বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৬০

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৬০
জাওয়াদ জামী

আনানরা বাসায় ঢুকে তাহমিদকে দেখে বেশ অবাক হয়ে গেছে। গত আড়াই মাস যাবৎ তাহমিদকে এই সন্ধ্যায় বাসায় দেখতে পাওয়া যায়নি। যদিও তাহমিদ সন্ধ্যায় বাসায় খুব কমই থাকত। কিন্তু কুহুর অসুস্থতার পর থেকেই ও চেম্বার আর আইসিইউ করেই কাটিয়েছে।

” ভাই! তুমি এই সময় বাসায়! আবার দেখছি মজা করে পিঠাও খাচ্ছ! ” আনান নিজের বিস্ময় চেপে রাখতে পারলনা।
তাহমিদ কেবলমাত্র পাটিসাপটা পিঠায় কা’ম’ড় দিয়েছে। আনানের কথা শুনে ও ডান ভ্রু উঁচিয়ে তাকায়।
তাহমিনা আক্তার কুহু সুস্থ হয়ে বাসায় এসেছে তাই ছেলের বউয়ের পছন্দের পিঠা বানিয়েছেন, কুহুর পছন্দের খাবার রান্না করেছেন।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” আমি বাসায় না থাকলে তোর বোধহয় সুবিধা হয়? শ্বশুর বাড়িতে বসে বসে খাওয়ার চিন্তা মাথায়ও আনিসনা, আনান। তোর শ্বশুর মানুষটি কিন্তু সুবিধার নয়। শেষে দেখবি তুইও তার মত ভুঁড়িসর্বস্ব জীবে পরিনত হয়েছিস কিন্তু ঘট পুরো খালি। ” কথা বলতে গিয়ে তাহমিদ আঁড়চোখে তাকায় সানাউল রাশেদিনের দিকে।
তাহমিদের এহেন কথায় ফুঁসে উঠলেন সানাউল রাশেদিন।

” বেয়াদব ছেলে, এতদিন কুহু অসুস্থ ছিল তাই ভেজা বেড়ালের ন্যায় ঘাপটি মে’রে ছিল। আজ কুহু সুস্থ হয়েছে, তাই বেয়াদবটা নিজের রূপে ফিরে এসেছে। আনানকেও আমার বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছে। অথচ সে আমার মেয়ের জামাই। অসভ্য, বর্বর, বেয়াদব। ” সানাউল রাশেদিন বিরবির করে তাহমিদকে ইচ্ছেমত ঝাড়ছেন।

এদিকে শ্বশুরের সামনে এভাবে বলায় আনানকে অস্বস্তিতে পেয়ে বসেছে। ও জোড় করে মুখ হাসি ফুটিয়ে রেখেছে। আর একবার সানাউল রাশেদিনের দিকে তাকাচ্ছে তো আরেকবার তাহমিদের দিকে তাকাচ্ছে।
” দৃষ্টি, সিক্তা তরা আইছস? কুহুর জ্ঞান ফিরছে। হেয় বাসায় আইছে। ” শিউলি আক্তার যেন উধাও হল আনানকে এরূপ অস্বস্তির হাত থেকে উদ্ধার করতে।

” আম্মু, সত্যি আপু বাসায় এসেছে! আপু কোথায়? ”
শিউলির কথায় আনান আর নিহানের মুখে হাসি ফুটে উঠল। তারাও জানতে চায় কুহু কোথায়।
” হেয় নিজের ঘরেই আছে। ”
শিউলির বলতে দেরি হয়েছে কিন্তু দৃষ্টি, সিক্তা, আরোশি, শিহাবের দৌড় দিতে দেরি হয়নি। ওরা দৌড়ে সিঁড়ির দিকে যায়।

কুহু বারান্দায় বসে চিন্তা করছে। আড়াইটা মাস ওর জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। কি হয়েছিল সেই রাতে? তাহমিদকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করলেও উত্তর পায়নি। তাহমিদ যেন মুখে কুলুপেতে বসে রয়েছে। বাসার সবাইও কেমন যেন রাখঢাক করছে। বিষয়টা কুহুকে বেশ ভাবাচ্ছে।

” আপু। ” দৃষ্টি পেছন থেকে কুহুকে জড়িয়ে ধরল।
বাকি সবাই হুড়মুড়িয়ে বারান্দায় এসে কুহুকে জড়িয়ে ধরল।
” তোরা সবাই কেমন আছিস? ”

