প্রজাপতি আমরা দুজন পর্ব ৯

প্রজাপতি আমরা দুজন পর্ব ৯
ইলমা বেহরোজ

নিঝুম, তিতলি লাক্কাতুরা চা-বাগান যাবে শুনে বাড়ির সবাই অবাক হলেও আঞ্জুমান যেন খুশি হোন।নির্জনতো রীতিমতো গোয়েন্দা মিশনে নেমেছে।তিতলি যখন নীল শাড়ি পরে নিচে নামলো সবাই ভূত দেখার মতো চমকে তাকায়।খোঁপায় গাঁজরা,ঠোঁটে লিপস্টিক,চোখে কাজল,হাতে চুড়ি। ঘুরতে যাচ্ছে নাকি বিয়েতে যাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না।
সবাই টিপে টিপে হাসছে দেখেও তিতলির কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।যার আকর্ষণ পাওয়ার জন্য এতো কিছু সে আকর্ষিত হলেই হলো। নিঝুম বাড়ির গেইটের সামনে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল।তিতলি গাড়ি দেখে চুপসে যায়।নিঝুমের পাশে বসতে পারবে না।পিছনের সিটে বসতে হবে ভেবে তিতলি নিঝুমকে বলে,

— “কার আমার ভালো লাগে না।প্লীজ যাবনা কার দিয়ে।”
— “নিজের গাড়ি দিয়েই সুবিধা তিতলি।”
তিতলি গোপনে ঢোক গিললো।এরপর নাছোড়বান্দা হয়ে বললো,
— “প্লীজ,প্লীজ….
নিঝুমের কাছাকাছি বসার জন্য তিতলি একরকম জোর করে গাড়ি নিতে দেয়নি।নিঝুম মনে মনে বিরক্ত হলেও প্রকাশ করলোনা।মেয়ে মানুষ এতো ত্যাড়া হয়!তিতলির জন্যই আজ বের হওয়া।
তাহলে সে যা চায় তা হলে ভালো বৈকি মন্দ হবে না।দুজন হাঁটতে থাকে।পাঁচ মিনিট হাঁটার পর নিঝুম প্রশ্ন করে,
— “হেঁটে যাওয়ার প্ল্যান নাকি?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তিতলি চোখ ছোট ছোট করে তাকায়।বলে,
— “কতটুকু দূরে?”
নিঝুম হাতঘড়িতে সময় দেখে।এরপর বললো,
— “সিএনজি দিয়ে গেলে ৩০-৪০ মিনিট।”
তিতলি প্রফুল্লতার সাথে বললো,
— “আমরা রিক্সা দিয়ে যাই?”
— “রিক্সা যায় না।”
তিতলি মন খারাপের ভান করে বললো,
— “কি আর করার সিএনজি নেন তাহলে।”
নিঝুম দূরে তাকিয়ে চোখের চোখের চশমা ঠিক করতে করতে বললো,
— “আরেকটু হাঁটো।সিএনজি পাবো অনেক।”
— “আপনি আগে আগে হাঁটুন আমি পিছন পিছন আসছি।”
— “আচ্ছা আসো।”

নিঝুম বড় বড় পা ফেলে হাঁটতে থাকে।পিছন পিছন তিতলি শাড়ির কুচিতে ধরে অগ্রসর হচ্ছে।আর নিঝুমের হাঁটা দেখছে।তিতলিরতো নিঝুমের হাঁটাকেও অপ্সরী মনে হচ্ছে।তিতলি নিজে নিজে বিড়বিড় করে,
— ” আচ্ছা ছেলেদের হাঁটা অপ্সরী হয়?”
নিঝুম কিছুটা পথ গিয়ে দাঁড়ায়।তিতলি তখনো অনেকটা দূরে।রাস্তা প্রায় খালি।তিতলি কাছে আসতেই নিঝুম বললো,
— “দাঁড়াও এখানে।আমি গাড়ি নিয়ে আসছি।”
তিতলি এপাশ-ওপাশ মাথা ঝাঁকায়।নিঝুম আরেকটু এগিয়ে একজন সিএনজি ড্রাইভারের সাথে কথা বলে।ড্রাইভারের সাথে নিঝুমের কি কথা হচ্ছে সেটা তিতলির কানে আসছেনা।তবে কথা বলছে যে সেটা দেখতে পাচ্ছে।নিঝুম হাতের ইশারায় তিতলিকে ডাকে।তিতলি ইশারা পেয়ে দ্রুত এগিয়ে আসে।তিতলি আসতেই নিঝুম ড্রাইভারের পাশের সিটে বসতে বসতে বললো,

