বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৩৬

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৩৬
লেখিকা: তানজিল মীম

কিছুটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আহি সামনের গাড়িটার দিকে। যদিও তাঁর বুঝতে বাকি নেই গাড়িটা আসলে কাঁর। সে তো অবাক এটা ভেবে এইভাবে হুটহাট কোথা থেকে চলে আসে আদ্রিয়ান। আহির ভাবনার মাঝেই আদ্রিয়ান গাড়ির দরজা খুলে এগিয়ে আসলো আহির দিকে। আদ্রিয়ান এগিয়ে আসতেই আহি দু’পা ফেলে এগিয়ে গেল আদ্রিয়ানদের দিকে তারপর বললো,
‘ আপনি এখানে?’
‘ হুম আমি তা কোথায় যাচ্ছো নিশ্চয়ই হসপিটালে?’
‘ হুম।’
‘ আসো আমি তোমায় পৌঁছে দেই?’
আদ্রিয়ানের কথা শুনে আহি বেশ ভরকে গিয়ে বললো,

‘ তাঁর আর প্রয়োজন নেই আর একটু এগোলেই তো হসপিটাল।’
আহির কথা শুনে রাস্তাটার আশেপাশে দেখলো আদ্রিয়ান। ঠিকই তো এ মোড়টা থেকে বের হলেই সামনে হসপিটাল। আদ্রিয়ানের কেমন যেন নার্ভাস লাগছে কি করে কি বলবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না সে। আদ্রিয়ানকে নার্ভাস হতে দেখে আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললো আহি,
‘ আপনি কি কিছু বলবেন আমায়?’
আহির কথা শুনে কিছুটা হকচকিয়ে উঠল আদ্রিয়ান তারপর বললো,
‘ হুম কিছু বলার ছিল।’
‘ তাহলে বলছেন না কেন?’
‘ আসলে কাল দুপুরের দিকে আমার সাথে বের হবে আহি?’
আদ্রিয়ানের কথা শুনে বেশ অবাক হয়ে বললো আহি,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘ কোথায়?’
‘ আছে একটা জায়গা যাবে আমার সাথে?’
‘ কোনো বিশেষ কারন আছে কি না মানে হুট করে কোথাও যাওয়ার জন্য বলছেন?’
এখন আদ্রিয়ান কি বলবে। আদ্রিয়ান কিছুটা বিষন্ন ভরা কন্ঠ নিয়ে বললো,
‘ কারন তো একটা আছে কিন্তু সেটা তোমায় বলা যাবে না তুমি কাল যাবে কি না সেটা বলো?’
আহি কিছুক্ষন ভেবে চিন্তে বলে উঠল,
‘ ঠিক আছে।’
আহির কথা শুনে খুশি হয়ে বললো আদ্রিয়ান,
‘ থ্যাংক ইউ সো মাচ কাল আমি তোমার জন্য দুপুর সাড়ে এগারোটার দিকে এখানে অপেক্ষা করবো তুমি এসো।’
উওরে আহিও মুচকি হেঁসে বললো,
‘ ঠিক আছে।’
উওরে আদ্রিয়ান আর কিছু না বলে চটজলদি চলে যায় গাড়ি নিয়ে। আর আহি জাস্ট হা হয়ে রইলো আদ্রিয়ানের যাওয়ার পানে। আদ্রিয়ানের কান্ড কারখানাটা কেমন যেন একটু লাগলো আহির। পরক্ষণেই বেশি কিছু না ভেবে এগিয়ে গেল সে হসপিটালের দিকে।’

