দোলনচাঁপার সুবাস পর্ব ৩৯

দোলনচাঁপার সুবাস পর্ব ৩৯
তাসফিয়া হাসান তুরফা

রান্নাঘরে ঢুকে দোলা বেশ কিছুক্ষণ ভাবলো নিশীথের জন্য ঠিক কি রান্না করবে? সময় তো বেশি নেই হাতে। ফোনের স্ক্রিনে দেখে নিলো এখন রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। নিশীথ বলেছে ঘণ্টাখানেকের মাঝে আসবে অর্থাৎ ওর আসতে আসতে রাত ১টার বেজে যাবে। এ সময় কি রান্না করবে ও? ভারী কিছু তো নিশ্চয় খাওয়ানো যাবেনা এ সময়। তাহলে কি করবে? এছাড়াও নিশীথকে দেখে দোলার মনে হয়না ওর ভাত-মাছ জাতীয় খাবার অতটা পছন্দ। তাহলে কি নুডুলস জাতীয় কিছু বানাবে? দোলার এ বুদ্ধিটা পছন্দ হলো। কিন্তু পরক্ষণেই আবার ভাবলো, নুডুলস বানাবে না পাস্তা?

শেষমেশ অনেক ভেবে দোলা ঠিক করলো, ও পাস্তা রান্না করবে নিশীথের জন্য। ভাবতে ভাবতেই ফ্রিজ থেকে পাস্তার প্যাকেট বের করে চুলোয় দিলো সেদ্ধ করতে। পাস্তা সেদ্ধ হতে সময় লাগবে মোটামোটি। মা গরুর মাংস কেটে রেখেছিলেন ফ্রিজে মেরিনেট করে। কাল সকালে উঠে শিমুলকে টিফিনে নুডুলস বানিয়ে দেবেন বলে। দোলা ওখান থেকে কিছুটা মাংস নিয়ে চুলোয় ভাজতে দিলো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কিছুক্ষণ বাদে যখন মাংস ভাজা প্রায় শেষের দিকে তখন পাস্তা তুলে পানি ঝেড়ে নিলো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো এখনো আধঘণ্টা খানেক আছেই প্রায়। খুশিমনে দোলা তখন ফাইনাল প্রসেসিং শুরু করতে চুলোয় ফ্রাইপ্যান বসিয়েছে।
এমন সময় আচমকা পেছন থেকে আওয়াজ এলো,

—কি করছিস, দোলন?
ভয়ে, বিস্ময়ে দোলার হাত গিয়ে ঠেকলো চুলোয় বসানো ফ্রাইপ্যানের গায়ে আর হাতের ওই জায়গায় ছ্যাত করে কিছুটা গরম ভাব লেগে লালচে হয়ে গেলো! ভাগ্যিস এখনো পুরোপুরি গরম হয়নি ফ্রাইপ্যান নয়তো ওখানে ফোসকা পড়ে যেতো। নিজের হাত ডলতে ডলতে দোলা ভাবলো। মেয়েকে হাত ডলতে দেখে পারভীন বেগম এগিয়ে এলেন। চুলো বন্ধ করে ওকে নিয়ে বেসিনের কাছে নিয়ে যেতে যেতে বললেন,

—আশ্চর্য, এ সামান্য কথায় এত ভয় পাওয়ার কি আছে? নিজের বাসায়ই তো রান্না করছিলি, চুরি তো আর করিসনি। এত ঘাবড়ে যাওয়ার কি ছিলো বল তো?
ব্যাথাপ্রাপ্ত স্থানে ঠান্ডা পানি লাগায় দোলা কিছুটা আরাম পেলো। সত্যি কথাটা তো আর মা-কে বলতে পারবেনা তাই লজ্জিত স্বরে মিথ্যে কথা বললো।

