প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ৩৪

প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ৩৪
আরোহী নুর

″আমার তো প্রথম থেকেই আদ্রিশকে পছন্দ ছিল না।″
″বাবা আমরা কি পারি না আঁখিকে আবারও একটা সুযোগ দিতে?″
আহিলের কথার উত্তরে আশরাফ খান কিছুই বললেন না,শুধু নিরবতাই পালন করে গেলেন।
আদৃত হাওয়ার বেগে গাড়ি টানল আদ্রিশের খোঁজে,যেহেতু দুপুর গড়িয়ে গেছে সেহেতু আদ্রিশ তার কাজের স্থানেই থাকবে বাড়িতে থাকার কথা নয়,সে হিসেবে সেদিকেই পথ ধরল আদৃত,পৌঁছে গেল সেখানে অবশেষে।

আদ্রিশ চেয়ারে মাথা হেলিয়ে দিয়ে বসে আছে চোখ বুজে,তিক্ত সকল ভাবনার চাপে মাথাটা বুঝি এখনই ফাটবে,চোখের সামনে যেন ধরা পরছে জীবনে করে যাওয়া সকল ভুল,বুঝে উঠতে সক্ষম হচ্ছে ভালোবাসার উপর মোহ এর অবস্থান করিয়ে কতো বড় ক্ষতি করে গেছে সে নিজের,চাইলেও সে এবার আঁখিকে ফিরাতে পারবে না,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

এদিকে রিদিকাকে পাশে রাখার চিন্তা যেন এখন দূর দূর অব্দি নেই,আজ বুঝতে পারছে কাছের মানুষের কাছ থেকে ধোঁকা মেনে নেওয়া কতটা যন্ত্রণার।ঠিক তখনই আদৃত এসেই আদ্রিশের কলার চেঁপে ধরে দার করিয়ে প্রবল এক ঘুষিতে তাকে ফ্লোরে ফেলে দিলো,আদ্রিশ তার জবাবে নিজেও আদৃতের উপর ঝাপিয়ে পরল,দু’জনেরই মধ্যে লেগে গেল লড়াই,কেউ কেউ থেকে কম যাচ্ছে না,আদৃত আদ্রিশের উপর বেশ ভারী পরছে তবে,যেহেতু সে আদ্রিশের তুলনায় বেশি দক্ষ ও বলিষ্ঠও।আদৃত আদ্রিশকে মারতে থেকে বলল।

″তোকে আমি ছাড়ব না আদ্রিশ,তুই আমার কাছ থেকে আমার আঁখিকে কেড়ে নিয়েছিস,আমার ছয় টা বছর অন্ধকারে ভরে দিয়েছিস।″
″আমি আঁখিকে কেড়ে নেই নি,ও আমার ছিল,তোর আসার অনেক বছর আগ থেকেই ওর সাথে আমার পরিচয় ছিল,ওকে ভালোবাসি আমি সেই ছোটবেলা থেকেই কিন্তু মধ্যখানে এসে তুই আমার জায়গা নিতে চেয়েছিলি, আমার আঁখিকে কেড়ে নিতে চেয়েছিলি কিন্তু আমি তা হতে দেই নি,আমার আঁখিকে আমার কাছে ধরে রেখতে যা করতে হয়েছে সব করেছি আমি,কারণ ও শুধুই আমার।″

আদ্রিশের তিক্ত বাণী শুনে আদৃতের রাগের পরিমাণ যেন সীমা পেড়িয়ে গেল,আদ্রিশের উপর দ্বিগুণ হারে ভারী পরল সে।এবার আর আদ্রিশ আদৃতের জবাবে তাকে যথেষ্ট টক্কর দিয়ে উঠতে পারছে না,অতিরিক্ত মারে আদ্রিশকে বেশ দমিয়ে নিয়েছে আদৃত,মা*র*তে মা*র*তে অনেকটা দূর্বল করে ফেলেছে তাকে তাও মা*র*ছে,সময়ের সাথে আদৃতের রাগ যেন বাড়ছেই,যতই মারছে ততই মা*র*তে মন চাইছে,একমাত্র আদ্রিশের প্রানহীন নিস্তব্ধ শরীর যেন তাকে শান্ত করতে পারবে, সেই ভাবনায় আদ্রিশকে মে*রে প্রায় অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে ফেলে পাশের চেয়ার তুলে তার উপর দিয়ে মারবে তখনি আঁখি এসে চেয়ারটা পাকড়াও করে।

″কি করছেন ডা.আদৃত?পাগল হলেন আপনি?ওকে মারলে আপনার কি হবে ভেবেছেন?″
″না ভাবি নি আমি আর ভাববোও না,ওর সাহস হয় কী করে তোমাকে নিজের বলে দাবী করার,তুমি আমার ছিলে আমার আছো আর আমারই থাকবে,ওকে আমি প্রাণে মেরে ফেলব।″

