বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৩

বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৩
শারমিন আক্তার বর্ষা

হোটেল লবি দিয়ে যাচ্ছিলাম। হটাৎ আমাকে দেখে দূর থেকে একটি ছেলে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। আকস্মিক ঘটনায় হতবিহ্বল চোখে সকলে আমাকে দেখছে। ছেলেটা দু’হাতে আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘স্যার আমার মা-কে বাঁচান।’

‘তোমার মা কে? আর আমি উনাকে কিভাবে বাঁচাব?’
‘স্যার আপনি ওইদিন আমার মা আপনার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। তখন আপনি ওনাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আজ দু’দিন ধরে মা বাসায় আসছে না। ওইদিন বিকেলে মা আমাকে কল দিয়ে বলেছিল, আপনি ওনার সাথে দেখা করেননি। তখন ওনি বাড়িতেই আসতে ছিল। তখন আমি শুনি৷ মা কারো সাথে চেচামেচি করছে। মা-র পাশে কয়েকজন লোকের গলা শুনেছি। ওরা আমার মা-কে তুলে নিয়ে গেছে। আমার মা’কে আপনি বাঁচান।’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

পনেরো বছরের ছেলে তোমাল হোটেল রুমে পাঠিয়ে ওরা গাড়ি করে বের হয়ে যায়। এদিকে আজ আরিশের একটা ইন্টারভিউ আছে। আরিশের সাথে তাজ ও প্রবীর ছুটে গিয়েছে। গাড়ির ফ্রন্ট সিটে বসে পিছু ফিরে তাকাই ওয়াসিফ। বলল, ‘তোর কি মনে হয় আর্শি কে কে তুলে নিয়ে গেছে? আর নিলেও কোথায় নিয়ে গেছে?’
আরিশ গুরুগম্ভীর কণ্ঠে বলে, ‘আর্শি আপার লোকেশন ট্রাক কর।’
ল্যাপটপ গেঁটে দশ মিনিট পর আমান বলল, ‘আর্শি আপার লাস্ট লোকেশন হোটেল তাজ এর সামনে দেখাচ্ছে।’

হোটেল তাজ এর সামনে সিসি টিভি ফুটেজ চেক করে কনফার্ম হয় আরিশ। কাউকে কল দেয়। কল রিসিভ করার পর কর্কশকণ্ঠে বলল, ‘ ২৪ঘন্টার মধ্যে আর্শি আপার খবর আমার চাই। নয়তো বুঝতে পারছিস আমি কি করব।’
‘তুই এত হাইপার হচ্ছিস কেন। ভাই শান্ত হ দেখবি আমরা উনাকে পেয়ে যাবো।’
‘উনাকে পেতে হবে। দু’দিন ধরে আপার কোনো খোঁজ খবর নাই। শুনিসনি উনার ছেলে তোমাল কি বলল, ও পুলিশের কাছে গিয়েছে কিন্তু পুলিশ আপাকে পায়নি। মানে বুঝিস তুই? আমাকে বাঁচাতে গিয়ে উনার স্বামী ঋষি মা’রা গেছে। আমি চাইনা আমার অবহেলায় আপা বা উনার ছেলের কোনো ক্ষতি হোক।’

‘আমরা জানি ঋষি একজন তোর সাহসী গার্ড ছিল। যে শেষে তোর জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন দিয়ে দিতে পিছ পা হয়নি। ওর স্ত্রী কে সুরক্ষা করা আমার দায়িত্ব। আমরা খুঁজে বের করবো।’
‘রুহানির ওপর যারা নজর রাখছে তারা নতুন কোনো আপডেট দিয়েছে কী?’
‘হ্যাঁ।আমাদের নতুন চারজন গার্ড রুহানির ওপর নজর রাখছে। ওরা কিছুদিন আগে আমাদের টিম জয়েন হয়েছে। ওদের মধ্যে একজন জানিয়েছে, রুহানি দুই বার একজন লোকের সাথে রাস্তায় দেখা করেছে। আর লোকটা দুই বার রুহানিকে অপমান করেছে।’

‘লোকটা কে?’
‘লোক টাকে ওরা চিনে না। আমি ওদের বলেছি খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য কিন্তু ওরা বলে পরবর্তী তে লোকটাকে ওরা আর খুঁজে পায়নি।’
‘পায়নি মানে কী? ওদের টাকা দিয়ে এমনি এমনি রাখা হয়েছে নাকি?’
‘এ.স এটা আরও দু’দিন আগের ঘটনা। আমাকে একটু আগে জানিয়েছে।’
‘দু’দিন আগের ঘটনা দু’দিন আগে না জানিয়ে এখন জানাচ্ছে? সবগুলো কে আস্ত কবর দেওয়া উচিত সালা বাস্টার্ড। ওদের এখনই ইনফর্ম করে দাও রুহানিকে নিয়ে কোনো হেলাফেলা আমি বরদাস্ত করবো না। ওরা চারজন যদি মেয়েটাকে দেখে রাখতে না পারে তাহলে আরও লোক লাগাও। রুহানির কোনো ক্ষতি জেনো না হয়। রুহানির টাইম টূ টাইম খবর আমার চাই।’

