মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ৪১

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ৪১
সাদিয়া জাহান উম্মি

‘ এক্সকিউজ মি?শুনছেন?আমাকে একটু হ্যাল্প করবেন?’
আকস্মিক কোনো মেয়ের চিকন কণ্ঠস্বর কানে এসে লাগল।সাফাত ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে ফিরে তাকালো। ধূসর রঙের কুর্তি,তার সাথে জিন্স,গলায় কালো রঙের স্কার্ফ পেচানো,চুলগুলো পনিটেইল করে বাঁধা মেয়েটার। সাফাতকে ওর দিকে তাকাতে দেখে চপল পায়ে সাফাতের আরেকটু কাছে এগিয়ে আসল।অত্যন্ত চঞ্চল কণ্ঠে বলে উঠল,’ শুনতে পাচ্ছেন?হ্যালো?’

সাফাতের ভ্রুজোড়া আপনা-আপনি কুচকে আসলো।এই মেয়ে কি তখন থেকে ‘ শুনছেন, শুনছেন ‘ শুরু করেছে।নিজের বিরক্তিটা বুঝতে দিলো না সাফাত।ভদ্রভাবেই বলে,’ জি বলুন,শুনছি।’
মেয়েটা যেন সাফাতের এইটুকু কথায় অনেক খুশি হলো।হাসি হাসি মুখে বলে উঠল,’ আমাকে একটু হ্যাল্প করবেন?’
ভ্রু-কুচকে সাফাত বলে,’হ্যাল্প?’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ হ্যা!’
‘ তা কি হ্যাল্প করতে হবে?’
মেয়েটা দূরে একটা ফুলগাছ দেখালো।গাছটা আকারে অনেকটা বড়ো।সেখানে বেগুনি রঙের কি যেন ফুল ফুটে আছে।সাফাত নাম জানে না এই ফুলগুলোর।তবে দেখতে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে।পিছনে পাহাড়,সারি সারি মেঘ।তার মাঝে এই বেগুনি রঙের ফুলগুলো যেন জ্বলজ্বল করে তার সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছি।সাফাত মুগ্ধ হলো।বিষয়টা বুঝতে পেরেই মেয়েটা যেন হাতে আকাশের চাঁদ হাতে পেলো।খুশিতে গদগদ কণ্ঠে বলে,’ কি সুন্দর তাই নাহ? আমার মতো আপনিও মুগ্ধ হয়েছেন।আমি বুঝেছি।এখন এই গাছ সহ আমার একটা ছবি তুলে দিবেন?প্লিজ?’

মেয়েটার একাধারে বলা কথায় সাফাত কি বলবে ভেবে পেলো নাহ।মেয়েটা ফের বলে,’ আসলে আমার বন্ধুরা জার্ণি করে এসে ক্লান্ত হয়ে একেকটা ঘুমিয়ে পরেছে।এখন ছবি তোলার জন্যে আমার সাথে কেউ নেই।আর আশেপাশে দেখে আপনাকেই ভালো মনের মানুষ মনে হলো।’

সাফাত ক্ষণে ক্ষণে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে।সাফাত ওর জীবনেও এমন বাচাল মেয়ে দেখেনি।এতো কথা মেয়েটা কিভাবে বলে?মুখটা ব্যথা করে নাহ?এইবারও সাফাতের কোনো হেলদোল না দেখে।মেয়েটার মুখ কালো হয়ে গেলো।গুমড়া মুখ করে বলে,’ আপনি বোধহয় বিরক্ত হচ্ছেন। আচ্ছা থাক।আর হ্যা দুঃখিত আপনাকে বিরক্ত করার জন্যে।’
মেয়েটা চলে যেতে পা বাড়ালো।সাফাতের যেন এতে ধ্যান ভাঙে।ইতস্ততভাবে না চাওয়া সত্ত্বেও ডেকে উঠে,’ এক্সকিউজ মি?শুনুন!’

মেয়েটা দাঁড়িয়ে পরল তৎক্ষনাত।অনতিবিলম্ব দ্রুত পায়ে ফের সাফাতের কাছে ছুটে আসল।হরবর করে বলে,’ আমি জানতাম আপনি আমাকে হ্যাল্প করবেন।আপনাকে দেখে আমার ভালো মানুষ মনে হয়েছে।’
সাফাত আর কি করবে?ভদ্রতার খাতিরে রাজি হয়ে যায়।মেয়েটা লাফিয়ে লাফিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো।ওই ফুল গাছটার নিচে।সাফাত ওখানে যেতেই মেয়েটা বলে,’ নিন তুলে দিন।’

সাফাত বিরক্ত হয়ে বলে,’ মোবাইল বা ক্যামেরা না দিলে আমি তুলব কিভাবে?’
সাফাতের এই বাক্য যেন মেয়েটার চঞ্চলতা হ্রাশ পেলো।যেন সাফাত বিশাল বড়ো মাপের মন খারাপ করা যায় এমন কিছু বলে ফেলেছে।সাফাত ফের বলে,’ কি হলো দিন?আমার আরও কাজ আছে।’
মেয়েটা মন খারাপ করে বলে,’ আসলে…আসলে হয়েছি কি আমি না ফোন আনতে ভুলে গিয়েছি।সেটা কটেজেই ফেলে এসেছি।’

রাগগুলো যেন তরতর করে সাফাতের মাথায় চড়া দিয়ে উঠল।এই মেয়ে পেয়েছেটা কি?সেই কখন থেকে বকরবকর করে ওর মাথা খারাপ করে ফেলেছে।যেই ভাবল মেয়েটাকে একটা ছবিই তো তুল দিবে।সেটা ঝটপট তুলে দিয়েই সে কটেজে চলে যাবে।কিন্তু নাহ! তা আর হতে দিলো কই।বকবক করে তার মাথা খেয়ে এখন বলছে কিনা ফোনটাই আনেনি।সাফাত রাগি গলায় বলে,’ আপনার কি মাথায় সমস্যা আছে?ছবি তুলতে চাইছেন।তার জন্যে আমাকে এখানে নিয়ে আসলেন।আর এখন বলছেন মোবাইল আনেননি।’

মেয়েটা সাফাতের রাগি রাগি কণ্ঠের বাক্যগুলো শুনে মুহূর্তেই মুখটা কাঁদো কাঁদো করে ফেলল।ভেজা কণ্ঠে বলে,’ এভাবে বলছেন কেন?আমি কি ইচ্ছে করে করেছি না-কি?’
সাফাত রুক্ষ কণ্ঠে বলে,’ তো?এখন আমার মাথা কিনে নিয়েছেন না-কি?যত্তসব!’
মেয়েটার নজর হঠাৎ সাফাতের হাতে যায়।সাফাতের হাতে মোবাইল দেখে মেয়েটা বলল,’ এক কাজ করুন।আপনার কাছে তো ফোন আছে।আপনার ফোনটা দিয়েই নাহয় আমার কয়েকটা ছবি তুলে দিন।আমি আমার ফোন নাম্বার দিবো আপনাকে।আমাকে পরে ছবিগুলো হোয়াইটসএ্যাপে পাঠিয়ে দিবেন।’

সাফাত হতভম্ব।এই মেয়ের নিশ্চিত মাথায় সমস্যা আছে। নাহলে এইভাবে একটা অপরিচিত ছেলেকে কেইবা বলে ছবি তুলে দিতে তাও আবার সেই ছেলের ফোন দিয়ে।আমার বলে কিনা ফোন নাম্বারও দিয়ে দিবে?সাফাতের চোয়াল শক্ত হয়ে উঠল।দাঁতে দাঁত চিপে বলে,’ আপনার মাথা ঠিক আছে?না-কি মাথার স্ক্রু ঢিলা?একটা অপরিচিত ছেলেকে আপনি এইসব কিভাবে বলতে পারেন?’

মেয়েটা ভ্রু-কুচকে চাইলো।পর পর কোমড়ে হাত রেখে বলে,’ আমি মেয়ে হয়ে যদি কিছু মনে না করি।আর আপনাকে অনুমতিও দিতে পারি আমার ছবি তোলার।তাহলে আপনার সমস্যাটা কোথায়?দেখি তাড়াতাড়ি করুন।বিকেল হয়ে গিয়েছে ওলরেডি।আমার বন্ধুরা জেগে যাবে।’

সাফাত রাগে কিরমির করতে করতে শেষমেষ মেয়েটার ছবি তুলেই দিলো।তারপর মেয়েটা ওর মোবাইল নাম্বারও দিলো।বলল ছবিগুলো ওর হোয়াইটসএ্যাপে যেন পাঠিয়ে দেয়। এসব বলে সে চলে গেলো।এদিকে সাফাত সাথে সাথেই ছবিগুলো সেন্ড করে দিলো।ভাবল এইবার মেয়েটাকে ব্লক করে দিবে।কিন্তু তার আগেই ইহানের কণ্ঠ শোনা গেলো।ওকে ডাকছে।সাফাত ফোনটা পকেটে ঢুকিয়ে পা বাড়ালো সেদিকে।ভাবল পরে সময় করে ছবিগুলো ডিলেট করে নাম্বারটাও ব্লক করে দিবে।সাফাত ইহানের কাছে যেতেই ইহান বলে,’ কিরে তুই কোথায় ছিলিস?ঘুম থেকে উঠে তোকে কটেজে পেলাম নাহ।’
সাফাত বলে,’ এইতো এখানেই ছিলাম।ঘুম আসছিলো না তাই ভাবলাম বাহির থেকে ঘুরে আসি।’

‘ ওহ আমি আরও তোকে খুঁজে খুঁজে হয়রান।চল অনেক তো বেলা হলো।সবাইকে ডেকে তুলি।দুপুরের খাবার খেয়ে আশেপাশের এলাকা ঘুরে আসা যাবে।’
‘ হুম,চল।’

‘ তুই তো একদম ছক্কা মেরে দিলি রে আরহা।কি সুন্দর এক্টিংটাই না করলি!’ আরহার বান্ধবী ফাইজা বলল।
আরহা বলে উঠে,’ আমি মোটেও অভিনয় করেনি।যা করেছি মন থেকে করেছি।ছেলেটা এক দেখাতেই ভালো লেগে গিয়েছে।তাই তো এসব করলাম।’
আরহার আরেকটা ফ্রেন্ড নীল
বলে,’ কিন্তু তোর বাবা জানলে আস্ত রাখবে না তোকে।’
আরহা হেসে বলে,’ ভাইয়া আছে না।’

আরহা চোখ টিপ মারল।হ্যা একটু আগে সাফাতের সাথে যে মেয়েটা কথা বলছিলো সে আর কেউ না আরহাই।আরহা কটেজের বাহিরের সিরিতে বসেছিলো ফ্রেন্ডদের সাথে।কথা বলছিলো।তখনই গাছের নিচে বসে থাকা উদাসিন সাফাতকে ওর নজরে আসে।বিষন্নতা ঘেরা সাফাতকে যেন এক দেখাতেই ভালোলেগে যায় আরহার।ফ্রেন্ডদের বিষয়টা জানালে তারা মজা নিতে শুরু করে আরহার সাথে।

আরহা তৎক্ষনাত বলে সে এক্ষুণি গিয়েই সাফাতের সাথে কথা বলবে।আর হলেও তাই।কথা তো বললই। সাথে ফোন নাম্বারও আদানপ্রদান করে এসেছে।আরহা নিজের ফোনের দিকে তাকালো।হোয়াইটসএ্যাপে গিয়ে সাফাতের প্রোফাইল পিকটা দেখল।সেখানে দেখা যাচ্ছে দূর থেকে তোলা সাফাতের সাথে তার অনেকগুলো বন্ধুবান্ধব।পাঁচজন ছেলে দা্ঁড়িয়ে আছে।আর তাদের সামনে বসে আছে তিনটে মেয়ে।কালো রঙের শার্ট জড়ানো সাফাতের গায়ে।ভীষণ সুন্দর লাগছে দেখতে।আরহা মুচঁকি হাসল।ওর সাথেও যে লাভ এট ফার্স্ট সাইট নামক কোনো ট্রাজেডি ঘটবে তা কল্পনাও করেনি।আর আজ সেটাই হলো।

