এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৪

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৪
Fabiha bushra nimu

হাসনা বেগমে’র মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে’।এখন সে’ ছেলেকে কি জবাব দিবে’।সত্যিটা যদি ছেলেকে বলা হয়।তাহলে আবির হয়তো’ হাসনা বেগমকে খুন করে-ও ফেলতে পারে’।রাগের বসে মানুষ পারে না’ এমন কোনো কাজ নেই’।
–তানহা একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক করেছিল’।তাকে বিয়ে করে তার সংসারে চলে গিয়েছে’।

–আমাকে তুমি বাচ্চা পেয়েছো’।যে,আমাকে বুঝাবে।আমি সেটাই বুঝবো’।মা’ আমি কিন্তু ভুলি নাই’।তুমি তানহা’র ওপরে কি পরিমাণ অত্যাচার করতে’।আচ্ছা আমি চলে যাওয়া’র পরে,তুমি অত্যাচার করে মেরে ফেলোনি’ তো’ আবার’।
–আবির এসব কি বলছিস বাবু’।মা’ হয়ে ছেলের খুশি কেঁড়ে নিতে পারি’।তোকে আগেই বলেছিলাম।ঐ’ ছোটলোকে’র বাচ্চা আমাদের খেয়ে একদিন আমাদে’র সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করবে’।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

–মা’ সাবধানে তানহার নামে একটা বাজে কথা বললে,আমি ভুলে যাব।তুৃমি আমার মা’ হও’।তোমার এই বাড়ি নিয়ে অনেক গর্ব তাই না’।যে,বাড়িতে আমার তানহা’র জায়গা হয় নাই’।সেই বাড়ি আজ আমি শেষ করে দিব।বলে’ই পুরো বাড়ির সবকিছু ভাঙতে শুরু করলো’।মারিয়া আর রোকেয়া বেগম এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে’।দু’জন ভয়ে চুপসে গেছে’।আবির একদম উন্মাদ হয়ে গেছে’।

এত বছরে’র তিলে তিলে গড়ে স্বপ্ন নিমিষে-ই টুকরো টুকরো করে দিল তার মা’।বুকের মাঝখানে হাহাকার পড়ে গেছে আবিরে’র। হারানোর যন্ত্রনা সহ্য করতে পারছে না আবির’।নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মানুষ হচ্ছে আবিরে’র।নিজকে যোগ্য করে তুলতে গিয়ে’।নিজের প্রিয় মানুষকে-ই হারিয়ে ফেললাম।এমন যোগ্যতা’র আমার দরকার নেই।আবিরের বাবা এসে,সবকিছু দেখে মুহুর্তে স্তব্ধ হয়ে যান।তিনি যে’ ভয়টা পেয়ে ছিলেন।

ঠিক সেটাই হলো,এখন আবির’কে সে’ কি জবাব দিবে’।মাহতাব সাহেব ছেলের কাঁধ হাত রাখতে-ই আবির বাবা’কে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দিল’।একটা ছেলে কতটা অসহায় হলে নিজের বাবা জড়িয়ে ধরে কান্না করতে পারে’।ছেলের কান্না দেখে মাহতাব সাহেবে’র বুক চিরে কান্না আসছে’।ছেলেদের কান্না করাটা বড্ড বেমানান’।সকল নিয়ম ভেঙে হাউমাউ করে কান্না করছে আবির’।ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে বলল আবির’।

–ও’ বাবা দেখো না।মা কি সব আজেবাজে কথা বলছে’।তুমি বলো না’।মা সবকিছু মিথ্যা কথা বলছে’।আমার সাথে মজা করছে’।তানহাকে ছাড়া আমার বুকের মাঝখানে ফাঁকা ফাঁকা লাগছে’।আমার খুব কষ্ট হচ্ছে বাবা’।প্লিজ তানহাকে নিয়ে এসে দাও।সত্যি আমি কিছু একটা করে ফেলবো’।আমি বাঁচতে পারবো না তানহাকে ছাড়া’।
মাহতাব সাহেব নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন’।

–কেউ কাউকে ছাড়া মরে যায় না আবির’।তানহার বিয়ে হয়ে গেছে’।এটা তোমাকে মেনে নিতে হবে’।
–আমি মানি না’।কেনো করলে তোমরা আমার সাথে এরকম’।পৃথিবীর সকল নিয়ম ভেঙে আমার তানহাকে চাই’।তানহা যদি দশ বাচ্চার মা-ও হয়ে যায়।তবু-ও আমি তানহা’কে কবুল করতে রাজি’।তোমরা একটা কথা ভালো করে শুনে রাখো’।তানহা যদি পাতালে থাকে’।তাহলে আমি তানহা’কে পাতাল থেকে বের করে নিয়ে আসবো’।আমি আমার তানহা’কে নিয়ে অনেক দূরে নিয়ে চলে যাব।এতটা দূরে চলে যাব।যতটা দূর গেলে তোমরা আর আমাদের খুঁজে পাবে না।তানহার নামে বাজে কথা বলে লাভ নেই’।আমি জানি তানহা কেমন মেয়ে’।বলেই দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো’।
আবির চলে যাওয়ার পরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হাসনা বেগম’।মাহতাব সাহেবর কাছে এসে বললেন’।

