এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৩০ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৩০
লেখনীতে: তানজিল মীম

—“কি হলো ভাইয়া কথা বলছো না কেন?’
“একরাশ নীরবতার দড়ি ছিন্ন করে বলে উঠলাম আমি রিয়াদ ভাইয়াকে’!!কতক্ষণ আগেই ভাইয়া বললো আমায় কিছু বলবে সে’!!আমিও অতিআগ্রহে বসে আছি ভাইয়ার কথা শোনার জন্য’!!কিন্তু সে কিছু বলছে না’!!
“রিয়াদ তানজুর কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ থেকে বললোঃ
—“আমায় ভুল বুঝবি না তো?’
—“কি বোকার মতো কথা বলছো তুমি, তোমায় ভুল বুঝবো কেন?’
—“না মানে…
—“বেশি মানে না খুঁজে, বলে ফেলো ভাইয়া…
—“ঠিক আছে,,

“বলেই দীর্ঘ শ্বাস ফেললো রিয়াদ’!!তারপর তানজুর হাত ধরে বলে উঠল সেঃ
—“জানি না কখন কিভাবে,নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছি তোকে,যখন তুই সাথে ছিলি তখন বুঝি নি আমি তোকে ভালোবাসি,কিন্তু যখন তোকে ছেড়ে দূরে চলে আসলাম তখনই বুঝতে পেরেছি আমি,তোকে ছাড়া নিশ্বাস নেওয়াও অসম্ভব,,এতদিন যখন তুই দূরে ছিলি তখন কোনোভাবে তোর ছবি দেখে নিজেকে সামলেছি আমি,কিন্তু এখন যখন তুই এত কাছে আছিস আমার সত্যি বলছি আমি আর পারছি না আর,বার বার ইচ্ছে করছে তোকে জড়িয়ে ধরে বলে দেই সব,তুই জানিস না তোকে একবার জড়িয়ে ধরার জন্য আমি কতোটা ব্যাকুল হয়ে আছি,,তোকে যে আমি নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলেছি,,আই লাভ ইউ তানজু,,আই রিয়েলি লাভ ইউ “প্রিয়সী”….

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—“কি হলো ভাইয়া কিছু বলছো না কেন,কি ভাবছো বলো তো….
“আচমকা তানজুর কথা শুনে রিয়াদ তার ঘোর লাগানো মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসলো’!!পরক্ষণেই সে বুঝতে পারলো এতক্ষণ সে কল্পনায় স্বপ্ন দেখছিল….
—“কি বলবে তুমি আমায় ?’
—“হ্যাঁ, হা বলছি….
—“হুম বলো…
“রিয়াদ কিছু বলতে যাবে তানজুকে এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল রিয়াদের’!!উপরে আহানের নাম দেখে বলে উঠল সে তানজুকেঃ
—“এক মিনিট….
“বলেই তানজুর থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ফোনটা তুলে সে’!!তারপর বলেঃ
—“হ্যালো…
“রিয়াদের হ্যালো শুনে অপরপাশে আহান বলে উঠলঃ
—“কোথায় তুই…
—“কেন কি হইছে?’
—“আরে ভুলে গেলি আজকে সেন্ডি-ছুজিকে প্রপোজ করবে আর সেই উপলক্ষে পার্টিতে তোকে আর আমায় ইনভাইট করলো…

—“ওহ সিট আমি একদম ভুলে গেছি….
—“জানতাম তুই ভুলে যাবি,আর এখন তো আবার তোর প্রিয়সী তোর সাথে এতকিছু মনে থাকবে কেমনে…?’
“আহানের কথা শুনে রিয়াদ অবাক হয়ে বললোঃ
—“তুই কি করে জানলি…
“রিয়াদের কথা শুনে আহান হেঁসে বলে উঠলঃ
—“আমার দোস্ত প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে আর আমি জানবো না,তোর ফোনের ওয়ালপেপার আর তোর ডাইরি দুটোই দেখেছি আমি,
“আহানের কথা শুনে রিয়াদ চোখ বন্ধ করে বললোঃ
—“ওহ সিট,
“রিয়াদের রিয়াকশন দেখে আহান হেঁসে বলে উঠলঃ
—“তা প্রপোজ করেছিস…
—“না,….
—“তা কি করছিস এখনো…
—“না মানে?’
—“এত বেশি মানে মানে না করে তাড়াতাড়ি সেন্ডির পার্টিতে চলে আয় আর শোন তানজুকেও নিয়ে আসিস,তারপর দেখছি তোর ব্যাপারটা…তোকেও সেন্ডির মতো তানজুকে প্রপোজ করতে হবে….
—“কি….

