নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪৩

নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪৩
Mousumi Akter

চৌধুরী বাড়িটা এখন আর আগের মত নেই। সকালে উঠে চায়ের আসর বসে না। শ্রাবণ আর অন্তর সোফায় দখল করে রাখা জায়গা দু’টো ফাঁকা পড়ে আছে। প্রিয়তার সারা বাড়িতে হাসি-আনন্দে ঘুরে বেড়ানোর চিহ্ন নেই।

রান্নাঘরে আঞ্জুমান,লতিফা, রজনির ছোট গল্প আর ভেষে আসছে না। কেমন নিরব হয়ে আছে বাড়িটা। সকাল সাড়ে পাঁচটা বাজে। আঞ্জুমান নামাজ পড়ে তজবীহ গুনছে। মাহবুব আর প্রান্তিক দু’জনে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফিরছে। মাহবুব ও জেনে গিয়েছে তার ছেলে অসুস্থ। ছেলের সামনে একদম ই বুঝতে দিচ্ছে না সে ভেতরে ভেতরে দুঃচিন্তা করছে। খুব শক্ত হওয়ার ভান ধরে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” শোনো প্রান্তিক ডাক্তাররা কিন্তু আল্লাহ না। রিপোর্ট এ যায় আসুক ওসব মোটেও ভেবে চিন্তা করবা না। আমার ছেলে একজন ইয়াং ম্যান। আমি জানি ওসবে কিচ্ছু হবে না। আমাদের বাসার পাশের ফসিয়ার ভাইকে ডাক্তার ২ ঘন্টা সময় দিয়েছিল সে কিন্তু এখনো ৩২ বছর জীবীত। বুঝতে পারছো ব্যাপার টা।”

প্রান্তিক হেসে বলল, ” বাবা আমাকে দেখে মনে হয় আমি তোমার সেই ছেলে। যে মৃত্যুর ভ-য়ে চিন্তায় পা*গ-ল হয়ে যাব। মৃত্যু আসলে ম-রে যাব। এটা প্রকৃতির নিয়ম। কেউ আটকাতে পারবেনা। তবে আমি জানি আমার অসুখ সেরে যাবে। কেননা আমি ভেতর থেকে মোটেও দূর্বল না। আমার যে শরীর খারাপ সে বিষয়ে আমার কোনো ফিলিংস ই হয়না।আই আম ওকে বাবা। শুধু শুধ মা আর রজনি চিন্তা করে।”

“আমি জানিতো আমার ছেলের কিছুই হয়নি।”
প্রান্তিকের চোখের সামনে বকুল গাছ পড়ল।গাছের তলা ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে। মাদরাসায় পড়তে যাওয়া কয়েকটা বাচ্চা ফুল কুড়াচ্ছে আর মালা গাঁথছে।প্রান্তিক মাহবুব কে বলল,

” বাবা তুমি যাও গিয়ে লতিফা খালাকে চা করতে বলো। আজ একসাথে চা খাবো। অনেক দিন কেমন সব ম-রা ম-রা লাগে।আমি আসছি ৫ মিনিটের মাঝে।”
” দ্রুত এসো তাহলে।”
মাহবুব চলে গেল।প্রান্তিক বাচ্চাদের মাঝে গিয়ে ঝুঁকে কয়েকটা সাদা ধবধবে ফুল হাতে নিল।আনমনে বিড়বিড় করে বলল,

” তুমি এই ফুলের মতোইই স্নিগ্ধ আর সাদা রজনিগন্ধ্যা।”
বাচ্চাগুলো প্রান্তিকের দিকে চেয়ে আছে। প্রান্তিক খেয়াল করল বাচ্চাগুলো প্রান্তিকের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।প্রান্তিক ভ্রঁ নাচিয়ে বলল, ” তোমরা এই ফুলের মালা কি করবা বিক্রি করবা।”

বাচ্চাগুলোর মাঝে থেকে একজন বলল, ” না এমনিই মালা বানাচ্ছি।”
“তোমরা কি রেগুলার ই মালা বানাও।”
” হ্যাঁ। ”
“আজকের মালাগুলো বিক্রি করে দাও। তোমাদের আন্টিকে দিব।”
“ভাবিকে দিবেন? তাহলে সব গুলো নিয়ে যান।”

প্রান্তিক কপাল টানটান করে তাকিয়ে ভাবছে, “আমি বললাম আন্টি আর ওরা বলে ভাবি।কি পাকা পোলাপান।”
বাচ্চাগুলো সব গুলা মালা প্রান্তিকের হাতে তুলে দিল।প্রান্তিক খুশি হয়ে ওদের ৫০০ টাকা দিয়ে বলল, ” মিষ্টি কিনে খেও সবাই।”

