প্রিয়োসিনী পর্ব ২৮

প্রিয়োসিনী পর্ব ২৮
নীরা আক্তার

-আপনি কি ড্রাগ এডিকটেড?চোখে এতো কিসের ঘোর?
-উহু….নোহা এডিকটেড আমি!
তিয়াশ কথাটা বলেই দুম করে নোহার কাছে চলে আসে নোহাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,

“আমার ঘরে আকাশ থেকে চাঁদ নেমে এসেছে।চাঁদের আলোয় আমার অন্ধকার ঘরটা আলোকিত হয়ে গেছে।নাহ্ তুমি তো চাঁদ নও তুমি তো সদ্য ফোটা কোনো ফুল,দেখো কি মিষ্টি সুবাস ছড়িয়েছো আমার ঘরে।বুকটা আনচান করছে।”
কথাটা বলে তিয়াশ নোহার কপালে গভীর চুমু খায়।তারপর আবারও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,
-আমার কতো শখের ভালোবাসা তুমি।খুব যত্ন করবো তোমার।
তিয়াশ আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নোহাকে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

নোহা কেঁদে দেয়,ভয় লাগছে তার।ঠিক ভয় নয় অস্বস্তি হচ্ছে।পুরুষ মানুষের প্রতি ফোবিয়াটা কাটাতে পারে নি এখনো।সময় লাগবে।
-এই নোহা কি হলো তোমার?
-(…)
-কাঁদো কেন?খারাপ লেগেছে?
তিয়াশ নোহাকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে দাঁড়ায়।
-আচ্ছা মাফ করে দাও।এই কান ধরলাম।আর কখনো কিছু ধরবো না।না মানে তোমাকে কখনো ছোঁবোই না।
নোহা চোখ মুছে নাক সিটকিয়ে তাকায়,
-সত্যি নাকি?

তিয়াশ একটু হকচকিয়ে যায়,
-না মানে তুমি না চাইলে না।মানে আপাতোতো না।
নোহা ভ্রু কুচকে তাকায়।হটাৎ করেই কেন যেন হাসি পাচ্ছে তার।
-এভাবে দেখার কি আছে আম্মু হতে চাও না নাকি?আমি তো সেটারই প্রিপারেশান নিতে চাচ্ছিলাম।তুমি চাইছো না তাই আপাতোতো বাতিল করলাম।
নোহা একটু বিরক্ত হয়।বিয়েটাই এখনো ঠিক মতো হলো না আর বাচ্চা।
তিয়াশ নোহাকে চুপ থাকতে দেখে নিজে থেকেই বলে উঠে,

-আসলে আমাদের বাড়িতে তো তেমন লোকজন নেই।তাই বাচ্চা কাচ্চা প্রয়োজন।বাবা মায়ের জন্য বেবি ডল দরকার।আর তোমাদের সিকদার বাড়ির যা পপুলেশন সেটা মাথায় রেখেই বলছি একটা দুইটা বাচ্চায় এই বাড়ি ভরবে না।
-দশ বারোটা লাগবে নাকি?
নোহা কথাটা বলে জিহ্বায় কামড় দেয়,
তিয়াশ হেসে উওর দেয়,
-হ্যা তাহলে ভালোই হয় ইকুয়াল ইকুয়াল!

-গড় আয়ু হিসাব করলে আমি আর বাঁচবোই ১০/১২ বছর।বাকি জীবনটা প্রেগনেন্ট হয়েই কাটায় কি বলেন?
তিয়াশ হো হো করে হেসে উঠে।নোহার এবার ভীষণ বিরক্ত লাগছে।
-শুয়ে পড়ুন তো
-ঠিকিই বলছো।তোমাকে বেশি দেখা যাবে না।না হলে তোমার রূপের আগুনে জ্বলে ভস্ম হয়ে যাবো আমি।
তিয়াশ কথাটা বলেই ধপ করে শুয়ে পড়ে চোখ দুটো বন্ধ করে নেয়।নোহা শোয়ার জন্য গুটি গুটি পায়ে বিছানার কাছে এগিয়ে আসতেই তিয়াশ লাফ দিয়ে বসে পড়ে,