“রিয়াদের কি শুনে আহান আর কিছু না বলেই ফোনটা কেটে দেয়’!!রিয়াদ কিছুই বুঝলো না আহানের কথা!’তবে এতটুকু বুঝলো আহান ভয়ংকর কিছু ভাবছে যেটা রিয়াদের দ্বারা সম্ভব নয়,,নীরবেই বলতে পারছে না, সেখানে এত মানুষের ভিড়ে “অসম্ভব”…..
“কিন্তু এই মুহুর্তে সবার আগে সেন্ডি আর ছুজির প্রপোজ পার্টিতে যেতে হবে…,এই ভেবে রিয়াদ চলে যায় তানজুর সামনে…
“ব্রিজের উপর পা ঝুঁলিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে তানজু,হয়তো প্রকৃতিকে ফিল করছে,রিয়াদ আস্তে গিয়ে বসে পরে তানজুর পাশে তারপর সেও চোখ বন্ধ করে নিলো…
“সময়টা প্রায় সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বাভাস তাদের সামনেই সূর্য ডুবে যাচ্ছে, পুরো প্রকৃতিটাই লালচে বর্ন ধারণ করেছে,সাথে পানির শব্দ আর শীতল মেশানো ঠান্ডা বাতাস, গাছের পাতার ঝিরিঝিরি শব্দ,পাখির ডানা মেলে মুক্ত আকাশে উঁড়ে যাওয়ার মনোরম দৃশ্য সব মিলিয়ে এক অন্যরকম ভালো লাগা সাথে প্রকৃতির নতুন রূপের সংগঠন….

“বেশকিছুক্ষন পর….
“প্রকৃতিকে ফিল করে আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি,সামনেই রিয়াদ ভাইয়াকে চোখ বন্ধ করে থাকতে দেখে মুচকি হাসলাম আমি,এই মুহূর্তে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ভাইয়াকে,বাতাসে তার চুলগুলো উড়ছে,চোখ বন্ধ থাকায় আর গোধূলির আলো তার মুখে পড়ায় আরো সুন্দর লাগছে,এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে আমার ভিতর,,সাথে এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে,বুকের ভিতর দক দক করছে,তাহলে কি….
“আর কিছু ভাবলাম না আমি, কেন জানি না আর কিছু ভাবতে ইচ্ছে করছে না,ইচ্ছে করছে এভাবেই শুধু তাকিয়ে থাকি রিয়াদ ভাইয়ার দিকে, সব ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রেখে দেখে যাই শুধু তাকে….

“এমন সময় আচমকাই রিয়াাদ ভাইয়া বলে উঠলঃ
—“আমার দিকে তাকিয়ে কি ভাবছিস তুই?’
“রিয়াদ ভাইয়ার এমন কথা শুনে পুরোই চমকে উঠলাম আমি’!!আমতাআমতা করে বললাম আমিঃ
—“কি করে বুঝলে তুমি, আমি তোমার দিকে তাকিয়ে আছি….
“রিয়াদ তার চোখ খুলে একবার তানজুর দিকে তাকিয়ে বললোঃ
—“তোকে বললে তুই বুঝবি না….
—“কেনো বুঝবো না শুনি…
“বিনিময়ে রিয়াদ কিছু বললো না মুচকি হেঁসে সামনে তাকালো নিশ্চুপে….
তানজুও রিয়াদের হাসি দেখে আর কিছু বললো না তাকালো সামনে,,সূর্য অস্ত নেমে চলে গেছে অনেক আগেই…..
—“তুমি তো কিছু বললে না ভাইয়া….
“রিয়াদ ছোট্ট নিশ্বাস ফেলে বললোঃ
—“বলবো তবে আজ নয় কাল…