—ঘুম ভাঙার পর থেকেই খুব খিদে পাচ্ছিলো, মা। তাই ভাবলাম একটু পাস্তা খাই। অনেকদিন খাইনি।
পারভীন বেগম কিছুক্ষণ বোকার মতো চেয়ে থাকলেন মেয়ের মুখের দিকে। দোলা সবসময়ই তার সময়সুচি মেইনটেইন করে চলা মেয়ে। রাত বেশি হলে ডিনার না করেই ঘুমোয় অথচ ও আজকে এ সময় রান্না করছে, তাও নিজের জন্য? পারভীন বেগম মনে মনে বিস্মিত হলেন বেশ। কিন্তু মেয়ে যখন রান্না শুরু করে দিয়েছে তার মানে নিশ্চয়ই ভালোই খিদে পেয়েছিলো ওর! তাই পারভীন বেগমও আর বেশি মাথা ঘামালেন না। চুলোর এক পাশে মাংস ভাজা রাখা দেখে বললেন,

—মাংস নিয়েছিস? যেটুকু বাকি আছে, শিমুলের জন্য হবে? নাহলে ভিজিয়ে রাখি?
—লাগবেনা। মাংস আছে ফ্রিজে। ওর জন্য ইজিলি হয়ে যাবে। তুমি চিন্তা ক’রোনা।
—আচ্ছা। আমি পানি নিতে এসেছিলাম। রান্নাঘরে আওয়াজ পেয়ে এদিকে আসলাম। তুই তাহলে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়িস? আমি রুমে যাই। শরীরটা ভালো লাগছেনা। একটু ঘুমাই গিয়ে।
দোলা এবার হাফ ছেড়ে বাচলো। মুখে হাসি ফুটিয়ে মা-কে বললো,

—অবশ্যই, মা। তুমি ঘুমোও গিয়ে, রাত জেগোনা বেশি। আমিও আর বেশিক্ষণ লাগাবোনা।
মেয়ের কথায় মাথা নাড়িয়ে পারভীন বেগম চলে গেলেন ঘুমোতে। দোলাও আর সময় নষ্ট না করে ঝটপট চলে গেলো বাকি কাজ সাড়তে। যথারীতি পাস্তা বানানো শেষ করে একটা বক্সে ভরে রেখেছে কেবল এমন সময় নিশীথের কল এলো ওর ফোনে। ফোন কানে নিতেই ওপাশ থেকে নিশীথ বললো,

—ঘুমিয়ে গেছো?
—না।
দোলা মৃদু গলায় জবাব দিলো। নিশীথ বললো,
—তাড়াতাড়িই চলে এলাম। ট্রাস্ট মি, তোমায় এত রাতে ডাকতে আমার নিজেরও ভালো লাগছেনা। তোমার জন্য এ সময় বের হওয়াটা ঝামেলা, আমি তো এ ব্যাপারে ভাবিইনি। এক কাজ করি, তুমি চাইলে আমরা কাল দেখা করবো। আজকে আমি বাসায় চলে যাই, কি বলো?

অন্য যেকোনো সময় হলে দোলা খুশিমনে রাজি হয়ে যেতো। এত রাতে বের হতে ও কখনোই স্বস্তিবোধ করেনা। কিন্তু আজকে এ মাঝরাতে কষ্ট করে রান্না করার পর নিশীথ যখন বলছে ও চলে যাবে, তখন কি দোলা মানতে পারে? অবশ্যই পারেনা। আর দশটা প্রেমিকার ন্যায় দোলার মনও রুষ্ট হয়ে গেলো। বিড়বিড়িয়ে বললো,

—আসতে চাচ্ছেন না ওটা আগেই বললেই পারতেন। অযথা কষ্ট করে রাধতে যেতামনা মাঝরাতে।
কিন্তু ওর কথাগুলো নিশীথ পুরোপুরি শুনতে পারলোনা। শুধু বললো,
—বিড়বিড়িয়ে কিসব বলছো? চলে যাবো কি যাবোনা সেটা বলো।
দোলার রাগ আরও বাড়লো। মেয়ে হয়ে তো সে আর লজ্জাহীনার মতো সরাসরি বলতে পারেনা “আপনার জন্য মাঝরাতে রান্না করেছি, বাসার নিচে আসেন”।
তাই রেগেমেগে ও বললো,

