তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ২ || Suraiya Aayat

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ২
Suraiya Aayat

আরিশ গানটা থামিয়ে আরূর কাধের উপর মুখটা রাখতেই আরূ আরিশ কে ঝটকা মেরে দূরে সরিয়ে দিয়ে রুমের ভেতর ঢুকে যেতে নিলেই আরিশ হাত ধরে আটকে বলল,,,,
__” চিরদিন কিন্ত এ দূরত্ব থাকবেনা , একদিন এ দূরত্ব ভেদ করে তোমাকে আমার কাছে আসতেই হবে আর সেইদিন কিন্ত তুমি চাইলেও আমার লাভ টরচারগুলো থেকে মুক্তি পাবে না ৷ তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও নি,সেটা বড়ো কথা নই, ইট’স ওকে বাট আমার মন চেয়েছে তোমাকে বিয়ে করতে আমি বিয়েটা করেছি, দিস ইজ আরিশ খান ৷ ”
বলে আরুর হাতটা আলতো করে ছেড়ে দিতেই আরু আরিশের দিকে একবার তাচ্ছিলে্র চোখে তাকিয়ে রুমের ভিতরে ঢুকে গেল ৷

আরুর এখন নিজের প্রতি রাগ হচ্ছে, মনে মনে এখন ভাবছি যে তখন প্রেগনেন্সি টেস্ট করার পর রেজাল্ট পজিটিভ আসার সাথে সাথে নিজের উপর রাগ করে তখনই কেন নিজেকে শেষ করে দিল না, তখন নিজেকে শেষ করে দিলে আজকে আরিশের সাথে একই ছাদের নিচে একসাথে রাত কাটাতে হতো না , ছেলেটাকে ও ভালোবাসে না তবে ঘৃণাও করতে পারেনা ৷
আরিশ যখন ওর বাসায় ওকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল তখন আরু এ বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করেনি ৷ তখন সকলের সামনে আরুর মুখ দিয়ে উচ্চারণ হয়েছিল শুধুমাত্র না শব্দটি ৷ না শব্দটা শোনার পরেই আরিস আরুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে সেদিন বেরিয়ে গিয়েছিল , তারপর থেকে ওর বিয়ে অবধি কখনো আরুর সামনে আসেনি, তবে হঠাৎ করে ওর বিয়ের সময় এইভাবে এত বড় একটা মিথ্যা অপবাদে আরিশ ফাঁসিয়ে দেবে সেটা ও কখনো কল্পনাও করেনি এই মুহূর্তে মানুষটার প্রতি তীব্র ঘৃণা জন্মাচ্ছে ৷

আরু চোখজোড়া বন্ধ করতেই চোখের কোনা দিয়ে কয়েক ফোঁটা নোনা জল গড়িয়ে পরলো তখনই কানে আরিশের গুনগুন করে গেয়ে ওঠা গান ভেসে আসলো ৷ মাথায় রাখা বালিশটা মাথা থেকে সরিয়ে নিয়ে কানের উপর চেপে ধরল যাতে আরিশের গান আরুর কান অবধি পৌঁছায় , আর যাই হোক না কেন আরিশের কণ্ঠস্বরে গাওয়া গান আরুর খুব প্রিয় , আরু আরিশের গান থেকে কখনো নিজেকে ফেরাতে পারে না , কেন জানি না অদ্ভুত একটা আশক্তি কাজ করে আরিশের গাওয়া গানের প্রতি……

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আরু যখনই আসে আরিশের গান লুকিয়ে লুকিয়ে শোনে ৷ এতকিছুর পরও মানুষটাকে ও ভালোবেসে উঠতে পারে না , তা কি সব পুরোনো কথা গুলো ভেবে নাকি অন্যকিছু তা আরু বুঝে উঠতে পারে না ৷
আরিশ চুপচাপ বাইরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, হঠাৎ ফোনে কল আসতে ফোনটার দিকে তাকিয়ে হাসল আরিশ ৷
স্যার কালকে খবরের কাগজের হেডলাইন টা ঠিক কি হবে সেটা আপনি যদি একটু জানাতেন ৷ আই মিন আই এম ভেরি কনফিউজড যে কেমনভাবে সব কিছু সাজাতে হবে,হয়তো সকলের সামনে ধরা পড়ে যাবে সত্যিটা তাই আপনি যদি একটু গুছিয়ে ভেবেচিন্তে বলতেন তাহলে রিসকটা কম থাকতো ৷
আরিশ লোকটার কথা শুনে হো হো করে হেসে উঠে বলল

__” টাকা নেওয়ার সময় তো আপনাদের চোখে এত ভয় থাকে না…”
আরিশের কথা শুনে লোকটা খানিকটা ভড়কে গেল খানিকটা থতমত খেয়ে বললো
__” আসলে এরকম অনেক কেস আছে যেগুলোকে একটু অন্যভাবে সাজাতে হয় কিন্তু এটা একটু অন্যরকম কেস তো সেইজন্যে আর কি ৷”
আরিশ হো হো করে হেসে উঠে বলল
__” কোন সমস্যা নেই, সব ঠিক হবে….”

