এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৮ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৮
লেখনীতে: তানজিল মীম

“অপ্রস্তুত হয়ে তাকিয়ে আছি আমি রিয়াদ ভাইয়ার দিকে,কি থেকে কি হলো সব যেন মাথার উপর দিয়ে গেল,হতভম্ব হয়ে গেছি আমি’…
“এদিকে…
“রিয়াদ সেও এই ঘটনার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিল না,এতদিন তানজু এসে তার গায়ে পরতো আর আজ কিনা সে নিজে পড়ে গেলো তানজুর উপর,এখন কি করবে না, কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না, স্তব্ধ হয়ে গেছে রিয়াদ,হতভম্ব হয়ে বললো সেঃ
—“সরি সরি…
“বলেই তাড়াতাড়ি তানজুর উপর থেকে উঠে গেল রিয়াদ,আরেকবার তানজুকে সরি বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল সে’!!আর তানজু শুধু হাবলার মতো তাকিয়ে রইল রিয়াদের যাওয়ার পানে….

বিকেল_৪ঃ৩০টা…..
“কলিংবেল বাজতেই রিয়াদ এসে দরজা খুললো সামনে তার মা,আফরিন,দুলাভাই সাথে আহানকে দেখে মুচকি হাসে রিয়াদ…
“কলিংবেলের শব্দ শুনতেই দৌড়ে চলে আসলাম আমি নিচে,দরজার সামনে সবাইকে দেখে দৌড়ে গিয়ে আফরিন আপুর বেবিটাকে কোলে নিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ
—“উফ,আপু এসেছো তুমি,আমি সেই কখন থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করতে ছিলাম….
“বিনিময়ে আফরিন আপু কিছু বললো না শুধু মুচকি হাসলো’!!রিয়াদ ভাইয়া আর দুলাভাই আফরিন আপুর হাত ধরে বসিয়ে দিলো সোফায়…
“তারপর সবাই এটা ওটা নিয়ে কথা বলতে শুরু করল আর আমি আফরিন আপুর বেবিটাকে কোলে নিয়ে পুরো রুম ঘুরতে লাগলাম….
“আধ ঘন্টা পর….
“হঠাৎই রিয়াদ ভাইয়া বলে উঠলঃ

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—“এখন তাহলে রুমে যাওয়া যাক আপু আমরা আইমিন আমি আর তানজু মিলে তোমাদের জন্য একটা সারপ্রাইজ প্লান করেছি চলো…..
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে আফরিন আপুর বেবিটাকে আহান ভাইয়ার কোলে দিয়ে আমিও দৌড়ে গিয়ে দাঁড়ালাম রিয়াদ ভাইয়ার পাশে,তারপর খুশি হয়ে বললামঃ
—“হুম চলো আপি তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে…
“আফরিন আপু আমার আর রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে অবাক হয়ে বললোঃ
—“কি সারপ্রাইজ?’
—“সেটা জানার জন্য তোমায় তো উপরে যেতে আপি….(তানজু)
—“তোরা কি করতে চাইছিস বল তো?’
—-“আরে আপু চল না আগে গেলে তো দেখতেই পাবি!'(রিয়াদ)

“শেষমেশ তানজু আর রিয়াদের জোরাজোরিতে রাজি হয়ে যায় আফরিন!’তারপর রিয়াদ তানজু আফরিনের হাত ধরে আস্তে আস্তে নিয়ে যেতে লাগলো উপরে,,
একে একে সবাই যাচ্ছে উপরে আহান বেবিকে কোলে নিয়ে,আর দুলাভাই খালামনি সাথে,সবাই দেখতে চায় কি সারপ্রাইজ প্লান করেছে রিয়াদ তানজু?’
“আফরিন আপুর রুমের সামনে আসতেই রিয়াদ ভাইয়া ইশারা করলো আমায় আফরিন আপুর চোখ চেপে ধরতে আমিও রিয়াদ ভাইয়ার চোখের ইশারা বুঝতে পেরে পিছন থেকে আফরিন আপুর চোখ চেপে ধরলাম,আমার কাজে আফরিন আপু অবাক হয়ে বললোঃ
—“কি করতে চাইছিস বল তো তোরা?’
—“আরে আপি চাপ নিচ্ছো কেনো একটু পরই সব জানতে পারবে?’
“এরই ভিতর রিয়াদ ভাইয়া দরজা খুলে দিল আমিও আফরিন আপুর চোখ ছেড়ে দিয়ে, গিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ালাম! তারপর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আমি আর রিয়াদ একসাথে বলে উঠলামঃ