—যা মন চায় করেন!
অতঃপর ফোন কেটে দিলো। নিশীথ খানিকটা অবাক হলো। মনে মনে ভাবলো, আশ্চর্য! মেয়েটা রেগে গেলো কেন? ও তো কিছুই করেনাই। মেয়েমানুষের মন বড়ই জটিল। তার চেয়েও জটিল বিষয় তাদের মন বুঝা!
নিশীথের উপরের রাগ খাবারের উপর ঝাড়লোনা দোলা। বড়ই যত্নে বানিয়েছে কিনা! তাই পাস্তার বক্স ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখতে যেইনা ফ্রিজ খুলেছে এমন সময় নিশীথ ফের কল দিলো। দোলা বিরক্ত হলো। একবার ভাবলো ফোন ধরবেনা, আবার কি ভেবে যেন শেষ পর্যায়ে ফোন রিসিভ করলো। সাথে সাথেই নিশীথ বলে উঠলো,

—তোমার বাসার নিচে আছি গাড়ি নিয়ে। বেশিক্ষণ থাকবোনা টেনশন করোনা। আমি গাড়ি থেকে বের হবোনা। তুমি সরাসরি গাড়িতে ঢুকে পড়বে!
নিশীথ কথা শেষ করেই ফোন কাটলো। দোলা মুচকি হেসে রুম এ গিয়ে মাথায় কাপড় দিয়ে বের হলো। মনে মনে একটু ভয় লাগলো। ভাবলো, সে কি বেশি বেশি করছেনা? এভাবে এত রাতে নিশীথের সাথে দেখা করা কি ঠিক হবে? তাও রান্না করে নিয়ে যাচ্ছে, নিশীথ কি ভাব্বে? পরক্ষণেই ভাবলো, এর আগেও তো একবার দেখা করেছে নিশীথের সাথে এত রাতে। তাছাড়াও বিয়ে তো হচ্ছেই ওদের কিছুদিন বাদে, সুতরাং একটু দেখা করতে ক্ষতি নেই। কিছুক্ষণেরই তো ব্যাপার!

এসব ভেবে নিজের রুম লক করে, বাসার দরজা লক করে দোলা বেরিয়ে গেলো নিচে দ্রুতপায়ে। বরাবরের ন্যায় ঘুম ঘুম চোখে তূর্য দাঁড়িয়ে আছে বাসার মেইনগেটের সামনে৷ এবার দোলা ওকে দেখে অবাক হলোনা, এখন ওর অভ্যাস হয়ে গেছে। তূর্য গেট খুলে দিতেই দোলা বেরিয়ে গেলো। নিশীথ গাড়ির দরজা খোলাই রেখেছিলো, দোলা ভেতরে ঢুকতেই গাড়ির দরজা সজোরে টেনে লক করে দিলো।

মিনিট পাঁচেক হচ্ছে দোলা ও নিশীথ কেউ কোনো কথা বলছেনা। মূলত, দোলা কথা বলছেনা দেখেই নিশীথ ইচ্ছা করে চুপ আছে। এক পর্যায়ে এ নিরবতায় বিরক্ত হয়ে দোলা নিজ থেকেই বলে উঠলো,
—গা,গাড়ি লক করলেন কেন?
নিশীথ হাসলো। দোলার দিকে সামান্য ঝুকে বললো,
—কেন? ভয় পাচ্ছো?

