এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১০ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১০
লেখনীতে: তানজিল মীম

“টান টান উওেজনা নিয়ে বল করছি আমি’!তুমুল বেগে দৌড়ে বল ছুঁড়ে মারলাম শিফার দিকে,প্রথম বলে কিছু করতে পারলো না শিফা,জাস্ট হিট করেছে বলটাকে ব্যাট দিয়ে’!!দ্বিতীয় বল করতেই শিফা বলটাকে হিট করে মারলো অনেক দূরে,যেটা সবাইকে টপকে চলে গেল চারের ঘরে,এভাবে চার-ছয়, রান নিতে নিতে শিফাদের স্কোর গিয়ে থামলো ৫০ সে,৮ ওভারে ৫০ ভালোই রান করেছে শিফা,এখন আমাদের পালা প্রথম ওভারে নামলাম আমি আর অভ্র’!!খেলা শুরু হয়ে গেল ছয় চার আর রানে আমাদের স্কোর গিয়ে থামলো ৪৯ সে,শেষে ২ বলে ২ রান লাগবে জিতলে হলে,সবাই আউট হয়ে গেছে প্রায় এখন শুধু আমি আর ইব্রাহিম আছি,লাস্ট দু বলে দু রান লাগবে উওেজনার মধ্যে আছি খুব, কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ছে,এমন সময় ফট করেই শিফা একটা বল করে বসলো, বিষয়টার জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না যার ফলে বল গিয়ে লাগলো স্টাম্পে,সাথে সাথে সবাই চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ

—-“আউট,তানজু আপু আউট…
“সবার চেঁচানো শুনে আমি বললামঃ
—-“কিসের আউট,কোনো আউট হয় নি…
—-“এটা কিন্তু চিটিং তানজু তুই আউট হইছোস…(শিফা)
—-“আমি আউট হয় নি আমি প্রস্তুত ছিলাম না তার আগেই তুই বল করছোস…
—-“এটা কিন্তু ঠিক নয় তানজু…(শিফা)
—-“কি ঠিক নয়..
“এই নিয়ে আমার আর শিফার ভিতর লেগে গেল ঝগড়া’!!এক পর্যায়ে তো আমি ব্যাট নিয়ে দৌড়…আর বাকিরা আমার পিছন পিছন,কথা হলো আমি আউট হয় নি…,যেহেতু আউট হয় নি সেহেতু ব্যাট ও দিবো না হুম…

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“অন্যদিকে আরেকজন ছাঁদের উপর বসে এদের কান্ড-কারখানা দেখে হাসতে হাসতে শেষ’!!পুরো খেলাটাই খুব মনোযোগ সহকারে দেখেছে রিয়াদ,একদম স্টেডিয়ামে বসে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ গুলোর মতো,,রিয়াদ তো বেশ মজা পেয়েছে খেলাটায়,সবচেয়ে বেশি যেটা লেগেছে সেটা তানজুর দুষ্টুমি,রিয়াদ বুঝে উঠতে পারে না এই মেয়েটা এত দুষ্টুমি করে কিভাবে…
“হর্ঠাৎই রিয়াদের ভাবনার মাঝে বলে উঠল কেউ’!!
—-“ভাইয়া তুমি একা একা হাসছো কেন?
“কোনো মেইলি কন্ঠ শুনে রিয়াদ পাশ ফিরে তাকালো’!!সামনেই রুহিকে দেখে অবাক হয়ে বললো সেঃ
—-“তুই কখন এলি…
—-“অনেক্ক্ষণ…
—-“কিছু দরকার ছিল নাকি…
—-“না একা একা রুমে ভালো লাগছিল না তাই ছাঁদে আসছিলাম,এসে দেখলাম তুমি একা একা হাসছো তাই আর কি…
—-“ওহ,আমি তো ওই তানজুদের কান্ড দেখে হাসছি (চোখের ইশারায় দেখিয়ে),তুই খেলছিস না ওদের সাথে…
“রিয়াদের কথা শুনে রুহি তাকালো সামনে পুরো মাঠ জুড়ে তানজু দৌড়াচ্ছে আর ওর পিছনে বাচ্চাগুলো সাথে শিফাও দৌড়াচ্ছে’!!যা দেখে রুহি বলে উঠলঃ

—-“নিশ্চয়ই তানজু ওদের ব্যাট নিয়ে পালাচ্ছে…
—-“হুম সেটাই তানজু আউট হইছে কিন্তু তানজু সেটা মানতে নারাজ’,অবশ্য যখন শিফা বলটা করছিল তখন তানজু তৈরি ছিল না সেই হিসেবে ও আউট হয় নি…..
—-“ওহ এইবার বুঝলাম, তা তুমি কি এখানে বসে ওদের খেলা দেখছিলে নাকি…
—-“ওই আর কি…
“বিনিময়ে রুহিও আর কিছু বললো না চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো সে’!!আর রিয়াদের দৃষ্টি নিচের দিকে কারন মাঠটা ফাঁকা হয়ে গেছে ওদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না আনমনেই বলে উঠল রিয়াদঃ
—-“কি হলো গেল কই গেলো সব….