–তবে কি’ আমি ভুল করে ফেললাম’।তানহার প্রতি আমার রাগ আমাকে এতটা নিচে নামিয়ে দিয়েছে’।নিজের ছেলের কথা না ভেবে’।তানহার জীবন নষ্ট হবে’।তানহা সুখী হবে না।দেখে জেনেশুনে ইফাদ নামের ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলাম’।এখন আমার ছেলের কি হবে’।নিজ হাতে ছেলের এ’ কি’ বড় সর্বনাশ করে ফেললাম’।
কথা গুলো শেষ হবার সাথে সাথে হাসনা বেগমের গালে কষে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো মাহতাব সাহেব’।

–এতবড় কাজ করার আগে আমার মতামত নেওয়া প্রয়োজন মনে করলে না’।আমি জানতাম আবিরে’র মনে তানহার জন্য সফট কর্ণার কাজ করে’।কিন্তু এটা তো জানতাম আবির তানহাকে তোমার কাছে আমানত হিসেবে রেখে গিয়েছিল’।এটা যদি আমি আগে জানতাম।তাহলে তানহাকে এ’ বাড়ির বাহিরে এক পা’ রাখতে দিতাম না’।তুমি আমাকে বলেছে তানহা ইফাদকে পছন্দ করে’।সেজন্য বিয়েতে রাজি হয়েছো’।আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল।

তোমার মতো মহিলা তানহার কথা ভাবছে’।তোমার নাটক দেখে অবাক হয়ে ছিলাম’।তখন কিছু বলি নি’।কারণ তানহা বিয়েতে রাজি হয়েছিল।মেয়েটাকে অনেক খুশি দেখাচ্ছিল’।মেয়েটার খুশির কথা ভেবে আমি তখন চুপ ছিলাম।কম অত্যাচার করতে না মেয়েটার ওপরে’।তোমার থেকে বেঁচে গেছে’।মাঝখানে থেকে আমার ছেলেটা কষ্ট পাচ্ছে’।তোমাকে বলে না গিয়ে যদি আমাকে বলে যেত।

এতবড় দুর্ঘটনা আমি কখনো হতে দিতাম না’।আফসোস আবির আমাকে খুব ভয় পায়’।আজ আমাকে জড়িয়ে ধরে যেভাবে কান্না করলো’।বাহিরে যাওয়া’র আগে তানহা’র কথা আমাকে বলে যেত’।তাহলে আবিরের ভালোবাসার মানুষকে আমি ঠিক আগলে রাখতাম।কারন আমি তোমার মতো অকৃতজ্ঞ না’।আমি ভালোবাসার মর্ম বুঝি’।আমার এখন আফসোস হচ্ছে তোমার মতো মেয়েকে ভালোবাসে বিয়ে করাটা আমার জীবনে’র সবথেকে বড় ভুল’।কথা গুলো বলেই চলে গেলেন মাহতাব সাহেব’।

হাসনা বেগমের দু-চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে’।ত্রিশ বছর সংসার জীবনে এই প্রথম তার স্বামী তার গায়ে হাত তুললেন’।ভালোবাসে বিয়ে করেছিলেন দু’জন’।পৃথিবীর আদর্শ স্বামীদের মধ্যে মাহতাব সাহেব একজন’।তারা-ও তো’ ভালোবাসে বিয়ে করেছে’।তাহলে ছেলের ভালোবাসাটা কেনো বুঝলেন না’।এতকিছুর পরে-ও তানহার ওপরে খুব রাগ হচ্ছে’।আজ তানহার জন্য স্বামীর হাতে মার খেয়েছে সে’।তানহাকে কিছুতেই ভালো থাকতে দিবে না’।মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে নিল সে’।

আবির রুমে এসে,লাল টুকটুকে রংয়ের শাড়িটা বুকে চেপে ধরে কান্না করছে’।দেশে এসে তানহাকে বিয়ে করবে’।সেজন্য তানহার জন্য শাড়ি,চরি,গহনা,
মেক-আপ,চকলেট,লিপস্টিক,আলতা আরো অনেক কিছু নিয়ে এসেছে তার মনের রাণীর জন্য’।কিন্তু তার মনের রাণী আর তার নেই’।অন্য কারো হয়ে গেছে’।ভাবতেই পুরো শরীরের লোম দাঁড়িয়ে উঠলো’।আবিরের মনে হচ্ছে,কেউ তার কলিজাটা ভেতর থেকে বের করে নিয়ে আসছে’।