ভোরের প্রথম আলো ফোটার সাথে সাথে আরূর ঘুমটা ভেঙে গেল , অন্যান্য মেয়েরা বিয়ের পরের দিন সকালে উঠে গোসল করে কিন্তু আরূর ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা তেমন নয়, আর এসমস্ত কথা ওর ভাবতেই বিরক্তি লাগছে ৷
বিছানা থেকে নামতে গিয়ে দেখলো ওর পাশে খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখেই আরিশ ঘুমিয়ে আছে, তা আরু উপেক্ষা করে ওয়াশ রুমে চলে গেল ৷ এতদিন আরিশের বাড়িটা নিজের বাড়ির মতই মনে করতো কিন্তু কালকে একটা মিথ্যা অপবাদের পর এখন এই বাড়িটাকে বড্ড পর পর বলে মনে হচ্ছে ৷ মনে হচ্ছে এক কদম ফেলতে গেলেও যেন দশবার ভাবতে হবে ওকে , যদিও বা এই বাড়ির লোক গুলোর ব্যবহার খুবই স্বাভাবিক তাদের দেখে মনেই হচ্ছে না যে এই ঘটনাটার কারনে তাদের কোনো আপত্তি আছে আরুকে মেনে নিতে , সত্যি মিথ্যার কোন কিছুই তারা না জানলেও সবাই আরুকে খুব ভালোবাসে বলে হয়তো দয়া করে আরুকে মেনে নিয়েছে, এই কথাগুলোর আরুর মাথায় বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে, তাহলে এভাবেই কি দিনের পর দিন ওকে এই বাড়ির মানুষের সিমপ্যাথি নিয়ে পড়ে থাকতে হবে !

কিচেনে গিয়ে অনিকা খানের পাশে আরূ দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না যদিও বা কালকে রাতে ওনার ব্যবহার দেখে ওর মনে হয়নি যে উনি আরূর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করতে পারে , তবুও আরূ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেনা ৷
অনিকা খান আরুর দিকে তাকিয়ে বললেন,,,,,

__” কি রে মা তুই দাঁড়িয়ে আছিস কেন ? আর তুই ওইখানে সোফাতে গিয়ে সানার সাথে বস ,আমি এক্ষুনি খেতে দিচ্ছি ৷”
__” ফুপি আমিও তোমার সাথে একটু কাজে হেল্প করি ৷”
__” তার কোন দরকার হবে না , আমি বলছি তো তুই গিয়ে বস আমি দেখছি ৷”
আরিস তখন রেডি হয়ে নিচে নামতে নামতে অনিকা খানকে বলল,,,,
__” আম্মু আমি আসছি ৷”
__” কিরে তুই এখন আবার কোথায় যাচ্ছিস ? ব্রেকফাস্ট করে যা ৷”
__” বাইরে করে নেবো আম্মু, একটা দরকারি কাজে যাচ্ছি ৷”
বলে আরূর দিকে এক পলক তাকিয়ে বেরিয়ে গেল ৷ আরুর ও জানার কোন ইচ্ছা নেই যে আরিস কোথায় যাচ্ছে বা কি করছে ৷
অনিকা খান হাসতে হাসতে বললেন ,,,,,,,

__”এখন থেকে ওর সমস্ত দায়িত্ব তোর , আমার ছেলেটাকে একটু নজরে নজরে রাখিস আর একটু যত্ন নিস কেমন ৷ আর তোর আর তোর বেবির খেয়ালটা আগে নিবি ৷”
উনার কথার পরিবর্তে আরু মুখে একটা মিথ্যা হাসি ফুটিয়ে তুলল , এর বেশি আর কিছু করা সম্ভব না আরুর পক্ষে….

দেখো মামু যা হয়েছে তাতে আরূর কোন দোষ নেই ভুলটা আমারই, আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি তাই আমার তরফ থেকে এমন একটা ভুল হয়ে গেছে, তাই জন্য তুমি আরুর উপরে প্লিজ রেগে থেকো না , যা হয়েছে এতে ওর কোন দোষ নেই ৷
আরমান সাহেব এতক্ষণ মুখে হাত রেখে চিন্তার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বসেছিলেন , আরিশের এই কথাটা শুনে উনি এবার একটু নড়েচড়ে বসে বললেন,,,,,

