প্রেমময়ী তুমি পর্ব ৪

প্রেমময়ী তুমি পর্ব ৪
নিশাত জাহান নিশি

খালামনি খিটখিটিয়ে হেসে উঠল! ভেতর থেকে ভূমিকম্পের ধ্বস আরম্ভ হওয়ার আগেই আমি ফিক করে হেসে ঘর থেকে দৌঁড়ে পাললাম!
এই ছুটোছুটির মধ্যেই নীড় ভাইয়ার সাথে হঠাৎ ধাক্কা লেগে গেল! নীড় ভাইয়ার হাতে থাকা কফির মগটি মাটিতে পড়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি দু’জন। পার্থক্য শুধু এখানেই। আমি ভীতুর ন্যায় অর্ধখোলা চোখে দাঁড়িয়ে! অপরদিকে নীড় ভাইয়া বিরক্তি ভরা চাহনিতে দাঁড়িয়ে। মুহূর্তের মধ্যেই হঠাৎ নীড় ভাইয়া ভ্রু যুগল উঁচু করে আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন! তৎক্ষনাৎ আমি আমতা আমতা গলায় বললাম,,

“স্যস্যরি ভাইয়া। আআমি আসলে খেখেয়াল করি নি।”
বিন্দুমাত্র ভাবান্তর হলো না উনার! ভাবশূন্য ভঙ্গিতে উনি প্যান্টের পকেটে দু’হাত গুজে খানিক নড়েচড়ে দাঁড়ালেন! অবিশ্বাস্যভাবেই উনি এদিক ওদিক অস্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আকস্মিক আমার দিকে ঈষৎ ঝুঁকে এলেন! নিম্ন আওয়াজে বললেন,,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“এক শর্তেই তোমাকে ক্ষমা করতে পারি! যদি তুমি কাল রাতের ব্যাপারে আমার মা এবং আমার বাবাকে কিছু না বলো! আমাদের সাথে সমঝোতা করো।”
দ্বিমত পোষণ করলাম আমি! বুকে দু’হাত বেঁধে নাক উঁচিয়ে দাঁড়ালাম! শর্তে রাজি না হয়ে অসম্মতিপূর্ণ গলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বললাম,,

“ওকে। তবে শুনে রাখুন। আমাকেও আপনার ক্ষমা করতে হবে না! বিরাট কোনো অন্যায় করে বসি নি আমি। যার জন্য অন্তত আপনি আমাকে ক্ষমা না করলে আমার বড়ো সড়ো কোনো গুনাহ্ হয়ে যাবে! সামান্য একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে মাত্র। দেট’স ইট!”

নীড় ভাইয়ার দিক থেকে রোষভরা দৃষ্টি সরিয়ে আমি সামনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই ভয়ে আতঁকে উঠলাম! আপু চোখ লাল করে তেজী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। ইশারায় বলছেন নীড় ভাইয়ার কাছ থেকে ক্ষমা চাইতে! ভয়ার্ত চাহনিতেও আমি অনবরত মাথা নাড়িয়ে অসম্মতি জানাচ্ছি! নীড় ভাইয়ার কাছ থেকে ক্ষমা আমি কিছুতেই চাইব না! কিংবা নীড় ভাইয়ার শর্তে এক ফোঁটাও রাজি হব না! দাঁত কিড়মিড়িয়ে আপু আমার দিকে এবং নীড় ভাইয়ার দিকে তেড়ে এলেন। আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চোয়াল শক্ত করে শুধালেন,,

“গুরুজনদের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয় শিখাইনি আমরা? ইচ্ছে করে তুই আমাদের অসম্মান করছিস হ্যাঁ? নীড় ভাইয়া যা বলছে তাই মেনে নে বলছি। উনার কথার উপরে আর একটা কথাও বলবি না।”
মুহূর্তের মধ্যেই ভাব বেড়ে গেল নীড় ভাইয়ার! শার্টের কলার উঁচিয়ে উনি বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকালেন! মনে হলো যেন বিশ্ব জয় করে ফেলেছেন উনি! আপুর রাগতা দেখে বড্ড ভয় পেয়ে গেছি আমি! তাই ঘোর অমত থাকা সত্ত্বেও মাথা নুইয়ে নীড় ভাইয়াকে বললাম,,

“শর্তে আমি রাজি ভাইয়া। সরাসরি খালামনিকে কিছু বলব না আমি!”
জায়গা থেকে প্রস্থান নিলাম আমি! পেছন থেকে শুনছিলাম নীড় ভাইয়া গলা ঝাঁকিয়ে গম্ভীর গলায় সোহানী আপুকে জিজ্ঞেস করছেন,,
“আচ্ছা? তোমার নামটা যেন কী?”
আপু ম্লান হেসে বললেন,,
“সোহানী।”
“ওহ্। নাইস নেইম।”

ইতোমধ্যেই খেয়াল করলাম নীড় ভাইয়া হনহনিয়ে আমার পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন। রাগে গা-পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে আমার! আমাকে অপমান-অপদস্ত করে দু’জন বেশ ভাব জমিয়েছে। রাগে গজগজ করে হেঁটে চললাম আমি বেডরুমের দিকে। পেছন থেকে আপু বেশ মিষ্টি গলায় আমার নাম ধরে ডাকছে! এখন আইছে ঢং করতে! খালাতো ভাই নামক মাতালের সামনে আমাকে ছোট করে এখন আমাকে আহ্লাদ দেখাতে আসছে! হুড়মুড়িয়ে রুমে প্রবেশ করে আমি ভেতর থেকে দরজার খিলটা আটকে দিলাম!

এবার হাজার চ্যাঁচালেও আমি দরজা খুলব না! যতক্ষণ অবধি না রাগ পড়বে আমার। মনোস্থির করে এক ছুটে ওয়াশরুমে প্রবেশ করলাম। আপন মনে মাতাল দুই ভাই এবং আপুকে বকতে বকতে আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এলাম। টাওয়াল হাতে নিয়ে মুখ মুছতে মুছতে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়াতেই দরজায় খটখট আওয়াজ হলো।

তবে কারো কোনো গলার স্বর শোনা যাচ্ছে না। ধারণা করতে পারছিলাম আপু হয়তোবা আমার রাগ ভাঙানোর জন্য দরজায় কড়া নাড়ছে! এক ঝটকায় টাওয়াটা বিছানায় ছুড়ে মেরে আমি উড়নচণ্ডী রূপ নিয়ে রুমের দরজাটি খুলে দিলাম! অমনি আমার চক্ষু জোড়া চড়কগাছ হয়ে উঠল! মুখটা অচিরেই হা হয়ে গেল! বুকটা ধড়ফড় করে কাঁপতে আরম্ভ করল। এ-কি দেখছি আমি? নূর ভাইয়া রুদ্রাক্ষের ন্যায় তেজী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে! নীল মার্বেলের মতো চোখ গুলোর আশপাশটা কেমন টকটকে লাল রং ধারণ করেছে।

গৌড়বর্ণের ফর্সা মুখটি লোহিত বর্ণে পরিণত করেছে। সদ্য শাওয়া নিয়ে আসা ভেজাক্ত চুল গুলো থেকে টপটপ শব্দে পানি পড়ছে। শাওয়ার নেওয়ার পরেও লোকটিকে ফ্রেশ বা স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে না। প্রচণ্ড চটে আছে এই লোক! মনে হচ্ছে এখনি আমাকে আস্ত চিবিয়ে খাবে! আর এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে আমি মুখের উপর দরজাটি বন্ধ করে দিলাম! জ্ঞান হওয়া অবধি এই পর্যন্ত কাউকে আমি এতটা রাগী রূপে দেখি নি! ভয়ে জানটা বের হয়ে যাচ্ছে আমার। ভেতর থেকে বড় বড় শ্বাস নির্গত হয়ে আসছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছে। দরজায় পিঠ ঠেঁকিয়ে দাঁড়াতেই মনে হলো দরজাটি ভেঙে হয়তো আমি শুদ্ধ মেঝেতে ছিটকে পড়ব। লোকটি এত জোরে দরজায় কড়াঘাত করছে! শুধু তাই নয় দাঁতে দাঁত চেপে ক্ষিপ্ত গলায় বলছে,,

“এই দরজাটা খুলতে বলছি তোমাকে। তাড়াতাড়ি দরজাটা খোলো!”
মুখে তালা ঝুলিয়ে বসে আছি আমি! বোবা মানুষের ন্যায় কন্ঠনালীকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছি। এর মধ্যেই উনি পুনরায় রুষ্ট গলায় শুধালেন,,
“কী হলো? দরজা খুলছ না কেন হ্যাঁ? আমাকে ফেইস করার সাহস হচ্ছে না এখন?”

চোখ জোড়া বুজে আমি প্রাণপনে আল্লাহ্কে ডেকে চলছি! এই শেষ বারের মতো এই ভয়ংকর রাগী লোকটির কাছ থেকে মুক্তি চাইছি আমি। তবে লাভ কিছু হচ্ছিল না এতে। দেখা যাচ্ছিল যে, দরজা না খুললে লোকটিকে আর সামলে রাখা যাবে না। এখনকার তুলনায় আরও বেশি নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে উঠবে। তাই আল্লাহ্’র উপর ভরসা রেখে আমি চোখ বুজে শেষ পর্যন্ত রুমের দরজাটি খুলেই দিলাম! অমনি লোকটি ঝড়ের বেগে আমাকে ধাক্কা মেরে রুমের মধ্যে ঢুকে পড়ল! আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কড়া গলায় শুধালো,,

“কী বলছিলে সকালে তুমি হ্যাঁ? কী বলেছিল? আমার রাগ দেখবে তাই তো? আমি কতটা হিংস্র হতে পারি দেখবে?”
ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে আমি নূর ভাইয়ার দিকে তাকালাম! শুকনো ঢোক গিলে জবাবে বললাম,,
“কেকে ককখন কীকী বলেছিল? আআমি তো কিছু বলি নি!”
“সিরিয়াসলি? তুমি কিছু বলো নি?”
“নানানা তো!”

“গলা কাঁপছে কেন এখন হ্যাঁ? গলা কাঁপছে কেন? আমার মতো ক্লিয়ারলি কথা বলতে পারছ না?”
“গগলা ব্যব্যথা করছে তাই!”
“রাগের একটু ছটা দেখে অমনি গলা ব্যথা শুরু হয়ে গেল না? যখন আরও বেশি হিংস্র রূপ দেখবে তখন কী করবে?”
ঘটনার আকস্মিকতায় আমি মুখ ফসকে বলে ফেললাম,,
“তখন আপনাকে খু’ন করে পালাবো!”

সঙ্গে সঙ্গেই মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম আমি! ভয়ার্ত দৃষ্টিতে নূর ভাইয়ার দিকে তাকালাম। মনে মনে নিজেকেই বকতে আরম্ভ করলাম! মুখে বিন্দু পরিমান লাগাম নেই আমার। যাকে যা ইচ্ছে তাই বলে ফেলি! চোয়াল উঁচিয়ে নূর ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে এলেন। তিরিক্ষিপূর্ণ মেজাজে বললেন,,
“গাঁয়ে জাস্ট একটা টাচ করে দেখাও না। এরপর দেখো তোমার কী হাল করি আমি! অনেক সহ্য করেছি অনেক। এখন আর সম্ভব নয়।”

ভয়ে সিঁটিয়ে গেলাম আমি! মুখে আঙুল চেপে অস্পষ্ট গলায় বললাম,,
“স্যরি। ভুল হয়ে গেছে ভাইয়া। আর কখনো এমন ভুল হবে না!”
রাগের পরিমান তবুও যেন কমছিল না উনার! ভয়ানক তাণ্ডবের শিকার হওয়ার আগেই আমি মন্থর গতিতে পিছু হাঁটতে লাগলাম। তক্ষণি ধপ করে বিছানার উপর বসে পড়লাম! রাগ ভুলে আচমকাই ক্রুর হেসে উঠলেন নূর ভাইয়া! শার্টের কলারটি পেছনের দিকে হেলিয়ে তিনিও বেশ ভাব নিয়ে ধপ করে আমার পাশে বসে পড়লেন! পায়ের উপর পা তুলে আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বললেন,,

“তো বলো? কী যেন বলছিলে? আমার মা’কে গতকাল রাতের কথা সব বলে দিবে তাই তো?”
কাঠ কাঠ আমি গলায় জবাবে বললাম,,
“বলেছিলাম! তবে এখন আর বলব না ভাইয়া!”
“আনবিলিভএবল! আচ্ছা এক কাজ করো? তোমার মাথায় হাত রেখে বলো মা’কে তুমি সত্যি সত্যি কিছু বলবে না।”
তাজ্জব দৃষ্টিতে আমি বিরক্তিকর লোকটির চোখের দিকে তাকালাম! হতবিহ্বল গলায় শুধালাম,,
“আমার মাথায় হাত রেখে বলতে হবে?”

“তো কার মাথায় হাত রেখে বলবে? আমার? পাগলে পাইছে আমারে? নিজের হাতে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনব? তোমাকে কোনো দিক থেকেই আমার বিশ্বাস হয় না!”
গলার স্বর পাল্টে নিলাম আমি! ন্যাকা ন্যাকা গলায় বললাম,,
“কিন্তু, আমি যদি মরে যাই? তখন কী হবে নূর ভাইয়া? আমার তো এখনো একটা প্রেমও হয় নি ভাইয়া। বয়ফ্রেন্ডও হয় নি! কারো সাথে ভালোবাসা বাসিও হয় নি!”

“তার মানে তুমি স্বীকার করছ মাথায় হাত দিয়েও তুমি মা’কে সব সত্যি বলে দিবে?”
“আমি কী করব ভাইয়া? আমার পেটে যে কোনো কথা থাকে না! ডক্টরও এই রোগ সারাতে পারে নি বিশ্বাস করুন! আমি সত্যিই নিরুপায়।”

আবারও প্রচণ্ড ক্ষেপে উঠলেন নূর ভাইয়া! ধমকের স্বরে শুধালেন,,
“সিরিয়াসলি? কথা পেটে থাকে না এর জন্যও ডক্টর দেখাতে হয়?”
“হয় ভাইয়া! আপনাদের ঢাকায় হয়তো এমন ডক্টর নেই। তবে আমাদের কুমিল্লায় এমন ডক্টর অহরহ আছে!”
“এই এই। একদম নাটক করবে না আমার সাথে। কথার জালেও আমাকে ফাঁসানোর একদম চেষ্টা করবে না। আমি বুঝে গেছি তুমি ইচ্ছে করে নাটক করছ আমার সাথে। সব মিথ্যে বলছ তুমি, সব।”

অবলার মতো মুখ করে আমি কাঁদো কাঁদো গলায় নূর ভাইয়াকে বললাম,,
“সত্যি বলছি ভাইয়া! আমি কোনো নাটক করছি না! এই রোগ আমার জন্মগত! কথা বেশিক্ষণ পেটে চেপে রাখতে পারি না। জানেন ভাইয়া? আমার এই রোগের জন্য আমার সব ফ্রেন্ডদের ব্রেকাপ হয়ে গেছে?”
“হোয়াট? ব্রেকাপ হয়ে গেছে?”

“হ্যাঁ তো! অনেকেরই ব্রেকাপ হয়ে গেছে! কারণ, আমি কোনো সত্যি কথা-ই লুকিয়ে রাখতে পারি না। ফ্রেন্ডরা তাদের বয়ফ্রেন্ড সম্পর্কে আমার কাছে যা যা দুর্নাম করত আমি সব তাদের বয়ফ্রেন্ডদের এক এক করে দিতাম! আমি আবার মিথ্যা কথা একদদদম সহ্য করতে পারি না। তাই আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে মুখের উপর ঠাস-ঠুস সব বলে ফেলি। এখন তো আমি চিন্তায় আছি ভাইয়া। আপনারও যদি এখন ব্রেকাপ হয়ে যায়? আই মিন খালামনিকে যদি আমি সব সত্যি বলে ফেলি তখন?”

তড়িৎ বেগে আমার পাশ থেকে উঠে দাঁড়ালেন নূর ভাইয়া। শার্টের হাতা জোড়া ফোল্ড করতে করতে শক্ত গলায় আমায় বললেন,,
“দেখি উঠো। বসা থেকে উঠো বলছি।”
“কিন্তু কেন নূর ভাইয়া? কী করেছি আমি?”
“উঠো। এরপর বলছি কী করেছ।”
ঠোঁট উল্টে নিলাম আমি! ব্যথীত গলায় বললাম,,

“পায়ে খুব ব্যথা হচ্ছে ভাইয়া! সকাল থেকেই হাঁটুর জয়েন্টে-জয়েন্টে ব্যথা করছে!”
“এই? আবারও নাটক করছ না? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা!”
ভীষণ উত্তেজিত হয়ে নূর ভাইয়া বিছানার উপর থেকে শলার ঝাড়ু হাতে তুলে নিলেন! অমনি আমি ভয়ে ‘খালামনি’ বলে এক চিৎকার দিয়ে রুম থেকে দৌঁড়ে বেরিয়ে এলাম! দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে হাঁক-ডাক ছেড়ে বলতে লাগলাম,,
“খালামনি দেখো? নূর ভাইয়া আমাকে মারতে আসছে! উনার গার্লফ্রেন্ডের কথা আমি তোমাকে..

আর কিছু বলতে পারলাম না! পেছন থেকে কেউ এসে আমার মুখ চেপে ধরল! প্রকান্ড চোখে আমি প্রবল কৌতূহল নিয়ে পিছু ফিরে তাকাতেই অবিশ্বাস্যভাবে নূর ভাইয়াকে দেখতে পেলাম! ইতোমধ্যেই উনি আমার কানের কাছে হালকা গোলাপী ওষ্ঠদ্বয় ঠেকিয়ে দাঁত দাঁত চেপে বলছেন,,

প্রেমময়ী তুমি পর্ব ৩

“প্লিজ। মা’কে কিছু বলবে না তুমি। এর বিনিময়ে তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তাই দিব। তবুও মা’কে কিছু বলবে না।”
থেমে গেলাম আমি! সমস্ত শরীর শিথিল হয়ে আসছিল। শরীরের প্রতিটি লোমকূপদ্বয় অদ্ভুত এক মন মাতানো শিহরণ তুলছিল। এর মধ্যেই হঠাৎ তৃতীয় কোনো ব্যক্তির আগমন ঘটল আমাদের সামনে। অগ্রে উৎসুক দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই দেখলাম একজন সুদর্শণ পুরুষ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আমাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে! বিস্মিত গলায় নূর ভাইয়ার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলছে,,
“এসব কী হচ্ছে নূর? মেয়েটি কে?”

প্রেমময়ী তুমি পর্ব ৫

1 COMMENT

Comments are closed.