বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ৫০

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ৫০
ইলমা বেহরোজ

সকালের সূর্য মাথার উপর চলে এসেছে। জেম্বা নতজানু হয়ে বসে আছে। মুখ তুলে তাকানোর সাহস নেই। একদিকে বিভোর,অন্যদিকে ধারা। দু’টি প্রাণ শেষ হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে তা দেখার ক্ষমতা তার দুটি চোখের নেই। ধারার আর্তচিৎকার শোনা যাচ্ছে। জেম্বা চোখতুলে তাকায় ধারার দিকে। ধারা নিজেকে নিজে আহত করে চলেছে। নিজের দাতের দাগ নিজের হাতে বসাচ্ছে! জেম্বার ইচ্ছে হচ্ছেনা গিয়ে আটকাতে।মিনিট কয়েকের মধ্যে ধারাও বিভোরের মতো ছটফট করে চলে যাবে… ওপারে।
বিভোর কি চলে গেছে ওপারে? মনে হতেই জেম্বার চোখ দুটি দ্রুত ক্রিভাসের ওপাড়ে চলে যায়।তখনি কেউ ডাকে ‘জেম্বা ‘ বলে। জেম্বার সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠে।কে এসেছে? দ্রুত ডাক অনুসরণ করে বাম দিকে তাকায়।অস্ফুট ভাবে বিড়বিড় করে,
— “গরজ!”

জেম্বার শরীর কেঁপে উঠে,শক্ত হয়ে পড়ে। বসা থেকে সোজা হয়ে না দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাসের গতিতে গরজের দিকে দৌড়ায়।গরজের কাঁধে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার গুলো ভীষণ ভাবে আকর্ষণ করছে জেম্বাকে।গরজের সাথে কোনো রকম কথা না বলে তার কাঁধ থেকে ছিনতাইকারীর মতো ছিনিয়ে নেয় দুটি সিলিন্ডার। এরপর আবার উল্টো দৌড়িয়ে আসে।ধারার হাতে একটা সিলিন্ডার দিয়ে বলে,
— “বেভোরের কিছু হয়নি।কিছু হবেনা।তুমি দ্রুত অক্সিজেন নাও…..
কথা শেষ করেই জেম্বা মইয়ে উঠে।দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করে।মই গড়গড় আওয়াজ তুলছে।তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই জেম্বার।বাঁচাতে হবে।একজনকে তার বাঁচাতে হবে।ধারা জেম্বার কথা শুনে বরফের মতো শক্ত হয়ে পড়ে।বিভোরের কিছু হয়নি..!ধারা স্তব্ধ হয়ে জেম্বার দিকে তাকিয়ে থাকে। জেম্বা জীবন ঝুঁকি নিয়ে দ্রুত পায়ে মই পার হয়।এরপর দৌড়ে এসে বিভোরকে মাস্ক লাগিয়ে দিয়ে বলে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

— ” বেভোর অক্সিজেন টানার চেষ্টা করো।তোমার হাতে কম হলেও কয়েক সেকেন্ড আছে।চেষ্টা করো…
বিভোর শ্বাস নেয় বড় করে।মুহূর্তে ভেতরটা শীতলতায় ভরে যায়।শরীরের পশম দাঁড়িয়ে পড়ে।কয়েক সেকেন্ড দ্রুত গতিতে কয়েকবার শ্বাস নেয়।এরপর চোখ খোলার শক্তি আসে।পিটপিট করে চোখ খুলে।জেম্বা হেসে ধারার দিকে তাকায়।জোরে বলে,
— “বেঁচে আছে।”
ধারার রগে রগে শিরশিরে বাতাস বয়ে যায়।নিস্তেজ হয়ে আসে শরীর।শুয়ে পড়ে সেখানেই।ওলট-পালট হয়ে যাওয়া পৃথিবীটা হুট করে গোছানো হয়ে গেলে

অনুভূতি গুলো কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়ে।ধারার অনুভূতি কাজ করছেনা।ততক্ষণে গরজ, রধবি বিভোরের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।রধবি যে এসেছে জেম্বা খেয়ালই করেনি।বিভোর পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে জেম্বার দিকে। কেটে যায় আরো মিনিট দুয়েক। ধারা উঠে বসেছে। অক্সিজেন মাস্ক খুলে বিভোরকে পানি খাইয়ে দেয় জেম্বা।এরপর আবার অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে কাঁধে তুলে নেয়।প্রায় দশ মিনিট সময় নিয়ে মই পার হয়।মইয়ের নড়বড়ে অবস্থা।বেশিদিন টিকবেনা এই মই।ধারার সামনে বিভোরকে নিয়ে দাঁড়াতেই ধারা মুখ ঢেকে হাউমাউ করে কাঁদা শুরু করে।বিভোরের কানে তীক্ষ্ণ সূচের মতো বিঁধছে সেই কান্না।কিন্তু কথা বলার শক্তি পাচ্ছেনা।শরীরের অঙ্গগুলো কাজ করতে সময় লাগবে। গরজ ধারাকে তুলে দাঁড় করায়। ধারা চোখ বুজে কেঁদেই চলেছে।জেম্বা বলে,

