এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৯ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৯
লেখনীতে: তানজিল মীম

—-“এ তুই সবসময় আমার উপর এসেই কেন পরিস বল তো…
“প্রচন্ড ক্ষিপ্ত মেজাজে কথাটা বলে উঠল রিয়াদ ভাইয়া আমাকে’!!আর রিয়াদ ভাইয়ার রাগ দেখে ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার”!!হায় রে শুধু পড়ে গেছি বলেই এত রাগ দেখাচ্ছে যদি দেখে গালে আটা লেগে গেছে তাহলে কি হবে,ভেবেই শুকনো ঢোক গিললাম আমি’তারপর…
“কিছুটা মিনমিন কন্ঠে বলে উঠলামঃ
—-“তুমি সবসময় সামনে কেন আসো আমার,,
—-“ইডিয়েট একটা সবসময় শুধু ব্যাংঙের মতো লাফায়…
—-“ভালো হইছে আমি ব্যাংঙ,আমি ব্যাংঙ হলে তুমিও খরগোশ হুহ…
—-“এখন বেশি বক বক না করে ওঠ আমার ওপর থেকে….
—-“ও হ্যাঁ,
“বলেই তাড়াতাড়ি উঠে পরলাম আমি’!!সাথে সাথে ভাইয়াও উঠে পরলো’!!তারপর জামা-কাপড় ঝাড়তে ঝাড়তে বললো সেঃ

—-“তোকে যা ইচ্ছে করছে না আমার প্রিয় শার্টটা পুরো নষ্ট করে দিলি…
“এদিকে রিয়াদ ভাইয়ার ফেস দেখে সবাই হেঁসে দিল’!!আমার তো ভয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ইচ্ছে করছে দৌড়ে পালিয়ে যাই,একটু সুযোগ পেলেই আমি দৌড়ে পালাবো….
“আচমকা সবার হাসি দেখে রিয়াদ চোখ তুলে তাকালো তাদের দিকে,সবার অবস্থা দেখে রিয়াদ ওদের সামনে গিয়ে বললোঃ

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—-“হায় রে কি অবস্থা করেছিস নিজেদের, ২ মিনিটের জন্য রান্নার আসর ত্যাগ করেছিলাম আমি,এর ভিতর কি যুদ্ধ করতে ছিলি নাকি তোরা,আটা দিয়ে কি অবস্থা করেছিস নিজেদের, পুরোই ভূতের মতো লাগছে তোদের…
“রিয়াদের কথা শুনে আহান বলে উঠলঃ
—-“আমাদের কথা ছাড় আগে নিজের অবস্থা দেখ…
“আহানের কথা শুনে অবাক হয় রিয়াদ,ভ্রু-কুচকে বলে সেঃ
—-“মানে…
—-“মানে ভূত শুধু আমরা একা নই তুই ও হয়েছিস,আর আমাদের সকলকে ভূত বানিয়েছে ওই তানজু ওকে কি এত সহজে ছেড়ে দিবো নাকি….
“বলেই সবাই দিল দৌড়!’আর রিয়াদ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো যেন আহান কি বললো সব তার মাথার উপর দিয়ে গেল’!!হর্ঠাৎই রিয়াদ তার হাত দিয়ে নিজের গাল স্পর্শ করল,পরক্ষণেই বুঝে গেল সে, আহান ওরা তাকে দেখে হাসছিল কেন?রিয়াদ রেগে বলে উঠলঃ
—-“তোকে তো আজ আমি ছাড়ছি না তানজু….
“বলে সেও দিল দৌড়’!!

