সবটাই তুমিময় পর্ব ৫ || লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

সবটাই তুমিময় পর্ব ৫
লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

-আমি চাই আমার বাচ্চার মা আপনি হবেন।শুধুমাত্র এই কারন,আমি চাই!আমি চাই বলেই,আমার বাচ্চার সেরোগেট মাদার আপনাকেই হতে হবে মিস অদ্রি!অন্য কেউ নয়!
আমার প্রশ্ন শেষ হওয়ার সাথেসাথেই অঙ্কুরের জবাব!ঘাড় ঘুরিয়ে ওনাকে পাশেই দেখতে পেলাম।চোখটা হাতের মোবাইলে তার।একটু ভরকে গেলাম।রোহান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি সে স্বাভাবিকভাবেই দাড়িয়ে।অঙ্কুর মাথা তুলে বললেন,

-তোকে বলেছিলাম রোহান,ওনার সাথে বেশি কথা না বলতে!
-এতো‌ বেশি সেন্সিটিভ কেনো তুই আমাকে নিয়ে?এসব কবে বন্ধ করবি বলতো?
রোহান ভাইয়া কিছু না বলে সোফায় গিয়ে বসলেন।টিভি অন করলেন উনি।অঙ্কুর আমার দিকে এগোলেন দুপা।বললেন,
-এভাবেই সবাইকে কথার জালে ফাসিয়ে নিজের কাজ হাসিল করে নেন আপনি রাইট?এক্সপার্ট হয়ে গেছেন একদম!রোহান আমার দেখা টাফেস্ট পার্সোনগুলোর মধ্যে একজন!ওকেও নিজের কথায় ফাসালেন?আপনি সত্যিই আলাদা মিস!

কথার জালে ফাসানো,কাজ হাসিল করানো,এসব ভাষা আজোবদি কোনোদিনও শুনতে হয়নি আমাকে।আজ অঙ্কুরের কাছে এসব শুনে তার প্রতি ঘৃনাটা আরো গাঢ় হলো।বললাম,
-এক্সপার্ট হলে হয়তো সব উত্তরগুলো পেয়ে যেতাম।কিন্তু আমি আমার উত্তর এখনো পাইনি!
-ডোন্ট এক্সপেক্ট সো মাচ!
উনি মোবাইলের দিকে তাকিয়ে চলে‌ যাচ্ছিলেন।কিছুটা উচুস্বরে বললাম,
-আপনার কাছে এক্সপেক্টেশন?হাহ!হাসালেন!
উনি থেমে গেলেন।পিছন ফিরে মোবাইলটা পকেটে পুরে‌ বললেন,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-যদিও আপনাকে উত্তর দিতে এএসএ বাধ্য নয়,তবুও শুনে রাখুন,আমি চাই আপনাকেই মানতে হবে আমার শর্ত,যারমানে আপনাকেই মানতে হবে।আপনাকে সিলেক্ট করার কারন,নিতান্তই আমার চাওয়া।নাথিং এলস্!
-আমি আপনার চাওয়া পুরনে বাধ্য নই!
-হ্যাঁ,তা নন!কিন্তু আপনার কর্মফল?সেটা আপনি ভোগ করতে বাধ্য তাইনা?
বিস্ময় বাড়লো।তার চাওয়ার কোনো গুরুত্বপুর্ন কারন আছে সেটা আন্দাজ করেছিলাম।এবার হিসেব মিলছে। কর্মফল।তার কাছে আমার কর্ম মানেই তার সত্যিটা জানা।এবার সবটা পরিষ্কার।বললাম,
-তারমানে বলতে চাইছেন,শুধুমাত্র আপনার বিষয়ে সেদিন ওসব জেনে গেছি বলেই আপনি….
-আপনি আমার বিষয়ে একটু বেশিই জেনে গেছেন।তবে আমি কিন্তু….
-অঙ্কুর?

