তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ৩ || Suraiya Aayat

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ৩
Suraiya Aayat

বৌভাতের অনুষ্ঠান আরিশের বাড়িতেই করা হয়েছে , বেশ অনেক লোকের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে , চারিদিকে লোকজন এ পরিপূর্ণ কেউ দেখলে বুঝতেই পারবে না যে হঠাৎ ঘটে যাওয়া একটা দুর্ঘটনার মত বিয়েটা এত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সাজানো যেতে পারে ৷ ভারী ভারী গয়না , ভারী মেকআপ , সব মিলিয়ে আরূ সেজে বসে আছে আর ওর পাশে বসে আছে আরিশ ৷ এমনিতেই আরিশের ওপর রীতিমতো বিরক্ত তার উপরে পাশে বসে থাকার কারনে বিরক্তির মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে , ইচ্ছা করছে আরিশকে পাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে তারপর হুমড়ি খেয়ে যেন স্টেজ থেকে পড়ে যায় তাতে ও যদি একটু মজা পায় ৷

আরিশের দিকে আরু রাগী চোখে তাকিয়ে দেখল আরিশ মুচকি মুচকি হাসছে, হাসির কারণটা না চাইতেও বড্ড জানতে ইচ্ছে করলো, তাই ঘুরে তাকাতেই আরুর চোখ গেল আরিশের হাতে থাকা ফোনের দিকে, সেখানে আরূর ঘুমন্ত একটা গোলুমোলু পিক দেখে আরিশ প্রচন্ড হাসছে,তা দেখে বোঝাই যাচ্ছে কালকে রাত্রের পিক, আর সেটা আরিশ আরুকে না বলেই তুলেছে , তা দেখে আরু রাগী কন্ঠে দাঁতে দাঁত চেপে রেখে বলল,,,,
__” আমার ছবি না বলে কোন সাহসে আপনি তুলেছেন ? আমার ছবি তোলার সময় আপনি কি আমার পারমিশন নিয়েছেন?”
আরিশ আরুর পাশে আরেকটু ঘেষে বসে বলল ,,,,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

__” বউয়ের ছবি তুলতে আবার পারমিশন লাগে নাকি? আমার যদি ইচ্ছা হয় তাহলে তোমার সাথে রোমান্স করার জন্যও পারমিশন নেওয়ার ও দরকার নেই আরিশ খানের ৷ এসবের প্রয়োজন বোধ করে না আরিশ খান, জাস্ট ফর ফর্মালিটিস, তাই নিজেকে কন্ট্রোল করে রেখেছি তাই বলে এটা ভেবো না যে আজীবন নিজেকে এভাবে কন্ট্রোল করে রাখবো ৷”
আরু রাগী চোখে আরিশের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সামনের দিকে তাকাতেই দেখলো ওর ফ্যামিলির সবাই আসছে, ওদেরকে দেখে অবাক হলো আরূ কারণ কালকে যা হল তারপর থেকে সবাই ওর দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল , তাই তাদেরকে এই মুহূর্তে অন্তত এখানে আশা করেনি আরু ৷পরিবারের সকলকে একসাথে দেখে ওর চোখে জল চলে এলো, একদিনের ব্যবধানে সবার সাথে দেখা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে যেন দীর্ঘ কয়েক বছর পর তাদের সাথে দেখা ৷

চোখের কোনে জল চলে এসেছে তা কেবল মাত্র টপটপ করে গড়িয়ে পড়া বাকি , তার আগেই আরিশ বলে উঠলো,,,,,
__” চোখের জলটা যেন চোখেই থাকে তা যেন গড়িয়ে না পড়ে, গড়িয়ে পড়ল খবর আছে ৷”
কথটা বলে আরুর পরিবারের সকলের দিকে এগিয়ে গেল আরিশ ৷
আরু চোখের কোনে জমে থাকা জলটা আঙ্গুল দিয়ে মুছে নিল, যদিও বা আরিশের ভয়ে নয় , হয়তো সকলের সামনে নিজের চোখের জলটা কে দেখাতে চাইনা সেই কারণেই ৷
আরিশ আরূর বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,,,
__” তোমাকে এই মুহূর্তে এখানে দেখে খুব খুশি লাগছে মামু ৷”
আরমান খান আরিশকে বলে উঠলেন,,,
__” আমিও খুব খুশি তোমাদের দুজনকে একসাথে দেখে ৷”