এত টাকা দেখে বাচ্চাগুলো ভীষণ খুশি হল।প্রান্তিক কে বলল,
” ভাইয়া মালা লাগলে আবার নিয়ে যাবেন।”
প্রান্তিক বলল, ” আমি তোদের কাকু হই। ভাইয়া নই।”

প্রিয়তার মাত্রই ঘুম ভেঙেছে। ঘুম ভাঙতেই তাকিয়ে দেখল তার পায়ের উপর মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে অন্ত। অন্ত সারারাত তার পায়ের কাছে টুল নিয়ে বসে ছিল। প্রিয়তা পা নাড়াতেই অন্তর ঘুম ভাঙল। সে দ্রুত প্রিয়তার পায়ের উপর থেকে উঠল।চোখ ঢলে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,

” শুভ সকাল।কেমন লাগছে আজ।”
” আমি একটু উঠব। আর সুয়ে থাকতে পারছিনা।”
অন্ত প্রিয়তার পিঠের নিচে হাত দিয়ে খাটের সাথে বালিস হেলান দিয়ে আধসোয়া অবস্থায় বসিয়ে দিল।

প্রিয়তার মলিন মুখে হাসি নেই। সারাক্ষণ কিছু একটা ভাবে সে।অন্ত জানে এক নিমিষেই প্রিয়তার মন থেকে কখনোই শ্রাবণ কে মুছে ফেলা যাবেনা।সেটা করতে গেলে হিতে বিপরিত হবে।তাই চেষ্টা করছে প্রিয়তাকে স্বাভাবিক রাখতে। কিন্তু শ্রাবণ কে ভুলে যাওয়ার জন্য কোনোরকম প্রেশার দিচ্ছেনা।শ্রাবণের কোনো বিষয় উঠলে না বা হুম বলে এড়িয়ে যাচ্ছে।অন্ত ব্রাশ এনে প্রিয়তার মুখে দিয়ে বলল, ” হা করো ব্রাশ করিয়ে দিই।”

প্রিয়তা কিছুই না বলে হা করল। অন্ত ব্রাশ করিয়ে মুখ ধুইয়ে দিল। প্রিয়তাকে এইবার বেশ ফ্রেশ লাগছে। অন্ত এইবার রিমোট নিয়ে টিভি ছাড়ল। একটা ফানি নাটক ধরিয়ে দিল।অন্ত গত রাতে দুই ঘন্টা ধরে সার্চ করেছে সেরা ফানি নাটক।যা দেখলে হাসি আসবেই।

নাটক টা চলছে অন্ত নিজেই হো হো করে হাসছে অথচ প্রিয়তার মুখে কোনো হাসি নেই। সে ভুলেও টিভির দিকে তাকাল না।তার সোজাসুজি ওয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখে কোনো পলক নেই। অন্ত বিষয় টা খেয়াল করল। খারাপ লাগছে অন্তর। নিজেকে অপরাধি লাগছে। তার কি উচিৎ শ্রাবণ কে খুজে প্রিয়তা কে তার হাতে তুলে দেওয়া।কিন্তু অন্তর স্বার্থপর মন কিছুতেই সে বিষয়ে সায় দিচ্ছেনা।

গত কাল রাত থেকে হোয়াটস এপ এ শ্রাবণ ক্রামাগত ফোন দিচ্ছে। ফোনের পর ফোন দিচ্ছে। অন্ত একনাগারে সে ফোন কল কেটে দিচ্ছে। এখন ও ফোন আসছে। এরপর ই মেসেজ এল,

” ভীষণ কষ্ট হচ্ছেরে ভাই। দমটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।বুকের ব্যাথায় মরে যাচ্ছি।কসম লাগে তোর একটা বার ওর সাথে কথা বলিয়ে দে। আমার প্রিয়তা আমি ছাড়া ম’রে যাবে।পৃথিবীর কোনো ডাক্তার পারবেনা ওকে সুস্থ করবে। ওকে ভাল রাখার মেডিসিন আমি। একটা বার আমাকে ওর কাছে যেতে দে। পেয়ে হারানোর যন্ত্রণা অনেক ভয়াবহ তুই বুঝবিনা অন্ত।”

অন্ত মেসেজ টা দেখে ফোনের সুইচ অফ করে দিল।প্রিয়তার কাছে গিয়ে বলল, ” আমি একটু নিচে থেকে আসছি। জাস্ট ফাইভ মিনিটস। ভুলেও একা ওয়াশ রুমে যাবেনা। মনে থাকবে।”