—-“তানজু এটা কিন্তু ঠিক নয় তুই দরজা বন্ধ করে ব্যাট নিয়ে বসে থাকলে চলবে নাকি,দরজা খোল বলছি….
“বাড়ির সামনের জানালায় দাঁড়িয়ে কথাটা বললো শিফা’!!কারন তানজু দৌড়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে ব্যাট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে’!!শিফার কথা শুনে আমিও ঘরের ভিতর থেকে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললামঃ
—-“আমি আউট হয় নি শিফা,আর তোরা যতক্ষণ না এটা মানছিস আমি দরজা খুলবো না….
“শেষমেশ শিফাও আর কথা না বারিয়ে রাজি হয়ে গেল’!!মুচকি হেঁসে বললো সেঃ
—-“ঠিক আছে যা তুই আউটও হোস নি আর আমার বলও হয় নি….
—-“ঠিক আছে…
—-“এখন তাহলে বেরিয়ে আয়….
—-“হুম আসছি…..
“বলেই বেরিয়ে পরলাম আমি’!!তারপর আবারো খেলা শুরু….
“আর ছাঁদে এতক্ষণ অপেক্ষার পর তানজুদের বের হতে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো রিয়াদ’!!কারন লাস্ট দু-বলের খেলা সেও দেখতে চায়’!!আবারো মনোযোগ দিল রিয়াদ তানজুদের খেলার দিকে আর এবার রিয়াদের সাথে রুহিও….

“আবারো টান টান উওেজনা নিয়ে বল করতে চলে এলো শিফা’!!আর আমিও পুরো জোশে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে আছি’!!কিন্তু প্রথম জোশ প্রথম বলেই ফুরুত কারন প্রথম বলে কিছু করতে পারলাম না আমি’!!এখন লাস্ট এক বলে দু’রান লাগবে’!!সবাই অতি আগ্রহে বসে আছে লাস্ট বলে কি হবে তা জানার জন্য, উপরে রিয়াদও অতি আগ্রহের সাথে বসে আছে,এরই ভিতর ইব্রাহিম বলে উঠল আমায়ঃ
—-“তানজু আপু আমরা জিতবো তো….
—-“ইনশাআল্লাহ ইব্রাহিম…
“এতটুকু বলে এক পলক আকাশের দিকে তাকিয়ে পুরো জোশে ব্যাট হাতে দাঁড়ালাম আমি আর শিফা হাতের ইশারায় বললাম বল করতে,ওহ দৌড়ে তেরে আসতে লাগলো আমার দিকে’!!টান টান উওেজনা চলছে সবার মনে লাস্ট বলে কি হতে পারে এটা ভেবে….
“শিফা দৌড়ে এসে বল করলো আমার দিকে আমিও বলটাকে ঠিক ভাবে দেখে গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে ব্যাট দিয়ে করলাম এক হিট,হিটের বারি খেয়ে বল আকাশে উড়তে লাগলো,এখন সবার দৃষ্টি বলের দিকে,হা হয়ে তাকিয়ে আছে সবাই বলটার দিকে,বল যাচ্ছে সোজা ছাঁদের উপর, এমন সময় ছাঁদের দরজার সামনে কোক খেতে খেতে জাস্ট ঢুকছিল আহান’!!মুখ দিয়ে শুরু এতটুকু বের হলো তার..