দোলা জবাব দিলোনা। কিন্তু মাথা দুপাশে নেড়ে জানালো, সে ভয় পাচ্ছেনা। তা দেখে নিশীথ আবারো খানিকটা হাসলো। কিছুক্ষণ একদৃষ্টে দোলার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকলো শুধু। দোলা অস্বস্তিতে এদিক-ওদিক চাইলো। আজ নিশীথ এত চুপচাপ আছে কেন? ওর এই নীরবতা যে দোলার সহ্য হচ্ছেনা, এ কথা ওকে বুঝাবে কি করে?
খানিকবাদে নিরবতা ভেঙে নিশীথ স্বভাবসুলভ ভরাট গলায় ওকে ডাকলো।

—দোলনচাঁপা?
দোলা ইষৎ কেপে উঠলো। নিশীথের চোখের দিক তাকাতেই চোখে পড়লো ওর নিষ্পলক চাহনি। দোলা সাথে সাথেই লজ্জায় মাথা নামিয়ে নিলো। ওর কোলে রাখা মাঝারি সাইজের বক্সের দিকে ইশারা করে নিশীথ জিজ্ঞেস করলো,
—বক্সে করে কি এনেছো?
—নিজেই দেখুন!

দোলা বক্সটা নিশীথের দিকে এগিয়ে দিলো। নিশীথ আগ্রহের সাথে হাতে নিয়ে খুলতেই গরম গরম পাস্তার সুস্বাদু গন্ধে গাড়ির ভেতরটা মৌ মৌ করে উঠলো। নিশীথ নাক টেনে সুবাস নিলো। পাস্তা দেখে একিসাথে খুশি ও বিস্মিত হলো। চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করলো,
—তুমি আমার রান্না করেছো এনেছো? তুমি? সিরিয়াসলি?

দোলা আরেকটু লজ্জা পেলো। মৃদু হেসে মাথা নেড়ে জানালো- হ্যাঁ, ও নিজেই রান্না করে এনেছে নিশীথের জন্য। একিসাথে, নিয়ে আসা চামচ এগিয়ে দিলো নিশীথের দিকে। দোলার কাজে নিশীথের হাসির দৈর্ঘ্য প্রশস্ত হলো। চওড়া হেসে ও পাস্তা মুখে দিয়ে চোখ বন্ধ করলো। দোলা আড়চোখে নিশীথের বিস্ময়, ওর খুশি, ওর আনন্দ সবটাই ঠিকই লক্ষ্য করলো। চিবোনো শেষ করে ঢোক গিলে চোখ বন্ধ রেখেই নিশীথ আচমকা দোলার দিকে হাত তাক করে বললো,

—আমায় একটা চিমটি কাটো তো, দোলনচাঁপা! ফাস্ট! আই হ্যাভ টু কনফার্ম দ্যাট আই এম ড্রিমিং অর নট? আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি এসব বাস্তবেই হচ্ছে আমার সাথে?
নিশীথের কথায় এবার দোলা নিজের হাসি সামলাতে পারলোনা। বেশ খানিকটা হেসে বললো,
—এত ঢং কিভাবে করেন?

ওর কথা শুনে চোখ খুলে নিশীথ নিজেও হাসলো। দোলার হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ ওর হাত দুটো নিজের দু’হাতে তুলে নিয়ে টুপ করে চুমু খেলো হাতের তালুতে। প্রচণ্ড চমকে ও লাজে দোলা দ্রুত চোখ বন্ধ করে ফেললো। ছুটোছুটি করে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিতে চাইলেও নিশীথ ওর হাত ছাড়লোনা। বরং ওর হাত ধরে রেখে খুশিতে গদগদ হয়ে বললো,

—আগে যদি জানতাম তুমি এভাবে আমার জন্য নিজ হাতে রান্না করে আনবে তবে আমি সন্ধ্যা থেকেই না খেয়ে বসে থাকতাম জানো?
এবার দোলা অবাক হয়ে গেলো। জিজ্ঞেস করলো,
—আপনি কি না খেয়ে ছিলেন না তবে?
নিশীথ মনে মনে জিব কেটে নিজেকে বকলো। আবেগের চোটে সত্যি কথাটা মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছে আগে আগে! দোলার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পাস্তা খেতে খেতে বললো,

