শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৪

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৪
তানিয়া মাহি

শুভ্র রাঙা শাড়িতে এক কাপ চা হাতে বেঞ্চিতে বসে কিছু দূরেই দাঁড়িয়ে দুজনকে দেখে বুকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে তার। দূরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন কি সুন্দর গল্প করছে, চায়ে চুমুক দিচ্ছে আর মাঝেমাঝে মেয়েটা তার সামনে দাঁড়ানো ছেলেটার মাথার চুল হাত দিয়ে নাড়ছে। কি সুন্দর দৃশ্য!

সুন্দর অনুভূতি অনুভূত হওয়ার কথা কিন্তু শুভ্রতার ভেতরটা যেন কেমন খালি খালি লাগছে। কষ্ট হচ্ছে তার, হ্যাঁ সত্যিই কষ্ট হচ্ছে। তবে কি তাদের দেখে হিংসে করছে সে! কই ইমতিয়াজ তো তার সাথে কখনো এভাবে টঙে দাঁড়িয়ে চা পান করে নি তাহলে এদের দেখে প্রাক্তন স্বামীর কথা কেন মনে পড়ছে তার? নাহ, এটা ঠিক না। শুভ্রতা তাড়াহুড়ো করে শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখটা মুছে নেয়। শুভ্ররাঙা আঁচলটায় চোখের কাজলের দাগটা বসে যায়। আঁচল ঘষে ঘষে দাগ তুলতে গেলেই কালিটা আরো ছড়িয়ে যায়। শুভ্রতা আবার সেই দুজনের দিকে তাকিয়ে আনমনে বলে ওঠে, ” আমি তার সঙ্গ চাইলাম আর সে আমারে গুণে গুণে কয়েক ফোটা দুঃখ দিল!!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” হ্যাঁ? কিছু বললি?”
পাশেই বসেছিল আবিরা। শুভ্রতাকে বিড়বিড় করতে দেখে জিজ্ঞেস করে কিছু বলছিল নাকি! শুভ্রতাও মাথা ঝাকিয়ে না’ না’ করে অসম্মতি জানায়, বোঝায় যে সে কিছু বলে নি।
অন্যদিকে শাকিরা অতিরিক্ত গরম চা খেতে পারছে না ফু দিয়েই যাচ্ছে। মালাই চা সাধারণত চায়ের চেয়ে অনেক বেশি গরম হয়। প্রথম প্রথম যদি কেউ অসাবধানতা বশে খেতে যায় তাহলে জিহ্বা পুড়ে দুদিন ভাত খেতে পারবে না।

” এই শাকিরার বাচ্চা শাকিরাও কেমন যেন! যখন যে কাজ করবে তখন ওটাতেই ডুবে থাকবে। আশেপাশে কি হচ্ছে সেটা একটুও দেখে না।”
আবিরা কথাটি শুভ্রতাকে বলে। শুভ্রতা কিছু বুঝতে না পেরে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে শাকিরা চা ঠান্ডা করতে ফু দিচ্ছে আর রায়হান তার দিকে হাসিহাসি মুখ করে তাকিয়ে আছে। চারপাশে কত প্রেম অথচ তার জীবন প্রেমশূণ্য!

” আমাদের কিন্তু ছবি ওঠা হয় নি। সবার একটা গ্রুপ ফোটো তো ওঠা উচিৎ। সবাই শাড়ি পরেছি আর ছবি উঠব না? কেউ তো বোধ হয় সিঙ্গেল ছবিও ওঠেনি দুই একটা সেলফি ছাড়া। আজ রায়হান ভাইয়া সবার ছবি তুলে দেবে।”
স্নিগ্ধার কথায় সবাই তাল মেলায়। মেয়ে মানুষ এত কষ্ট করে শাড়ি পরবে, সাজবে আর ছবি উঠবে না এটা কিছুতেই হতে পারে না। কিছু মেয়েরা তো ছবি ওঠার জন্যই সাজগোজ করে। নেহা স্নিগ্ধার কথায় তাল মিলিয়ে বলে,
” প্লাটফর্মের একদম ওইপাশটা এত সুন্দর জায়গা! ওখানে ছবি উঠলে কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড জোশ আসবে। আর এখন রোদ ও তেমন নেই ছবি কিন্তু সুন্দর হবে।”

রায়হান এবার তাদের আলাপচারিতার মাঝে বলে ওঠে, ” আসার সময় একটা ক্যামেরা কিনে দিলেই পারতি। তোদের বাবা তো আর গরিব না, ক্যামেরা কিনে দিলে ছবিগুলো আরো সুন্দর আসতো। তোদের যে একেকটার চেহারা ভাঙা পাতিলের মতো সেটা এডিট করলে বোঝাই যেত না।”