—”রি…
“আর কিছু বলার আগেই বল এসে সোজা আহানের হাতে থাকা কোকের বোতলের সাথে বারি খেলো’!!হুট করে এমন কিছু হওয়ার জন্য মটেও প্রস্তুত ছিল না আহান,বলের বারি খেয়ে তার কোকের বোতল ছিটকে পরলো নিচে….
“আর এদিকে তানজু বল ছাঁদে ফেলেছে এর মানে ছিক্স,সাথে সাথে সবাই একসাথে চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ
—-“হুড়রে তানজু আপু জিতে গেছে…
“তারপর আর কি জিতে গেছি ভাবতেই খুশিতে আমার নাচ দেখে কে,ভরা মাঠের মাঝখানে দাড়িয়ে উড়াধুরা নাচানাচি শুরু….
—-“ওরে শিফা রে জিতা গেছি আমরা এখন এক টাকা দামের লজেন্স খাওয়া কনফার্ম….
“বলেই আনন্দে মেতে উঠলাম আমরা সবাই….
“অন্যদিকে ছাঁদে শকট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আহান,কি থেকে কি হলো সব যেন তার মাথার উপর দিয়ে গেছে,আহানের অবস্থা দেখে রিয়াদ পা টিপে গিয়ে দাঁড়ালো আহানের পাশে তারপর কানে কানে বললো ওরঃ
—-“আহান ভয় পাইছিস….
“সাথে সাথে আহান রিয়াদের দিকে তাকিয়ে জোরে এক চিৎকার’!আহানের চিৎকার শুনে কানে আঙুল গুজালো রিয়াদ….

“হতভম্ব হয়ে আমরা সবাই দৌড়ে যাচ্ছি ছাঁদে কারন নিচ থেকে আচমকা কারো চেঁচানোর শব্দ শুনেছি,
—-“কোনোভাবে আমার মারা বলটা কারো কপালে টপালে লাগলো নাকি,হায় রে নানাভাই তো তাইলে খাইছে আমায়,
“দ্রুতগতিতে ছাঁদে ঢুকেই বললাম আমিঃ
—-“কি হয়েছে কি হয়েছে…
“সামনে রিয়াদ ভাইয়াকে দেখে শুকনো ঢোক গিললাম আমি’!!এই রে খাইছে কোনোভাবে ওনার গায়ে বল পড়ছে নাকি…আমি কোনোকিছু না ভেবেই দৌড়ে ওনার সামনে গিয়ে কানে হাত দিয়ে ঘাবড়ে গিয়ে বললামঃ

—-“সরি ভাইয়া বিশ্বাস করুন আমি বুঝতে পারি নি বলটা আপনার গায়ে পরবে,প্লিজ ভাইয়া নানাভাইকে কিছু বলবেন না,নানাভাই জানলে আমায় আর ক্রিকেট খেলতে দিবে না প্লিজ প্লিজ ভাইয়া বলবেন না সরি ভাইয়া….
“এদিকে তানজুর কাজে রিয়াদ বেশ মজা পাচ্ছে সাথে অবাকও হচ্ছে’!!রিয়াদ কিছু বলার আগেই রুহি বলে উঠলঃ
—-“তানজু তোর কোথাও একটা ভুল হচ্ছে বল রিয়াদ ভাইয়ার নয় আহান ভাইয়ার গায়ে লাগছে…
“সাথে সাথে আমি চেঁচিয়ে বললামঃ
—-“কি,আপনার গায়ে বল পড়ে নি(রিয়াদ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে)
“আর আমার কথা শুনে রিয়াদ ভাইয়া শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে মাথা নাড়ালো’!!আমি ভূ-কুঁচকে ওনার দিকে তাকিয়ে বললামঃ

—-“তাহলে এতক্ষণ বলছিলেন না কেন?,তুমি তো ভাড়ি শয়তান ভাইয়া….?
“এতটুকু বলেই আমি খুঁজতে লাগলাম আহান ভাইয়াকে’!!ছাঁদের এক কোনায় চুপ করে বসে আছে উনি আমি ওনার সামনে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে বললামঃ
—-“সরি ভাইয়া বিশ্বাস করুন আমি বুঝতে পারি নি বলটা আপনার গায়ে পরবে,প্লিজ ভাইয়া নানাভাইকে কিছু বলবেন না,নানাভাই জানলে আমায় আর ক্রিকেট খেলতে দিবে না, প্রচুর বকবে প্লিজ প্লিজ ভাইয়া বলবেন না সরি ভাইয়া….
“এতক্ষণ বক বক করে এতকিছু বললাম কিন্তু আহান ভাইয়ার কোনো রিয়েকশন দেখতে পেলাম না, উনি তো চোখ বড় বড় করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,এমন মনে হচ্ছে উনি আমার কথাগুলো শুনতেই পায় নি,আমি আহান ভাইয়ার চোখের সামনে পাঁচ আঙুল নাড়াতে নাড়াতে বললামঃ

