প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ১৭

প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ১৭
Writer Mahfuza Akter

মধ্যরাত! ক্ষণে ক্ষণে ঝি ঝি পোকা আর ডাহুকের চিৎকার ভেসে আসছে। আহমেদ ভবনের পরিবেশ বেশ গমগমে। বৈঠক ঘরের বিশাল আসনটায় পাংশুটে মুখে বসে আছেন আফনা বেগম। একসময় তিক্ত গলায় বলে উঠলেন,
“দু’দিন পর পর এসব ঝামেলা কার ভাল্লাগে? দুই দিনের দুনিয়ায় তিন দিনই অশান্তি! দু’দন্ড শান্তিতে বসার যোগাড় কি কেউ দিবি না আমারে?”

রায়হান সাহেব কী বলবেন বুঝে উঠতে পারলেন না! তাঁর পাশেই আফনাদ বসে আছেন। মুখ ভর্তি চিন্তার ছাপ! হয়তো আফনা বেগমের কথাটা আফনাদের কর্ণকুহরে এখনো প্রবেশ করেনি! আফনাদকে এভাবে থম মেরে বসে থাকতে দেখে মোহনার দিকেই চোখ সরিয়ে তাকালেন রায়হান সাহেব। ভরাট কন্ঠে বললেন,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“তরী কখন বেরিয়েছে বাড়ি থেকে?”
মোহনা ঘনঘন পলক ফেলে বললো,
“তরী? সে তো বিকেলেই বেরিয়েছে! বলছিল মধুর সাথে দেখা করতে যাবে।”
সকলে চোখ ঘুরিয়ে মধুর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। মধু থতমত খেয়ে বললো,
“আমি তো আজ সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম! তরী তো এখানে আসেইনি! আমার সাথে ওর কী করে দেখা হবে!!”
মধুর কথা শেষ হতেই মোহনা মুখ বাঁকিয়ে বললো,

“দু’দিন পর পর অঘটন ঘটানোর জন্য মুখিয়ে থাকে এই মেয়ে। সতীত্ব, চরিত্র সবটাই তো গেছে! এখন নিজেও কোথাও ভেসে গেলেই পারে!!”
কথাটা বলেই চোখ গিয়ে পড়লো অদূরে দাঁড়ানো মালিহার ওপর। সুজাতার পাশে দাঁড়িয়ে র*ক্ত*চক্ষু নিক্ষেপ করে আছে মোহনার দিকে। মোহনা শুকনো ঢোক গিলে দ্রুত চোখ সরিয়ে ফেললো।
হঠাৎ আফনাদ হক চট করে জিজ্ঞেস করে বসলেন,

“সৌহার্দ্য কোথায়? ওকে তো দেখতে পাচ্ছি না! ছেলেটা পাশে থাকলে একটু ভরসা পাই। অন্তত এভাবে হাত-পা গুটিয়ে বসে না থেকে একটা স্টেপ নেওয়ার সাহস পেতাম!”
আফনা বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলে সুজাতাকে বললেন, “আসলেই তো! সৌহার্দ্য কোথায়? ওকে ডাকো!”
সুজাতা সৌহার্দ্যের ঘরের উদ্দেশ্যে পা বাড়াবেন এমন সময় রায়হান সাহেব চট করে বাঁধা দিয়ে বসলেন। উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলে উঠলেন,

“সৌহার্দ্য ঘুমাচ্ছে এখন। ওকে ডেকো না! ছেলেটার শরীর তেমন সুস্থ মনে হলো না।”
সৌহার্দ্যের অসুস্থতার কথা শুনে আফনাদ হতাশ হলেন। কোনো করণীয় খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। পুলিশে খবর দেওয়া-ই বা কতটুকু যৌক্তিক? আফনাদের মন বলছে, পুলিশকে জানানোটা-ই এখন সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। মধ্যরাত হয়ে এলো, কিন্তু এখনো তরীর কোনো খোঁজ নেই। তরীর ফেরার হলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই ফিরে আসতো! এখন আফনাদকেই একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। চিন্তিত ভঙ্গিতে ফোন হাতে নিয়ে পুলিশের নাম্বারে ডায়াল করলেন তিনি।

রায়হান সাহেব পড়েছেন মহা বিপাকে! তরী নিখোঁজ, এটা সবাই জানে। কিন্তু তরীর সাথে সাথে যে, সৌহার্দ্যেরও কোনো খোঁজখবর নেই, এটা সবাই জানলে কি অঘটনটা-ই না ঘটবে! রায়হান সাহেব নিজে মনে মনে শতভাগ নিশ্চিত যে, তরী সৌহার্দ্যের সাথেই আছে। তরী নিখোঁজ হওয়ার খবর আসার পরপরই অরুণী রায়হান সাহেবকে বলেছিল, সৌহার্দ্য তখনও বাড়ি ফেরেনি। সৌহার্দ্যের ঘরে তিন-চার বার ঘুরে এসেছেন রায়হান সাহেব ইতোমধ্যে। কিন্তু সৌহার্দ্যকে পাননি তিনি। এই সত্যিটা কতক্ষণ লুকিয়ে রাখবেন, তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না!