‘ বিকেল চারটা বেজে পঞ্চান্ন মিনিট’
সোহানের কেভিনে চুপচাপ বসে আছে রিনি। তাঁর মাও আছে সাথে। সকাল থেকেই ঘুমিয়ে আছে সোহান মাঝখানে দু’বার চোখ খুলেছিল সে। তবে আপাতত তাঁর খাওয়া দাওয়া বন্ধ। শুধু হাতে কেনেলা লাগিয়ে খাওয়ার স্যালাইন চলছে তাঁর। রিনি চুপচাপ তাকিয়ে আছে ভাইয়ের মুখের দিকে। আজ তাঁর বড় আপুও আসবে সোহানকে দেখতে।’
এমন সময় তাঁর রুমে প্রবেশ করলো শুভ। ডাক্তারি পোশাক পড়েই এগিয়ে আসছে সে এদিকে। আজ সারাদিন অপারেশনের কাজে ব্যস্ত থাকায় এদিকে তেমনটা আসা হয় নি তাঁর। শুভকে আসতে দেখেই রিনির মা বলে উঠল,
‘ তুমি এসেছো বাবা?’

মায়ের কথা শুনে রিনিও তাকালো পিছনে সামনেই শুভকে দেখেই বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেল তাঁর। হুট করেই এমন এক অনুভূতি আসাতে বিষন্ন রিনি। শুভ একপলক রিনির দিকে তাকিয়ে এগিয়ে আসলো সোহানের দিকে তারপর মুচকি হেঁসে বললো,
‘ হুম আন্টি আসলে সারাদিন ব্যস্ত থাকায় তেমন আসা হয় নি তা কোনো প্রবলেম করছে না তো পেসেন্ট?’
‘ না বাবা তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
উওরে শুভ কিছু না বলে সোহানের বেডের পাশ থেকে সোহানের ফাইলটা নিয়ে দেখতে লাগলো। মোটামুটি সবকিছুই ঠিক ঠাক। শুভ সবকিছু চেক করে বলে উঠল,
‘ টেনশন নিবেন না দেখবেন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবেন উনি।’
উওরে হাল্কা হেঁসে বললো রিনির মা,
‘ সবকিছুই আল্লাহ আর তোমার জন্য হয়েছে বাবা।’
‘ এমনভাবে বলবেন না, আমি তো তেমন কিছুই করি নি যা করার সব আল্লাহই করেছেন।’
‘ হুম বাবা।’

এমন সময় রিনির ফোনটা বেজে উঠলো উপরে নীরবের নাম দেখে হকচকিয়ে উঠল সে। কারন সচারাচর তাঁর ফোনে ফোন করে না নীরব হয়তো ভাইয়ার কথা শুনেই ফোন করেছে সে। রিনি ফোনটা তুলে ‘হ্যালো নীরব ভাইয়া’ বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেল। শুভ বিষয়টা খেয়াল করেছি ঠিকই তবে বেশি ভাবলো না। চুপচাপ রিনির মায়ের সাথে কথা বলতে লাগলো সে। এই মহিলাকে কেন যেন খুব ভালো লেগেছে শুভর। বিশেষ করে ওনার ‘বাবা’ ডাকটা শুনে কেমন যেন একটা মা মা গন্ধ আসে।’
.
হসপিটালের করিডোরে দাঁড়িয়ে কথা বলছে রিনি নীরবের সাথে। নীরব তো হতভম্ব কন্ঠ নিয়ে বলে উঠল,
‘ সোহানের এসব কি করে হলো রিনি আর আমাকে এগুলো জানাও নি কেন, আমি যদি মীরাকে কাল ফোন না করতাম তাহলে তো জানতেই পারতাম না, এখন কেমন আছে ও আমি কালই ঢাকা ব্যাক করছি।’
নীরবের একের পর এক কথা শুনে কোনটা ছেড়ে কোনটার উত্তর দিবে রিনি, ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। তাই বিস্ময় ভরা কন্ঠ নিয়ে বললো সে,

