ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ২৯
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ
❝আমি শিলার থেকে পারমিশন নিয়েই তানিশা কে বিয়ে করছি।আর শিলা নিজের মুখে বলেছে আমি যাকে ভালোবাসি আমার তাকেই বিয়ে করা উচিত।যেখানে শিলা কোনো ঝামেলা করছে না সেখানে তোর প্রবলেম টা কোথায়?❞
জিসান তখন রেগে গিয়ে বললো,ভালোবাসা?তোমার এই ভালোবাসা এতোদিন কই ছিলো?এনগেজমেন্ট করার সময় মনে ছিলো না?
নোমান তখন বললো,জিসান ঝামেলা করিস না।সবার আগে শিলাকে জিজ্ঞেস কর তুই।সে কি বলে শোন আগে।তারপর আজেবাজে কথা বলিস।
শিলার বাবা তখন নোমানকে বললো,আমরা শিলার মুখে শুনেই তোমার কাছে এসেছি।শিলা নিজের মুখে বলেছে তোমাকে না পেলে সে নিজের জীবন শেষ করে ফেলবে।
নোমান তখন বললো,একটু ওয়েট করেন আংকেল।আমি নিজে কথা বলছি।এই বলে নোমান শিলাকে কল দিলো।বাট সে রিসিভ করলো না।নোমান তখন আবার কল দিলো।এবারও শিলা রিসিভ করলো না নোমানের ফোন।তখন নোমান বললো,জিসান তুই ফোন দে তো একটু।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
জিসান সেই কথা শুনে কল দিলো শিলাকে।আর শিলা সাথে সাথে রিসিভ করলো।
জিসান তখন বললো, শিলা নোমান তোর সাথে কথা বলতে চায়।
শিলা নোমানের কথা শুনেই বললো,আমি বলবো না কথা।এই বলেই সে কল কেটে দিলো।আর জোরে জোরে কাঁদতে লাগলো।
নোমান তখন আবার জিসানের ফোনটা নিলো।আর নিজেই আবার কল দিলো জিসানকে।এবার শিলা রিসিভ করেই বললো,বার বার কেন কল দিচ্ছিস?বললাম তো আমি ওনার সাথে কথা বলবো না?
নোমান তখন বললো, শিলা?
নোমানের কন্ঠ শুনে শিলা তার কান্না থামালো।সে নরমাল হওয়ার ট্রাই করলো।তবুও তার কন্ঠ শুনে বোঝাই যাচ্ছে সে কাঁদছে।তারপর কান্না বিজড়িত কন্ঠে বললো,হ্যালো।
নোমান তখন বললো,শিলা তুমি কাঁদছো কেনো?তুমি তো নিজেই বললে, আমি যাকে ভালোবাসি আমার তার সাথেই বিয়ে করা উচিত।তাহলে?
শিলা তখন কাঁদতে কাঁদতে বললো, হ্যাঁ বলেছি।সেটা আমার মুখের কথা ছিলো।বাট আমার মন কিছুতেই মানছে না।আমি আমার মনকে কিছুতেই বোঝাতে পারছি না।আমি আপনাকে ছাড়া আর দ্বিতীয় কাউকে গ্রহন করতে পারবো।সরি।এই বলেই শিলা হু হু করে কেঁদে উঠলো।
নোমান এই প্রশ্নের কি উত্তর দেবে এখন?সে তো পুরাই ফান্দে পড়ে গেলো।শিলা তার সাথে এটা কি করলো?এইভাবে গাছে উঠিয়ে দিয়ে কি করে মই সরিয়ে নিলো?
এদিকে শিলার বাবা বার বার হুমকি দিতে লাগলো তার মেয়ের কিছু হলে সব কয়টার নামে মামলা করবেন তিনি।
এদিকে জিসানের এক কথা তার বোনকেই বিয়ে করতে হবে।সে আর অন্য কোনো অপশন দিচ্ছেই না।
নোমান তখন বললো আচ্ছা আপনারা সবাই চলে যান এখন।আমি কিছুক্ষণ পরে আমার ফাইনাল সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি।
জিসান সেই কথা শুনে বললো, নোমান কোনো চালাকি করলে কিন্তু খবর আছে তোর?আর তুই কিসের সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছিস?শিলা কে বিয়ে করতে হবে এটাই ফাইনাল।
এবার শিলার বাবা তায়েব চৌধুরীর কাছে গেলো।আর বললো,তুই আমার বন্ধু মানুষ। তুই কি করে এই কাজটা করতে পারলি?আমার মেয়ে আগে না ওই পরের মেয়েই আগে?