আরুর কাজিনরা আরূকে ঘিরে বসে আছে আর ওর সাথে টুকটাক বেশ কথা বলছে , আরূকে বুঝতেই দিচ্ছে না যে কালকে এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে সবার সাথে ৷ সকলের মাঝে আরূ ওর মাকে খুঁজছে , কিন্ত উনি আসেননি দেখে আরূর খুব কষ্ট হচ্ছে ৷
আহান আরুর সামনে যেতেই আরূ আহানকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দিল ৷ আহান আরূর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো,,,,

__”কাদিস না, যা হয়েছে সব ভুলে যা নতুন করে সব শুরু কর ৷যানি তোদের দুজনের একটা ভুল হয়েই গেছে ৷”
কথাটা শুনে আরুর সামান্য হলেও রাগ অভিমান মিশ্রিত একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করলো৷ আর যাই হোক আরিশকে ও মেনে নেবেনা কখনো , মানুষটিকে ও কিছুতেই ক্ষমা করবেনা , একটা মেয়েকে এতবড় একটা মিথ্যা অপবাদ দেওয়া সেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না ৷
আরূ চোখের জলটা মুছে নিয়ে বললো,,,,
__” ভাইয়া আম্মু আসেনি?”
আহান একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,,,,
__” আম্মু একটু অসুস্থ ,তাই আসতে পারেনি ৷”
আরু ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলল,,,,
__” কি হয়েছে আম্মুর ?আম্মু ঠিক আছে তো? আর তোমরা আমাকে এখন খবর দিচ্ছ ?”
আহান কোন রকমে আরূকে শান্ত করে বলল,,,,

__” কিছু হয়নি, প্রেশারটা খানিকটা বেড়ে গেছে, চিন্তা করিস না ঠিক হয়ে যাবে ৷”
আহানের কথাটার উত্তরে আরূ যেন ভরসা পাচ্ছে না ,এই মুহূর্তে নিজের মায়ের কাছে ছুটে যেতে পারলে হয়তো মনে একপ্রকার শান্তি কাজ করতো ৷
আরূর অবস্থা দেখে আরমান সাহেব এগিয়ে এসে বললেন,,,,
__” এই অবস্থা এত উত্তেজিত হয়ে পরিস না মা, তোর আম্মু ঠিক হয়ে যাবে ৷ আর তোরা খুশি আছিস শুনলেই তোর আম্মু খুশি ৷”

সবার এই একপ্রকার মিথ্যা শান্তনা শুনতে শুনতে আরূ বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে, আর বিরক্তিকর মুহূর্ত বিরক্তিকর দৄষ্টি নিয়ে তার দিকেই তাকালো যার জন্য এতকিছু৷
আরিশের দিকে তাকিয়ে দেখলো আরিস প্যান্টের পকেটে হাত রেখে আরূর দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে , ওকে দেখে মনে হচ্ছে যেন আজকের দিন কেবল ওর জন্যই তৈরি হয়েছে , আর আরিশের এই হাসিটুকুই আরূকে জ্বালিয়ে দিতে যথেষ্ট ৷
সকল গেষ্টরা প্রায় চলে গেছে , আরুর বাড়ির লোকরাও সবাই প্রায় চলে গেছে , আরিশ রুমে যেতে গিলেই হঠাৎ চেনা কোন পরিচিত কন্ঠে পেয়ে কয়েক পা পিছিয়ে গিয়ে সামান্য ডান দিকে তাকাতেই দেখল আহান আর সানা দুজনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷ সানা রীতিমতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর আহান সানাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে ক্রমাগত ৷