” শোন ভাইয়া তোর বোনদের পিছনে শতশত ছেলে লাইন ধরে আছে আর তুই কি না ভাঙা পাতিল বলছিস?”
আবিরার জবাব শুনে স্নিগ্ধা আর নেহা এবার গর্বে ফুলে ওঠে। কথা সাজায় কি কি বলবে ওদিকে শুভ্রতা চুপচাপ তাদের কর্মকান্ড দেখছে। এমনসময় শাকিরা বলে ওঠে,
” মানুষের কাজ ছবি তুলে দেওয়া, ছবি তুলে দিতে বলা হয়েছে দিবে। কার চেহারা কেমন সেটা দেখা ফটোগ্রাফারের কাজ না।”

” হয়েছে হয়েছে, একটা সত্য কথা বলে শান্তি নেই সবগুলো একসাথে মাঠে নেমেছে ঝগড়া করতে। আমার শুভ্রতাই ভালো আমার কথা যে সত্য সেটা সে বুঝেছে। যদিও তোদের চেয়ে শুভ্রতা সুন্দর।”
” থাক, তেল মেরে ওকে আর দলে নিতে হবে না। ওঠ সবাই ছবি উঠব একটু পর সন্ধ্যা হয়ে যাবে।”
ইরাও বলে ওঠে, ” আপু চলো তো তাড়াতাড়ি, আমাদের আবার ঢাকা ফিরতে হবে। দেরি হলে আজ আর যাওয়া হবে না।”
আবিরা আর ইরার কথায় সবাই উঠে দাঁড়ায়। প্লাটফর্মের শেষ সীমানার দিকে রওয়ানা দেয়। সবার বাড়ি ফেরায় ও তাড়া আছে কারণ দেরি করে বাড়ি ফেরার অনুমতি নেই।

রাতে ইরা আর তার বাবা মা বিদায় নিয়ে চলে গেলে বাড়ির সবাই বাড়ির ভেতরে চলে যায়। শুভ্রতাও চলে যাচ্ছিল ঠিক তখনই রায়হান তাকে পিছন থেকে ডাক দেয়।
” হ্যাঁ ভাইয়া বলো।”
” শুনলাম তোর ডিভোর্স হয়ে গেল?”

রায়হানের প্রশ্নে শুভ্রতার মনটা আবার মলিন হয়ে যায়। সে মাথা নিচু করে জবাব দেয়, ” হ্যাঁ। ”
” কারণ কি ছিল বল তো? তুই আগে আমার সাথে যেমন ফ্রি ছিলি এখনো ওরকমই আছিস, আমি কিন্তু আগের মতোই আছি। তোর ভাই নেই, মামি কিন্তু আমাকে তার ছেলের মতো দেখে। তোর বড় ভাই আর তোর সবচেয়ে কাছের বন্ধু কিন্তু আমি। ”

” আমি জানি ভাইয়া।”
শুভ্রতার ছোট ছোট কথায় রায়হান বুঝতে পারে শুভ্রতার মন খারাপ। তবুও সে তার মন খারাপকে গুরুত্ব না দিয়ে আবার জিজ্ঞেস করে, ” ডিভোর্সের কারণ কি?”
” চলো ওখানে সিঁড়িতে গিয়ে বসি।”
শুভ্রতা আর রায়হান গিয়ে বাড়ির সামনে ছোট একটা জায়গায় বসার জন্য তিন চারটা সিঁড়ি করে রাখা তার পিছনেই শানবাধা পুকুর।

দুজন বসে আছে, শীতল বাতাস বইছে। রায়হান ফোনস্ক্রিনে দেখল সাড়ে সাতটা বাজে। শুভ্রতা বলল,
” কারণ বলতে গেলে প্রথম থেকেই বলতে হয়।”
” হ্যাঁ বল, আমি আছি।”
শুভ্রতা কথাগুলো ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে বলা শুরু করে,

” তুমি তো জানো বিয়ের পর আমাকে উঠিয়ে নেয় নি। এক বছর আমি এখানেই ছিলাম। যদিও আমার বাবার উপার্জনে সংসার ভালোভাবে চলে তবুও বিয়ের পর কোন মেয়ে তার বাবার বাড়ি থাকবে এটা বিশেষ করে প্রতিবেশী ভালো চোখে দেখে না। আমি যখন এখানে ছিলাম বিয়ের একমাস যেতে না যেতেই আমার শাশুড়ি কথা বলা বন্ধ করে দেয়। ওই বাড়ির কেউ কথা বলে না শুধু ইমতিয়াজ ছাড়া।

বিয়ের পর আমার এখানে থাকার ইচ্ছে ছিল না ওকে সবসময় কিছু একটা করার কথা বলতাম। সে শুধু বলতো যে করব করব। বাবা একটা একটা করে জব খুঁজে দিত আর সে বলত এত কঠিন কাজ সে করবে না। এভাবে বিয়ের প্রথম বছর গেল৷ একটা মেয়ের স্বামী যখন নিজের ইচ্ছেতে কিছু করে না তখন সেই মেয়ে কি অবস্থায় থাকে সেটা শুধু সেই মেয়েই বোঝে। বিয়ের এক বছর পর আমি বলি যে তার কাকির স্কুলে যেন আমার চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়।

আমি করব শুনে সে দেরি করে নি, সে নিজেও কিন্তু আমার চাকরির পাশাপাশি কিছু করতে পারতো। আমি চাকরি পেয়ে জয়েন করলে সে একদমই কেমন যেন হয়ে যায়। ওর বাড়িতে গিয়ে যখন সংসার শুরু করলাম পুরো সংসারের দায়িত্ব আমার কাধে। আমি অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে ক্লাশ না করে স্কুলে ক্লাশ করাতাম। ছয় সাত মাস চাকরি করতে পেরেছিলাম খুব কষ্ট করে। তুমি তো জানো আমার মাইগ্রেনের সমস্যা আছে।

বাচ্চাদের চেঁচামেচি, পড়ানো সারাদিন হিজাব পড়ে থাকা, পড়া পরিক্ষার আগে কমপ্লিট করার চিন্তায় আমার মাথা ব্যথা বেড়ে যায়। ওটা তো কিন্ডারগার্টেন ছিল, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মাথা ব্যথা নিয়েই রান্না চাপিয়ে দিতে হতো। ওর শুধু সারাদিন বাহিরে থাকা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর মাস শেষে বেতন পেলে সেটা নিয়ে নেওয়া ছাড়া কোন কাজ ছিল না। আমি যখন অতিরিক্ত মাথা ব্যথায় চাকরি থেকে বেরিয়ে আসলাম তখন থেকেই আবার শুরু হয় ওর মেজাজ খারাপ, কিছু বলতে পারতাম না সারাক্ষণ কথা শুনাতো। ওর বাবা কিছু টাকা দিল, কোন ব্যবসা করার জন্য সেই টাকা সে কীভাবে খরচ করল জানো? ”

এতগুলো কথা বলার পর এই প্রশ্নটা করে কিছুক্ষণের জন্য থামলো শুভ্রতা। রায়হান ও জানতে চাইলো, ” কীভাবে?”
শুভ্রতা আবার বলা শুরু করল,
” তার সৎমা আর বোনের সাথে সম্পর্ক ঠিক করতে জামাকাপড় কিনে দিত, তার সৎমায়ের ভাইয়ের বাড়ি যেত। ফোনেও কীভাবে যেন টাকাগুলো নষ্ট করল। সম্পর্ক তো কতভাবেই ঠিক করা যায়, যেগুলো ঠিক হওয়ার সেগুলো এমনিই ঠিক হয়। টাকা খরচ করে ফেলছে দেখে আমি যখন চিল্লাইতাম তখন সে কি কি যে করত! আমি কাউকে বলি নি তোমাকে আজ বলছি, মাঝে আমার হাত ভেঙে গিয়েছিল দেখেছিলে তো তাই না? আমি এখানে একমাস এসে ছিলাম।”

রায়হানের এবার কেমন একটা খটকা লাগে, সন্দেহ হচ্ছে তার মানে ইমতিয়াজ কোনভাবে সেই হাত ভাঙার সাথে জড়িত! নিজের আগ্রহ দমন করতে প্রশ্ন করেই ফেলে,
” ইমতিয়াজ? ”
শুভ্রতার গলা এতক্ষণে ভারি হয়ে এসেছে। কণ্ঠ মোটা শোনাচ্ছে।

” হ্যাঁ। সেদিন খুব ঝামেলা হয়। আলমারির কাচ ভেঙে ফেলে আমাকে দরজার সাথে কয়েকবার ধাক্কাতে থাকে তখন কনুইতে লেগে হাড় ছুটে গিয়েছিল। আমি যখন কান্না করতে থাকি আমাকে ভালোবেসে আমার কান্না সে থামায় নি এমন করে নাক মুখ চেপে ধরেছিল যে আর কয়েক সেকেন্ড ওভাবে থাকলে আমাকে আজ এভাবে পেতে না। আমি ও বাড়ি থেকে চলে আসতে চাইলে তখন সে মাফ চায় কান্নাকাটি করে।

