বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ৫১

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ৫১
ইলমা বেহরোজ

এয়ারপোর্টে পৌঁছাতেই উটকো ঝড়ের মতো এক দল সাংবাদিক এসে ভীর জমায়।বিভোরের এক হাতের আলিঙ্গনে আবদ্ধ ধারা।কাগজ ও টিভি চ্যানেল সাংবাদিকরা একটার পর একটা প্রশ্ন করে যাচ্ছে।কয়জন ফটোগ্রাফার বিরতিহীনভাবে ক্লিক করছে।
ত্রিশ মিনিটে ধৈর্য্য নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেয় ওরা।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হতেই ধারাকে দ্বিধাগ্রস্ত হতে
দেখা যায়।বিভোর প্রশ্ন করে,
— “কোনো সমস্যা? ”

ধারা মাথা নাড়ায়।বিভোর ধারার দৃষ্টি অনুসরণ করে সামনে তাকায়।চমকায়।পরমুহূর্তে নিজেকে সামলে নেয়।ধারার কপালে চুমু দিয়ে বলে,
— “চিন্তা করোনা। কিছু হবেনা।সত্যি সব বলে দিও।”
ধারা জমে গিয়েছে ভয়ে।পায়ের নিচে ভূমিকম্প অনুভব করছে।বিভোর আলতো করে ধারার গালে থাপ্পড় দিয়ে বলে,
— “এই পাগলি ভয় পাচ্ছো কেনো? যাও।”
ধারা নতজানু হয়ে এক পা এক পা করে হেঁটে আসে।সাফায়েত,সামিত,শাফি দু’হাতে জড়িয়ে ধরে কংগ্রাচুলেশন জানায়।ধারা সচকিত।ভাইয়েরা স্বাভাবিক ব্যবহার করছে!এরপর শেখ আজিজুর ধারাকে বুকে টেনে নেন।মেয়ের কপালে চুমু দেন।ধারার কলিজা মুহূর্তে ঠান্ডা হয়ে যায়।কতদিন পর বাবাইকে দেখা।বাবাইয়ের আদর খাওয়া।হেসে ‘বাবাই ‘ বলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।আজিজুর মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

— “যখন শুনলাম এভারেস্টে ঝড় উঠছে কি হয়েছিল আমাদের জানিস বেঠি!”
ধারা মিষ্টি করে হেসে বলে,
— “কিছু হয়নি তো আমার।এইযে দেখ একদম সুস্থ।”
আজিজুর হেসে বলেন,
— “দেখছি তো আমার বেঠির কিছু হয়নি।ফিরে এসেছে।এবার চল তো।তোর আম্মু অপেক্ষা করছে।”
— “চলো।”
ধারার দু’টি লাগেজ।একটি সামিত,অন্যটি সাফায়েত নেয়।ধারা একবার পিছন ফিরে তাকায়।বিভোর
এখনো দাঁড়িয়ে।ধারাকে তাকাতে দেখে হেসে হাত নাড়িয়ে ‘বাই’ জানায়।এরপর সানগ্লাস পরে লাগেজ টেনে আরো এগিয়ে যায়।

ধারা তিব্বিয়া খাতুনকে দেখে চমকে যায়।শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে।চোখের নিচে কালি জমেছে।তাঁর এতো সুন্দর মায়ের এ কি অবস্থা।ধারা বড় বড় পা ফেলে তিব্বিয়া খাতুনের সামনে আসে।তিব্বিয়া ধারাকে দেখে স্তব্ধ হয়ে যান।সেকেন্ড কয়েক সময় নিয়ে মেয়েকে দেখেন।এরপর ধারাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন।ধারা বিস্ময়ের চরম পর্যায়ে।দিশারির ফোনকলে শুনেছে পরিবার সব জেনে গিয়েছে।অথচ,তাঁর পরিবারের কি স্বাভাবিক ব্যবহার। মায়ের কান্না শুনে ধারার বুক ভারী হয়ে আসে। তিব্বিয়া খাতুনের মুখটা দু’হাতে তুলে ধরে আদুরে গলায় বলে,
— “কাঁদছো কেনো?ফিরেছি তো।”