__” দেখো কালকে যা হল আমার মনে হয় না তোমার বাড়ির লোক কখনো আর আমাকে মেনে নেবে ৷”
আহান সানার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বলল,,,
__” সব সময় এতো ফালতু কথা মাথায় নিয়ে ঘোরো কেন? বলছি তো সব ঠিক হয়ে যাবে ৷ আর সমস্ত সমস্যা মিটে যাক আমি তোমার বাড়িতে বলব আমাদের বিয়ের কথা , এত ব্যস্ত হওয়ার কিছু নেই ৷”
সানা কাঁদতে কাঁদতে বলল,,,,
__” কিন্তু আমার তো মনে হচ্ছে কেউ মেনে নেবে না তখন কি হবে ?”
__” যা হবে সব ভালই হবে, এত চিন্তা করোনা ৷”
আরিশ ওদের কথা শুনে একটা মুচকি হাসি দিয়ে উপরে চলে গেল ৷

আরিসের কাজিনরা আরুকে অনেকক্ষণ আগেই রুমে বসিয়ে দিয়ে চলে গেছে ৷ আরু রুমে ঢুকে দেখল গোটা রুমটা ফুল দিয়ে সাজানো , তা দেখে আরুর শরীরটা জ্বলে উঠলো ৷ আরিশের কাজিনরা রুম থেকে চলে যেতেই আরু ঘরের দরজাটা দিয়ে বিছানা থেকে সমস্ত ফুল গুলো ছিড়ে মাটিতে ফেলে দিল, বিছানার উপর লাভ শেপের সাজানো অংশটা ছড়িয়ে লন্ডভন্ড করেছে, ক্যান্ডেল গুলো নিভিয়ে দিয়েছে, ঘরের ছিন্নভিন্ন অবস্থা, ফুলগুলো মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দেখে মনে হবে না যে কিছুক্ষণ আগে ঘরটা বাসরের জন্য সাজানো হয়েছিল….

টেবিলের উপরে থাকা শরবতের গ্লাসটার দিকে তাকাতেই আরুর রাগটা বেড়ে গেল, আরিসকে খাওয়ানোর জন্য দিয়ে গেছে ওটা ৷ হাত দিয়ে ফেলে দিতে গেলেই আরুর মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল ৷ আজকে রাত্রে কোনভাবেই হোক ওকে এখান থেকে পালাতে হবে, আরিশের সাথে থাকা ওর পক্ষে আর সম্ভব নয় ‌ দিনদিন আরিশের প্রতি ঘৃনাটা বাড়ছে,এভাবে আরযাই হোক সংসার হয় না৷ আরু ডিভোর্স চাইলেও আরিশ দেবৈ না, আর আরিশের থেকে আলাদা থাকার কথা শুনলে ওর নিজের বাড়ির লোক ও যেতে নেবে না ৷ তার থেকে ভালো আরিশের থেকে ও মুক্তি নেবে ৷

রুমের ভিতরে সমস্ত ওয়ার্ডড্রবগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজছে আরু, কোথাও যদি মেডিসিনের কোন বক্স পাওয়া যায় ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওর মনে পড়ে গেল যে আরিস তো সবসময় ওর মেডিসিন গুলো ওর ড্রয়ারে রাখে তাই আর কোনো রকম কোনো দেরি না করে ওয়ারড্রব থেকে মেডিসিনের বক্স টা বার করে ঘুমের ওষুধ গুলো হাতে নিয়ে তার মধ্যে থেকে দুটো ওষুধ নিয়ে গ্লাসের মধ্যে দিয়ে দিল ৷

__” আর দেওয়া কি ঠিক হবে ? আর দিলে যদি ওনার কিছু হয়ে যায় তাহলে !”
পর মুহূর্তে আবার বললো,,,,
__” হলে হবে তাতে আমার কি ? ”
কথাটা ভেবে আরু আরো একটা ঘুমের ওষুধ গ্লাসের মধ্যে দিয়ে দিল ,দেওয়ার পর আরও একটা দেবে কি তা ভাবছে ৷ তারপর নিজের মনে মনে ভাবল,,,,
__” আজকে রাতে আটকে রাখার জন্যই তিনটেই যথেষ্ট ৷আর উনি ঘুমালেই আমি পালাবো ৷”

আরু বুঝতে পেরেছে যে আরুর নিজের বাড়ির সকলেই আরিশকে মেনে নিয়েছে তাই চাইলেও আর কোনভাবে আরিসের থেকে নিজের মুক্তির পথটা সহজ করে নিতে ওর পক্ষে সম্ভব হবে না , তার জন্য আরও ভাবল যে আরিশের সাথে আর কোনভাবেই থাকবেনা,ও পালাবে , এমনকি নিজের বাড়িতেও যাবে না সেখানে গেলেও তারা আবার আরিশের কাছে আরুকেফিরিয়ে দেবে ৷ ঢাকা শহর থেকে অনেক দূরে চলে যাবে আরু , যেখানে না থাকবে ওর প্রতি কোনো মিথ্যা অপবাদ আর না থাকবে আরিশ ৷

জুসের গ্লাসটা টেবিলের উপর রেখে দিয়ে চুপচাপ শান্ত হয়ে বসে আছে আর অপেক্ষা করছে কখন আরিশ আসবে ৷ আরিশ ঘুমিয়ে পড়লেই আরু তাড়াতাড়ি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবে ৷
বিছানার উপর পায়ে হাত পা জড়ো করে বসে আছে আরু ৷ হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে খানিকটা নড়েচড়ে উঠলো ৷
সামনের দিকে তাকাতেই দেখলো আরিশ রুমে ঢুকে দরজাটা দিল তবে হাতের আর একটা জুসের গ্লাস , তা দেখে আরুর চোখজোড়া সামান্য ছোট হয়ে এলো ৷
আরিশ রুমের অবস্থা দেখে বললো,,,

__” আমি আসার আগেই বাসর সেরে ফেললে আরুপাখি? আমার জন্য না হয় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে , তোমার সাথে আমিও না হয় বাসরটা এনজয় করতাম ৷”
আরু ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
__” কি বলতে চাইছেন আপনি?”
__” আমি তো বলতে চাইছি যে ঘরের এ অবস্থা হলো কি করে?”
__”ঘরের মধ্যে আমি আছি, তারমানে আমিই করেছি ৷ আর শুনুন আমার খুব ঘুম পাচ্ছে তাই এই যে গ্লাসে জুস আছে তা খেয়ে নিন ৷ ”

আরিশ অতি সহজ-সরল ভাবে আরুর হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে টেবিলের উপরে দুটো গ্লাস একসাথে রাখলো ৷ আরু বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখছে যে আরিশ কি করছে ৷ ওর গ্লাসটাকে এখন আপাতত ওর চিনতে অসুবিধা হচ্ছে না , ডানদিকের গ্লাসটা ওর এটা বোঝা যাচ্ছে ৷
আরিশ এবার আরুর দিকে মুচকি হেসে গ্লাসদুটোর জায়গা পরিবর্তন করতে লাগলো ৷ এলোমেলো করে দিয়েছে, আরু আর বুঝতে পারছে না যে কোনটা ওর গ্লাস ৷
আরু এবার রেগে গিয়ে বলল,,,,,

__” আরেকটা গ্লাস কিসের জন্য? আপনাকে কি বলেছি আমার জন্য আরেক গ্লাস আনতে! আর এসব কি করলেন?”
আরিশ এবার একটু কনফিডেন্সের সাথে বলল ,,,
__” আমি যতদূর জানি আমার ব্যাবহার করা কোন জিনিস তুমি খাবে না , তাই তোমার জন্য আনলাম আর কি !”
আরু একটু ভড়কে গেল, তবুও আরিশের সামনে কিছু বোঝাতে চাইছেনা তাহলে আরিশ বুঝে যাবে ৷ আরু গ্লাস2টোর দিকে তাকিয়ে দেখছে যে কোনটা ওর রাখা গ্লাস, অনেক ভেবেচিন্তে বুঝতে পারলো যে বামদিকের গ্লাসটা ওর ৷
বামদিকের গ্লাসটা হাতে নিয়ে বলল,,,,