এরপর আর কি আমাকে সেই এখানে রেখে যায় বাসায় বলি ওয়াশরুমে পিছলে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে গিয়েছিল। পরে কিছুদিন ভালোভাবেই যায়। সে বারো হাজার টাকার একটা জব করে সেটা একমাস করেছিল৷ সেই টাকা দিয়ে বাবা মাকে আর ওর বাবা মা বোনকে পোশাক দেয় ঈদে। ঈদের পর সে বলে জব থেকে কয়েকজনকে বের করে দিয়েছে কারণ কোম্পানির অবস্থা ভালো না কিন্তু পরে জানতে পারি সে নিজেই ছেড়ে দিয়েছে৷

এটা নিয়ে কথা বললে তখন থেকে সম্পর্ক আবার খারাপ হতে থাকে। তার কথা তার জায়গা আছে সেটা বিক্রি করলে তার কিছু করতে হবে না, সে কিছু করতেও চায় না। তার পরিস্কার কথা সে কোন কাজ করবে না। এভাবে আর কতদিন! কতদিন সে আমার সাথে ভালোভাবে কোন কথা বলে নি। যখন যেটা বলতো সেটা শুধু করে দিতাম। ভেতর থেকে ভালোবাসাটা ঠিক আর আসতো না।

শুধু এতগুলো দিন একসাথে থেকেছি তাই একটু মায়া ছিল। বিয়ের আড়াই / তিনবছরে আমি বলতে পারব না কোথাও ঘুরতে নিয়ে গিয়েছে বা শখ করে কিছু কিনে দিয়েছে। একটা মেয়ে কি খুব বেশি কিছু চায় তার স্বামীর কাছে? আমি অন্তত চাই নি। শুধু চেয়েছিলাম দিনগুলো একটু ভালোভাবে চলার মতো কোন কাজ করবে, আমার সাথে একটু ভালো ব্যবহার, একটু ভালোবাসবে এটুকুই চেয়েছিলাম আমি।”

শুভ্রতা তার কথা শেষ করে। কথাগুলো কাউকে বলতে পেরে আজ তার একটু হালকা লাগছে নিজেকে। রায়হানের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শুভ্রতার শাশুড়ি তো বিয়েতে এসেছিল তার কথাতেই বিয়ে হয়েছিল তাহলে একমাস যেতে না যেতেই কেন সংসার আলাদা করলেন! প্রশ্নটা শুভ্রতার দিকে ছুড়ে দেয় সে।

” আচ্ছা তোর শাশুড়ি বিয়ের একমাসের মধ্যে কেন বলল তোর সাথে সম্পর্ক রাখবে না?”
” আমার শাশুড়ির ব্যাংক একাউন্টে মোটা অংকের টাকা থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসার জন্য ইমতিয়াজকে বলেছিল তার জায়গাটুকু বিক্রি করে টাকা দিতে। আমি ইমতিয়াজকে নিষেধ করেছিলাম কারণ ওটা ছাড়া তার আর কিছুই নেই।”
” ওহ আচ্ছা এটা কারণ ছিল। স্বপ্নীলকে চিনিস?”
” ইমতিয়াজের বন্ধু?”
” হ্যাঁ, ও আমাদের মিউচুয়াল ফ্রেন্ড।”
” হ্যাঁ চিনি। কেন কি হয়েছে?”

” ও বলল ইদানীং মোনালিসাকে ইমতিয়াজের সাথে এখানে ওখানে দেখা যাচ্ছে। মোনালিসাকে চিনিস তো তাই না? তোর প্রাক্তন শাশুড়ির ভাইয়ের মেয়ে।”
শুভ্রতা এবার একদম নিরাশ হয়ে যায়। অনিচ্ছায় মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে আসে, ” তার মানে……..”
” হ্যাঁ তুই যা ভাবছিস তাই। গত ছয়মাস ধরে একে অপরের সাথে ডেট করছে।”

এবার যেন শুভ্রতার মাথায় পুরো আকাশ ভেঙে পড়ে। প্রিয় মানুষ এভাবেও ঠকাতে পারে? একটুও বুকটা কেঁপে ওঠে না! মনে হয় না জীবন তো একটাই, এই একজীবনে কোন একজনকে এত বাজেভাবে ঠকানো ঠিক না? এরপরও কি কোন পুরুষকে বিশ্বাস করতে পারবে শুভ্রতা!!
বসে থাকা অবস্থায় শুভ্রতা কান্নায় ভারী হওয়া গলায় শেষ বাক্য ব্যয় করে, ” আমি তার সঙ্গ চাইলাম আর সে আমারে গুণে গুণে কয়েক ফোটা দুঃখ দিল!!”

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৩

বিঃদ্রঃ এই ৪পর্ব অবধি ৮০% সত্য ঘটনা।
গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি সবার কাছে থেকে। আজকে কেউ স্টিকার বা নেক্সট, নাইস এসব কমেন্ট করবেন না প্লিজ। এক লাইন হলেও গঠনমূলক মন্তব্য করবেন এটুকু আশা তো করতেই পারি।

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৫