-নোহা তুমি শাড়ি পড়ে ঘুমাতে পারবে?শাড়ি ছাড়াই ঘুমাও….
নোহা বড় বড় চোখ করে তাকায়,
-কি সব বলে লোকটা!
-না মানে শাড়ি ছাড়া মানে অন্য কিছু পরো যেটাতে তুমি কমফোর্টেবল ফিল করবা।তোমার তো শাড়ি পড়ে অভ্যেস নেই।
-বিয়ের পর তো সবাই শাড়িই পড়ে।অন্য কিছু পড়লে আপনার আম্মু কিছু মন করবে না তো?
-না না কিছু মনে করবে না।যেকোনো পোশাকই পড়তে পারো শুধু শালীনতা বজাই রেখো তাহলেই হবে?আব্বা আবার অনেক মর্ডান ড্রেস নিতে পারে না।আম্মু কিছু বলবে না।জিন্স টপস ওগুলো বাদে সব পড়ো।ওগুলোতে তোমাকে একদম মানায় না।

নোহা তিয়াশের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে ব্যাগ থেকে সালোয়ার কামিজ বার করে ওয়াশরুমে চলে যায়।
তিয়াশ উল্টোপাশ হয়ে শুয়ে পড়েছে।মাঝে বড় একটা পাশবালিশ দেওয়া।ঘুমের মাঝে যদি গায়ে হাত লেগে যায়।মেয়েটা আবার অস্বস্তিতে পড়বে।
নোহা তিয়াশের পাশে শুতে শুতে বলে উঠে,
-সরি আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তটা খারাপ করতে চাই নি।তবে আমার সময় লাগবে।নিজেকে মানাতে সময় লাগবে।
তিয়াশ ও পাশ ফিরেই উওর দেয়,

-অসুবিধা নেই নোহা।তুমি তো আমারই।আজ হোক বা কাল তুমি তো আমারই হবা।পাওনা নিশ্চিত জেনে অপেক্ষা করার মাঝেও একটা তৃপ্তি আছে।আমি জানি একদিন না একদিন তুমি সম্পূর্ণ আমার হবাই।তোমার সাথে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, অসাধারণ।
নোহা ভেবেছিলো তিয়াশ হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে।হটাৎ এভাবে বলায় নোহা লজ্জা পায়।
নোহা আর কিছু বলে না।মুচকি হেসে বেডসাইডের আলোটা নিভিয়ে শুয়ে পড়ে।

নোহা যাওয়ার পর বাড়িটা কেমন থমথমে হয়ে গেছে।এই বাড়িটার প্রাণই ছিলো নোহা আর ইশা।একটু পর পর দুইজন ঝগড়া করে বাড়িটা একেবারে তুঙ্গে তুলে রাখতো।এখন নোহাও নেই আর ইশা সে তো সারা দিনে গুনে গুনে একটা দুইটা কথা বলে।

নোহার আম্মু মেয়ে যাওয়ার পর থেকেই কাঁদেই চলেছে।সারাটা রাত ভদ্র মহিলা ঘুমোতে পারে নি।এভাবে হটাৎ মেয়ে চলে যাওয়ায় বুকটা যেন হুট করেই ফাঁকা হয়ে গেলো।
সারা রাত নামাজের বিছানায় মেয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন।মেয়েটা যেন ভালো থাকে।
ভোর এখনো হয় নি।এমন সময় ইসরাক ইশার ঘরে যায়।দুই চার বার দরজা নক করতেই আমান ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলে দেয়,

-দাভাই তুমি
-ইশা?
ইসরাক কথা বলতে বলতে ভেতরে উঁকি দেয়।ইশা বিছানায় বসে আছে।ঘুমিয়ে নেই।
-দাভাই এসো না ভেতরে এসো।
ইসরাক মুচকি হেসে ভেতরে যায়। আমান চোখ ডলতে ডলতে ওয়াশরুমে চলে যায়।ইসরাক ইশার পাশে গিয়ে বসে।
-তুমি তো আজকাল আমার সাথে কথায় বলো না দাভাই।