“রাত_৮ঃ০০টা…..
“পুরো সন্ধ্যা জুড়ে এদিক সেদিক ঘুরে সুরে তানজুর জন্য নতুন সিম কিনে সেন্ডি আর ছুজির প্রপোজ পার্টির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো “রিয়াদ-তানজু”……

“রাত হয়ে যাওয়ায় আমেরিকার তাপমাত্রা আরো বেশি কমে গেছে যার কারনে এখন শীত শীত করছে আমার,বাসা থেকে একটা জ্যাকেটও আনিনি যে পরবো,শীতে গায়ের পরশ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে,,তাই গুটিশুটি মেরে গাড়িতে বসে আছি আমি,,আজকে অনেক জায়গায় ঘুরলাম পাহাড়,ব্রিজ, সাথে সূর্যের অস্তদান সব মিলিয়ে অসাধারণ কাটলো বিকেলটা থেকে সন্ধ্যাটা,কিন্তু এখন খুব শীত লাগছে,শীতে কাঁপা কাঁপা অবস্থা প্রায়….
“এদিকে রিয়াদ তানজুর অবস্থা দেখে বুঝে গেছে তানজুর শীত করছে,তাই সে বলে উঠলঃ

—“শীত করছে খুব…
“রিয়াদ ভাইয়া কথা শুনে আমিও মাথা নাড়িয়ে হা সমর্থন দিলাম….
—“দাঁড়া দেখছি কি করা যায়….
“এতটুকু বলে রিয়াদ গাড়ি চালাতে মনোযোগ দিল….
“এদিকে আমার তো শীতে অবস্থা বেহাল,,বাসায় থাকলে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকতাম….
“হঠাৎই রিয়াদ ভাইয়া গাড়ি থামিয়ে দিল তারপর তার জ্যাকেটটা খুলে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
—“যতক্ষণ না তোর কোনো ব্যবস্থা করছি ততক্ষণ আমারটা পড়ে নে শীত কমে যাবে…
—“তোমার শীত করবে না…
—“আমায় নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না,তাড়াতাড়ি পরে ফেল….

“আমিও আর কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি রিয়াদ ভাইয়ার জ্যাকেটটা গায়ে জড়িয়ে নিলাম!’জ্যাকেটটা গায়ে দিতেই কেমন একটা করে উঠলো বুকের ভিতর….
“এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে যাচ্ছে তানজুর ভিতর….
“এদিকে রিয়াদ তানজুকে জ্যাকেটটা দিয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করল…..
“কিছুক্ষন পর….
“রিয়াদ গাড়ি থামালো একটা বড় শপিং মলের সামনে,তারপর তানজুকে ভিতরে নিয়ে একটা সুন্দর লেডিস জর্জিয়াস জ্যাকেট কিনে পরিয়ে দিল তানজুকে,আর তানজুর গায়ের জ্যাকেটটা পড়ে নিলো সে,,
“তারপর আবারো পাড়ি জমালো ‘সেন্ডি’ আর ‘ছুজির’ প্রপোজ পার্টির দিকে……