?সারপ্রাইজ?
“এদিকে আফরিন শুরুতে সবকিছু ঝাপসা দেখলেও পরক্ষণেই সবটা পরিষ্কার করে দেখতে পেল,অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আফরিন তার রুমের দিকে,পুরো রুমের চারদিকটা ঘিরে রয়েছে সুন্দর সুন্দর বেলুন সাথে রঙবেরঙের কাগজ দিয়ে তৈরি শিল্পকলা,তার বেডটাও খুব সুন্দর করে রেড কালারের ভিতর সাদা রঙের ফোটফোট আইমিন ছোটছোট গোলাকার বৃওের সুন্দর বেডসিট কাভার দিয়ে সাজানো,বেডের পাশেই বেবিদের দোলনা সেটাকেও সুন্দর করে সাজিয়েছে রিয়াদ তানজু,অপলকভাবে তাকিয়ে সবটা দেখছে আফরিন,সত্যি বলতে তানজু রিয়াদের সারপ্রাইজ তার খুব ভালো লেগেছে,হঠাৎই চোখ যায় আফরিনের তার বেডের ওপরের দেয়ালে সুন্দর পেইন্ট করার দিকে,সাদা কালারের দেয়ালের ওপর অনেকটা জায়গা জুড়ে গোল বড় বৃও দিয়েছে মিষ্টি কালার দিয়ে,তারপর মিষ্টি কালারের উপরে নানা রঙের কালার দিয়ে গ্রামীন কিছু গাছসহ উড়ন্ত পাখিদের ছবি এঁকেছে রিয়াদ তানজু,তার সাথে নদীতে চলছে পালতোলা নৌকা,উপরে নীল আকাশ সব মিলিয়ে অসাধারণ দৃশ্য এঁকেছে ওরা, আফরিন যেন পলক ফেলতেই ভুলে গেছে,,এতটাই ভালো লেগেছে তার….

“এদিকে আফরিন আপুকে এইভাবে চুপ থাকতে দেখে আমি, রিয়াদ ভাইয়া একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম আফরিন আপুকেঃ
—“কি হলো আপি কিছু বলছো না কেন?'(তানজু)
—“তোর ভালো লাগে নি আপু?'(রিয়াদ)
“রিয়াদ-তানজুর কথা শুনে আনমনেই বলে উঠলঃ
—“শুধু ভালো নয় খুব ভালো লেগেছে থ্যাংক ইউ সো মাচ তোদের দুজনকে….
“আফরিন আপুর কথা শুনে রিয়াদ-তানজু দুজনেই খুব খুশি হয়ে গেল’!!তারপর আফরিনকে ধরে আস্তে আস্তে বসিয়ে দিল বেডে তারপর আহানের কোল থেকে বেবিকে এনে দোলনায় শুয়ে দিল তানজু….
“সবাই খুব খুশি রিয়াদ তানজুর কান্ডে সবাই বেশ অবাক হয়েছে?’
“আফরিন আপুকে বিছানায় বসিয়েই এওতো এওতো শপিং ব্যাগ নিয়ে হাজির আমি তারপর একে একে ব্যাগ খুলে বেবির জন্য কিনে আনা সব জামাকাপড় টয়সহ আরো কিছু জিনিসপএ দেখাতে লাগলাম আমি,,
আফরিন তো এত সবকিছু দেখে বললোঃ