তায়েব চৌধুরী তখন বললো তোরা যে নোমানের সাথে শিলার এনগেজমেন্ট করিয়েছিস আমাকে জানিয়েছিস কিছু?তাহলে এখন কেনো আমাকে দোষারোপ করছিস?তোরা আমাকে না জানিয়ে যদি এনগেজমেন্ট করাতে পারিস,তাহলে আমি আমার পছন্দ করা মেয়ের সাথে নোমানের বিয়ে কেনো দিতে পারবো না?
–ও তাহলে তুই হলি আসল কালপিট।তোর কারনেই নোমানের সাহস এতো বেড়ে গেছে?আচ্ছা আমিও দেখবো কি করে এই বিয়ে টা হয়?এই বলে শিলার বাবা সবার সামনে নোমান আর তানিশার বিয়ের কার্ড ছিড়ে ফেললো।আর সেখান থেকে চলে গেলো।বোঝাই যাচ্ছে তিনি বড় কোনো মতলব করতে যাচ্ছেন।কিন্তু তায়েব চৌধুরী ও কাঁচা খেলোয়াড় নন।তিনিও জানেন কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে?
তায়েব চৌধুরী এবার শিরিন কে বললো,মা, সত্যি করে মন থেকে বলো তুমি কি চাও?
শিরিন কোনো কথা বললো না।
তায়েব চৌধুরী বুঝে গেলো শিরিনও তানিশাকে এ বাড়ির বউ হিসেবে দেখতে চাচ্ছে না।তখন তায়েব চৌধুরী বললো, তুমি আজ একটু তোমাদের বাড়ি যাও।আর শিলাকে আরেকবার বোঝাও।
শিরিন সেই কথা শুনে বললো, কি বোঝাবো ওকে আমি ?সে তো কারো কথাই শুনতে চাচ্ছে না।এই বলে শিরিন তার রুমে চলে গেলো।
তায়েব চৌধুরী এবার নোমানের কাছে গেলো।আর বললো,কিছু না বুঝেই যে একটা কাজ করেছিস এখন কিভাবে সামলাবি সামলা?আমি কিন্তু এ ঝামেলার মধ্যে নেই আর।
নোমান তখন তার বাবাকে চমকে দিয়ে বললো, বাবা আজকেই আমি তানিশাকে বিয়ে করবো।তাহলেই আর এসব ঝামেলা হবে না।অনুষ্ঠান পরেও করা যাবে।
তায়েব চৌধুরী মনে মনে ভাবলো, ছেলের তো ভালোই উন্নতি হয়েছে দেখছি।ঠিক এটাই তায়েব চৌধুরী ও ভাবছিলেন।বিয়ে হয়ে গেলে তারপর কি করে করবে শিলার বাবা।তার আগে আমানকে বলে একটা জিডি করে রাখতে হবে।যদি শিলা এক্সিডেন্ট খারাপ কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে কিছুই হবে না তাদের।
এজন্য তায়েব চৌধুরী নোমানকে বললো,তাড়াতাড়ি করে তানিশাদের বাড়ি চলে যা।আমি কিছুক্ষণ পরে যাচ্ছি।
নোমান সেই কথা শুনে আর এক মুহুর্ত ও দেরী করলো না।তাড়াতাড়ি করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।তারপর তানিশাকে কল করলো,আর জিজ্ঞেস করলো সে এখন কোথায় আছে?
তানিশা জানালো তারা কেনাকাটা শেষ করে বাসার দিকেই যাচ্ছে।
নোমান সেজন্য বললো,ওকে যাও।আমিও আসছি তোমাদের বাসার দিকে।নোমান আর এসব ঝামেলার কথা বললো না তানিশাকে।কারন তানিশার একটু দয়া বেশি। একটুতেই সে ইমোশনাল হয়ে যায়।হয় তো এসব কাহিনি শুনে আবার নোমানকে সে দান করতে চাইবে।যেমন তন্নির কাছে তাকে দান করতে চেয়েছিলো।
তানিশারা নোমানের আগেই পৌঁছেই গেলো তাদের বাসায়।সে বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়েও নিলো।তারপর লেমন কালারের একটা থ্রী পিচ পরে নিলো।সে এখনো বুঝতে পারে নি যে আজকেই তাদের বিয়ে হবে।তবে তানিশার মন টা কেমন যেনো করছিলো।সে শুধু ভাবছে নোমান এখন হঠাৎ কেনো আসতে চাচ্ছে?
কিছুক্ষণ পর নোমান আসলো তানিশাদের বাসায়।আর এসেই সে তহিদুল সাহেব কে বললো, আংকেল বাবা চাচ্ছিলো আজকেই বিয়েটা হোক।পরে ধুমধামে অনুষ্ঠান করবেন তিনি।
তহিদুল সাহেব অবাক হয়ে বললো,কেনো?
