বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ২৫

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ২৫
জাওয়াদ জামী

” কুহু রানি, নিজেকে এভাবে ঘরবন্দী করে রেখেছ কেন? আমরা সবাই নিচে আড্ডা দিচ্ছি আর তুমি কিনা, এখানে একা একা বসে আছ! নিচে গিয়ে আমাদের আড্ডা দিবে চল। ” কুহুর রুমে এসে নীরা ওকে নিচ যাওয়ার জন্য অনুরোধ করল।
” আমার নিচে যাওয়া বারন, ভাবি। উনি আগামী দুই ঘন্টা আমাকে নিচে যেতে নিষেধ করেছেন। ” মুখ ভার করে জবাব দেয় কুহু।

” বুঝেছি, বিয়ের প্রথম দিকে অবশ্য এমনটাই হয়। প্রথম ছয়মাস পুরুষ মানুষ বউকে চোখে হারায়। প্রথম ছয় মাসে বউয়ের চাহনি, বউয়ের হাসি, বউয়ের হাঁটাচলা এমনকি বউয়ের ঝাড়িও মাখনের মত লাগে। ”
নীরা হাসছে। কিন্তু ওর চেহারার মলিনতা কুহুর চোখ এড়ায়না। এদিকে নীরার কথা শুনে কুহুর মন খারাপ হয়ে গেছে।
” সত্যিই কি এমনটা হয়, ভাবি! বিয়ের প্রথম ছয়মাস শুধু স্বামীরা তাদের বউকে ভালোবাসে? এরপর আর ভালোবাসেনা? ”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” কেন বাসবেনা? অন্য কোন স্বামী তাদের বউকে ভালো না বাসলেও তাহমিদ ঠিকই তোমাকে আজীবন ভালোবাসবে। তোমার জামাই ভাগ্য ভালো। ”
” অন্যরা কেন তাদের স্ত্রীকে ভালোবাসবেনা! একটা মেয়ে তার আপনজন ছেড়ে, একটা নতুন জায়গায় জীবন কাটিয়ে দিতে দু’বার ভাবেনা। তবে কেন পুরুষের কিসের দ্বিধা সেই নারীকে ভালোবাসতে? নারীরা কি অনেক কিছু চায়? তাদের চাহিদা কি এতই বেশি! নারীরা একটু ভালোবাসা পেলেই সুখী হয়। তারা ভালোবাসা বৈ কিছুই চায়না। ”

” সত্যিই বলেছ। যেখানে ভালোবাসা থাকে, সেখানে অন্য কোন চাহিদা মাথাচাড়া দেয়না কভু। সকল সুখের মূলেই আছে ভালোবাসা। যে নারীর জীবনে ভালোবাসা নেই, সেই নারীর জীবন শুকনো মরুভূমির মতো। সেখানে শুধুই ধূ ধূ করে বালি কনা। যেখানে ভালোবাসা নামক তৃষ্ণা নিরাবরণের তরল আকন্ঠ পান বিনা নারীদের ছটফট করতে হয় জন্মজন্মান্তর। এরথেকে বড় শাস্তি দুনিয়ার বুকে কখনো জন্ম নেয়নি। ভালোবাসাহীনতা নামক মহা শাস্তি। ” নীরার চোখ ছলছল করছে। যা কুহুর দৃষ্টিতে গেঁথে গেছে।

” তোমার মুখটা এমন শুকনো লাগছে কেন, ভাবি? কি হয়েছে তোমার? মন খারাপ? ” কুহু কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করল।
নীরা কুহুর প্রশ্ন শুনে নিজেকে সামলে নিয়ে, হেসে জবাব দেয়,
” আজকাল আমার মন খারাপ হয়না, কুহু। মন খারাপদের আমি কবেই ছুটি দিয়েছি। আমার ভূবনে এখন দ্বিধা, সংশয়, সংকোচ, শঙ্কারা দেদারসে আধিপত্য করছে। যাদের থেকে নিস্তার আমি আশা করিনা। এতেই আমি সুখ খুঁজে নিয়েছি। ”
” ভাবি, তোমার সাথে আমার কয়েকদিনের পরিচয় মাত্র। তবুও এই কয়দিনেই আমি তোমাকে বড় বোনের আসন দিয়েছি। তোমাকে যেদিন প্রথম দেখলাম, সেদিনই তোমার মলিন মুখটা দেখে আমার ভালো লাগেনি। তোমার কি কিছু হয়েছে, ভাবি? ”