“১ ঘন্টা পর…..
“রিয়াদ – তানজু” এসে থামলো একটা বড় পার্টি ক্লাবের সামনে,তারপর দুজন একসাথে গাড়ি থেকে নেমে চলে যায় ভিতরে….
“ভিতরে ঢুকতে চোখ আমার চড়ুই গাছ’!!অসম্ভব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে ভিতরটা,লাল নীল রঙের লাইটিং জ্বলছে পুরো জায়গাটা জুড়ে সাথে লাউড মিউজিকই,,এতো এতো বিদেশিদের মধ্যে নিজেকে কেমন একটু লাগছে আমার…
“রিয়াদ ভাইয়া আমার হাত ধরেই নিয়ে গেল ভিতরে তারপর একে একে তার সকল বন্ধুর সাথে আহান ভাইয়াও ছিলো তাদের সাথে, সবাইকে ভালো লেগেছে আমার কিন্তু একজনকে বাদে সেটা হলো “এলিনা” নামের মেয়েটি, খালি রিয়াদ ভাইয়ার গা ঘেঁসে ঘেঁসে দাঁড়ায়, রিয়াদ ভাইয়া যতই তাকে ছাড়াচ্ছে ততই যেন গা ঘেঁসে দাঁড়াচ্ছে….

“রাগে গা পিওি জ্বলে যাচ্ছে আমার’!ইচ্ছে করছে ঠাস করে একটা থাপ্পড় দিয়ে দেই মেয়েটার গালে,,এরই মাঝে হঠাৎই লাইট অফ হয়ে গেল সাথে লাউড মিউজিকও, আবার কিছুক্ষন পর একপাশে লাইট জ্বলে উঠল যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল “সেন্ডি আর ছুজি”!!সেন্ডি হাঁটু গেড়ে বসে একটা রিং বের করে ছুজির আঙুলে পড়িয়ে দিয়ে বললোঃ
—“আই লাভ ইউ ছুজি,উইল ইউ মেরি মি(সেন্ডি)
“ছুজিও খুশি হয়ে সেন্ডিকে হা সমর্থন দিয়ে বললোঃ
—“ইয়ে আই উইল…(ছুজি)

“ছুজির কথা শুনে সেন্ডি রিংটা পড়িয়ে দিল ছুজির আঙুলে তারপর ছুজিয়ে জড়িয়ে ধরে সে…
“সাথে সাথে পার্টিতে উপস্থিত সবাই করতালির মাধ্যমে ওদের শুভেচ্ছা জানালো….
“তারপর শুরু হলো ড্যান্স পার্টি….
“সবাই নাচছে আর আমি চুপচাপ টেবিলে বসে আছি,,এই মুহূর্তে প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আমার কারন রিয়াদ ভাইয়া ওই এলিনার সাথে ড্যান্স করছে,অবশ্য ড্যান্স করছে বললে ভুল হবে জোর করে নাচতে চাচ্ছে,যেটা একদমই সহ্য হচ্ছে না আমার….এমন সময় একটা মেয়ে এসে বললো আমায়ঃ

—“আর ইউ রিয়াদ’স কাজিন এম আই রাইট….
“মেয়েটির কথা শুনে তাকালাম আমি মেয়েটার,ধবধবে সাদা রঙের মেয়েটি অসম্ভব সুন্দর দেখতে,কিন্তু মেয়েটার ড্রেসটা একদমই পছন্দ হয় নি আমার’!!আমি হাল্কা হেঁসে বলে উঠলাম মেয়েটিকেঃ
—“ইয়েস ইউ আর রাইট…
—“ইয়াহ,ইউ আর সো কিউট…
—“থ্যাংক ইউ,
”মেয়েটি কিছুক্ষন চুপ থেকে তার হাতের ড্রিংক টা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
—“সাম ড্রিংক’স…
—“নো…
—“কাম অন ইট’স নট ফেয়ার,
“এতটুকু বলে জোরজবরদস্তি করে মেয়েটা খাইয়ে দিল আমায়,সাথে সাথে মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো আমার,সামনে তাকাতেই রিয়াদ আর ওই মেয়েটার নাচানাচি দেখে আরো রাগ হচ্ছে আমার কোনোকিছু না ভেবেই চেঁচিয়ে ওয়েটারকে ডেকে কয়েক গ্রাস ড্রিংক অর্ডার করলাম,ওয়েটারও দিয়ে গেল তারপর গপাগপ খাওয়া শুরু…বুঝলাম না এত রাগ হচ্ছে কেন আমার…..