–এমনিতেই আংকেল।অনুষ্ঠানের দিন তাহলে আর বিয়ে পড়ানো লাগবে না।আজ বিয়ের পড়ানোর কাজ টা সেড়ে ফেললে ভালো হবে।
–কিন্তু আত্নীয়স্বজনদের যে ইনভাইট করা হয়েছে।তাদের কেউ কেউ তো আজ থেকেই আসা শুরু করবে।
–নোমান সেই কথা শুনে বললো,যারা আসবে তাদের কে বললেন বিয়ের ডেট কয়েকদিন পেছানো হয়েছে।
নোমানের কথা শুনে তহিদুল সাহেব সোহান আর তানিয়াকে বললো ব্যাপারটা।তারাও ভীষণ অবাক হলো কথাটা শুনে।হঠাৎ করে বিয়ে মানে?নিশ্চয় কিছু হয়েছে?কিন্তু নোমান এই ঝামেলার কথা বললো না কিছু।
তানিশা তার রুমেই ছিলো।নোমানের কন্ঠ শুনে সে বের হয়ে আসলো রুম থেকে।আর নোমানের কাছে এগিয়ে এসে বললো,কি হয়েছে আপনার?হঠাৎ আবার আসলেন যে?
নোমান তখন বললো, কেনো?শশুড় বাড়িতে আসতে বারন আছে নাকি? তানিশা সেই কথা শুনে লজ্জায় হেসে উঠলো।আর সেখান থেকে চলে গেলো রুমে।আর মনে মনে ভাবতে লাগলো,নোমান সবার সামনে এভাবে না উত্তর দিলেও পারতো।
এদিকে তহিদুল সাহেব নোমানের কথা শুনে বিয়ের বন্দোবস্ত করতে লাগলো।তানিয়া আর সোহান নিকটতম মেহমান দের ফোন করে করে জানিয়ে দিলো যে বিয়ে কয়েকদিন পর হচ্ছে।আর তানিশার মা রান্না বান্না জোগাড় করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।এইভাবে সবাই সবার কাজে ব্যস্ত থাকলো।আর নোমান এই ফাঁকে চলে গেলো তানিশার রুমে।
এই প্রথমবার সে তানিশার রুমে ঢুকলো।ঘরটি বেশ সুন্দর।আর অনেক বড়।একটা বক্স খাট,ড্রেসিং টেবিল,একটা বই রাখা সেল্ফ,আর একটা আলমারি আছে।রুমের মধ্যে আকর্ষণীয় একটা সোকেচ ও আছে।যাতে রয়েছে হরেক রকমের শো পিচ।তানিশা যে সৌখিন একটা মেয়ে তা তার রুমে এলেই বোঝা যাবে।রুমের সাথের বেলকুনিটা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়।ঠিক নোমানের বেলকুনির মতো।বেলকুনিতে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য ছোটো ছোটো চারটা টুল আর বড় একটা টেবিল ও আছে।এর আগে যখন নোমান তানিশার গ্রামে গিয়েছিলো,তখন অবশ্য তানিশার রুমেই ছিলো সে।
তানিশা তার বিছানায় বসে নতুন ড্রেস গুলো গুছিয়ে রাখছে।নোমান হঠাৎ যাওয়ায় সে যেনো একদম চমকে উঠলো।।
নোমান কে দেখামাত্র তানিশা বললো, আপনি?আপনি এ রুমে কি করছেন?বাসার কেউ দেখলে কি ভাববে?
নোমান তখন তানিশার কাছে গিয়ে বললো, কেউ যাতে কিছু আর না বলে সেই ব্যবস্থা করার জন্যই এসেছি।দেখি তারপর আর কে কি বলে?
তানিশা তখন বললো, মানে?বুঝলাম না কিছু?
–ও তোমাকে বুঝতে হবে না।শুধু বিয়ের জন্য রেডি হও এখন।
তানিশা সেই কথা শুনে বললো,বিয়ে?আজকেই বিয়ে?কিন্তু কেনো?
নোমান সেই কথা শুনে তানিশাকে জড়িয়ে ধরে বললো, হুম। আজকেই বিয়ে।দুই দিন ওয়েট করে থাকার ধৈর্য্য নেই আমার।সেজন্য আজকেই করতে হচ্ছে বিয়েটা।
তানিশা তখন নোমানকে সরিয়ে দিয়ে বললো, এতো বছর ওয়েট করলেন,আর এখন দুইদিনই সহ্য হচ্ছে না?