–আমার যখন টাকা ছিল না।তখন তুই ছিলি’।এখন আমার টাকা আছে’।কিন্তু তুই নেই’।আল্লাহর এটা কেমন বিচার রে’ তানহা।তোকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা আমার মৃত্যুর সমান হবে’।যার মনের রাজত্ব জুরে তোর বসবাস।সেই রাজ্যে অন্য রাণী কিভাবে রাজত্ব করবে’।আমি পারবো না।তোকে আমার চাই’।তুই কোথায় রে’ তানহা’।মা’ তোকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে’।কথাগুলো বলতে বলতে ফ্লোরে টান হয়ে শুইয়ে পড়ল আবির’।মনে শান্তি না পেলে,দুনিয়ায় কোনো কিছুই ভালো লাগে না’।বাঁচতে ইচ্ছে করছে না আবিরের’।

–তুই যদি আমার সাথে কথা না বলে,কল কেটে দিস।তাহলে আমার মরা মুখ দেখবি।বলে দিলাম’।বললেন রোকেয়া বেগম’।
–কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলুন।আমার সময় নেই’।তাড়াতাড়ি ঘুমাবো’।সকালে আমার কাজ আছে’।আমাকে কাজে যেতে হবে’।

–মায়ের ওপরে খুব রাগ হয়েছে’।আমার টাকা লাগবে না বাবা’।আমার তোকে লাগবে’।তুই পাঁচ বছর দেশের বাহিরে ছিলি’।পাঁচ বছরে যত টাকা উপার্জন করেছিস এতেই আমাদের চলে যাবে।বাবা তুই দেশে চলে যায়।ছোটখাটো একটা ব্যবসা করবি’।টাকার জন্য তোর আর দুর প্রবাসে থাকতে হবে না’।
–এটা সম্ভব নয়’।আমি দু’বছরের আগে দেশে যেতে পারবো না’।
–আমি যদি মরে যাই’।শেষ দেখার জন্য-ও আসবি না’।
–তোমার আগে যদি আমার লাশ কফিনে করে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়’।
–ইফাদ আমাকে রাগাবি না বললাম’।

–তাহলে তুমি আমাকে রাগাচ্ছো কেনো’।এমনিতেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে,আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছো’।এখন কি চাচ্ছো আমি মরে যাই’।দয়া করে আমাকে বাঁচতে দাও’।
–আমি তোকে ছোট থেকে মানুষ করেছি’।তোকে নিয়ে আমার কোনো আশা থাকতে পারে না’।তুই যদি কাউকে ভালোবাসতি তাহলে,আমি তোকে তার সাথে বিয়ে দিয়ে দিতাম।তুই কাউকে ভালোবাসিস না।তাই নিজের মন মতো বিয়ে দিয়েছি’।আমার ওপরে তোর এত রাগ।বেশ আমি তোকে কথা দিলাম।আমি মরে গেলে-ও তোকে আর ফোন দিব না।

যতদিন না পর্যন্ত দেশে আসবি।ততদিন তোর সাথে কথা বলবো না।বলেই কল কেটে দিলো’।
চৈতালি আর তানহা পাশাপাশি শুইয়ে আছে’।চৈতালি ফোনে ভিডিও দেখছিল’।হঠাৎ করেই বলে উঠলো’।
–ভাবি ভাইয়াকে দেখবে’।

–হ্যাঁ দেখলে মন্দ হয় না’।আমার পোড়া কপাল বিয়ে করেছি।এখন পর্যন্ত নিজের বরকে-ই দেখতে পেলাম না’।
চৈতালি ফোন থেকে ইফাদের একটা ছবি বের করে’।তানহার দিকে এগিয়ে দিল’।তানহা ছবিটির দিয়ে তাকিয়ে বলল’।
–মাশাল্লাহ একদম আমার স্বপ্নের পুরুষের মতো দেখতে’।বলেই ছবিটা বুকের সাথে মিলিয়ে নিল’।চৈতালি তানহার কান্ড দেখে মুখ টিপে হাসছে’।তানহা চৈতালির দিকে তাকিয়ে জিভে কামড় দিল’।তারপরে চৈতালির হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলল’।

–দেখি আম্মা কি করছে’।ঔষধ খেয়েছে কি’ না।
–হয়েছে থাক।এত লজ্জা পেতে হবে না’।তোমার-ই বর’।সারাজীবন দেখলে-ও পাপ হবে না’।এখন বলো তোমার স্বপ্নের পুরুষ বলতে গিয়ে বুঝালে’।
–কিছু না’।আমি আসছি’।