-কাল বিজি ছিলাম।এই জন্যই তো ঘুম ভাঙ্গতে না ভাঙ্গতে তোকে দেখতে চলে এলাম।
-আমি তো ভাবলাম তুমিও আমাকে আর সবার মতো ত্যাগ করলে….
ইসরাক মুচকি হেসে বোনের কপালে চুমু খায়।
-ছোটরা অন্যায় করলে বড়রা শাস্তি দেয়,কিন্তু কখনো ত্যাগ করে না।এতো ভোরে উঠলি যে?তুই তো কখনো এতো ভোরে উঠিস না।

-আসলে এখন তো সব সময় ঘুমে থাকি।সারা দিন শুয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করতে পারি না।তাই ঘুম অনেকটা কমে গেছে।আরো আগেই ঘুম ভেঙ্গে যায়
ইসরাক বোনের অসহায় মুখটার দিকে তাকায়,এ কয় দিনে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে।শুকনো ঠোঁট,

-বাহিরে যাবি ইশা?
-নিয়ে যাবে অনেকদিন খোলা আকাশ দেখি না।
ইসরাক ইশাকে কোলে তুলে নেয়,
-দাভাই হুইল চেয়ারটায় বসিয়ে দাও এভাবে কতক্ষণ টানবে আমায়।একটু পর বোঝা মনে হবে
ইসরাক মুচকি হাসে।

-ছোট বেলায় তোকে ঘারে চড়িয়ে কতো ছুটেছি মনে আছে!
-আমি ছোট নেই দাভাই তোমার কষ্ট হবে।প্লিজ….
ইসরাক ইশাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে বাগানে নিয়ে আসে।
আমান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে ইশাকে বিছানায় না দেখে একটু অস্বস্তিতে পড়ে যায়।
এদিক সেদিক চোখ বুলায়।
ইসরাক ইশা দুজনই নেই।সে বেশ বুঝতে পারছে ইশাকে ইসরাকই নিয়ে গেছে।তাও কেন যেন চিন্তা হচ্ছে।বিছানায় শুতে গিয়েও উঠে দাঁড়ায়

আকাশে এখনো সূর্যদয় হয় নি।ইশা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, সূর্যদয়ের অপেক্ষায়।
-নওরিন চলে গেছে দাভাই?
-হুম্ম
-সারারাত ঘুমোও নি না?
-ঠিক ,আছি আমি
-কষ্ট পেয়োনা।ভালোবাসা সত্যিই হলে একদিন না একদিন ঠিকিই মিল হয়।

-বাদ দে…একটু হাটার চেষ্টা কর
-ব্যাথ্যা করে,পা নাড়াতে পারি না।
-আমি ধরি।তুই চেষ্টা কর
-কষ্ট হয়
-চেষ্টা না করলে পারবি কি করে?
-আচ্ছা
পেছন থেকে আমান আসে,
-আমি হেল্প করছি ইশাকে তুমি ওয়াল্কে যাও।
ইসরাক মুচকি হেসে দৌড় লাগায়।

ভোর ভোর নওরিন ঘুম থেকে উঠে জ্বানালার পর্দা সরাতেই খেয়াল করে বাসার নিচে ইসরাক দাঁড়ানো।
নওরিনের চোখ কপালে উঠে যায়।পর্দার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারতেই ইসরাক হাত নাড়ায়।
নওরিন মাথায় ওরনা পেঁচিয়ে পা টিপে টিপে বাসা থেকে বেরিয়ে আসে।এক ছুটে ইসরাকের সামনে এসে দাঁড়ায়।
-আপনি এখানে কি করছেন?
-তুমি এখানে কেন?
-আমি কেন মানে?
-নিচে নামছো কেন?তাও এভাবে…
ইসরাক ভ্রু কুচকে তাকায়….

নওরিন নিজের দিকে তাকায়।তার পরণে টিশার্ট আর পালাজো।
নওরিন একটু লজ্জা পায়।ইসরাকের সাথে থাকা অবস্থায় সে সচরাচর শাড়ি নাহলে সালোয়ার কামিজ পরেছে।এভাবে…ইস্
নওরিন একটু জড়সড় হয়ে দাঁড়ায়
-আপনি না ডাকলেন আমাকে
-কোই ডাকলাম
-হাত নাড়লেন কেন?
-হাত নাড়ছি তোমাকে হায় বলার জন্য।
-তাই নাকি?চলে গেলাম তাহলে,
-আরে কোই যাও আসছোই যখন একটু কাছ আসো না আদর করে দিই!
-ধুর

ইসরাক নওরিনকে কাছে টেনে দুই গালে দুইটা চুমু খায়।
-যতোদিন না তোমার ভাইয়া তোমাকে আমার কাছে যেতে না দেয় আমি রোজ এই সময় আসবো তোমাকে দেখতে।তুমি নিচে নামবা।
তারপর নওরিনকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নেয়।
-এভাবেই নেমো সমস্যা নেই। ভালোই দেখা যাচ্ছে খারাপ লাগছে না
নওরিন মুখ বাকিয়ে উওর দেয়,
-পারবো না।আমি এতো সকালে উঠি না
-যতোক্ষণ সামনে না আসবা এখানেই দাঁড়ায়ে থাকবো।এখন ভাবো কি করবা!
-ধ্যাৎ

-সকালে উঠে পড়তে বসবা এক্সামের তো মাত্র কয়েকমাস আছে।এখন অন্তত ভালো করে পরো।
নওরিন মাথা নাড়ে।নওরিনের বড় ভাবি জ্বানালা দিয়ে নওরিনকে ডাক দেয়।নিবিড় খুঁজছে তাকে…
-আমি আসি…

-মনে হচ্ছে পর নারীর সাথে প্রেম করতে আসছি,চুপি চুপি চোরের মতো।তুমি তো আমার বউই তাও তোমার কাছে যেতে এতো কিসের বারণ?এতো কেন বাঁধা আমাদের মাঝে?আমরা কি একটু সুখে সংসার করবো না?
নওরিন-ইসরাক দুজনেই দুজনের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায়।তারপর নওরিন ছুট লাগায় বাসার দিকে আর ইসরাক ছুট লাগায় বড় রাস্তার দিকে।সিএনজি পেলে উঠে পড়বে।গাড়ি আনে নি সে,
নওরিন বাসায় ঢুকে চুপি চুপি রান্না ঘরে ঢুকে যায়। তার ভাবি সেখানেই ছিলো।
নিবিড় নওরিনেকে সারা বাড়ি খুজতে খুজতে ড্রইং রুমে আসতেই নওরিন সেখান থেকে বেরিয়ে আসে,

-ডাকছো?
-কোই ছিলি?
-কিচেনে ভাবিকে হেল্প করছিলাম
-কোই দেখলাম না তো?আর এতো ডাকলাম সাড়া দিস নাই কেন?
-তুমি হয়তো খেয়াল করো নাই।
-রান্না ঘরে কি?যা ঘরে গিয়ে পড়তে বস।আমি তোকে কলেজে দিয়ে তিশার কাছে যাবো।
নওরিন মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।

অন্যদিকে,
প্রায় দশটা নাগাদ তিয়াশের ঘরের দরজায় ডাক পরে।তিশা এতো জোড়ে দরজা ধাক্কাচ্ছে যেন দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকবে….
তিয়াশ একরাশ বিরক্তি নিয়ে উঠে বসে।বেড সাইড টেবিল থেকে চশমাটা নিয়ে চোখে পড়ে পাশে তাকায়,
নোহা পাশ বালিশ জড়িয়ে ঘুমোচ্ছে।জ্বানালার পর্দা ভেদ করে রোদ নোহার চোখে মুখে পড়েছে।তিয়াশ উঠে গিয়ে পর্দাটা টেনে দেয়।