— ” পিছনের সিটে বসো।আমি আছি ড্রাইভারের পাশে।”
তিতলির মেজাজ চটে যায়।পাশাপাশি বসার জন্য কার অপছন্দের অযুহাত দিলো।আর এখন সেটাই হচ্ছে।কেন যে ড্রাইভারের সিটের পাশে সিট থাকে!
তিতলি শরীর রাগে রি রি করে উঠে।নাক ফুঁসতে থাকে।পায়ে আওয়াজ তুলে সিএনজিতে উঠে।পিছনের সিটে বসে।নিঝুম ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকায়।জিজ্ঞাসা করে,
— “কোনো সমস্যা? ”
তিতলি জোরপূর্বক হেসে বলে,
— “না,না ঠিক আছি।”

কিছু মিনিট পর বৃষ্টি নামে।সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা।বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে।
ড্রাইভার পর্দা বেঁধে দেয় গাড়ির দু’পাশে।ফলে তিতলি বৃষ্টিতে ভেজা থেকে মুক্ত।কিন্তু সমস্যাটা বাঁধে ড্রাইভারের সিটে।নিঝুম আর ড্রাইভার দুজনেরই এক পা,এক পা ভিজে যাচ্ছে।ড্রাইভার এমনিতেই অনেক মোটা।আবার নিঝুম একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ।লম্বায় অনেক বড়।দুজনের জায়গা ঠিকঠাক হচ্ছে না।তিতলি পর্দা একটু সরিয়ে উঁকি দেয় বৃষ্টি দেখার জন্য।আকাশ গুরুম-গুরুম করে ডেকে যাচ্ছে।তখনই ড্রাইভার নিঝুমকে বলে উঠলো,
— “ভাই আপনে আপনার বউয়ের দারো গিয়া বইন।ই হানোতো ভিজি যাইরাম দুজনো।”
ড্রাইভারের মুখে বউ কথাটা শুনে তিতলি চোখ বড় করে তাকায়।বুকে একরাশ ভালোলাগার অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে।মৃদু করে হাসে।নিঝুম পড়ে অস্বস্তিতে।হাত চুলকানো শুরু করে।ড্রাইভার তখন বলেন,

— “আমি গাড়ি থামাইরাম।আপনি যান।”
নিঝুম কিছু বলতে চেয়েছিল তার আগেই ড্রাইভার বলে উঠেন,
— “না ভাই কিছু কওয়া লাগতোনা।বউয়ের লগে মান অভিমান হয় আমরও।ইতার লাগি আলাদা বওন লাগবো নি?”
নিঝুম আর কথা বাড়ায়নি।যত কথা বাড়াবে ততবার এই লোক তিতলিকে বউ বউ করবে।আর নিঝুমের এতো কথা পছন্দ না। যার সহজ অপশন আছে তার কঠিন অপশন বেছে নিয়ে সময় অপচয় করার মানে নেই।ড্রাইভার গাড়ি থামায়।নিঝুম নেমে পিছনে চলে আসে।নিঝুম পাশে বসতেই তিতলি খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠে।খুশিতে কয়টা খুন করাও তাঁর পক্ষে সম্ভব।খুশির ব্যাপারটা যেন এমনই!

অনেক্ষণ,অনেক্ষণ পার হয়ে গেলো কারো মুখে কথা নেই।দুজন মানুষ দুটি পর্দার মাঝে পাশাপাশি বসে।একজনের মনে অন্যজনকে নিয়ে গভীর প্রেম, অফুরন্ত ভালবাসা।আরেকজনের মনে কি আছে জানা নেই ঠিক!দুজনই কান পেতে বৃষ্টির আওয়াজ শুনছে।বৃষ্টির আওয়াজ কখনো শুকনো পাতার মর্মর আওয়াজের মতো,কখনো নদীর কলধ্বনির মতো!তিতলি পর্দাটা অনেকটা তুলে দিয়ে বাইরে তাকায়।আর অবাক হয় খুব।দু’পাশে বড় বড় চা গাছের পাহাড়।চা গাছের উপর আকাশ থেকে পড়ছে অবিরাম,অবিরল,অবিচ্ছিন্ন বৃষ্টি!কি সুন্দর।নিঝুম চোখ পড়ে তিতলির পায়ে।শাড়ি ভিজে যাচ্ছে।নিঝুম তিতলিকে ডেকে বললো,

