শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৪৭

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৪৭
তানিয়া মাহি

গোসল শেষ করে মাথা মুছতে মুছতে রুমে এসে দেখে রুম ভেতর থেকে লক করা। শুভ্রতার যতটুকু মনে পড়ে সে দরজা খোলা রেখেছিল। দরজার দিকে এগিয়ে যেতেই টেবিলে রাখা ফোনটা বেজে ওঠে। শুভ্রতার পা থেমে যায়। সামনের দিকে না এগিয়ে এবার টেবিলের কাছে গিয়ে ফোনটা হাতে নিতেই পিছন থেকে কেউ এসে তার কোমর চেপে ধরে। শুভ্রতা চিৎকার দিতেই উক্ত ব্যক্তি কোমর ছেড়ে সামনে এসে শুভ্রতার সামনে দাঁড়ায়।

শুভ্রতা বলে ওঠে, ” ক কে আ আপনি?”
শুভ্রতার সারাশরীর ভয়ে কাঁপছে। অচেনা, অজানা মানুষের তো বেডরুম পর্যন্ত পৌঁছানোর কথা না। শুভ্রতা একপলকে সামনে দাঁড়ানো মুখোশ পরা ব্যক্তিটির দিকে তাকিয়ে আছে। শুভ্রতার ভয়ার্ত মুখ দেখে ব্যক্তিটি নিজেই মুখ থেকে মুখোশ খুলে ফেলে হাসি মুখে শুভ্রতার দিকে তাকায়।
শুভ্রতা বলে ওঠে, “আপনি!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” সারপ্রাইজ.. ”
শুভ্রতা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, হঠাৎ নিহানকে অবাক করে দিয়ে জড়িয়ে ধরে সে। নিহানকে যেন তার অবাস্তব কিছু মনে হচ্ছে। শুভ্রতা বিশ্বাসই করতে পারছে না যে নিহান এসেছে তার কাছে। নিহান শক্ত করে শুভ্রতাকে জড়িয়ে ধরে। শুভ্রতা বুকে মাথা রেখেই বলে, ” আপনি জানেন আপনাকে ছাড়া আমার কত কষ্ট হচ্ছিল? কিচ্ছু ভালো লাগছিল না আমার। ”

” দেখতেই তো আসলাম আমার বউ কতটা কষ্ট পাচ্ছে! ”
” আমার কষ্ট দেখার খুব ইচ্ছে? কষ্ট দেখার জন্যই কি ইচ্ছে করে কষ্ট দেন আমায়?”
” আমাকে না পাওয়ায় কেমন কষ্ট হয় তোর সেটা আমি দেখতে চাইতেই পারি। আমি ছাড়া অন্যকেউ তোকে কষ্ট দেওয়ার কথা চিন্তা করলেও ভুল করবে। যে মাথা দিয়ে ভাববে তোকে কষ্ট দেবার কথা সেই মা*থা আমি দে*হ থেকে আলাদা করে দেব।”

শুভ্রতা নিহানের কাছে থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়। নিহান খেয়াল করে শুভ্রতার মুখে হাসি ফুটেছে। হঠাৎ করে প্রিয় মানুষ সামনে চলে এলে কে না খুশি হয়!
শুভ্রতা বিছানার ওপর রাখা শাড়িটা হাতে নিয়ে নিহানকে বলে, ” আপনি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসুন, আমি ততক্ষণে রেডি হয়ে নিই। এখানে দেরি করলে আরও বেশি দেরি হয়ে যাবে।”
” এত পথ পাড়ি দিয়ে আসলাম বউয়ের সাথে সুখ-দুঃখের আলাপ করব না?”
শুভ্রতা শাড়ির আঁচলটা শরীরে এলিয়ে দিয়ে মুচকি হেসে বলে, ” বউ তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না। বউ আপনারই, আলাপ করার অনেক সময় পাবেন।”

” তোমাকে হারিয়ে যেতে দিলে তো হারাবে। ”
” কতগুলো মাস বউকে ছেড়ে ছিলেন বলুন তো? এখন এসে বড় বড় কথা!”
নিহান শুভ্রতার কোমরে হাত রেখে এক ঝটকায় নিজের খুব কাছে নিয়ে আসে। শুভ্রতা অপ্রস্তুত হয়ে যায়। নিহানের চোখমুখে দুষ্টুমির ছাপ স্পষ্ট। নিহান শুভ্রতার মুখের ওপর আসা ভেজা চুলগুলো আঙুলের ডগা দিয়ে কানের পিছনে গুজে দেয় আর বলে,” আজ সব দূরত্ব ঘুচিয়ে দেব, হবে না?”

শুভ্রতা বেশ লজ্জা পেয়ে যায়। অন্যদিকে তাকিয়ে বলে, ” ছাড়ুন তো, দেরি হয়ে যাচ্ছে। এখনই দেখা যাবে কেউ না কেউ চলে আসবে।”
নিহান শুভ্রতার মুখ তার দিকে করে কপাল থেকে ঠোঁট পর্যন্ত আঙুল বেয়ে চিবুকে ঠেকিয়ে বলে, ” কেউ আসলেও দরজার ওপাশ পর্যন্তই। ভয় নেই আমাদের এই অবস্থায় কেউ দেখবে না।”

” আপনি ছাড়ুন আমাকে আর তাড়াতাড়ি গিয়ে গোসলটা সেরে নিন।”
শুভ্রতা জোর করতে থাকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার। নিহানের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়া যেয়ে অসম্ভব সেটা জেনেও নড়াচড়া করতে দেখে নিহান আরও শক্ত করে চেপে ধরে। শুভ্রতা অসহায় চোখে নিহানের দিকে তাকায়৷ নিহান হেসে বলে ওঠে, ” নে ছাড়িয়ে নে দেখি কত শক্তি আছে শরীরে।”
” ছাড়বেন না? আমাকে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিচে যেতে হবে। বড়মা তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে, ওখানে অনেক কাজ আছে।”

নিহান শুভ্রতাকে ছেড়ে দেয়। শুভ্রতা স্থীর হয়ে দাঁড়ায়। নিহান শুভ্রতার কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে বলে, ” তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে আমরা একসাথে নিচে নামবো, ঠিক আছে?”
শুভ্রতা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়। নিহানও পোশাক পরিবর্তন করে ওয়াশরুমে চলে যায়।

অভীক আর আবিরার বিয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আবিরা আর অভীককে পাশাপাশি বসানো হয়েছে। অভীকের পাশে সিয়াম বসে আছে আর অন্যদিকে আবিরার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে স্নিগ্ধা, নেহা আর শুভ্রতা। বিয়ে সম্পন্ন হলে আবিরার মা নেহাকে মিষ্টি বিলি করতে বললেন। নেহা ঘরভর্তি মানুষ এড়িয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলো। মিষ্টি রান্নাঘরে রাখা আছে জেনে নেহা সোজা রান্নাঘরে চলে গেল। মিষ্টি রাখা পাত্রটি টেবিলের ওপর থেকে নিয়ে ঘরতেই দেখে সিয়াম দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। নেহা শুকনো ঢোক গিলে নেয়। সিয়ামকে দেখে সে ভীষণ অপ্রস্তুত হয়ে যায়। এদিক ওদিক তাকাতে থাকে সে। নেহার আমতা আমতা করে বলে, ” আব্ কিছু লাগবে আপনার? ”

সিয়াম এগিয়ে এসে বলে, ” হ্যাঁ লাগবে তো অনেককিছুই। কোনটা রেখে কোনটা বলি বলুন তো? ”
” ম মানে?”
সিয়াম নেহার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে, ” মানে.. আচ্ছা বলছি তার আগে একগ্লাস পানি খাওয়ান তো বেয়াইন সাহেবা। ”
নেহা মিষ্টির পাত্রটা আবার টেবিলে রাখাতে রাখতে বলে ” আমার নাম নেহা।”

শুভ্রতা তাড়াহুড়ো করে রান্নাঘরের দরজায় আসতেই দেখে নেহা আর সিয়াম একসাথে। সে বুঝে যায় মিষ্টি তাকেই নিয়ে যেতে হবে নইলে আজ কারো ভাগ্যে আবিরার বিয়ের মিষ্টি জুটবে না। শুভ্রতা গলা খাঁকারি দিতেই সিয়াম আর নেহা একসাথে শুভ্রতার দিকে তাকায়। শুভ্রতা মুখে হাসির রেখা টেনে বলে, ” নেহা আমি মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছি, তুই আস্তেধীরেই আয়।” বলেই এগিয়ে গিয়ে মিষ্টি নিয়ে বের হতেই নিহান এসে সামনে দাঁড়ায়। মিষ্টির পাত্রটি শুভ্রতার হাত থেকে একপ্রকার ছিনিয়ে নিয়ে বলে, ” তোর আর মিষ্টির ওজন একই। বয়ে আনছিলি কীভাবে?”