“এদিকে আমার দিকে সবাইকে একসাথে দৌড়াতে দেখে প্রান যায় যায় অবস্থা!’দুই তিন ছয় নয় কিছু না ভেবেই আমি দৌড়,আমাকে এরা ধরতে পারলে আজকে আর ছাড়বে না,পুরো পেত্নী সাজিয়ে দিবে…..
“পাক্কা আধ ঘন্টা দৌড়ে রুমে ঢুকলাম আমি,জোরে জোরে শ্বাস ফেলে দরজা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছি!’ভাগ্য ভালো কেউ ধরতে পারে নি ধরতে পারলে আর ছাড়তো না…এমন সময় তুমুল বেগে দরজা ধাক্কাতে লাগলো রুহি,শিফা,তরী,আহান,দিহান আর রিয়াদ!’অবশ্য রিয়াদ জাস্ট দাঁড়িয়ে ছিল,বাকিরা চেঁচাচ্ছে’!!
—-“ওই তানজুর বাচ্চা দরজা খোল বলছি একবার রুম থেকে বের হ তোকে যদি পেত্নী না সাজিয়েছি তাহলে আমার নাম ও শিফা না….
“সবগুলোয় খেপছে তা আমি ভালোই বুঝতে পেরেছি,আমিও একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললামঃ

—-“আগে ধরবি তারপর তো পেত্নী বানাবি…
—-“তুই দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকবো কিন্তু… (রুহি)
—-“ভাং না দরজা আমি বারন করেছি নাকি তোরা নানাভাইর দরজা ভাঙবি আর নানাভাই তোদের ভাঙবে…
“বিনিময়ে কেউ কিছু বললো না’!!
“হুট করেই সবার কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল,যাতে আমি কিছুটা অপ্রস্তুতভাবে বললামঃ
—-“কি হলো সবার কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল কেন?
“সবাই চুপ!’

“সবার চুপ হয়ে যাওয়াতে আমি ভেবেই নিয়েছিলাম ওরা চলে গেছে,আর এটা ভাবাই ছিল আমার মস্ত বড় ভুল,দরজা খুলতেই সব কয়টা মিলে আমার মাথায় এক প্যাকেট আটা ঢেলে দিল’!!সবার কাজে আমি জাস্ট হা হয়ে দাড়িয়ে রইলাম,পুরো বোকা বনে গেলাম, এর মানে এতক্ষণ সবগুলো ইচ্ছে করে কথা বলছিল না…
“এদিকে আমার অবস্থা দেখে সবাই হাসতে হাসতে বলে উঠলঃ

—-“কেমন দিলাম…
—-“খুব বাজে…
—-“থ্যাংক্স রিয়াদ ভাইয়া,তোমার চুপ থাকার আইডিটার জন্যই তানজুকে শায়েস্তা করতে পেরেছি আমরা….(শিফা)
—-“এর মানে এই সবকিছুর পিছনে রিয়াদ ভাইয়ার হাত আছে,হুহ শয়তান,বান্দর, করলা (মনে মনে)
“রাগে গা পিওি জ্বলে যাচ্ছে, যেদিন থেকে এই রিয়াদের বাচ্চা এসেছে সেদিন থেকে আমিও বার বার ফেসে যাচ্ছি, না হলে এই তানজুকে ধরা এত সহজ নাকি…

“দুপুর দুটো বেজে ত্রিশ মিনিট……
“রোদের মিষ্টি তাপে একটা মস্ত বড় গাছের নিচে বড় মাদুর পেতে গোল হয়ে বসে আছে সবাই’!!আর আমি, শিফা, রুহি,রিয়াদ, আহান আর দিহান ভাইয়া মিলে খাবার সার্ফ করছি,একে একে সবাইকে খাবার পরিবেশন করে আমরাও বসে পরলাম সবার সাথে,একে একে সবাই খাবার মুখে দিতে লাগলো আর আমাদের টেনশন বাড়তে লাগলো না জানি কেমন হয়েছে খাবার,আজকে পিকনিকের মূল খাবার হিসেবে ছিলো বিরিয়ানি’,সাথে মুরগীর রোস্ট,যার দুটো রান্নাই রিয়াদ, দিহান আর রুহি মিলে করেছে!’সবাই খাবার খেয়ে চুপ করে রইলো যার জন্য আমি কিছুটা মিনমিন কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম নানাভাইকেঃ