— “তিতলি পর্দাটা ছেড়ে দাও।আর ১০ মিনিট পর আমরা চা-বাগানের গেইটে পৌঁছে যাবো।তখন ভেতরে ঢুকে মন ভরে দেখ।এখন যে পর্দাটা ধরে আছো পানিতে তোমার শাড়ি ভিজে যাচ্ছে।”
তিতলি পর্দা ছেড়ে পায়ের কাছে তাকায়।সত্যি ভিজে গেছে অনেকটা।সে পর্দার কাছ থেকে একটু দূরে সরে বসে।নিঝুমের হাতের বাহুর সাথে তাঁর হাতের বাহুর সংঘর্ষ হয়।তিতলি কেঁপে উঠে।নিঝুম দ্রুত নিজেকে গুটিয়ে নেয়।চেপে বসে।তিতলি ঘটনাটা চাপা দিতে কথা শুরু করে,
— “আমরা কি বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ঘুরবো?”
— “বাচ্চাদের মতো কথা বলোনা।শাড়ি পরে আসছো বোকার মতো।আবার ভিজতে চাইছো!”
তিতলি জবাবে আর কিছু বললোনা।ঠোঁট বাঁকিয়ে অন্য দিকে তাকায়।যাত্রার পঁয়ত্রিশ মিনিটের মাথায় ড্রাইভার বলেন,
— “ভাই আইয়া পড়ছি।”

নিঝুম পর্দা তুলে দেখে এখনো ঝুম বৃষ্টি।এখনতো নামা সম্ভব নয়।সে ড্রাইভারকে প্রস্তাব দেয়,
— “এখন নামা অসম্ভব।বৃষ্টি থামা অব্দি আপনি একটু বসেন।আপনাকে ১৫০ দেওয়ার কথা আমি ৪০০ দেব।”
ড্রাইভার খুশি হয় তা মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।ডাবল বখশিস কে না চায়।মিনিট দশেক পার হয় নিঝুম, তিতলি কেউ কোনো কথা বলছে না।ড্রাইভার নিজে কখনো কথা না বলে থাকে না।বললেন,
— “আপনেরা চুপ কইরা আছোইন কেনে? আমি আর আমার বউ কুনো জাগাত গেলে খালি মাতি।” ড্রাইভারের মুখে হাসি।নিঝুম বেশ বিরক্ত হয়।বিরক্তি নিয়ে বলে,
— “আপনি ভুল বুঝছেন।আমরা হাসবেন্ড….মানে জামাই-বউ না।তিতলি আমার কাজিন হয় মানে বোন হয়।”
ড্রাইভার কাজিন অর্থ আপন বোন ভেবে জিভ কাটে!অপরাধী স্বরে আকুতি করে বলে,
— “আল্লাহ ভাই!মাফ কইরেন আমি বুঝি নাই।দেইখা আমার কিতার লাগি যে জামা….।আচ্ছা ভাই মাফ করেন।”
নিঝুম শান্ত ভাবে বলে,

— “এভাবে বলতে হবে না ভাই।ভুল হয়ই।”
নিঝুম দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।কি এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।তিতলির খারাপ লাগছে না তো!বৃষ্টি থামার নাম নেই।বৃষ্টি ভেজা মেঘলা দিনে নিঝুম তিতলির পাশে।এই মুহূর্তে তিতলির যে অনুভূতি হচ্ছে সেটা অনামিক অনুভূতি।যে অনুভূতির নাম নেই।
বিশ মিনিটের শুরুতে বৃষ্টি থামে।নিঝুম ভাড়া মিটিয়ে তিতলিকে নিয়ে গেইটের সামনে আসে।চা-বাগানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা সাথে গার্ড দিতে চাইলে তিতলি নিঝুমকে অনুরোধ করে গার্ড না নিতে।নিঝুম কিছু টাকা দিয়ে গার্ড ছাড়াই ভেতরে ঢুকে।তিতলি ভেতরে ঢুকেই এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে।নিঝুম সাবধান করে,

— “সাবধানে চলো। স্লিপ খেয়ে পড়তে পারো। ঘাসের উপর বৃষ্টির পানি। পিচ্ছিল হয়ে আছে।”
তিতলি নিঝুমের সাবধানবাণী মিনিট কয়েক শুনে।এরপর আবার উড়নচণ্ডীর মতো ছুটতে থাকে।কত স্বপ্ন ছিল সিলেটের লাক্কাতুরা চা-বাগানে আসার।সেটা পূরণ হলো আজ।সে বড় বড় গাছ দেখতে পায়।ওদের মাঝে যেনো প্রাণের হুল্লোল!বৃষ্টির পানিতে সব গাছ সতেজ সুন্দর হয়ে উঠেছে।তিতলি শাড়ির কুঁচি এক হাতে ধরে এপাশ-ওপাশ দৌড়াতে থাকে।অনেকটা উপরে উঠে আসে।উপর থেকে নিচে তাকায়।এতো এতো চা-পাতার গাছ!সবুজের সমরোহ।তিতলির মনে উত্তেজনা,উল্লাস!

নিঝুম ক্যামেরায় বন্দি করতে থাকে চা বাগানের সৌন্দর্য। হুট করেই ক্যামেরার পর্দায় ভেসে উঠে তিতলি!নিঝুম ক্যামেরা সরিয়ে স্বচক্ষে তিতলির দিকে তাকায়।তিতলি উঁচু একটা টিলায় দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে বাতাস মাখিয়ে নিচ্ছে শরীরে।গাঁজরাটা খোঁপায় নেই।খোঁপাও নেই।চুল খোলা।গাঁজরা হাতে পরেছে।কোঁকরা চুল।কোমর সমান লম্বা।তিতলির চুল দেখে মনে হচ্ছে এরা আজ অনেক খুশি।অনেকদিন পর যেনো মুক্ত হলো।বাতাসে দুলছে উড়ছে!নিঝুম তিতলির পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।কিছুটা দূরত্ব রেখে।এরপর তিতলির মুখের দিকে তাকায়।মেয়েটা ফর্সা খুব।গাল দুটো মোটা।
নিঝুমের যেরকম হুট করেই তিতলিকে খেয়াল হলো তেমন হুট করেই মনে হলো, তিতলি সুন্দরী। নিঝুম দূরের আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো,

— “তোমার চুল সুন্দর!”
তিতলি যেন চমকায় খুব।নিঝুমের মুখে নিজের চুলের প্রশংসা শুনে খুশিতে চোখের কোণে জল চিকচিক করে উঠে।কত মানুষই তাঁর রূপের,চুলের প্রশংসা করেছে।এতো আনন্দ কখনো হয়নি!তিতলি ঠোঁটে হাসি রেখে বললো,
— “থ্যাংকস ভাইয়া।”
বেশ কিছুক্ষণ নীরবতা।তারপর তিতলি বললো,
— “আমার এক মেয়ে বন্ধুর নাম নিঝুম।”
নিঝুম হেসে বলে,
— “নিঝুম,বকুল,শিমুল, এরকম কিছু নাম ছেলে মেয়ে উভয়ের হয়।”
— “হুম।”
নিঝুম তিতলির দিকে তাকিয়ে বলে,

— “নিঝুম নামটা অপছন্দ হলে আহনাফ বলতে পারো।”
তিতলি অবাক চোখে তাকায়।নিঝুম দূরে তাকিয়ে বলে,
— “আমার পুরো নাম আহনাফ মুত্তাকী নিঝুম।”
তিতলি হাসে।মৃদু করে হাসে।বলে,
— “নিঝুম নামটাই বেশ লাগে।”
আরো কিছুক্ষণ নীরবতা।এরপর নিঝুম ক্যামেরায় চোখ রেখে তিতলিকে প্রশ্ন করে,
— “ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?”
তিতলি বেশ সহজ ভাবেই জবাব দেয়,
— “বিয়ে করবো।সংসার করবো।বাচ্চা হবে!নাতি হবে।এইটুকুই!”
তিতলির কথা শুনে নিঝুমের হিঁচকি উঠে!পানি নেই বিধায় তিতলি নিঝুমের পিঠে-মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।নিঝুম শান্ত হয়।তিতলির দিকে তাকিয়ে হাসে।তিতলি ভ্রু কুঁচকে বলে,

— “হাসছেন কেনো?”
অল্প বয়সী মেয়ের আবেগী কথা নিয়ে নিঝুম কথা বাড়াতে চাচ্ছেনা।তাই বলে,
— “না এমনি।আচ্ছা মানে,বাবা-মায়ের জন্য কিছু করার ইচ্ছে নেই?”
তিতলি উদাসীন হয়ে দূরে তাকায়।
— “বাবার জন্য ইচ্ছে আছে।”
নিঝুম আগ্রহ নিয়ে তাকায়।চোখে-মুখে কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞাসা করে,

প্রজাপতি আমরা দুজন পর্ব ৮

— “মা নয় কেনো?”
তিতলি কাঠ কাঠ গলায় জবাব দেয়,
— “মা নেই।যে আছে সে বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী।”
নিঝুমের মুখজুড়ে বিষণ্নতা নামে।অপরাধী কণ্ঠে বললো,
— “সরি তিতলি।”
তিতলি নিঝুমের তাকায়।আবার চোখ সরিয়ে নেয়।নিঝুমের কোনো এক ইন্দ্রিয় জানান দেয়,তিতলির সৌন্দর্য, হাসিখুশি মন এবং চঞ্চল উড়ন্ত স্বভাবের পিছনে রয়েছে এক জীবনের কষ্টের গল্প।

প্রজাপতি আমরা দুজন পর্ব ১০