প্রিয়তা একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, ” আমার আত্মার মৃত্যু তো অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে অন্ত ভাইয়া। আমার বিশ্বাসের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। শুধু শুধু একটা দেহ টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছেন আপনি।”

” তুমি কি দেখোনা ঝরে যাওয়া গাছে আবার ও সবুজ পাতা গজিয়ে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচণা ঘটায়। দেহটা যখন জীবীত আছে আত্মার ও নতুন করে প্রাণ ফিরবে।”
অন্ত নিচে নেমে গেল। একটা গাছের নিচে গিয়ে শ্রাবণের নাম্বার ডায়াল করল। ফোন রিসিভ হতেই অন্ত গম্ভীর কন্ঠে বলল, ” কেনো এতবার ফোন দিচ্ছিস শ্রাবণ?”

শ্রাবণ খেয়াল করল অন্তর কন্ঠে আগের সেই বন্ধুত্বপূর্ণ ভাষাটা নেই। সেই ভালবাসামিশ্রিত ডাকটা নেই। তার চেনা বন্ধু আজ সম্পূর্ণ অচেনা হয়ে গিয়েছে।হৃদয় টা আরো একবার ক্ষত-বিক্ষত হল শ্রাবণের।চেনা মানুষ গুলোর ক্রমশ ও অচেনারুপ তাকে যন্ত্রণা দিচ্ছে। এই যন্ত্রণা সে কাউকে বোঝাতে পারছেনা।চাপা কাঁন্নার কন্ঠস্বরে বলল,

” আমি কি তোকে ফোন দিতে পারিনা অন্ত? আমি না তোর একমাত্র বন্ধু। যার সাথে বহুরাত আড্ডা দিয়েছিস। এক আকাশের নিচে সুয়ে সুয়ে হাজারো গল্প করেছিস।একটা কোল্ড ড্রিংক্স কাড়াকাড়ি করে খেয়েছি আমরা। মেয়েরা আমার দিকে তাকালেই তুই বলতি, ‘শালা তোর একবার সিনেমায় ট্রাই করা উচিৎ। এত সুন্দর ছেলেকে পর্দায় ছাড়া মানায় না। তোর সাথে ঘুরলে মেয়েরা পাত্তা দেয়না।’ আমাদের এত এত স্মৃতি সব কি ভুলে গিয়েছিস ভাই।”

“কখন বললাম আমি সব ভুলে গিয়েছি।”
“তোর কন্ঠস্বর ই তার সাক্ষী। সব কি মুখে বলা লাগে।”
“তোর সাথে আমার যে স্মৃতি ছিল তার কি কোনটায় সত্য ছিল। তুই তোর বিবেক কে প্রশ্ন কর। তুই কি আদেও কাউকে বন্ধু ভেবেছিস, কাউকে ভালবেসেছিস,সব ছিল তোর অভিনয়। তোর অভিনয়ের মিথ্যা মায়ায় ফেঁসে গিয়েছি আমরা সবাই। শুধু মাত্র তোর জন্য শান্তি নেই আজ আমাদের কারো জীবনে।”

“আমার উদ্দেশ্য অভিনয়ের থাকলেও আমি অভিনয় করতে কারিনি অন্ত। আমার ভালবাসা সবার প্রতি সত্য ছিল। আমার জায়গা না থাকলে বুঝবি না অসহায়ত্ত্ব কি জিনিস। বারবার আপন জন হারানোর যন্ত্রণা।”

“তুই আমার সাথে এখন কেনো যোগাযোগ করতে চাইছিস শ্রাবণ।তুই আসলে কি চাস?”
” আমি খুব অসহায় অন্ত। আমার জীবনে হারাতে হারাতে আর কিচ্ছু নেই। আমার জীবনে আর কেউ নেই। আমাকে ভালবাসার মত ও কেউ নেই। যে ছিল সে হারিয়ে গিয়েছে।একমাত্র তুই পারিস আমার অপূর্ণ জীবন টাকে পূর্ণ করে দিতে।

আমি তোর পায়ে পরি, ধোহাই লাগে ভাই আমার ভালবাসা ফিরিয়ে দে। আমার প্রিয়তাকে ফিরিয়ে দে অন্ত। আমি মনের যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিনা। যে কষ্ট আমার হচ্ছে এর এক বিন্দু পরিমাণ কষ্ট কেউ পেলে সে এই মুহুর্তে মৃত্যুকে বরণ করে নিত। আমার ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় প্রতিটা মুহুর্ত প্রিয়তার জন্য ছটফট করছে।আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি অন্ত। আমার প্রিয়তা কে চাই অন্ত। ফিরিয়ে দে আমার প্রিয়তাকে।”