রোহান ভাইয়া ডাক লাগালেন।টিভির দিকে তাকিয়ে সোফা থেকে দাড়িয়ে গেছেন উনি।অঙ্কুর এগোলেন।পিছন পিছন আমিও গেলাম।অঙ্কুরের আগেরদিন ম্যাচ হারা নিয়ে নিউজ হচ্ছে।ব্রেকিং হিসেবে হেডলাইনে বড়বড় করে লেখা,এএসএ’র‌ নতুন রেকর্ড!জিরো রান,ওয়ান বলে আউট!আর লাইভ নিউজে দেখাচ্ছে তার সমর্থকরা হৈ হুল্লোড় লাগিয়েছে।অঙ্কুর ফ্যান তার পরবর্তী আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার আগের মতোই সেঞ্চরী নিয়ে কামব্যাক আশা করছে।অঙ্কুর তাচ্ছিল্যে হাসলেন।বললেন,

-এটা তো কালকের নিউজ!আজকের আপডেট কি?চ্যানেল পাল্টা!
রোহান ভাইয়ার কাছ থেকে রিমোট নিয়ে চ্যানেল পাল্টালেন উনি।রোহান ভাইয়া একধ্যানে তাকিয়ে রইলেন অঙ্কুরের দিকে।হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রইলাম আমি।এতোগুলো মানুষের এতো আশা ওনাকে নিয়ে।আর উনি?সবটাই মুল্যহীন মনে করছেন!এতো আশা,বিশ্বাস ভরসার যোগ্যই নয় এই মানুষটা।তাদের আবেগ উপেক্ষা করতে চ্যানেল পাল্টাচ্ছেন।টিভিতে কিছু একটা দেখে আগ্রহ নিয়ে সোফায় কুশন কোলে‌ নিয়ে বসলেন উনি।

অঙ্কুরের অতিমাত্রার আগ্রহ দেখে কপাল কুচকে এলো আমার।একপলক টিভির দিকে তাকালাম।যা দেখলাম,তাতে হতবাক না হয়ে পারলাম না।একপ্রকার তব্দা মেরে গেছি।প্রদীপ সরকারের সব কুকর্মের সঙ্গী,তার ডানহাত দীপক তালুকদার কালোটাকার ব্যবসায়ী হিসেবে প্রমানসমেত ধরা পরেছে।আর তার থেকেও বড় কথা!প্রমানগুলো সব আমারই ডকুমেন্টারি থেকে নেওয়া।খবরগুলো দেখে জমে যেতে লাগলাম যেনো।আস্তেধীরে এগোতে লাগলাম।আমাকে এগোতে দেখেই অঙ্কুর টিভি বন্ধ করে দিয়ে বললেন,

-এসব বিষয়ে ইন্টারেস্টটা একটু কমান মিস অদ্রি!রুমে যান!
অনুভুতিশুন্য হয়ে তারদিকে তাকালাম।দীপক তালুকদার বিশিষ্ট সমাজসেবক হিসেবে নাম করেছেন ঠিকই,কিন্তু এই লোকটা মুলত কালোটাকার ব্যবসায়ী।টানা দুমাস ফলো করে,তার বিরুদ্ধে সব প্রমান জোগার করেছিলাম।এখানে আটকে পরার আগেই এসব ডকুমেন্টস্ ভোরের বাংলা খবরকাগজের এমডিকে মেইল‌ করেছিলাম আমি।যা চারদিন আগেই পেপারে প্রিন্ট হওয়ার কথা ছিলো।সেগুলো আজকে কেনো প্রচার হচ্ছে?আর তো আর,টিভি চ্যানেলে কেনো?
-আপনাকে রুমে যেতে বলেছি মিস অদ্রি!

-এসব….
-রুমে‌ যান।
-এ্ এক মিনিট মিস্টার অঙ্কুর,এই ডকুমেন্টস্…..
উনি উঠে দাড়িয়ে চিৎকার করে বললেন,
-জাস্ট গো টু ইউর রুম ড্যামিট!
কেপে উঠলাম কিছুটা।আজ প্রথমবার এতো উচু গলায় কথা বলেছেন উনি আমার সাথে।মাথা ফাকা ফাকা লাগছে।রোবটের মতো রুমে চলে আসলাম ওখান থেকে।এমডি স্যার নিজেও আমাকে চেনেন না।তার কাছে তো শুধু কাজটাই মানে রাখে।আমার দেওয়া প্রতিটা রিপোর্ট পেপারে প্রিন্ট করায় তাকে প্রতিবারই ধমকি শুনতে হয়েছে।এমনকি লাইফরিস্কও ছিলো তার।তবুও উনি সবগুলো নিউজ কভার করেছেন।কিন্তু আজকে খবরটা অন্য কোথাও কেনো?উনিই কি চ্যানেলে পাঠিয়েছেন এইসব?এই খবর ওনার পেপারে প্রিন্ট হলে ওনার পেপারের আরো নামডাক হতো অনেক বেশি।তবে?

