তুমিই আমার প্রিয় নেশা সিজন ২ গল্পের লিংক || সুরাইয়া আয়াত

তুমিই আমার প্রিয় নেশা সিজন ২ পর্ব ১
সুরাইয়া আয়াত

নতুন বউকে বাসর ঘরে বসিয়ে রেখে চলে যাওয়া মাত্রই বছর পয়ষট্টির একজন মধ্যবয়সী মহিলা এসে তার ওপর এসে চড়াও হলো,
‘বাপের বাড়িতে তো কম কিছু নেই, তারপরও তোমার বাপ তো আমার নাতিনকে একটা সোনার ঘড়ি আর তোমাকে পাঁচ ভরি স্বর্ণ ছাড়া তো কিছুই দিলো না। তা তোমাকে কি কুঁড়িয়ে পেয়েছিল নাকি গা যে এতো কম জিনিস দিয়ে নামে নামে বিদায় করেছে! ‘

কথাটা শোনা মাত্রই নূর খানিকটা কেঁপে উঠলো, এতদিন তার বাবার কাছ থেকে অনেক অপমান সহ্য করলেও এতো বড়ো কথা তাকে কেউ কোনদিন বলেনি। মহিলার পাশে থাকা বউটার শরীর স্বর্ণে মোড়ানো, তার কি এই ভাবে থাকতে অস্বস্তি লাগছে না? বউটা মুখের ঘোমটা টেনে মুচকি হাসছে। নূরের অস্বস্তি বোধ হলো খুব।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

নতুন বউ এখন কিছু বললেই তার বাপের বাড়িতে নালিশ চলে যেতে হয়তো দুই মিনিট ও সময় লাগবে না, তারপর শুরু হবে তার বাবার কাছে অকথা কুকথা। নূর বিধায় চুপ করে রইলো, সেই সুযোগে বয়স্ক মহিলাটি আরও খানিকটা কথা শুনিয়ে দিলেন নূরকে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বউটা কথার মজা নিচ্ছে, এতো কিছু শুনে তার কান বোধহয় সার্থক, তাই সে এবার ওনাকে থামিয়ে বলল,

‘দাদি আপনি এবার থামেন। আয়াশ আসলে সে-ই না হয় বাকি কথা বলবে। আপনার নাতিকে তো আপনি চেনেন, বাকিটা তার ওপরই ছেড়ে দেন। ‘
মহিলা এবার মুখে কুলুপ আটলেন, নূর ভাবতে লাগলো যে তার সদ্য বিয়ে করা স্বামী ও কি এদের সকলেরই মতোই? তার লাইফে এ এক নতুন ড্রামা!
উনি এবার বিদায় নেবেন জেনে নূর দীর্ঘশ্বাস ছাড়তেই উনি এমন কিছু বললেন যেটা নূরের হুদয়কে ক্ষতবিক্ষত করার জন্যই যথেষ্ট।
উনি বললেন,

‘ শুনলাম জন্মের সময় নিজের মা ডারে তো খাইয়াই ফেলাইছো, এবার আমার নাতিনরে আবার খাইয়া ফেইলো না। ‘
কথাটা বলে উনি ঘর ছেড়ে চলে গেলেন।
নূরের বুকের ভিতর একপ্রকার মোচড় দিয়ে উঠলো । এই কথাটার প্রভাব এতদিন তার জীবনে পড়েছে ঠিকই তবে এতোটা আঘাত দিয়ে কেউ ওকে বলেনি কখনো।

নূর চোখ মুছলো, ভালো লাগছে না আর কিছু, ইচ্ছে করছে রজনীগন্ধা আর গোলাপ দিয়ে সাজানো এই পরিপাটি খাটটা ভেঙে তছনছ করে দিতে, খুলে ফেলুক নিজের শরীরের এ বধূ সাজ, এ গহনার স্বল্প ভারও তার কাছে অতীব মনে হতে লাগলো, হৃদয়টা তেতে উঠলো এক নিমেষেই।
চোখের কোনে জল জমতেই দরজা খোলার প্যাঁচপ্যাঁচ আওয়াজ কানে ভাসতেই নূর মুখ তুলে তাকালো, এটা তো সেই লোক যার সাথে ওর বিয়ে হয়েছে আজ।

