প্রেয়সী পর্ব ২৮

প্রেয়সী পর্ব ২৮
নন্দিনী নীলা

ফজরের আযানের সময় ফুয়াদ রা বাসায় এসে পৌঁছালো। মধুর পাশে তখন তিন্নি ছিল। ঘুম থেকে উঠে মধু নিজের পাশে তিন্নি কেই পেয়েছে। তিন্নির কাঁধেই মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। ফুয়াদ ড্রাইভিং করছে আর তার পাশে সাহিত্য ঘুমিয়ে আছে সিটে হেলান দিয়ে‌‌। প্রথমে ঘুম থেকে উঠে মধু ভয় পেয়ে গিয়েছিল। ফুয়াদ ওর পাশে ছিল। আর যা সব করেছিল তার পর ওর কাছে কীভাবে ও মরার মতো ঘুমাল‌। যদি সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে।

ভয়ে ওর হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছিল। কিন্তু মাথা তুলে যখন তিন্নি কে পাশে দেখে ও একটা শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। বুকের উপর থেকে সমস্ত ভয় নেমে যায়।
গাড়ি থেকে নেমে সবাই ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। ওদের আগে যেহেতু সমুদ্র রা এসে পৌঁছেছে তাই সবাই জাগ্রত ‌ই ছিল। সবাই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে শুয়েও পড়েছে। শুধু থ মেরে আসে আছে সোফায় মিতুল। অপেক্ষা করছে ওদের জন্য। তিন্নি আগেই চলে গেল। কে বসে আছে না আছে সেদিকে লক্ষ্য দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করল না। সাহিত্য ও ফুয়াদ এর রুমে চলে গেল। মধু আটকে আছে ফুয়াদ এর জন্য। মধু কে টেনে ধরে রেখেছে ফুয়াদ।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মধু দাঁত কিড়মিড় করে বলল,,” আপনার ক্লান্তি নাই? রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিবেন তা না জ্বালাতন করছেন আমাকে।”
ফুয়াদ মধুর হাত ছেড়ে ওর সামনাসামনি এসে দাড়িয়ে বলল,,” তোমাকে দেখলে ক্লান্তি এমনিতেই দূর হয়ে যায়। রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার থেকে তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে বেশি শান্তি ফিল করি।”
মধু দুই হাত দিয়ে ফুয়াদের বুকের ধাক্কা দিয়ে বলল,” উফফ আল্লাহ। আপনি আমার দিকে তাকিয়ে শান্তি ফিল করলেও আমি করি না। তাই আমার শান্তির জন্য ঘুমানো প্রয়োজন রাস্তা ছাড়ুন।”

ফুয়াদ মধুর দিকে তাকিয়ে আবেগ ঠেলে দিয়ে বলল,,” ঘুম তো আমার ও পছন্দের কিন্তু সেটা তোমার সাথে। একা একা নিদ্রা আর যে ভালো লাগে না সুইটহার্ট। কবে পাবো তোমায় কাছে বলো না।”
নাক মুখ কুঁচকে মধু ফুয়াদের দিকে তাকিয়ে বলল,” ছিহ কি নির্লজ্জ আপনি।”

নাক, মুখ কুঁচকে ভেতরে প্রবেশ করল মধু। মিতুল মধুকে আসতে দেখেই চোখ লাল করে তাকিয়ে র‌ইল। মধুর পেছনে ফুয়াদ কে আসতে দেখে আরো রেগে এটম বোম হয়ে গেল। জ্বলন্ত চোখে দুজনের দিকে তাকিয়ে ফুঁসতে লাগল।
এদিকে ফুয়াদ বা মধু কেউ ওকে লক্ষ্য ই করল না যে কেউ ওদের দিকে আগুন চোখে তাকিয়ে আছে। রাগে দুজনকে ভষ্স করে দিচ্ছে। ওরা নিজেদের মতো উপরে চলে গেল। ওরা চলে যেতেই মিতুল ও উঠে দাঁড়াল। রাহীর রুমে গিয়ে শক্ত হয়ে শুয়ে র‌ইল। রাহী ঘুমিয়ে পড়েছে। নাঈম আগে থেকেই ফুয়াদের রুমে শুয়ে ছিল। সাহিত্য রুমে এসে ওর উপর লাফিয়ে পড়ল। ধরফরিয়ে উঠে বসল নাঈম। ঘুমের মধ্যে মধ্যে হলো ছাদ ভেঙে ওর উপরে পড়েছে। সাহিত্য কে দেখে রাগে দুজনে মারামারি করতে লাগল। সাহিত্য ওকে রেখে বাথরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিল।

নাফিসা বেগম সবাইকে খেতে ডাকল কিন্তু ওরা আর কেউ খেতে আসলো না। শুধু খেতে আসলো মধু গাড়িতে বেশি ঘুমানোর জন্য ওর ঘুম পাচ্ছে না ও গোসল করে একাই নিচে এসেছে খেতে।
টেবিলে বসে একাই খাচ্ছে মধু হঠাৎ ওর গলায় খাবার আটকে গেল। খাবার আটকেছে মিতুল কে দেখেই। মিতুল এসে ওর মুখোমুখি হয়ে বসেছে রক্ত বর্ণ চোখে। মধু পানির গ্লাস নিয়ে খেতে যাবে মিতুল গ্লাস সরিয়ে ফেলে।
মধু আরেকটা গ্লাস নিয়ে পানি খেয়ে নিজেকে সামলায়। মিতুল কড়া চাহনি নিক্ষেপ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মধু মাথা নিচু করে চুপ করে খাচ্ছে।

আড়চোখে মিতুলের দিকে তাকিয়ে দেখল ওর দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মিতুল ফট করেই উঠে দাঁড়াল আর গটগট করে উপরে চলে গেল। মধু খাবার সহ ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কপাল কুঁচকালো। এভাবে বসেই বা রইল কেন আর চলেই বা গেল কেন? কিছুই বলল না। ও ভেবেছিল মিতুল ওকে কড়া কয়টা কথা শুনাতে এসেছে কিন্তু কিছুই হলো না।
মধু খাওয়া শেষ‌ করে রুমে এসে তিন্নির পাশেই শুয়ে পড়ল।

পরদিন মিতুল চলে গেল। খুব স্বাভাবিক ভাবেই। সমুদ্র ভেবেছিল মিতুল ঝড় না এনে বাড়ি ছাড়বে না কিন্তু মিতুল তেমন কিছুই করল না। ওর স্বাভাবিক আচরণ ওকে আরো থমকে দিল। ফুয়াদ ট্যুর শেষে ফিরেই রমেশচন্দ্র এর মুখোশ খুলে দিল। এখন পত্রিকার একমাত্র বড়ো খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে তার পরকিয়া। তার মুখোশের আড়ালে থাকার নিকৃষ্টতম রুপটা পরিবারের সামনে আসতেই তার স্ত্রী তার নামে মামলা করল। রমেশচন্দ্র এর চাকরি চলে গেল আর তার জায়গা হলো জেলখানায়।

অনৈতিক কাজ করে অনেক টাকা কামিয়েছেন রমেশচন্দ্র সাথে অনেক বড়ো বড়ো মাফিয়ারা তাঁর সাথে আছে তারাই তাকে দুই দিনের মাথায় ছাড়িয়ে আনল। কিন্তু রমেশচন্দ্র এখনো জানে না তার পেছনে পাগলা কুকুরের মতো কে ঘুরে এসব বের করেছে। একটা পাপ বেরিয়ে আসলেই বাকি গুলো ও হুরমুর করে সামনে চলে আসে। রমেশচন্দ্র এর সাথেও তাই হলো। শিশু ও নারী পাচার এর দায়েও থাকে এ্যারেস্ট করা হলো। রমেশচন্দ্র তার সাজানো বাগান ধ্বংসের পথে নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে পড়ল।

প্রথম বার জেলখানা থেকে বের করতে পারলেও এইবার আর কোন ভাবেই তাকে ছাড়ানো গেল না। রিমান্ডে নিয়ে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হলো‌। তিনি মুখ খুললে দেশের অনেক বড়ো বড়ো নেতার মুখোশ খুলে যাবে। এই ভয়ে তাকে লোক লাগিয়ে কেউ থানায় বিশ খাইয়ে মেরে দিল। তার মৃত্যুতে সব রহস্য রহস্য‌ই রয়ে গেল। ফুয়াদ নিজের নাম প্রকাশ করে নিউজ প্রধান করে নি নিজের আপন জনের কথা ভেবে। ওর নাম সামনে আসলেই ওদের পরিবারের উপর বিপদ আসবে। সেই জন্য নাম হীন রমেশচন্দ্র এর সব ছাপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু নাম জানা টা কি খুব কঠিন? ফুয়াদ য‌ত‌ই লুকিয়ে রাখুক না কেন বের করা বড়ো বড়ো মাফিয়াদের কাছে কিছুই না।

