প্রেয়সী পর্ব ২৭

প্রেয়সী পর্ব ২৭
নন্দিনী নীলা

তিন্নি আর সাহিত্য মধুর চিৎকার শুনে এগিয়ে এসেছে। তিন্নি বিড়াল ছানা দেখে সেটা বাসায় নিয়ে যাবে বলে জেদ ধরল। মধু ভয়ে সেটার ধারের কাছেও যাচ্ছে না আর এদিকে তিন্নি সেটা বাসায় নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছে।
তিন্নি মধুর ভীতু মুখ দেখে ফিসফিস করে বলল,,” দোস্ত তুই না ভয় পাস না কিছুতে।”
মধু চমকে তাকাল তিন্নির দিকে। তিন্নি দাঁত কেলিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। চোখে মুখে শয়তানি স্পষ্ট।
তিন্নির সামনে ভয় গোপন করে বলল,,” আমি মোটেও ভয় পায়নি।”

” তাহলে চিৎকার করল কে?”
মধু ঢোক গিলে বলল,,” আমিই দিয়েছি কিন্তু সেটা তোর ভাইয়ের জন্য।”
” ভাইয়ার জন্য মানে?”
মধু সুযোগ বুঝে ফুয়াদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করতেন লাগল। ও নিজে ভীতু সেটা প্রমাণ করতে দিল না।
তিন্নির দিকে তাকিয়ে বলল,,” তোর খবিশ ভাই হঠাৎ এসে আমাকে ভয় দেখিয়েছে। আমি ভূতের ভয় পাই না কিন্তু তোর জলজ্যান্ত ভূত ভাইকে ভয় পাই।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তিন্নি চোখ ছোটো ছোটো করে হতবুদ্ধি নয়নে মধুর দিকে তাকিয়ে আছে। তিন্নির মুখের ভঙ্গি বলে দিচ্ছে ও বিলিভ করেছে ওর কথা তাই আরো ফুয়াদের দোষ দিতে লাগল। আর মনে মনে নিজেকে বাহুবা দিতে লাগল। কি বুদ্ধি আমার।
মধু দাঁড়িয়ে আছে দাঁত কেলিয়ে। আর তিন্নি মুখ কালো করে। সাহিত্য বিড়াল ছানা ধরে গাড়ির পেছনে মালপত্র রাখার জায়গায় রাখল। তিন্নি এই বাচ্চাটা রেখে যাবেই না। বিড়ালকে ইনজেকশন দিতে হবে ঢাকা গিয়েই। ওর জেদের কাছে সবাই পরাজিত। তিন্নির অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল বিড়াল পোষা। এখন সেই আসা পূরণ হবে।

ওরা আর এখানে টাইম পাস করল না সবাই গাড়িতে উঠে বসল। এবার মধুকে সামনে বসতে হলে ফুয়াদের পাশে। ফুয়াদ ড্রাইভিং করবে। মধু বসবে না বলেও লাভ হয় নি ওকে জোর করার জন্য ফুয়াদ তো আছেই। গাল ফুলিয়ে মধু বসে আছে সামনে। ফুয়াদকে অনেক বলে জানালা খুলতেই পেরেছে। ফুয়াদ জানালা খুলতেই চাইছিল না তখন মধু রাগ দেখিয়ে বলেছে,,” নিজে জোর খাটাতে তো আমার উপর ভালোই পারেন। আমি কিছু বললে মানা করেন কেন? আমি বলছি না আমার ভালো লাগছে না জানালা খুলে দিন। তাও আপনি ঘাড় ত্যারামি করছেন।”

মধুর রাগী কন্ঠস্বর শুনে ফুয়াদ বিনাবাক্যে জানালা অপেন করে দিয়েছে। তখন থেকে মধু জানালার দিকে মুখ করে এক দৃষ্টিতে রাতেই অন্ধকার রাস্তার দেখে চলেছে। ফুয়াদ মধুর দিকে ড্রাইভিং এর ফাঁকে ফাঁকে তাকাচ্ছে। তা দেখে মধু ঘাড় কাত করে পেছনে তিন্নির দিকে তাকাল‌। তিন্নি হেড ফোন কানে দিয়ে ফোন টিপছে পাশে সাহিত্য ও ফোন টিপছে। দুনিয়ার খেয়াল দুজনের নাই।
” তিন্নি।”

মধু ডাকল তিন্নি কে। তিন্নি হেডফোনের জন্য ওর ডাকল শুনল না। মধু আবার ডাকল তিন্নি এবার ও রেসপন্স করল না।‌ সাহিত্য হেডফোন ছাড়া থাকায় ওর কথা শুনল কিন্তু ওকে ডাকছে না তাই সেদিকে খেয়াল না দিয়ে মেসেঞ্জার এ মনোযোগ দিল। মধু রাগে দাঁত কিড়মিড় করে তাকিয়ে আছে তিন্নির দিকে। সিট বেল্ট খুলে মধুর মন চাচ্ছে পেছনে দিকে গিয়ে তিন্নির ফোন জানালা দিয়ে ফেলে দিতে।

” পেছনে মনোযোগ না দিয়ে আমার দিকেও তো মনোযোগ দিতে পারো‌।”
মধু কটমট চোখে তাকাল ফুয়াদের দিকে। ফুয়াদের ঠোঁটের কোনে হাসির রেখা ফুটে উঠেছে। মধু সোজা হয়ে বসল‌। তারপর কটমট তাকিয়ে র‌ইল ফুয়াদের দিকে।
ফুয়াদ ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,,” এতো রেগে আছো যে? খিদে পেয়েছে নাকি?”
মধু কপাল কুঁচকে বলল,,” মানে?”
” তুমি তো খিদে সহ্য করতে পারো না। খিদে পেলে নাকি রেগে আগুন হয়ে যাও। আশেপাশের সবার সাথে অকারণে ঝগড়া করো।”

মধু মুখ বিস্মিত করে তাকিয়ে আছে ফুয়াদের দিকে। ওর খিদে পেলে ওর মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এটা ঠিক‌‌। তখন অকারণেই রাগ লাগে কিন্তু এখন তো ফুয়াদের কড়া চাহনির যন্ত্রণায় ও রেগে আছে এটা তো খিদের জন্য নয়। খিদে পেয়েছে কিন্তু খুব বেশি নয় অনেক ফাস্টফুড আনা হয়েছিল সেগুলো খাওয়া হচ্ছে। আর ও অকারণে ঝগড়া করে এমন কথা কেন বলল? এমনটা ও কবে করেছে?

ফুয়াদ মধুর কটমট চোখে দিকে তাকিয়ে বলল,,” সুইটহার্ট তোমার রাগান্বিত দৃষ্টি আমায় ড্রাইভ করতে বাধা দিচ্ছে। এমন করে তাকিয়ে থাকলে তো এক্সিডেন্ট করে ফেলব। চোখের দৃষ্টি একটু নরম করো।”
” কার সাথে ঝগড়া করেছি? কি বললেন ওসব আপনি? মিথ্যা কথা কেন বললেন?”
” করো না? আমার সাথে না সব সময় ঝগড়া করতে থাকো!”
” ঝগড়া কখন করলাম?”
” এই তো এখনি তো করছো!”
” এটাকে ঝগড়া বলে না আপনি মিথ্যা এ্যালিগেশন দিয়েছেন আমাকে সেটা বুঝাচ্ছি। আমি তো সব মেনে নেব না।”
ফুয়াদ মধুর চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,,” সব মেনে নিতে কে বলেছে? শুধু আমার ভালোবাসা মেনে নাও। তাহলেই হবে।”

মধু কর্কশ গলায় বলল,,” দরকার পড়লে সব মেনে নিব। তবু এটা মেনে নিব না কখনোই।”
ফুয়াদ মধুর দিকে তাকিয়ে বলল,,” রিয়েলি? ওকে ভালোবাসা না মানলে। ভালোবাসা মানা ছাড়াও আরো অনেক কিছু আছে সেগুলো মানলেই চলবে।”
মধু হতবিহ্বল কন্ঠে বলল,,” মানে আর কি আছে?”
” বিয়ে, বাচ্চা, ভালোবাসা ছাড়াও এসব সম্ভব। তুমি যদি ভালোবাসা ছাড়া আমার ওয়াইফ আমার বাবুর আম্মু হতে চাও আমার সমস্যা নাই।”

মধু নাক মুখ কুঁচকে তাকিয়ে আছে ফুয়াদের নির্লজ্জ মুখটার দিকে। তারপর ছিহ বলে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে র‌ইল আর একবার ও তাকাবে না এই অসভ্য লোকটার দিকে মধু।
ফুয়াদ ওর নাক ছিটকানো দেখে বলল,,” আমি তো আগে ভালোবাসা চাচ্ছি তুমিই তো বললে এটা ছাড়া সব মানবে। তাই তো প্রথম ধাপ পেন্ডিং এ রেখেই দ্বিতীয় ধাপে চলে গেছি। এখানে এতো ছিহ করার কি আছে। তুমি নিজেই তো প্রথম ধাপ পূরণ করতে দিচ্ছ না‌। আমার কি দোষ!”
মধু ফুয়াদের দিকে তাকাল না অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রেখেই দাঁতে দাঁত চেপে বলল,,” আপনার বেশরম কথাবার্তা বন্ধ রাখুন দয়া করে।”