বিয়ে করেছে বললে ভুল, এই লোক তাকে জোর করে বিয়ে করেছে। আয়াশকে দেখা মাত্রই নূরের মুখে খানিকটা রাগের আভা ফুঁটে উঠলো।
তবে এই লোক আর পাঁচটা নতুন বরের মতো না যে বাসর ঘরে সাদা শেরওয়ানি পরে নতুন বর সেজে ঢুকবে, উনি তো পরে এসেছেন একটা ব্ল্যাক শার্ট যার ওপরের দিকের দুটো বোতাম খোলা যার দরুন তার ফরসা লোমশ উন্মুক্ত বক্ষ দৃশ্যমান, আর পরনে একটা ডেনিম জিন্স।

নূর আয়াশকে বেশ খানিকখন পর্যবেক্ষণ করে দেখতে লাগলো, লোকটা নেহাতই সুর্দশন পুরুষ আর এক বাদামী বর্নের অক্ষিযুগলের অধিকারী, যাতে তার সৌন্দর্য আরও খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। নূর আয়াশের মাথা থেকে পা অবধি পর্যবেক্ষণ করে দেখা শেষ করতেই আয়াশ কঠিন স্বরে জবাব দিল,
‘ দেখা শেষ? নাকি চোখের ইশারায় আমাকে এখনই খেয়ে ফেলেছো কোনটা? ‘

আয়াশের বলা ‘খেয়ে ফেলা’ আর মধ্যবয়স্ক মহিলাটির বল’খেয়ে ফেলা’ শব্দটি মাঝের তফাতটা নূর ভালো ভাবেই বুঝলো। এটাও বুঝতে পারলো যে লোকটি নেহাতই ঠোঁট কাটা স্বভাবের।
তবে নূর বেশ চমকে উঠলো আয়াশের এমন উত্তরে, বিছানা থেকে নেমে আয়াশের সামনে সালাম করতে গেল, বাসর ঘরে ওকে বসিয়ে রেখে চলে যাওয়ার আগে অবধি একজন বলে গেছে যে আয়াশ ঘরে ঢুকলে তাকে সালাম করতে।
নূর সালাম করে উঠে দাঁড়ানো মাত্রই আয়াশ তার পতি ক্রিয়া হিসেবে নূরের হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে তাকে দেওয়ালের সাথে আটকে হাত দিয়ে বন্দী করে নিলো।

নূর এবার খানিকটা ভয়ে ও লজ্জায় কুঁকড়ে যেতেই আয়াশ তার মুখটা উঁচু করে ধরলো,
‘ সমস্যা কি তোমার? ‘
নূর না বোঝার ভান করে বলল,
‘আবার আবার কি সমস্যা হবে? সমস্যা তো আপনার। ‘
আয়াশ ভ্রু কুঁচকালো। নূরের দিকে মুখটা এগিয়ে আরও খানিকটা গাঢ় স্বরে বলল,
‘আমার কোন সমস্যা নেই তা আর খানিকক্ষণ পরে বুঝতে পারবে। ‘

নূর বুঝতে পারলো আয়াশ তাকে কি বোঝাতে চাইছে, তা ওর কথা বলার ধরনে স্পষ্ট, এই লোক নেহাতই লুচু স্বভাবের, নূরের খানিকটা অস্বস্তি হতে লাগলো। রেগে বলল,
‘তাহলে আমারও কোন সমস্যা নেই। ‘
কথাটা বলে নূর চলে যেতে নিলেই আয়াশ পুনরায় তাকে আবদ্ধ করে নিল,