” মোটেও না, শুধু শুধু বাজে বকছেন।”
” তোকে তো কোলে নিয়েছি আমি, আমার চেয়ে তুই বেশি বুঝবি নাকি ওজন এক নাকি ভিন্ন?”
” তাড়াতাড়ি মিষ্টি বিতরণ করুন বাকি কথা পরে হবে।” শুভ্রতা নিহানকে ঠেলে সবাই যে রুমে আছে সেদিকে পাঠিয়ে দেয়।
সিয়াম গ্লাসের পানি শেষ করতেই নেহা বলে, ” আর কি চাই বলেন?”
সিয়াম গ্লাস রাখতে রাখতে বলে, ” আপনার কাছে চাইলেই কি পাওয়া যায়? এরকম যদি হয় তাহলে লিষ্টটা বাড়াতে হবে।”

” স্পষ্ট করে বলুন তো কি বলতে চাইছেন?”
” আপনাকে চাইলে কি পাওয়া যাবে? যদি পাওয়া যায় তো বলুন বড়বোনের বিয়েতে ছোটবোনকেও নিয়ে যাই!”
সিয়ামের কথায় হেসে ফেলে নেহা। প্রথমদিনে সে সিয়ামকে যেমন ভেবেছিল তেমন একদমই নয়।
নেহা হাসি থামিয়ে বলে, ” আমি তো জিনিস নই যে চাইলেই পাওয়া যাবে, আমি তো মানুষ আর মানুষকে চাইলেই পাওয়া যায় না। মানুষকে পেতে অনেক কাঠখড় পো*ড়াতে হয়। এখন বলুন আমাকে ছাড়া আর কি চাই?”

সিয়াম বলে, ” যা কিছুই চাই না কেন সেসবের শেষ আপনিই তাই আপনাকেই চেয়ে বসলাম। এখন বলেন কি করলে আপনাকে পাওয়া যাবে?”
” কোনভাবেই পাওয়া যাবে না।” বলেই নেহা চলে যেতে লাগলে সিয়াম নেহার হাত ধরে ফেলে। নেহা সিয়ামের দিকে তাকিয়ে আবার হাতের দিকে তাকাতেই সিয়াম হাত ছেড়ে দেয়।

ফাউজিয়া রুমে পায়চারি করছে। পাশের রুম থেকে তার মা অনর্গল কথা শুনিয়েই যাচ্ছে। চুপচাপ কথা শোনা ছাড়া তার যে কোন উপায় নেই আজ।
কিছুক্ষণ আগে সাহিল শেখ-এর মা ফাউজিয়াদের বাসায় এসেছিলেন। কলিংবেল বাজতেই ফাউজিয়া গিয়ে দরজা খুলে দেখে সাহিল শেখ-এর মা দাঁড়িয়ে। ফাউজিয়া সালাম দিয়ে ভেতরে আসতে বললে তিনি ফাউজিয়ার সাথে টুকটাক কথা বলে তার মায়ের রুমে চলে যায়। ফাউজিয়া বেশ বুঝতে পারে উনার মন খারাপ তবুও মুখে মিথ্যে হাসি। ফাউজিয়ার খুব অস্বস্তি অনুভব হচ্ছে কিন্তু তার যে মন কিছুতেই টানছে না।

ফাউজিয়া চা করে মায়ের রুমের দিকে যেতেই শুনতে পায় ভদ্রমহিলা তার মাকে বলছে, ” সাহিল এখন বেঁকে বসেছে৷ সে এখন বিয়েটা করবে না। চাকরিটাও ছেড়ে দিয়েছে, ফ্ল্যাট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলছে গ্রামে চলে যাবে ওখানে কিছু একটা করবে। তার হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন কিছুই বুঝতে পারছি না। আপনার সামনে আসতেও লজ্জা লাগছিল কিন্তু মেয়েটার জীবন জড়িয়ে আছে আমাদের সাথে, কথাটা কীভাবে বলব বুঝতে পারছিলাম না তারপর ভাবলাম কথাটা জানাতে তো আমি বাধ্য,তাই জানাতে আসলাম।”

ফাউজিয়ার হাত কাঁপছে, ধীরপায়ে রুমে প্রবেশ করে চা রেখে আবার বাহিরে চলে আসে সে। বাহিরে আর কোথাও না দাঁড়িয়ে সোজা নিজের রুমে চলে যায় ফাউজিয়া। বিয়েতে অমত করায় এত বড় সিদ্ধান্ত কেন নিল সাহিল?
ফাউজিয়া তাড়াহুড়ো করে সাহিল শেখ-এর নম্বর বের করে কল করে। রিং হচ্ছে আর ফাউজিয়ার হৃৎস্পন্দন বাড়ছে। ফোনে রিং হচ্ছে আর রুমের এপাশ থেকে ওপাশে পায়চারি করছে ফাউজিয়া।

