এক মুঠো প্রণয় পর্ব ১৫

এক মুঠো প্রণয় পর্ব ১৫
লেখনীতে একান্তিকা নাথ

এই কয়দিনে মেহেরাজ ভাইয়ের সাথে বহুবার কথা হলেও বরাবরই স্বল্প শব্দে উত্তর দিয়েছি।রান্নার কাজ সহ, খাওয়ার সময়ে প্রায়সময় আমি, মেহু আপু, মেহেরাজ ভাই একসাথেই কাজ করেছি।সময়ের ব্যবধানে এই একসাথে কাজ করা কিংবা অল্প সময় কাছ থেকে দেখাতে আমি বারবারই মুগ্ধ হলাম মেহেরাজ ভাই নামক মানুষটাতে।

এই মানুষটার ব্যাক্তিত্বের মতোই মানুষটার মধ্যে যত্ন, ভালোবাসা কোনকিছুরই কমতি নেই।এ কয়দিনে কতটুকু কি বুঝেছি জানা নেই, তবে এইটুকু বুঝেছি মেহেরাজ ভাই মানুষটা ভীষণ যত্নশীল।এই তো সেদিন শিমা আপা নেই বলে ভাতের মাড় ফেলার জন্য পাতিলটা হাতে নিতেই ছোঁ মেরে কেড়ে নিলেন মেহেরাজ ভাই।শাসনের সুরে বলে উঠলেন,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন হউন

” বলেছি না কাজ করবি না?এক্ষুনি যা।হাত পুড়ে গেলে তখন?”
মেহেরাজ ভাইয়ের এমন অনেক শাসানো বাণীই এই কয়েক দিনে শুনতে হয়েছে।প্রথম প্রথম কোন অনুভূতি না হলেও একটা সময় পর আমার কাছে এই বাণীগুলোই চমৎকার বোধ হলো।আজকাল কেমন জানি অদ্ভুত আলাদা ভালো লাগা হৃদয় ছুুঁয়ে যায় উনার এসব সচেতন বাক্য শুনে।

সেদিনে পর হঠাৎ একদিন মেহেরাজ ভাই একসাথে অনেকগুলো জামাকাপড় কিনে আনলেন।শুধু জামা নয় অবশ্য, শাড়িও এনেছিলেন।মেহু আপু বলেছিল এসব নাকি মেহু আপুকে নিয়েই কিনেছিলেন।আমি সেইবার আপত্তি জানালেও মেহেরাজ ভাই রাগে টানটান মুখ আর শক্ত চোয়ালেই থামিয়ে দিলেন।এর কিছুদিন পর একদিন রাতে ক্লান্তিতে শরীর নুইয়ে আসতেই রাতের বেলা না খেয়েই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।

মেহু আপু অনেক ডাকাডাকি করলেও কেন জানি না তখন ঘুমই আমার কাছে বেশি গুরুত্ব পেল। সেইদিন আমার বাটন ফোনে টানা ত্রিশবার কল দিলেন মেহেরাজ ভাই।বাসায় একা থাকি বলে নাম্বারটা একদিন মেহেরাজ ভাইই নিয়েছিলেন।তাই বলে এভাবে নাম্বারটাকে কাজে লাগাবেন আমি কখনোই ভাবিনি।মোবাইলের আওয়াজে শেষমেষ বিরক্ত হয়ে চোখ মেলে তাকাতেই হলো আমায়। কল রিসিভড করতেই ওপাশ থেকে মেহেরাজ ভাই গম্ভীর গলায় শুধালেন,

” দরজা খুল। খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।”
মেহেরাজ ভাইয়ের সে কথাটাও কেন জানি না আমার ভালো লাগল সেদিন।কিয়ৎক্ষন তব্দা মেরে বসে থেকে উঠে গিয়ে দরজা খুললাম।দেখলাম মেহেরাজ ভাই হাতে খাবার প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।মুখটা টানটান করা।চিবুক শক্ত!কপালে বিরক্তির ভাজ।

চোখমুখে একবার তাকিয়েই বুঝলাম উনি রেগে আছেন। কেন জানি না সেইদিন এই রাগটাও আমার ভালো লাগল।তবে ভালো লাগাটা প্রকাশ করলাম না অবশ্য।মেহেরাজ ভাই খাবারের প্লেট সমেত ঘরে ডুকলেন।চেয়ারের উপর প্লেটটা রেখে গিয়েই আবারও বের হয়ে বাইরে গেলেন।তারপর হাতে করে এক গ্লাস পানি এনে পাশে রেখে ক্ষোভ নিয়ে গম্ভীর আওয়াজে বললেন,

” চুপচাপ খেয়ে নিবি জ্যোতি।তুই বাচ্চা নোস যে তোকে জোর করে খাওয়াতে হবে।”
কথাটুকু বলেই উনার দাম্ভিক চেহারায় রাগ ফুটিয়ে চলে গেলেন।আমি অবশ্য সেদিন চুপচাপ খেয়ে নিয়েছিলাম।এরপরও অনেকবার মেহেরাজ ভাই শাসন করেছেন, সচেতন করেছেন।

আজকাল এসব ভালো লাগায় পরিণত হয়েছে।পৃথিবীতে নিজের খেয়াল রাখার মতো কাউকে পেলে নিঃসন্দেহে সবারই ভালো লাগে।আমার ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হলো না।এই যেমন পরশু যখন ছাদে গিয়েছিলাম তখন ছাদে মেহেরাজ ভাইও ছিলেন।উনাকে দেখে বেশিক্ষন না থেকে ছাদ ছেড়ে চলে আসতে নিতেই ছাদের দরজায় পা লেগে সাংঘাতিক ভাবে পড়ে গেলাম।হাতের তালুর দিকটা ছাদের খসখসে ফ্লোরে ঘষা খেয়ে বেশ খানিকটা কেঁটে গেল।সঙ্গে সঙ্গে ফিনিক রক্ত বের হলো। মেহেরাজ ভাই তা খেয়াল করেই রাগ ঝেড়ে চাপাস্বরে বললেন,

” দেখেশুনে হাঁটিস নাকি চোখ কপালে রেখে হাঁটিস?এত বড় মেয়ে হয়ে পড়ে যায় কিভাবে মানুষ?”
মেহেরাজ ভাইয়ের কথাটা চরম অপমানিত বোধ হলেও কেন জানি না আমার ভালো লাগল। নিজের দোষ স্বীকার করে স্পষ্টভাবে বলে বসলাম,

” খেয়াল করিনি। ”
মেহেরাজ ভাই ভ্রু নাচিয়ে প্রশ্ন ছুড়লেন,
” কি খেয়াল করিসনি?”
নিরস গলায় বললাম,

” এভাবে পড়ে যাব বুঝে উঠিনি।”
” পড়ে গিয়ে হাত কেঁটে বুঝে উঠিনি বললে লাভ আছে?”
আমি একপলক তাকিয়ে গলা ঝেড়ে বললাম,
” কেউ পড়ে গেলে এভাবে রাগ ঝেড়ে কথা বললেও তো বিশেষ লাভ নেই মেহেরাজ ভাই।”
মেহেরাজ ভাই আমার কথাটায় বিরক্ত হলেন।কপাল কুঁচকে ঝুঁকে দাঁড়ালেন আমার দিকে। নিজের বলিষ্ঠ হাতটা বাড়িয়ে দিলেন আমার দিকে।তারপর শান্তভাবে বললেন,

” উঠ। ”
আমি উনার দিকে চাইলাম।হাতটা না ধরেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়লাম।মেহেরাজ ভাই বুক টানটান করে সোজা হয়ে দাঁড়ালেন। হাত দুটো টাউজারের পকেটে গুঁজে সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতেই বললেন,