‘সমস্যা না থাকলে তাহলে আমার ঘরে আমার বিছানায় এতক্ষণ বসেছিলে কেন? ‘
নূর আহাম্মক বনে গেল। নতুন বউ তার নিজের স্বামীর ঘরে আর তার বিছানার ওপর অধিকার দেখাবে এতোদিন অবধি এটাই জানতো সে তবে আজ এই লোক তাকে অন্য কিছু বোঝাতে চাইছে। নূর কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। আয়াশ নিজে থেকেই বলল,

‘অন্য কিছু করার শখ তাইনা! মানে ওই যে!’
নূর আয়াশের মুখটা চেপে ধরলো হাত দিয়ে যাতে তার মুখ থেকে আর একটাও লজ্জাদায়ক কথাবার্তা না বেরিয়ে আসে।
আয়াশ হাত ছাড়িয়ে বলল,

‘তোমার সাহস তো কম না। এতোই যখন বিয়ে করার শখ তাহলে তখন সবার সামনে এতোবার না না বলছিলে কেন? বললেই হয় বিয়ে করতে চাও আমাকে।’
আয়াশের কথা শুনে আজ কি হয়েছিল তা নূরের মনে পড়ে গেল নিমেষেই।

বর্তমানে নূর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ল এর স্টুডেন্ট, দ্বিতীয় বর্ষের। তার বাবা আরাফাত একজন সায়েন্টিস্ট ছিলেন, এখন অবসর নিয়েছেন কাজ থেকে। তবে মাঝে মাঝেই কোন কিছুর উদঘাটন করার তীব্র জেদ চেপে বসে ওনার মাঝে, যা ভীষন ভাবে এফেক্ট ফেলেন ওনার জীবনে, তখন তিনি উন্মাদের মতো আচরন করেন। তবে তিনি কি এমন জিনিস আবিষ্কার করতে চেয়েছেন তা সম্পর্কে উনি কখনো কাউকে বলেননি।
নূরের জন্মের সময় তার মা মারা যায় তারপর থেকেই আরাফাত সাহেব ভ্রুনাক্ষরেও নূরকে সহ্য করতে পারেন না,বলা চলে জন্মের প্রথম দিন থেকেই।

নূরের বড়ো ভাইয়া ইমন সে চিটাগং এ থাকে, আর তার ভাবী তাদের সাথে ঢাকায়। ইমন মাসে দুইবার করছ বাসায় ফেরে। বোনকে ছোট থেকেই আগলে আগলে রেখেছে সে। কাল সে বাসায় ফিরতেই আরাফাত সাহেব শুরু করছেন নূরের বিয়ে নিয়ে পর্যালোচনা যা নূরের একদম পছন্দ হয়নি।
আর তার ভাবী মায়া নূরের বোনের সমতুল্য, কখনো নিজের ব্যাবহারে মায়া বুঝতে দেইনি যে তাদের মাঝে রক্তের সম্পর্ক নেই।

তবে আজ সকালে হঠাৎ আরাফাত সাহেব চিৎকার করে পুরো বাড়ি মাথায় করেন, নূরকে তিনি খুঁজছিলেন, আর সেই অবস্থায় নূর ভার্সিটিতে ছিল।
ওনার বন্ধুর ছেলের সাথে উনি নূরের আচমকাই না বলে কয়ে বিয়ে ঠিক করেন যার দরুন আজ আয়াশ তার স্বামী।
নূর বিয়ে করতে রাজি না থাকলেও আচমকা তাকে দেখামাত্রই আয়াশ তাকে আজকেই বিয়ে করবে বলে জানাতেই নূর রেগে যায়।

এই ব্যাডার নূরকে দেখামাত্রই লাভ এট ফাস্ট সাইড বলে কোন ফিলিংস এসেছিল বলে তো নূরের তা মনে হয় না।
আর আজই তাদের বিয়ে হয়ে যায়, ওর পরনে থাকা সব গহনা নূরের ভাবীর, যেগুলো আসার পথে মায়া ওকে জোর করে পরিয়ে দিয়েছে যাতে শ্বশুর বাড়ি এসে তাকে কোনভাবেই অপদস্থ না হতে হয়, তবে তাতেও বোধহয় শেষ রক্ষা হলো না, কিছুক্ষণ আগে তাকে কথা শুনিয়ে চলে গেলেন সম্পর্কে আয়াশের দাদী।