তিব্বিয়া খাতুন ভেজা ঠোঁটে মেয়েকে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেন।একটা মাত্র মেয়ে উনার।তিন ছেলের পর একটা মেয়ে হয়েছে। মেয়ের বড় শখ ছিল তিব্বিয়া খাতুনের। কিন্তু পর পর তিনটা ছেলে হয়। সেজদায় পড়ে কাঁদতে কাঁদতে একটা মেয়ে আলো হয়ে ঘরে আসে।সেই মেয়ে নাকি মৃত্যুর মুখে ছিল।ভাবতেই এখনো বুকটা কেঁপে উঠে। তিব্বিয়া খাতুন বলেন,
— “আর কোথাও যেতে দেব না তোকে।”
ধারা হেসে মায়ের চোখের জল মুছে দিয়ে বললো,
— কোথাও আর যাব না।কোথাও না।”
তিব্বিয়া খাতুন মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন।ধারা খুশিতে ফুটছে।তাঁর মা তাকে এতো ভালবাসে কখনো বুঝতে পারেনি।সবসময় তর্ক,ঝগড়াই শুধু হতো।মাইশা ও লিয়া এসে ধারাকে জড়িয়ে ধরে।আপনপজন ফিরে আসায় সবার ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি।

বাড়িতে ঢুকতেই সৈয়দ লায়লা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে যান।বিভোর কোলে করে রুমে নিয়ে আসে।ডাক্তার আসে।লায়লার প্রেসার ‘হাই’।
সামিয়া যত্ন করে পানি ঢালে শাশুড়ীর মাথায়।জ্ঞান ফিরতেই লায়লা ধড়ফড়িয়ে উঠে বলেন,
— “আমার ছেলে কই?”
বিভোর রুম থেকে দৌড়ে আসে।লায়লা ছেলের হাত শক্ত করে ধরেন।ছেড়ে দিলেই যেনো হারিয়ে যাবে।মায়ের পাগলামি দেখে বিভোর ভয় পেয়ে যায়।যখন খবরে দূর্যোগের কথা ছড়িয়ে পড়েছিল না জানি মায়ের কি হয়েছিল।এই মুহূর্তে বিভোর সেসব কথা তোলার সাহস পেলোনা।লায়লা বেশ কিছুক্ষণ ছেলের হাত ধরে বসে থাকেন।শরীরে শক্তি আসতেই রান্নাঘরে ছুটেন।দূর্বল শরীর নিয়ে তিনি অনেক রান্না করেছেন,বিভোর ফিরছে শুনে।
নিজের রুমে আসার পথে বাদলের সাথে দেখা হয়।বাদল চিটাগাং ছিল।ফেরার কথা ছিল দু’দিন পর।সে আজই ফিরেছে।ঘেমে একাকার হওয়া শার্ট না খুলে আগে ভাইয়ের রুমের দিকে দৌড়ে আসে।বিভোরকে দেখে জড়িয়ে ধরে।বিভোরও জড়িয়ে ধরে।হেসে বলে,

— “কেমন আছো ভাইয়া?”
বাদল বিভোরকে ছেড়ে অভিমানী গলায় বলে,
— “কেমছ আছো তাইনা?”
বাদলের গলা কাঁপছে। চোখের কোণে জল চিকচিক করছে। বিভোর অনুসন্ধানী গলায় প্রশ্ন করলো,
— “কাঁদছো ভাইয়া?”
বাদল ঠোঁট টিপে কান্না আটকায়।বিভোরকে আবার জড়িয়ে ধরে।বলে,
— “কখনো বড় ভাইয়ের মতো শাসন করিনা তাই যা ইচ্ছে করিস তাইনা? আরেকবার বলিস কোথাও যাওয়ার কথা ঠ্যাং ভেঙে দেব।”
বিভোরের চোখের কোণে জল জমে।তা নিয়েই হেসে ফেললো।এরপর বাদলের পেটে ঘুষি দিয়ে বলে,
— “যদি পারো ভাঙতে যা বলবা তাই শুনবো।”
বাদল হেসে দেয়।বিভোর ভালো করেই জানে বাদল তাঁকে কখনো মারা তো দূরে থাক ধমক দিতেও পারবেনা।

রাত একটা।
ধারার কল আসতেই বিভোর ঝাঁপিয়ে পড়ে ফোনের উপর।প্রশ্ন করে,
— “কয়টা কল দিছি?”
— “মাত্র পঞ্চান্ন টা!”
— “মাত্র?”
ধারা হাসলো।বললো,
— “রাগো কেন।সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম।অনেকদিন পর আসছি তো হৈ- হুল্লোড় লেগে গেছে বাসায়।”
— “সে তো আমার বাসায়ও।তাই বলে পৌঁছে কল দিবানা?টেনশন হয়না?”
— “আচ্ছা সরি।”
— “তারপর? কিছু বলছে?”
— “না বলেনি।”
— “অদ্ভুত। ”
— “হুম।একদম স্বাভাবিক।সব জেনে গেলো আবার তোমার সাথে আমাকে দেখলো।তবুও কোনো রিয়েক্ট নাই।বুঝলামনা কিছু।”

— “কি জানি কি ফন্দি আঁটতেছে তোমার বাপ – ভাইয়েরা।”
— “এভাবে বলছো কেনো?হয়তো ওরা মেনে নিয়েছে।”
— “এতো সোজা?”
ধারা সেকেন্ড তিনেক কিছু ভাবে।এরপর অন্যমনস্ক হয়ে বলে,
— “ঝড়ের পূর্বাভাস পাচ্ছি।”
বিভোর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। যা স্পষ্ট শুনতে পায় ধারা।এরপর প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিভোর বললো,
— ” ঝড়তো একটা আসবে জানতাম।এবং প্রস্তুত আছি রুখার জন্য।তুমি শুধু সরে যেতে চেওনা।”
ধারা কপাল কুঁচকে ফেললো।এরপর ব্যথিত গলায় বললো,
— “তুমি ভাবতে পারলা আমি সরে যাবো? তোমার সাথে থাকবোনা?”
বিভোর বুঝে মুখ ফসকে সে ভুল কথা বলে ফেলেছে।পরিস্থিতি পাল্টাতে বললো,

— “এভারেস্ট মিস করতেছি।”
ধারা পুলকিত হয়ে উঠলো। বলে,
— “আমিও খুব।যদিও অনেক বিপদ ছিল। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।তবুও মিস করছি।”
এভারেস্ট নিয়ে আলোচনা চলে দু’টো অবধি।বিভোর বললো,
— “বুকটা শূন্য লাগছে।”
ধারা চাপা হাসে।বালিশ একটা বুকে জড়িয়ে ধরে বলে,
— “কেনো?”
— “কেনোটা তুমি ভালোই করেই জানো।”
— “বললে সমস্যা?
— ” আমি কিন্তু লাগামহীন কথা বলা শুরু করবো।তখন কল কেটে দিওনা।”
ধারা খিলখিল করে হেসে উঠলো। দরজায় কেউ টোকা দিচ্ছে মনে হলো।ধারা গুড নাইট বলে কল কাটে।দরজা খুলতেই শাফি এসে রুমে ঢুকে।ধারা অবাক হয়। কিন্তু তা প্রকাশ করলোনা।শাফি বললো,

— “এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম।তোর গলা শুনে বুঝলাম ঘুমাস নি।তাই আসলাম একটু কথা বলতে।”
ধারা বললো,
— “বসো।”
শাফি বিছানার এক পাশে বসে।ধারা সামনে।শাফি ধারার এক হাত মুঠোয় নিয়ে বলে,
— “কাল দুপুরে ছয়দিনের ট্যুরে যাচ্ছি।তাই আজই বলে ফেলি।ভাইয়া আর বাবাইকে তোর আর বিভোরের কথা মেহের বলেছে।”
ধারা চমকে তাকায়।শাফি বলে,
— “অনেক নোংরা কথা দিয়ে বিভোরকে প্রেজেন্ট করেছে বাবা আর ভাইয়াদের সামনে।আমি জানতাম না ও তোকে এতো হিংসা করে।তাহলে কখনো বলতাম না ওরে তোদের কথা।”
কথা বলতে বলতে শাফি মাথা নিচু করে ফেলে।ধারা বলে,

— “একদিন না একদিন তো জানতোই সবাই।তাই জেনে গেছে বলে আমার সমস্যা নাই।বিভোরের নামে অনেক খারাপ কথা বলেছে শুনে খারাপ লাগতেছে।কিন্তু তার জন্য ভাইয়া তুমি কেন মাথানিচু করছো?”
— “তবুও। তুই বলা এক আর অন্যজন এসে রসিয়ে রসিয়ে বলা আরেক।ওর সাথে ব্রেকাপ হয়ে গেছে আমার।”
— “সেকি!আমার জন্য সম্পর্ক কেন শেষ করবা ভাইয়া? তুমিতো মেহের আপুকে খুব ভালবাসো।”
— “যে মেয়ে বিয়ের আগে এমন করতে পারে।সে মেয়ে বিয়ের পর কি করবে ভেবেছিস?পরিবারের জন্য কিছু না হয় ত্যাগ করলাম।এবার ঘুমা।ফিরে এসেই তোর আবার বিয়ে দেব বিভোরের সাথে।”
শাফি উঠে দাঁড়ায় চলে যেতে।ধারা হাতে ধরে আটকায়।বলে,

— “বিয়ে করবে কবে?বয়স তো কম হলো না।”
— “ভেবেছিলাম তো তুই ফিরলেই করবো….
— ” মেহের আপুকে আরেকটা সুযোগ দেওয়া যায়না?”
শাফি ম্লান হাসে।বলে,
— “সে কি আর আমার জন্য রইছে? নিউ বয়ফ্রেন্ড জুটিয়েছে। ”
ধারা খুব বেশি চমকায়।মেহের মেয়েটা অহংকারী, হিংসুটে হলেও শাফিকে অনেক ভালবাসে জানতো সে।শাফি ধারার কপালে চুমু দিয়ে বলে,
— “গুড নাইট টুইংকেল। ”
— “ভাইয়া মিহিকে আমার ছোট ভাবি করা যায়না?”

শাফি ঘুরে তাকায়।মিহি পাশের বাসার একটা বাচ্চা মেয়ে।যার বয়স সবেমাত্র ঊনিশ।শাফি ছাদে গেলে সেও যেত।শাফিকে দেখার জন্য সারাক্ষণ বারান্দায় বসে থাকতো।শাফির গার্লফ্রেন্ড আছে শুনে ধারাকে জড়িয়ে ধরে সেকি কান্না!কাহিনিটা দেড় বছর আগের।তখন সে এইচএসসি পাশ করলো সবে।তবে ধারা মিহির আচরণে বুঝে এখনো সে শাফিকে চায়।অপেক্ষা করে কোনো এক দূর্ঘটনার।যে দূর্ঘটনায় শাফি তাঁর হবে। দু’দিন আগেই তো শাফির সাথে রাস্তায় দেখা হয় মিহির।মিহি দ্রুত পাশ কেটে চলে যায়।চুল খোলা ছিল।শাফির নজরে আসে মিহির চুল কোমর অবধি লম্বায়। এরপর থেকেই মাঝে মাঝে মিহি শাফির মনের মণিকোঠায় উঁকি দিচ্ছে।হয়তো ধারার ইচ্ছে পূরণ করতেই।শাফি মৃদু হাসে।এরপর ধারার মাথায় হাত রেখে বলে,

— “খুব ভালো একটা জব হয়েছে আমার।খুব দ্রুত বিয়ে করার চেষ্টা করবো।”
ধারা হাসে।শাফি চলে যায়।ধারার মনটা স্নিগ্ধতায় ভরে যায়।কেন জানি মনে হলো শাফি মিহিকে পছন্দ করে।সত্যি হলে ভালো হয়!বাপ মরা মেয়ে।বাসায় শুধু মা আর মেয়ে থাকে।মিহির অনেক ইচ্ছে একটা বড় পরিবারের।তাঁদের বাড়িতে বউ হয়ে আসলে তো খুশিতে মরেই যাবে।ধারা বিড়বিড় করে,
— “আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই।”

পাঁচদিন কেটে যায়।পরিবারের সদস্যদের পরিবর্তন দেখলোনা ধারা। বিভোর গতকাল ঢাকা গেলো। দু’দিনের মধ্যে আসবে।এরপরই নিজের বাসায় জানাবে সব।এবং বিয়ের প্রস্তাব আনবে।বিয়েতো হয়েছেই।এবার একটু আনন্দ – উৎসব হবে এই আর কি।ধারা সবসময় আতংকে থাকে।কখন না বাবাই তাকে ডাকে।নালিশে বসে। যেখানে আসামী হবে সে। কথা সাজিয়ে নেয় কি কি বলবে।কিন্তু তেমন কিছুই হচ্ছেনা।
শুক্রবার সকালে ধারা বের হচ্ছিলো।তখন শেখ আজিজুর ডাকেন।ড্রয়িং রুমে সামিত, সাফায়েত, মাইশা, লিরা,তিব্বিয়া খাতুন আছে।ধারা ঢোক গিলে।অবশেষে যাত্রা শুরু হতে চলেছে বোধহয়।ধারা কাচুমাচু হয়ে সোফায় বসে।তার দিকে তাকিয়ে আছে বারোটি চোখ।বাতাসেও অস্বস্তি, বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে যেনো।শেখ আজিজুর শুরু করেন,

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ৫০

— “তুমি বিভোরকে ভুলতে পারবে?আমাদের কথা শুনে ছাড়তে পারবে তাকে? যদি প্রশ্ন উঠে কে বড়? বিভোর নাকি তোমার পরিবার।কার কথা বলবে?আর কাকে বেছে নিবে? কাকে ছাড়বে?অপশন নেই দুটিকেই পাওয়ার।ছাড়তে একজনকে হবেই।”
ধারা থতমত খেয়ে যায়।প্রশ্নগুলো এতো জটিল, এতো কঠিন!এমন প্রশ্নের মুখোমুখি যদি সে ছোটবেলা হতো তাহলে এসএসসি, এইসএসসিসহ সব পরীক্ষার প্রশ্ন তার কাছে সোজা মনে হতো।এসবের উত্তর তো সে সাজায়নি।শরীর ঘামতে থাকে।মনে হচ্ছে ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। পায়ের তলার ফ্লোর শিরশির করছে।কি উত্তর দিবে? আতংকে বাম হাতের নখ দিয়ে ডান হাতের তালু চুলকাতে থাকে।তার কাছে তো দু’টোর প্রায়োরিটি সমান!

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ৫২