” গুড!নিজে নিজে যেমন দাঁড়ালি?ঠিক তেমনই নিজেকে নিজে সেইফ রাখাটাও শিখ।”
কথাটুকু বলে মেহেরাজ ভাই নেমে গেলেন।পিঁছু পিঁছু নামলাম আমিও।বাসায় পা রাখতেই দেখলাম মেহেরাজ ভাই সোফায় বসে আছেন।আমাকে দেখেই বলে উঠলেন,

” এদিকে আয়।”
আমি না গিয়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকলাম। কেন ডাকছেন তা বুঝার চেষ্টা করলাম।কিন্তু বুঝে উঠার আগেই মেহেরাজ ভাই দ্বিতীয়বার রাগ ঝেড়ে বলে উঠলেন,
” কি হলো কথা শুনতে পাসনি?”
মাথা নাড়িয়ে বললাম,

” পেয়েছি।”
উনি ডান ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
” তো দাঁড়িয়ে আছিস কেন?”
আমি এবার কথা বাড়ালাম না।উনার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। মেহেরাজ ভাই মাথা তুলে তাকালেন একবার শীতল চাহনীতে। এরপর বললেন,

” কোন হাত কেঁটেছে?”
” ডান হাত।”
” হাত দে।”
আমি এবারও উনার কথা শুনলাম না।হাত না বাড়িয়ে দিয়ে সূক্ষ্ম চোখে উনাকে খেয়াল করলাম। মেহেরাজ ভাই বোধহয় এবারও বিরক্ত হলেন।ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
” কি হলো?”
বললাম,
” না মানে, কেন? ”

মেহেরাজ ভাই এবার জবাব দিলেন না।নিজ থেকেই আমার ডান হাতটা টেনে নিলেন।কাঁটা জায়গাটা পরিষ্কার করে মলম লাগিয়ে দিলেন।তারপর আর কোন কথা না বলে উঠে চলে গেলেন।আমি পুরোটা সময় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম আর সবকিছু খেয়াল করে গেলাম।একটা মানুষ এতটা যত্ন করতে পারে?ছোটবেলা থেকে যত্ন না পাওয়া আমার কাছে এইটুকু যত্নই বিশাল মনে হলো।

এইটুকু খেয়াল রাখাও অনেক বেশি বোধ করলাম।মনে মনে মুগ্ধ হলাম।ভালোবাসার মানুষ থেকে স্বল্প যত্নও বৃহৎ খুশির কারণ হয়।মাঝে মাঝে আপসোস হয় কেন উনার ভালোবাসা পেলাম না।যদি উনার ভালোবাসা পেতাম তবে নাজানি কতোটা যত্নে আগলে রাখতেন উনি?আচ্ছা, সামান্তা আপুকে কতোটা যত্নে রাখতেন উনি?ইশশ!আমার ভাগ্যে যদি উনার ভালোবাসাটুকু জুটত?আনমনে এসব অহেতুক ভাবনা ভেবেই আবার সেই ভাবনাকে তীব্র জেদের অন্তরালে লুকিয়ে রাখি।

হঠাৎ হওয়া সেই সাদামাটা, যন্ত্রনাময় বিয়ের পর সেই বিধ্বস্ত রূপে এই বাসায় আসার পর মাস পার হলো।ধীরে ধীরে সময় কাঁটল।বাড়ি যাওয়ার সময় হয়ে আসল যেন খুব দ্রুত।টেস্ট পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগেই বাড়ি যাওয়ার সময় ঠিক হলো।আমি ব্যাগ গুঁছিয়ে রাখলাম রাতেই।সকালে উঠে হাত মুখ ধুঁয়ে রুম ছেড়ে বের হয়েই মেহু আপুর ঘরে গেলাম।মেহু আপু তখনও বেঘোরে ঘুমাচ্ছে দেখে আবারও ফেরত আসলাম নিজের ঘরে।