—-“ভাইয়া,আহান ভাইয়া, ভাইয়া আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন….
“কিন্তু তারপরও কোনো হেলদোল নেই ওনার’!!আহান ভাইয়ার অবস্থা দেখে আমি তাকালাম রিয়াদ আর রুহির দিকে’!!যার অর্থ “কি হয়েছে ওনার”….
“রুহি আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ
—-“তুই যেটা জানতে চাচ্ছিস তার জন্য যে তোকে ফ্লাসবেক এ যেতে হবে…
—–“মানে….
“এতটুকু বলতেই রুহি কিছুক্ষন আগে হয়ে যাওয়া ঘটনার কথা বললো আমায়’!!আমি শিফা তো সব শুনে অবাক’!!
—-“বলটা ওনার গায়ে লাগে নি তাতেই এই অবস্থা যদি লাগতো তাহলে কি হতো তানজু…. (শিফা)
—-“আমি কি জানি….?
“বেশকিছুক্ষন পর….

“আহান ভাইয়ার এখনও কোনো হেলদোল না দেখে আমি ওনার কানের কাছে গিয়ে এক চিৎকার দিয়ে বলে উঠলামঃ
—–“ভাইয়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়া……
“সাথে সাথে আহান ভাইয়া চেঁচিয়ে বলে উঠলেনঃ
—-“কি হইছে কি হইছে…
—-“কিছু হয় নি ভাইয়া সন্ধ্যা হয়ে গেছে ঘরে যাবেন না….
—-“ওহ এই ব্যাপার হুম যাবো তো চলো…
—-“ওকে ভাইয়া চলুন তবে….
“এতটুকু বলেই আমরা সবাই একে একে ছাঁদ থেকে নিচে নামতে লাগলাম’!!আহান ভাইয়া দু’কদম আগে যেতেই পিছন ঘুরে বলে উঠলঃ
—-“আচ্ছা এখানে কি কিছু হয়েছিল…
“সাথে সাথে আমরা সবাই উচ্চ স্বরে হেঁসে দিলাম’!!সবার হাসি দেখে আহান অবাক হয়ে বললোঃ
—-“কি ব্যাপার তোমরা হাসছো কেন?
“আহানের কথা শুনে রিয়াদ ভাইয়া বলে উঠলঃ
—-“কিছু না মামা জাস্ট বোম পাঠছিল….
“রিয়াদের কথার আগামাথা কিছু বুঝতে না পেরে আহান তার মাথা চুলকাতে চুলকাতে নিচে নেমে গেল’!!আর আমরা সবাই আবারো একে অপরের দিকে তাকিয়ে উচ্চ স্বরে হেঁসে দিলাম…..

“সারাদিন লাফালাফি করে ক্লান্ত হয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরলাম আমি….
“বিছানায় শুয়ে আছে রিয়াদ,আর ওর পাশে আহান বেঘোরে ঘুমাচ্ছে,ঘড়ির কাটায় প্রায় ১ টার কাঁটায় ছুঁই ছুঁই, ঘুম আসছে না রিয়াদের বিকেলের সব ঘটনা মনে করে এখনই হাসছে সে!’আনমনেই বলে উঠল রিয়াদঃ
—-“তুই আসলেই একটা পাগল তানজু….
“মুচকি হাঁসে রিয়াদ’!!এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে তার ভিতর….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৯

সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!!ঘড়ির দিকে তাকাতেই ১০টা বেজে গেছে,বিছানা ছেড়ে উঠতেই একটা প্যাকেট পেলাম আমি,প্যাকেটটার ভিতর ছিল অনেকগুলো চকলেট আর একটা চিরকুট’!!চিরকুটটা খুলতেই দেখলাম লেখাঃ
—-“আর ঘুমাস না, এক টাকার লজেন্স চেয়েছিলি কিন্তু তার বদলে ১০ টাকার ডেইলি মিল্ক দিলাম,তুই আর তোর পিচ্চি খেলোয়াড়ারদের নিয়ে খাস,আর শোন আমরা চলে যাচ্ছি জানি না বলে আসার জন্য হয়তো রাগ করেছিস,কিন্তু বলে গেলে তুই মন খারাপ করতিস তাই বলে আসি নি, মন খারাপ করিস না তাড়াতাড়ি ঢাকা চলে আয়,আমরা চলে গেলাম বেস্টু….

“তোর “প্রিয় শিফা”….
“চিরকুট পড়ে ভালো লাগলো সাথে খারাপও লাগলো,ওরা চলে গেছে….
“চিরকুটটা সুন্দর করে ব্যাগে ভরে নিলাম আমি’!!আনমনেই মুচকি হেঁসে বললামঃ
—-“খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে বেস্টুরা,,কিন্তু তোদের ছাড়া আমার এখন ভালো লাগবে কেমনে….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১১