__” তুমি কি জানো তোমাদের এই দুজনের এমন নোংরা কাজের জন্য সমাজের সামনে আমার মান-সম্মান টা ঠিক কোথায় গিয়ে নেমেছে ! লোকজন ছি ছি করছে ৷ একটা অবিবাহিত মেয়ে প্রেগন্যান্ট তার মানে বোঝো ? আর এমনটা হবেই বা কেনো, আরু তো তোমাকে বিয়ে করতে চাইনি তাহলে এমন ভুলটা হয় কিভাবে?
__” দেখো ও হয়তো ভয় পেয়ে তোমাকে না বলেছে, কিন্ত ও আমাকে ভালোবাসে , তার ফলাফল আমাদের বেবি ৷ আরু প্রেগনেন্ট , আর ওর গর্ভে আমার সন্তান , আমার সন্তানকেই তো আমি তার বাবার পরিচয় দিয়েছি, এমন তো নয় যে আমি অস্বীকার করছি যে ওটা আমার সন্তান নয়, তাছাড়া ও এখন বিবাহিত তাই তুমি এত কিছু ভেবোনা ৷সমাজ অনেক কিছুই বলবে কিন্ত আমাদের এড়িয়ে যেতে হবে ৷
আরমান খান এবার দৃঢ় কণ্ঠে বললেন,,,,

__” তো কি করবো এখন? তোমরা কি আর মান সম্মান কিছু রাখলে ? হতে পারে আমার মেয়েটা একটা বড়সড় লজ্জা আর অপমান থেকে বেঁচে গেছে তুমি তাকে বিয়ে করেছে তাই, তুমি বিয়ে না করলে হয়তো কেউ আর ওকে কখনো বিয়ে করত না তবুও. যা হয়েছে তা তো ঠিক হয়নি ৷ তাহলে আমার এখন কি করনীয় বলো? তা বলে তো নিজের মেয়েকে দূরে সরিয়ে দিতে পারিনা ৷”
আরিশ উনার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল,,,,

__” আপনি যদি আরূকে মেনে না নেন তাহলে ফাইন ওকে নিয়ে আমি আর এই বাড়িতে কখনো আসবো না ৷”
কথাটা বলে চলে যেতে নিলেই আরমান সাহেব আরিশকে ডাকতেই আরিশ পিছন ঘুরেই একটা বাকা স্মাইল দিল ,মনে মনে ভাবতে লাগলো,,,,
__” কাজ হয়েছে ৷”
__” দেখো যা হয়েছে আমি সব মেনে নিচ্ছি, আর যাই হোক আমার মেয়েকে আমি হারাতে চাই না ৷”
আরিশ আরমান সাহেবের দিকে মুচকি হেসে বলল __” আজকে রাতে বৌভাতের অনুষ্ঠানে অবশ্যই আসবেন, আর এটা হবে আরূর কাছে সব থেকে বড় সারপ্রাইজ ৷”
কথাটা বলে আরিশ বেরিয়ে গেল ৷

দুপুরবেলা আরু একটু বিছানায় হেলান দিয়ে শরীরটা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে , ঘুম ঘুম ভাবটা এসেও যেন আসছে না , এই স্বভাবটা তে অত্যন্ত বিরক্ত আরূ , এই মুহূর্তে ঘুমটা যদি হতো তাহলে ক্ষণিকের জন্য হলেও সমস্ত টা ভুলে থাকা যেত কিন্তু তেমনটা ও তো ঠিক হচ্ছে না ৷
হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ পেয়ে আরূ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো না , আগের মতই চুপচাপ শুয়ে রইলো ৷
আরিশ রুমে ঢুকে দুষ্টামির ছলে বলল,,,

__” আমার বাবুর আম্মুটাকি ঘুমায়? ”
আরুর কানে সমস্ত কথাগুলোই পৌঁছেছে কিন্তু ও কিছু বলছে না , চরম বিরক্তিকর মুহূর্ত লাগছে এটা ওর কাছে ৷ আরিশের কথার পরিবর্তে বললেই আরিশ হয়তো আবার বেশি বেশি করে ওকে রাগানোর চেষ্টা করবে তা দেখে আরু আর কিছু বলছে না, তবে আরিশ ও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় ৷

আরিশের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই দেখে আরিশ ভাবলো আরু হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে ৷ তারপরই হঠাৎ দেখল আরূর পায়ের আঙ্গুল গুলো নড়ছে , তা দেখে আরিশ একটা টেডি স্মাইল দিয়ে আরূর কাছে গিয়ে আরুর কানে ফিসফিস করে বলল,,,,
__” ও বউ , বউ , ও বউ চলো একটু প্রেম করি , আমার না খুব প্রেম প্রেম পাচ্ছে ৷ ও বউ ৷”
আরু এবার বিরক্তির চরম পর্যায়ে চলে গেছে ,ঝটপট করে উঠে আরিশের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলল __” একটু শান্তিতে ঘুমাতেও কি দেবেন না ? একেই তো আমার জীবনটা ধংস করে দিয়েছেন তার ওপরে জীবন থেকে সমস্ত সুখ শান্তি গুলোও আপনি কেড়ে নিয়েছেন ৷ আমাকে কি এক মুহূর্তও শান্তিতে দেখলে আপনার সহ্য হয় না ?”
আরিশ আশেপাশে একবার চোখ বুলিয়ে আরুর দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,