জানালা দিয়ে কয়েক পলক তাকিয়েই ভাবলাম, এটাই হয়তো এই বাসায় কাটানো শেষ দিন।বাড়িতে যাওয়ার পর দাদীকে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে বুঝাতে হবে যাতে আমাকে আর এখানে ফেরত না আসতে হয়।বাড়িতে যন্ত্রনা, কষ্ট, অপমান যাই থাকুক তবুও একজনের ঘাড়ে দায়িত্ব হয়ে পড়ে থাকার থেকে স্বস্তি আছে।কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই ঘন্টা পার হলো।জানালার ওপাশে তাকানো অবস্থাতেই কানে এল মেহেরাজ ভাইয়ের গলা ঝাড়ার আওয়াজ। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম মেহেরাজ ভাই আমার পেছনেই দাঁড়িয়ে আছেন।মেহেরাজ ভাইয়ের নিঃশব্দে চলন সম্পর্কে জানা আছে বলেই অবাক হলাম না আর।বলল,

” কিছু বলবেন মেহেরাজ ভাই?”
মেহেরাজ ভাই তাকালেন। বুকে হাত গুঁজে বললেন,
” বিকালে রওনা দিব।ব্যাগ গুঁছিয়ে নিস। ”
” ব্যাগ গুঁছিয়ে ফেলেছি রাতেই।”
” এত তাড়া?”

” তাড়া তো একটু থাকবেই মেহেরাজ ভাই।ওখানে দাদী আছেন, মিথি আছে, মিনার ভাই আছে।সব আপন মানুষদের রেখে এসেছি ওখানে। তাড়া থাকবে না?”
মেহেরাজ ভাই ঠোঁট চওড়া করে কিছু বলতে নিতেই মোবাইলে আওয়াজ হলো। আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম। মিনার ভাই নামটা জ্বলজ্বল করছে বাটন ফোনের চারকোনা স্ক্রিনে।বোধহয় দাদীই কল দিতে বললেন।যাওয়ার কথা শোনার পর থেকেই কাল থেকে এই পর্যন্ত বেশ কয়েকবার কল দিয়ে ফেলেছেন দাদী। যেন অধীর আগ্রহে আমার যাওয়ার অপেক্ষা করে আছেন।আমি হাসলাম হালকা। মোবাইলটা তুলে নিতে নিতেই মেহেরাজ ভাইকে বললাম,

” কিছু বলবেন মেহেরাজ ভাই?বলে ফেলুন। ”
মেহেরাজ ভাই একনজর মোবাইলের দিকে তাকিয়েই বললেন,
” তেমন কিছু নয়।তুই কথা বলে নে। আর হ্যাঁ, বিকালে তৈরি হয়ে থাকিস।”
কথাটুকু বলেই চলে গেলেন উনি।আমি একনজর তাকিয়ে মিনার ভাইয়ের কল উঠালাম।বললাম,

” মিনার ভাই,এত সকালে কল দিয়েছো?দাদী বলল বুঝি?”
মিনার ভাই কয়েক মিনিট চুপ থাকলেন।তারপর বলল,
” না, দাদী বলেনি।”
ফের প্রশ্ন করলাম,

” তবে?তুমি কল দিয়েছো?”
” কেন?আমি বুঝি কল দিতে পারি না তোকে? ”
” তেমন ভাবে বলিনি মিনার ভাই।”
মিনার ভাই প্রসঙ্গ পাল্টে জিজ্ঞেস করল,
” কখন আসছিস?”
জবাবে বললাম,

” মেহেরাজ ভাই বলেছে বিকালে রওনা দিবে। আসতে আসতে রাত হবে। ”
” ওহ।আচ্ছা রাখছি।”
মিনার ভাই কথাটা বলেই কল রাখলেন।আমি ছোট্ট শ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ালাম।মেহু আপুর ঘরে গিয়ে মৃদু আওয়াজে ডাকলাম,

” আপু?উঠবে না?”
মেহু আপু চোখমুখ কুঁচকে তাকালেন।ঘুমজড়ানো কন্ঠে বললেন,
” জ্যোতি?এত তাড়াতাড়ি কি করে উঠিস ঘুম থেকে?”

কথাটা বলেই আপু আবারও চোখ বুঝে নিলেন। আমি হাসলাম কেবল। মেহু আপু বয়সে আমার থেকে বড় হলেও মাঝে মাঝে কেন জানি না আমার কাছে আপুকে বেশ প্রাণবন্ত তরুণী বয়সের কোন মেয়ে মনে হয়।যে হাসতে জানে, গাইতে জানে, মজা করতে জানে, আবার গম্ভীরভাবে কথাবার্তাও বলতে পারেন।কোন সময় বেশ প্রাণবন্ত তো কোনসময় বেশ গম্ভীর।

বিকাল হলো।মেহু আপুকে বিদায় দিয়ে রওনা হলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। রিক্সায় মেহেরাজ ভাই আর আমি পাশাপাশি একসাথেই বসলাম।মাঝেমাঝে রাস্তার আঁকেবাঁকে রিক্সার ঝাকড়ানোতে মেহেরাজ ভাইয়ের শরীর আর আমার শরীর মিলিয়ে গেল।সেই অপ্রত্যাশিত শরীরের ছোঁয়ায় তীব্র অস্বস্তিতে আমি আড়ষ্ট হয়ে থাকলেও মেহেরাজ ভাইয়ের মুখভঙ্গিতে তেমন কোন আড়ষ্টতার ছাপ পড়ল না।

উনি বেশ স্বাভাবিক ভাবেই টানটান চাহনী নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে থাকলেন।একপর্যায়ে রিক্সা থামল। মেহেরাজ ভাই নামার আগেই আমি নামলাম দ্রুত।এক হাতে ব্যাগটা নিতেই মেহেরাজ ভাই নামলেন।ভাড়া মিটিয়ে শীতল চাহনীতে এক নজর আমার দিকে তাকিয়েই ব্যাগটা কেড়ে নিলেন।পা বাড়াতে বাড়াতে বললেন,

” রিক্সা থেকে ওভাবে লাফিয়ে নামলি কেন?পড়ে গেলে কি হতো? তোর কাঁটাছেড়া হাত পা সমেত তোকে তোর দাদীর কাছে পৌঁছে দিয়ে আসতাম?”
আমি শুনলাম। পা চালিয়ে বললাম,
” আমাকে যথাযথ সুস্থ আর আঘাতবিহীন হিসেবে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন?”
মেহেরাজ ভাই আমার দিকে তাকালেন।ভ্রু নাচিয়ে বলে উঠলেন,

” তো তোকে আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম?”
তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসলাম।বললাম,
” আজকের পর তো শেষই আপনার দায়িত্ব।এতদিন সুসম্পন্ন ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারলে শেষ একদিনে আর এমন কি হয়ে যাবে?”

এক মুঠো প্রণয় পর্ব ১৪

আমার কথার বিনিময়ে মেহেরাজ ভাই উত্তর দিলেন না।আমিও আর আগ বাড়িয়ে কথা বললাম না। অল্প সময় পর বাসে উঠলাম। পাশাপাশি বসলেন মেহেরাজ ভাইও।বাসের সিটে দুইজনের মাঝে অল্প দূরত্ব থাকায় এবার আর অস্বস্তি হলো না।চার কোণা জানালার ওপাশে চোখ রেখেই দৃষ্টি স্থির করলাম।যাত্রাপথের অর্ধেকটা পথই কাঁটল জানালার ওপাশের বাইরের দৃশ্যপট দেখতে দেখতেই।

এক মুঠো প্রণয় পর্ব ১৬