প্রেয়সী পর্ব ১৯

প্রেয়সী পর্ব ১৯
নন্দিনী নীলা

মধু গভীর তন্দ্রায় আচ্ছন্ন। ঘুমঘুম অবস্থায় অনুভব করল কারো গায়ের উষ্ণতা। মনে হচ্ছে কারো কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাচ্ছে ও। ও এক হাতে মানুষটার গায়ের উপর রাখল কেমন জানি লাগল ও আধো আধো ঝাপসা চক্ষু মেলে তাকাল। ঘুমঘুম চোখেই ও চোখ ভরা বিষ্ময় নিয়ে আবার সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে ফেলল। ঘুমের মধ্যে ঝটকা খেয়েছে যেন। চোখ খিচে শক্ত করে বন্ধ করে কারো ঘাড়ে চিপকে র‌ইল।

ঘুমের ঘোরে এসব কি দেখছে আবার কি ভুল নাকি সত্যি! ঢোক গিলছে মধু ঘুমের মধ্যেই। এটা হতে পারে না। মধুর ঘুম কেবলি গভীর হয়েছে। তাই ও এখন চেয়েও ঘুম তাড়িয়ে ভালো করে তাকিয়ে মানুষটাকে দেখতে পারল না। আবার ঘুমিয়ে গেল। পেটে খিদের জ্বালা বাড়তেই ওর ঘুম ছুটে গেল। চিনচিন ব্যথা করছে ও হামি দিয়ে মাথা তুলল। ও চোখ কচলে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল ও বসে আছে গাড়িতে ওর একপাশে ফাহাদ একপাশে তিন্নি। এতোক্ষণ তিন্নির কাঁধেই মাথা রেখে শান্তিময় ঘুম দিয়েছিল ও।
তিন্নি নিজের ঘাড়ের উপর থেকে বস্তা সরল যেন এমন ভাবে নিজের ঘাড়ে হাত বুলিয়ে বলল,,” বাবাগো কত ঘুম রে তোর।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“আমি মাঝখানে কখন এলাম?”
” যখন ঘুমিয়েছিস তখন‌।” ভাবলেশহীন মুখে বলল তিন্নি।
মধু ঘাড় ঘুরিয়ে ফাহাদের দিকে তাকাতেই দেখল ফাহাদ ফোনে গেইম খেলতে ব্যস্ত। ফোনটা আর কারো নয় ওর নিজের‌ই। ও ভ্রু কুঁচকে সেদিকে তাকিয়ে আছে।
ফাহাদ মাথা তুলে দাঁত কেলিয়ে হেসে বলল,” গুড মর্নিং মৌমাছি।”
মধু কপাল কিশ্চিৎ কুঁচকে বলল,,” মৌমাছি কে?”
” তুমি মৌচাকের মধু আপু। তোমাকে এখন কেমন দেখা যাচ্ছে জানো?”
মধু বলল,,” না।”

” তোমাকে এখন লাগছে ঠিক মৌমাছি আক্রমন করা মানুষের মতো। মৌমাছি কামড় দিলে যেমন চোখ মুখ ফুলে লাল হয়ে থাকে তেমন।”
মধু হতবুদ্ধি চোখ সরিয়ে নিল। তারপর তাড়াতাড়ি সামনের লুকিং গ্লাসের দিকে তাকাল ওকে দেখা যাচ্ছে না ওটাতে। ও খেয়াল করল সাহিত্য ভাইয়া ড্রাইভ করছে তার পাশেই বসে ফোন টিপছে ফুয়াদ। মধু তিন্নির দিকে তাকিয়ে বলল,,” দোস্ত।”
” বল কি হয়েছে?”

” আমাকে কি বাজে দেখা যাচ্ছে? আমার চোখ মুখ কি অনেক ফুলে আছে‌।”
তিন্নি বলল,,” ক‌ই না তো ঘুমিয়েছিলি তাই হালকা ফোলো লাগছে। কিন্তু খারাপ লাগছে না উল্টো আরো সুন্দর লাগছে। সদ্য ঘুম থেকে উঠায় তোর সৌন্দর্য যেন অনেকটাই বেড়ে গেছে।”
বলেই তিন্নি ওর গাল টেনে দিল। সুন্দর লাগছে শোনে মধু রাগী চোখে তাকাল ফাহাদের দিকে। আর ওর হাত থেকে টান দিয়ে ফোন নিয়ে নিল‌। স্ক্রিন অফ করে মুখ দেখতে লাগল।
” আমাদের যেতে আর কতক্ষন লাগবে?” মধু প্রশ্ন করল তিন্নিকে।
তিন্নি বলল,,” অনেক সময় লাগবে।”

মধু দেখল দশটা বাজে ওরা বের হয়েছে দুই ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। পেটে খিদে একটু চোখে মুখে ও পানি দেওয়া দরকার। প্রথম এতো জার্নি করছে। ওর কোন আন্দাজ ছিল না কতটা সময় লাগতে পারে। কিন্তু দূরত্ব ভালোই সেটা জানত। লজ্জায় খাওয়ার কথাও বলতে পারছে না মধু‌। সবাই বাসা থেকে কম বেশি খেয়ে এসেছে এখন ওর জন্য কার ঠেকা গাড়ি মাঝরাস্তায় থামিয়ে খাওয়ানোর। মধু থাকতেও পারছে না বলতে ও পারছে না। শক্ত হয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বসে আছে।
মাঝখানে থাকতেও অস্বস্তি হচ্ছে।

সোজা হয়ে মূর্তির মতো মধু তাকিয়ে আছে সামনের রাস্তার দিকে। কতটা পথ এসেছে এই জায়গা কোথায় ও জানে না চুপ করে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ করেই ওর ঘুমের মাঝের কথা মনে পরে গেল। তখন ও কাকে দেখল? সত্যি কি সে ছিল? বিস্মিত গলায় নিজেই ভাবল। তিন্নির কাঁধেই ঘুম ভেঙ্গে নিজেকে পেয়েছে তার মানে ওর কাঁধেই ঘুমিয়ে কাটিয়েছি তাহলে ওটা কি ছিল? আমার স্বপ্ন? ও গড এই তিনজনের মাঝে সে কোথা থেকে আসবে এটা তো ইম্পসিবল। আমি কেন এসব অবান্তর স্বপ্ন দেখছি। কি আজব প্রত্যেকটা স্বপ্ন এতো বাস্তব লাগে যেন ওটা স্বপ্ন নয় বাস্তব।
হঠাৎ শব্দ করে গাড়ি থামতেই ও সোজা হয়ে বসল। বাইরে তাকিয়ে দেখল একটা রেস্টুরেন্টে। ফুয়াদ বেরিয়ে গেল গাড়ি থেকে।

ফাহাদ জানালা দিয়ে মাথা বের করে বলল,,” ভাইয়া আমরা কি এখন খাবো?”
ফুয়াদ দরজা খুলে দিল ফাহাদের পাশে। তারপর বলল,,” যার যার খিদে লেগেছে সে বের হ।”
” না লাগলে কি বের হ‌ওয়া যাবে না? এখন না লাগলেও একটু পর লাগবে আমার।”
” তুই চাইলে খেতে পারিস কিন্তু না খেলেও সমস্যা নেই খাবার প্যাক করে আনা হবে।”
ফাহাদ নেমে গেল ও বলল,,” আমি এখনি খাব। তবুও তুমি আমার জন্য প্যাক করে নিও আমার তো ঘনঘন খিদে পায়‌।”
তিন্নি নামল না ওর নাকি খিদে পায় নি ওর জন্য মধুর ও নামতে ইচ্ছে করছে না। সাহিত্য ভাইয়া ও বলল এখন কিছু খাবে না। নেমেছে শুধু ফুয়াদ আর ফাহাদ।

ফুয়াদ কপাল কুঁচকে মধুর দিকে তাকিয়ে বলল,,” আর কারো খিদে পায়নি?”
মধু কিছু বলছে না দেখে তিন্নি বলল,,” মধু কে নিয়ে যাও ভাইয়া ও তো কিছু খেয়ে আসে নাই ওর হয়ত পেয়েছে।”
ফুয়াদ শক্ত গলায় ই বলল,,” তাহলে ওখানে বসে আছে কেন? বের হতে বল। আমি ডাকছি সেটা তো কানে যাচ্ছে না।”
মধু নেমে এল। মধু জড়োসড়ো হয়ে নেমে ফুয়াদের পাশে দাঁড়াল। ফুয়াদ এক নজরে মধুর দিকে তাকিয়ে বলল,,” সব সময় তো ট্রেনের গতিতে মুখ চলে এখন মুখে কথা নাই কেন?”

” আপনি খাবার প্যাক করে নিয়ে আসবেন বললেন তাই ভাবছিলাম নিয়ে আসলে এখানেই খাব।”
” পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে একবার খেয়ে আর বুঝি খিদে পাবে না?”
মধু চুপ করেই দাঁড়িয়ে র‌ইল। ফুয়াদ ফুঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে রেস্টুরেন্টে ঢুকল ওকে নিয়ে। মধু বেসিং এ থেকে মুখ ধুয়ে নিল। তারপর এসে দেখল ফুয়াদ ও ফাহাদ বসে আছে।

” কি খাবে ঝটপট অর্ডার করো।” মধুকে উদ্দেশ্য করে বলল ফুয়াদ। মধু বসে অর্ডার করল।
সন্ধ্যার পরেই সবাই পৌঁছাল রিসোর্টে। মধু গাড়ি থেকে নামল ফুরফুরে মেজাজে। তিন্নি বলেছিল সাজেক যাবে কিন্তু ওরা এসেছে কক্সবাজার। কত বড়ো মিথ্যুক ফাজিল টা আমাকে মিথ্যা বলেছিল।
সাজেক না গিয়ে কক্সবাজার আসায় মধু আরো বেশি খুশি হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে গা ভাসানোর খুব ইচ্ছে ছিল ওর।‌ ভোরের সূর্য উঠা ও সন্ধ্যায় সূর্য ডু ডোবা‌।

সারা রাস্তা আর এক বারের জন্য ও ঘুমায় নি‌। খাবার খেয়ে আসার পর জানতে পেরেছে এই খবর। সাজেকে যাওয়ার কথা বলেছিল রাহী কিন্তু ফুয়াদ বলেছে কক্সবাজার যাবে। সাজেক শীতের দিনের জন্য বেস্ট মেঘ দেখা পাওয়া যায়। তাই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু তিন্নি জানতো না।

ও যেটা জানতো সেটাই বলেছে মধু কে। ঘুম আর আসেই নি কিন্তু ফাহাদ আর তিন্নি ঘুমে কাদা হয়ে ছিল। এদিকে সামনে সাহিত্য ভাই ও ঘুমিয়েছে। শুধু জাগ্রত ছিল ফুয়াদ আর মধু। ফুয়াদ চালাচ্ছিল গাড়ি আর মধু কানে ইয়ারফোন গুজে প্রকৃতিতে ডুবে ছিল‌। দুজনের মাঝে কোন বাক্য বিনিময় হয়নি। ওরা রিসোর্স এ পৌঁছে দেখল সমুদ্র , মিতুল নাঈম ও রাহী দাঁড়িয়ে আছে। সবাই একসাথে রিসোর্সের ভেতরে ঢুকলাম। মিতুল রাগী চোখে ওর দিকে তাকিয়ে ছিল। মিতুলের কটমটে চাহনির দিকে মধু তাকিয়েই সামনে পা বাড়িয়েছে।

সামনেই কদম ফেলতেই মধু হোঁচট খেয়ে পরতে নেয়। ইট বেছানো লাল জায়গা পায়ের তলায়। এখানে রং ও লাল কথা হয়েছে একটু উঁচু নিচু। মধুর উঁচু হিল তাতে বাঁকা হয়ে ও পড়তে নিয়েছে। ওর পেছনেই যেহেতু ফুয়াদ ছিল তাই তিনিই ওর পেটের উপর দিয়ে এক হাত বাড়িয়ে ওকে শূন্যে তুলে নিল সঙ্গে সঙ্গে। মধু দু’হাতে ফুয়াদের কব্জি খামচে ধরে মাথা ঝুঁকিয়ে আছে। মধুর বুকের ভেতর হাতুড়ি পেটা হচ্ছে।

সারা শরীর শিরশির করে উঠল। তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে সোজা হয়ে দাঁড়াল। ফুয়াদ স্বাভাবিক ভাবেই হাত সরিয়ে নিল। মধু ঘাড় কাত করে ফুয়াদের মুখের দিকে তাকাল। ফুয়াদ ব্যাগ টেনে ওর দিকে না তাকিয়েই সোজা রিসোর্স এর ভেতরে চলে গেল। মিতুল আগুন চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ও সামনে তাকিয়ে দেখল সবাই চলে গেছে ও পরে যেতে নিয়েছিল কেউ লক্ষ্য করেনি কিন্তু সবটা মিতুল দাঁড়িয়ে দেখেছে। মিতুলের চোখের দৃষ্টি দেখে ও ঢোক গিলল। মিতুলের এমন রুড আচরণ করার কারণ ও ধরে ফেলেছে বোধহয়। ও এতোটাও বোকা নয় যে এটা বুঝবে না।
মধু কে আরো চমকপ্রদ করে দিয়ে মিতুল মধুর হাত চেপে ধরে আটকে বলল,,” বিয়ে থেকে পালিয়ে এসেছ বুঝি আরেকজনের বিয়ে ভাঙতে?”

মধু কপাল কুঁচকে বলল,,” বুঝলাম না!”
” ফুয়াদের উপর একদম নজর দেওয়া চেষ্টা করবে না। হি ইজ অনলি মেইন। আমার ফিয়ান্সে ফুয়াদ। ওকে নিজের দিকে আকর্ষিত করলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। অনেক বার তোমায় চলে যেতে বলেছি তুমি যাবে না আমার বিয়ে ভাঙতে চাও তাই না। দুদিন উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাও। তোমার মতো মেয়েদের চেনার আছে। ছেলেদের রুপ দেখিয়ে বশ করতে চাও তাই না। ফুয়াদের থেকে দশ হাত দূরে থাকবে নচেৎ আমার খারাপ রুপ দেখতে পাবে। আমার ভালবাসা কেড়ে নিতে আসলে আমি তোমায় ছেড়ে দেব না। মাইন্ড ইট।”

মধুর ফুরফুরে মেজাজ টা নিমিষেই অপমানে বিষাদে ছেয়ে গেল। এতো দিন মিতুলের খারাপ আচরণ না বুঝলেও আজ জলের মতো সবটা পরিষ্কার হয়ে গেল। এসব ভেবে মিতুল ওকে এতো কথা বলতো। তার মনে এসব ভাবনা ছিল? ছিহ যার এক বিন্দু ও আমার মনে ছিল না সেটা নিয়ে উনি আমায় ঘৃণা করে। যেসব ইঙ্গিত করে উনি আমায় এতো অপমান করল তার কিছুই তো আমি করিনি আর না করার কথা একবারের জন্যেও ভেবেছি। কিন্তু কোন কিছু না করেও আমি আজ অপরাধী। রাগে দুঃখে ওর চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে,,” অপর পক্ষের মনের খবর না জেনে হুট করেই নিজের মনের ভুলভাল ভাবনা তার উপর চাপিয়ে দিয়ে এইভাবে কাউকে কষ্ট দেয়া টা কি ঠিক?”

এতো এতো বাজে কথা, সহ্য হলো না মধুর রাগে মন চাচ্ছে ফুয়াদ কে ধরে বলতে আপনি কেন আমায় কোলে নিয়েছিলেন আপনার করা কাজের জন্য আমি আজ এতো বেশি অপমানিত হয়েছি। আপনার জন্য আমি নির্দোষ হয়েও দোষী হয়েছি।
মধু মনে মনে কিছু ভেবে চোখের জল মুছে নিল ও বাদে সবাই ভেতরে চলে গেছে। ওই যেতে পারছে না পা আটকে আছে যেন। ফাহাদ দৌড়ে এল ওর কাছ আর বলল,” এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন তাড়াতাড়ি চলো।”
মধু কথা বলল না হাঁটতে লাগল। ফাহাদ বলল,,” তুমি কেঁদেছ?”
চমকে তাকাল ফাহাদের দিকে। ফাহাদ জহুরি নজরে পরোক্ষ করছে ওকে।

” এখনো চোখে পানি টলটল করছে কাঁদছ কেন?”
” কাঁদছি না জার্নি করে এসেছি তাই চোখ টলমল করছে।”
” জার্নি করলে কারো চোখে পানি আসে বুঝি?” অবাক স্বরে বলল ফাহাদ।
মধু বলল,,” সবার কথা তো জানি না আমার আসে।”
ফাহাদ আর ঘাটলো না মধু কে। ওরা ভেতরে এসে দেখল সবাই চলে যাচ্ছে তিন্নি আর সমুদ্র দাঁড়িয়ে আছে। মধু গিয়ে ওদের পাশে দাড়াতেই সমুদ্র বলল,” আর ইউ ওকে মধু?”

” হুম আই এ্যাম ফাইন।”
” রিসোর্স পছন্দ হয়েছে?”
” হুম অনেক। প্রথম বার কোথাও বেড়াতে এসেছি তাই যা দেখছি সব পছন্দ হচ্ছে।”
” বাহ গুড।”
” আপনার হাতে কি হয়েছে?”
” সামান্য কেটে গেছে!”
মধু এগিয়ে এসে সমুদ্রের হাত ধরে দেখল একটু না অনেক খানি কাটা অথচ কিছুই লাগায় নি কেমন রক্ত বেরিয়ে শুকিয়ে আছে।

” এভাবে কাটল কোথায়?”
সমুদ্র লজ্জিত মুখে বলল,,” ওই আসলে গতকাল রাগের মাথায়…
বলতে পারল না সমুদ্র কিন্তু মধু বুঝে গেল‌। কষ্টের মাঝেও হেসে বলল,,” আপনার সেই রাগী রুপ দেখে তো আমার হার্ট ফেল করার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। বাপরে কি রাগ আপনার। কিছুক্ষণের মাঝেই সবাইকে আতঙ্কিত করে ফেলেছিলেন।”

প্রেয়সী পর্ব ১৮

সমুদ্র লাজুক মুখশ্রী দেখে মধু ফিক করে হেসে উঠল। মধু হেসেই মনে মনে বলল সব সময় আমাকে নিয়ে হাসা এবার আমিও হেঁসে শোধ বোধ করে দিলাম।

প্রেয়সী পর্ব ২০