—“এসব কি করেছিস তোরা….
—“এই সব আমি আর রিয়াদ ভাইয়া তোমার বেবির জন্য কিনে এনেছি,ভালো হয়েছে না…
—“হুম খুব সুন্দর…
“আফরিন আপুর কথা শুনে আমিও একটু ভাব নিয়ে বললামঃ
—“দেখতে হবে না কার চয়েজ…?
“হাল্কা হাসলো আফরিন আপু,এমন সময় আমার মাথায় চাটি মেরে বললো রিয়াদ ভাইয়াঃ
—“তোর একার চয়েজ নয় আমারও ভাগ আছে…
“রিয়াদ ভাইয়ার কাজে সবাই হেঁসে উঠল’!!সবার হাসি দেখে আমিও হেঁসে দিলাম….

“সন্ধ্যা_৭ঃ০০টা…..
“বেলকনির রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছি আমি,,এমন সময় পিছন থেকে বলে উঠল কেউঃ
—“তানজু…
“আচমকা পিছন থেকে নিজের নাম শুনে পিছন ঘুরে তাকালাম আমি,সামনেই রিয়াদ ভাইয়াকে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে বললামঃ
—“তুমি?’
—“হুম আমি কেন আসতে পারি না বুঝি?’
—“আহ্, আসতে পারবে না কেন?’আসলে এই দুদিনে একদিনও তো আসো নি তাই আর কি?’
—“ওহ,,
“আমি কেন আসি নি তা যদি তোকে বলতে পারলাম তাহলে তো হয়েই যেত,আমায় পাগল বানিয়ে দিয়েছিস তুই,তোর জন্য দিনকে দিন পাগল হয়ে যাচ্ছি আমি,খুব ইচ্ছে করছিল আমার তোরে জড়িয়ে ধরে বলে দেয় “বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি প্রিয়সী”…(মনে মনে)
“রিয়াদের ভাবনার মাঝখানে বলে উঠল তানজুঃ
—“কি হলো ভাইয়া কি ভাবছো?’
—“না কিছু নয় তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে,,
—“হুম বলো না…
—“এখন নয় পড়ে বলবো…
—“ঠিক আছে ভাইয়া…
“এমন সময় খালামনি ডাক দিল আমায় আর রিয়াদ ভাইয়াকে চাওমিন বানাচ্ছিল খালামনি হয়তো তৈরি হয়ে গেছে,, খালামনির ডাক শুনে আমি এক্সাইটিং এ বলে উঠলামঃ
—“চলো ভাইয়া যাই…
—“হুম যাবো আর একটা কথা বলি…
—“বাকি কথা পড়ে শুনবো ভাইয়া আগে চলো খালামনির হাতের চাওমিন খেয়ে আসি…
“বলেই রিয়াদকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তানজু রিয়াদের হাত ধরে বেরিয়ে যায় রুম থেকে….
“তানজুর হাতের স্পর্শ পেতেই রিয়াদ আর কিছু বলতে পারলো না চুপচাপ তানজুর সাথে এগিয়ে যেতে লাগলো সে…..

“পরেরদিন…..
“সূর্যের শীতল তাপে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে রিয়াদ,সাদা কম্বল জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে সে,,এমন সময় রেড রঙের কাতান শাড়ি,মেচিং করা লাল ব্লাউজ,খোলা চুল,গলায় রেড পাথরের নেকলেস,সাথে হাল্কা কানের দুল, দু’হাত ভর্তি লাল কাঁচের চুরি,সাথে হাল্কা মেকাপ আর ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে রিয়াদের রুমে ঢুকলো তানজু,,ঢুকেই মুচকি হেঁসে গিয়ে বসলো সে রিয়াদের পাশে,তারপর রিয়াদের কপালে হাত স্পর্শ করলো তার….