” না তো, আমার কিছুই হয়নি। সংসার করতে গেলে টুকটাক ঝগড়াঝাটি, অশান্তি হয়ই। তাই বলে কি মন খারাপ করে থাকলে চলে। ” নীরা কুহুকে এটাসেটা বুঝ দেয়।
” তূর কোথায়, ভাবি? ও কিন্তু সকাল থেকে একবারও আমার কাছে আসেনি। ওকে বল, আমি ওর ওপর ভিষণ রা’গ করেছি। ” কুহু নীরার কথা বিশ্বাস করলনা। কিন্তু ওকে বুঝতেও দিলনা। হাসিমুখে নীরার সাথে গল্প চালিয়ে যায়।
” আমার মেয়েটা আজ কত ব্যস্ত। তার এই রুমে আসার সময় থাকলে তো। শোন কুহু, তোমার কিছু লাগলে আমাকে বলবে। আমার দেবর যখন তোমাকে নিচে যেতে নিষেধ করেছে, তাহলে তার আদেশ পালন করা তোমার কর্তব্য। আমি নিচে যেয়ে দেখি কাজকর্ম কতদূর এগোল। ”

নীরা চলে গেলে কুহুর আবার শুরু হল ঘরবন্দী জীবন। ও একা একা ভিষণ বোর হচ্ছিল। মনে মনে তাহমিদের পিন্ডি চটকাচ্ছিল।
” ও বউ, এভাবে একা একা কথা বলছ কেন! এখন আমি ছাড়া তোমাকে অন্য কেউ দেখলে পা’গ’ল ভাবত। ভাগ্যিস আমি জানি, তুমি পাগল নও। ”
” আমাকে একবার নিচে যাওয়ার হুকুম দিন, প্লিজ। এভাবে কতক্ষণ একা থাকা যায়। সবাই নিচে একসাথে আছে, শুধু আমিই একা এভাবে বসে আছি। ”

” উহু, সেটি হচ্ছেনা। তুমি একবার নিচে গেলে হাওয়া হয়ে যাবে। তখন আমি একটু পরপর কাকে আদর করব? তাই আপাতত তোমার কোথাও যাওয়া হচ্ছেনা। এবার কথা না বলে চুপটি করে আমার বুকে থাকতো। ” তাহমিদ কুহুর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বুকে জরিয়ে ধরল।

” আপনাকে একটা কথা বলব, রা’গ করবেন নাতো? ”
” রা’গ করব কেন! নির্ভয়ে বল। ”
” নীরা ভাবি, কেমন মানুষ? মানে সে কি সব সময়ই মলিন মুখে থাকে? সবার সাথে উৎফুল্ল হয়ে মিশে না? ”
” বুঝলামনা তুমি কি বলছ! ভাবিকে গত সাত বছর ধরে বেশ হাসিখুশি দেখে আসছি। তাকে সবার সাথে মন থেকেই মিশতে দেখেছি। কিন্তু তুমি হঠাৎ কথাটা বললে কেন? ”

” ভাবি কথায় কথায় বলল, আজকাল তার মন খারাপ হয়না। তার মনে এখন দ্বিধা, সংকোচ, সংশয়, শঙ্কা দেদারসে আধিপত্য করছে। কারও যদি কোন সমস্যা না থাকে, তবে এসব শব্দ কেন উচ্চারণ করবে? তাছাড়া এই পাঁচদিন ভাবিকে যতটুকু দেখেছি, তাতে আমার মনে হয়েছে ভাবি মন থেকে হাসেনা। শুধুমাত্র হাসতে হয় বলে হাসে। ”
” আচ্ছা, তুমি এসব নিয়ে চিন্তা করোনা। আমি দেখছি ভাবির কি হয়েছে। আরেকটা কথা, এসব কথা আপাতত কাউকে বলোনা। এবার আমি নিচে যাই সোনা পাখি? একটু পর আবার আসব। ” কুহুর কপালে, চোখে ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলল তাহমিদ।

” আমি একটু নিচে যাই? এত নিঠুর হবেননা। একা থাকতে আমার মোটেও ভালো লাগছেনা। ”
এবার কুহুর মুখ দেখে মায়া হল তাহমিদের। ও একটু হেসে দু হাতের আঁজলায় কুহুর মুখ নিয়ে নেশাক্ত চোখে তাকায়।
” আচ্ছা, যাও। তবে আমি ওপরে আসার সাথে সাথে, তুমিও আসবে। নইলে সবার সামনে থেকে তোমাকে ডেকে নিয়ে আসব। ”

