প্রেয়সী পর্ব ৬

প্রেয়সী পর্ব ৬
নন্দিনী নীলা

একটা গলার হার, দুই হাতের মোটা বালা, মাথায় টিকলি, কানের ঝুমকা আর হাতের আংটি। মধু আংটি টান মেরে খুলে ফেলল এটা সাফিন পরিয়ে দিয়েছিল। সাফিনের সাথেই ওর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। ও আগে আংটি বিক্রি করল। তারপর হাতের বালা দুটো ও টিকলি করল। এতেই ভালো এমাউন্ট পাওয়া গেল।

তাই আর কিছু বিক্রি করল না। বাকি গহনা ফের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখল। মধু খরচ করতে গেলে কম করতে পারে না। নামকরা শপিংমল থেকে প্রয়োজনীয় কসমেটিকস থেকে শুরু করে ড্রেস কিনল। ফোনের দোকানে থেকে একটা ফোন নিল। ওর টাকা ভাঙা দেখে তিন্নির চোখ কপালে।
” এতো টাকা ভাঙছিস কেন? কত কষ্ট করে এই গহনা তোর বিয়ের জন্য বানিয়েছিল তোর বাবা। তা বিক্রি করতে তোর খারাপ লাগছে না?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” আমি বাপির একটা মাত্র মেয়ে। তার এতো টাকা পয়সা খাবে কে? সব কি ছেলেকে খাওয়াবে? এই গহনা বানাতে তার কষ্ট হয়নি। উল্টো এই গহনার টাকা তার হাতের ময়লা।”
” তোর বাবা বুঝি এতোই ধনী?”
” এখন বাবার পেছাল বাদ দে চল কিছু খেয়ে বাসায় ফিরি।”
রেস্টুরেন্টে গিয়ে মধু ইচ্ছে মতো একগাদা খাবার অর্ডার করল। শপিং ব্যাগ সব গাড়িতে রেখেছে। গাড়ি নিয়েই ওরা এসেছে। নাফিসা গাড়ি ছাড়া আসতেই দেয়নি।

তিন্নি চোখ কপালে তুলে বলল,,” এতো খাবার তুই খাবি?”
“তুই আমার থেকে মোটা হলেও খাওয়ার দিক দিয়ে আমি তোর থেকে এগিয়ে।”
” এতো খেয়েও স্লিম থাকিস কি করে?”
” হায়রে… তোর কি মনে হয় আমি প্রতিদিন এতো খাবার খেতে পারব।”
” মনে হয় না বলেই তো জিজ্ঞেস করছি।”

“আজ খাব। কাল থেকে কত টেনশন ছিল তাই খেতে পারিনি। এখন একটু রিল্যাক্স মনে খাব পেট পুরে।”
বার্গারে কামড় বসাতেই পাশ থেকে গম্ভীর গলার আওয়াজ আসলো। মধু ফোলা গালে চোখ তুলে তাকালো সামনে। দেখল ফুয়াদ দাঁড়িয়ে আছে ভ্রু কুটি করে ওদের দিকে। চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট।ওদের থেকে চোখ সরিয়ে ফুয়াদ সামনে এক গাদা খাবারের দিকে তাকালো। তারপর তাকাল মধুর দিকে। মধু নির্বিকার ভঙ্গিতে খেয়ে যাচ্ছে।

ফুয়াদ গম্ভীর গলায় তিন্নি কে বলল,,” এখানে কি করছিস তোরা?”
তিন্নি ভয়ে শেষ। ঢোক গিলে বলল,,” ভাইয়া আমি আর মধু শপিংমলে এসেছিলাম।”
” সন্ধ্যা হয়ে গেছে দেখছিস না? এখনো বাসায় না গিয়ে এখানে বসে আছিস কোন সাহসে?” রাগান্বিত গলায় বলল ফুয়াদ।
মধু উত্তর দিল না চুপ করে খাচ্ছে। আসার আগের কথা ভাবছে আর খাচ্ছে বদ লোকটা এখানে কি করছে? মনের কথা মনেই র‌ইল। মুখে বলল না।

তিন্নি এটা সেটা বুঝাচ্ছে।
ফুয়াদ তিন্নির দিক থেকে চোখ সরিয়ে মধুর দিকে তাকাল। কেমন বেয়াদব মেয়ে। ও এতো কথা বলছে আর মেয়েটা তাতে পাত্তা না দিয়ে আয়েশ করে খাচ্ছে। খাদক একটা। একটু রেসপেক্ট নাই।মধু হঠাৎ তাকতেই দেখল ফুয়াদ রক্তচক্ষু করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।