“রিয়াদ ঘুমের মধ্যেই অনুভব করছে কেউ তাকে খুব গভীর ভাবে দেখছে সাথে কপালেও হাত স্পর্শ করছে ,হাতের ছোঁয়াটা খুব চেনা চেনা লাগছে রিয়াদের,কিন্তু রিয়াদ যেটা ভাবছে সেটা কি করে সম্ভব?তানজু কেন আসবে এখানে?’আবার ভাবলো রিয়াদ___
“আসতেও তো পারে,, এরই ভিতর রিয়াদের কপালে থাকা চুলগুলোকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলো কেউ,কিছুটা হতভম্ব হয়ে চোখ খুললো রিয়াদ,সকাল সকাল তানজুর এমন লুক থেকে পুরো চমকে উঠলো রিয়াদ,তানজুকে পুরোই লাল পরী লাগছে,শাড়িতে এত সুন্দর লাগবে তানজুকে এটা ভাবতেই পারে নি রিয়াদ,আস্তে আস্তে শোয়া থেকে উঠে বসলো সে,অপলকভাবে তাকিয়ে আছে সে তানজুর দিকে’…
“রিয়াদ কিছু বলতে যাবে তার আগেই তানজু রিয়াদের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বললোঃ

—“হুস…
“তানজুর কাজে রিয়াদ হা হয়ে তাকিয়ে আছে তানজুর দিকে,তানজু রিয়াদের হাত ধরে টেনে বিছানা থেকে নামালো,কিন্তু কিছু বললো না,রিয়াদ বুঝতে পারছে না তানজু একজেকলি কি করতে চাইছে তার সাথে…
“তবে এই মুহুর্তে রিয়াদ এক ঘোরে মধ্যে আঁটকে গেছে তানজুর এমন অপলক সাজ দেখে মুগ্ধ সে,তাই মুগ্ধতা নিয়েই রিয়াদ এগিয়ে যাচ্ছে তানজুর সাথে….

“রোদ্রময়ী দুপুর…..
“খোলা মাঠের সবুজ শ্যামলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ,রিয়াদ বুঝলো না এইমাএ তো শীত শীত লাগছিল তার তাহলে হুট করে এত গরম লাগছে কেন আর আমেরিকায় তো এত গরম পড়ে না,কড়া রোদ্দুরের তাপ,সূর্য্যিমামা তার সব তাপ ঢেলে দিয়েছে আজ’!এমন সময় লাল কাতান শাড়ি,মেচিং করা লাল ব্লাউজ,খোলা চুল,গলায় রেড পাথরের নেকলেস,সাথে হাল্কা কানের দুল, দু’হাত ভর্তি লাল কাঁচের চুরি,সাথে হাল্কা মেকাপ আর ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে সবুজে ঘেরা মাঠের দূর সীমানা দিয়ে দৌড়ে আসছে তানজু,রিয়াদ অবাক হয়ে গেল তানজুর কান্ডে…
“কারন তানজু তো এতক্ষন তার সাথে তাহলে ওত দূরে কি করে গেল?’এই ভেবে আশেপাশে তাকালো রিয়াদ,কিন্তু না কোথায় দেখতে পেল না রিয়াদ তানজুকে,তানজু তো সেই দূর থেকে দৌড়ে আসছে তার দিকে,রিয়াদ তাকিয়ে আছে তানজুর দিকে,,

“আস্তে আস্তে দূর থেকে দৌড়ে অনেকটা কাছে চলে এলো তানজু রিয়াদের দিকে!’রিয়াদ শুধু তাকিয়ে আছে তানজুর দিকে কিন্তু কিছু বলছে না কেমন যেন তার মুখ দিয়ে কোনো কোথায়ই বের হচ্ছে না?…
“তানজু দৌড়ে আসতে আসতে একদম রিয়াদের কাছে চলে আসলো তারপর দু হাত মুঠো করে এগিয়ে দিলো তানজু রিয়াদের দিকে,রিয়াদ কিছু না বুঝেই তার হাত এগিয়ে দিলো তানজুর দিকে,কিন্তু তানজু রিয়াদের হাতে কিছুই দিলো না কারন তানজুর হাত ফাঁকা অকারণেই দু হাত মুঠো করে রেখেছিল তানজু,,রিয়াদ বিস্ময় নিয়ে তাকালো তানজুর দিকে…
“রিয়াদের হতাশা দেখে হেঁসে উঠলো তানজু’…