‘বাংলাদেশে আমার কাজ শেষ হয়নি। আমি এখানে আসছি আমার বাবাকে খুঁজতে কিন্তু আমি এখনও বাবাকে খুঁজে পাইনি। দেখতে দেখতে বিশ দিন হয়ে গেছে। আমাকে এবার সিরিয়াসলি বাবাকে খুঁজতে হবে। আমি এখনই যেতে পারবো না।’
নাজিন, আদনান, লাবণ্য একত্রে বলল, ‘আমরাও কোথায় এখনই যেতে চাচ্ছি? থাকি না আরও চার পাঁচ মাস।’
‘তিন মাস পর যে এক্সাম শুরু হবে ভুলে গেছিস না? কয়েকটা প্রেমিক প্রেমিকা জুটিয়ে বের করবে না। আশ্চর্য! ‘
‘দেখ শ্যামা তুই তো বিয়ে করে বিয়াইত্তা সার্টিফিকেট নিয়ে নিছিস। এখন তো তোর কোনো প্যারা নাই। আমরা তো সিঙ্গেল আমাদের তো একটা হিল্লে হওয়া চাই। ‘
আদনান কে সাপোর্ট করে তাতে অন্যরা হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলালো। বিরক্ত হয়ে ওদের মধ্য হতে ওঠে চলে যায় রুহানি। ভারী নিঃশ্বাস ফেলে বলল, ‘বাবা তোমায় আমি পাবো তো?’

পরদিন সকালে, একটা নির্জন রাস্তার মোড়ে আর্শি মমতার দেহ খুঁজে পেলো ইন্সপেক্টর নিহান কর্ণ। শরীর টা ক্ষত বিক্ষত হয়ে আছে। গালে চড় মারার ছাপ গলায় কামড়ের দাগ। হাতের পায়ের অবস্থা বলা যায় না। নখ দিয়ে আঁচড়ের দাগগুলি স্পষ্ট। নিহান আর্শি মমতা কে পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে আসে। উনার প্রিয় বন্ধু ডাক্তার রিজভী রিপোর্ট হাতে বলল, ‘মহিলা টিকে অনেকজন মিলে গনধর্ষন করে এবং তার জন্য সে মারা গেছে। রিপোর্টে যা বুঝলাম, টানা তিন দিন ধরে উনার ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। শেষ পরিনতি মৃত্যু।’

ডাক্তারের কথাগুলো এ.স সহ তোমাল শুনতে পায়। তোমালের মা’য়ের মৃত্যু খবর শুনে ছেলেটা কান্না জুড়ে দেয়। এ.স রাগান্বিত চোখে তাজ ও প্রবীরের দিকে তাকায়। রাগে হাত কাঁপছে। ভয়ে মাথা নিচু করে ফেলে ওরা। এ.স কে দেখে এগিয়ে আসে ইন্সপেক্টর নিহান কর্ণ। এ.স দাঁত চেপে বলে, ‘আজ যা ওরা করেছে। তার ফল ওদের কড়ায় গন্ডায় উসুল করতে হবে ইন্সপেক্টর।’

সাত দিন হয়ে গেছে, শহরের অলিগলি খুঁজে ব্যর্থ হয়েছে রুহানি। অবশেষে হার মেনেছে সে, বাবার নাম ছাড়া কিছুই জানে না। খুঁজবে কিভাবে? বাবার পেশা কি? কি করে? কোথায় আছে? দেখতে কেমন? কিছুই জানে না। এভাবে আর যাইহোক একটা মানুষ কে খোঁজা যায় না। ব্যর্থ হয়ে কানাডা ফিরে যাবে সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন সকালে চলে যাবে, মন সাই দিচ্ছে না। মনে হচ্ছে খুব আপন কিছু এখানে রেখে যাচ্ছে। কিন্তু কি সেটা? এইরকম অদ্ভুত অনূভুতি হচ্ছে কেনো? সে তো এখানে কিছু নিয়ে আসেনি তাহলে রেখে যাওয়ার ভয় হচ্ছে কেনো?

সুক্ষ্ম শ্বাস ফেলে বারান্দা থেকে রুমে চলে আসে। তবুও মনের মধ্যে অশান্তি। অস্বস্তি অনুভব করছি। কিন্তু কেনো আমার এমন লাগছে? মাথাটাও ধরেছে। আমার কেন ভয় হচ্ছে? কেনো বারবার মনে হচ্ছে খুব খুব কাছের প্রিয় কিছু হাত থেকে ছুটে যাচ্ছে?

‘মন খারাপ করে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?’
‘ভালো লাগছে না প্লিজ এখান থেকে যা। আমাকে একলা থাকতে দে।’
ওয়াসিফের প্রশ্নের তেমন গুরুত্ব দিল না আমান। বিরক্তিকর কণ্ঠে তাকে এখান থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু ওয়াসিফ নাছোরবান্দা। বারবার জিজ্ঞেস করছে কি হয়েছে?

‘আগামীকাল ভোরে নাজিন কানাডা চলে যাচ্ছে। আর চাইলেও ওর সাথে দেখা করতে পারবো না। তাই ভালো লাগছে না। হইছে শুনছিস শান্তি হইছে? এখন যা আমাকে একা থাকতে দে।’
আমানের উচ্চস্বরে বলা কথা শুনে ফেলল আরিশ। আরিশের মুখশ্রীর দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকাই প্রবীর ও তাজ। ওরা আসলে বুঝবার চেষ্টা করছে আরিশের ভাবভঙ্গি। আরিশ ভারী শ্বাস ফেলে সোফায় গিয়ে বসে।
তাজ বলে,
‘নাজিন যেহেতু চলে যাবে তার মানে হচ্ছে ওর সব বন্ধুরা চলে যাবে সাথে রুহানি ও চলে যাবে এ.স তুই ওদের আঁটকাবি না।’

‘ওদের চলে যাওয়ার সময় হয়েছে তাই ওরা চলে যাচ্ছে। ওদের আমি কেন আটকাতে যাবো?’
এ.স ও তাজের কণ্ঠস্বর শুনে বেলকনি থেকে আমান ও ওয়াসিফ রুমে আসে। আরিশের কথা শুনে ওয়াসিফ শানিতকণ্ঠে বলে, ‘তোর চোখমুখ দেখে বুঝা যায় তুই রুহানির প্রতি দূর্বল। তাহলে কেন একথা তুই আমাদের সামনে শিকার করিস না?’
‘আমি রুহানির প্রতি দূর্বল নই। একদম আজেবাজে কথা বলবি না।’

রাগান্বিত হয়ে আরিশ ছোট টেবিলের ওপরে লাণ্থি দিয়ে দাঁড়াল। আমান সরু কণ্ঠে বলল, ‘তুই যদি রুহানির প্রতি দূর্বল নাই হ’তি তাহলে রোজ রোজ মাঝরাতে দেখতে তার বেলকনিতে যেতিস না। রুহানি ঘুমিয়ে গেলে তার রুমে ঢুকে মেয়েটাকে ঘন্টা ঘন্টা বসে দেখতিস না। সারাদিন চোখে চোখে রাখতি না। তুই নিজেও জানিস তুই তাকে ভালোবাসিস। আর সেজন্যই সব সময় তাকে আগলে রাখার জন্য এতগুলো গার্ড তার চারপাশে রেখে দিছিস। তুই মানিস আর না মানিস তুই ও’কে ভালোবাসিস।’
মাত্রাতিরিক্ত রাগে আমানের গালে কষে চড় বসালো আরিশ। মূহুর্তে স্তব্ধ হয়ে গেলো পরিবেশ। আঙুল তুলে শাসিয়ে বলল, ‘এরপর রুহানিকে আমার সাথে জড়িয়ে কেউ কোনো কথা বলবি না। ওদের দেশ থেকে চলে যাওয়াই ভালো।’

সকাল নয়টা বাজে, আরিশের নাম্বারে একটা কল আসলো। কল রিসিভ করার পর অপরপাশের ব্যক্তি গম্ভীর কণ্ঠে বলল, ‘বস মেয়েটি ও তার বন্ধু গুলো সেইফলি এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করেছে। আর কোনো চিন্তার বিষয় নেই।’
কান থেকে ফোনটি নামিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল আরিশ। দীর্ঘক্ষণ শাওয়ার নিয়ে বের হয়। আলমারির কাভার্ড থেকে মেরুন রঙের একটা শার্ট বের করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরছে। চোখের সামনে বার বার রুহানির মুখটি ভেসে উঠছে। চোখের কার্নিশে জমে একফোঁটা নোনাজল। হাতের তর্জনী দিয়ে জল টুকু মুছে নেয়। শক্ত গলায় বলল, ‘আমার স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তোমাকে দূরে সরানো জরুরি ছিল। তুমি এখানে থাকলে আমি সেটা কখনোই করতে পারতাম না।’