নূর বাস্তবে ফিরে এলো, সম্বিত ফিরতেই দেখলো আয়াশ তার খুব কাছে। যতক্ষণে সে আয়াশকে দূরে সরাতে যাবে তার পূর্বেই বেশ জোরপূর্বক ভাবে তার কাধে কামড়ের ব্যাথা অনুভব করলো নূর। ব্যাথায় আহ করে শব্দ করে উঠতেই কামড়টা আরও খানিকটা জোরে বসলো।
কামড় বসিয়ে আয়াশ ওর থেকে সরে এসে দাঁড়ালো।

‘এভরি রিয়েকশান হ্যাজ এন অপজিট রিয়েকশান। এত জোরে না চেঁচালে এতো জোরে কামড় ও দিতাম না। ‘
নূর কামড় দেওয়া জায়গাটায় হাত ছোঁয়াতে লাগলো, চোখটা খানিকটা ছলছল করে উঠল ব্যাথায়। নতুন বউকে কেউ এভাবে স্বাগত জানায় তা নূরের জানা ছিল না, পরক্ষনেই তার মনে হলো, হ্যাঁ তার জীবনের গল্পটা তো বাকিদের থেকে ভিন্ন।

নূর কামড়ে দেওয়া জায়গাটা হাত দিয়ে বোলাতে বোলাতে বিছানার একপাশে গিয়ে বসলো। ব্যাথায় নূরের ঠোঁটজোড়া অনবরত কাঁপছে।
আয়াশ সেদিকে তোয়াক্কা করলো না কোনরকম। সে শার্টের একটা বোতাম খুলে চেয়ার টেনে টেবিলে গিয়ে বসে পড়লো। পেন আর খাতা নিয়ে কিসব লিখতে লাগলো তা নূর জানে না। নূর আয়না দিয়ে আয়াশকে দেখতে লাগলো, সে খুব মনোযোগ সহকারে কিছু লিখছে।

সে ই হয়তো একমাত্র মেয়ে যে জানে না তার স্বামী কি করে,আর তার নাম ই বা কি। বিয়ে পড়ানোর সময় নামটা একবার শুনেছিল তবে এখন তা আর মনে নেই। অনেকক্ষন ধরে নূর চেয়ে রইলো আয়াশের দিকে। ব্যাথাটা খানিকটা কমেছে।
নূর পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো। তার সাথে ঘটে যাওয়া এ দুঃস্বপ্ন কেবলমাত্র ঘুমালেই দূর হবে।
নূর চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলো।

বেশ কিছুক্ষণ পর আচমকা শরীরে সুড়সুড়ি অনুভব হলেও নূর গুরুত্ব দিলো না বিশেষ। কেউ তার শরীর থেকে গহনা খুলে দিচ্ছে। নূর ঘুমের ঘোরে বিড়বিড় করে বলল,
‘ওগুলো আমার ভাবীর। খুলে নেবেন না প্লিজ। ‘
এরপর আচমকা কামড় দেওয়া স্থানে ঠোঁটের স্পর্শ পেতেই নূর কেঁপে উঠলো। চটজলদি চোখ মেলে পাশ ফিরতেই দেখলো আয়াশ তার দিকে তাকিয়ে হাসছে, তার চোখে এক অন্য নেশা। নূর খানিকটা ভয় পেয়ে উঠে বসার চেষ্টা করতেই আয়াশ তার হাতটা চেপে পুনরায় শুইয়ে দিয়ে বলল,

‘ আজ থেকে তুমিই আমার প্রিয় নেশা, আফুসোনা। ‘
নূর বুঝতে পারলো যে কি হতে চলেছে তার সাথে। আয়াশের চোখে মুখে সেই নেশা প্রকাশ পাচ্ছে, সে নূরকে নিজের করে নিতে চাইছে কিন্তু নূর কিছুতেই তা হতে দেবে না। এতো অপ্রস্তুতভাবে নূর কখনোই নিজেকে অন্যের কাছে সপে দেবে না।
‘ছেড়ে দিন আমাকে। আমার ঘুম পাচ্ছে। আমি সেসব কিছুই করবো না যা আপনি করতে চান। ‘
আয়াশ নূরের হাতটা টেনে তার নিজের সাথে জাপটে নিয়ে বলল,

‘আমি কখন কিছু বললাম যে কিছু করবো। তুমিই তো এখন বলছো। তার মানে তুমি,,, ‘
নূর আয়াশের মুখ চেপে ধরলো,
‘নাহ, এমন কিছুই করবেন না আপনি। ‘
‘ইসলামে বলে বউয়ের সব ইচ্ছা পূরন করার দায়িত্ব তার স্বামীর। সো লেটস ডু দিস। ‘
‘ইচ্ছা পূরন করার হলে আপনি তবে আমাকে ডিভোর্স দিন। আমি মুক্তি চাই। ‘
আয়াশ এবার রেগে গেল, সে এবার নূরের গলায় আলতো করে কামড়ে বলল,

‘নো ডিভোর্স। ওনলি পানিশমেন্ট। ‘
‘আপনি আর এমন কিছু করলে আমি কিন্তু চেঁচাবো।’
‘এজ ইউর উইস। ‘
‘আমি কিন্তু সত্যিই চেঁচাবো। ‘
‘চেঁচাও! ‘

‘চেঁচাবো কিন্তু, তারপর আমার দোষ না।’
‘হুম সিউর। চেঁচাও। তারপর দরজার বাইরে আমার কয়েকটা কাজিন এসে কান পাতবে তার তোমার সুখের মুহূর্তের আওয়াজ তাদের কানে ভাসবে। ইউ ক্যান ডু ইট। ‘
নূর লজ্জায় চুপ হয়ে গেল। যে যা ভাবে ভাবুক, নূর ইচ্ছাকৃতভাবে চেঁচিয়ে উঠলো,
‘আআআআআঅঅঅ, বাঁচাও। ‘

‘অ ,আ পড়ে ডোন্ট ওয়েস্ট ইউর এনার্জি আফুসোনা। এটা সাউন্ড প্রুফ রুম, তাই তুমি সুখে চিৎকার করলেও বা মারতে মরতে বাঁচার জন্য চিৎকার দিলেও কেউ শুনতে আসবে না। ‘
কথাটা বলে আয়াশ নূরের হাতটা ছেড়ে দিয়ে নূরের কাছ থেকে সরে বসলো। নূর বোকা বনে গেল এমন কিছু শুনে।
আয়াশ বিছানা ছেড়ে নেমে দরজা খুলে বেরিয়ে যেতে যেতে বলল,
‘আর হ্যাঁ, আই হ্যাভ জিরো ইন্টারেস্ট অন ইউ। ভালো হবে আমার থেকে দূরে দূরে থাকবে, ডিসটেন্স মেইনটেইন করে চলবে। হ্যাভ আ গুড নইট আফুসোনা। ‘

আয়াশ বেরিয়ে গেল। নূর স্তম্ভিত হয়ে চেয়ে রইলো আয়াশের যাওয়ার পানে।
আয়াশের ডাকা নামটা বিড়বিড় করে আওড়ালো,
‘আমি আর আফুসোনা? ‘
সত্যিই তার জীবনের গল্পটা ভিন্ন আর আনপ্রেডিক্টেবল।

সবাই একটু রেসপন্স করবেন দয়া করে।
গল্পটা কেমন লাগছে জানাবেন প্লিজ। সিজন ওয়ানের থেকে বেশি রহস্যজনক হবে ইনশাআল্লাহ। তবে একটু রোমান্টিক ও। কমেন্ট করবেন। আর যত বেশি রেসপন্স করবেন তত দ্রুত পরবর্তী পর্ব দেবো🙂।

তুমিই আমার প্রিয় নেশা সিজন ২ পর্ব ২