″তুই এখনও দাবী করিস আদৃত ও তোর!দেখ ও যদি আমায় আজও ভালোই না বাসত তবে আমাকে কেন বাঁচাত তোর হাত থেকে?মানে বুঝতে পারছিস ও আমাকে এখনও ভালোবাসে,ও আমার।″
আদৃত আবারও আদ্রিশের দিকে তেড়ে আসতে নিলে তার আগে আঁখি আদৃতকে আটকিয়ে বলে।

″দাঁড়ান ডা.আদৃত ওকে জবাবটা আমিই দেই।ছিঃআদ্রিশ,তুমি সত্যিই একটা নিচ,কী দেখে যে তোমাকে জীবনে জায়গা দিতে গেলাম,তোমার জন্য এতো করলাম।তুমি কী মনে করো আমি তোমাকে এখনও ভালোবাসি তাই বাঁচিয়েছি?না আদ্রিশ,বরং আমি চাই নি ডা.আদৃত তোমার মতো নোং*রা*কে মেরে নিজের হাত নোং*রা করুক,কারণ উনি তোমার মতো সস্তা না।আমি চাই না তোমাকে মারার দরুন উনার ভবিষ্যত নষ্ট হোক,সবটাই উনার কথা ভেবে করেছি,যেখানে দূর দূর অব্দি তোমার কোনো ছোঁয়া নেই।চলুন ডা.আদৃত এর মুখ দেখতেও ইচ্ছে করে না এখন আমার।″

″এতটা বাজে হয়ে গেলাম আমি তোমার কাছে?″
″বাজে কে তো সবাই বাজে নজরেই দেখবে তাই না?চলুন ডা.আদৃত। ″
″না আঁখি আমি একে না মেরে শান্তি পাবো না,ওকে তো আমি…″

আদৃত আবারও এগিয়ে গেলে আঁখি তাকে আরও একবার বাঁধা দেয়।তার গালে হাত রেখে শান্ত স্বরে বলে।
ও এতো কিছু করার পরও আমাকে হারিয়ে গেছে ডা.আদৃত,এতো চেয়েও আমাদের আলাদা করতে পারে নি,নিয়তি ঠিকই আমাদের মিলিয়ে দিয়েছে এতেই ওর হার,ওকে ছেড়ে দিন ওর অবস্থায় চলুন আমার সাথে আপনি।″

আঁখির অল্প শান্ত ছোঁয়া মুহুর্তেই আদৃতের সকল রাগ যেন পানি করে দিল,তবে গা জ্ব*লে উঠল আদ্রিশের।
″আঁখি,তুমি ভুলে যেও না তুমি শুধুই আমার,ওই আদৃতকে ছোঁয়ার ভুল করো না,ভালো হবে না।″
″নিজের অবস্থা দেখো আগে,উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও জুটিতে উঠতে পারছ না,এদিকে হুমকি দেও আমায়।চলুন ডা.আদৃত। ″
আঁখি আদৃতের হাত ধরে নিয়ে যেতে শুরু করে,আদ্রিশ অসহায়ের মতো আঁখির আদৃতের ধরে থাকা হাতের দিকে তাকিয়ে থাকে।

আজ কুলি করতে যেয়ে রিদিকার দাঁতের ভিতরের দিক থেকে দুটি আক্কেল দাঁত উঠে চলে আসল।রিদিকা অস্থির হয়ে পরল,ও ভালোয় বুঝতে পেরে গেছে ওর শরীরে তৃতীয় ডোজ দেওয়া শেষ,এদিকে আদ্রিশও তাকে ভুল বুঝে গেল,এতো বড় হার রিদিকা কেমনে মানবে!রিদিকা তো হার মানবার পাত্র না।রাগে ক্ষোভে রিদিকার নিজেকেই মারতে ইচ্ছে করছে,ঘরের বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে ভেঙে দিয়েছে ইতিমধ্যে। এবার চেঁচিয়ে বলছে।

″না রিদিকা হার মানবে না,আদ্রিশ শুধু আমার,আমার হয়েই থাকবে,ও আমার থেকে দূরে যেতে পারে না,আর যদি তা চায় তবে ওরও সেই হাল হবে যা বাকিদের হয়েছে।না আমি এভাবে বসে থাকব না,আমি আমার সৌন্দর্য হারাতে পারি না,এসব ছাড়া আমার আদ্রিশ আমাকে কি করে ভালোবাসবে!
এবার ছুটে গিয়ে রিদিকা আদ্রিশের ছবি হাতে নিল,তারপর সেটার উপর হাত বুলিয়ে পাগলের মতো অঙ্গভঙ্গিতে বলতে লাগল।