‘আরিশের জন্য আমি মেয়ে পছন্দ করেছি। আমার ছোট বেলার বন্ধু অজয়ের মেয়েকে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। ওর সাথে আরিশের বিয়েটা সেরে ফেলবো। কিন্তু এমনি এমনি আরিশ বিয়ে করতে রাজি হবে না। ও’কে রাজি করানোর জন্য আমাকে অসুস্থ হতে হবে। অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে আরিশ কে বিয়ের জন্য রাজি করিয়ে ওদের চারহাত এক করে দিবো। তারপর আমি মরেও শান্তি পাবো। মরার আগে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারবো, আমার পরে আমার ভাগ্নে কে দেখার জন্য ওর জীবনসঙ্গী রেখে গেলাম।’

‘কিন্তু স্যার আপনি এটা করবেন কিভাবে? আমরা সবাই জানি এ.স বিয়ের কথা শুনলে কেমন নাক ছিটকায়। আর উনি বিয়ের জন্য রাজি হবেন? বলে আমার মনে হয় না।’
‘আকাশ। আমি কি বলেছি তুমি হয়তো বুঝোনি। বললাম না অসুস্থতার অজুহাত দেখাতে হবে। এমনিতেও আমার শরীরটা ভালো যায় না। মনে হয় বেশিদিন বাঁচবো না। ছেলের জন্য ভালো কিছু করে যেতে হবে। একা রেখে যেতে পারবো না। আমার বোনের শেষ চিহ্ন আরিশ। ও’কে কিভাবে আমি একা রেখে যাবো। কাউকে না কাউকে তো ও’কে সামলে রাখার জন্য লাগবে। ‘

রাত নয়টা ঘড়ির কাঁটা ঠকঠক করছে। তাজ, প্রবীর, আমান ও ওয়াসিফ চারজনে বসে কিছু ফাইল ঘাটাঘাটি করছে। ল্যাপটপে এক দৃষ্টিতে কিছু করছে আরিশ। পাঁচ জনের মধ্যে পিনপতন নীরবতা। হঠাৎ আরিশের ফোনের স্কিনের আলো জ্বলে উঠে। একটা মেসেজ আসছে। দেখেও না দেখার মত করে আরিশ নিজের কাজ করছে। পরপর তিনটে মেসেজ, রিংটোন শুনে আঁড় দৃষ্টিতে মোবাইলের ওপরে তাকাল।

বাম হাতে ফোনটি নিয়ে লক খুলে মেসেজ সিন করে। লোড নিচ্ছে, তিনটা এসএমএসে তিনটা ভিডিও আসছে। আননোন নাম্বার থেকে ভিডিও আসছে দেখে কপাল কুঁচকালো আরিশ। ভিডিও প্লে করতে আরিশের মাথায় আকাশ ভেঙে পরে। লাফিয়ে চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাঁড়ায়। কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ছে, চোখের দুটো লাল রক্তবর্ণ ধারণ করেছে।রাগে কপালের রগচটা ফুলে উঠেছে। আরিশের ফর্সা ত্বক মাত্রাতিরিক্ত রাগে লাল হয়ে গেছে। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আরিশের এমন অবস্থা দেখে অবাক হচ্ছে ওরা।

ওদের মাথায় আসছে না আরিশ কি এমন দেখছে ফোনে যা দেখা মাত্র ওর এমন অবস্থা হচ্ছে। চোখের পাপড়ি কয়েকবার পলক ফেলল আরিশ। চোখ দিয়ে এখনও অনবরত জল গড়িয়ে পরছে। ওরা কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পাচ্ছে না। একে একে তিনটি ভিডিও দেখল আরিশ। রক্তাক্ত আহত অবস্থায় রুহানিকে একটা রুমের মধ্যে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হইছে। আহত রুহানি জ্ঞান হারিয়ে চেয়ারের সাথে হেলে পড়েছে। রুহানির এমন করুণ অবস্থা দেখে নিজেকে শান্ত রাখতে পারছে না আরিশ। হাতের ফোনটি টেবিলের ওপরে আঁচড়ে ফেলল। টেবিলের ওপর থেকে ল্যাপটপ অনান্য সব কিছু হাত দিয়ে ফ্লোরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। রাগে ক্ষোভে শরীর রিরি করে কাঁপছে।

বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২২

হুংকার দিয়ে বলল,
‘আমার কলিজার গায়ে হাত দিয়েছিস। আমার কলিজার গায়ে হাত তুলছিস তোরা ওর শরীর থেকে রক্ত জড়িয়েছিস। নিজেদের মৃত্যু কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিস,তোদের একটাকে আরিশ শাহ আস্ত রাখবো না।’

বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৪