ও কালসিটে হাতের দিকে তাকিয়ে খাবার গলায় আটকে ফেলল। খুকখুক করে কেঁশে উঠল। মুখ লাল হয়ে উঠেছে নিমিষেই। তিন্নি তাড়াতাড়ি ওকে পানি এগিয়ে দিল‌। চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেছে। চোখ বন্ধ করে নিজেকে সামলাতে চেষ্টা করছে মধু। ফুয়াদ বিরক্তিকর চোখে তাকিয়ে আছে। মেয়েটার সব কিছুই ওর অভিনয় মনে হয় কেন জানি। কিন্তু তবুও চোখের পানি দেখে বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠল। চোখ সরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে তিন্নির উদ্দেশ্য বলল,,” পাঁচ মিনিট টাইম দিচ্ছি এর মধ্যে বাইরে আসবি। আমি বাইরে অপেক্ষা করছি।”

বলেই ফুয়াদ বেরিয়ে গেল। ফুয়াদ এখানে এসেছিল একটা বন্ধুর সাথে দেখা করতে। সে বেরিয়ে যেতেই ও নিজেও বেরিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ নজর যায় দূরের টেবিলে বসে থাকা তিন্নি আর মধুর দিকে ওর কপাল কুঁচকে আসে। ওরা সেই কখন শপিংমলে এসেছে শুনেছে বাসায় থাকতে। এখনো বাইরে ঘুরাফেরা করছে দেখে রাগ হয়। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তাই রেগে বাইরে এগিয়ে আসে।

“তোর এই ভাইটা এমন খবিশ কেন করে তিন্নি।” নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল মধু।
তিন্নি চোখ বড়ো বড়ো করে বলল,” আমার ভাইকে একদম খবিশ বলবি না। ফুয়াদ ভাইয়া অনেক ভালো। তাড়াতাড়ি খা। আমি আর খাব না। দেরি হলে ভাইয়া বকবে।”

” ধমক খেয়েও বলছিস ভালো? ভাইয়া রা কখনোই ভালো হয়না এরা আছে খালি শাসন আর বকা দিতে। আর এতো ভয় পাচ্ছিস কেন? ভয় পেলে আরো ভয় দেখানোর সাহস পাবে।”
মনে মনে মধুও ফুয়াদ কে ভয় পায়। কিন্তু সেটা তিন্নির সামনে দেখাবে না। নিজেকে সাহসী দেখিয়ে বলল কথাটা মধু।
তিন্নি ভীতু গলায় বলল,,” সন্ধ্যার পর বাসার বাইরে থাকার নিয়ম নাই আমাদের। এখনো বাইরে আছি তাই ধমক দিয়েছে। এছাড়া ভাইয়া অকারণে ধমকায় না। ”

” অদ্ভুত নিয়ম। আচ্ছা চল।”
মধু ও আর কিছু খেল না। বিল পেমেন্ট করে বেরিয়ে এল। ফুয়াদ ওদের গাড়ি বিদায় করে দিয়েছে তাই ফুয়াদের গাড়িতেই উঠতে হলো ওদের।

পেছনে বসে মধু আর তিন্নি ফিসফিস করে কথা বলছে আর খিলখিলিয়ে হাসছে। তিন্নি যাও ফুয়াদের ভয়ে নিজের হাসি কন্ট্রোল করছে কিন্তু মধু এমন সব কথা বলছে না হেঁসে পারছে না। এদিকে মধুর হাসি থামার নাম গন্ধ ও নাই। ও হাসতে হাসতে গাড়ি মাথায় নিচ্ছে। ফুয়াদ রাগী হলেও মিশুক, এবং আনন্দ উল্লাস করতে পছন্দ করে‌। তাই তো কয়দিন পর পর নিজের টাকায় সবাইকে নিয়ে ট্যুর দিতে যায়। ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের মধ্যে একজন ফুয়াদ। কিন্তু তিন্নি আজ ভয় ভয় চোখে তাকাচ্ছে ফুয়াদের দিকে। রাত হয়ে গেছে তবু ও ওরা বাসার বাইরে দেখে ফুয়াদ রেগে আছে। এখন এমন হাসাহাসি করলে না জানি ধমক দেয়। সেই ভয়ে আছে তিন্নি।

তিন্নি মধুর দিকে মাথা এগিয়ে নিয়ে ফিসফিস করে বলল,,” মধু চুপ কর দয়া করে। ভাই রেগে আছে এমনিতেই। এতো হাসছিস না জানি ধমকে উঠে।”
তিন্নির বলতে দেরি হলেও ফুয়াদের রাম ধমক দিতে দেরি হলো না। হঠাৎ ফুয়াদ এতো জোরে ধমক দেওয়ায় থমকে হাসি থামিয়ে দেয় মধু মুখে হাত চেপে। ভয়ে ওর বুক কেঁপে উঠেছে।

তিন্নি মধুর দিকে তাকিয়ে বলল,,” এজন্য চুপ করতে বলেছিলাম। শুনলি না তো।”
” তোর ভাই এতো খবিশ কেন? আমার মতো সুইট মেয়ের কিউট হাসি দেখে কেউ ধমক দিতে পারে?”
তিন্নি চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে মধুর দিকে। মধু বুকে ফুঁ দিয়ে রাগী চোখে ফুয়াদের ফর্সা শক্তপোক্ত কাঁধের দিকে তাকিয়ে আছে পেছনে থেকে। ফুয়াদের গায়ে একটা আসমানী কালারের শার্ট। হাত গুটিয়ে রেখেছে কনুই পর্যন্ত। পেশিবহুল ফর্সা হাতের কালো বড়ো বড়ো লোম গুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মধু চোখ নামিয়ে সেদিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

ফুয়াদ লুকিং গ্লাসে মধুর দিকে তাকাল। মেয়েটা ওর দিকেই রাগী চোখে তাকিয়ে আছে। রাগে চোখ দুটো বড়ো বড়ো হয়ে গেছে। নাকের পাটা ফুলে উঠেছে। ফুয়াদ বিরক্তে কপাল কুঁচকে নজর সরিয়ে নিল। বাসায় পৌঁছে দেখল ফাহাদ বসে আগে গাল ফুলিয়ে সোফায়‌। ফুয়াদ উপরে চলে গেছে। ফাহাদ না নিয়ে কেন মধুরা শপিংমলে গেলাম। সেই নিয়ে অভিমান ঠেলে দিচ্ছে।

ছেলেটা খুব মিশুক একদিনের কেমন আপন করে নিয়েছে মধুকে। ঠিক রাহী আপুর মতো। এই বাসার প্রায় সবাই ভালো। শুধু এই ফুয়াদ বেটা ছাড়া। আরে আরেকজন আছে চিত্রা ভাবি জানি না তিনি কেমন সে খুব একটা বাক্য বিনিময় করেনি ওর সাথে। রাহী আপু বেশির ভাগ সময় ফোনে মুখ গুঁজে থাকে। নয়তো ব‌ই নিয়ে থাকে। তাকে দেখেই মধু ধরে ফেলেছে এই মেয়ে নিশ্চিত প্রেম করে। কঠিন প্রেম তার।

অনেক কষ্টে ফাহাদ কে মানিয়ে উপরে এল মধু। তিন্নি নিজের আলমারিতে ওকে জায়গা করে দিল ড্রেস রাখার জন্য। সব রেখে মধু ফোন চার্জে বসালো। এখন বিপদ হলো সিম নিয়ে ও তো সিম কিনতে পারবে না। কারণ ও ভোটার কার্ড এখনো আসে নাই। ওর বয়স আঠারো হতে আরো দুই মাস বাকি আছে। তিন্নি কে বলল ওর একটা সিম কার্ড দিতে এক্সটা থাকলে নয়তো একটা নিউ কিনে দিতে।

কিন্তু তিন্নি সঙ্গে সঙ্গে বলল,,” সরি রে আমি পারব না। ভাইয়ার কড়া নির্দেশ অন্যের সিম নিজেদের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে না। পরে কোন ঝামেলা হলে‌। যার নামে রেজিষ্ট্রেশন করা সেই ফাঁসবে।”
মধু অবাক হ‌ওয়া গলায় বলল,,” আমাকে তুই অবিশ্বাস করিস? দেখ তোর ফুয়াদ ভাই এমনিতেই আমায় অনেক সন্দেহ করে ভাবে আমি তোদের ক্ষতি করতে এই বাসায় এসেছি। এখন তুইও তাই ভাবছিস নাকি? ”

” না তুই ভুল বুঝছিস আমাকে। আমি সন্দেহ করে না করিনি। আমি এটা করলে আমাকে ফুয়াদ ভাইয়া বকবে। তোর সিমের ব্যবস্থা আমি করে দেব। তুই চিন্তা করিস না।”
” লাগবে না থাক। সামান্য ফেসবুক পরিচয় এ অনেক করেছিস। আর করতে হবে না। আমি কাল তোদের বাসা থেকে চলে যাব। আজ রাতটা থাকতে দে শুধু।”

