বুকে যে শ্রাবণ তার পর্ব ৪৩

বুকে যে শ্রাবণ তার পর্ব ৪৩
নিশাত জাহান নিশি

“ভাবছি আমাদের বাড়িটা বিক্রি করে দিব! শহরের মধ্যেই তো আমাদের বাড়ি। দশ লাখ প্লাস তো বিক্রি করা যাবেই! মিজানকে বলবি আমাদের কিছু টাকা ধার দিতে? মিশাল ফিরলে সব ধার শোধ করে দিবে।”

আশ্চর্য না হয়ে পারলনা সামান্তা। তব্দা লেগে গেল সে। মানুষ ও গিরগিটির মধ্যে পার্থক্যের কোনো অবকাশ রাখলেননা শাহনাজ বেগম! গিরিগিটিও হয়তো রঙ বদলাতে সময় নেয় সেখানে মানুষ হয়ে এতো দ্রুত রঙ বদলানো কী আদো সম্ভব? ক্রমশ সন্দেহপ্রবন হয়ে ওঠল সামান্তা। কপাল কুঁচকে সে সন্দেহ প্রকাশ করল। তবে মুখে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটালোনা। বরং ধীরস্থির গলায় বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আচ্ছা এ বিষয়ে আমি পরে ভেবে দেখব।”
“বেশি সময় নিসনা যেনো। মিশালের কোনো রকম ক্ষতি যেনো না হয়।”
“হুম আমি খেয়াল রাখব।”
তরতরিয়ে হেঁটে শাহনাজ বেগম প্রস্থান নিলেন। সামান্তা সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল শাহনাজ বেগমের যাওয়ার পথে। কিয়ৎক্ষণ মৌন থেকে অতঃপর ভ্রু কুঁচকালো সামান্তা। বিড়বিড় করে বলল,

“অতি ভক্তি আবার চোরের লক্ষণ নয় তো? রাফিন এর পেছনে কাজ করছেনা তো? আমার কী এই বিষয়টা একটু খতিয়ে দেখা উচিৎ? রাফিনের ভুলটা শুধরানোর জন্যই কী চাচী মিশাল ভাইয়ার প্রতি এতো উদারতা দেখাচ্ছে?”
কিছু মুহূর্ত ভাবনাচিন্তায় কেটে যাওয়ার পর রুমকিকে রুমে একা পেলো সামান্তা। তড়িঘড়ি করে অসুস্থ রুমকির পাশে বসল সে। বেশ তৎপর গলায় রুমকিকে শুধালো,

“আমার একটা হেল্প করতে পারবি?”
“কী হেল্প আপু?”
“রাফিনের নাম্বার আছে তোর কাছে?”
“হঠাৎ রাফিন ভাইয়ার নাম্বার চাইছ কেন?”
“আছে কি-না বল? দরকারটা পরে বলছি।”
“আছে। বাট দরকারটা কী বলো?”

“এখনি কিছু বলতে চাইছিনা তোকে। কাইন্ডলি রাফিনের নাম্বারটা একটু দে।”
সংকোচ নিয়ে রুমকি তার ফোন থেকে রাফিনের নাম্বারটি দিলো। নাম্বারটি পাওয়া মাত্রই সামান্তা রুম থেকে বের হয়ে বাড়ির অন্যপাশে চলে গেল। নিরিবিলি জায়গায়। বহু ভেবেচিন্তে সামান্তা বুকে সাহস রেখে নাম্বারটিতে কল করল। সুইচ অফ এলো ফোনটি। তবুও সামান্তা একের পর এক নাম্বারটিতে কল করতে লাগল। বারংবার ব্যর্থ হয়ে সে ফোন করা থামিয়ে দিলো। বিরক্তিকে কপাল কুঁচকালো। রাগে রি রি করে বলল,

“শিট। রাফিনের সাথে এখন যোগাযোগ করব কীভাবে? তার সাথে কথা না বলা অবধি তো আমার মনের খচখচানি কমবেনা। আমার মন বলছে তার সাথে যোগাযোগ করলে আমি নিশ্চয়ই কোনো না কোনো ক্লু খুঁজে পাব। কিন্তু তার সাথে এখন যোগাযোগ করবটা কীভাবে?”

গভীর চিন্তায় ডুবে গেল সামান্তা। রাফিনের সাথে যোগাযোগের উপায় খুঁজতে লাগল। অতিরিক্ত চিন্তার কারণে রীতিমতো তার মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেল। কপাল ঘঁষে সে চিন্তিত গলায় বলল,

“আমার হাতে এখনও তিনদিন সময় আছে। এই তিনদিনের মধ্যেই আমাকে যে করেই হোক ঠাণ্ডা মাথায় বুঝেশুনে এমনকি কৌশল খাঁটিয়ে মিশাল ভাইয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করে বাইরে বের করার একটি পথ খুঁজতে হবে। কাউকে ইনভলভ করা যাবেনা এতে। যা করতে হবে আমাকে একাই করতে হবে। কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিনা আমি এই মুহূর্তে।”

দুপুর শেষে বিকেল ঘনিয়ে এলো। সারাদিন পর সামান্তা মাত্র গোসল সেরে বাড়ির ড্রইংরুমে এলো। ডাইনিং টেবিলে বসে সদ্য ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ে চুমুক দিলো সে। বিস্কিটের পেয়ালা হাতে নিয়ে সাইফা ডাইনিং টেবিলে সামান্তার সামনে রাখল। সামান্তার পাশের চেয়ারটি টেনে বসল সে। প্রবল আগ্রহ নিয়ে সামান্তার দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,

“আচ্ছা আপু? তোমার কী সত্যিই মনে হয় চাচী তাদের বাড়ি বিক্রি করবে তাও আবার মিশাল ভাইয়াকে ছাড়ানোর জন্য?”
বেশ নিশ্চিন্ত মনে সামান্তা চায়ে বিস্কিট চুবালো। বিস্কিটে একটি কামড় বসিয়ে সে স্বাভাবিক স্বরে বলল,
“বাহ্। এই খবর তোরাও পেয়ে গেছিস?”

“একটু আগেই তো বাবার সাথে তর্ক হচ্ছিল চাচীর। চাচী বলছিল বাড়ি নাকি বিক্রি করবে, ঘুষ দিয়ে মিশাল ভাইকে জেল থেকে বের করবে। কিন্তু বাবা বলছিল যেখানে মিশাল ভাইয়ার কোনো দোষই নেই সেখানে ঘুষের প্রসঙ্গ কেন আসবে? মিশাল ভাইয়াকে বাবা অন্য উপায়ে বের করবে!”

“বাহ্! বাবার সাথে আমার মতামত তবে মিলে গেল! এবার মনে হচ্ছে কিছু একটা ভালো হবে।”
“আমারও তাই মনে হচ্ছে। তবে চাচীকে আমার সন্দেহ হচ্ছে!”
“যেমন? কী সন্দেহ?”

“চাচীর ভালোমানুষি দেখছনা? মনে হচ্ছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে!”
সঙ্গে সঙ্গেই সামান্তা চা খাওয়া থামিয়ে দিলো। চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাড়ালো। দ্রুত গলায় সাইফাকে বলল,
“আমি একটু রুমকির সাথে দেখা করে আসি।”
“আরে আরে চা টা তো খেয়ে যাও। সকাল থেকে না খেয়ে রয়েছ। শরীর খারাপ করবে পরে।”

সাইফার বারণ শুনলনা সামান্তা। দ্রুত পা ফেলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। সোজা মিশালদের বাড়িতে গিয়ে ওঠল৷ রুমকির রুমে প্রবেশ করতে গিয়ে হঠাৎ থেমে গেল। রুমের ভেতর থেকে রুমকির গলার ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পেল! মনে হলো রুমকি লুকিয়ে কারো সাথে কথা বলছে। কান পেতে সামান্তা শুনতে চেষ্টা করল রুমকি কী বলছে। তবে ব্যর্থ হলো। পেছন থেকে হঠাৎ জেনিয়ার আগমন ঘটল! সামান্তাকে পেছন থেকে ভারী গলায় ডেকে বলল,

“সামান্তা আপু তুমি? কখন এলে?”
থতমত খেয়ে গেল সামান্তা। ঝট করে পিছু ফিরে তাকালো। কেঁদেকেটে চোখমুখ ফুলিয়ে রেখেছে জেনিয়া! সেই নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুললনা সামান্তা। কারণ জেনিয়ার কান্নার কারণ সামান্তা জানে। জেনিয়ার কাঁধে আলতো হাত রাখল সামান্তা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

“এভাবে কান্নাকাটি কিংবা ভেঙে পরার কোনো কারণ নেই। মিশাল ভাইয়া খুব দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।”
জেনিয়ার চোখে তখনও ভাসা ভাসা জল। ভরাট গলায় সে বলল,
“এইবারের মতো ফিরে আসুক মিশাল ভাইয়া। আমি আর কখনও তাকে বিরক্ত করবনা! তার আশেপাশে ঘুরবনা। আমি তাকে শুধু খালাতো ভাই হিসেবেই ট্রিট করব। এরচেয়ে বেশি কিছু নয়।”

