এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১৩ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১৩
লেখনীতে: তানজিল মীম

—“হায় রে কি অবস্থা করেছিস তোরা নিজেদের…
“প্রচন্ড হতাশা নিয়ে কথাটা বলে উঠল আম্মু আমাদের’!!কিছুক্ষণ আগেই আমি আর রিয়াদ ভাইয়া এসে দাঁড়ালাম বাড়ির সামনে’!!আর আমাদের পাশেই রিয়াদ ভাইয়ার ক্যামেরা হাতে দাঁড়িয়ে ছিল তরী’!!আমার আর রিয়াদ ভাইয়ার অবস্থা দেখে সবাই তো চরম অবাক’!!আমার ভাবনার মাঝে আবারো বলে উঠল আম্মুঃ

—-“কি হলো কথা বলছিস না কেন?
“আম্মুর কথা শুনে আমি এক শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে বললামঃ
—-“বেশি কিছু না আম্মু ওই বৃষ্টি হয়েছিল না তাই একটু ভিজছিলাম….
—-“এখানে একটু….
—-“হি হি হি…
“আমার কান্ড দেখে আম্মু রিয়াদ ভাইয়ার দিকে এগিয়ে এসে বললোঃ
—-“ওহ নয় পাগল কিন্তু তুইও রিয়াদ…
“আম্মুর কথা শুনে রিয়াদ ভাইয়া আম্মুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললঃ
—-“খালামনি এত রাগ করো কেন একটুই তো ভিজেছি,কতবছর পর এইভাবে বৃষ্টি ভিজেছি বলো তো আমার তো খুব ভালো লেগেছে….

—-“তা তো তোকে দেখেই বুঝে গেছি রিয়াদ…
—-“ঠিক আছে খালামনি আমি ফ্রেশ হয়ে আসি…
“এতটুকু বলে আর একবার তানজুর দিকে’ তাকিয়ে চলে যায় রিয়াদ’!!
।।
“এদিকে আমি পড়েছি বিপদে,রিয়াদ ভাইয়া তো চলে গেল এখন আমি কি করে যাবো,একটু মিনমিন কন্ঠে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“আম্মু তাহলে আমিও রিয়াদ ভাইয়ার মতো যাই,গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি…
—-“হুম যা তো তানজু আমি তোর মাকে দেখছি…(রিয়াদের আম্মু)
“খালামনির কথা শুনে আমি খুশি হয়ে বললামঃ
—-“থ্যাংক ইউ খালামনি আমি এক্ষুনি আসছি…
“বলেই আমি দৌড়!’
—-“আস্তে যা নয়তো পড়ে যাবি (আম্মু)
—-“আরে পড়বো না আম্মু…
—-“এই মেয়েটা এত দুষ্টু কেন বুঝি না, কবে যে মানুষ হবে….
—-“ওহ যেমন তেমনি ঠিক আছে…(রিয়াদের আম্মু)
—-“আপু তুই ওকে আস্কারা দিছ না,পড়ে বিয়ে হলে কি করবে….
—-“সেটা তোকে না ভাবলেও চলবে ওকে যে বিয়ে করবে সে বুঝে নিবে….
“এতটুকু বলে মুচকি হাসলো খালামনি!’

“ওয়াশরুম থেকে গোসল সেরে জাস্ট বেরিয়ে ছিল আহান,এরই মধ্যে রিয়াদ ঢুকলো রুমে,রিয়াদের অবস্থা দেখে আহান অবাক হয়ে বললোঃ
—-“আরে দোস্ত কি অবস্থা করেছিস নিজের….
—-“কিছুই না,
“বলেই হাসতে হাসতে ঢুকে পড়ে রিয়াদ ওয়াশরুমে’!!রিয়াদের কাজে আহান অবাক হয়ে বললোঃ
—-“ব্যাপারটা কি হলো….

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“ওয়াশরুমের শাওয়ার অন করে তার নিচে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ’!!পানির প্রতিটি ফোঁটা ফিল করছে সে,আজকের সারাদিন তার কিভাবে কাটলো ভাবতেই মুচকি হাসলো রিয়াদ,আজ যেন নতুনভাবে নতুন কিছু শিখলো সে,প্রকৃতির সৌন্দর্য সাথে তানজুকে নতুনভাবে জেনেছে সে’!!চোখের সামনে আজকে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা ভেসে আসছে,সুন্দর ফুলে ঘেরা সবুজ বীচের মাঝে হাঁটা,তানজুর বাচ্চাদের সাথে খেলা,মিষ্টি সেই ঠোঁটের হাসি,দোলনা করে ঘোরা সাথে বাতাসে ভেসে থাকা খোলা চুল,মায়াবী চোখ,সবকিছু একের পর এক ভেসে আসছে রিয়াদের,হুট করেই চোখ খুললো সে’!!আনমনেই বলে উঠল রিয়াদঃ
—-“এসব কি হচ্ছে আমার সাথে….
“পরক্ষণেই হয়তো এমনি এটা ভেবে মাথা থেকে সব ঝেড়ে ফেললো রিয়াদ’!!

“সন্ধ্যা_৭ঃ০০টা…..
“গ্রামের মাটির তৈরি রান্না ঘরে গোল হয়ে বসে আছি আমরা সবাই’!!কারন এখন খালামনি,আম্মু, নানু আর মামিরা মিলে পিঠা তৈরি করছে,গ্রামের বাড়ি আসলেই প্রত্যেক বার নানুরা পিঠা তৈরি করে এবারও মিস হয়নি,শিউলি আপুরা যেহেতু আছে তাই আরো ঘটা করে আয়োজন করা হচ্ছে এসব…
“এই মুহূর্তে আমি শিফা আর রুহিকে খুব মিস করছি,ওরা নেই দেখে কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে সবকিছু,অবশ্য নানু বলেছে কালকে যখন আমরা যাবো তখন ওদের জন্য পিঠা নিয়ে যাবো!’বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করা হচ্ছে, চিতই পিঠে তার সাথে ঝাল ঝাল গরুর মাংস,পুলি পিঠে তার সাথে পায়েস সব মিলিয়ে যব্বর আয়োজন আমার তো এখনই জিভে পানি চলে আসছে…..
“প্রায় দু’ঘন্টা পর…..
“সব পিঠে তৈরি করে অবশেষে ডিনার টেবিলে সাজানো হলো’!!তারপর আর কি সবাই মিলে একসাথে গল্প করতে করতে খেতে শুরু করলাম’!!আহান ভাইয়া তো এসব খাবার পেয়ে খুব খুশি প্রথম বার সে বাঙালি খাবার খাচ্ছে….

“জোৎসা ভরা রাত জানালা ভেদ করে আসছে বাতাস’!!বাতাসে রিয়াদের রুমের জানালার গোলাপি পর্দাগুলো উড়ছে খুব’, বিছানায় শুয়ে আছে রিয়াদ আর তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে, ঘুম আসছে না তার’!!কেন আসছে না তাও সে বুঝতে পারছে না…একরাশ বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলো সে’!!এক অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে তার,বুকের ভিতর কেমন কেমন করছে এমন কেন হচ্ছে বুঝতে পারছে না রিয়াদ…

“কিছুক্ষন বসে থেকে আবারো বিছানায় শুয়ে পরল রিয়াদ’!!এই মুহুর্তে নিজেকে পাগল পাগল লাগছে রিয়াদের,আবারো আজকের ঘটে যাওয়া মুহূর্তগুলো ভাবলো রিয়াদ,সেই সবুজ ঘাসের উপর খোলা আকাশের নিচে ভরা মাঠের মাঝখানে বৃষ্টির ভিতর শুয়ে থাকার মুহূর্ত,সাথে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ,পাখির কলরব,শাপলার মেলার মাঝে পানির ভিতর বসে থাকার মুহূর্তে সবকিছু যেন এখনও চোখের সামনে ভাসছে রিয়াদের,এখনও সে ফিল করছে তার ঘটে যাওয়া সবকিছু,সাথে তাকে ধাক্কা মেরে তানজুর বলা সেই কথাঃ

—-“কিছুই না প্রকৃতিকে কাছ থেকে ফিল কর ভাইয়া এই সুযোগ কিন্তু বার বার আসবে না…
“আনমনে মুচকি হেঁসে বলে উঠল রিয়াদঃ
—-“সত্যি কি আর কোনোদিন এমন মুহূর্ত আসবে….
“এমন সময় আহান ঘুমের ঘোরে বলে উঠলঃ
—-“তুই এখনো ঘুমাস নি রিয়াদ,একা একা বিড়বিড় করছিস কেন?’….
—-“কই না তো তুই এখনো ঘুমাস নি কেন ঘুমা…(ধমক দিয়ে)
“রিয়াদের ধমক শুনে আহান ঘুম ঘুম কন্ঠেই বলে উঠলঃ
—-“মামা এখনও কি খাই সুজি একটু হলেও বুঝি…
—-“কচু বুঝছোস তুই ঘুমা…
—-“কচু না কমলা তা তো তুই জানিস….
—-“বাজে কথা বলা বন্ধ করবি ঘুমা তাড়াতাড়ি…
“বিনিময়ে আর কোনো উওর দিলো না আহান’!!রিয়াদও আর কিছু বললো না চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলো সে…..

“পরেরদিন সকালেই আম্মু খালামনিরা গোছানো শুরু করে দিল’!!শিউলি আপুরাও আজকে চলে যাবে হয়তো আর কিছুক্ষনের মধ্যেই,পুরো বাড়ি আজকে ফাঁকা হয়ে যাবে মামি আর নানু তো এখনি কান্না কাটি শুরু করে দিয়েছে’!!অবশ্য আম্মু আর খালামনি তাদের সান্ত্বনা দিচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি আবার আসবে তাঁরা….
“এমন সময় সিঁড়ি বেয়ে এক প্রকার দৌড়ে নিচে নামলো রিয়াদ’!!সোফায় বসে আপেল খাচ্ছিলাম আমি রিয়াদ ভাইয়াকে এমন লাফাতে দেখে বললামঃ
—-“কি হলো ভাইয়া এভাবে দৌড়াচ্ছো কেন?
“আমার কথা শুনে ভাইয়া হতভম্ব হয়ে বললোঃ
—-“আমার ক্যামেরাটা কোথায় রাখছি বল তো,দেখেছিস তুই…
—-“ওহ তোমার ক্যামেরা কালকে তরীর কাছ থেকে নিয়ে ছিলে…
“তানজুর কথা শুনে এতক্ষণ পর রিয়াদের মনে পরলো সে কালকে তরীর কাছে তার ক্যামেরাটা দিয়েছিল’!!

—-“তরী কই রে…
—-“রুমে আছে মনে হয় তুমি বসো আমি নিয়ে আসছি….
“বলেই আমি দৌড় লাগালাম তরীর রুমের দিকে’!!কিছুক্ষণ পর ভাইয়ার ক্যামেরাটা এনে দিলাম রিয়াদ ভাইয়ার হাতে’!!তারপর বললামঃ
—-“কি এমন আছে ভাইয়া ক্যামেরার ভিতর, যে এত হতভম্ব হয়ে গেছো….
—-“তেমন কিছু না…
“বলেই চলে গেল রিয়াদ ভাইয়া!’আমিও আর বেশি কিছু না ভেবে আপেল খেতে খেতে বসে পরলাম সোফায়….
“এমন সময় আম্মু এক গাধা জামাকাপড় এনে রাখলো আমার মাথার উপর’!!আর বললোঃ
—-“এগুলো সব গুছিয়ে রাখ ব্যাগে…
“আমি হা হয়ে বললামঃ
—-“এগুলো সব এখন আমায় গোছাতে হবে…?

“রাত_৮টা বেজে কুঁড়ি মিনিট,আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি রাজশাহী রেলস্টেশনে,আমাদের সাথে আছে মামা আর নানাভাই ,নানু-মামি তো আসার সময় বাড়ির থেকেই কেঁদেছে সাথে তরীও,তার জন্য একটু মন খারাপ আমারও হচ্ছে,সবাইকে মিস করবো আমার পিচ্চি বন্ধুদেরও…
“এরই মধ্যে মাইকে এনাউন্স করা হলো আর ১০ মিনিটের মধ্যেই ট্রেন ছেড়ে দেওয়া হবে’!!একে একে আমরা সবাই মামা-নানাভাইকে বিদায় জানিয়ে উঠে পরলাম ট্রেনে’!!তারপর যে যার সিটে বসে পরল,টোটাল চারটে বগি বুক করা হয়েছে, একটাতে আম্মু আব্বু,আরেকটাতে খালামনি খালু আর আরেকটাতে আমি আর দিহান ভাইয়া,আর লাস্ট আহান আর রিয়াদ ভাইয়া!’আমরা চারজন একসাথেই আছি,

“১০ মিনিটের মাঝেই ট্রেন চলতে শুরু করল,আস্তে আস্তে আমরা গ্রামের পথ পেরিয়ে যাএা শুরু করলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে…
“রাতের আকাশে থাকা চাঁদটাও আমাদের সাথে পাড়ি জমাচ্ছে নতুন গন্তব্যে,জীবন তো এমনি আজ এখানে তো কাল ওখানে,এই তো চলছে বেশ। কখনো ঘিরে ধরছে কালো মেঘে,আবার কখনো রাতের আকাশে থাকা তাঁরার মতো জ্বলে উঠছে জীবন’!!হয়তো জীবন এমনই হর্ঠাৎ হাসি তো হর্ঠাৎ কান্না….?
“আনমনেই কথাগুলো ভেবে জানালার দিক মুখ করে নিশ্চুপে বসে আছি,বাহিরের ঠান্ডা বাতাস এসে মুখে ভাড়ি দিচ্ছে খুব যেটা আমার খুব ভালো লাগছে,তাই চোখ বুঝে ফিল করছি প্রকৃতির নতুন সুগন্ধকে…..