‘ শান্ত হও ভাইয়া। আমি সব বলছি। আসলে কাল শেষ রাতের দিকে বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে এক্সিডেন্ট হয় ভাইয়া, বিষয়টা গুরুতর হলেও এখন সব ঠিক আছে। ডাক্তার বলেছে ভাইয়া খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে। আর তোমায় বলি নি কারন আহি বারন করেছিল।’
রিনির এবারের কথা শুনে নীরব বেশ অবাক হয়ে বললো,
‘ আহি বারন করেছে কিন্তু কেন?’
‘ তুমি যে তোমার অনেক পুরনো এক ফ্রেন্ডের বাড়িতে গেছো সেটা আমি আহি আর সোহান ভাইয়া দুজনের কাছে থেকেই শুনেছি। কিন্তু আহি কাল রাতে বললো তুমি নাকি ডিপ্রেসড, সাথে মনখারাপও আছে তাই আপাতত সোহান ভাইয়ার বিষয়টা তোমাকে যেন না বলি। হয়তো সোহান ভাইয়ার কথা শুনে আরো ডিপ্রেসড হয়ে যাবে। কিন্তু মীরা আপু যে তোমায় বলে দিবে এটা ভাবতে পারি নি। তুমি চিন্তা করো না, ভাইয়া একদম ঠিক আছে আর তোমায় আপাতত আসতে হবে না কার নাকি বিয়েতে গেছো একদম বিয়ে টিয়ে খেয়ে মন ফ্রেশ করে এসো। এদিকটা আমরা সামলে নিবো।’

উওরে নীরব কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,
‘ ঠিক আছে। সোহানের ঘুম ভাঙলে আমায় ফোন করিস।’
‘ ওকে ভাইয়া এখন রাখি তবে?’
‘ ঠিক আছে রাখ।’
উওরে রিনিও কিছু না বলে ফোনটা কেটে দিয়ে চললো ভাইয়ের রুমের দিকে। আর সেই মুহূর্তেই রুম থেকে বের হয় শুভ। আবারো দুজন মুখোমুখি শুভকে দেখলেই কেমন একটা লাগে রিনির। শুভ দু’পলক রিনির দিকে তাকিয়ে চলে যেতে লাগলো রিনির পাশ কাটিয়ে। শুভকে যেতে দেখে হঠাৎই বলে উঠল রিনি,

‘ শুনুন?’
হুট করেই রিনির গলা কানে আসতেই থেমে গেল শুভ। শুভ থামতেই রিনি পিছিয়ে এসে শীতল ভেজা কন্ঠ নিয়ে বলে উঠল শুভকে,
‘ থ্যাংক ইউ।’
রিনির ‘থ্যাংক ইউ’ শুনে কেমন যেন এক শিহরণ বয়ে গেল শুভর ভিতর দিয়ে। শুভ রিনির দিকে ঘুরে কিছু বলবে তাঁর আগেই রিনি উল্টোদিক ঘুরে চলে গেল। রিনি যাওয়ার ফলে শুভও কিছু বলতে পারলো না মুচকি হেঁসে চলে গেল সে নিজের চেম্বারের দিকে।’

সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে অনেক আগেই। রাতের আকাশে তাঁরাও ভর করেছে ভীষন যদিও উপরে প্যান্ডেলের কাপড় টানানো দেখে সেগুলো দেখা যাচ্ছে না। প্যান্ডেলের নিচেই লাউডে গান বাজছে কিছু কিছু ছেলে-মেয়েরা সেই গানের তালে তালে নাচছে ভিষন। লিলির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে অনেক আগেই এখন প্রায় শেষের দিকে। চারিদিকে হাসি আনন্দ নাচ গানে যেন টুইটুম্বর কিন্তু এত সবের মাঝেও অথৈর ঠোঁটে হাসি নেই কোনো। সে তো গায়ে কাঁচা হলুদ রঙের শাড়ি পড়ে চুপচাপ বসে আছে নিরালায় চেয়ারে। এত গান বাজনার আওয়াজ চলছে তাও যেন সব কিছু ঠুকনো লাগছে অথৈর কাছে।