“আমি কি জোর জবর -দস্থি করে কেড়ে নিয়েছি তোর থেকে প্রিয়তাকে?”
“না আমার ই অন্যায়ের শাস্তি আমি পাচ্ছি। যথেষ্ট শাস্তি আমি পেয়েছি। ভেবেছিলাম আমি এই মুখ নিয়ে ভালবাসার কথা কোনদিন বলব না। কিন্তু আমি পেরে উঠিনি অন্ত। হেরে গিয়েছি। মনের সাথে যুদ্ধে ভালবাসার কাছে হেরে গিয়েছি।আমার প্রিয়তাকেই লাগবে।”

“প্রিয়তাকেই যখন লাগবে তখন কেনো বিয়ের দিন উধাও হয়ে গেলি।”
“তুইতো সবই জানিস অন্ত। প্রান্তিক ভাই বিচক্ষণ মানুষ। উনি ভাবির দিকে খারাপ দৃষ্টি দেওয়াতে বুঝে যায় সব কিছু আমিই করছি। তখন ভাই এর প্লান ই থাকে প্রিয়তার সায়হে আমার বিয়ে ঠিক করে আমাকে গু’ম করে রাখবে।

ভাই তার প্লান মত এগোলো। আমাকে গু’ম করে ফেলল। আমাকে দিয়ে চিঠি লেখালো।আর প্রিয়তার সাথে তোর বিয়ে দিয়ে দিল। ভাই যখন জানল আমার বোনের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের জন্য আমি এসব করেছি তখন ভাই বলল,

‘ এত জঘন্য কাজ কি আমি করতে পারি শ্রাবণ। শুধু মাত্র তোকে ভালবাসি বলে তোর বোনের সাথে করা অন্যায়কারীদের আজ ও জেলের ভাত খাওয়াচ্ছি। একটা ভুল ধারণার উপর আমার বোনের জীবন আমার রজনিগন্ধ্যার জীবন টা কেনো নষ্ট করতে চাইলি।’
সেখান থেকে আমি আর আমার মাঝে নেই অন্ত। অনুশচনার আ’গু’ন আমাকে শেষ করে দিচ্ছে।”

“এখন এসব বলে কি কোনো লাভ আছে শ্রাবণ? চাইলেও কি আর সব ঠিক হবে।”
” তুই চাইলেই সব ঠিক হবে।”

” কিছুই আর আগের মত নেই শ্রাবণ। কিছুই আর ঠিক হবেনা।তুই প্রিয়তার সাথে কথা বললে ওর সামনে গেলে ওর কষ্ট বাড়বে ছাড়া কমবে না।এটা ঠিক প্রিয়তা তোর জন্য কষ্ট পাচ্ছে, ও ভাল নেই। কিন্তু এর পাশাপাশি এটাও চরম সত্য ও আর কোনদিন তোর কাছে সেই মানসিক শান্তি খুজে পাবেনা। ও এখন সবটা জানে। তোর কাছে গেলেই ওর বারবার মনে পড়বে তোর বেঈমানি গুলো। তুই প্রিয়তাকে ভাল রাখারা সব ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিস শ্রাবণ।”

“আমি আবার ও আমার ভালবাসা দিয়ে সব ঠিক করে নিব।”
” বিশ্বাস আর ভালবাসা হল দেওয়ালের এপিট আর ওপিটের মত। এক পিঠে আঘাত লাগলে অপরপিঠ আপনা আপনি ভেঙে যায়।”

“আমি আমার ভালবাসা পেয়েও হারাব। এই ব্যাথা আজীবন মনে থেকে যাবে।”
” তুই পেয়ে হারানোর যন্ত্রণার বুঝতে পেরেছিস শ্রাবণ। একই যন্ত্রণা আমি পেতে চাইনা।”
“তার মানে কি তুই ও প্রিয়তা কে।”

“না কিচ্ছু না। প্রিয়তা সুস্থ হোক। ও যদি তোর কাছে যেতে চায় আমি আটকাবো না।”
অন্ত ফোনটা কেটে দিয়ে দুঃচিন্তায় মাথার চুলে হাত বুলাল।তার কি করা উচিৎ বুঝতে পারছেনা।মনের গভীরে প্রিয়তার প্রতি যে গভীর ভালবাসা তার এক জনমে কি আর তা ভোলা যাবে।

নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪২

প্রান্তিক বকুল ফুলের মালাগুলো নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করল।ডায়নিং এ কেউ নেই। রজনি সোফার কুশন গুলো ঠিক করছে।প্রান্তিক এদিক-সেদিক উঁকি দিয়ে রজনিকে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে গেল।

নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪৪