাচ্ছো নাকি বউ আনতে যাচ্ছো…
“আমার কথা শুনে রিয়াদ ভাইয়া চোখ বড় বড় করে বললোঃ

—-“কি…
—-“না মানে তুমি যেভাবে সেজেছো গ্রামের সব মেয়েরা তো তোমায় দেখে টাসকি খাবে মনে হয়…
“আমার কথা শুনে হাসলো রিয়াদ ভাইয়া তারপর বললোঃ
—-“কেন তুই টাসকি খেয়েছিস নাকি…
—-“এ মা না না আমি সেটা কখন বললাম,আর এই তানজু কারো ওপর টাসকি খায় না,হ্যাঁ হুটহাট পড়ে যায় ঠিকি কিন্তু টাসকি ওসব খায় না ও….
“আমার কথা শুনে আবারো হাসলো রিয়াদ ভাইয়া’!!তারপর বললোঃ
—-“হয়েছে আর বলতে হবে না এখন চল তাড়াতাড়ি…
—-“হুম চলো তাহলে….

“তারপর আমি আর রিয়াদ ভাইয়া বেরিয়ে পরলাম’!!
“গ্রামের আঁকা বাঁকা পথ পেরিয়ে হাঁটছি আমরা,চারপাশে রয়েছে সবুজ সবুজ গাছ পালা সাথে ইয়া বড় সবুজের মাঠ’!!হাঁটতে হাঁটতে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“আচ্ছা ভাইয়া তোমার সাথে আহান ভাইয়া কেন এলো না…
—-“জানি না বলেছিলাম আসার কথা কিন্তু ও বললো ভালো লাগছে না ওর, তাই আসলো না আর আমিও জোর করলাম না…
—-“ওহ আচ্ছা তোমরা দুজন কতবছর যাবৎ একসাথে আছো…
—-“প্রায় ৭ বছর,আমেরিকায় বসেই ওর সাথে পরিচয় আমার আর ও বাঙালি তাইতো এত সহজে মিশে গেছে আমার সাথে….

—-“আমেরিকার দেশটা খুব সুন্দর তাই না ভাইয়া…
—-“হুম তা তো একটু সুন্দর কিন্তু এই গ্রামের চেয়ে নয়….
—-“ওখানে বরফ পরে তাই না….
—-“হুম…
—-“উফ,আমার বরফ খুব ভালো লাগে কখনো আমি আমেরিকা গেলে তুমি আমি বরফ নিয়ে খুব মজা করবো ঠিক আছে ভাইয়া….
“হাসলো রিয়াদ’!!তারপর বললোঃ
—-“ঠিক আছে…
“এর রকম হাজারো কথা বলতে বলতে এগিয়ে চললাম আমরা’!!
“কিছুক্ষণ পর….
“হর্ঠাৎই দাঁড়িয়ে পরলাম আমি’!!যা দেখে রিয়াদ ভাইয়া বললোঃ

—-“কি হলো দাঁড়িয়ে পরলি যে…
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে আমি হাতের ইশারায় কোলার মানে সবুজ ফসলের মাঠের দিকে আঙুল বারিয়ে দিয়ে দূর সীমানায় থাকা একটা গাছপালায় ঘেরা বীচের মতো একটা জায়গা দেখিয়ে বললামঃ
—-“ওই দূরে যাবো আমরা….
“আমার আঙুল দিয়ে দেখানো পথের দিকে তাকিয়ে বললো রিয়াদঃ
—-“ওতো দূরে…
—-“তাতে কি হইছে ওই জায়গাটা খুব সুন্দর আর ওরা ওখানেই আছে….
“আমার কথা শুনে রিয়াদ ভাইয়া অবাক হয়ে বললোঃ
—-“কারা…
—-“কারা আবার আমার পিচ্চি বন্ধু জুথি,টুম্পা,ফুলটুসি,ইব্রাহীম, অভ্র ওঁরা….
—-“ওহ তুই ওদের কথা বলছিস….
—-“হুম কেন তুমি কি ভাবলে…
—-“না কিছু না চল তাহলে….
—-“হুম চল…

“তরী তো আগেই চলে গেছে অনেক দূরে,কারন এ জায়গাটা তার জন্য নতুন নয়,আর না নতুন তানজুর জন্য….
“উঁচু রাস্তার ওপর থেকে আস্তে আস্তে নামলাম আমি নিচে কোলার মাঝে,এখান থেকে ওই দূর জায়গাটা যাওয়ার সুন্দর রাস্তা আছে’!!আমি নিচে নেমে রিয়াদ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললামঃ
—-“তুমি পারবে নামতে….
“রিয়াদ কিছুক্ষন চেষ্টা করলো কিন্তু একা একা নামতে পারছে না সে’!!যা দেখে আমি হাল্কা হেঁসে বললামঃ
—-“ভাইয়া তুমি আমার হাতটা ধরো তাহলেই নামতে পারবে…
“বলেই এগিয়ে দিলাম আমি আমার হাত রিয়াদ ভাইয়ার দিকে’!!
“এদিকে রিয়াদ তানজুর কাজে কিছুটা অবাক হলো,পরক্ষণেই সেও তার হাত এগিয়ে দিলো তানজুর দিকে’!!তারপর আস্তে আস্তে সেও নামলো নিচে,তানজুর হাত স্পর্শ করতেই এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো রিয়াদের, যেটা কেন হলো বুঝতে পারলো না রিয়াদ’!!