__” এটা খেয়ে নিন ৷”
আরিশ ভ্রু কুচকে বলল,,,,
__” মারার প্ল্যান আছে নাকি বউ?”(আরুর দিকে চোখ মেরে )
আরু এবার রেগে গিয়ে বলল,,,,
__” আমি আপনার মতো খারাপ নই ! খাবেন কি না?”
__” আরে বউ এতো রেগে যাচ্ছ কেন, আমি তো মজা করছিলাম ৷”
__” ? ৷ সবকিছু কে নিয়ে এতো মজা আমার ভালো লাগে না ৷”
আরিশ গ্লাসে থাকা দুধটা শেষ করে বলল,,,,,
__” আসো এবার romance করি ৷ আমার প্রেম প্রেম পাচ্ছে ৷ ”
আরু দূরে সরে গিয়ে বলল,,,,

__” চড় খাওয়ার শখ যাচ্ছে নাকি আবার?”
__” আমার যখন প্রেম প্রেম পাচ্ছে তখন তো প্রেম আমি করবোই ৷”
__” একদম আমার কাছে আসবেন না !”
__” আচ্ছা যাবো না, তবে আগেতাহলে আমার একটা কথা রাখো ৷”.
__” কি কথা ?!”
__” তোমার জন্য ভলোবেসে জুস এনেছি তুমি কি খাবেনা?? তুমি শরবতটা খেলে আজকের মতো তোমার ছাড় ৷”
__” সত্তি বলছেন তো?”
__” হুমমম ৷”

আরু বাকা চোখে তাকিয়ে জুসটা খেয়ে নিলো, ও ভাভলো আরিশ তো ঠিক জুসটা খেয়েছে তাহলে সমস্যা নেই ৷
এই বলে আরু খেয়ে নিলো ৷
আরু খেয়ে নিতেই আরিশ আরুর দিকে টলমল চোখে তাকিয়ে বললো,,,,,
__” ও বউ একটু কাছে আসো না!”
আরিশ আরূকে ধরতে গেলেই আরু সরে দাড়ালো আর আরিশ বিছানায় পড়ে গেল ৷.
আরু হাফ ছেড়ে বাচলো,,,,
আরিশ ঘুমের ঘোরে বলল,,,,,

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ২

__” ও বউ কেনো তুমি আমায় কি ভালোবাসোনা ?”
আরু কিছু বলল না,ঐই মুহূর্তে ও রিয়েক্ট করলে সবটাবিগড়ে যেতে পারে তাই মুখ বুজে সহ্য করে নিলো ৷
প্রায় 10 মিনিট হলো আরূ ও আরিশের পাশে ঘুমের ঘোরে পড়ে আছে ৷দুজনেই বেতালে ঘুমাচ্ছে, ৷
আরিশ ঘুমঘুম চোখটা খুলে আরুকে নিজের কাছে টেনে এনে আরুর কানের পাশে গুজে থাকা চুলটা আরুর মুখের ওপর ফেলে দিয়ে বলল,,,,

__” কেন ভালোবাসোনা বউ? ও বউ ! তুমি তো দেখি ঘুমের ঘোরে কাতর? ! ওলে গোলুগোলু টুইটুই বউ আমার, আমাকে ফাসাইতে গিয়ে নিজে ফেসে গেলা,তবে তোমার বুদ্ধির তারিফ করছি,তবে ভালোই করেছো কাজটা করে জানোতো, তুমি সজ্ঞানে থাকলে আমি নিজেকে হয়তো তোমার থেকে আটকাতে পারতাম না, বড়ো কোন ঘটনা ঘটে যেত, ৷ তুমি তো আর জানোনা যে তূমি 3 টে ঘুমের ওষুধ দেওয়া শরবত খেয়েছো আর আমি 2 টো ঔষুধ দেওয়া ৷ তুমিও ঘুমাও আর আমিও ঘুমাই, ! কালকে থেকে রোমান্স করবো কেমন !”
টাটা !গুডনাইট?

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ৪