কাঁদতে কাঁদতে জেনিয়া জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো। রুমকি অনেক আগেই সাবধান হয়ে গিয়েছিল! কথা থামিয়ে সে চুপচাপ খাটের এক কোণায় বসে রইল। তবে তার চোখেমুখে শঙ্কা, অস্পষ্টতা। রুমকির পাশ ঘেঁষে বসল সামান্তা। ধীর গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,

“চাচী কোথায় রে?”
“রুমেই আছে হয়তো।”
“তুই কী এখন সুস্থবোধ করছিস?”
“হ্যাঁ। আগের চেয়ে ভালো।”
“একটু পানি নিয়ে আসবি আমার জন্য?”
“পারবনা কেন? বসো তুমি। আমি নিয়ে আসছি।”

পানি আনতে চলে গেল রুমকি। ঝট করে সামান্তা বালিশের তলা থেকে রুমকির ফোনটি বের করল। রুমকির ফোনের পাসওয়ার্ড আগে থেকেই জানা ছিল সামান্তার। ফোনটি খুলে সামান্তা প্রথমেই কললিস্ট চেক করল। ডিটেলস ঘেঁটে দেখল লাস্ট কল জারিফের ছিল! আর এক মুহূর্তও ব্যয় না করে সামান্তা জারিফের নাম্বারটি কপি করে সামান্তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠিয়ে দিলো! কাজ শেষে ফোনটি সে বালিশের তলায় আবারও সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখল। ইতোমধ্যেই রুমকি পানি নিয়ে রুমে প্রবেশ করল। গ্লাসভর্তি পানি সামান্তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,

“এই নাও পানি।”
শুকনো হেসে সামান্তা গ্লাসটি হাতে নিলো। পানি খাওয়া শেষে সামান্তা মুখ মুছল। রুমকির দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,
“আজ রাতে কী তুই একা ঘুমাবি?”
“হ্যা আপু।”

“না। একা ঘুমানোর প্রয়োজন নেই। জেনিয়াকে সাথে নিয়ে ঘুমাবি নাকি আমি আসব?”
“না না আপু। তার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি একাই ঘুমাতে পারব। প্লিজ তুমি আমাকে নিয়ে অযথা টেনশন করোনা!”

বেশ অস্থিরতা নিয়ে রুমকি কথাগুলো বলল! কথা বলার সময় তার গলাও কাঁপছিল। হাত-পা ও কেমন থুত্থুর করে কাঁপছিল। সামান্তা সন্দেহপ্রবন হয়ে ওঠল। তবে তা প্রকাশ করলনা। প্রসঙ্গ এখানেই কাটিয়ে দিলো সামান্তক। বসা থেকে দাড়িয়ে গেল। আলতো হেসে রুমকিকে বলল,
“ওকে। তুই যা ভালো বুঝিস।”

এই বলে সামান্তা রুমকির রুম থেকে প্রস্থান নিলো। নিজের বাড়ি ফিরে গেল। তড়িঘড়ি করে রুমে প্রবেশ করে সে তার ফোনটি আগে হাতে নিলো। হোয়াটসঅ্যাপ চেক করে জারিফের নাম্বারটি তার ফোনে সেইভ করল। সঙ্গে সঙ্গেই জারিফের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারের সাথে যুক্ত হয়ে গেল সামান্তা। জারিফকে কল দিতে গিয়েও সে থেমে গেল। শুধু জারিফের প্রোফাইলে থাকা ছবিটি সে খেয়াল করল।

জারিফের ফেইস মার্ক সে প্রথমেই জারিফের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সার্চ করল। রুমকির মিউচুয়াল ফ্রেন্ড হিসেবে জারিফের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি তার সামনে এলো। প্রোফাইল ঘেঁটে শকড হয়ে গেল সামান্তা। টুটুল চৌধুরীর সাথে প্রায় অধিকাংশ ছবিই আপলোড করা জারিফের! ক্যাপশন দেখে বুঝতে পারল জারিফ ও টুটুল চৌধুরী কাজিন! যদিও দুঃসম্পর্কের কাজিন তবে দুজনের মধ্যে বেশ গলায় গলায় ভাব।
আতঙ্কিত হয়ে ওঠল সামান্তা। কোমরে এক হাত গুজে কপাল ঘঁষতে লাগল সে। চোখ জোড়া বুজে চিন্তিত গলায় বলল,

“তবে কী জারিফও এইসবের সাথে সম্পৃক্ত? রুমকি কেন আবার জারিফের সাথে যোগাযোগ করছে? কী কথা বলছিল সে জারিফের সাথে? রুমকি আবার এসবের সাথে যুক্ত নয় তো?”
প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত সামান্তা। মাথায় টনটনে ব্যথা শুরু হলো তার। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিজেকে রিলাক্স করতে চাইল সামান্তা। তবে এরমধ্যেই সে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুমিয়ে পরল।