–না।হচ্ছে না।তাছাড়া তুমি যে হাত টাও ধরতে দিতে চাও না।শুধু পালিয়ে পালিয়ে যাও আমার থেকে।সেজন্য আর যাতে পালাতে না পারো সেজন্য আজকেই করতে হচ্ছে বিয়েটা।
তানিশা তখন বললো, আপনি এমন কেনো বলুন তো?আগে জানলে,,,,,।
–আগে জানলে কি?এই বলে নোমান তানিশার আরো কাছে এগিয়ে আসতে হলো।
হঠাৎ তায়েব চৌধুরীর গলা শুনে নোমান তানিশাকে ছেড়ে দিলো।আর বললো,বাবা মনে হয় এসেছে।তুমি জলদি রেডি হয়ে নাও।আমি আসছি।এই বলেই নোমান বেড়িয়ে গেলো তানিশার রুম থেকে।
নোমানের কথা যেনো তানিশার মাথার উপর দিয়ে চলে গেলো।সেজন্য সেও বের হলো রুম থেকে।বাহিরে গিয়ে দেখে সত্যি তার আজকেই বিয়ে হবে।কারণ তায়েব চৌধুরীর সাথে কাজি সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন।
তানিশাকে দেখামাত্র তানিয়া এগিয়ে এলো।আর বললো,নোমান আজকেই বিয়ে করতে চাচ্ছে।তোর কোনো সমস্যা নেই তো?
তানিশা তখন বললো, আমার তো সমস্যা নেই।কিন্তু যাদের ইনভাইট করা হয়ছে তাদের কি হবে?
তানিয়া তখন বললো,আমি আর তোর দুলাভাই কিছু কিছু জায়গায় ফোন করে বারণ করে দিয়েছি।এখন তুই ঝটপট গোসল করে রেডি হয়ে নে।
তানিশা বুঝতে পারছে না সে কি ড্রেস পড়বে?কত আশা করলো ধুমধামে তার বিয়ে হবে।কত সুন্দর করে সাঁজবে।সব একদম ধূলিসাৎ হয়ে গেলো।তবে সে বুঝতে পারলো কিছু একটা তো হয়েছেই।কিন্তু কাকে জিজ্ঞেস করবে সে এই মুহুর্তে?
কিন্তু তানিশা আর কাউকে বাড়তি কথা জিজ্ঞেস না করে একা একাই সাজতে লাগলো। বিয়ের দিন পড়বে বলে যেটা ঠিক করেছিলো সেই খয়েরী কালারের লেহেঙ্গা টাই পড়ে নিলো সে।আর তার সাথে ম্যাচিং করা সেই খয়েরী পাথর বসানো জুয়েলারির সেট।খয়েরী নেকপিচ,বড় বড় কানের দুল,আর খয়েরী কালারের টিকলি পড়ে তানিশাকে একদম অপ্সরাদের মতোই লাগছিলো।মাথার চুলগুলো উঁচু করে খোপা করে নিলো।তারপর খয়েরী কালারের এক জোড়া হাইহিল পড়ে নিলো।পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির তানিশাকে যেনো ৫ ফুট দশের মতো লাগলো।মানে সে এখন নোমানের সমান সমান হয়ে গেলো।দুইজন পাশাপাশি দাঁড়ালে এতো সুন্দর লাগবে ভাবতেই তানিশার অন্য রকম এক অনুভূতি হলো।
এদিকে নোমান রেডি হওয়া বাদ দিয়ে বাহিরেই দাঁড়িয়ে আছে।কারন সে নাকি রেডি হবে না।তার কথা ঘরোয়া বিয়েতে আবার কিসের সাঁজগোজ? যে ড্রেস পড়া আছে তাতেই চলবে।
কিন্তু সোহান কিছুতেই শুনলো না নোমানের কথা।সে বললো,শালাবাবু আমার শালিকার পাশে দাঁড়াতে হলে বিয়ের সাঁজেই দাঁড়াতে হবে।কারণ সে কিন্তু নরমাল ড্রেসে নাই,একদম বিয়ের কনের সাজেই সেজেছে।নোমান সেই কথা শুনে বললো, তাহলে আগে দেখে আসি ওকে।
–না,না।এখনি না।বিয়ের পর এমনি দেখতে পাবা।এখন চলো রেডি করে দেই আগে।এই বলে সোহান নোমানকে রেডি করাতে নিয়ে গেলো।
ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ২৮
নোমানও খয়েরী কালারের শেরওয়ানী পড়লো।তাকে বর সেজে এতো বেশি লজ্জা লাগছিলো যে সে শুধু ভাবছে সবার সামনে যাবে কেমনে।আর মনে মনে বললো,আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।এই দুই চারজনের সামনেই এরকম লাগছে তাহলে বড় করে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হলে তখন কি হতো?