” এই না, আমাকে সবার সামনে একদমই ডাক দিবেননা। আপনি যা বলছেন, আমি তা-ই করব। তবুও সবার সামনে আমাকে লজ্জায় ফেলবেননা।”
তাহমিদ কোন কথা না বলে, একটু হেসে কুহুকে নিয়ে নিচে যায়।
তাহমিদ আজও আনানকে ফোন করেছে। আসতে বলেছে ‘ কুঞ্জছায়া ‘ য়। কিন্তু আনান ব্যস্ততার অযুহাত দেখিয়ে তাহমিদকে না করে দিয়েছে। তাহমিদ বুঝতে পারছে আনানের কিছু একটা হয়েছে। যে ছেলে তাহমিদের ফোন পেয়ে কখনো বাসায় আসতে দ্বিমত করেনি, সেই ছেলেই আজ কয়দিন যাবৎ এটা-সেটা বলে এই বাড়িতে আসতে অমত করছে। তাহমিদের মনে সন্দেহ জন্মায়।

সিক্তা দিদুনের রুমে বসে দোয়া-দরুদ পাঠ করছিল। আজ সকাল থেকেই ও কুরআন তিলাওয়াত এবং দোয়া-দরুদ পাঠ করছে। দিদুনও সেই ভোর থেকে ইবাদতে মশগুল আছেন।
” সিক্তা, তোর সাথে কিছু কথা আছে। তুই কি এখন আমাকে সময় দিতে পারবি? ” তাহমিদ দিদুনের রুমে এসে সরাসরি সিক্তাকে প্রশ্ন করল।

” কি বলবে ভাইয়া, বল। আমি শুনছি। ”
” আনান এই বাসায় আসছেনা কেন? ” তাহমিদের প্রশ্ন শুনে সিক্তার বুক ধক করে উঠল।
” আমি জানিনা, আনান ভাইয়া কেন আসছেনা। তুমি আমাকে জিজ্ঞেস না করে, ওকেই জিজ্ঞেস কর। ” আমতাআমতা করে উত্তর দেয় সিক্তা।

” ওকে বারবার জিজ্ঞেস করা স্বত্বেও, কোন ঠিকঠাক জবাব পাইনি। তুই কি ওকে কিছু বলেছিস? তুই তো ওকে ঝাড়তে পারলে শান্তি পাস। সব সময়ই কিছু না কিছু বলেই যাস। ”
” আমি কি বলব! তোমার বিয়ের দিনই ভাইয়ার সাথে যেটুকু কথা হয়েছে, এরপর তার সাথে আর কোন কথা হয়নি। তোমার বিয়ের দিন নিশ্চয়ই তার সাথে আমি ঝগড়া করবনা। ”
” তোর কথা বিশ্বাস করতে পারছিনা। নিশ্চয়ই এমন কিছু বলেছিস, যার দরুন ও বাসায় আসছেনা। আমি জিজ্ঞেস করেছি, তুই ঠিক ঠিক উত্তর দে। ”

” বিশ্বাস কর ভাইয়া, আমি আনান ভাইয়াকে কিছুই বলিনি। আমিতো জানতামইনা ভাইয়া বাসা থেকে কখন চলে গিয়েছিল। শুধু শুধু আমাকে দোষারোপ করোনা। ”
” ঠিক আছে, করলামনা দোষারোপ। কিন্তু যদি কখনও শুনি, তোর জন্য আনান এই বাসা ছেড়েছে, তবে তোর কপাল খারাপ আছে। ”

তাহমিদ বেরিয়ে যেতেই, সিক্তার দুই চোখ ছলছলিয়ে অশ্রু জমা হয়। এখন শুধু তাদের ঝরে পরার পালা।
নীরা ড্রয়িং রুমে কয়েকজন মাদ্রাসার ছাত্রদের আপ্যায়ন করতে ব্যস্ত। ছাত্ররা সেই সকাল থেকে কুরআন তিলাওয়াত করছে। নীরা মাঝেমধ্যেই তাদের জন্য চা, নাস্তা নিয়ে আসছে।

এই মুহূর্তে নীরা ছাত্রদের জন্য পায়েস নিয়ে এসেছে। সবার খাওয়া শেষে পানির গ্লাস এগিয়ে দিচ্ছে ও।
ঠিক তখনই তাওহীদ ড্রয়িংরুমে আসে। ও এতক্ষণ বাগানে বাবুর্চিদের সাহায্য করছিল। গরমে বেচারা ঘেমে-নেয়ে একাকার। তাওহীদকে দেখে নীরার খারাপ লাগে। ও ছাত্রদের পানি দিয়ে এগিয়ে আসে তাওহীদের দিকে।
” তুমি একটু বস, আমি শরবত করে আনছি। রান্না কি শেষ? তুমি আবারও বাগানে যাবে? ” নীরা ওড়নায় হাত মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করল।