কুহু কিছুক্ষণ পর ওদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে জিজ্ঞেস করল। কিন্তু ওর চোখ ততক্ষণে দৃষ্টির দিকে নিবদ্ধ হয়েছে। দৃষ্টির চেহারা দেখে ওর বুকের ভেতর ধক করে উঠল। দৃষ্টির চেহারার একি হাল হয়েছে!
দৃষ্টি অপরাধবোধে ভুগছে। সেদিন রাতে ও কুহুকে বাঁচাতে পারেনি। অথচ ওর আপু একটা সময় ওদের জন্য নিজের জীবনের শখ, আহলাদ বিসর্জন দিয়ে পরিশ্রম করে গেছে।

দুই বোন দুজন দুজনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনেরই চোখ ভর্তি নোনা জল।
কুহু পরম আদরে বোনকে বুকে টেনে নেয়।
” কোকিলা, তুই সত্যি সুস্থ হয়ে গেছিস! তুই জানিস, আমরা তোকে কত মিস করেছি? ভাই তোর জন্য দিনের পর দিন পা’গ’লে’র মত কেঁদেছে। মামা অসুস্থ হয়ে গেছে। আজকের পর থেকে সবাই ঠিক হয়ে যাবে দেখিস। ” আনানের চোখেও পানি চিকচিক করছে।

সেখানে উপস্থিত সবাই একসাথে কেঁদে উঠল।
সেদিন রাতেই নাজমা পারভিন চিটাগং থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় আসলেন।
পরবর্তী তিন-চার দিন তাহমিদ কুহুকে নিয়ে ডক্টরের কাছে দৌড়াদৌড়ি করল। ডক্টর কুহুর অনেকরকম টেস্ট করল। ডক্টর তাদের জানায়, প্রতি সপ্তাহে একদিন করে তার কাছে যেতে হবে।

রাতে খাবার পর সবাই ড্রয়িং রুমে বসে গল্প করছে। তখনই নাজমা পারভিন জানান আগামীকাল তিনি চিটাগং রওনা দেবেন। তিনি দৃষ্টিকে তার সাথে নিয়ে যেতে চাইলেন। দৃষ্টির দিক বিবেচনা করে সবাই তার কথায় রাজি হয়।
” দৃষ্টি মা, তুই কাপড়চোপড় গুছিয়ে নে। শ্বশুর বাড়ি তোকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে। তুই এখন থেকে এদের অতিথি। তোর ফুপা আমাকে বলেছে, তোকে চিটাগং রেখে দেবে। সেখানেই তুই পড়াশোনা করবি। ”

নাজমা পারভিনের কথা শুনে দৃষ্টি বেশ অস্বস্তিতে পরে যায়। বড়দের সামনে ফুপুকে বলতে শুনে ওর লজ্জাই লাগে।
কুহু মেজো ফুপুর কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে। ফুপু নিহান ভাইয়ার সাথে দৃষ্টির বিয়ে দিতে চায়! কিন্তু ও সবার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখল, সবাই মিটিমিটি হাসছে। ওর বুঝতে বাকি রইলনা ও ছাড়া সবাই দৃষ্টি আর নিহান ভাইয়ার বিয়ে সম্পর্কে জানে। কিন্তু একটা খটকা কিছুতেই কুহুর ভেতর থেকে যাচ্ছেনা।

ওর বারবার মনে হচ্ছে, সবাই ওর কাছ থেকে কিছু একটা লুকাচ্ছে। আবার ফুপু দৃষ্টিকে নিজের কাছে রেখে দিতে চাচ্ছে। বিষয়টা কুহুর কাছে বেমানান লাগল। ওর বিষয় আর দৃষ্টির বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। ছোটমা ওকে পছন্দ করতনা বুঝতে পেরে বড় ফুপু ওকে নিজের কাছে রেখেছিল। আবার ওর পড়াশোনার জন্যও কুহু এখানে থাকত। কিন্তু দৃষ্টি! সে তো ছোটমার নিজের মেয়ে। আর বাবারাও নাকি এখন থেকে ঢাকায় থাকবে। তাহলে দৃষ্টি কেন পড়াশোনা করবে চিটাগং গিয়ে? এবার কুহু ধন্দে পরে গেছে। তবে ও এটা বেশ বুঝতে পারছে, সবাই ওর কাছ থেকে কিছু একটা লুকাচ্ছে।

আড্ডা শেষে বড়রা যে যার রুমে চলে যায়। শুধু ড্রয়িংরুমে থেকে যায় ওরা কানিজমহল। আনান সবার সাথে মজা করছে। নিহানও যোগ দিয়েছে আনানের সাথে। কুহু নিহানের আচরণ দেখে আশ্চর্য হয়ে যায়। ও নিহানকে সব সময় স্বল্পভাষী হিসেবেই জানত। হঠাৎ করে তার এমন পরিবর্তন কুহুকে ভাবাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর কলিং বেলের শব্দ শুনে তাহমিদ উঠে দাঁড়ায়।
ও যখন ফিরে আসল তখন ওর হাতে কয়েকটা প্যাকেট দেখে সবাই জিজ্ঞাসু চোখে চায়।

” তোদের জন্য পিজ্জার অর্ডার দিয়েছিলাম। একেকজন যেভাবে ছাগলের মত বকবক করছিস, একটু পর নির্ঘাত তোদের ক্ষুধা লাগবে। আর তখন আমার সাথে তোরা ঘ্যানঘ্যান করবি। তাই আগেভাগেই সব ব্যবস্থা করেছি। ”
” কথা মূলত এইটা নয়। কথা হল কোকিলা সুস্থ হওয়ার পর থেকে তোমার শুধু ক্ষুধা লাগছে। এই আড়াইমাস তুমি পেটপুরে খাওনি। তাই এখন খাবার অর্ডার দিয়ে দিব্যি আমাদের নামে চালিয়ে দিচ্ছ। ” আনানের কথা শুনে তাহমিদ ওর দিকে রা’গী চোখে তাকায়।

” তুই পিজ্জা পাবিনা। তোর ভাগ সিক্তা খাবে। সবাই খাবে আর তুই দেখবি। নিহান ঐ উজবুককে রেখেই শুরু করে দে। ”
তাহমিদের কথা শুনে আনান মুখ ভার করে বলল,

” এমন করে বলেনা, ভাই। আমি তোমার একমাত্র ছোট বোনের একটাই স্বামী। তোমার বউয়ের আদরের বড় ভাই। আমাকে রেখে তোমরা পিজ্জা খেতে পারবে বল? ” আনান কারও তোয়াক্কা না করেই এক টুকরা পিজ্জা হাতে নেয়।
আজ কারও কোন কথাই কুহুকে ছুঁতে পারছেনা। ওর মনে চিন্তার ঝড় উঠেছে। এদের রাখঢাক স্বভাবই বলে দিচ্ছে কোন গড়বড় হয়েছে। ওর গা ঘেঁষে বসে থাকা দৃষ্টিও যেন একটু আড়ষ্ট হয়ে গেছে। ওর আগের সেই উচ্ছ্বলতা, চঞ্চলতাও যেন মিইয়ে গেছে। ওর মুখে হাসি থাকলেও চোখে যেন বেদনারা রাজত্ব করছে। কিন্তু কেন?
আড্ডা শেষে সবাই নিজেদের রুমে যায়।

কুহু বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে আছে। ওর হাত ভাঁজ করে কপালে রেখেছে। রুমে আসার পর ও তাহমিদের সাথে কোনও কথা বলেনি।
তাহমিদ কুহুর দিকে তাকিয়ে আছে। ও ভাবছে মেয়েটার কি হয়েছে? হঠাৎ করেই কেমন নিশ্চুপ হয়ে গেছে মেয়েটা! তবে কি ওর শরীর খারাপ করেছে?

” বউ, তোমার শরীর খারাপ লাগছে? এভাবে চুপচাপ শুয়ে আছ যে? শরীর খারাপ লাগলে আমাকে বল। আমি প্রয়োজনে তোমাকে ডক্টরের কাছে নিব। ”
কুহু ধীরেসুস্থে হাত সরিয়ে তাহমিদের দিকে তাকায়। ওর চোখেমুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। যা দেখে তাহমিদ ভড়কে যায়।

” আমাকে একটা সত্যি কথা বলবেন? ” কুহু সরাসরি তাহমিদকে জিজ্ঞেস করল।
” তোমার সাথে আমি কোনদিন মিথ্যা বলেছি? আর তুমিও জান আমি মিথ্যা বলতে পছন্দ করিনা। কি জানতে চাও তুমি? ” তাহমিদ কথাগুলো মুখে বললেও ওর ভেতরটা ভয়ে চুপসে গেছে। কুহু ওকে কি ধরনের প্রশ্ন করতে পারে তা ও বুঝতে পারছে।

” আপনারা আমার কাছে কি লুকাচ্ছেন? মেজো ফুপু কেন দৃষ্টিকে নিজের কাছে রাখতে চায়? ”
তাহমিদ যে ভয় পাচ্ছিল সেটাই হয়েছে। ও কুহুর কথার কি উত্তর দেবে ভেবে পাচ্ছেনা। এদিকে কুহু ওর দিকে উত্তরের আশায় তাকিয়ে আছে।
তাহমিদ জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে মুখ খুলল।

” তোমার কাছে লুকানোর কিছু আছেে,বউ? খালামনি হয়তো তার ভবিষ্যৎ ছেলের বউকে নিজের কাছ ছাড়া করতে চাননা, তাই দৃষ্টিকে নিজের কাছে রাখতে চায়। ” তাহমিদ কুহুর দিকে তাকিয়ে বলল।

” আপনি এখনই আমাকে সত্যিটা বলবেন। আমার বিষয় আর দৃষ্টির বিষয় আলাদা। দৃষ্টি ছোটমার জীবন। ছোটমা দৃষ্টিকে দূরে রাখার কথা চিন্তাই করতে পারেনা। আর সেদিন বড় ফুপু বলল, বাবারা এখন থেকে ঢাকা থাকবে। তাহলে কেন দৃষ্টিকে মেজো ফুপু নিজের কাছে রাখতে চাইছে? আর গতকাল কোন একটা কথায় আনান ভাইয়া বলল, সে আর নিহান ভাইয়া ফাইনাল পরীক্ষা দেয়নি। কেন দেয়নি? আনান ভাইয়া নাহয় বিয়ে করেছে তাই হয়তো সে এবার পরীক্ষা দেয়নি। কিন্তু তার জন্য পরীক্ষা দেওয়াটা জরুরি ছিল। কিন্তু নিহান ভাইয়া? সে কেন পরীক্ষা দেয়নি? এবার আশা করছি সত্যি কথাটা বলবেন। ”

কুহুকে উত্তেজিত হতে দেখে তাহমিদ ভয় পেয়ে গেছে। অথচ ডক্টর ওকে কোন ট্রেস দিতে নিষেধ করেছে। কিন্তু আজ বোধহয় কুহু সহজে শান্ত হবেনা। ও কুহুর হাত ধরতে গেলে কুহু সযতনে ওর হাত সরিয়ে দেয়। যা তাহমিদকে আরও ভড়কে দেয়।

” বউ, তুমি এভাবে উত্তেজিত হয়োনা। এটা তোমার জন্য খারাপ। ডক্টর তোমাকে কোন প্রকাশ ট্রেস নিতে নিষেধ করে দিয়েছে। কোন টেনশন তোমার করা যাবেনা। তুমি একটু শান্ত হও। ”
” আপনার, আপনাদের এই লুকোচুরি আমাকে টেনশন করতে বাধ্য করছে। এখন আমি চাইলেও নিজেকে শান্ত করতে পারবনা। ” কুহুর চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু ঝরছে।
তাহমিদ কুহুর চোখের পানি সহ্য করতে পারছেনা। ও কুহুকে বুকে টেনে নেয়। একে একে বলতে থাকে সেদিন রাতে কি ঘটেছিল।

তাহমিদের মুখে সবটা শুনে কুহু কাঁপতে থাকে। এ কি শুনছে ও! ওর অজান্তেই এত কিছু ঘটে গেছে! দৃষ্টির ওপর দিয়ে এত ঝড় বয়ে গেছে! ওর বাবা এত কিছু সহ্য করেছে কেমন করে? নিজের অজান্তেই বাম হাত ওর পেটে যায়। সেদিন তাহলে ছোটমা ঠিকই সন্দেহ করেছিল। কিছুতেই কুহুর কাঁপন বন্ধ হয়না। সেই সাথে যেন অশ্রুরা চোখ থেকে ঝরার জন্য প্রতিযোগিতা করছে।

কুহুকে অস্বাভাবিকভাবে কাঁপতে দেখে তাহমিদ ভয় পায়। ও কুহুকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
অনেকক্ষণ পর কুহু কিছুটা স্বাভাবিক হলে তাহমিদ হাঁফ ছাড়ল।
কুহু চোখ মুছে তাহমিদের দিকে তাকায়।

” আমি দৃষ্টির কাছে যাচ্ছি। আপনি শুয়ে পরুন। ”
তাহমিদ বুঝল কুহুকে এখন কিছুতেই নিরস্ত করা যাবেনা। তাই ও কুহুকে বাঁধা দেয়না।
” তুমি দৃষ্টিকে সেই ট্রাজিডির বিষয়ে কিছুই বলোনা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি মেয়েটাকে স্বাভাবিক করতে। ”
কুহু মাথা নেড়ে সায় দেয়।

দৃষ্টি, তনয়া, আরোশি একসাথে শুয়েছে। সবাই ঘুমালেও দৃষ্টির চোখে ঘুম নেই। ও মেজো ফুপুর সাথে যাবে ঠিক আছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে ওর মন সায় দিচ্ছেনা। বিষয়টা কিভাবে ফুপুকে বলবে ও বুঝতে পারছেনা।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৫৯

বিঃদ্রঃ গত কয়েকদিন থেকে আমি অসুস্থ। দুইদিন বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। তাই চাইলেও লিখা হয়নি। গতকাল থেকে আবার প্রচন্ড জ্বর। জ্বর নিয়েই এতটুকু লিখতে পেরেছি। সুস্থ হয়ে আবার পরের পার্ট লিখব। আমার জন্য দোয়া করবেন।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ শেষ পর্ব