” কথা বন্ধ করলে তোমাকে আমার ভালোবাসার গভীরতা জানাব কি করে? তুমি যা মেয়ে বলেও তো বুঝাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর যদি বলতে না পারি তাহলে তো আমার কপাল পুড়বে।”
মধু হাত জোর করে মাফ চাওয়ার মতো করে বলল,,” দয়া করে বুঝানো বন্ধ করে আমায় নিস্তার দিন।”
” তোমার তো আমার থেকে নিস্তার নেই সুইটহার্ট।”
” উফফ আল্লাহ এ কোন পাগলের পাল্লায় ফেললে আমায়।‌ রক্ষা করো মাবুদ।”

মধু সিটে হেলান দিয়ে ঘুমানোর ট্রাই করতে লাগল। জেগে থাকলে এই লোকটার কথায় ওর মেজাজ আসমানে উঠবে। তার থেকে এর থেকে নিস্তার পেতে ঘুম টাই বেস্ট। ও চোখ বন্ধ করে ঘুম দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। ফুয়াদ তখন ব্লুটুথ এ কথা বলছিল। তাই একটু ছাড়া পেয়েছিল মধু ওর বেশরম থাকার জ্বালা থেকে। ফুয়াদ কথা শেষ করে মধুর দিকে তাকিয়ে দেখল মধু সিটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। এতো দ্রুত ঘুমিয়ে গেল নাকি? ও মধু কে কয়েকবার ডাকল মধু শুনল নাকি ও জানে না কারণ মধু নড়াচড়া করছে না। ফুয়াদ আর ডাকল না। দশ মিনিট পর দেখল মধুর মাথা ঝাঁকুনিতে জানালার দিকে যাচ্ছে ও তাড়াতাড়ি জানালা বন্ধ করে দেয়। এবার আরো বিপদ হয় মধুর মাথা ঝাঁকুনিতে সেখানেই বারি খাচ্ছে আর মধু ঘুমের ঘোরে বিরক্ত হয়ে কপালে মাথায় হাত বুলিয়ে আবার সোজা হচ্ছে।

ফুয়াদ গাড়ি ব্রেক করে সাহিত্য কে সামনে আসতে বলল। তিন্নির ও ঘুম পাচ্ছিল হঠাৎ ভাইয়ের ডাকে গাড়ি থেকে নেমে সামনে আসতে হয়। বিরক্তিকর মুখ করে নেমে দাঁড়ায়।
তিন্নি মধুর পাশে দাঁড়িয়ে বলল,,” এটা ঘুমালো কখন?”
বলেই তিন্নি মধুর কাঁধে হাত রেখে ঝাকুনি নিয়ে উঠাতে যাবে ফুয়াদ ওকে থামিয়ে দেয়।

” কি করছিস?”
” না উঠলে পেছনে যাবে কি করে? উঠাচ্ছি।”
” সেটার জন্য আমি আছি তো।”
বলেই ফুয়াদ ঘুমন্ত মধু কে পাঁজকোলে তুলে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
তিন্নি ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,,” ভাই তুমি তো মধুর প্রেমে কঠিন ভাবে আক্রান্ত হয়ে গেছ। মধু যে জেদি মেয়ে ও যদি তোমার এই অগাধ ভালোবাসার মূল্য না দেয় তখন তুমি কি করবে?”
ফুয়াদ ঘুমন্ত মধুর মায়াবী মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে বলল,,” মেরে ফেলব। ”
চমকে উঠে তিন্নি। চোখ কপালে তুলে ঢোক গিলে বলল,,” মানে?”

” মানে কিছু না।”
ফুয়াদ মধুকে নিয়ে পেছনে এসে বসে। মধুর মাথা ওর কোলের উপর রেখে ওকে পা ভাঁজ করিয়ে শুইয়ে দেয় সিটে। মধু ঘুমের মধ্যে ফুয়াদের পেটে মুখ গুজে দুহাতে ওকে জড়িয়ে ধরে।
ফুয়াদ মধুর চুলে হাত বুলিয়ে দিতে লাগে। ঘুমের মধ্যেই মধুর খুব আরাম লাগতে শুরু করে। চুলে হাত বুলিয়ে দিলে ওর ঘুম হয় ভালো। এখনো তাই হচ্ছে এতো নড়াচড়ার মধ্যে ও পাতলা ঘুমের মধুর আজ ঘুম ভাঙল না।
তিন্নি আড়চোখে ভাই ও মধুর দিকে তাকিয়ে আছে। ভাই তার মধুকে অসীম ভালোবাসে যদি মধু তা মেনে না নেয়‌। তখন কি হবে? ‘মেরে ফেলব’ কানে বেজে উঠল তিন্নির ও ঢোক গিলে বিড়বিড় করতে লাগল,’ হে আল্লাহ মধু কে ভাইয়ার ভালোবাসা বুঝার তৌফিক দাও।’