__” আমাকে বললা এগুলো?”
আরু রাগী চোখে তাকিয়ে বলল,,,,
__” আপনার কি মনে হয় আমি অন্য কাউকে বলছি!”
আরিশ আরুর দিকে লজ্জামাখা মুখে আরুকে বলল,,,,
__” এতটা রোমান্টিক চোখে তাকাও না বউ , আমার না কেমন শরম লাগে ৷”?
আরু বিরক্ত হয়ে এবার বিছানা থেকে বালিশ নিয়ে আরিস এর গায়ে ছুড়ে মেরে উঠে যেতে গেলেই আরিশ আরুর হাত ধরে বিছানায় ফেলে আরূর হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বলল,,,,

__” এত রাগ আমাকে দেখাবে না আরুপাখি আমি যে ঝলসে যায় , আর আমি ঝলসে গেলে তার ফল হবে মারাত্মক ৷”
আরু এবার রেগে গিয়ে বলল,,,,
__” আপনি কি ভাবলেন আমি আপনাকে ভয় পাই ? আর আপনার মত এত নোংরা মন মানসিকতা আমার নেই যে একটা মেয়েকে বিনা অপরাধে তাকে নোংরা অপবাদ দেবো ৷”
আরিশ আরুর থেকে সরে এসে আরূর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বলল,,,,
__” আমি আবার তোমাকে নোংরা অপবাদ দিলাম কই?”
__” আপনি সত্যিই নাটক করছেন নাকি নাটক করার ভান করছেন কোনটা? কালকে বিয়ের আসরে সবার সামনে আমাকে মিথ্যা অপবাদে দিলেন যে আমি নাকি প্রেগন্যান্ট আর আপনার বেবি আছে আমার আমার পেটে ,এগুলো কি মিথ্যা নয়?”
আরিশ এবার অবাক হয়ে বলল,,,,

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ১

__” ওমা তুমি প্রেগনেন্ট?? আমি তো সবার সাথে একটু মজা করে বলেছিলাম কিন্তু সবাই তো সত্যি ধরে নিয়েছি কি হবে এবার?”
আরিসের রিয়াকশন দেখে আরুর মন করছে যেন এখন চাকুটা আরিশের পেটে ঢুকিয়ে দিতে, ছেলেটার এমন কথায় ও চরম বিরক্ত হচ্ছে, তার উপরে দোষ গুলো এমন ভাবে অস্বীকার করছে যেন সত্যিই সে কিছু করেনি ৷যেনো সবটা আরু নিজেই নিজেই করেছে ৷
কথাটা বলেই আরিশ এবার বিছানায় গড়াগড়ি দিয়ে হাসতে লাগল, তারপরে হাসিটা থামিয়ে একটু সিরিয়াস হয়ে বলল,,,,,
__” এক মাস পরে সবাইকে বলবে যে পা পিছলে ওয়াশরুমে পড়ে গিয়ে তোমার বেবিটা মিসক্যারেজ হয়ে গেছে , আর তুমি যদি যে বেবিটার কথাটা সত্তি হোক তাহলে বলতে পারো আমরা বেবি নেব ,এন্ড আমি অলটাইম রেডি ৷ যদি তুমি বলো তাহলে এখনই না হয়,,,,,,
কথটা বলে আরুর দিকে এগোতে গেলেই আরু আরিশকে ঠাস করে একটা চড় মারলো ৷

__” খবরদার একদম আমার কাছে আসবেন না , আপনার মত নোংরা মানুষের ছোঁয়া পেলে আমার শরীর ঘিনঘিন করে ৷”
আরিশ গালে হাত দিয়ে বলল ,,,,,
__” আমি রোমান্টিক মুডে এন্ট্রি করলেই তুমি খালি আমাকে চড় মারো, এটা কিন্ত ঠিক না ৷”
আরুর হাতে চড় খেয়েও আরিসের কোন লজ্জা হয়নি , তা দেখে আরু নিজেই বিরক্ত হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷ আরিশের জন্য শান্তিতে বেঁচে থাকাটাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে ওর কাছে ৷ উঠতে-বসতে ওকে কথার জালে ওকেই ফাষাই ৷
আরু চলে যেতেই আরিশ এবার বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে শুয়ে বলল,,,,
__” আমরা বেবি নেবো আর তা তোমার সম্মতিতেই হবে আর খুব তাড়াতাড়িই হবে ৷ আই এম সো এক্সাইটেড ৷ ঊইই মা !”
বলে একটা স্মাইল দিল আরিশ ?৷

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ৩