— ” কান্না থামিয়ে বিভোরকে দেখ, তোমার দিকে তাকিয়ে আছে।”
ধারা সাহস পাচ্ছেনা তাকাতে।মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছে সে।চোখ খুলে তাকালেই বিভোর হারিয়ে যাবে।জেম্বা আবারো তাড়া দেয়।ধারা কান্না থামায়।এরপর চোখ তুলে তাকায়।বিভোরের অশ্রুসিক্ত চোখ দু’টি তাকিয়ে আছে।কিছু মুহূর্ত আগেই তো মনে হয়েছিল আর তার দিকে তাকাবেনা এই দুটি চোখ।খুশিতে ধারা আবারো কেঁদে ফেলে।জেম্বা বলে,
— “কাঁদা শেষ হবে কবে? আমাদের তো যেতে হবে ধারা।”
যাওয়ার কথা শুনে ধারা দ্রুত চোখের পানি মুছে।কান্না থামায়।বিভোরের খুব ক্লান্ত লাগছে।চোখ খোলা রাখতে পারছেনা।চোখ বুজে।গরজ, জেম্বা হাঁটা শুরু করে। জেম্বার কাঁধে বিভোর।তার পিছনে ধারা।ধারার পিছনে গরজ আর রধবি।

ঘন্টা কয়েক সময় নিয়ে ক্যাম্প – ২ এ পৌঁছে ওরা।রাস্তাটা খুব সহজ মনে হচ্ছে যেনো।শেষ ত্রিশ মিনিট বিভোর হেঁটে এসেছে জেম্বাকে ধরে ধরে।ক্যাম্প – ২ এ তাঁবু টানিয়ে নেওয়া হয়।আজ রাতটা এখানে থাকা হবে।বিভোরের শরীরে গঠনের দিক দিয়ে একজন সুপুরুষ বটে।তাকে বেসক্যাম্প অবধি জেম্বা বা গরজ কেউই কাঁধে করে নিয়ে যেতে পারবে না। রধবি দ্রুত হরলিক্স করে।এরপর স্যুপ।সাথে বিস্কুট।এরপর রান্না বসায়। জেম্বা তাঁবুতে সটান হয়ে শুয়ে আছে।বুকটা হালকা লাগছে খুব।গরজ তাঁবুতে ঢুকতেই জেম্বা প্রশ্ন ছুঁড়লো,

— “অক্সিজেন সিলিন্ডার যদি না নিয়ে আসতে কি যে হতো!”
উত্তরে গরজ হাসে।কয়েক সেকেন্ড পর বলে,
— “তোমরা যখন এভারেস্ট চূড়ায় উঠো তখনি সেই খবর বেসক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে।আমার কানে খবর টা আসতেই রধবিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। সাথে নেই অক্সিজেন সিলিন্ডার।”
— “অক্সিজেন সিলিন্ডার নেওয়ার বুদ্ধিটা কেনো এসেছিল মাথায়?”
— “দূর্যোগে অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে ফলে অক্সিজেনের অভাব ঘটতেই পারে।এটা স্বাভাবিক। এজন্যই নিয়ে এসেছিলাম তিনটা সিলিন্ডার।”

— “তোমার উপস্থিতি বুদ্ধি দু’টি জীবন বাঁচালো।”
গরজ তৃপ্তি নিয়ে হাসলো।এরপর প্রশ্ন করলো,
— “আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি?”
— “হুম।”
— “দূর্যোগে তো ওত সময় নষ্ট হয়নি।কম হলেও তো ক্যাম্প – ৩ কিছুটা পার হওয়ার কথা ছিল হিসেব মতে।”
— “বেভোরের সিলিন্ডারে কেউ ছিদ্র করেছিল।তাই এই সংকট। ”
গরজ বড় চোখ করে তাকায়।জেম্বা বলে,
— “তবে কে করেছিল জানিনা আমরা কেউই।”

স্লিপিং ব্যাগে বিভোর চোখ বুজে শুয়ে আছে।ধারা তার রক্তমাখা ঠোঁটে চুমু খায়।এরপর তুলো দিয়ে রক্ত মুছে দেয় কান, গলা, বুক, নাক থেকে।প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে নাক, মুখ দিয়ে।ভাবতেই কষ্টে বুকটা চৌচির হয়ে যাচ্ছে ধারার।বিকেলের দিকে বিভোর চোখ খুলে। ধীরে ধীরে উঠে বসে।ধারা বাইরে গিয়েছিল রান্না কতদূর দেখতে।এখানে রান্না করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।অনেক উপরে তো।ভাগ্যিস দিনটার আবহাওয়া অনেক ভালো।বিভোর ভাঙা গলায় ডাকে,

— “ধারা….”
তাঁবুর পাশেই রান্না হচ্ছে।বিভোরের কন্ঠস্বর শুনে ধারা সচকিত হয়।কতক্ষণ পর কন্ঠ শুনলো!দৌড়ে আসে তাঁবুতে।বিভোরের সামনে বসে বললো,
— ” ক্ষুধা লাগছে?”
বিভোর জবাব না দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে ধারার হাতের দিকে।ধারা বিভোরের দৃষ্টি অনুসরণ করে নিজের হাতের দিকে তাকায়।কামড়ের দাগ!রক্ত জমাট বেঁধে আছে।পুরো হাত জুড়ে দাগ।দ্রুত লুকিয়ে ফেলে হাত।বিভোর শিওর এখন বকবে।বিভোর ধারার হাত দু’টি জোর করে নিজের হাতের মুঠোয় নেয়।এরপর প্রশ্ন করে,

— “কি করে হলো?”
ধারা দৃষ্টি অস্থির রেখে বললো,
— “কামড়িয়েছি।”
বিভোর চোখ গরম করে বলে,
— “কখন?কেনো?”
— “দূর বাদ দেও।”
— “প্রশ্ন করছিনা?”
ধারা দৃষ্টি নিচে রাখে কিছুক্ষণ।এরপর ঠোঁট চেপে কান্না আটকায়। চোখের জল গড়িয়ে পড়ে। বলে,

— “ছেড়ে তো চলে যাচ্ছিলে।তাই…তাই কি হয়ে গিয়েছিল আমার।হাত কামড়িয়েছি।শেষ!”
বিভোর তৃষ্ণার্থের মতো পলকহীন ভাবে ধারার দিকে তাকিয়ে থাকে অনেক্ষণ।চোখ নামিয়ে কাঁদছে ধারা।ঠোঁট দুটি কাঁপছে।বার বার হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে নাক ঘষছে।চোখের জল মুছছে।ঠান্ডায় গায়ের রং ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে।আচমকা বিভোর ধারাকে টেনে বুকে নিয়ে আসে।শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। ধারা আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব। যখন বুঝতে পারলো নিজেও জড়িয়ে ধরে।শরীরে উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ছে।ধারার অনুভব হয় বিভোরের শরীর কাঁপছে।কাঁদছে বিভোর!ধারা প্রশ্ন করে,
— “কাঁদছো তুমি? কেনো কাঁদছো?”

বিভোর কোনো জবাব দিলোনা।শরীরের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে ধারাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই চলেছে।নিঃশব্দ সেই কান্না।ধারা পিঠে ব্যাথা পাচ্ছে তবুও না করলোনা।বিভোর এভাবে কখনো কাঁদেনি।আজ যখন কাঁদছে কাঁদুক।ধারা বিভোরের পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়।ক্ষণ কিছু পর বিভোর বাঁধন আলগা করে দেয়।ধারার চোখের দিকে একবার তাকায়।এরপর ঠোঁটের দিকে তাকায়।সময় না নিয়েই ঠোঁটে ডুবে।একসময় ধারা ঠেলে সরায় বিভোরকে। এরপর বলে,
— “উফ!শ্বাস নিতে পারছিলামনা।মরেই যেতাম।”
বিভোর হেসে ফেলে।ধারার কপালে চুমু দিয়ে বলে,

— “পাগলি।”
সন্ধ্যার পর বিভোর বের হয়। জেম্বা,রধবি, গরজ বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল।বিভোর তিনজনকে জড়িয়ে ধরে কৃতজ্ঞতা জানায়।বলে,
— “এই ঋণ কেমনে শোধ হবে। ”
জেম্বা বিভোরের পিঠ চাপড়ে বলে,
— “আমার হয়ে প্রার্থনা করবে একটা।যদি সেটা পূরণ হয় তবেই ঋণ শোধ হবে?”
বিভোর অবাক হয়।প্রার্থনা দিয়ে ঋণ শোধ!প্রশ্ন করে,
— “কি প্রার্থনা? ”
জেম্বা বললো,
— “প্রার্থনা করবে প্রভু যেনো তোমায় একটা ছেলে দেয় ঠিক তোমার মতোন।এবং সে যেন এভারেস্ট অভিযাত্রী হয়।আর অবশ্যই তার শেরপা যেন আমি হতে পারি।সেটুকু বয়স যেনো প্রভু দেন।”
বিভোর হাসে।বলে,

— “ফিরে এক মাসের মধ্যে বউ ঘরে তুলবো।এরপরের দশ মাস পরেই আমার ছেলে পেয়ে যাবে।যদি আল্লাহ দেন ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এই ইচ্ছে কেনো?”
— “কারণ,আমি যাতে তাকে পথে গল্প করে বলতে পারি তার মা – বাবার গল্প।তার মা কতটা ভালবাসতো তার বাবাকে।তার বাবা ঠিক কতটা শক্তিশালী, ভাগ্যবান,সুপুরুষ হলে দুইবার মৃত্যুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফিরতে পেরেছে।সব জানাতে চাই।এই জার্নিটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ জার্নি ছিল বেভোর।”
বিভোর আরো একবার জেম্বাকে জড়িয়ে ধরে।এরপর তাঁবুতে ঢুকতেই ধারা চেঁচিয়ে উঠে।বিভোর টাস্কি খেয়ে যায়।ধারা জামা চেঞ্জ করছিল।বিভোর ভারী ইনোসেন্ট মুখ করে বলে,
— “তুমিকি শোকে ভুলে গিয়েছ আমি তোমার হাসবেন্ড? ”
— “দূর।আমি ভাবছি অন্য কেউ।”
বিভোর হেসে ভেতরে ঢুকে।ধারা অন্যদিকে মুখ করে জামা চেঞ্জ করছে।তখন বিভোরের নজরে আসে ধারার পিঠের দু’পাশে লাল দাগ।প্রশ্ন করে,

— “পিঠে ওমন হলো কি করে?”
— “নিজেই তো করলা।”
— “কখন?”
— “বিকেলেই তো।কি জোরে জড়িয়ে ধরছিলা!”
বিভোর ভ্রু কুঁচকে তাকায়।আঙ্গুলের দাগ বসে গিয়েছে!অদ্ভুত!এরপর বলে,
— “আচ্ছা দেখছি…
কথা শেষ করেই ধারার দিকে এগোয়।ধারা চোখ বড় বড় করে তাকায়।আগাচ্ছে কেন এই এভারেস্টে?

পরদিন ১৭ মে ওরা নেমে আসে চেনা বেসক্যাম্পে।সবাই যেন তাদেরই অপেক্ষা করছিল।বেসক্যাম্পে পরিচয় হওয়া কয়জন দৌড়ে এসে বিভোরকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানায়।তাঁবুতে এসে দেখে পাসাং এসেছে।পাসাংয়ের সামনে বড় সড় একটা কেক।উপরে লিখা “Everest expedition 2018″।

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ৪৯

পরের মুহূর্তের জন্য বিভোর, ধারা কেনো কেউই প্রস্তুত ছিলোনা।স্বয়ং নেপাল প্রধানমন্ত্রী এসেছেন দেখা করতে।এতো বড় দূর্যোগ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট জয় করা মানুষদের দেখে নাকি তিনি চক্ষু সার্থক করেছেন।বিভোর, ধারা খুশিতে আত্মহারা।পরের দু’দিন চললো প্যাকিং,বেসক্যাম্প গুছিয়ে নেওয়া।২০ মে বিদায় জানায় বেসক্যাম্প কে।থোকলা,লোবুচে হয়ে ফেরিচে পৌঁছে দুপুরে।সেদিন সোমারে থেকে পরদিন নামচেবাজার।নামচেবাজার থেকে কম দামে পর্বতারোহণের সরঞ্জাম কিনে নেয় বিভোর।ভবিষ্যতে আরো অনেক অভিযান হবে।পরদিন লুকলা।২৩ মে প্লেনে করে কাঠমান্ডু।২৫ মে বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে। বৃত্ত সম্পন্ন হলো।যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, সেখানেই শেষ কাহিনির।আর মাউন্ট এভারেস্ট তার জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে।মাঝের কয়টা দিন কেটে গেলো স্বপ্নের মতো।পিছনে রেখে এলো ইতিহাস!যা শুনবে প্রজন্ম রা।

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ৫১