সন্ধ্যায় নাশতা দেওয়া হলো সাহিলকে। চা, কেক, বিস্কিট ও কলা। মিশালকে দেওয়া হলো শুধু গরম পানি! যদিও এখনও আধমরা হয়ে পরে আছে মিশাল। শুধুমাত্র হাত-পা নাড়ানো ছাড়া জায়গা থেকে ওঠে বসা কিংবা দাঁড়ানো এসব সম্ভব হচ্ছেনা তার দ্বারা। শরীরে শক্তি, পেটে খাবার কিছুই নেই তার।

মিশালের দিকে তাকিয়ে সাহিলের পেটে খাবার যাচ্ছেনা। সেও মিশালের মতো অভুক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে। আর কিছুক্ষণ পর পর মিশালকে ডাকছে। হ্যাঁ, হু করা ছাড়া আর কোনো রেসপন্স নেই তার। সঙ্গে শুকনো কাশিও রয়েছে। মিশালকে শেষবারের মতো ডাকল সাহিল। ইতোমধ্যেই মিশাল করুন আকুতিভরা কণ্ঠে সাহিলকে বলল,

“আমার খুব পিপাসা পেয়েছে ভাইয়া। কাউকে একটু বলবা আমাকে পানি দিতে?”
ছটফট করে ওঠল সাহিল। মিশালের করুন আকুতি তার হৃদয় বিগলিত করে দিলো। সেলের লোহার শিক গুলোকে সাহিল ইচ্ছেমতো ঝাকাতে লাগল। জোরে চ্যাচিয়ে বলল,

“কেউ আছেন? আমার ভাইয়ের পিপাসা পেয়েছে। প্লিজ তার জন্য একটু ঠান্ডা পানি নিয়ে আসুন।”
কারো কোনো সাড়া শব্দ নেই। কেউ এগিয়ে এলোনা সাহিলের ডাক শুনে। ব্যর্থ হয়ে সাহিল সেলের লোহার শিকে জোরে একটু ঘুঁষি মারল। দুঃখ ভরা গলায় চিৎকার করে বলল,
“সামান্য পানির জন্য আমার ভাইকে এতো কষ্ট পেতে হচ্ছে? বড়ো ভাই হয়েও আমি আমার ভাইয়ের জন্য কিছু করতে পারছিনা। খুব হেল্পলেস মনে হচ্ছে নিজেকে!”

সাহিলের আর্তনাদ শুনে চোখ বুজেই হেয়ো হাসল মিশাল। ক্লেশভরা গলায় বিড়বিড় করে বলল,
“ডোন্ট বি স্যাড ভাইয়া। রাস্তার পাশে থাকা একটা কুকুরের জীবনের যতোটা মূল্য আছে, আমার জীবনের সেই মূল্যটুকুও নেই!”

গভীর ঘুমে মগ্ন সামান্তা। সেই সর্বনাশা ঘুম ভাঙল তার রাত বারোটার পর! ঘুম ভেঙে ওঠেই সে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থতমতিয়ে ওঠল। নিজের ওপর নিজেই চটে গেল। ফোনটি হাতে নিয়ে সামান্তা হুড়োহুড়ি করে তার রুম থেকে বের হয়ে গেল। উদ্দেশ্য মিশালদের বাড়ি। রুমকিকে আজ এবং এই মুহূর্ত থেকে তাকে চোখে চোখে রাখতে হবে। কেমন যেনো সন্দেহ হচ্ছে রুমকিকে তার!

বাড়ির মেইন গেইট থেকে বের হয়ে সামান্তা রাস্তার দিকে এগুতেই হঠাৎ দেখল রুমকি রিকশায় ওঠছে! আর এক মুহূর্ত দেরি করলনা সামান্তা। রুমকিকে ফলো করার জন্য সে একটি রিকশা নিলো। বলল সামনের রিকশাটিকে ফলো করতে।

বুকে যে শ্রাবণ তার পর্ব ৪২

ফোনের কভারের পিছনটা হাতিয়ে দেখল শ’খানিক টাকা আছে সেখানে। তাই পিছু ফিরে তাকাতে হলোনা তার। রিকশাওয়ালাকে চ্যাচিয়ে সে বলল,
“দ্রুত গাড়ি চালান। যে করেই হোক সামনের রিকশাটিকে ফলো করতে হবে আমাদের।”

বুকে যে শ্রাবণ তার পর্ব ৪৪