তিন্নি মধুর হাত ধরে সরি বলতে লাগল। মধুর বুকের ভেতর জ্বলছে। ও একটু চঞ্চল ঠিক কিন্তু কখনো কারো ক্ষতি চায়নি করেও নি। সবাই ওর দিকে সন্দেহের চোখে তাকায় কেন? একটা সিম চেয়েছি তাতেই এতো ভয় আমি কি খুন করব, কিডন্যাপ করব কাউকে? তারপর ওকে ফাঁসিয়ে পালিয়ে যাব এমনটাই নিশ্চয়ই ভাবছে ও তাইতো মুখের উপর মানা করে দিল।

মধু মেকি হাসি ফুটিয়ে তুলে বলল,,” এতো সরি বলতে হবে না। আমি রাগ করিনি। তোর জায়গায় আমি থাকলেও হয়তো আমিও এমনি করতাম।”
নিচ থেকে তিন্নি কে ডাকছে ওর মা আনিতা বেগম তিন্নি নিচে গেল‌। মধু ও রুম থেকে বেরিয়ে এল।

মনটা বিষাক্ত হয়ে আছে। চারপাশের সব কিছু বিষাক্ত লাগছে। মায়ের কথা খুব মনে পরছে। বাবা জোর করে বিয়ে ঠিক না করলে ওর কথা শুনলে আজ এইখানে আসতে হতো না। সবার এতো তুচ্ছতাচ্ছিল্য মেনে থাকতে হতো না। মধু ছাদে উঠে এল। রাহী প্রথম দিন ওকে ছাদের সিঁড়ি দেখিয়েছিল তাই সহজেই ছাদে উঠতে পারল। অন্ধকার হয়ে আছে ছাদটা। চাঁদের মৃদু আলোয় একটু একটু আলোকিত।

বিষন্ন, চাপা কষ্ট মনে চেপে ছাদের মাঝামাঝি দিয়ে হেঁটে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে র‌ইল। ওর চোখ বেয়ে গলগলিয়ে নোনা জল গড়িয়ে পরছে গাল বেয়ে। কান্না গুলো দলা পাকিয়ে উগরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। কান্না আটকাতে ঠোঁট কামড়ে ধরে আছে। দুই হাত খামচে ধরে আছে রেলিং। কান্না আটকে রাখতে পারল না ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল‌। অপরিচিত এই শহরের মানুষ গুলো আমায় কেন বিশ্বাস করে না। আমি কি এতোটাই খারাপ সবাই আমায় বিপদ ভাবে। এখানে থেকে বেরিয়ে কোথায় যাব আমি?

আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল মধু,,” দেখেছ চাঁদ। আমি আবার কাঁদছি। কেউ আমায় বিশ্বাস করে না। আমার স্বপ্নের ঢাকা শহরের আমি এসেছি সবার সন্দেহের তালিকা হয়ে। আমি নাকি সবার ক্ষতি করব তুমি বলো আমি কি কারো ক্ষতি করতে পারি? বাবার বিশ্বাসী হয়নি তিনি ও আমায় বিশ্বাস না করে বাইরের মানুষের কথাকে বিশ্বাস করেছে। মেয়ের থেকে বাইরের লোক তার কাছে বিশ্বাসী। যাকে পরিবারের কেউ বিশ্বাস করে না।

সে এই অপরিচিত এক দিনের মানুষগুলোর বিশ্বাস কীভাবে আশা করে। আমি আসলেই পাগল। আমি যেখানে পরিবারের বিশ্বাসযোগ্য হতে পারিনি। এদের বিশ্বাসযোগ্য হ‌ওয়াটা অবান্তর ভাবনা।” নিজের প্রতি তাচ্ছিল্য হাসি হাসতে লাগল।
মধু ছাদে একা আছে ভেবে নিজের মনের সকল দুঃখ, কষ্ট চাঁদের দিকে ছুড়ে মারছে। নিকষা কালো আকাশের বুকে অভিযোগ তুলছে।

যেন ওখানে সৃষ্টিকর্তা বসে আছে ওর সকল দুঃখ, অভিযোগ গুলো শুনতে। সৃষ্টিকর্তা ওখানে বসে শুনছে। এদিকে ছাদে আরেকজন অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ছিল‌ ছায়ার মতো। অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা মধুর দিকে। সে অজান্তেই এক বুক ভরা কষ্ট নিয়ে অভিযোগ করা মেয়েটির সকল অভিযোগ নিজেও শুনে ফেলল।

প্রেয়সী পর্ব ৫

মধুর শরীর কান্নার তালে কাঁপছে। ফুঁপানোর আওয়াজ আসছে। নিঃশব্দে আড়াল থেকে এক দুঃখী মেয়ের দুঃখ বিলাসের সাক্ষী হয়ে র‌ইল সে। যার এক বিন্দু ও জানতে বা বুঝতে পারল না বোকা মেয়েটি।

প্রেয়সী পর্ব ৭