” এতসব শুনে তুমি কি করবে? যা করছিলে কর। আর হ্যাঁ, আমার শরবত লাগবেনা। আমি এই বাড়ির মেহমান নই যে, আলাদাভাবে আপ্যায়ন করতে হবে। ” কথাটা বলেই তাওহীদ ওপরে উঠে যায়।
তাহমিদ দরজায় দাঁড়িয়ে তাওহীদের কথা শুনে জোরেসোরে ধাক্কা খায়। যে তাওহীদ নীরাকে ছাড়া কিছুই বুঝতনা। আজ সেই মানুষ নীরাকে এমনভাবে কথা বলল! কি চলছে দুজনের মধ্যে?
নীরা তাওহীদের কথা শুনে ওড়নার কোনে চোখের পানি মুছে রান্নাঘরের দিকে যায়।
তাহমিদ আঁড়চোখে নীরার কান্নাও দেখল।

সারাদিনের পরিশ্রমে সবাই ক্লান্ত। সানাউল রাশেদিনের নিজেকে বেশ হালকা লাগছে। সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আয়েশা সালেহা খাবার টেবিলে ছেলেদের সাথে খেতে বসেছেন। বৃদ্ধার মুখে সন্তুষ্টির ছাপ স্পষ্ট। শাহনাজ সুলতানা সন্ধ্যায়ই নিজের বাসায় ফিরে গেছেন। নাজমা পারভিন সন্ধ্যায়ই চিটাগংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
” মা, আজকের আয়োজন তোমার ভালো লেগেছে? ” শফিউল রাশেদিন জিজ্ঞেস করলেন।

” আমার ছেলেরা তাদের বাবার জন্য কিছু করবে, আর সেটা আমার ভালো লাগবেনা, এমনটা আজ-অব্দি ঘটেছে? যেখানে আমার দুই নাতী সকল কিছুর তত্বাবধানে ছিল, সেখানে আমার খারাপ লাগার কোন কারন দেখছিনা। তবে একটাই আফসোস আমার ছোট ছেলেটা আসতে পারলনা। ”

” মা, ও তো আমাদের মত দেশে থাকেনা। ওর ইচ্ছে করলেও হুটহাট আসতে পারেনা। তবে বিশেষ বিশেষ দিনে, ওর মন ঠিকই দেশে পরে থাকে। বাসায় এইযে দুটো অনুষ্ঠান হল, অথচ সানাউল আসতে পারলনা। এটা ওর জন্য কম কষ্টের নয়। তুমি ওর জন্য চিন্তা না করে দোয়া কর, মা। ” শফিউল রাশেদিন বৃদ্ধাকে সান্তনা দিতে বললেন।
” তোমাদের সবার জন্যই আমি প্রতি মোনাজাতেই প্রানভরে দোয়া করি। তবে মাঝেমধ্যে ছেলেটার কথা খুব মনে পরে। ” বৃদ্ধা আঁচলে চোখের পানি মুছলেন।

” দিদুন, তুমি এভাবে কষ্ট পেওনা। আমি একটু ফ্রি হয়েই তোমাকে নিয়ে ছোট চাচ্চুর কাছে বেড়াতে যাব। তখন ছেলেকে কত আদর করবে কর। ” তাহমিদ পরিবেশ হালকা করতে বলল।
” দিদুন, আমিও তোমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসব। এবার কলেজ থেকে ছুটি পেলেই তোমাকে নিয়ে বেড়াতে যাব। ” তাওহীদও তাহমিদের কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলল।

” দাদু ভাই, কয়দিনের ছুটি পেয়েছ? ” বৃদ্ধা তাওহীদকে জিজ্ঞেস করলেন।
” আমি আগামীকাল সন্ধ্যায় রওনা দিব, দিদুন। বেশিদিন তোমাদের সাথে কাটানো হবেনা। ”
” নীরা কতদিন পর আসল, সাতদিনও থাকতে পারবেনা। তূরও এবার কোথাও বেড়াতে যেতে পারলনা। আর কয়েকটা দিন থাকতে পারবিনা বাবা? ” তাহমিনা আক্তার আফসোস করে বললেন।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ২৪

” কাল আমি একা যাচ্ছি, মা। ওরা তোমাদের কাছে কিছুদিন থাকুক। তূর ওর মামার বাড়িতে থেকে আসুক কিছুদিন। এবার ছয়মাসের আগে ওদের আমার কাছে যাওয়া হচ্ছেনা। ”
তাওহীদের কথা শুনে নীরার মুখ চুপসে গেছে। ও ঠোঁট কামড়ে কান্না নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কেউ না দেখলেও এটা তাহমিদের চোখে ঠিকই পরেছে।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ২৬