নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৭

নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৭
লেখিকাঃ Tamanna Islam

রায়হান কে এইভাবে এখানে এই সময়ে দেখে ইলা বেশ অবাকই হয়। আর সে জানে যে রায়হান আসলে কেমন স্বভাবের ছেলে।
রায়হান;; তোমার এই নাতি টা কে ভুলে গিয়েছো তাই না দাদুমনি..!
ইলা;; না আমি কাউকে ভুলি না। ভুলতে পারিও না। না ই তোকে, তোর মাকে আর না ই তোর বাবাকে।
রায়হান;; হুমম বুঝলাম। তো এখন বলো যে তোমার ওই গুনধর বড়ো নাতি টা কোথায়?
ইলা;; ওপরে ওর রুমেই আছে।

রায়হান;; ওহহ আচ্ছা ঠিক আছে আমি গেলাম তাহলে ওপরে।
এই কথা বলেই রায়হান ওপরের রুমে আব্রাহামের কাছে চলে যেতে লাগলো। আর ওদিকে প্রায় অনেক দিন পর অয়নের সাথে আব্রাহামের দেখা। তাই জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে।
অয়ন;; হেই মিস্টার. চার্মিং বয় কেমন আছিস?
আব্রাহাম;; বেশ ভালো। তোর কি খবর তা বল। এতোদিন পর এলি আর আমাকে জানালি না কেন?
অয়ন;; ভাবলাম তোকে সারপ্রাইজ দিবো তাই।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আব্রাহাম;; হুম হুম। আর ওই দুই ছাগলের খবর কি রে। কৌশল আর রহিত কেমন আছে?
অয়ন;; কৌশল আছে বেশ ভালোই। আর রনিত তো আরুশি কে নিয়ে বেশ আরামে আছে। আরুশির ফ্যামিলির লোকজন সব মেনে নিয়েছে আর কি লাগে বল!
আব্রাহাম;; হুম গুড। এই মানা টা আগে মেনে নিলেই আমাদের এতো খাটা খাটনি করতে হতো না।
অয়ন;; হ্যাঁ, যদিও সব তোরই ক্রেডিট।
আব্রাহাম;; আরে একদম না।

আব্রাহাম আর অয়ন কথা বলছিলো তবে তার মাঝেই রায়হান আসে। আব্রাহাম রায়হান কে দেখে রাগে না। বরং খুব একটা শান্ত থাকে। অয়ন রায়হান আর আব্রাহামের ব্যাপার টা বেশ ভালোই জানে। এও জানে যে আব্রাহাম & রায়হান দুইজন সৎ ভাই৷ অয়ন একবার আব্রাহামের দিকে আরেক বার রায়হানের দিকে তাকাচ্ছে। আব্রাহামের ঘরে পারমিশন ছাড়া কেউ আসে এক মাত্র তার দাদি ছাড়া। রায়হানের এমন করে আসাতে আব্রাহামের রাগ তো হয়েছে কিন্তু কম। রায়হান গিয়ে আব্রাহামের সামনে দাঁড়িয়ে পরে।

রায়হান;; কিরে ভাই কেমন আছিস?
আব্রাহাম;; তুই কবে থেকে মানুষের ভালো-মন্দের খোঁজ নেওয়া শুরু করলি?
রায়হান;; এই ধর আজ থেকেই আর এখন থেকেই।
আব্রাহাম;; তো মানুষের রুমে যে বিনা অনুমতি তে প্রবেশ করতে হয় না সেই মেনার্স টুকুও কি নেই তোর। আমি তো ভেবেছিলাম যে তুই অমানুষ হলেও অন্তত এই টুকু ভদ্রতা জানিস। কিন্তু তোর সম্পর্কে এই টুকু ভালো ধারণাও আমার ভূল প্রমাণ হলো।

রায়হান;; আমাকে নিয়ে সহজে কিছু ভাবতে যাস না ভুলই হবে।
অয়ন;; আব… আব্রাহাম তোরা থাক ওকে আমি বরং পরে আসি।
আব্রাহাম;; না উঠবি না বোস এখানে।
আব্রাহামের কথায় অয়ন উঠতে গিয়েও আবার বসে পরে।
আব্রাহাম;; এখান থেকে সেই চলে যাবে যে সবার পরে এসেছিলো আর অবশ্যই তুই পরে আসিস নি তাই না।
অয়ন;; কিন্তু..

রায়হান;; আরে বোস প্রব্লেম নেই।
আব্রাহাম;; বল রায়হান কি নিবি? চা নাকি কফি? ওপস সরি তুই তো এগুলো খাস না। বল কোন এলকোহল নিবি “বিয়ার, হুইস্কি, ভোডকা, স্যাম্পেইন, ওয়াইন, রাম, জিন, ডার্ক ডেনিয়্যালস্”। বল কোনটা?
রায়হান;; এখন মুড নেই আমার৷ আর আমার যা দরকার আমি তা কারো কাছে চাই না। নিজে আদায় করে নিতে জানি বুঝলি।

আব্রাহাম;; এর জন্যই আজ তোর পজিশন এখানে।
আব্রাহামের কথায় অয়ন মুখ চেপে হেসে দিলো।
রায়হান;; শোন আব্রাহাম আমি এখানে কোন ইয়ার্কি করতে আসি নি।
আব্রাহাম;; তো কি করতে এসেছিস বল!
রায়হান;; এখন ভালোভাবে বলতে এসেছি নয়তো পরে খুব খারাপ হয়ে যাবে৷
আব্রাহাম;; এছাড়াও আমার খারাপ জিনিসই পছন্দ। ভালো জিনিস আমার কেমন জানি হজম হয় না।
রায়হান;; আইরাত..!
আব্রাহাম;; কি বললি?

রায়হান;; আইরাতের বিষয়ে কথা বলতে এসেছি। আইরাতের জীবন থেকে তুই সরে যা। আইরাত আমার, আইরাতকে আমি তোর হতেই দিবো না। তাই ভালোই ভালোই বলছি যে আইরাতের লাউফ থেকে কেটে পর।
আব্রাহাম করিডরে ছিলো। অয়ন আর সে মিলে সেখানেই কথা বলছিলো। আব্রাহামের করিডরের সাইডে একটা ছোট ডেস্ক আছে। সেখানে নানা ধরনের জুস & ড্রিংকস রাখা আছে। আব্রাহাম সেই ডেস্কের কাছে গিয়ে একটা ছোট গ্লাসে এলকোহল নিয়ে তাতে আইস কিউব নিচ্ছিলো আর রায়হানের এইসব লেইম লেইম কথা গুলো শুনছিলো। ডেস্কের সাইড থেকে সরে এসে অন্য জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়। হাতে গ্লাস, মাঝে মাঝে তা চুমুক দিচ্ছে।

রায়হান;; আইরাত আর তোকে আমি এক হতে দিবোই না। আইরাতকে আমি আমার করে নিবো। তাই তোকে এটা বুঝাতে এসেছি যে আমাদের মাঝে আসিস না। দূরে থাক আইরাতের কাছ থেকে৷
রায়হান এই কথা গুলো বলছিলো। আর আব্রাহামের এগুলো শুনতে শুনতে তো ধৈর্যের বাধ একদম ভেঙে গেলো। আব্রাহামের হাতে যে গ্লাস ছিলো সেটা সে হাত দিয়ে এতো শক্ত করেই ধরেছে যে গ্লাস টা একদম ফেটে হাতে থাকা অবস্থাতেই ভেঙে গেলো। টাস করে শব্দ হয়। অয়ন তাকিয়ে দেখে আব্রাহাম তার হাত দিয়ে চাপ দিয়ে কাচের গ্লাস ভেঙে ফেলেছে। কাচ গুলো আব্রাহামের হাতে ফুটেছে। রক্ত ঝড়ছে….

অয়ন;; আব্রাহাম।
অয়ন গিয়ে আব্রাহামের হাত টা ধরে ফেলে। সাইডে টিস্যুর বক্স ছিলো তা থেকে বেশ কিছু টিস্যু নিয়ে আব্রাহামের হাত টা চেপে ধরে। কিন্তু তা মূহুর্তেই রক্তে ভিজে চুপচুপে হয়ে যায়। আব্রাহাম এক ঝটকায় অয়নের কাছ থেকে তার হাত টা ছাড়িয়ে নেয়।
তারপর আব্রাহাম নিজেই একটা কাপড় দিয়ে তার হাত টা পেচাতে পেচাতে বলে ওঠে…
আব্রাহাম;; কি বললি?
রায়হান;; আইরাতের জীবন থেকে কেটে পর৷
আব্রাহাম;; হাহ, হাহাহা হাহাহাহাহা হাহা ?।