″আমি জানি তুমি আমার রুপে মগ্ন হয়ে আমায় পেতে চেয়েছ,ওই আঁখিকে সরিয়ে আমাকে নিয়ে এসেছ তবে আমি কিভাবে তোমায় যেতে দিই,তোমাকে বাঁধতে হলে তো আমার এই রুপের প্রয়োজন,তুমি চিন্তা করো না,আমি ঠিকই তোমার সেই সুন্দরী রিদিকাতে পরিণত হবো আবার,এসব ভাইরাস আমার কিছুই করবে না।আমি বড় ডাক্তার দেখিয়ে আবারও আগের মতো হয়ে যাব,অতঃপর দু’জন আবারও আগের মতো ভালোবেসে থাকব।তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিব না।তুমি শুধুই আমার।

আঁখি ফোন করে তার ড্রাইবারকে বলে দিয়েছে গাড়ি এসে নিয়ে যেতে,তারপর সে নিজেই আদৃতের গাড়ি ড্রাইব করতে শুরু করে,আদৃতকে ড্রাইব করতে দেয় না,রাগে এখনও একরকম কাঁপছে সে,আঁখি ড্রাইব করছে আর আদৃত পাশেই বসে আছে,কিছুই বলছে না আদৃত, একটু পর পর ঠোঁট কামড়াচ্ছে,হাত মুঠো করছে,শরীরের কাপড় ঢিলে করছে,আঁখি জানে আদৃত অতিরিক্ত রাগে আত্নহারা হয়ে পরে,বর্তমানে রাগ দমন করতে না পেরে তার উক্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে,আঁখি এবার গাড়ি থামিয়ে দিলো।

তারপর নেমে ওপর দিকে এসে আদৃতের পাশের দরজা খুলল।
″চলুন আমার সাথে।″
অতঃপর আদৃতকে আঁখি একটা খোলা মাঠের মতো জায়গায় নিয়ে গেল,যেখানে বাতাস বইছে বেশ,এবার পানির বোতল খুলে আঁখি আদৃতের সামনে ধরল।
″পান করে নিন,ভালো লাগবে।″

আদৃত বিনা বাক্যে তা হাতে নিয়ে এক চুমুকে পুরো বোতলের পানি পান করে নেয়,অতঃপর ছুড়ে ফেলে বোতলটা,কিছুক্ষণ অল্প নিস্তব্ধতা পালন করার পরও রাগ দমনে ব্যর্থ হয়ে হাটু মুড়ে বসে সজোরে চিৎকার করে উঠে,আঁখি শান্তনা স্বরুপ আদৃতের পাশে বসে তার কাধে হাত রাখলে আদৃত পিছন মুড়েই আঁখিকে জড়িয়ে ধরে বেশ শব্দ করে কেঁদে দেয়,আদৃতকে আঁখি এই প্রথম কাঁদতে দেখল,যাতে চোখ বেয়ে তারও বেড়িয়ে এলো জল।

″কেন আঁখি?কেন আমাদের সাথে এমন হলো?কি দোষ ছিল আমাদের?কেন ওরা আমাদের সাথে এমন করল?তুমি হয়ত কল্পনাও করতে পারবে না আমি এই ছয় টা বছর কতো যন্ত্রণায় পোঁড়েছি,কতটা পীড়া হয়েছে আমার যখন যখন ভেবেছি তুমি আদ্রিশের সাথে আছো,যে আমি তোমার পাশে কোনো ছেলের আনাগোনাও সহ্য করতে পারি না।আমাকে ক্ষমা করে দিও আঁখি,

আমি তোমাকে বাঁচাতে পারি নি,রক্ষা করতে পারি নি ওই আদ্রিশের ছলনার হাত থেকে,সেদিন যদি ওদের কথায় কান না দিয়ে ওসব ভুলভালে মন ভাসিয়ে না চলে যেতাম তবে এমনটা কখনও হতো না।আমায় ক্ষমা করে দিও।″
″আপনার কোনো দোষ ছিল না,সবই আমাদের কপালের লিখন ছিল,যা চাইলেও কেউ বদলাতে পারত না কখনও।নিয়তি আবার আমাদের মিলিয়ে দিয়েছ তো,তাই অতীত ভেবে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে বর্তমান ভেবে খুশি হওয়াটাই ভালো হবে, তাই না?প্লিজ আপনি কান্না বন্ধ করুন এবার।″

আদৃতকে ছাড়িয়ে তার চোখের জল মুছে দিতে দিতে কথাগুলো বলে গেল আঁখি,আদৃত বিমোহিত দৃষ্টি আঁখির উপর স্থির রেখে বলে গেল।
″তুমি কি আমার অতীতের ওই বিষাদ মুছিয়ে দিবে আঁখি?ভালোবাসবে আমায় আবার ঠিক আগের মতো?আনন্দে ভরিয়ে দিবে আমার জীবন আবারও?বলো না আঁখি,বলো না ভালোবাসতে শিখাবে,আবারও হাসতে শিখাবে,আমাকে নিয়েই মত্ত হবে আবারও?″

আদৃতের কথাগুলো শুনে মুখে মলিনতা বিরাজ করে যায় আঁখির, উঠে দাঁড়ায় সে,নিরাশ ভাব নিয়ে আদ্রিশও উঠে পরে।
″কি হলো আঁখি,কিছু বলছ না যে?″
″কি বলব আমি,অনেক কিছু পাল্টে গেছে ডা.আদৃত,আমি সেই আগের আঁখি নই আপনার,আপনি অবিবাহিত আর আমি এখন ডিভোর্সি,আপনার জীবনে আমি প্রথম নারী হলেও আমার জীবনে আপনি প্রথম ভালোবাসা হয়েও দ্বিতীয় পুরুষের মর্যাদা পাবেন যা আমি কখনই মেনে নিতে পারব না,আমি আপনার যোগ্য না।″

″খবরদার আঁখি যদি কথাটা আবারও বলেছ তো,আমার জীবনে এসব কিছু কখনও মেটার করে না,আর এসব কথা তোমার মুখে মানায়ও না,আমার তুমি হলেই চলবে আর কিছু চাই না।″
″আপনি বুঝতে পারছেন না,সমাজে আপনারও আলাদা নাম ডাক আছে,অবিবাহিত হয়ে ডিভোর্সিকে বিয়ে করলে কি হবে ভাবতেই পারছেন।″

″এসব কথা আমার হিটলার আঁখির কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য না,সমাজের কথা ভেবে আমরা নিজেদের জীবন নাশ করে তো পারব না,সমাজের কিছু বাজে লোকদের কথা শোনার ভয়ে বেঁচে থাকা তো ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে না।″
″কিন্তু আপনার পরিবারও কী…″
″হুশ,একদম চুপ আর কোনো কথা না।এতোদিন দাবী খাটাই নি,কিন্তু এখন খাটাব,আমি তোমাকে আর হারাতে পারব না,নয়ত পাগল হয়ে যাব।″

কথাগুলো বলার ছলে পকেট থেকে হিরের আংটি বের করে আঁখির অনামিকা আঙুলে পরিয়ে দিল আদৃত।
″এ কী করলেন আপনি!″
″বেশ করেছি,অনেক আগেই করা উচিৎ ছিল।এই আংটিটা আমি ছয় বছর আগে কিনেছিলাম তোমাকে প্রপোজ করব বলে কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম সেদিন,তারপর থেকে কখনও আংটিটা আমি নিজের থেকে দূর করি নি,সবসময় আমার কাছে রাখতাম,এটা আমায় মনে করিয়ে দিত আমি কী হারিয়ে গেছি।″

″এতো ভালোবাসেন আমায়!″
″আমার ভালোবাসার গভীরত্ব খোঁজতে এসো না সুখপাখি নিজেই তলিয়ে যাবে।″
″বড্ড ভয় করছে যে সেপথে আবারও এগিয়ে যেতে।″
″আমি থাকতে ভয় কিসের,বিশ্বাস করে হাতটা ধরো,শেষ নিশ্বাস অব্দি আগলে রাখব।বলো না একবার ভালোবাসো,আমাকে আপন করে নিতে চাও।″
″আমার সময় লাগবে।″

″ঠিক আছে নাও সময়,দিলাম দু’দিন ভেবে নাও,দু’দিন পর যদি আংটিটা হাতে না দেখি তাহলে ভাববো পর করে দিয়েছ আর যদি ওটা হাতে থাকে তাহলে ভাববো নতুন করে আপন করে নিতে চাও।″
″মাত্র দু’দিন।″
″যা তোমার জন্য দু’দিন তা আমার জন্য শত যুগ সুখপাখি,আর দূরত্ব সইতে পারব না তোমার।″
″আর যদি আংটিটা খুলে নেই,চলে যাবেন আমাকে ছেড়ে?″

প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ৩৩

″ মরণের পর সেই আঁখিরাতেও পিছু নিব তোমার সমস্যা হবে কী তাতে?তোমার সমস্যা হলে হোক,এই আদৃত না হয় তোমার পা*গ*ল প্রেমিক হয়েই রয়ে যাবে।″

প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ৩৫