এদিকে তিশা ননস্টপ দরজা ধাক্কায়েই যাচ্ছে।
তিয়াশ একরাশ বিরক্তি নিয়ে দ্রুত দরজা খুলে,নোহার ঘুম যেন না ভাঙ্গে,
-কি হলো এমন করিস কেন?
-আর কতো ঘুমাবা ভাইজান?রাতে কি ডাকাতি দিতে গেছিলা…..ওহ্ সরি কাল তো আবার তোমার….!!
-বড় ভাইয়ের সাথে ফাজলামি করিস ফাজিল কোথাকার।
-চুপ থাকো।দশটা বাজতে চললো কতো ঘুমাবা….!
-এতো বাজে?

-এমনই হয়।যাই হোক ইয়াক গোসল করো নি?যাও গোসল করো।
-আমি রোজই গোসল করে হাসপাতালে যাই।তোর বলা লাগবে না
-রোজ গোসল আর আজকের গোসল এক হলো!
-এক চড় দিবো ফাজিল কোথাকার…
তিশা ঠোঁট উল্টিয়ে পেটে হাত বুলাতে বুলাতে বলে উঁঠে,
-দেখেছিস বাবু তোর মামা দুদিন বউ পেতে না পেতে বোনের সাথে কেমন করছে।মাকে মারতে চাইছে।বিচার দিলাম তোর কাছে….

নোহা পেছন থেকে বলে উঠে,
-পেট থেকে বেরিয়ে আগে মামা দুইটা কিক দিবা।এক কিকে মামাকে গোল পোস্টের বাহিরে পাঠায়ে দিবা।
তিশা উঁকি দেয়,
নোহা বিছানায় বসে হাসছে।সেও হেসে দেয়,
-ওঠছো তুমি?সকালে কি খাবা?মা নিজের হাতে তার নতুন পরীবউমার জন্য রান্না করবে কি খাবা বলো?তোমার পছন্দের মেনু শুনতে এসেছিলাম এই গাধার সাথে ঝগড়া করতে করতে ভুলেই গেছি।
নোহা বিছানা থেকে নামতে নামতে বলে উঠে,

-বিরিয়ানি আর পায়েস।
-ওক্কে
তিশা লাফাতে লাফাতে চলে যায়।
পেছন থেকে তিয়াশ বলে উঠে,
-আস্তে, ব্যাথ্যা পাবি তো।
তিয়াশ নোহার দিকে তাকায়,
-সকালে কেউ এইসব খায়?
-সকাল আছে এখনো!
তিয়াশ কথা বারায় না।ওয়াশরুমে চলে যায়।কথা বারিয়ে লাভ নেই গোটা বাড়ি এখন নোহার পক্ষে।সবাই তার প্রতিপক্ষ।

নিবিড় নওরিনকে কলেজে ছেড়ে দেয়।নওরিনের আজকে কলেজ পৌঁছাতে যথেষ্ট দেরী হয়েছে।রাস্তায় এতো জ্যাম ছিলো যে সেখানেই এক ঘন্টার মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।তারউপর সকালে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ায় বাড়ি থেকে বার হতেও লেট হয়েছে।
নওরিন নিবিড় কে বায় বলে…প্রান পনে ছুট লাগায়। এদিকে তার বান্ধবী পূর্না আর টিয়া তাকে বার বার কল করছে।স্যার ক্লাসে ঢুকে গেছে।
অলরেডি ক্লাস নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।নওরিন আধা ঘন্টা লেট….
নওরিন হাপাতে হাপাতে ক্লাস রুমের সামনে এসে দাঁড়ায়।

প্রিয়োসিনী পর্ব ২৭

-আসবো স্যার…
-তুমি আসলেই একটা লেইট লতিফ।
নওরিন বিষ্ময়কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনে দাঁড়ানো লোকটার দিকে।চক্ষু তার চড়কগাছ।

প্রিয়োসিনী পর্ব ২৯