এদিকে অরুণী বাড়ির সবার কথাবার্তায় বুঝে ফেলেছে, কাহিনী ঠিক কী ঘটেছে! সৌহার্দ্য বাড়িতে নেই, এটা সে আর রায়হান সাহেব-ই শুধু জানে। কিন্তু রায়হান সাহেব কাউকে এটা জানাচ্ছেন না কেন? এভাবে মিথ্যা বলছেন কেন? কোনোভাবে সৌহার্দ্য আর তরী একসাথেই কোথাও যায়নি তো? এই মধ্য রাত পর্যন্ত কি ওরা দু’জন একসাথে? ভাবতেই অরুণীর মাথা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সে রায়হান সাহেবের কাছাকাছি গিয়ে নিচুস্বরে জিজ্ঞেস করলো,

“বড়আব্বু! তুমি বলছো না কেন কাউকে যে, তরীর মতো সৌহার্দ্যও বাড়িতে নেই?”
রায়হান সাহেব থমথমে গলায় বললেন,
“কারণ ওরা দু’জন হয়তো একসাথেই আছে! এটা আমি নিশ্চিত।”

অরুণী অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে রইলো। ক্ষণিকের জন্য নির্বাক হয়ে গেল সে। মাথা ভনভন করে উঠলো। রায়হান সাহেবের কথা বিশ্বাস-ই করতে পারলো না অরুণী! এমনটা হতেই পারে না! সৌহার্দ্য আর তরী এতো রাতে একসাথে কোথায় যাবে? কেন যাবে? সৌহার্দ্য অন্তত তরীর সাথে কোথাও যাবে না! আর রাতে তো অসম্ভব!
হঠাৎ রাতের নীরবতার মাঝে বাইরে ঈষৎ শোরগোলের আওয়াজ পেয়ে সপ্রতিভ হয়ে উঠলো সবাই। আফনাদ হক কল দিতে গিয়েও দিলেন না। রায়হান সাহেব কিছু একটা বিরবির করতে করতে বাইরের দিকে পা বাড়াতেই হুড়মুড়িয়ে বৈঠক ঘরে প্রবেশ করলো আজাদ। রায়হান সাহেব ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন,

“কী হয়েছে, আজাদ? বাইরে থেকে কার আওয়াজ ভেসে এলো? কে এসেছে?”
আজাদ উদ্বেগ মেশানো গলায় বললো, “বড়সাহেব! সৌহার্দ্য বাবা আইছে।”
সকলেই অবাক চোখে তাকালো। আফনা বেগম প্রশ্নোক্ত চোখে তাকিয়ে বললেন,
“মানে? সৌহার্দ্য নাকি বাড়িতে নাই! কী রে, রায়হান? তুই না কইলি সৌহার্দ্য ঘরে ঘুমাইতাছে? তাইলে এখন আজাদ এইসব কী কয়?”

রায়হান কী উত্তর দিবেন বুঝে উঠতে পারলেন না! এরই মধ্যে সৌহার্দ্য প্রবেশ করলো বৈঠক ঘরে। সৌহার্দ্যকে দেখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো অরুণী। কতগুলো বছর পর সৌহার্দ্যকে দেখলো সে। সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত অবস্থায় সৌহার্দ্যকে বেশ সুদর্শন ও সুপুরুষ লাগছে অরুণীর চোখে। সৌহার্দ্যকে এমন সুস্থ-সবল দেখে অরুণী এগিয়ে এলো। সৌহার্দ্যের হাত ধরে বললো,

“তুমি ঠিক আছো? কোথায় ছিলে এতক্ষণ তুমি? আমি সেই কখন থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা ক…..”
সৌহার্দ্যের পেছনে তরীকে ভেতরে আসতে দেখে অরুণীর অনর্গল ছুটে চলা মুখটা আপনাআপনি-ই বন্ধ হয়ে গেল। তরীর পাশে এসে প্রহর দাঁড়ালো। অরুণী বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে রইলো তরীর দিকে। সুজাতা, মোহনা, আফনা বেগম আর আফনাদ হকের চোখে মুখেও ফুটে উঠলো বিস্ময়।
সৌহার্দ্য নিজের হাত অরুণীর হাত থেকে ছাড়িয়ে রাগী কন্ঠে বলে উঠলো,
“তোকে আগেও বলেছি, এখনও বলছি; হাতাহাতি আমার একদম পছন্দ না। ডিস্টেন্স মেইনটেইন করে চলবি আমার থেকে।”

সৌহার্দ্যের কথা কানে পৌছালো না অরুণীর। সে অবিশ্বাস্য চোখে একবার তরী আর একবার সৌহার্দ্যের দিকে তাকাচ্ছে। আফনাদ সৌহার্দ্যের দিকে এগিয়ে এসে বললেন,
“তরীকে তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না! তুমি ওকে কোথায় পেয়েছো?”
সৌহার্দ্যের উত্তরের অপেক্ষা না করেই আফনাদ তরীর সামনে গিয়ে বললেন,

“কোথায় গিয়েছিলি তুই? কেন বারবার চলে যাস? তোর কাছে কি আমার কোনো মূল্য নেই? আমাকে কি বাবা বলে মানিস না, নাকি? তোকে ছাড়া আমি কীভাবে বেঁচে থাকবো একবারও ভেবে দেখেছিস?”
তরী মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। কী বলবে সে? সে যে আজ এমন একটা মানুষের সাথে বাঁধা পড়ে গেছে, যাকে ছেড়ে কোথাও যাওয়ার কোনো পথই অবশিষ্ট নেই আর!
মালিহা তরীর কাছে এসে ওকে বুকে আগলে নিলো। জিজ্ঞেস করলো,

“তুই ঠিক আছিস?”
তরী মালিহার বুকে লে*প্টে গিয়ে বললো,
“ঠিক আছি।”
অরুণী তরী আর মালিহার দিকে বিরক্তি মিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে সৌহার্দ্যের দিকে এগিয়ে গেল। বললো,
“কোথায় ছিলে তুমি? আর এই মেয়েটার সাথে এতক্ষণ কী করছিলে?”
সৌহার্দ্য নিস্পৃহ গলায় বললো,
“তোর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোনো ইচ্ছে বা বাধ্যবাধকতা, কোনোটাই আমার নেই।”
অরুণী তেঁতে উঠে বললো,

“উত্তর দিতে বাধ্য তুমি! এতোরাতে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে বাইরে একসাথে থাকার মানে বোঝো তুমি? আর যদি মেয়েটা হয় তরী, তাহলে তো কথা-ই নেই! পুরো গ্রাম জুড়ে তো তরীর চরিত্র*হী*নতার গল্প মানুষের মুখে মুখে!”
অরুণীর মুখে এমন কথা শুনে সৌহার্দ্যের ম*স্তি*ষ্ক ধপ করে উঠলো। চোখ দুটো জ্ব*লে উঠলো মুহুর্তেই। অরুণীর দিকে আঙুল তুলে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

“ফারদার তোর মুখে চাঁদের ব্যাপারে একটা শব্দও যেন না শুনি!”
“কেন বলবো না? যেটা সত্যি, সেটা বলতে বাঁধা কোথায়? তোমার কথায় ওর ব্যাপারে কিছু বলার বা না বলার কী আছে? ওকে কিছু বললে তোমার এতো গায়ে লাগছে কেন?”
সৌহার্দ্য নিজের রাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললো। অরুণীর দুই বাহু চেপে ধরে গর্জে উঠে বললো,
“কারণ ও আমার বউ। আমার চাঁদ! আমার জীবনের অংশ ও। ওকে নিয়ে একটা বাজে কথাও সহ্য করবো না আমি। একদম মে*রেই ফেলবো!”

বলেই অরুণীকে ধাক্কা দিয়ে ছেড়ে দিলো সৌহার্দ্য। মুহূর্তেই অরুণী যেন একদম পাথর হয়ে গেল। অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে রইলো সৌহার্দ্যের দিকে।
মালিহা আনমনে ঠোঁট এলিয়ে হাসলো সৌহার্দ্যের কথায়। তরী এখনও তার বুকে মাথা গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। এই পৃথিবীতে তার একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় যেন এটাই!
এদিকে বাকি সবাই হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে। এমন কিছুর জন্য তারা কেউ-ই প্রস্তুত ছিলেন না। রায়হান সাহেব বিমূঢ় হয়ে গেছেন। তিনি ভাবতেও পারেননি সৌহার্দ্য এমন কিছু বলবে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য সৌহার্দ্যের দিকে তাকিয়ে বললেন,

“কী বললে তুমি? তরী তোমার বউ?”
সৌহার্দ্য শক্ত গলায় বললো,
“বিয়ে করেছি আমি ওকে।”
আফনা বেগম, সুজাতা আর মোহনা নির্বাক হয়ে চেয়ে রইলেন যেন কথা বলতেই ভুলে গেছেন।
এর মধ্যে অরুণী এক অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়ে ফেললো। হুট করে সৌহার্দ্যের পাঞ্জাবির কলার চেপে ধরে বললো,
“তুমি এমনটা করতে পারো না, সৌহার্দ্য! আমি তোমাকে সেই কৈশোরকাল থেকে ভালোবাসি। তুমিও তো ভালোবাসো আমায়! তুমি এই মেয়েটাকে কীভাবে বিয়ে করলে? ও তোমাকে ফাঁ*সি*য়ে*ছে, তাই না? তুমি ওকে ডিভোর্স দাও!”
সৌহার্দ্য নিজের কলার থেকে অরুণীর হাত ছাড়িয়ে নিলো মুহুর্তেই। ক্রোধিত গলায় বললো,

“প্রথমত, আমি তোকে কোনোদিন বলিনি যে, আমি তোকে ভালোবাসি। তোকে সেই রকম চোখে দেখিনি কোনোদিন, আর না তোকে কখনো কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তোর মনের ব্যাপার তুই বুঝবি। আর দ্বিতীয়ত, এটা তোর জন্য লাস্ট ওয়ার্নিং ফ্রম মাই সাইড। আমার ধারে কাছে ঘেঁষার চেষ্টা করবি না আর। তোর আজকের আচরণের পর তোর মুখটা দেখারও ইচ্ছে নেই আমার। তৃতীয়ত, নিজেকে সং*য*ত রাখতে শেখ। বাড়ির এতো বড় বড় মানুষের সামনে একটা মেয়ে হয়ে এরকম বেহায়াপনা মানায় না। এন্ড ফাইনালি, চাঁদকে ছাড়া সৌহার্দ্যের কোনো অস্তিত্ব-ই নেই। সুতরাং ওকে ছাড়ার কথা কখনো আমায় বলবি না আর নিজে কল্পনাও করবি না।”

অরুণী পাথুরে চোখে তাকিয়ে রইলো। চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রুকণা গড়িয়ে পড়লো। সৌহার্দ্য ওকে পাশ কাটিয়ে মালিহার দিকে তাকিয়ে বললো,
“ছোটমা, ওকে আমার ঘরে নিয়ে যাও। এখন থেকে ও আমার ঘরে আমার সাথেই থাকবে।”
মালিহা তরীকে নিয়ে সিঁড়ির দিকে চলে গেল। আফনাদ হক তরীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। সৌহার্দ্যকে বললেন,

“তরীর জন্য তোমার চেয়ে উত্তম আর কোনো ছেলে আমার নজরে নেই। তোমার ওপর সম্পূর্ণ ভরসা আছে আমার। আমার মেয়েটা সারাজীবন অনেক কষ্ট সয়েছে। আমি পারিনি ওকে সুন্দর একটা জীবন দিতে। তুমি ওকে ভালো রেখো।”
সৌহার্দ্য মলিন হেসে বললো, “আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান ব্যক্তি যে, তাকে তো আমার জীবন দিয়েই আগলে রাখবো!”

আফনাদ হক নিশ্চিন্ত মনে মোহনাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন বাড়ি থেকে। আফনা বেগম লাঠি ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। মধুকে নিয়ে নিজের ঘরের দিকে চলে গেলেন। প্রহর নিজের জন্য বরাদ্দ থাকা ঘরটায় চলে গেল। আর অরুণীও অবসন্ন পায়ে বৈঠক ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। কিন্তু কেউ বুঝতেও পারলো না যে, অরুণী সদর দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেছে।
বৈঠক ঘরে শুধু অবশিষ্ট রইলো সৌহার্দ্য, রায়হান সাহেব আর সুজাতা। সৌহার্দ্য তাদের দিকে একবার তাকিয়ে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়াতেই, সুজাতা শক্ত গলায় বলে উঠলো,

প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ১৬

“সবাই মেনে নিলেও ঐ ন*ষ্টা মেয়েকে আমি নিজের একমাত্র ছেলের বউ হিসেবে মেনে নেবো না।”
এমন কথা শুনে সৌহার্দ্যের পা আপনাআপনি-ই থেমে গেল। হতবিহ্বল চোখে তাকালো সে নিজের মায়ের দিকে। সৌহার্দ্য ভাবতেও পারেনি, সুজাতা এই কথা তরীর সম্পর্কে বলবে!

প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ১৮