ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ২০

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ২০
লেখনিতে : মিমি মুসকান

আমরা সিলেটে যাবার জন্য ভোরে রওনা দিলাম। বাবা আর মা আমাদের ‌বিদায় জানালেন, আপু ও ছিলো সাথে। বাবা এই প্রথম হেসে আমার মাথায় হাত রাখলেন। বেশ ভালো লাগল।বাবা হয়তো অনেক খুশি আমরা যাচ্ছি বলে। দিনের শুরু’টা খুব ভালোই গেলো। আশা করি সারাদিন এভাবেই কাটবে।

আহিয়ান গাড়ি চালাচ্ছে, আর আমি তার পাশে বসে আছি। উনি গাড়ি চালানোতে ব্যস্ত আর আমি ভোরের এই চমৎকার প্রকৃতি উপভোগ করতে। পুরো নিরব আর শান্ত প্রকৃতি এখন।‌ গাড়ি বেশি একটা নেই,কিছু লোক রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছে। ভোরের আলো এখনো ভালো করে ফুটেনি। পাখিরা সবে গান গাইতে শুরু করেছে, কিছু কিছু পাখি খাবার সন্ধানেও বের হয়ে গেছে। মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ছে তারা। ইশ যদি আমি পারতাম এভাবে উড়তে তাহলে পুরো পৃথিবী উড়ে দেখতাম। পরশু মৃত্যু বার্ষিকী, আজ কে পৌঁছে কাল সব প্রস্তুত করতে হবে। বেশ বড়ো ব্যাপার।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

চোখ বুলাই আমার পাশে ড্রাইভ করা আহিয়ান এর দিকে। চুপচাপ ড্রাইভ করছে। ঘুমের রেশ এখনো কাটেনি বোধহয়। কাল রাত খুব দেরি করে ঘুমিয়েছিলেন তাই এই অবস্থা। উনি আমার দিকে কিঞ্চিত হেসে গান বাজিয়ে দিলেন।

“ভুলিনি তো আমি তোমার মুখে হাসি
আমার গাওয়া গানে তোমাকে ভালোবাসি”
“আসো আবারও কাছে, হাতটা ধরে পাশে
তোমায় নিয়ে যাব আমার পৃথিবীতে”

গান বাজছে, বেশ ভালো লাগছে। এরকম নিরব পরিবেশে গান টা শুনতে মন্দ না। উনি হয়তো ঘুম ভাঙানোর জন্য এই গান বাজালেন। কিন্তু আমার, আমার কেন জানি ঘুম পাচ্ছে খুব। ‌একটু হেলান দিয়ে বসি। বেশি ক্ষন আর জেগে থাকতে পারলাম না ঘুমিয়ে পড়লাম।‌
যখন ঘুম ভাঙল তাকিয়ে দেখি আহিয়ান আমাকে ডাকছে, উনার ঘাড়ে মাথা রেখেই শুয়েছিলাম হয়তো। আমাকে ভূতনি ভূতনি বলে ডাকছে। কি পায় উনি এই ডাকে। আমি ঘুম ঘুম চোখে উনাকে’ই দেখছি। উনি বলে উঠে…

– এখনো ঘুমাবা নাকি। উঠো?
– কেন এসে পড়েছি আমরা। ( হাই তুলতে তুলতে )
– জ্বি না এতো তাড়াতাড়ি না।
– তাহলে ডাকছেন কেন ঘুমাতে দিন।
– ক্ষুধা লেগেছে খেতে যাবো, তোমার ইচ্ছে না করলে শুয়ে থাকো।
– সুন্দর করে বললেই হতো!
– কেন আমি কিভাবে বলেছি তোমাকে, পেঁচার মতো করে নাকি!
– বাহ Intelligent তো আপনি!

উনি রেগে গাড়ি থেকে নেমে গেলেন। আমিও বের হলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি একটা রেস্টুরেন্ট। উনি আমাকে দেখে হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেলেন। একটা টেবিলে বসলাম আমরা। আমার কোনো ধারণা নেই সিলেটে কিভাবে যাবো বা যেতে কতোক্ষণ লাগবে। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করাই উনি বলেন..
– দুপুর ১২ টায় সিলেটে পৌঁছাব আর সেখান থেকে বাসায় পৌঁছাতে আরো ২ ঘন্টার যাত্রা।
– ওহ তার মানে অনেকক্ষণ লাগবে।
– হুম, তুমি বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
– আমিও যাবো ফ্রেশ হতে।
– চলো।
– আচ্ছা কয়টা বাজে এখন।
– ৮ টা!
– তাহলে তো অনেকক্ষণ!