–তুমি না বললে,আমি তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে গিয়েছি’।তাহলে আমার থেকে কথা লুকাচ্ছো কেনো’।
–আসলে আমার ছোট বেলা থেকে ইচ্ছে ছিল।আমি শ্যামপুরুষ বিয়ে করবো’।তখন এতটা বুঝতাম না’।চাচি খালি বলতো আর একটু বড় হ খালি’।বিয়ে দিয়ে আপন বিদায় করবো’।তখন আমি চাচিকে বলতাম।আমাকে বিয়ে দিলে শ্যামলা ছেলের সাথে বিয়ে দিবে’।ফর্সা ছেলে আমার একদম পছন্দ না’।

–কেনো ফর্সা ছেলে তোমাকে কি করেছে’।
–ছেলে মানুষ ফর্সা হলে ভালো লাগে না’।আবার অতিরিক্ত কালো ছেলে-ও আমার কাছে ভালো লাগে না’।ছেলে মানুষ হবে না ফর্সা না কালো’।যাকে আমাদের ভাষায় শ্যামলা বলা হয়’।আর সবার পছন্দ এক না’।আমি যেটা পছন্দ করি’।তোমার সেটা পছন্দ নাও হতে পারে’।আমি আমার মনের কথা তোমাকে বললাম’।কাউকে বলবে না কিন্তু’।

–আমার কিন্তু ফর্সা ছেলে পছন্দ ভাবি’।ভাইয়া দেশে আসলে বলবে আমাকে ফর্সা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে’।বলেই লজ্জায় দু-হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললো চৈতালি’।
–কি পাজি মেয়ে আমি তোমার ভাবি হই’।একটু তো’ লজ্জা সরম করতে শিখো’।
–তুমি-ও তো বলেছিলে’।
–সেটা আমি ছোট থাকতে বলেছি’।
–আমি’ও তো তোমার ছোট বোন তাই না’।

–জানো আমার একটা ভাইয়া আছে’।দেখতে অনেক ফর্সা।বাহিরে পড়াশোনা করতে গিয়েছে’।ভাইয়া যখন ছিল চাচি আমার ওপরে অত্যাচার করতে পারতো না’।ভাইয়া আমাকে একবার বলেছিল’।ভাইয়া বড় হয়ে অনেক টাকা রোজগার করবে’।তারপরে আমাকে বিয়ে করে দূরে চলে যাবে’।যেনো চাচি আমাকে অত্যাচার করতে না পারে’।আমি সে’ কি কান্না জুড়ে দিয়েছিলাম’।ভাইয়া অনেক ফর্সা আর আমি তো ফর্সা ছেলে বিয়ে করবো না’।

টানা তিন ঘন্টা কান্না করার পরে’।ভাইয়া চকলেট দিয়ে কান্না থামিয়ে ছিল’।সেদিন চাচি আমার ছোট ছোট বেড়ে উঠা চুল গুলো ধরে অনেক মেরেছিল’।
–তুমি কিছু বলতে না তোমার চাচিকে’।তোমার ভাইয়া নাম কি’।বিয়ের সময় তো’ তোমার ভাইয়াকে দেখলাম না’।তোমার ভাইয়াকে-ই আমি বিয়ে করবো’।তুমি আমার ভাইয়াকে বিয়ে করেছো’।আমি তোমার ভাইয়াকে বিয়ে করবো’।হিসাব বরাবর’।

–আমার ভাইয়ার নাম আবির’।তার সাথে সংসার করতে পারবে তো’।বাবা আবির ভাইয়া যে’ রাগী দেখলেই আমার কলিজা শুকিয়ে যায়’।চাচি যেদিন আমাকে মারতো’ আমি রাগ করে তরকারিতে মরিচ গুঁড়ো বেশি দিয়ে দিতাম।লবন বেশি দিতাম।জিনিস নষ্ট করে ফেলতাম’।আমাকে দেখে যতটা ভালো মনে হয়’।আমি কিন্তু ততটা ভালো না’।খুব ঘাড় ত্যাড়া একটা মেয়ে’।আমি জানি আমি মার খাব’।তাহলে কেনো স্বাদের তরকারি রান্না করে খাওয়াবো’।কেউ আমাকে দশটা মারবে আমি তাকে একটা তো দিয়ে আসতে পারবো’।

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৩

–কি সাংবাদিক মেয়েরে বাবা’।আচ্ছা তোমার ঘাড়ে দাগ দেখলাম।তোমার চাচি মেরে দাগ করে দিয়েছে’।
–হুম’।
–মন খারাপ করো না ভাবি’।তোমাকে আর কেউ কষ্ট দিবে না’।তুমি আমাদের বাসায় রাজরাণী হয়ে থাকবে’।আমার ভাইয়া’ও অনেক ভালো’।একবার ভালোবেসে দেখো’।একটা মুহুর্ত ভাইয়াকে ছাড়া থাকতে পারবে না’।
–উনি ভালোবাসার সুযোগ দিলেন কোথায়’।বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল’ তানহা।

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৫