—-“নানাভাই খাবার ভালো হয় নি….
“আমার কথা শুনে রুহি,শিফা,দিহান,আহান,রিয়াদ পাঁচজনেই তাকালো নানাভাইর দিকে’!!নানাভাই কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলঃ
—-“খাবার খুব ভালো হয়েছে…
“সাথে সাথে সবার মুখে ফুটে উঠলো প্রশান্তির হাসি’!!তারপর আর কি জমজমাট পরিবেশ নিয়ে আমরাও মেতে উঠলাম পিকনিকের আসল মজার’!!
“পাক্কা ১ ঘন্টা বসে সবার সাথে হাসাহাসি আর গল্প করে দুপুরের খাবার শেষ করলাম আমরা’!!সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভালোই কাটলো আমাদের’!!নীল আকাশ,পাখির কিচিরমিচির শব্দ,সাথে মন মাতাল করা বাতাস!’পরিবেশটা সত্যি অসাম….

“সময়টা পরন্ত বিকেল!’ঘড়ির কাটায় চাঁরটা বেজে পনেরো মিনিট ছুঁই ছুঁই,,ড্রয়িং রুমের জানালা ভেদ করে আসছে বাতাস আর বাতাসের কারনে জানালার সাদা পর্দাটা উড়ছে ভিষন,,আর এরই মাঝখানে সোফায় বসে আছে শিফা আর আমি ওর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছি,সারাদিন কাজকর্ম করে সবাই ক্লান্ত খুব তাই যে যার রুমে ঘুমিয়ে আছে,তরীও মামা-মামীদের সাথে রুমে আছে আর আমরা সোফায়…
“রুহিও এতক্ষণ আমাদের সাথেই ছিল কিন্তু হুট করে কোথায় যেন চলে গেল কে জানে’!!হর্ঠাৎই শিফা বলে উঠলঃ

—-“রুহি কোথায় গেল বলতো…
—-“আমি কি জানি তুই যেখানে আমিও সেখানে…
—-“ইদানীং ও একটু কেমন কেমন ব্যবহার করছে তাই না….
—-“কই আমার তো মনে হচ্ছে না…
—-“কি জানি আমার তো মনে হচ্ছে…
—-“ওসব বাদ দে আমার নবিতা আসছে…
“আমার কথা শুনে শিফা অবাক হয়ে বললোঃ
—-“কি…
—-“আরে টিভিতে আমার নবিতাকে দেখাচ্ছে…
—-“ওহ তুই ডোরেমন এর কথা বলছিস…
—-“হুম, তুই কি ভাবলি….
—-“না কিছু না…
—-“ওকে….

“এতটুকু বলে মনোযোগ দিলাম আমি টিভির পর্দায়,কারন টিভিতে আমার প্রিয় কার্টুন ডোরেমন দেখাচ্ছে,সেই ছোট বেলা থেকেই ডোরেমন কার্টুন টা আমার ভালো লাগে,আর এই লাগা হয়তো কখনোই যাবে না’!!কিছুক্ষণ নীরবতায় কাটানোর পর শিফা আমার মাথার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বলে উঠলঃ
—-“তোকে একটা কথা বলি…
—-“হুম বল না আমি বারন করেছি নাকি…
—-“না মানে তুই আবার উল্টো পাল্টা কিছু ভাব্বি না তো…
—-“আরে আগে তুই বল না তারপর দেখছি…
—-“কাউকে বলবি না তো…
—-“আমি কাউকে কোনোদিন কিছু বলেছি নাকি…
—-“হুম তা অবশ্য ঠিক তুই তো আমার বেষ্টফ্রেন্ড…
—-“তাহলে আবার কি বলে ফেল…
“শিফা আরো কিছুক্ষন চুপ থেকে বললোঃ
—-“আচ্ছা তোকে আহান ভাইয়াকে কেমন লাগে…

“শিফার মুখে এমন কথা শুনে আমিও তেমন কিছু না ভেবে স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠলামঃ
—-“কেমন লাগে আবার ভালোই লাগে,ভাইয়া কতো মিশুক বলতো,কিন্তু তুই হর্ঠাৎ এ কথা বললি…
—-“না এমনি বললাম…
—-“ওহ,তাহলে ঠিক আছে…
“এতটুকু বলে আমিও বেশি কিছু না ভেবে আবারো মনোযোগ দিলাম টিভির পর্দায়’!!এদিকে আনমনেই কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসলো শিফা,যেটা তানজু দেখতে পায় নি,সে তো তার মতো কার্টুন দেখতে ব্যস্ত…..’!!

“এমন সময় বাড়ির দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো জুথি,টুম্পা,ফুলটুসি,ইব্রাহীম, অভ্রসহ আরো কিছু ছেলেমেয়ে’!!ওদের মধ্যে অভ্র বলে উঠলঃ
—-“তানজু আপু খেলবে না…
“আচমকা অভ্রের কন্ঠ শুনে লাফ মেরে উঠলাম আমি সোফা থেকে’!!দৌড়ে ওঁদের সামনে গিয়ে বললামঃ
—-“সবকিছুর জোগাড় হয়ে গেছে…
—-“হুম তানজু আপু এখন শুধু তুমি গেলে চলবে..(ইব্রাহিম)
—-“ওহ তাহলে দেরি কিসের চল তাড়াতাড়ি,
“এই বলে ওদের সাথে দু পা এগোতেই শিফাকে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“শিফা টিভি বন্ধ করে আয়…
“শিফাও বেশি কিছু না ভেবে টিভিটা অফ করে চললো ওদের সাথে,না জানি এরা কিসের খেলার কথা বলছে….

“হাল্কা চিক চিক করা ধুলোয় ভরা ছাঁদের এক কিনারায় দেয়াল ঘেঁষে বসে আছে রিয়াদ’!!মোবাইল গুতাচ্ছে সে’!!আর আহান নিজের রুমে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে’!!হর্ঠাৎই রিয়াদের চোখ গেল নিচের দিকে’!!কতগুলো পুঁচকি পুঁচকি বাচ্চারা বাড়ির ভিতর থেকে বের হচ্ছে,এদের মধ্যে সেদিনের সেই বাচ্চাগুলোও আছে জুথি,টুম্পা,ফুলটুসি,ইব্রাহীম আর অভ্র!’রিয়াদের হয়তো বুঝতে বাকি রইলো না এরা নিশ্চয়ই তানজুর জন্য এখানে এসেছে’!!রিয়াদ ভাবতে না ভাবতেই বাড়ির ভিতর থেকে বের হলো তানজু আর শিফা’!!অবাক চোখে তাকালো রিয়াদ ওদের দিকে হয়তো বোঝার চেষ্টা করছে এখন এঁরা কি করবে,রিয়াদ তার মোবাইলটা পাশেই রেখে মনোযোগ দিল ওদের দিকে….

—-“শিফা আমার টিমে অভ্র,শাকিল,সুলেমান, ফুলটুসি,আর রোজিনা. আর তোর টিমে টুম্পা, জুথি,ইব্রাহিম, দুলাল আর তোমার নামটা জেনো কি বললে (ছেলেটার দিকে তাকিয়ে)
“তানজুর কথা শুনে ছেলেটাও হাল্কা হেঁসে বললোঃ
—-“আপু রিহাত…
—“হুম রিহাত তোর টিমে শিফা,তবে হ্যাঁ ফিল্ডিং কিন্তু আমরা সবাই দাঁড়াবো আর যে দল হারবে তাদের এক টাকা দামের লজেন্স খাওয়াতে হবে,ঠিক আছে…
“কাঁধে ক্রিকেট বেট নিয়ে কথাটা বললাম আমি’!!আর আমার কথা শুনে সবাই একসাথে বললোঃ
—-“হুম রাজি…
“আর শিফা অবাক হয়ে বললোঃ

—-“তুই এখন এই পিচ্চি পোলাপাইনদের সাথে ক্রিকেট খেলবি….
—-“আমি একা নই তুই ও খেলবি আর বলেই তো দিলাম কারা তোর টিমে আর কারা কারা আমার টিমে,এখন বেশি বক বক না করে খেলা শুরু কর,আজকে তোর লজেন্স খাওয়া ছাড়ছি না…
—-“তুই আর ঠিক হলি না, লাস্ট আগের বার কি হয়েছিল মনে আছে বাড়ির লাইট ভেঙে ফেলেছিলি তুই…
—-“আগের তা বাঘে খাইছে,এখন তুই বেশি কথা না বলে খেলা শুরু কর….
—-“এবারও যদি লাইট ভাঙে নানাভাই কিন্তু ছাড়বে না তানজু….
—-“আরে ভাঙবে না বেশি চিন্তা করিস না,জাস্ট প্যারা নাই চিল,আমি আছি না….
—-“ওটাই তো ভয় বোইন, একটু আস্তে খেলিস এই বার লাইট জানালা ভাঙলে নানাভাই আর আস্ত রাখবে না….
—-“কিছু হবে না যা তুই,তাহলে আমার পিচ্চি খেলোয়াড়রা খেলা শুরু করা যাক’!!
“সাথে সাথে সব বাচ্চাগুলো চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ
—-“হুম তানজু আপু…
“অধিক উৎসাহে আছে তাঁরা!’

“অন্যদিকে আরেকজন ছাঁদের উপর থেকে এমন দৃশ্য দেখে বুঝতে বাকি রইলো না এরা কি করতে চলেছে’!!রিয়াদ ভাবতেও পারছে না তানজু নাকি এখনও বাচ্চাদের মতো বাচ্চাদের সাথে ক্রিকেট খেলবে, তবে যাই বলো আইডিয়াটা কিন্তু দারুন বাচ্চাদের সাথে সাথে রিয়াদও আগ্রহ নিয়ে বসে রইল তানজুদের খেলা দেখার জন্য’!!অটোমেটিক এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো তার ঠোঁটে…..

“এক টাকার কয়েন দিয়ে টস করতেই জিতে গেল শিফা ওঁরা’!!আর ওরা প্রথমে ব্যাট করবে’!!আমরাও আর বেশি কিছু বললাম না কারন রুলস আর রুলস!’
“বাড়ির সামনের মস্ত বড় উঠানে খেলছি আমরা’!!গাছের ডাল দিয়ে বানানো হয়ে স্টাম্প,আর ব্যাট বল তো এনেছে অভ্র ওঁরা অবশ্য আমি ওদের বলেছিলাম ক্রিকেটের আয়োজন করতে,এটা নতুন কিছু নয় যতবারই বাড়ি আসি ক্রিকেট খেলা মাস্ট হবেই….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৮

—-“ওকে তাহলে শুরু করা যাক আমার পিচ্চি খেলোয়াড়রা…
—-“হুম তানজু আপু….
—-“সবাই ঠিক ভাবে দাঁড়িয়েছো তো….
—-“হুম তানজু আপু…
“ওই টিমে প্রথম ব্যাট করতে আসলো শিফা’!!আর আমি বল’!!আমি বল নিয়ে শিফার দিকে তাকিয়ে বললামঃ
—-“শিফা তৈরি তো আজকে তোর কাছ থেকে লজেন্স খাওয়া ছাড়ছি না….
—-“হুম আগে জিতে তো দেখা তারপর,একবারও তো লাস্ট পর্যন্ত খেলতে পারি না তার আগেই একটা না একটা কিছু হয়েই যায়…

—-“কিছু হবে না বেবি,আমি তো আছি…,ওকে জানেমন আমি বল করছি…
“বলেই বল করতে শুরু করলাম আমি’!!আর সবার দৃষ্টি এখন আমার দিকে….
“অন্যদিকে রিয়াদও অতি-আগ্রহে তাকিয়ে আছে তানজুদের দিকে,অপেক্ষা কি হবে এখন….
?…..বাকিডা কালকে কমু…?

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১০