—-“দেখেছো ভাইয়া বলেছিলাম না আমার হাত ধরে নামলেই পারবে তুমি,,
—-“হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি….
—-“আসলে কি বলো তো তুমি তো কখনো এসব জায়গায় আসো নি তাই আর কি….
“এরকম হাজারো বক বক করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে রিয়াদ-তানজু’!!তানজু বকবক করছে আর রিয়াদ শুধু মন দিয়ে শুনছে তার ভালো লাগছে খুব, আর তানজু সে তো এতটাই বকবক করতে ব্যস্ত সে যে এখনো রিয়াদের হাত ধরে আছে সেটা ভুলেই গেছে….
“মস্ত বড় নীল আকাশ,রোদ্দুরে ঘেরা পুরো মাঠটা,সাথে চারপাশে সবুজের সমারোহ আর রৌদ্রময়ী বাতাস,বাতাসে তানজুর খোলা চুলগুলো উড়ছে খুব,যেটা রিয়াদকে আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট,এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে রিয়াদের ভিতর, হুট করে এমন কেন লাগছে তার বুঝতে পারছে না সে,হয়তো এমনি,
“এটা ভেবেই আনমনে হাঁটছে রিয়াদ তানজুর হাত ধরে….

“অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে অবশেষে আমরা পৌছালাম আমাদের গন্তব্যে’!!সুন্দর বীচের মতো ঘেরা একটা জায়গা,যেটার চারপাশে রয়েছে বড় বড় গাছ,আর নিচে সবুজ ঘাস,বড় বড় ফুল গাছও আছে এখানে,হলুদ, গোলাপিসহ আরো নানা রঙের ফুল’!!ফুলগুলো পুরো জায়গাটা জুড়েই ভরে আছে খুব,রিয়াদ তো জায়গাটা দেখেই বলে উঠলঃ
—-“খুব সুন্দর তো…
—-“দেখতে হবে না কে নিয়ে এসেছে….
“হাসলো রিয়াদ’!!তারপর এক পা বাড়াতেই বলে উঠলাম আমিঃ
—-“ভাইয়া এভাবে নয়….
“আমার কথা শুনে ভাইয়া অবাক চোখে তাকালো সে আমার দিকে’!!যার অর্থ ‘মানে’,আমিও রিয়াদ ভাইয়ার চোখের ভাষার অর্থ বুঝতে পেরে বললামঃ
—-“জুতো পড়ে নয়,জুতো খুলে যাবো…
—-“কি কেন?
—-“আরে খুলোই না ভালো লাগবে….
“রিয়াদ আর কথা না বারিয়ে খুলে ফেললো তার জুতো,তারপর আর কি আমিও জুতো খুলে পা রাখলাম সবুজ ঘাসের উপর থাকা সুন্দর ঝড়ে যাওয়া ফুলের পাপড়ির মাঝে,

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১০

“ঘাসের উপর পা রাখতেই এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেল রিয়াদের মাঝে,যেন মাটির এক আলাদা টান ফিল করতে পারছে রিয়াদ,সাথে মাটির উপর থাকা সবুজ ঘাস আর ফুলের ভালোবাসা…
“তারপর আমরা দুজন একসাথে পা বাড়ালাম ভিতরে,দু’কদম পৌঁছাতেই দেখা মিলে গেল আমার পিচ্চি বন্ধুদের সাথে,আমিও আর বেশি কিছু না ভেবে ঘাগড়াটাকে ধরে দিলাম দৌড়,ওদের সামনে গিয়ে বললামঃ
—-“কেমন আছিস তোরা…
—-“ওহ তানজু আপু তুমি এসেছো…
—-“হুম আর দেখ তোদের জন্য কি নিয়ে এসেছি শিফার দেওয়া চকলেট…
—-“তুমি আমাদের জন্য চকলেট নিয়ে এসেছো তানজু আপু….
—-“হুম…
“সাথে সাথে সবাই চেঁচিয়ে উঠল’!!আমিও আর বেশি দেরি না করে একে একে সবাইকে চকলেট বিলিয়ে দিতে লাগলাম’!!ঠোঁটে রয়েছে আমার এক প্রশান্তির হাসি,তরীও আছে ওদের মাঝে,খুশিতে মেতে উঠল সবাই….

“এদিকে তানজুর লাফালাফি আর বাচ্চাদের প্রতি এতো ভালোবাসা দেখে মুচকি হাসে রিয়াদ’!!হাতে থাকা ক্যামেরাটার দিকে তাকিয়ে ফটাফট কিছু পিক তুলে ফেলে সে’!!যেন তানজুর এই হাসি মাখা মুখ খানা ক্যামেরায় বন্দী করতে মিস করতে চাইছে না রিয়াদ…..
“তানজুর পাগলামি, বাচ্চাদের সাথে দৌড়া-দৌড়ি,লাফালাফি, সাথে ওর লুকিং ফেস সব মুঠো বন্দী করছে রিয়াদ,তার অসম্ভব ভালো লাগছে বিষয়টা,সাথে এই অসম্ভব সুন্দর ফুলে ঘেরা পরিবেশটাকেও,আনমনেই মুচকি হাসলো রিয়াদ’….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১২