কল কেটে গেলে আবার কল দিতেই নম্বর ব্যস্ত বলল ফাউজিয়া ভাবে সাহিল শেখ হয়তো তাকে কলব্যাক করছে। ফাউজিয়া কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কিন্তু কল আসছে না দেখে সে আবার কল দেয়, নম্বর আবার ব্যস্ত বললে ফাউজিয়া বুঝে যায় সাহিল তার নম্বর ব্লক করেছে। টেক্সট করবে এমন সময় সাহিলের মা এসে ফাউজিয়ার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।

সাহিলের মা চলে যাওয়ার পর থেকেই ফাউজিয়ার মা মেয়েকে নিয়ে চেঁচাতে শুরু করেছেন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন তার মেয়ের জন্যই এসব কিছু হচ্ছে। পাশের রুম থেকে মা কথা শোনাতেই আছে আর এপাশে বসে ফাউজিয়া বারবার সাহিলের ফোনে কল দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আবিরার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে অনেকটা সময় আগেই। এখন বরযাত্রীর সবাই বাড়ি ফেরার জন্য তৈরি। ছোট বড় সকলে একে একে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠছে। আবিরার বাড়ির সবাই আবিরা আর অভীককে নিয়ে ধীরেধীরে বের হচ্ছে। অভীক আমির সাহেবের কাছে বিদায় নিতে আসলে আমির সাহেব অভীকের হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলেন, ” বাবা হিসেবে আমি আমার মেয়ের পাশে খুব কম সময় ছিলাম।

আমি চেয়েছি আমার ছেলে-মেয়েরা যেন অভাব কি সেটা না বোঝে সেজন্য আমি আমি পরিবার থেকে দূরে থেকেছি। দূরে থাকলেই যে ভালোবাসা কম থাকে এমন না। একটা বাবার কাছে তার মেয়ে যে কী অমূল্য সম্পদ সেটা তুমিও বুঝবে যখন তুমি বাবা হবে৷ আমি আমার মেয়েকে বাবার স্নেহ প্রতিদিন দিতে পারি নি তবে তুমি স্বামী হিসেবে তার পাশে থেকো। আমার মেয়েটা ভুল করলে তাকে সঠিকটা বুঝিও। তাকে কড়া কথা শুনিও না, গায়ে ভুলে ফুলের টোকাও দিবে না আমি শুনলে সেটা সহ্য করতে পারব না। আমার মেয়ের দ্বারা কোন অন্যায় হলে সেটা আমাকে জানাবে, প্রয়োজনে আমি আমার মেয়েকে শুধরে দেব। আমার মেয়ে যেন ভালো থাকে সেই চিন্তা করেই তোমাদের বিয়েতে আমি অমত করি নি।”

আমির সাহেব দম ফেলে আবার বলেন,” আমার মেয়েকে খুব ভালো রেখো বাবা।”
অভীক আমির সাহেবকে আস্বস্ত করে বলে, ” আপনি কোন চিন্তা করবেন না বাবা, আবিরা খুব ভালো থাকবে ইন শা আল্লাহ। ”

আরও কিছু কথা বলে আমির সাহেবের থেকে বিদায় নিয়ে একে একে আবিরার মা, নিহান, শুভ্রতার মা, শুভ্রতা, শুভ্রতার বাবা সবার থেকে বিদায় নিয়ে আবিরাকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে অভীক। আবিরার বাবা দূরে দাঁড়িয়ে আছেন। রাবেয়া বেগম কান্না করছে। এত এত কান্নাজড়ানো পরিবেশের মাঝে সিয়ামেরও মন খারাপ হতে থাকে।

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৪৬

বাইক নিয়ে একা দাঁড়িয়ে আছে সে। নেহাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার গতিতে নেহা এসে সিয়ামের সামনে এসে দাঁড়ায়। সিয়াম একপলকে তাকিয়ে আছে নেহার দিকে। নেহা সিয়ামের তাকানো উপেক্ষা করে তার পাঞ্জাবির পকেটে কিছু একটা রেখে বোনের গাড়ির সামনে দৌঁড়ে যায়। সিয়াম তাড়াহুড়ো করে পকেটে হাত দিয়ে কাগজের টুকরো পায়, সামনে নিয়ে ভাজ খুলতেই তার মুখে হাসি ফুটে যায়।

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৪৮