রায়হানের কথায় আব্রাহাম হো হো করে হেসে উঠলো। তা দেখে রায়হান কপাল কুচকায়।
রায়হান;; এখানে হাসির কিছুই বলি নি আমি।
আব্রাহাম;; বেস্ট জোক অফ দি ইয়ার।
রায়হান;; এখানে তোর মনে হচ্ছে যে আমি ফাইজলামি করছি।
আব্রাহাম;; আফ কোর্স। আমার কাছে এটা অনেক বেশি ফাজলামি টাইপ কথা ছিলো। মানে যেটা কখনো হবে না সেটার পেছনে কেন ঘুরছিস বল। অযথা মরীচিকার পেছনে ছুটে লাভ আছে, নেই।
রায়হান;; শোন আইরাত কে আমি তোর ধারে কাছেও আসতে দিবো না। আইরাত আমার।
এবার আব্রাহাম চেতে ওঠে…

আব্রাহাম;; হ্যাঁ আইরাত তোর তাই না আইরাত তোর। হ্যাঁ আয় নিয়ে যা আইরাতকে, তোর বাপের সম্পত্তি লাগে তো আইরাত।
রায়হান;; বাপের ওপর যাস না।
আব্রাহাম;; যাবোও না কারণ তার বীজ আর বীজ থেকে ফল নিজের চোখের সামনে দেখতে পারছি।
রায়হান;; তার মানে তুই আইরাতকে ছাড়বি না।
আব্রাহাম নিজের কোমড়ে দুই হাত রেখে রায়হানের দিকে এগিয়ে গেলো। রায়হানের কাধে নিজের এক হাত রেখে বলে…

আব্রাহাম;; আরে এখনো তো ধরিই নি ওকে। আগে বিয়ে করবো তারপর ধরবো দ্যান তোকে মামু বানাবো তারপর তো অন্যকিছু। আর আমার আইরাত আর আমার মাঝে ছাড়াছাড়ির কোন কথাই আসে না।
রায়হান;; শোন তোকে সোজা সাপটা কথা বলি। আমি আইরাত আর তোকে এক হতে দিবো না। আইরাত কে আমি ছিনিয়ে নিবো।
আব্রাহাম;; বুকের পাটা থাকলে নিস। এবার বাড়ি যা তোর মা হয়তো তোকে খুজছে। যা যা নয়তো হারিয়ে যাবি আবার বাড়ি যা বাচ্চু।
রায়হান রাগে যেন ফেটে পরছে। সে আব্রাহামের বাড়ি থেকে এসে পরে। আর রায়হানের যেতেই অয়ন পেটে চেপে ধরে হেসে ওঠে৷

অয়ন;; হাহাহাহাহাহাহাহা,, ভাই যা বলেছিস ওকে। একদম কাচা শরম দিয়ে দিয়েছিস৷
আব্রাহাম;; ওর আদৌ কি লজ্জা-শরম বলতে কিছু আছে। নির্লজ্জ একটা। ওর ভাগ্য ভালো যে খুন করে এখানেই পুতে দেই নি।
অয়ন;; আচ্ছা ছাড় না বাদ দে ভাই। আর প্লিজ তুই হাতে ব্যান্ডেজ করে নে।
ইলা;; আমি করে দিচ্ছি।
আব্রাহাম;; দাদি!
আব্রাহাম তাকিতে দেখে তার দাদি হাতে ফাস্ট এয়িড এর বক্স টা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ইলা;; হুম সব দেখেছি আর শুনেছি আমি।
ইলা আব্রাহামের হাত ধরে নিয়ে বসিয়ে দেয়। তারপর আব্রাহামের সামনে বসে তার হাতে ব্যান্ডেজ করে দিতে দিতে বলে ওঠে…

ইলা;; শোন এভাবে সম্পর্ক আর কতো দিন খারাপ করে রাখবি বল!
আব্রাহাম;; দাদি আর কেউ চিনুক বা না চিনুক তুমি তো আমাকে চেনো। রায়হান ভালো হতে দেয় না। ও সবসময় আমার সাথে হিংসে করে৷ আর হ্যাঁ আমিও চাই না যে সম্পর্ক ভালো হোক৷ যেমন আছে থাক।
ইলা;; তুই ও না।
আব্রাহাম,দাদি আর অয়ন মলে কথা বলতে থাকলো। সেইদিন টা ওভাবেই চলে গেলো তাদের।