হঠাৎই তানজু হাসি থামিয়ে দিয়ে রিয়াদের চোখ চেপে ধরল….
“তারপর সূর্যের দিকে রিয়াদকে ঘুরিয়ে,রিয়াদের চোখ থেকে হাত সরিয়ে সূর্যকে মুঠো করে রিয়াদের দিকে তার হাত এগিয়ে দিল’!!তারপর বলে উঠল তানজুঃ
—এই “এক ফালি রোদ্দুর” তোমায় দিলাম প্রিয়…
“লুকিয়ে রেখো তোমায় সেই চিরকুটের আড়ালে যেই চিরকুট চোখে পড়লেই থেকে থেকে উপছে পরবে তোমার আমার প্রেমকথন প্রিয়’…..
“আর হ্যাঁ,আমায় হারাবে না কিন্তু…..
“এতটুকু বলে দুপুরের কড়া রোদ্দুরের তাপে “এক ফালি রোদ্দুর” এর আড়ালে হারিয়ে গেল তানজু,বেশ কয়েকবার ডাকলো রিয়াদ তানজুকে কিন্তু তানজু আর আসলো না,তানজু ফিরে না আসায় হতাশ হয়ে যায় রিয়াদ,,চিৎকার দিয়ে ডাকলো রিয়াদ তানজুকে কিন্তু তানজু ফিরলো না…..

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৭

“তানজু ফিরে না আসায় অস্থির হয়ে পরলো রিয়াদ,ঘেমে একাকার হয়ে গেছে সে সাথে সাথে কম্বল সরিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলো রিয়াদ….
“আমেরিকার ঠান্ডা আবহাওয়া থাকা সত্বেও ঘেমে একাকার হয়ে গেছে রিয়াদ,আশেপাশে ভালো মতো তাকাতেই রিয়াদ বুঝতে পারলো সে এতক্ষণ স্বপ্ন দেখতে ছিল….ঘড়ির কাঁটায় কেবল ৫ঃ৩০টা বাজে….
—-“তবে কি স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি….
“আনমনে কথাটা বলে রিয়াদ কোনো কিছু না ভেবেই রুম থেকে বেরিয়ে চলে যায় তানজুর রুমে,,প্রথমে ভেবেছিলো হয়তো তানজুর রুম আটকানো কিন্তু রিয়াদের ভাবনা ভুল প্রমানিত হলো হাল্কা ধাক্কা লাগতেই দরজা খুলে গেল হয়তো তানজু দরজা আটকাতে ভুলে গেছে,,রিয়াদ দৌড়ে তানজুর রুমে ঢুকে তাকালো তানজুর দিকে,,কম্বল মুড়ি দিয়ে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে তানজু…..

“তানজুকে বেঘোরে ঘুমোতে দেখে সস্থির নিশ্বাস ফেললো রিয়াদ,আনমনেই বলে উঠল সেঃ
—-“তাহলে সত্যি সত্যি এতক্ষণ আমি স্বপ্ন দেখতে ছিলাম,কিন্তু হুট করে এমন স্বপ্ন কেন ‘প্রিয়সী’…..
“কিছুটা হতাশা নিয়ে বলে উঠল রিয়াদ তানজুকে…
“তবে কি তুমি আমার হয়েও আমার না…(আনমনে)
“হুট করেই ভয় এসে গ্রাস করলো তাকে কেন করলো বুঝতে পারছে না রিয়াদ….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৯