—তুমিও খাও একটু। খেয়েছো বলে তো মনে হচ্ছেনা। আমি একা একাই খাবো শুধু?
দোলা মাথা নেড়ে বললো,
—আমি ১০টার পর কিছু খাইনা। অনেক পুরনো অভ্যাস। এখন খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে আমার। আপনিই খান!
নিশীথ আর কথা বাড়ালোনা। চুপচাপ মন ভরে খেয়ে নিলো প্রেয়সীর হাতে বানানো খাবার। বক্সটা সিটে রেখে সামনের সিট এ রাখা পানির বোতল থেকে পানি খেতে খেতে বললো,

—অবশ্য একবার ডিনার করে নিলে আমিও আর কিছু খাইনা রাতে। কিন্তু আজকে ব্যতিক্রম করতেই হলো। তুমি নিজ হাতে খাবার বানিয়ে আনলে আমার জন্য, এটা যদি না খাই তবে আমি কেমন প্রেমিক হলাম, বলো তো?
দোলা এবার অবাক হলোনা। সে প্রথম কথাতেই বুঝে গিয়েছিলো নিশ্চয়ই নিশীথ কিছু খেয়ে এসেছে। তবুও ওর জন্য খাচ্ছে এটা দেখতেই দোলার প্রেয়সীমনে শান্তি লাগছিলো তাই আর কথা বাড়ায়নি। নিশীথের কথায় ও হাসলো শুধু। নিশীথের হাতঘড়িতে সময় দেখে বললো,

—কতক্ষণ থাকবেন আরও? ১টা পার হয়ে গেছে। আমারও যেতে হবে। জানেন, মা জেগে গিয়েছিলো এটা বানানোর সময়। আমি মিথ্যে বলে তাকে রুমে পাঠিয়ে চলে এসেছি কোনোমতে!
দোলার করুন মুখ দেখে নিশীথ বললো,

—আহারে। এত কাহিনি না করে সরাসরি আন্টিকে বললেই পারতে তার হবু জামাইয়ের জন্য রান্না করছো!
দোলা চোখ পাকিয়ে তাকালো। নিশীথ সেটা দেখেও দেখেনি এমন ভাব করে অন্যদিকে তাকালো। এরই মাঝে দোলার মাথায় এলো বিয়ের কথা। ও বেশ আগ্রহ নিয়ে প্রসঙ্গ বদলে নিশীথকে শুধালো,

—আচ্ছা, আপনি তো শুধু বলেছিলেন কবে বিয়ের শপিং করবো। কিন্তু আমাদের বিয়ের ব্যাপারে কি বলেছে আপনার বাসায় সেটা তো বললেন না? কি বলেছে আংকেল-আন্টি? কবে এ ব্যাপারে কথাবার্তা বলতে আসবেন?
এবার নিশীথের হাসিখুশি মুখটা থমথমে হয়ে এলো। গাড়ির ভেতরের হলদে লাইটের আলোয় ওর মুখভঙ্গি দোলার দৃষ্টি এড়ালোনা। অজানা চিন্তায় দোলার মনে কু ডাকলো। কিন্তু ও নিশীথকে জোরাজোরি করলোনা। নিজ থেকে ওকে বলার জন্য অপেক্ষা করলো। এরই মাঝে সকল জড়তা ভেঙে নিশীথ বললো,

দোলনচাঁপার সুবাস পর্ব ৩৮

—আমার বাবা আমাদের বিয়ের জন্য রাজি হননি, দোলনচাঁপা!
দোলার মনে হলো যেন ওর পায়ের নিচ থেকে সমতল জমিন সরে গেলো। যে ভরসায় নিশীথের সাথে এ সম্পর্কে ও অগ্রসর হয়েছিলো তা যেন মুহুর্তেই ভংগুর হয়ে গেলো!

দোলনচাঁপার সুবাস পর্ব ৪০