বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ গল্পের লিংক || নিশাত জাহান নিশি

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ১
নিশাত জাহান নিশি

চোখের সামনে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষটিকে দেখামাত্রই গ্লাসভর্তি গরম দুধ তার গাঁয়ে ঢেলে দিলো “মিশাল!” মুহূর্তেই থুতনি, গলা ও ঘাঁড় জ্বলে ওঠল “সামান্তার।” তবুও ক্ষান্ত হলোনা মিশাল। সামান্তার গলার টুটি চেপে ধরল পরক্ষণেই। চোয়াল উঁচিয়ে শাণিত গলায় বলল,

“কেন এসেছিস তুই এখানে? কাঁটা গাঁয়ে নুনের ছিঁটে দিতে? তোর বর কি তোকে বিছানায় খুশি করতে পারছেনা? তাই আমার সাথে ঢলাঢলি করতে এসেছিস? এই কয়জন লাগে তোর, কয়জন লাগে?”
নেত্রযুগলে সামান্তার অফুরন্ত জলের ছড়াছড়ি। অবাক, বিস্মিত ও বিমূঢ় দৃষ্টিতে সে এক অন্য মিশালকে অবলোকন করছে। পলকহীন দৃষ্টিতে কেবল চেয়েই রয়েছে। যদিও মিশাল তার জায়গায় পুরোপুরি যথার্থ! তবুও মন মানছেনা সামান্তার।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মিশালের চোখে তো সে এই জীবদ্দশায় তার জন্য ঘৃণা, বিদ্বেষ বা ক্ষোভ দেখতে চায়নি। কিন্তু পরিস্থিতির রোষানলে পরে তাকে আজ তাই দেখতে হচ্ছে। মুখ খুলে টু শব্দটি করলনা সামান্তা। মিশালকে একদফা অবাক করে দিয়ে সে চোখে জল নিয়েও মলিন হাসল। এই হাসিই যেন মিশালের বিরুদ্ধে তার নীরব প্রতিবাদ! ইতোমধ্যেই সাহিলের আগমন ঘটল মৃদু অন্ধারাচ্ছন্ন মিশালের অগোছালো রুমটিতে।

ঝট করেই সামান্তার গলা ছেড়ে দাড়ালো মিশাল। সামান্তাও চোখের জল মুছে মাথা নুইয়ে দাড়িয়ে পরল। দুজনের অপ্রস্তুত অবস্থা ও মেঝেতে টুকরো টুকরো হওয়া কাঁচের গ্লাস দেখে সাহিলের বুঝতে সময় ব্যয় করতে হলোনা যে তার অগোচরে এখানে কি কি ঘটে গেছে। পরিস্থিতি বুঝে গলা ঝাকালো সাহিল। শার্টের কলারে থাকা টাইটি টানতে টানতে সে কিঞ্চিৎ মনোক্ষুণ্ণ গলায় সামান্তাকে বলল,

“মা তোকে ডাকছে সামান্তা। এক্ষুণি যেতে বলেছে।”
“যাচ্ছি।”
ভাঙা কাঁচগুলো খুব সতর্কতার সহিত মেঝে থেকে তুলল সামান্তা। রুম থেকে প্রস্থান নেওয়ার পূর্বে শেষবারের মতো মিশালের দিকে একদফা ফিরে তাকালো। তবে তার মন মতো কিছুই ঘটলনা। মিশাল তো তার দিকে ফিরেও তাকালোনা বরং তার যাওয়ার পথে থুঃথুঃ ছিটালো। হেয়ো হাসল সামান্তা। চোখেমুখে যেনো তার বিস্তর রহস্যের ইন্দ্রাজাল। অবিলম্বে রুম থেকে প্রস্থান নিলো সে। ক্লান্ত সাহিল। উস্কো খুসকো চুল, অফিসের পোষাক পরিধেয়। প্যান্টের দু’পকেটে হাত দুটো গুজল সে। ক্ষিপ্ত মিশালের মুখোমুখি দাড়ালো। নেহাতই নম্র ভদ্র গলায় বলল,

“দেখ মিশাল। সামান্তা এখন আমার বিয়ে করা বৌ! তোর বড়ো ভাইয়ের বৌ। তুই যখন তখন যেভাবে খুশি তার সাথে ব্যবহার করতে পারিসনা। আমি জানি সামান্তাকে ভাবি হিসেবে গ্রহণ করতে তোর প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হবে। বাট ধীরে ধীরে কিন্তু তা মানিয়ে নিতে হবে। যেমনটা আমার প্রথমে সামান্তাকে বৌ হিসেবে মানিয়ে নিতে বেশ সময় লেগেছিল! কি করবি বল? নিয়তির লিখন এটাই ছিল।”