আইরাত সকালে ঘুম থেকে উঠেই বসে আছে এলোমেলো চুল নিয়ে। আজ ভার্সিটি না গেলেই নয়। আইরাত আর না ভেবে আব্রাহাম কে ফোন দিলো।
আব্রাহাম;; হ্যালো..
আইরাত;; হ্যাঁ আব্রাহাম..৷
আব্রাহাম;; আব.. জ্বি মানে কি। তুমি মানে আমার বেবিগার্ল, মানে আমার আইরাত, আমার জানপাখি আমাকে,, এই আমাকে ফোন দিয়েছে৷ এটা অবিশ্বাস্য। তুমি আমাকে ফোন করেছো আমি জাস্ট ভাবতে পারছি না।
আইরাত;; আল্লাহ প্লিজ থামুন। আরে বাবা হয়েছে তো হ্যাঁ হ্যাঁ আমিই ফোন করেছি।
আব্রাহাম;; আচ্ছা বলো বলো,, আমার কান গুলো অধির আগ্রহে বসে আছে তোমার কন্ঠ শুনবে বলে। জলদি বলো ।
আইরাত;; আসলে আমি না আজ অফিসে যেতে পারবো না। মানে আজ আমাকে ভার্সিটি যেতেই হবে, মাস্ট বি।
আব্রাহাম;; দিলে তো মুড টা স্পয়েল করে। আচ্ছা ঠিক আছে যাও।

আইরাত;; আচ্ছা ওকে কিন্তু আপ…….৷ যাহ বাবা ফোন কেটে দিলো৷ রাগ তো করলো না আবার৷ আচ্ছা যাজ্ঞে আমি রেডি হই আগে।
আইরাত উঠে দ্রুত রেডি হয়ে ভার্সিটি চলে গেলো৷ তবে আইরাতের ভার্সিটি যেতেই ভার্সিটির কিছু সিনিয়র আইরাতকে কিছু কটু কথা বলে আর মন্দ নজরে তাকিয়ে ছিলো। আইরাত সেখান থেকে চলে যেতেই আবার শিস মেরেছিলো। আইরাত তা সবকিছু উপেক্ষা করে ভার্সিটির মাঠে যায়। যেতেই দিয়ার সাথে দেখা হয়ে যায়।

দিয়া তো এক দৌড়ে ছুটে এসেছে আইরাতকে দেখে। যেন এতো দিন পর এক শান্তি পেয়েছে। দিয়ার কাছ থেকে আইরাত সব নোটস গুলো নিয়ে নেয়। তারপর দুজনেই ক্লাস করতে চলে যায়। প্রায় এক ঘন্টা পর যখন ভার্সিটির লেকচার শেষ হয় তখন আইরাত আর দিয়া কথা বলতে বলতে বাইরে আসে। বাইরে এসেই দেখে বেশ কিছু লোকজনের কোলাহল। আইরাত আর দিয়া সেখান চলে যায়। আইরাতের সেখানে যেতেই চোখ কপালে।

কেননা আব্রাহাম সেখানে ইচ্ছে মতো দুই জন ছেলে যে ধুলাই করছে। আইরাত আরো একটু খেয়াল করতেই দেখে যে আজ সকালে আইরাতকে দেখে যে দুই জন সিনিয়র কটু কথা বলছিলো আব্রাহাম এখন তাদেরই ডিটারজেন্ট পাউডার ছাড়া ধুয়ে দিচ্ছে। মার খেতে খেতে নাক-মুখ দিয়ে তাদের রক্ত বের হবার উপক্রম। কিন্তু আব্রাহাম থামার নাম নিচ্ছে না। ভার্সিটির মাঠে ছেলে দুটো কে ফেলে ইচ্ছে মতো কেলাচ্ছে। আব্রাহাম এভাবে থাকতে থাকতেই পাশে তাকিয়ে দেখে একটা ক্রিকেট ব্যাট। আব্রাহাম ছুটে গিয়ে সেই ক্রিকেট ব্যাট টা হাতে নিয়ে নেয় ওদের মারবে বলে। আর তখনই আইরাত দৌড়ে গিয়ে আব্রাহামের হাত ধরে ফেলে।

আইরাত;; আব্রাহাম, আব্রাহাম। প্লিজ আব্রাহাম থামুন থামুন প্লিজ। ওরা মরে যাবে তো প্লিজ থামুন আব্রাহাম।
আব্রাহাম;; কুকুর গুলোর সাহস হয় কি করে তোমাকে টিজ করার।
আইরাত;; ওরা আমাকে টিজ করে নি। শুধু এমনি।
আব্রাহাম;; আমি দেখেছি সিটি বাজিয়েছে, ফিসফিস করে কথা বলেছে।।
আইরাত;; আপনি দেখেছেন মানে। আপনি কখন এসেছেন?
আব্রাহাম;; ওহহ কাম অন আইরাত ২৪ ঘন্টা নজর থাকে তোমার ওপর আমার।
আইরাত;; আচ্ছা বুঝেছি। প্লিজ এবার ওদের ছাড়ুন।
আব্রাহাম;; না এদের তো আমি।

আব্রাহাম তেড়ে আবার মারতে গেলে আইরাত আবার ধরে ফেলে। আব্রাহাম কে আটকায়। আব্রাহাম তার হাত দুটো ঝেড়ে জেকেটের কলার টা ঠিক করে নেয়। তারপর আইরাত তাকে টানতে থাকে সেখান থেকে চলে আসার জন্য। আব্রাহাম নিজের জেকেটের হাতা গুলো ফোল্ড করতে করতে সেখান থেকে এসে পরতে নেয়। তবে রাগের চোটে এসে পরতে ধরেও আবার এক লাথি মেরে আসে ছেলে দুটোর গায়ে।
আইরাত;; আব্রাহাম প্লিজ এবার থামুন। চলুন এখানে থেকে।
আইরাত দিয়া কে কোন রকমে বলে সেখান থেকে এসে পরে৷

আব্রাহাম;; চলো..৷
আইরাত;; আবার কোথায়?
আব্রাহাম;; ভার্সিটি শেষ না, এখন আমার সাথে থাকবে ফুল টাইম।
আইরাত;; বাসায় যাবো না?
আব্রাহাম;; সবার আগে আমি তারপর বাকি সব।

নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৬

আব্রাহাম আইরাতকে নিয়ে বলতে গেলে লং ড্রাইভেই চলে গেলো। আইরাত দেখলো আব্রাহাম গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে একটা হাইওয়ের ওপর এসে পরেছে। গাড়িটা নেভি ব্লু কালারের। আর ওপরে ছাদ টা ফাকা। অর্থাৎ রুফল্যাস কার।
আব্রাহামের সাইডেই আইরাত তার কোলে ছোট একটা ব্যাগ নিয়ে বসে আছে। আর আশে পাশে দেখছে। রাস্তার দু পাশে বড়ো বড়ো ঘন গাছগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। মন মাতানো খোলা হাওয়া। যার ফলে আইরাতের চুল গুলো উড়ে উড়ে যাচ্ছে। আইরাত এগুলো দেখছে আর মুচকি হাসছে। আব্রাহাম আইরাতের দিকে তাকিয়ে দেখে আইরাত হাসছে তা দেখে আব্রাহামের নিজের মুখেও হাসি ফুটে ওঠে। এই মোমেন্ট টা কে আরো একটু সুন্দর করে তোলার জন্য আব্রাহাম গান প্লে করে দেয়…

~~ Pehli nazar main kaisa jadu kar diya
Tera ban beitha hain mera jiya ?
Jaane kya hoga, kya hoga kya pata
Iss pal ko milke aa jee le zara ?
“Main hoon yahaan, tu hain yahaan
Meri bahon main aa, aa vi jaa ??

Oo jaan e jaan dono jahan, meri bahon main aa, bhool jaa ??““
~Oohh i love you,, o hoo baby i love you….
Hummm i love you,, ooohh baby i love you so much…. ??“!
যেন গান টা আইরাত কেই ডেডিকেট করে চলেছে আব্রাহাম। আইরাত মুগ্ধ নয়নে সব কিছু দেখছে। আর আব্রাহাম তার আইরাতকে দেখেই মুগ্ধ হচ্ছে।

নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৮