ঢাকা পৌঁছাতে পৌঁছাতে একটা বেজে যাবে। এখন বাজে দশটা। ফাহাদ এখনি খাবার জন্য ঝামেলা করছে। বিস্কুট কেক, ঠান্ডা সব কিছুই আছে তাতে তার হচ্ছে না। তার এখন অন্য কিছু লাগবে। সমুদ্র পেছনে ঘুরে এক ধমক দিয়ে থামিয়ে রেখেছে। মিতুল সমুদ্রের ধমক খাওয়ার পর আর একটা কথাও বলে নি দুই ঘন্টা যাবত বোবার মতো বসে আছে। কখনো চোখ বন্ধ করে থাকে। কখনো বাইরে তাকিয়ে থাকে। রাগ প্রকাশ করার মতো কিছু পাচ্ছে না। আবার এমন শান্ত হয়েও থাকতে পারছে না। ফাহাদের সাথে নিজেও খাবার আর্জি করল। নাঈমের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে রাহী। এবার ফাহাদ রাহীর কাঁধে মাথা রেখে ঘুমানোর চিন্তা করল।

মিতুল তিন্নি কে কল করল। তিন্নি ঘুমাবে ভাবছিল মিতুলের কল পেয়ে বেজার বিরক্ত হলো। কিন্তু কেন জানি রিসিভ করতে ইচ্ছে করল তাই রিসিভ করল।
” হ্যালো তিন্নি তোমরা কোথায় এখন?”
” আপু বাইরে অন্ধকার আমি বুঝতে পারছি না।”
” ফুয়াদ কে জিজ্ঞেস করো?”
” ভাইয়া ঘুমায়।”
” ঘুমায় কেন ড্রাইভ করছে কে?”
” সাহিত্য ভাইয়া।”
” ফুয়াদের সাথে কি তুমি বসেছ?”

” না আমি আর সাহিত্য ভাইয়া সামনে বসেছি। ফুয়াদ ভাইয়া আর মধু পেছনে বসেছে।”
মিতুলের চোখ জ্বলে উঠল রাগে। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,,” নিজের বান্ধবীর সাথে না বসে তুমি সামনে বসেছ কেন?”
” আমার ইচ্ছে।”
” ভাইয়ের সাথে লাইন মারার জন্য পেছনে বসিয়েছ তাই না।”
তিন্নির রাগী গলায় বলল,,” মুখ সামলে কথা বলো। আমার বড়ো তুমি। এভাবে কথা বলে আমার চোখে নিজেকে ছোটো করো না। রাখছি বাই।”
মিতুল ফোন কেটে দেখল সমুদ্র ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

” কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?”
” তোমার কান্ড দেখে আশ্চর্য হচ্ছি।”
” আমার সংসার ভেঙে যাচ্ছে। আমি কি এতো টুকু রাগ দেখাতে পারব না।”
” তোমার সংসার গড়ে উঠল কবে?”
মিতুল চুপ করে গেল। সমুদ্র ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
ফের বলল,,” ছোটোর সাথে বিয়ে ভেঙে দাও। সে তোমাকে কোন মতেই বিবাহ করবে না।”

” করতেই হবে। আমি আন্টিকে সব বলব।”
” তোমাকে সেই কষ্ট মনে হয় না‌ করতে হবে। ও বাসায় ফিরে নিজেই সবাইকে সবটা জানিয়ে দিবে।”
মিতুল চোখ দুটো বড়ো বড়ো করে ফেলল।
” তোমরা সবাই সব জানতে তাই না?”
সমুদ্র উত্তর দিল না।
” তোমরা সবাই মিলে আমাকে ঠকাতে চাইছ!”

প্রেয়সী পর্ব ২৬

সমুদ্র উত্তর দিল না। মিতুল আর উত্তরের আসা করল না কিভাবে মধুর সাথে ফুয়াদ এর সম্পর্ক শেষ করবে সেসব নিয়ে অন্য মনস্ক হয়ে উঠল।
রাগে দুঃখে কিছুক্ষণ কাঁদল।

প্রেয়সী পর্ব ২৮