নাক ঘঁষল মিশাল। উগ্রতা নিয়ে সাহিলের গাঁয়ের সাথে চিপকে দাড়ালো। সাহিলের বুকের পাঁজর বরাবর একের পর এক আঙুল ঠেকিয়ে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় মাথা ঝাকাতে ঝাকাতে বলল,
“হেই লিসেন? তোমার মতো ‘বেঈমানকে’ ভাই ও তার মতো ‘ছলনাময়ীকে’ ভাবি হিসেবে গ্রহণ করতে আমার বয়ে গেছে! তোমরা দুজন আমার জীবনে কোনো গুরুত্বই বহন করোনা। জাস্ট নাথিং। সম্ভব হলে তোমাদের দুজনকে আমি একস মা’র্ডা’র করতাম! নেক্সট টাইম আমার বাড়িতে যেনো তোমাদের ছায়াটিও দেখতে না পাই আমি। জাস্ট গেট আউট ফ্রম হেয়ার। ইউ ব্লা’ডি, বি’চ।”

গাঁয়ের জোরে সাহিলকে ধাক্কা মেরে মিশাল হ্যাঙার থেকে একটি শার্ট নিয়ে শো শো বেগে রুম থেকে বের হয়ে গেল। অভ্যেস অনুযায়ী মাথায় হাত দিয়ে দেখল মাথার খোঁচা খোঁচা চুলগুলো এখনও বড়ো হয়নি! তবে মাথায় থাকা সেলাইয়ের দাগগুলো এখনও তার হাতের তালুতে লাগছে! বোকা বনে গেল সাহিল। আশ্চর্যের বিষয় হলো মিশালের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদই করলনা সাহিল। বাড়িভর্তি মানুষ আজ। সবাই বেশ হাসিখুশি।

আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত বাড়ির সকল সদস্যের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মিশাল সদর দরোজা পার হতেই পেছন থেকে দৌড়ে এসে রুমকি মিশালের ডান হাতটি টেনে ধরল। লাল শাড়ি পরিহিতা রুমকি মাথায় মস্ত বড়ো এক ঘোমটা টেনে দাড়ালো মিশালের সম্মুখে। সাজগোজ করা অবস্থায় লাল টুকটুকে বৌয়ের মতো লাগছে তাকে। মিশালের মন ভালো হতে শুরু করল। রুমকির ঠোঁটের প্রশ্বস্ত হাসি দেখে। বড়ো বড়ো কয়েক দফা শ্বাস ফেলল রুমকি। হরদমে কাকুতিভরা গলায় নারাজ মিশালকে বলল,

“কোথায় যাচ্ছ ভাইয়া? একটু পরেই তো পাত্রপক্ষ আমাকে দেখতে আসবে। তুমি থাকবে না বলো?”
“বাড়ির অন্যান্য মুরুব্বিরা তো আছেই। তারা থাকতে আমার প্রয়োজন কি?”
“তুমি এসব কি বলছ ভাইয়া? তুমিতো আমার বড়ো ভাই, যাকে আমি বাবার মতো ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি। তুমি না থাকলে হবে?”
তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল মিশাল। হেয়ো গলায় বলল,

“তোর মা, চাচা, ফুফু তাঁরা তো আছেই। কারো কোনো শুভ কাজে আমি থাকতে চাইনা। আই হোপ তুই বুঝতে পেরেছিস আমি কি বলতে চাইছি?”
“তাঁরা কি শুধু আমারই মা, চাচা, ফুফু? তোমার কেউ হয়না?”
“না! পৃথিবীতে আমি এসেছি একা, যাবও একা। এর আগে পিছে আমার কেউ কখনও ছিল, না এখন আছে! আপন মানুষরাই আমার পেছনে বরাবর ছু’রি মে’রে’ছে। তাছাড়া আজকাল এই বাড়িতে থাকতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। দু-দুটো বিষধর সাপ আছে কিনা এই বাড়িতে!”

পূর্বের ন্যায় মনে ক্ষোভ পুষে মিশাল রুমকির হাতটি ছাড়িয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ির ত্রিসীমানা পার হয়ে গেল। বিমর্ষ চিত্তে রুমকি মিশালকে পেছন থেকে ডাকতে গিয়েও থেমে গেল। মিশালকে পিছু ডেকে আর লাভ নেই, বুঝা হয়ে গেছে তার। বেঁচে থাকতে বুঝি মিশালের হাসিমুখ আর কেউ দেখতে পাবেনা। ইতোমধ্যেই পেছন থেকে রুমকির কাঁধে হাত রাখল সামান্তা। মিহি কণ্ঠে বলল,
“আর ডাকিসনা তাকে। ফিরবে না সে।”

“তুমিই তো তার ফেরার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছ আপু! অন্যায় করেছ তুমি আমার ভাইয়ার সাথে। তোমরা সবাই মিলে আমার ভাইয়াকে ঠকিয়েছ। একটা এতিম ছেলেকে ঠকিয়েছ। কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কখনও সুখী হতে পারেনা আপু। তুমিও সুখী হতে পারবেনা! আমার ভাইয়ার হয়ে আমি তোমাকে অভিশাপ দিলাম। জীবনভর এক কাপড়ে ঘুরে বেড়াতে হবে তোমাকে!”

অশ্রুবিজরিত মুখমণ্ডলে মনের সমস্ত ক্ষোভ ঝেরে রুমকি জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো। নির্বিকার সামান্তা, ব্যথীত, ক্লান্ত। ভেতরটা তার দুঃখে কাতর। চোখের কার্ণিশে নোনাজল। কেবল নিথর গলায় রুমকির যাওয়ার পথে তাকিয়ে বলল,
“তোর এই অভিশাপ আমার জীবনে মঙ্গল ডেকে আনুক রুমকি। আমিও যে চাই এক কাপড়ে ঘুরে বেড়াতে! সাদা রং তো এমনিতেও আমার প্রিয়!”

ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত। জনমানবশূন্য জনপদ। মাঝে মাঝে দু-একটি বড়ো গাড়ি চলাচল করছে রাস্তায়। নীরবতায় কেমন যেন শন শন শব্দ হচ্ছে। গম্ভীর পরিবেশ বিরাজমান। গভীর রাত হয়েছে বেশ ভালোই টের পাওয়া যাচ্ছে। ল্যাম্পপোস্টের একটি লাইট টিমটিম করে একবার জ্বলছে তো নিভছে। রাস্তার দুটো কুকুর মিশালকে স্বচক্ষে দেখা মাত্রই ঘেউ ঘেউ করে উচ্চশব্দে ডেকে ওঠল। দৌঁড়ে এসে তারা মিশালের দুপাশে দাঁড়ালো।

তাদের হাবভাব দেখে মনে হলো মিশাল বুঝি তাদের অতি পরিচিত কেউ। রোজ তাদের সাথে দেখা হয়, আলাপ হয়, দু-একটা সুখ দুঃখের কথা মন খুলে বলা হয়। আচমকা মিশালের হাতের দিকে তাকাতেই তারা রীতিমত নিরাশ হয়ে গেলো। মাথা নুইয়ে নিলো। তবুও মিশালকে ছেড়ে গেলনা!

ঘেউ ঘেউ করে পুনরায় তারা ডেকে ওঠল। তাদের ভাষায় মিশালকে বুঝালো তাদের পাশে বসতে। শুকনো হাসল মিশাল। তাদের ইশারা বুঝে পাশে বসল তাদের। শরীর এলিয়ে দিয়ে মিশালের দু হাঁটুতে তারা লুটোপুটি খেতে লাগল। মিশালকে পেয়ে যে তারা মহাখুশি তা তাদের কার্যকলাপ দেখেই বেশ বুঝা যাচ্ছিল। অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস ফেলল মিশাল। তাদের মাথায় হাত বুলালো। বেশ দুঃখীত ও আক্ষেপভরা গলায় বলল,

“আজ তোদের জন্য খাবার আনা হয়নি রে। মন মেজাজ একদম ভালো ছিলনা। কিভাবে ভালো থাকবে বল? ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে কি কখনও ধোঁকা আশা করা যায়? আমার শখের নারী এখন অন্য কারো জীবনসঙ্গী। ভাবলেই তো দুনিয়াটা আমার অন্ধকার হয়ে আসে। বুকের বাঁ পাশটা থেমে যায়। তোদের বুঝাতে পারবনা কি ভীষণ যন্ত্রণা হয় বুকে। তোরা দুজন দুজনকে কখনও ছেড়ে যাবিনা প্লিজ। মৃত্যু ব্যতীত কেউ যেনো তোদের আলাদা করতে না পারে। বিচ্ছেদের জ্বালা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জ্বালা।”

ল্যাম্পপোস্টের মিহি আলোয় মিশালের অশ্রুসিক্ত চোখের দিকে তাকিয়ে রইল কুকুর দুটো। বোবা প্রাণি, শোনে কম, তবে বুঝে বেশি! তাদের হাবভাব দেখে মনে হলো তারাও মিশালের দুঃখে সমব্যথী! মিশালকে আশ্বাস দিতে তারা মিশালের গাঁ চাটতে লাগল। মিশালকে নিয়ে রাস্তায় শুয়ে পরল তারা। হাসতে লাগল মিশাল। জোরে জোরে হাসতে লাগল। চিৎকার করে বলল,

“তোদের মতো বিশ্বস্ত ও স্বার্থহীন জীবজন্তু আছে বলেই আমার মতো অনেক ভবঘুরে মিশাল প্রাণ খুলে হাসতে পারছে, বাঁচতে পারছে। আমার বেঁচে থাকার জন্য তোরাই যথেষ্ট। মিশাল এই জীবনে আর কোনো মানুষ জাতিকে বিশ্বাস করতে পারবেনা। তার জীবনে আর কখনও কোনো শখের নারী আসবেনা!”

প্রতিদিনকার ন্যায় সাহিল আজও এই গভীর রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরল। সামান্তা তড়িঘড়ি করে রুমের দরোজা খুলে দিলো। ইতোমধ্যেই ঠাস করে সামান্তার গালে কড়া একটি চ’ড় পরল! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সাহিল ঢলতে ঢলতে উগ্র গলায় সামান্তাকে বলল,

“কেন এসেছিস তুই আমার সামনে? তোর মতো বিচ্ছিরি দেখতে একটা মেয়েকে আমি বিয়ে করেছি ভাবতেই গাঁ কেমন ঘিন ঘিন করছে! এসিড বিক্ষিপ্ত রোগীদের মতো কুচকানো মুখের এক পাশ, সমস্ত শরীর জুড়ে সেলাইয়ের দাগ! মানতে পারছিনা আমি তোকে। সরে যা তুই আমার সামনে থেকে! আমার তো মনে হয় মিশালও এখন তোকে মানবেনা! দেখছিস না জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আসার পর থেকেই তোর সাথে কেমন রুড বিহেভ করছে? পুরুষ তো কেবল রূপেই মজে রে। সেই রূপ কি এখন তোর আছে?”

সামান্তাকে এক ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দিলো সাহিল। সশব্দে রুমের দরোজাটি বন্ধ করে চিৎকার করে বলল,
“খুব দ্রুত আমি জেনিয়াকে বিয়ে করছি! তোর চোখের সামনে আমি জেনিয়াকে নিয়ে সংসার করব। নেহাত সেদিন মা ও মামা বাধ্য করেছিল বলে তোকে আমি বিয়ে করেছিলাম। নয়তো তোর মতো একটা বিশ্রী দেখতে মেয়েকে কে বিয়ে করে? তুই এখন আর আগের সামান্তা নেই! আমার তো জেনিয়াকে চাই! শুধু জেনিয়াকে চাই!”

এতো শতো অকথিত অপমান ও মারধর সহ্য করার পরেও সামান্তা বিরূপ কোনো প্রতিক্রিয়া করলনা! তার মুখের রঙও একটুখানি পরিবর্তন হলোনা। বরং জায়গায় ঠায় দাড়িয়ে রইল। ঘণ্টা খানিক পূর্বে মিশালদের বাড়ি থেকে তার ফুফু অর্থাৎ শ্বাশুড়িমাকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছে সে। ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে যাচ্ছিল এখন। এরমধ্যেই ঘটে গেল এই কান্ড। যা প্রতিদিন প্রতি রাত হয়!

ভাবশূণ্য, নির্জীব ও নিথর সামান্তা। আলুথালু পায়ে হেঁটে বাড়ির ছাদে গেল। বেশ বাতাস বইছে বাহিরে। হিমশীতল আবহাওয়া। মুহূর্তেই শরীর কাঁপুনি দিয়ে ওঠল তার। দোলনায় চুপটি করে বসল সে। আকাশে বিরাজমান অর্ধচন্দ্রের দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। নির্মল চাঁদের পানে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর আচমকা ভেতর থেকে ক্রমশ চাঁপা আর্তনাদ বের হতে লাগল তার। মাথার চুল টেনে ধরল সে। চিৎকার করে বলল,

“কেন আমার সাথে এমন করলে মাবুদ কেন? কেন আমাদের জীবনটাকে এভাবে ধ্বংস করে দিলে? একজনকে রাস্তায় রাস্তায় কুকুরের মতো ঘুরাচ্ছ। আর আমাকে বানালে তার কাছে পৃথিবীর নিকৃষ্ট নারী! আমি তো এমন জীবন চাইনি মাবুদ। এতো বড়ো এক্সিডেন্টের পরেও সেদিন কেন আমার মৃত্যু ঘটলনা? কেন আজও আমাকে বেঁচে থেকেও মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটছট করতে হচ্ছে? কেন?”

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ২