কারনে অকারনে ভালোবাসি পর্ব ১৮

কারনে অকারনে ভালোবাসি পর্ব ১৮
Suraiya Aayat

আইডির নামটা কি দেখি তো আর একবার , ছবিটা জোশ আছে ৷ নামটা হলো
” Papia Akter ” যাহ,,নামের সাথে মুখের মিল নেই,, দেখতে যতোটা কিউট নামটা ততোটাও না কিন্তু ট্যালেন্টেড তো , মি অভদ্রর জন্য পারফেক্ট ৷ কোন মেডিকেলে পড়ে দেখি তো ৷

” স্যার সালিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ৷” সমস্যা নাই বর বউয়ের কলেজের মাঝে একটু দূরত্ব না থাকলেও মানায় না ৷ মি ঃ অভদ্রর ঢাকা মেডিক্যাল আর তার বউ স্যার সালিমুল্লাহ মেডিক্যাল ,ওয়াও পারফেক্ট ৷ দেখে তো মনে হয়না তে রিলেশানশিপে আছে তাহলে তো বিয়ে ফাইনাল করা যাই, আমার মি অভদ্র কি কম হ্যান্ডসাম নাকি ? হি ইজ মিস্টার পারফেক্ট বাট আই এম আনপারফেক্ট ফর হিম ৷”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কথাটা বলতে বলতে গলাটা ধরে এলো আরুর , নিজের স্বামীর বিয়ের জন্য নিজেই মেয়ে খুঁজছে ফেসবুকে , আর আরিশ যদি এই কথাটা একবার জানতে পারে তাহলে ওর যে কি হবে তা ও জানে না ৷
আরু বিড়বিড় করতে লাগলো
” আপুটার বাসা গুলশান তারমানে আপুর সাথে একদিন দেখা করতে হবে তারপর কথা বাত্রা ফাইনাল করতে হবে ৷”
কথাটা বলতে না বলতেই ফোনের টুঁংটাং নোটিফিকেশনে চমকে উঠলো আরু ,আরিশ sms করেছে

” tumi ghumaoni Aru pakhi? Jage acho kano akhono?”
Sms টা দেখামাত্রই আরু নেটটা অফ করে ভয়ে হাত থেকে ফোনটা ফেলে দিলো যেন এক্ষুনি আরিশ ফোনের ভিতর থেকে হাত বাড়িয়ে ওর গালে একটা থাপ্পড় দেবে ৷
ঘড়ির দিকে তাকালো আরু, রাত 2.30 টা বাজে , আরিশের জন্য মেয়ে খুঁজতে গিয়ে প্রচুর মেয়ের আইডি ঘাটাঘাটি করেছে তাই এতো রাত হয়ে গেল ৷ ফোনটা রেখে দিয়ে আরু তাড়াতাড়ি ওড়নাটা হাতে নিয়ে ছুটলো আরিশের মায়ের রুমের দিকে , আরিশ একটু পরে বাসায় ফিরে যে কি করবে তার নেই ঠিক সেই ভয়ে ৷ আরেকটু হলে প্লাজোটা পায়ে আটকে ধাম করে পড়তো তবুও সামলে নিলো ৷ আরু অনিকা খানের রুমের সামনে গিয়ে দরজা ধাক্কাতে লাগলো

” ফুপি, ও ফুপি…..”
হঠাৎ এতো রাতে আরুর গলা পেয়ে উনি ধড়ফড়িয়ে উঠলেন , আফজাল খানের ও ঘুম ভেঙে গেল উনিও ঘুমের ঘোরে বললেন
” আরু মায়ের গলা না ? ডাকছে দেখো তো কি হলো ৷”
উনি তাড়াতাড়ি করে উঠে দরজা খুলতেই দেখলো আরু ভয়ে ভয়ে পিছনের দিকে তাকাচ্ছে তা দেখে উনি বললেন
” কি হয়েছে রে আরু মা এতো রাতে ছুটে এলি যে ৷”
আরু ওনাকে জড়িয়ে ধরে মিথ্যে মিথ্যে বলল
” আমি ঘুমাচ্ছিলাম আর একটা খারাপ স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়েছি আর মি অভদ্র ও তো বাসাতে নেই ভয় লাগছে , আমি তোমার কাছে ঘুমাবো ফুপি ৷”
তখন আফজাল খান বললেন

” ও ভয় পাচ্ছে অনিকা তুমি বরং ওর রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ো আর একটু পর তো আরিশ ফিরবে আর তখন খুঁজে না পেলে আবার চিন্তা করবে ৷”
আরু ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে বলল
” না আমি এখানেই ঘুমাবো তোমাদের সাথে ,আমি কোথাও যাবো না ৷”
কথাটা বলে আরু রুমে ঢুকে বিছানায় শুয়ে পড়লো, অনিকা খান ও দরজা দিয়ে আরুর পাশে শুতেই আরু ওনাকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো ৷ আরু ওনাকে জড়িয়ে বলল
” ফুপি আমাকে গল্প শোনাও তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসবে ৷”
উনি আরুর মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললেন

” গল্প না সত্যি কথায় বলি , আরিশ তোকে অনেক ভালোবাসে, তোকে ও বিয়ে করবে আমরা তো কখনও ভাবিই নি কিন্তু আরিশ যে নিজের মনে মনে তোকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে রেখেছে কবে থেকে জানতাম ই না ৷ ”
আরু ওনার কথার মাঝে বলে উঠলো
” এই জন্যই তো ওনাকে মি অভদ্র বলি , যেচে মহান হওয়া যেন ওনার স্বাভাব হয়ে গেছে নাহলে কি আর আমার মতো মেয়েকে বিয়ে করে ৷”
উনি ধমকে বললেন
” আরু আবার!”
আরু ওনাকে আরও খানিকটা জড়িয়ে ধরে বলল

” থাক থাক হয়েছে হয়েছে , বললাম কি আর করলে কি ! বললাম যে গল্প শোনাতে আর তুমি এখানে নিজের ছেলের গুনগান করছে বসলে , থাক তোমাকে আর গল্প বলতে হবে না আমার এমনিই ঘুম চলে আসবে ৷”
অনিকা খান হেসে উঠলেন আর মৃদু কন্ঠে বললেন
” কিছু কিছু জিনিস কঠিন হয় চাইলেও অস্বীকার করা যায় না তেমনি আরিশ ও ৷”
আরু চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর ভান করছে কিন্তু কানে যাচ্ছে সব কথায়, মানুষটা এতো ভালোবাসে কেন ওকে?
কথাটা ভাবতে ভাবছে ঘুমিয়ে গেল আরু ৷

3.45বাজে, 15 মিনিট লেট হয়ে গেছে ফিরতে, 15 মিনিটে একটা পেশেন্ট দেখছিলো আরিশ নাহলে সবসময় টাইম মেইনটেইন করে চলে ৷ সিঁড়ি বেয়ে রুমে ঢুকতেই দেখলো রুমের দরজা ফাঁকা ৷ ঘরের লাইট দিতেই দেখলো ঘর ফাঁকা আরু নেই , ফোনটা বেডের ওপর ই রয়েছে ৷ আরিশের বুঝতে বাকি রইলো না কি হয়েছে , আরুর ফোন থেকেই সানার ফোনে কল দিলো আরিশ , এতো রাতে কল আসায় সানা বিরক্ত হয়ে বলল

” কি হয়েছে আরু এতো রাতে কল দিলি !”
সানার এমন কথা শুনে বুঝলো যে সানার সাথে আরু নেই, আরিশ কল কেটে দিলো আর শার্টটা খুলে রেখে দিলো , প্রথমে ভাবলো যে ওর আম্মুর রুমে গিয়ে ডাকবে কিন্তু এতো রাতে ওর মায়ের ঘরে গিয়ে ডাকাটাও বেমানান তাই আরিশ আর গেল না, চুপচাপ শুয়ে পড়লো ৷ রাগ লাগছে আরুর ওপর ৷ আরুর ফোনটা অন করলো আরিশ , লক দিয়ে রেখেছে আবার পাসওয়ার্ড ও চেষ্জ করেছে , ফোনটা রেখে শুয়ে পড়লো , রাতের হিসাবটা দিনে মেটাবে ৷

সকাল সকাল ঘুমের ঘোরে টলতে টলতে আরু নিজের রুমে এলো এসে দেখলো আরিশ শুয়ে আছে , আরুর এখনও ঘুমের ঘোর কাটেনি তাই ওউ আর কোন কথা না বাড়িয়ে আরিশের পাশে শুয়ে পড়লো ৷ আরিশ জেগে আছে কিন্তু আরু বুঝতে পারেনি ৷ আরু ও গিয়ে আরিশের পাশে চিটপটাং হয়ে শুয়ে পড়তেই আরিশ আরুর হাত ধরে হিচড়ে কাছে টেনে আনতেই আরু ঘুমের ঘোরে বলল
” কি হলো আপনার আবার ?”
আরিশ আরুকে ওর দিকে ঘুরিয়ে বলল

” কালকে রাতে আম্মুর ঘরে গেলে কেন তুমি ? আর অতো রাত অবধি জেগে কি করছিলে বলো ?”
আরুর ঘুমের ঘোর টা কেটে গেল,
আরু এবার ঘাবড়ে গিয়ে বলল
” আমার ভয় লাগছিলো তাই গিয়েছিলাম ৷ আর আমি নেট অন করেই ঘুমিয়ে গেছিলাম তাই আপনি অনলাইনে পেয়েছেন আমাকে ৷”
আরিশ আরুর দিকে ঝুকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে যা আরিশের চোখ মুখ দেখেই সহজে বোঝা যাচ্ছে ৷ আরু শুকনো ঢোক গিলে বলল

” এভাবে তাকাচ্ছেন কেন? আমি সত্যিই বলছি ৷”
আরিশ আরুর গলা থেকে ওড়নাটা ফেলে দিলো, আরু অবাক হলো আর চমকেও গেলো ৷আরিশ আরুর কাধ থেকে টপটা খানিকটা সরিয়ে দিয়ে কামড়ে দিলো জোরে ৷ আরু আহহ করে চেঁচিয়ে উঠলেও আরিশ ছাড়লো না , আরিশ সরে আসতেই দেখলো আরুর চোখ থেকে জল গড়াচ্ছে তা দেখে আরিশ বিছানা থেকে নেমে গেল আবার কিছু একটা ভেবে আরুর শরীরের ওপর হালকা ভর রেখে আরুর কাধে কামড়ে দেওয়া অংশটাতে ঠোঁট বোলাতেই আরু কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল

” থাক থাক , সারাদিন খালি কামড়া কামড়ি করেন, আমি ব্যাথা পাই না বুঝি ! ”
” পানিশমেন্ট ৷”
আরিশ মুচকি হেসে আরুর গলায় হালকা কাঁপা কাঁপা ঠোঁট ছোয়াতেই আরু আরিশের শার্টটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো, আরিশের ঠোঁটের স্পর্শ বাড়ছে আর ততই বাড়ছে আরুর উন্মাদনা ৷ আরিশ আগের অবস্থান থেকেই বলল
” আগে পুরোপুরি সুস্থ হও তারপর না হয় সব ব্যাথা একসাথে দেবো তখন অভিযোগ জানিও ‌৷”

আরু কিছু বলল না, আরিশের কথার মানে ওর কাছে একদম স্পষ্ট , মানুষটার মুখের এমন লাগামছাড়া কথাগুলোর কারনেই আরুর মনে হয় যে সে একজন অভদ্র প্রেমিক যে কোনকিছুর ই পরোয়া করে না ৷ আরিশ আরুর ওপর থেকে সরলো না আর আরু ও আরিশকে সরিয়ে দিচ্ছে না যদি রাগ করে !আরিশ একেই কালকে রাতে অনেক রাগিয়ে দিয়েছে তার ফলাফল হিসাবে ফ্রি তে একটা কামড় ও জুটেছে কপালে ৷ কথাটা ভেবে আরু ও আরিশকে খানিকটা কাছে টেনে জড়িয়ে ধরলো , বেশ কিছু খন পর আরিশ বলল
” এতো কাছে টেনে নিচ্ছো কেন আরুপাখি ? দূরে সরিয়ে দাও নাহলে যা হবে এই মুহূর্তে সহ্য করতে পারবে না ৷”

কথাটা শোনামাত্রই আরুর হাতের বাধন আলগা হয়ে এল, ও উ সবকিছুর জন্য প্রস্তুত না তাই বেশি কাছে না টানায় শ্রেয় ৷
আরিশ সরে আসতেই আরু পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো , আরিশ কিছু বলল না , আরুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো অনেকখন , মেয়েটা তার কাছে একটা তীব্র আসক্তি যার নেশাতে আরিশ আসক্ত ৷

” আরু একটু নীচে আয়তো আম্মু,,তোর মা ফোন করেছে তাড়াতাড়ি আয় ৷”
আরু বসে বসে পপকর্ণ খাচ্ছিলো আর ফোন দেখছিলো তখনই নীচে থেকে অনিকা খান ডেকে উঠলেন ৷ আরিশ ল্যাপটপ এর দিকে তাকিয়ে বলল
” তাড়াতাড়ি যাও আর তাড়াতাড়ি আসবে , 5 মিনিটের মধ্যে ব্যাক করবে ৷ আমি কাজটা কমপ্লিট করে পড়াবো তোমাকে আর আসার সময় সানাকেও ডেকে আনবে ৷”

আরু পপকর্নটা আরিশের ল্যাপটপের ওপর রেখে চলে গেল, আরিশ রাগী চোখে তাকালে আরু জিভ ভাঙচি দিলো ৷ আরু দৌড়াতে দৌড়াতে নিচে গেল আর এদিক থেকে আরিশের হুংকারের সহিত ধমক এলো
” ঠিক করে হাটো নাহলে থাপ্পড় দিবো ৷”
আরু লাফাতে লাফাতে নীচে গেল , খপ করে অনিকা খানের হাত থেকে ফোন নিয়ে বলল
” হ্যাঁ আম্মু বলো ‌৷”
আফসানা বেগম বললেন

” বলছিলাম কি তোকে তো বলায় হয়নি যে তোর নানাভাই আর মধু বাসায় চলে গেছে আর যাওয়ার আগে তোর সাথে দেখা করতে পারেনি , একপ্রকার অভিমান নিয়েই তোর নানাভাই চলে গেছে ৷ মধু যেতে চাইনি তবুও যেতে হয়েছে ৷”
আরু হাতের মুঠোতে থাকা পপকর্ন গালে দিয়ে বলল
” ওহহ , তা এখন কি অবস্থা আর এতো রাগ অভিমান কিসের আর কার প্রতি ?”
” তোর অপারেশনের দিন তোর নানাভাই আরিশকে যা নয় তাই বলছিলো তাই তোর বাবা রেগে গিয়ে দু চার কথা বলেছিলো সেই কারনেই অভিমান ৷”
আরু পপকর্ণ চিবোতে চিবোতে বলল

” এতো কারনে অকারনে অভিমান করলে চলে? তা এখন কি করার ?”
” তুই আর আরিশ গিয়ে একটু ঘুরে আয় তাহলে যদি ওনার রাগটা কমে ৷”
” উনি তো আরিশ ভাইয়াকে পছন্দ করেননা তাহলে যদি আরও রেগে যায় ৷”
পাশ থেকে অনিকা খান ধমক দিয়ে বলল
” আরিশ ভাইয়া কি রে ? ও কি এখনো তোর ভাইয়া ?”
আরু কথাটা শুনে জিভ কেটে এক আলিফ টেনে বলল
” আআআআ রিশ ৷”

ফোনের ওপাশ থেকে আফসানা বেগম মুচকি হেসে ফেললেন ৷ অনিকা খান হাসতে হাসতে কিচেনে গেলেন ৷
আফসানা বেগম হাসি থামিয়ে বললেন
” শোন আজকে বলেছিস বলেছিস কিন্তু আর বলবি না ৷”
আরু ভ্রু কুঁচকে বলল
” কি বলবো না?”
” আরিশের নাম ধরে আর ডাকবি না, স্বামীর নাম ধরে না ডাকাটাই ভালো ৷”
আরু খুশি হয়ে বলল
” হ্যাঁ সেই জন্যই তো মি ঃ অভদ্র বলি ৷”
উনি আবার কঠিন সুরে টেনে বললেন

” আরুউউউউ ৷”
” তোমরা যা বলাবা বলো আমি মি অভদ্র বলেই ডাকবো ৷ ”
” কি করে বোঝাই ! যাই হোক কবে যাবি একটু আরিশের কাছ থেকে জেনে আমাকে বলিস ৷”
” ওনার তো আর একমাস পরই ফাইনাল এক্সাম আর আমার মেডিক্যাল এর ডেট পড়ে গেছে তুমি তো জানোই , আর 21 দিন পর ৷ এর মধ্যে কি করে যাবো?”
” তার আগে একটু সময় পেলে যাস ৷”
” আচ্ছা আম্মু আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করে বলি ৷”
” আচ্ছা ৷”

কারনে অকারনে ভালোবাসি পর্ব ১৭

আরু ফোনটা নিয়ে অনিকা খানের কাছে ছুটে গেল গিয়ে বলল
” ফুপি তুমি কথা বলো আমি আসছি নাহলে আআআরিশ থুড়ি মি অভদ্র আমার ক্লাস নেবে ৷”
কথাটা বলে আরু ছুটলো , যাওয়ার আগে সানাকে ডাকলো ৷ রুমে ঢুকে দেখলো আরিশ এক গাদা বই পত্র নিয়ে বিছানার ওপর জমা করেছে যেগুলো কয়েক কয়েক মাস আগে আরুর সব কমপ্লিট হয়ে গেছে মে বি সেগুলোই আবার রিভাইজ করাবে ‌৷”
আরু গিয়ে ভদ্র বাচ্চার মতো বসে বলল

” আই এম প্রেজেন্ট মি অভদ্র স্যার ৷”
আরিশ আরুর দিকে একবার তাকিয়ে বলল
” আজকে পড়া না পারলে খবর আছে ৷”
আরু একটু হেসে বলল
” আগেই আপনি আমাকে মেরে খবর বানাবেন তাই তার আগে কি আমি একটু আমার ফোনটা দেখতে পারি ?”
আরিশ ধমক দিলো
” নো মোর ওয়ার্ডস ৷”
আরুও বিরক্ত হয়ে এক একটা বই ঘেটে দেখলো,পুরোনো পড়াগুলো মনে করার চেষ্টা করছে , আরিশ আড় চোখে তাকিয়ে মুচকি হাসলো ‌৷

কারনে অকারনে ভালোবাসি পর্ব ১৯