“তানজুর সোজাসুজি বসেছে রিয়াদ,সাদা রঙের জর্জেট থ্রি-পিচ পড়েছে তানজু,চুলগুলো এলেমেলোভাবে বিনুনি করা,চোখে কাজল আর ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক এতটুকুতেই খুব মায়াবী লাগছে তাকে’!!রিয়াদ তানজুর দিকেই তাকিয়ে আছে সে বুঝতে পেরেছে তানজু আবারো হয়তো প্রকৃতির প্রেমে পরছে নতুনভাবে…
“কিছু একটা ভেবে তানজুর দিকে’ তাকিয়ে মুচকি হাসলো রিয়াদ’!

“সময়টা গভীররাত ট্রেনের সবাই গভীর ঘুমে মগ্ন তখন’!!আমিও ঘুমিয়ে ছিলাম হুট করেই ঘুমটা ভেঙে গেল’!!তাই আস্তে সিট ছেড়ে একটু হাঁটতে লাগলাম’!!ট্রেনের যাএা আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে,সবচেয়ে নাইটের ভ্রমণ,,কারন তখন রাতের প্রকৃতির সৌন্দর্যকে খুব কাছ থেকে দেখা যায়….

“আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে আমি চলে আসলাম একদম ট্রেনের দরজার কাছে’!!বাহিরে তাকাতেই সবকিছু কত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে,সবুজ মাঠের মাঝখানে দিয়েই চলছে ট্রেন,চলন্ত ট্রেনের গতিতে পুরো শরীর দুলছে আমার, সাথে ঠান্ডা বাতাস তো আছেই,অসম্ভব ভালো লাগছে এখন,এতক্ষণ যেন বসে বসে আমার কোমড় ধরে গিয়েছিল,এখন সব ঠিক আছে,এক ধ্যানে তাকিয়ে আছি আমি বাহিরে রাতটা খুবই সুন্দর,জোনাক রাতের জন্য সবকিছুই দেখা যাচ্ছে প্রায়’!!ইচ্ছে করছে এখানে বসি কিন্তু আবার ভয় হচ্ছে যদি পড়ে যাই,রুহি ওঁরা থাকলে ঠিক বসতাম এখন…
“আমার মনে আছে আসার সময় এখানে বসার জন্য আমরা কতটা অস্থির ছিলাম কিন্তু সবার চোখের আঁড়াল থেকে আসতেই পারলাম না….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১২

“এমন সময় কাঁধে হাত রাখলো কেউ!’আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম’!!
—-“হায় রে কোনোভাবে আম্মু নয় তো তাইলে তো তুই গেছো তানজু….(মনে মনে)
“আস্তে আস্তে পিছন ঘুরে তাকাতেই রিয়াদ ভাইয়াকে দেখে সস্থির নিশ্বাস ফেলে বললাম আমিঃ
—-“ওহ রিয়াদ ভাইয়া তুমি…
—-“হুম আমি,তুই কি করছিস এখানে… (চেঁচিয়ে)
“সাথে সাথে ভাইয়ার মুখ চেপে ধরলাম আমি’!!আমার কাজে চরম অবাক রিয়াদ ভাইয়া’!!অবশ্য হওয়ারই কথা’!!আমি রিয়াদ ভাইয়ার মুখ চেপে ধরে বললামঃ
—-“হায় রে কি করছো চেচাচ্ছো কেন, আস্তে বলো আম্মু শুনতে পেলে খুব বকবে আমায়….
“বিনিময়ে রিয়াদ ভাইয়া কিছু বললো না শুধু তাকিয়ে রইলো আমার দিকে’!!আমি তাড়াতাড়ি ভাইয়ার মুখ থেকে হাত সরিয়ে বললামঃ

—-“সরি,প্লিজ চেঁচিয়েও না আস্তে বল…
—-“আচ্ছা তুই এখানে কি করছিস…
—-“কিছুই করছিলাম না ওখানে বসে থাকতে ভালো লাগছিল না তাই এখানে আসলাম আর কি…
“হর্ঠাৎই কিছু একটা ভেবে আমি হেঁসে বলে উঠলামঃ
—-“ভাইয়া বসবে এখানে….
“আমার কথা শুনে রিয়াদ ভাইয়া অবাক হয়ে বললোঃ
—-“কি এখানে অসম্ভব,পড়ে গেলে….
—-“ভাইয়া পড়বো না চল না বসি…
—-“না মানে না…
—-“চল না বসি, আমার খুব ইচ্ছে এখানে বসার চল না ভাইয়া….
—-“একবার না বলেছি না….
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম আমি’…..
“২ মিনিট পর….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১৪