রমেশচন্দ্র মারা যাওয়ায় তাদের বিরাট লস হয়ে গেছে। বিদেশিদের সাথে লাস্ট চুক্তিতে অনেক ডলার নেওয়া হয়েছে কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি।‌সবটা করার দায়িত্বে ছিল রমেশচন্দ্র। তার মৃত্যুতে এখন সব এলোমেলো হয়ে গেল। যে রমেশচন্দ্র কে সবার সামনে তুলে ধরেছে সে ওদের ও শত্রু। তাইতো সারা দেশে তন্ন তন্ন করে ফেলল ফুয়াদ কে খুঁজতে। সময় লাগলেও ফুয়াদের খোঁজ ওরা পেয়েই গেল। ফুয়াদ এর ছবি সহ ওর সব ডিটেলস।

ট্যুর শেষে বাসায় লেগেছে এখন বিয়ের ধুম। মধু বিয়ের জন্য আটকে আছে। ও চেয়েছিল চলে যাবে কিন্তু বিয়ে খাওয়ার লোভ সামলাতে পারল না। তাই রয়ে গেল। রাহী আর নাঈমের বিয়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টার বুকিং করা হয়ে গেছে। এখন‌ শুধু শপিং বাকি। শপিং করতে রাহী, তিন্নি, মধু, মিতুল, সমুদ্র, নাঈম, নাঈমের মা গেল।
মধুর বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না শপিং এ যেতে। মিতুল ওকে এখন সব সময় কেমন করে যেন দেখে সেই থেকে ও মিতুল আশেপাশে কম যাওয়ার ট্রাই করে কিন্তু সেই তিন্নি আর রাহী আপুর জন্য যেতেই হলো।
ওরা শপিং মলের এসে দাঁড়িয়ে আছে। রাহীর শাশুড়ি আর রাহী শাড়ি চয়েজ করছে। তিন্নি আর মধু আশেপাশেই ঘুরছে সমুদ্র নাঈম আর মিতুল একদিকে আছে।

মধু ঘুরতে ঘুরতে বিরক্ত হয়ে শাড়ির দোকানে এসে বসে আছে। রাহী গায়ে জড়িয়ে শাড়ি দেখছে। মধুও একটা শাড়ি নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগল। পেছনে থেকে তিন্নি এসে শাড়ি ওর মাথায় নতুন ব‌উয়ের মতো করে দিয়ে বলল,,” বাহ মধু তোকে তো দারুন লাগছে।”
মধু নিজেও হা করে তাকিয়ে আছে‌। অরেঞ্জ কালার ওর খুব একটা পছন্দ না কিন্তু এই শাড়িটা দারুণ।‌
তিন্নি ওর ঘোমটা দেওয়া দুইটা ছবি তুলে নিল লুকিয়ে তারপর সেটা ফুয়াদ কে সেন্ড করে দিল।
দুই ঘন্টা ঘুরেও রাহী কিছুই কিনতে পারল না। মধু গালে হাত দিয়ে বসে আছে। তখনি মিতুল এসে ওর হাত ধরে টেনে একটা গলিতে নিয়ে এল।

” কি হচ্ছে টেনে এখানে নিয়ে আসলেন কেন?”
” ফুয়াদ তোমাকে ভালোবাসে বলেছে তাই না।”
মধু মিতুলের কথায় চমকে উঠল। স্বীকার করবে নাকি করবে না ভাবছে।
মিতুল নিজেই আবার বলল,,” উত্তর দিচ্ছ না কেন? আমি সব জানি। স্বীকার করো।”
মধু মাথা নাড়িয়ে স্বীকার করল।

মিতুল মধুকে বলল,,” আমার সাথে একটু পাশেই রেস্টুরেন্টে বসবে দুটো কথা বলতাম।”
মধু মিতুল সুন্দর আচরণ দেখলেই চমকে যায়। আজো তাই হলো। মিতুল এতো স্বাভাবিক আর রাগ ছাড়া কথা মানেই ঝামেলা আছে।
” না আমি আপনার সাথে কোথা ও যাব না আর না কোন কথা শুনব। হাত ছাড়ুন।”
মিতুল মধুর হাত ছেড়ে দিল।

” আমি তোমার সাথে অনেক খারাপ বিহেভ করেছি কিন্তু বিশ্বাস করো সবটা নিজের ভালোবাসাকে নিজের কাছে রাখতে। তুমি আমাকে খারাপ ভাবো এটাই স্বাভাবিক অনেক খারাপ আচরণ করেছি তোমার সাথে। তার জন্য ক্ষমা চাইছি। দুটো কথা বলার সুযোগ দাও প্লিজ।”

হাত জোর শুরু করে দিল মিতুল। মধু তাও রাজি হচ্ছে না কিন্তু মিতুল নাছোড়বান্দা কথা না শুনিয়ে ছাড়বেই না মনে হয়। মধু বিপদে পরেই রাজি হলো। মিতুল ওকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে এসে বসল। মধু বিরক্তিকর মুখে বসে আছে‌।
মিতুল বসেই বলল,” কি খাবে বলো।”
মধু দাঁতে দাঁত চেপে বলল,,” আমি এখানে খেতে আসি নাই। কি‌ বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন।”
মিতুল আবার মুখটা অসহায় করে ফেলল। মধু তাতেও ওর প্রতি থেকে সন্দেহ দূর হলো না।
মিতুল মধুর হাত ধরে বলল,,” মধু আমি ফুয়াদ কে খুব ভালোবাসি।”

” তো আমি কি করব।”
” তুমি তো জানো আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে অনেক দিন ধরেই। আমি অনেক আগে থেকেই ফুয়াদ কে ভালোবাসি। ফুয়াদ ও হয়তো বাসত কিন্তু তুমি এখানে আসার পর থেকে ও আমাকে ইগনোর করে। আগে কিন্তু এমন করত না খুব কেয়ার করত ভালোবাসতো আমাকে। কিন্তু এখন আর বাসে না হয়তো এখন ও তোমাকে পছন্দ করে। এটা আমি বুঝতে পেরেছি আমার জন্মদিনের দিন। তাই তখন থেকে আমি তোমাকে সহ্য করতে পারি না।

আমার মনে হয়েছে তোমার জন্য ফুয়াদ কে আমি হারিয়ে ফেলছি তাই তোমার সাথে খারাপ আচরণ করতাম। আমি যা করেছি সবটাই ভালোবাসার জন্য। তুমিই বলো যাকে ভালোবাসি তাকে কি আমি অন্য কারো সাথে সহ্য করতে পারব। তুমি কি পারবে। তোমার ভালোবাসা তুমি ছাড়া অন্য কারো সাথে মেলামেশা করলে। ফুয়াদ প্রথমে আমাকে ভালোবেসেছে আর এখন তোমাকে পেয়ে আমাকে ছুড়ে মারতে চাইছে। কয়দিন পর হয়তো তোমাকেও ওর ভালো লাগবে না আরেকজন এর জন্য তোমাকেও ছুড়ে মারবে।”

মধু অবাক চোখে তাকিয়ে আছে মিতুলের দিকে। ফুয়াদের প্রতি রাগটা আরো মাথা চাড়া দিয়ে উঠল মিতুলের কথা শুনে।
ও গম্ভীর মুখে বসে মিতুল সব কথা হজম করছে। মধুর রাগী মুখ দেখে মিতুল মনে মনে আনন্দের লাফাচ্ছে। ও তো একাই চাইছিল ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে মধু কে হাত করবে। মধু ফুয়াদ কে পাত্তা না দিলে ফুয়াদের ওর কাছেই ফিরে আসতে হবে। ফুয়াদের সাথে ঝামেলা করে ও ফুয়াদ কে পাবে না। ওকে মধুকে টার্গেট করতে হবে। ফুয়াদ যে ওকে কখনোই ভালোবাসি বলেনি সেটা মধু কে কোনভাবেই জানানো যাবে না। মধুর জন্য ফুয়াদ ওকে ছাড়তে চাইছে এটাই বুঝাতে হবে তবেই না মধু নামক আপদ ওর আর ফুয়াদ এর জীবন থেকে যাবে।

মিতুল আবার বলল,,” এখন আমি বুঝতে পেরেছি এসবে তোমার দোষ নাই। ফুয়াদ‌ই তোমাকে নিজের দিকে টানছে। আমি আরো তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দাও বোন। আমি নিজের করা কাজে সত্যি অনুতপ্ত।”
মধু কি বলবে বুঝতে পারছে না। মিতুলের কথা শুনে ও হতভম্ব।‌
এদিকে ফুয়াদ মধুর ঘোমটা টানা ছবি দেখেই শপিং মলের উদ্দেশ্য র‌ওনা দিয়েছে সব ফেলে। শপিং মলে এসে ও মধু কে কোথাও না দেখে তিন্নি কে জিজ্ঞেস করে ,” মধু কোথায়?”

প্রেয়সী পর্ব ২৭

” কি জানি এখানেই তো ছিল।”
বলেই‌ এদিকে ওদিকে খুঁজছে লাগে। ফুয়াদ সমুদ্র দের দেখে বলল,,” মিতুল কোথায়? ও আসেনি।”
নাঈম বলল,,” এসেছিল তো ক‌ই গেল?”
দুজনেই মিসিং। তার মানে দুজনেই একসাথে আছে।
ওদের দুজনকে সারা মলে খুঁজতে লাগল। ফুয়াদ তো রাগে মিতুল কে হাতের কাছেই পেলেই মেরে ফেলবে এমন অবস্থা হয়ে গেছে ওর।

প্রেয়সী পর্ব ২৯