এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৯ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৯
লেখনীতে: তানজিল মীম

—“কি হলো ভাইয়া এত সকালে তুমি আমার রুমে,,,
“প্রচন্ড অবাক হয়ে কথাটা বললাম আমি রিয়াদ ভাইয়াকে’!!হঠাৎই ঘুমটা ভেঙে গেল আমার চোখ খুলেই সামনে ভাইয়াকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে উঠলাম আমি’!!
“এদিকে রিয়াদ ভাবছে এখন কি বলবে সে?’হুট করেই যে তানজুর ঘুম ভেঙে যাবে এটা ভাবতে পারে নি রিয়াদ’!!কিছুটা অপ্রস্তুতি নিয়ে বললো সেঃ

—“আসলে কি বলতো আমি না ভুল করে আমার রুম ভেবে তোর রুমে চলে এসেছি…
—“ওহ,
—“হুম,তা তুই দরজা আঁটকে ঘুমাস না কেন?’
—“দরজা, ওহ কি হয়েছে বলো তো ভাইয়া আমার দরজা আঁটকে ঘুমানোর অভ্যাস নেই তো তাই ভুলে গেছি,বাসায় বসেও আমি দরজা খুলেই ঘুমাতাম….
—“ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না কিন্তু নেক্সট টাইম দরজা আঁটকে ঘুমাস….
—“ঠিক আছে ভাইয়া…
—“আচ্ছা তুই ঘুমা আমি যাই,,
—“আচ্ছা…
“বিনিময়ে রিয়াদও আর কিছু না বলে চটজলদি রুম থেকে বেরিয়ে গেল!’আর তানজু কিছুক্ষন রিয়াদের যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে আবারো ঘুমের দেশে পারি জমালো…

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“সকাল_১১ঃ০০টা…..
“ব্রেকফাস্ট সেরে বেলকনিতে বসে আছি আমি,কিছু ভালো লাগছে না একা একা ভালো লাগে নাকি,,রিয়াদ ভাইয়াও নেই বাহিরে গেছে আজ চারদিন হলো ঘরের ভিতরই আছি আমি শুধু মাঝখানে একদিন রিয়াদ ভাইয়ার সাথে শপিং গিয়ে ছিলাম,তাও বেশি সময় লাগে নি,
“এখন যদি বাসায় থাকতাম এক ভার্সিটি গিয়ে সবার সাথে মজা করতাম আর নয় পিচ্চিগুলোর সাথে ক্রিকেট খেলতাম,উফ!’সবাইকে মিস করছি আমি,,
“বেলকনির থাইগ্রাস ঘেঁষে বসে আনমনেই কথাগুলো ভাবছি আমি,রুহি শিফাকেও খুব মিস করছি,ধুর, মোবাইলটাও চালাতে পারছি না নতুন সিম কিনতে হবে,,একরাশ বিরক্ত নিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়েও আবার পাশে রেখে দিলাম…..
“এমন সময় আফরিন আপুর বেবিকে নিয়ে রুমে ঢুকলো খালামনি,আমাকে এভাবে মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখে বলে উঠল সেঃ

—“কি হলো তানজু এখানে বসে আছিস কেন?’
—“কি বলবো খালামনি ভালো লাগছে না…
—কেন?’
—“কেন আবার এইভাবে একা একা ভালো লাগে বল,আশেপাশে কোনো পিচ্চি মিচ্চিও নেই যে ওদের সাথে খেলবো,মোবাইল গুতাবো সেটাও হচ্ছে না নতুন সিম লাগবে,,চারদিন যাবৎ একা একা বাড়ির ভিতর আছি তাই কিছুই ভালো লাগছে না…
“তানজুর কথা শুনে আফরিনের আম্মুর বুঝতে বাকি রইলো না তানজু কি বলতে চাইছে, যে মেয়ে সারাদিন লাফালাফি করে দৌড়াদৌড়ি করে হুট করে একা হয়ে গেলে ভালো লাগবে কি করে,,খালামনি কিছুক্ষন চুপ থেকে হঠাৎ বলে উঠলঃ
—“চিন্তা করিস না রিয়াদ ফিরলেই আমি বলবো তোকে নিয়ে বাহিরে যেতে সাথে সিমও কিনে দিতে…
“খালামনির কথা শুনে মুহূর্তে ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো আমার’!!খুশি হয়ে খালামনিকে জড়িয়ে ধরে বললাম আমিঃ

—“সত্যি….
—“হুম…
—”উফ,খালামনি তুমি এতো ভালো কেন?’
—“হইছে আর বলতে হবে না এখন চল নিচে আমার একটু কাজে সাহায্য করবি?’
—“হুম চলো….
“বলেই খালামনি আর আমি নিচে চলে আসলাম!’
“সারাদিন এটা ওটা আর বেবির সাথে দুষ্টুমি করে কেটে গেল আমার!’

“দুপুর_৩ঃ০০টা…..
“ডাক্তারি পরীক্ষার কিছু কাজের জন্য আজ একটু ব্যস্ত ছিলো রিয়াদ,আর একমাস পরই তার এক্সাম, অনেক এক্সাইটিং আছে রিয়াদ,সাথে হাল্কা টেনশন,নিজের কাজ সেরে বাসায় ঢুকলো রিয়াদ,দরজা খোলা থাকায় খুব ইজিলি ঢুকে পড়ে সে বাসার ভিতর!’আশেপাশে কাউকে না দেখে বেশি কিছু না ভেবে হন হন করে উপরে চলে যায় রিয়াদ,চটজলদি সাওয়ার নিতে হবে তাকে,,
“এক ঘন্টা পর সাওয়ার নিয়ে ব্লাক ট্রাউজার সাথে ওয়াইট টিশার্ট পড়ে নিচে চলে আসে রিয়াদ এখনও আশেপাশে কাউকে অবাক হয়ে চেঁচিয়ে ডাকে রিয়াদ তার মাকে’…
“রিয়াদের ডাক শুনে মুক্তা বেগম দৌড়ে চলে আসে রিয়াদের কাছে তারপর বলেঃ

—“তুই এসেছিস?’
—“হুম অনেক আগে তাড়াতাড়ি খেতে দেও মা আমার খুব খিদে পেয়েছে?’
—“আচ্ছা তুই টেবিলে বস আমি খাবার নিয়ে আসছি…
“বলেই মুক্তা বেগম চলে যায় কিচেনের দিকে!’মাকে কিচেনের দিকে যেতে দেখে আশেপাশে তাকিয়ে রিয়াদ গিয়ে বসে পরলো ডাইনিং টেবিলে,,
“তারপর প্লেট উল্টে বললো সেঃ
—“আচ্ছা আম্মু তুমি একা কেন বাকি সবাই কোথায়…?’
“রিয়াদের কথা শুনে মুক্তা বেগম কিচেন থেকে খাবার নিয়ে আসতে আসতে বলে উঠলঃ
—“বাকি সবাই বলতে আফরিন নানাভাইকে নিয়ে নিজের রুমে ঘুমাচ্ছে, সায়ান এখনো ফেরেনি আর তানজু একা একা ছাঁদে বসে আছে….
“তানজুর কথা শুনতেই ভ্রু-কুচকে বলে রিয়াদঃ

—“তানজু ছাঁদে কি করছে একা একা…
—“আর বলিস না তুই তো জানিস ও সারাদিন উড়ন্ত পাখির মতো উড়তে থাকে,এখন হঠাৎ করে বন্দী খাঁচায় আঁটকে পরলে আর কি ভালো লাগে…
“রিয়াদ মুখে খাবার দিতে দিতে বললোঃ
—“মানে?’
—“মানে কিছুই না ওর একা একা বাড়ির ভিতর ভালো লাগছে না তারওপর ফোনটাও চালাতে পারছে না সিমের জন্য তাই তুই ওকে নিয়ে একটু বাহিরে থেকে ঘুরিয়ে আনিস সাথে একটা আমেরিকান সিম কিনে দিস….
“রিয়াদ তার মায়ের কথা শুনে মনে মনে খুব খুশি হয়ে গেল,সে তো এটাই চেয়েছিলো তানজুকে নিয়ে বেড়াতে যেতে,রিয়াদ খেতে খেতে বলে উঠলঃ
—“ঠিক আছে,,
“ছেলের কথা শুনে হাল্কা হাসলেন মুক্তা বেগম!’তারপর বললোঃ
—“তাহলে খেয়ে তোর যখন সময় হবে ওকে নিয়ে বের হোস ঠিক আছে…
—“ওকে আম্মু….
“বলেই নিজের খাওয়ার দিকে মন দেয় সে’…..

— “এত রোদ্দুর, তুমি এনে দিলে তাই…
তোর বৃষ্টি,আমি একটু পেতে চাই,
— “মেঘলা হয়ে যা,আর পাঁচটা বারো মাস,
কোনো বিকেলবেলাতে তুই আমার হয়ে যা…
— “শুধু তুই,শুধু তুই, আমি চাইছি না কিছুই
শুধু তুই, শুধু তুই, আমি চাইছি না কিছুই..!’

“মেঘলা আকাশের নিচে আমেরিকার ঠান্ডা শীতল মেশানো বাতাসের মাঝে,খোলা চুলের মাঝে ছাঁদে বসে আছি আমি,আর ওই গানটা মোবাইলে শুনছি,এখন একটু ফ্রেশ লাগছে,প্রাণ খুলে নিশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে মনে হচ্ছে….আফরিন আপুদের বাড়ির বিশাল বড় ছাঁদ,ছাঁদের একদিকে রয়েছে সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ,আর এই ফুলগাছের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে টকটকে লাল গোলাপ,,ইচ্ছে করছে সব গোলাপ ফুলগুলো ছিঁড়ে হাতে নিয়ে আসি,
“কিন্তু একটা জিনিস কি?’
“গাছের ফুল গাছেই মানায় হাতে নয়,আস্তে আস্তে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালাম আমি’!তারপর চলে গেলাম সেই গোলাপ ফুলের গাছের দিকে….
“ফুলের সাথে বেশ-কয়েকটা পিক তুললাম আমি,

“এমন সময় ছাঁদে প্রবেশ করল রিয়াদ’!!তানজুর কাজে অবাক চোখে তাকায় রিয়াদ তানজুর দিকে,,কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আস্তে আস্তে চলে যায় রিয়াদ তানজুর কাছে,,
“রিয়াদ ভাইয়াকে দেখেই ছবি তোলা বন্ধ করে দিলাম আমি,তারপর মুচকি হেঁসে বলে উঠলাম আমিঃ
—“তুমি চলে এসেছো ভাইয়া…
—“হুম অনেক আগে…
—ওহ,,
—হুম,তা এখানে কি করছিস…
—“তেমন কিছুই নয় জাস্ট দাঁড়িয়ে আছি…
“তানজুর কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠল রিয়াদঃ
—“ঘুরতে যাবি….
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে খুশি হয়ে বললামঃ

—“হুম….
—“ঠিক আছে মিস “ডেইরিমিল্ক”,,
“রিয়াদের কথা শুনে লাফ মেরে রিয়াদ ভাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম আমিঃ
—“কোথায় যাবো আমরা…
—“গেলেই দেখতে পাবি….
—“ঠিক আছে….
—-“তোকে এক ঘন্টা সময় দিলাম তৈরি হয়ে আয়…
—-“ঠিক আছে ভাইয়া….
“তারপর চলে গেলাম আমি নিচে,,ইদানীং ভাইয়াকে খুব ভালো লাগে আমার,ভাইয়ার সাথে সময় কাটাতেও ভালো লাগে, কেন জানি না ভাইয়া বাসায় না থাকলে আমার খুব মনে পড়ে ওনার কথা,খুব মিস করি তাকে…
“যেদিন ভাইয়া আমেরিকা চলে এসেছিল সেদিন রাতে তো ঘুমাতেই পারি নি,বার বার শুধু রিয়াদ ভাইয়ার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ভেসে আসছিল চোখের সামনে,,প্রথমে ভেবেছিলাম জ্বরের কারনে হয়তো এমনটা হয়েছে, কিন্তু এমনটা হয় নি জ্বর সেরে যাওয়ার পরও রোজ রাতে মনে পরতো রিয়াদ ভাইয়া কথা,তার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোর কথা….
“এভাবেই ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে সবটা ঠিক হয়ে গিয়েছিল…
“আনমনেই এসব ভাবতে ভাবতে চললাম আমি নিচে,হুট করে এগুলো মাথায় কেন আসলো বুঝলাম না….
“এদিকে রিয়াদ তানজুর যাওয়ার পানে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বললোঃ
—-“আজকে তোমায় মনের কথা বলে দিবো “প্রিয়সী”….
“ভেবেই মুচকি হেঁসে চললো নিচে….

“১ ঘন্টা পর…..
“সোফায় বসে আছে আছে রিয়াদ,পড়নে তার ব্লাক জিন্স,রেড কালারের টিশার্ট, উপরে ব্লাক জ্যাকেট,চুলগুলো সুন্দর করে জেল দিয়ে সাজানো, হাতে ব্লাক ওয়াচ আর পায়ে ব্লাক জুতো পড়ে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে রিয়াদ,হাতে মোবাইল গুতাচ্ছে,আর অপেক্ষা করছে কখন তানজু আসবে?’অনেকক্ষণ যাবৎই রিয়াদ অপেক্ষা করছে তানজুর জন্য কিন্তু তানজুর খবর নেই,,রিয়াদ বুঝতে পারছে না এতক্ষন কি করছে তানজু?’
“বিরক্তি নিয়ে মোবাইলটা রাখলো রিয়াদ সোফার উপর,,চেঁচিয়ে তানজুকে ডাকতে যাবে এমন সময় সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলো তানজু,,
“পরনে তার ব্লাক জিন্স,ওয়াইট টপস,খোলা চুল,চোখে কাজল, মুখে হাল্কা মেকাপ,সাথে কিছু ব্যাচ সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তানজুকে,রিয়াদ তো তানজুকে দেখে হা হয়ে যায়,,অপলকভাবে তাকিয়ে থাকে রিয়াদ তানজুর দিকে….

“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছি আমি আজ খুব আনন্দ লাগছে আমার,কতদিন পর ঘুরতে যাবো আর রিয়াদ ভাইয়ার সাথে ঘুরতে তো আমার দারুন লাগে,,এসব ভেবে চলে আসলাম আমি নিচে,রিয়াদ ভাইয়াকে এভাবে হা হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে বললাম আমিঃ
—-“কি হলো ভাইয়া ওভাবে তাকিয়ে আছো কেন?’
“তানজুর ডাকে ধ্যান ফিরলো তার আমতা আমতা করে বললো রিয়াদঃ
—-“কোথায় তাকিয়ে আছি,এত সময় কেউ লাগায় এক ঘন্টার জায়গায় দেড় ঘন্টা লাগিয়ে দিয়েছিস তুই…
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে আমি দাঁত কেলানি হাসি দিয়ে বললামঃ
—-“সলি ভাইয়া….
—-“হইছে আর ন্যাকামি করতে হবে না চল এখন…
—-“হুম…..
“বলেই হাঁটা শুরু করলাম আমি বাহিরের দিকে!’এমন সময় রিয়াদ ভাইয়া আবার বলে উঠলঃ
—-“আচ্ছা শোন…
“রিয়াদ ভাইয়ার কন্ঠ শুনে দাঁড়িয়ে পরলাম আমি তারপর মুচকি হেঁসে বললামঃ
—-“হুম বলো…
—-“খুব সুন্দর লাগছে….
—-“কি….
—-“তোর মাথা…

“বলেই রিয়াদ চলে গেল!’এদিকে আমি রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে মুচকি হাসলাম এই প্রথমবার ভাইয়া বললো আমায় সুন্দর লাগছে কেমন এক শিহরণ বয়ে যাচ্ছে,,
“হঠাৎ এমন কেন লাগলো বুঝলাম না!’ভেবেই খুশি মনে চললাম আমি….

“গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ,মনে মনে ভেবে নিয়েছে রিয়াদ আজকেই তানজুকে মনের কথা বলে দিবে সে,আর দেরি সহ্য হচ্ছে না তার….
“রিয়াদের ভাবনার মাঝেই তানজু হাজির’!!রিয়াদ তানজুকে দেখে বললোঃ
—-“গাড়িতে উঠ…
“তানজুও রিয়াদের কথা শুনে বেশি কিছু না ভেবে খুশি মনে গিয়ে বসলো গাড়িতে…..
“আমি বসতেই রিয়াদ ভাইয়া গাড়ি চালাতে শুরু করল….
“আমেরিকার বিউটিফুল রাস্তা পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে রিয়াদ তানজু,,আমেরিকার ঠান্ডা বাতাস বয়ে আসছে রিয়াদের গাড়ির ভিতর,ধবধবে সাদা আকাশ,,এককথায় বিউটিফুল নাজারা….
“তানজু তো গাড়ির জানালায় মুখ বের করে দেখতে প্রকৃতির সৌন্দর্য….
“রিয়াদ তানজুর কাজ দেখে বললোঃ

—-“তানজু…
—-“হুম বলো….
—-“তুই আমায় বিডির সৌন্দর্য দেখিয়ে ছিলি না আজ তোকে আমি আমেরিকার সৌন্দর্য দেখাবো….
“বলেই রিয়াদ পাড়ি জমালো অজানা গন্তব্যে……
“আর তানজুও অতি আগ্রহে রইলো আমেরিকার সৌন্দর্য দেখার জন্য…..
“আঁকাবাকা পথ পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রিয়াদ- তানজুর,,ছোট বড় সারি সারি পাহাড় পেরিয়ে এগিয়ে চলছে ওঁরা….
”বেশকিছুক্ষন পর….
“রিয়াদ গাড়ি থামালো তারপর তানজুর হাত ধরে চললো সে,তানজুও কিছু বললো না কারন তার ভালো লাগছে…….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৮

“একটা সুন্দর পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ তানজু,,পাহাড়টার চারপাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অসংখ্য ঝর্ণা…
“মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছি চোখ যেন সরছেই না!’আমি রিয়াদ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলামঃ
—-“এওতো এওতো থ্যাংক ইউ ভাইয়া….
“বিনিময়ে রিয়াদ ভাইয়া কিছু বললো না শুধু মুচকি হাসলো…..
“আধ ঘন্টা পর….
“হঠাৎই রিয়াদ ভাইয়া বলে উঠলঃ
—-“চল এবার আরেকটা জায়গায় যাই…..
—-“ঠিক আছে চলো….

“সুন্দর একটা ব্রিজের নিচে পা ঝুঁলিয়ে পাশাপাশি বসে আছি আমি আর রিয়াদ ভাইয়া…
“অসম্ভব ভালো লাগছে আমার,নিচেই রয়েছে নদীর পানি,,চিকচিক করছে সেগুলো,,আর আমাদের সামনেই রয়েছে ছোট বড় পাহাড় মাঝে সবুজ রঙের গাছপালা,,মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আমি সামনে…..
“এমন সময় রিয়াদ তানজুর হাত ধরে বলে উঠলঃ
—-“আমার কিছু বলার আছে তোকে….
—-“হুম বলো না….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৩০