কেউ যেন অথৈকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আছে।উষ্ণ আলিঙ্গনে বেধে রেখেছে ওকে।ব্যাপারটা কি ঘটছে বোঝার জন্যেই পিটপিট করে তাকালো অথৈ। তাকাতেই নজরে আসল রুদ্রিকের ঘুমন্ত মুখশ্রী।সাথে সাথে একরাশ মুগ্ধতা এসে ভীড় জমালো অথৈয়ের চোখে মুখে।এই লোকটার ঘুমন্ত মুখশ্রীটা দেখতে এতো সুন্দর লাগে।যে অথৈয়ের মন চায় খেয়ে ফেলতে।ইশ,ছেলেদের বুঝি এতো সুন্দর হতে হয়?তার এই রাজাকে তো অন্যান্য মেয়েদের কুনজর থেকে বাঁচাতে তাকে বহুত কাঠখোড় পোড়াতে হবে।

ইচ্ছে করে লোকটাকে বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখতে।যেন সে ছাড়া আর কেউ তার ব্যক্তিগত মানুষটাকে না দেখতে পারে।অথৈ মুচঁকি হাসলো।রুদ্রিকের চুলগুলো এলোমেলোভাবে ওর কপালে পরে আছে।যা ফ্যানের বাতাসে উড়ছে।অথৈ হাত বাড়িয়ে ছুয়ে দিলো।নরম হাতে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল।ইশ,চুলগুলো কি সুন্দর সফট।তারপর বন্ধ চোখজোড়া ছুঁয়ে দিলো।রুদ্রিকের চোখজোড়া কাঁপলো বোধহয়।অথৈ হাত সরিয়ে নিলো।পর পর নিশব্দে হেসে দিলো।

আবারও ছুঁয়ে দিলো রুদ্রিকের গালজোড়া,খারা চোখা উঁচু নাকটা।ঠোটে ছুঁয়ে দিতেই অথৈ নিজেও কেঁপে উঠে।এই কালচে ঠোঁটজোড়ার স্পর্শগুলো ভয়ানক।অথৈ দেহ,মন তিরতির করে কেঁপে উঠে।মাতাল করে দেয় ওকে।এলোমেলো হয়ে যায় ওর সব।নিজের ভাবনায় নিজেই লজ্জা পেলো অথৈ। গালজোড়া লাল হয়ে উঠলো।হাতটা সরিয়ে ফেলতে নিতেই হঠাৎ খপ করে ওর নরম হাতটা রুদ্রিক তার শক্তপোক্ত হাতে ধরে ফেলে।

ফট করে চোখজোড়া খুলে তাকায় সরাসরি অথৈয়ের দিকে।অথৈ লজ্জাতুর মুখশ্রী,ওর ফোলাফোলা গালজোড়া দেখে মৃদ্যু হাসল।এদিকে অথৈ অবাক হয়ে গিয়েছে।এই লোক হঠাৎ এমনভাবে জেগে যাবে সে ভাবেনি।এখন ও কি করবে?কোথায় লুকাবে এই মুখ।এদিকে রুদ্রিক দুষ্টু হেসে বলে,’ আমার ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নিয়ে আমাকে ছুঁয়ে দেওয়া হচ্ছিলো।’
অথৈ রুদ্রিকের হাত থেকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগল।এদিক সেদিক তাকিয়ে বলে,’ এমন কিছু নাহ।ওই আপনার চুলগুলো আপনার কপালে পরেছিল।আপনার ঘুমে ডিস্টার্ব হবে তাইজন্যে চুলগুলো সরিয়ে দিচ্ছিলাম।’
‘ ওহ তাই,? তা এই সুযোগে বুঝি আমার পুরো মুখশ্রী ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছিলে।আর একাই লজ্জায় লাল নীল হচ্ছিলে?আমার ঠোঁটজোড়া ছুঁয়ে দিয়ে বুঝি ওখানে চুমুও খেতে চাইছিলে।’

রুদ্রিকের লাগামছাড়া কথায় অথৈ সহ্য করতে না পেরে।এক ঝটকায় রুদ্রিকের হাতের থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে উলটো দিকে ঘুরে গেলো।ইশ,এই লোকটা এমন কেন? এদিকে রুদ্রিক হাসল।একটু একটু করে এগিয়ে গেলো অথৈয়ের কাছে।ঘনিষ্ট হলো অথৈয়ের সাথে।রুদ্রিকের শরীরের উষ্ণতা অনুভব করতে পারছে অথৈ। ওর শ্বাস প্রশ্বাস ভাড়ি হয়ে আসছে।রুদ্রিক হাত বাড়িয়ে অথৈয়ের চুলগুলো সরিয়ে দিলো।কাঁপছে অথৈ।

বুকটা ধরাস ধরাস করছে।রুদ্রিক মাথা নুইয়ে অথৈয়ের ঘাড়ে মুখ গুজে দিলো।খোচাখোচা দাড়ির ঘষা লাগতেই অথৈ অস্পষ্টভাবে গুঙিয়ে উঠল।এতে যেন আরও মাতাল হলো রুদ্রিক।অথৈয়ের ঘাড়ে চুমু খেতে লাগল।একটা, দুটো অসংখ্য।অথৈ হাত বাড়িয়ে রুদ্রিকের চুলগুলো খামছে ধরল।সারা শরীর কাঁপছে।আর বেষামাল অনুভূতিদের মাঝে তলিয়ে রুদ্রিক অথৈয়ের কোমড় জড়িয়ে ধরে পেটে হাত রাখল।তারপর এক ঝটকায় অথৈকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলো।চোখজোড়া বন্ধ করে নিলো অথৈ সাথে সাথে।

রুদ্রিক আবারও অথৈয়ের গলায় মুখ ঢুবিয়ে দিলো।উষ্ণ আদরে অথৈকে কাতর করে ছাড়লো। অথৈ রুদ্রিকের পিঠ দুহাতে খামছে ধরে আছে।সে রুদ্রিকের পাগল করা ছোঁয়া গুলো অনুভব করছে।রুদ্রিক গলা থেকে মুখ উঠালো।অথৈয়ের বন্ধ চোখের পাতায় চুমু খেলো।তারপর কপালে লম্বা ভালোবাসার স্পর্শ দিলো।এরপর নেশাময় কণ্ঠে বলে,’ বলেছিলাম না তুমি আমায় যেটুকু আদর দিয়েছ।আমি তার থেকে দ্বিগুন ফিরিয়ে দিবো।ট্রেনে তো একটা কিস করতে চেয়েছিলাম।কিন্তু পারিনি।কিন্তু এখন তো সমস্যা নেই?কাম ক্লোজার টু মি অথৈ। আই ওয়ান্না ফিল ইউ।আই ওয়ান্না টাচ ইউ।আই ওয়ান্না কিস ইউ।আই ওয়ান্না কিস ইউ, ইন এভ্রি ইঞ্চ ওফ ইউর বডি।’

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ৪০

রুদ্রিকের নেশাক্ত কণ্ঠের একেকটা কথায় অথৈয়ের ভীতরে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে।ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে অথৈ। রুদ্রিক আলতো করে চুমু খেলো অথৈয়ের অধরজোড়ায়।অথৈ পা দিয়ে বিছানার চাঁদর মুচরে ধরে।রুদ্রিক অথৈয়ের কোমড় আঁকড়ে ধরে অথৈকে আরও নিজের ঘনিষ্ট করল।তারপর কালবিলম্ব না করে অথৈয়ের অধরজোড়ায় অধর মিলিয়ে দিলো।রুদ্রিকের এলোমেলো স্পর্শে অথৈও এলোমেলো হয়ে গেলো।নিজেও সারা দিতে লাগল রুদ্রিকের স্পর্শে।

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ৪২