তার মাথায় তো এইমুহূর্তে শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে নীরব আর আহি, নীরব আর আহি শুধুই নীরব আর আহি। চোখের সামনে একদিকে নীরবের সাথে কাটানো তাঁর ছোট বেলার মুহূর্তগুলো ভাসছে তো আরেকদিকে আহির মতো একটা ভালো বন্ধুর কথা মনে পড়ছে তাঁর। যে তাঁর সাথে দেখা হতেই বন্ধু নয় বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে ফেলেছিল। তাঁর এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না সে যাকে এতদিন যাবৎ না দেখেই কল্পনাতে ভালোবেসে গেছে সেই কি না নীরব। নীরবের কথা ভাবতেই আহির ফেসটা বার বার চোখের সামনে আসে অথৈর। যত যাইহোক সে আহিকে ঠকাতে পারে না। এক একটা জিনিস ভাববেই মাথা ভনভন করছে অথৈর। এমন সময় অথৈর ভাবনার মাঝে ওর কপালের সামনে থাকা চুলগুলো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলো নীরব। হুট করেই কিছু একটার স্পর্শ পেতেই চমকে উঠলো অথৈ। পরক্ষণেই নিজের দৃষ্টি সরিয়ে সামনে তাকাতেই সামনে নীরবের ফেসটা দেখতেই বুকটা কেঁপে উঠলো তাঁর।’

অথৈকে হুট করে এত চমকে উঠতে দেখে হাসলো নীরব তারপর বললো,
‘ কি হয়েছে বলো তো তোমার সেই সন্ধ্যা থেকেই দেখছি তুমি চুপচাপ বসে আছো এনি প্রবলেম?’
নীরবের কথা শুনে অথৈ কি বলবে ঠিক বুঝতে পারছে না। বেশ হতাশ সে। অথৈর মায়াভরা সাজ দেখে অনেক আগেই ফিদা নীরব আজ প্রথমই শাড়ি পড়া লুকিং এ দেখলো অথৈকে সে। শাড়িতে সে এত সুন্দর লাগবে অথৈকে এটা যেন ভাবে নি নীরব। কাঁচা হলুদ রঙের শাড়ি, হাতে হলুদ কাঁচের চুড়ি, চুলগুলো খোলা, চোখে চশমা মায়াবী মুখ, চোখে গোলাপি লিপস্টিকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে অথৈকে নীরবের কাছে। নীরব আনমনেই বলে উঠল,

‘ হলুদের শাড়িতে যে রাঙিয়েছো তুমি,
সেই তুমিতে মুগ্ধ যেন আমি।’
তোমার হাতের কাঁচের বালার টুংটাং শব্দে,
আমার ভিতরটা যেন যাচ্ছে দুমড়ে মুচড়ে।’
‘যদি বলতে একবার ভালোবাসি,
আমি না হয় বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলতাম চলো বিয়ে করে আসি।’
বলেই হাল্কা হেঁসে ফেললো নীরব। তাঁরপর আবারো বললো,
‘ হু তবে ভয় নেই আমি কিন্তু এখানে ভালোবাসার দাবি নিয়ে আসি নি। দেখো তোমাকে আমায় আপাতত ভালোবাসতে হবে না। আগে যেমন ছিলে তেমনই হও বন্ধুত্বটা শুধু বজায় রাখো, প্লিজ।’

নীরবের একের পর এক কথা শুনে শুধু শীতল দৃষ্টিতে তাকালো অথৈ নীরবের দিকে। তবে কিছু বললো না। অথৈকে এখনো চুপচাপ থাকতে দেখে স্বাভাবিক গলায় বললো নীরব,
‘ যাহ বাবা এতো সুন্দর কবিতা শুনালাম কোনো রিয়েকশনই দিলে না, তুমি তো আসলেই অন্যরকম।’
নীরবের কথা শুনে অথৈ চুপচাপ নীরবের দিকে দৃষ্টি রেখে নীরবকে বলে উঠল,
‘ আচ্ছা আপনি কি সত্যি সেই ছোট বেলার সঙ্গী ছিলেন আমার।’
আচমকা অথৈর মুখে এমন ধরনের কথা শুনে বেশ অবাক হয়ে বললো নীরব,
‘ মানে?’
‘ না কিছু না।’
এতটুকু বলে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো অথৈ তারপর অগ্রসর হলো নিজের রুমের দিকে। কেন যেন নীরবের ফেসটা দেখলেও তাঁর কষ্ট হচ্ছে এইমুহূর্তে। আর নীরব জাস্ট অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো অথৈর যাওয়ার পানে সে যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না অথৈর কথাটা।’

পরেরদিন দুপুর এগারোটা বেজে ১০ মিনিটে আদ্রিয়ান গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কালকের আহির সাথে কথা বলার সেই জায়গাটায়। আহির আসতে এখনো ২০ মিনিট বাকি আছে আদ্রিয়ান ২০ মিনিট আগে এসেই দাঁড়িয়ে আছে এখানে। একরাশ অস্থিরতা ফিল হচ্ছে তাঁর। কাল সারারাত আহির চিন্তায় ঘুম আসে নি আদ্রিয়ানের। আজকের দিনটা তাঁর ঠিক কিভাবে কাটবে এটা ভাবতে ভাবতেই রাত পেরিয়ে গেছে আদ্রিয়ানের। আদ্রিয়ান রাতে এমনি ঘুমাতে পারে না আর কাল রাতে তো যেন যুদ্ধ চলেছে তাঁর মনের সাথে। কিন্তু সেই যুদ্ধে ব্যর্থ সে। সকালের ফুড়ফুড়ে আলোর পড়ে ঘুম আসে আদ্রিয়ানের। আর সকালেই কয়েকঘন্টা ঘুমিয়ে কেবল বের হয় সে গাড়ি নিয়ে। আজ আর অফিসে যায় নি। ঘুম ভাঙার পরই নিজেকে ফ্রেশ করে বেরিয়ে আসে আদ্রিয়ান। আদ্রিয়ানের পরনে ব্লাক কালার টিশার্ট সাথে আকাশী কালারের শার্ট, ব্লাক জিন্স, শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত ব্লট করা, চুলগুলো সুন্দর করে সাজানো, হাতে ব্লাক ওয়াচ। চোখে কালো সানগ্লাস পড়ে এসেছিল সে কিন্তু সেটা বর্তমানে গাড়ির ভিতর আছে। আদ্রিয়ান তাঁর ঘড়িরটার দিকে একবার চোখ বুলালো জাস্ট ১১ঃ১৫ মিনিট হয়েছে। সময় যেন আজ ফুরাচ্ছেই না আদ্রিয়ানের। প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে আদ্রিয়ানের। এই কড়া রোদ্দুরের মাঝে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে। আশেপাশে লোকজনগুলোও কেমন ভাবে তাকাচ্ছে তাঁর দিকে।’
এভাবে কিছুক্ষন কাটানোর পর,

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৩৫

হঠাৎ সামনের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে আসতে লাগলো আহি। পিছন দিকে ফিরে ছিল আদ্রিয়ান হঠাৎই এক ঠান্ডা হিমশীতল বাতাস গায়ে লাগতেই সাথে কিছু একটা ফিল হতেই পিছন ঘুরে তাকালো সে। সামনে তাকাতেই দৃষ্টি গেল তার আহির দিকে। ওয়াইট জর্জেট থ্রি-পিচ, খোলা চুল, চোখে কাজল, হাতে সাদা কাঁচের চুড়ি, মুখে হাল্কা মেকাপ দিয়ে এদিকেই এগিয়ে আসতে লাগলো সে। আজ একদমই অন্যরকম লুকিং এ দেখছে আদ্রিয়ান আহিকে। বুকের ভিতর দক দক শব্দ হচ্ছে তাঁর। না চাইতেও আদ্রিয়ান হাত চলে যায় তাঁর বুকের কাছে। কিছুটা মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রয় সে আহির দিকে। হঠাৎই নিজের হুস আসতেই নিজের কাজ আর বুকের হাত দেখে। আহির দিকে আবারও দৃষ্টি রেখে শীতল ভেজা কন্ঠ নিয়ে উঠল আদ্রিয়ান,
‘ আমি কি তবে সত্যি প্রেমে পড়েছি তোমার?’

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৩৭

1 COMMENT

Comments are closed.