– হুম তোমার আর কি সারাটা রাস্তা তো ভালো মতোই ঘুমালে। তোমার জন্য আমার ঘাড় এখানো ব্যাথা করছে জানো।
– ভালোই হয়েছে।
– হুম ভালোই তো বাসায় গিয়ে মালিস করে দিবে বুঝলে।
– পারবো না।
– কি বললে, জানো না স্বামীর সেবা করা স্ত্রী দায়িত্ব!
– তাহলে স্ত্রী সেবা করা তো স্বামীর দায়িত্ব করেছেন কখনো।
– কি কামচোরনি তুমি! একটা কামচোর ভূতনি তুমি।
– নিত্যনতুন দিন এতো নাম কোথায় পান আপনি!
– তোমার যেই কাজ আমার খোঁজা লাগবে না এমনেই চলে আসে।
– বাহ কি টেলেন্ট।
– প্যাক প্যাক করো না‌
– আমি হাঁস না বুঝলেন যে প্যাক প্যাক করবো।
– তাহলে মানুষের মতোই বক বক করো না বুঝলে।
– হুম ঠিক আছে।
– ভূতনি একটা হুহ!

সকালের নাস্তা করে দুজনে বসে চা খেলাম। তারপর কিছুক্ষণ পর আবার বের হয়ে গেলাম।
সারাটা রাস্তা দুজনের ঝগড়া আর কথা কাটাকাটি করে কাটল।প্রায় ৭ ঘন্টার জার্নি তে আমরা অবশেষে সিলেটে পৌঁছালাম, উনি ১২ টা বললেও জ্যামের কারনে আরো বেশ কিছুক্ষণ লাগলো। কিন্তু বাসায় পৌঁছাতে আরো দু’ঘন্টা। উনাকে দেখে খুব খারাপ লাগছে। অনেক’টা ক্লান্ত উনি। আমি বললাম এখানে একটু থেমে আবার চলতে। কিছুক্ষণ এখানে রেস্ট নিলে ভালো লাগবে। উনি তাই করলেন। গাড়িটা একটু সাইডে নিয়ে থামিয়ে দিলেন। আমি আশপাশ দেখছি। পুরো টাই গাছপালাই ঘেরা। প্রকৃতি যেন সব উজাড় করে দিয়েছে। উনি আমাকে বলে উঠে..

– চা খাবে!
– এখানে!
– হুম সামনে একটা চায়ের স্টল আছে।
– আচ্ছা।
দুইজনে নামলাম, এখানকার বাতাস খুব সুন্দর। প্রান ভরে চারদিক তাকিয়ে রইলাম। উনি আমাকে
ডেকে নিয়ে গেলেন চায়ের স্টলে। আমি একটা টুলে বসলাম। উনি দু’কাপ চা নিয়ে আসলেন। আমাকে একটা দিলেন। চায়ের কাপে চুমুক দিতে’ই মুখের ভঙ্গি পাল্টে গেল। সচরাচর আমি যে চা খাই এটা তার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। খেতে দারুন! আমি চুপচাপ বসে চা খেলাম উনার সাথে কথা বললাম না। জানি বললেই এখন ঝগড়া বাঁধবে কিন্তু আমি এই সময় টা উপভোগ করতে চেয়েছিলাম তাই আর ঝগড়া করলাম না। চা খাওয়ার পর উনি বলে উঠে…

– দারুন না খেতে।
– হুম, অনেকটা আলাদা খেতে।
– হুম তা তো হবেই। চলো আবার রওনা দিতে হবে।
– হ্যাঁ চলুন।
আবার রওনা দিলাম, আমি পুরো গাড়িতে শুধু বাইরে দেখতে লাগলাম। জায়গাটা আসলেই সুন্দর।
এবার এসে পৌঁছালাম বাড়িতে। বাড়ির সামনেই উনি গাড়ি থামান। গাড়ি’র আওয়াজ পেয়ে একজন মধ্যবয়স্ক লোক ছুটে আসে। আমাদের দেখে তার মুখে হাসির রেখা দেখা গেল। উনি তাকে দাদু বলে‌ সম্বোধন করলেন।আহিয়ান গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলেন, আমি সালাম করলাম। এতো দিন উনি’ই এই বাড়ি ‌দেখাশোনা করেছেন। আহিয়ান গাড়ি থেকে কিছু জিনিসপত্র বের করে তাকে দিলেন। মা আসার আগে উনাকে দিয়েছিলেন দাদু কে দেবার জন্য। আসলে মা চায়নি এই বয়সে তাকে এইসব কাজ করবার জন্য কিন্তু দাদু নাকি ইচ্ছে করেই এখানে আসে। তার নাকি ভালো লাগে তাই মা তাকে মানা করে নি।

আমি বাড়ি’টার দিকে একটু মনোযোগ দিলাম। পুরো বাড়ির চারদিকে বাঁশের বেড়া দেওয়া। চারদিক সবুজ ঘাসে ঘেড়া।বাড়িটা সম্পূর্ন’ই গোলাপি রঙের, বাড়ির সামনের কিছু হাঁড়িতে ছোটগাছ লাগিয়ে ঝুলে রাখা হয়েছে। কি জানি বলে এগুলো মনে আসছে না। এছাড়া কয়েকটা ফুলের গাছ ও আছে। বাড়িটা ছোট তবে এতো না, একটা ছোট ফ্যামিলি থাকার জন্য যথেষ্ট। উনি গাড়ি থেকে ব্যাগ বের করে আমাকে ভিতরে যেতে বললেন।

ভেতরে এসে আরো অবাক হলাম, কারন বাড়ির ভিতরটা চমৎকার। ঘরের প্রথমাংশের জায়গা টুকু সোফা আর টি টিবেল দিয়ে সাজানো, একটা ছোটখাটো খাবার টেবিল আছে। রান্না ঘর এই ঘর থেকে সরাসরি দেখা যায়। একটাই বেড রুম তার সাথে এচার্ড একটা বাথরুম। রুম’টা এতোটা বড় না তবে ছোট ও না। একটা খাট, একটা আলমারি আর একটা বুকসেলফ আছে রুমটাতে।হাঁটতে হাঁটতে ঘরের অন্যপাশে এলাম, সেখাটাই বেলকনি। বেলকনি’টা অনেকটা বড় সেখানে দু’টো টুল আর একটা দোলনা। বেলকনির সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা এখান থেকে আকাশ’টা খুব পরিস্কার দেখা যায়। বাইরে হালকা হালকা রোদ এটাকে মিষ্টি রোদ ও বলা যেতে পারে
এরমধ্যে দাদু’র ডাক এসে পড়ল। আমি বেলকনি থেকে বেরিয়ে ঘরের মধ্যে এলাম। দাদু বলতে লাগলেন..

– বড় সাহেব অনেক শখ করে এই বাড়ি’টা বানিয়েছে। অনেক মায়া আছে এই বাড়ি জুড়ে!
– সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে দাদু। কিন্তু বলতে হবে আপনি অনেক যত্ন করেন এই বাড়ি’টার। কি সুন্দর সব সাজানো গোছানো।
– এটাই তো আমার কাজ মা। তোমাদের জন্য আমি দুপুরে খাবার বানিয়েছি। তোমরা খেয়ে নিও। এখনো খাওয়া দাওয়া হয় নি বোধহয়।
– আপনি কেন বানালেন, আমি এসেই তো বানাতে পারতাম। দাদু আপনিও বসুন একসাথে খাবার
খাবো।
– না মা তোমার দাদী বসে থাকবে আমার জন্য। আমি না গেলে সে খেতে বসবে না।
– ইশ কি ভালোবাসা।

– তা আর বলতে! খাবার যা আছে রাতেও হয়ে যাবে মনে হয়।
– আপনার চিন্তা করা লাগবে না দাদু লাগলে আমি রেঁধে নিবো।
– হ্যাঁ ঘরে জিনিসপত্র আছে, আমি আজকে এনেছি।
– আপনি এতো চিন্তা করিয়েন না দাদু।
– হ্যাঁ মা এখন আর চিন্তা করতে পারি না। বেশি কথা তো ভুলেই যাই। আচ্ছা আমি এখন যাই কাল সকালে আসবো তোমাদের নিয়ে এতিমখানা’য় যাবো। বড় মালকিনির এতিমখানা’য়।
– আপনি ধীরে সুস্থে আসুন।
– আচ্ছা মা এখন আমি বের হই তাহলে।
– সাবধানে যাবেন।
– আচ্ছা মা।

দাদু চলে গেলেন কিন্তু কথা হলো উনি একবার ও তার সাথে দেখা করলেন না। কোথায় উনি? রুমে গিয়ে দেখি আহিয়ান সাহেব একদম চিৎপটাং। মানে পুরো বিছানা জুড়ে উল্টো হয়ে শুয়ে আছেন। জানি অনেক ক্লান্ত কিন্তু তাই বলে এভাবে শুয়ে থাকবে। ফ্রেশ ও হবে না নাকি।
একবার ভাবলাম উনাকে ডাকবো পরে ভাবলাম থাক কিছুক্ষণ ততোক্ষণে আমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিই।
শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে দেখি এখনো আগের অবস্থায় শুয়ে আছে। আমি তাড়াতাড়ি করে শাড়ি টা পড়ে নিলাম। তারপর চুল ঝাড়তে লাগলাম। এরমধ্যে তার গলা পেয়ে লাফিয়ে উঠলাম।

– ভূতনি ঘুমোতে দাও আমায়।
– আপনি! উঠে গেলেন তাহলে!
– তোমার চুলের পানি’র জ্বালায় আমার আর ঘুম। তাহলেই হলো।
– আচ্ছা এমনেতেও অনেকক্ষণ হয়েছে এখন উঠুন। ফ্রেশ হন আমি খাবার বাড়ছি। আর দাদু চলে গেছেন।
– হ্যাঁ জানি আমাকে বলেছে।
– ওহ্ আচ্ছা তাহলে উঠুন এখন।
– ধুর! ভূতনি শান্তিতে থাকতেও দিবে না।
– ওটা ঘুমাতে হবে। বলেন শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না আমায়।
– গেলে তুমি। ভূতনি কোথাকার!

আমি হাসতে হাসতে রান্না ঘরে চলে এলাম। উনাকে জ্বালাতে আমার বেশ লাগে। সব খাবার গরম’ই ছিলো আমি শুধু বেড়ে রাখলাম। উনি এনে ধপ খাবার টেবিলে বসে পড়লেন।‌ আর বললেন..
– খেতে দাও ‌ক্ষুধা লাগছে!
– দিচ্ছি দিচ্ছি!

বিকালে আমি আর উনি চা নিয়ে বেলকনিতে বসে আছি। উনি উনার দাদা দাদির গল্প করতে লাগলেন। উনার দাদা দাদী প্রেমের বিয়ে ছিলো। খুব ভালোবাসা ছিল তাদের। তাই শেষ বয়সে দাদি ইচ্ছেতে দু’জনে মিলে এখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন। আহিয়ান’রা ছুটি পেলেই সবাই মিলে এখানে আসতো। খুব মজা করতো। দাদী বেশিরভাগ সময়’ই এখানকার এতিমখানা’য় কেটে যেতো। দাদী মারা যাবার ১ মাস পর’ই দাদা চলে গেলেন। সত্যি’ই তাদের chemistry অসাধারণ ছিল।
রাতে ঘুমোতে গিয়ে অনেক শীত লাগলো। সারাদিন লাগছিলো তবে বেশি না। এখন বেশি লাগছে। আলমারি থেকে একটা কম্বল বের করলাম কারন আমার’টা উনি কেড়ে নিয়েছেন। আর এখন খুব ঘুম পাচ্ছে আমার তাই ঝগড়া করার কোনো ইচ্ছে নেই। আর উনিও ঘুমিয়ে পড়েছে তাই আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম।

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখি উনি রুমে নেই। পাশে একটা চিরকুট তাতে লেখা,
“ভূতনি তুমি ঘুমের মধ্যে তোমার ভূত রাজ্য থেকে ঘুরে আসো। আমি ততোক্ষণে একটু হাঁটতে গেলাম”
চিরকুট দেখে রাগও হলো আবার হাসিও পেলো। আর শুয়ে থাকলাম না। শাওয়ার নিতে গেলাম কিন্তু পানি যেই লেভেলের ঠান্ডা তাই গরম করেই শাওয়ার নিতে হলো। কারন আজ অনেক কাজ আছে। সারাদিন ঘাটা ঘাটনি থাকবে। শেষে রাতে এসে শাওয়ার নেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই আমার।
শাওয়ার শেষে আয়ানার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি পড়তে শুরু করছি আর গুন গুন করে গান গাইছি..

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ১৯

“আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে…..”
– হৃদয় জুড়ে কাকে এতো জায়গা দিলে ভূতনি!
আহিয়ান এর আওয়াজ শুনে আমি থতমত খেয়ে যাই। অতঃপর আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার পিছনে আহিয়ান। দু’হাত জ্যাকেটে পুরে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তাড়াহুড়ো করে শাড়ি গাঁয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ালাম। উনি আমার দিকে বাঁকা হেসে বলে..

– আয়নাতে তোমার কোমর দেখা যাচ্ছে।
আমি চোখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকিয়ে আছি। কি বলছে কি উনি। তাড়াতাড়ি করে ‌আয়ানার সামনে থেকে সরে গেলাম। কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে লাগলাম…
– আ…প…নি তো এখানে কি করছেন?
– কি করছি মানে!
– মানে এই সময় এখানে কি করছেন।
– যা করার তাই করছি।
– কি বলছেন কি এইসব! লজ্জা করছে না এইসব বলতে।
– তুমি এমন ভাবে বলছো যেনো আমি এই প্রথম তোমায় শাড়ি পড়তে দেখছি।
– কিহহহহ…

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ২১