“আচমকাই পার্টির সব লাইট অফ হয়ে গেল’!!রীতিমতো অবাক সবাই কারন এইভাবে হুট করে লাইফ হয়ে যাবে এটা কেউ বুঝতে পারে নি,,আবারো লাইট অন হয়ে গেল আর লাউডে মিউজিক বেজে উঠল___
“Drunk N High” song ta…..

— “Ak hat main sarap tu jo pia mera sat
pita jao eti jao ni main sari sari rat…..(2)
“হাতে ড্রিংকের গ্লাস নিয়ে গানের সাথে মিলিয়ে উড়াধুরা নাচতে তানজু’!!সে কি করছে না করছে তা সে নিজেও জানে না….
“পার্টির সব ছেলেরা তো তাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে,আর রিয়াদের তো চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম,সে বুঝে গেছে তানজু ভুলভাল কিছু খেয়ে ফেলেছে,রিয়াদ দৌড়ে চলে যায় তানজুর কাছে তানজুর হাত ধরতেই তানজু রিয়াদের হাত ধরে নাচানাচি শুরু করে দিল,,রিয়াদ সামলানোর অনেক চেষ্টা করছে বাট রিয়াদ পারছে না….
“পার্টি আবারো জমে উঠলো,তানজু সবার সাথে জমকে ড্যান্স করছে আর রিয়াদ ওর পিছন পিছন যাচ্ছে,আজ রাতে তাকে যে এ মেয়ে পাগল করে ছাড়বে তা সে ভালোই বুঝতে পারছে…..
“এরই ভিতর আহান আসলো তানজুর সামনে তানজুর কাছে দাঁড়িয়ে বললোঃ

—“এসব কি করছো তানজু…
—“কিছুই করছি না চলো ভাইয়া আমরা নাচি বলেই আহানের হাত ধরে নাচানাচি শুরু করে দিল….
“আহান কিছু বলার আগেই একটা আমেরিকার ছেলে এসে বললো তানজুকেঃ
—“Let’s Dance….
“বলেই ছেলেটি তানজুর দিকে হাত এগিয়ে দিল,তানজুও নেশার ঘোরে তার হাত ছেলেটির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
—“ইয়াহ সিউর…
“ছেলেটি তানজুর হাত ধরতে যাবে তার আগেই রিয়াদ তানজুর হাত ধরে টেনে বাহিরে নিয়ে এলো রাগ হচ্ছে তার,
—“আহ্ ভাইয়া কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমি নাচবো…
—“আজকে তোকে ভালোমতো নাচাবো…
—“আমি যাবো না বাড়ি…
“বলেই তানজু রিয়াদের হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে চলে যায় আবার পার্টির ভিতর…
“তারপর আবারো নাচানাচি শুরু করে দেয়….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৯

“রাত_১ঃ০০টা…..
“একটা নির্জন রাস্তায় হেঁটে চলেছে রিয়াদ তানজু,রিয়াদের প্রচুর বিরক্ত লাগছে,এই মুহুর্তে তার মনে হচ্ছে আহানের কথা শুনে তানজুকে না নিয়ে আসলেই ভালো হতো কাজের কাজ তো কিছুই হলো না উল্টো এখন তানজুর পাগলী সহ্য করা লাগছে,,
“আর তানজু সেও দিব্বি এটা ওটা করে যাচ্ছে…

“কখনো এই দোকানের কাঁচ ভাঙছে,তো কখনো কোনো বুড়োর মাথা থেকে টুপি খুলে নিজের মাথায় পড়ে নিচ্ছে,আর রিয়াদ শুধু ওর পিছন পিছন যাচ্ছে আর এদের সবার কাছে সরি বলছে,একটা দোকানের তো টাকা না দিয়েই আইসক্রিম নিয়ে এলো….
“রিয়াদ হাবলার মতো শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে তানজুর কান্ড দেখছে,তানজুকে শান্ত করতে করতে ক্লান্ত সে….
“এমন সময় হুট করেই তানজু লাফ মেরে পিছন থেকে রিয়াদকে জড়িয়ে ধরল….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৩১