চিন্তা হচ্ছে!খবরটা ঠিক কোথায় থেকে কোথায় গড়িয়েছে?এমডি স্যার ডকুমেন্টসগুলো অন্যকোথাও দেওয়ার লোক নন।আর এসব উনি ছাড়া অন্য কারো কাছে থাকারও কথা না।তাহলে ঠিক কি ঘটেছে?কেউ‌ কোনোভাবে ওনাকে ধমকে ওগুলো হাতিয়ে নিয়েছে?কে?দীপক তালুকদারের লোকজন?কিন্তু যদি তার লোকজনই হবে তবে তা নিউজে আসবে কেনো?না!এ অন্যকেউ!আর সে চায়নি এই খবরটা ভোরের বাংলায় প্রিন্ট হোক।রিপোর্টার অদ্রি নামে দীপক তালুকদারের সত্যিটা সবার সামনে আসুক।কিন্তু কেনো?কেনো কেউ এসব করবে?কে‌ সে?

সারাদিন রুমেই কাটলো।দরজা লক ছিলো না আজ।আমিই ইচ্ছা করেই বেরোইনি।সকালে ভেবেছিলাম অঙ্কুর বেরোলে পালানোর উপায় খুজবো।কিন্তু দীপক সরকারের খবরটা দেখার পর কেমন যেনো ঘটকা লাগছে সবকিছুতে।চারদিন পর খবর বেরোনো,তাও টিভি চ্যানেলে,তাও আমারই‌ সব ডকুমেন্টারী দিয়ে,আমার নাম ছাড়া।সবকিছুতে গুলিয়ে যাচ্ছি।তাছাড়া অঙ্কুরের ব্যবহার নিয়ে ভাবতে না চাওয়া সত্ত্বেও বারবার তার ধমকের কথা মনে পরে অস্থির লাগছে।
-এভাবে ছাড়া পেয়েও ঘরবন্দি হয়ে আছেন কেনো?
দরজায় তাকিয়ে অঙ্কুরকে দেখতে পেলাম।হাতে খাবারের ট্রে।চুপ রইলাম।উনি ভেতরে ঢুকে বললেন,
-দুপুরে খেতে যাননি কেনো?

-খাবারটা খেয়ে নিন।
-খিদে নেই।নিয়ে‌ যান ওটা!
-খিদে না থাকাটা আপনার ব্যাপার।কিন্তু আমার বাসায় কেউ না খেয়ে থাকবে সেটা আমি দেখতে পারবো না সেটা আমার ব্যাপার।সো,খেয়ে নিন।
-দেখুন মিস্টার অঙ্কুর….
-আপনাকে হাত ধরে বিছানায় নিয়ে আসি এমনটা না চাইলে চুপচাপ এসে বসুন!
মেঝে ছেড়ে উঠে বিছানায় এসে বসলাম।উনি আমার সামনেই বসে খাবার মাখাতে লাগলেন।বললাম,
-আমি বলেছি আমি খাবো না!
-আমি শুনেছি।নিন হা করুন!
-আজব তো!আমি….

কথা শেষ করার আগেই খাবার মুখে পুরে দিলেন উনি আমার।যে আমার কোনো কথার দাম দেয়না,যার কাছে জীবনে প্রথমবার আমাকে ধমক শুনতে হয়েছে,সে এসেছে আমাকেই খাবার খাওয়াতে।কটমটে চোখ তাকিয়ে খাবার চিবোতে লাগলাম।উনি নিজের কাজে মনোযোগ রেখেই বললেন,
-আপনার অগ্নিদৃষ্টি দেখে এএসএ ভয় পাবে না!ইউ শুড নো দ্যাট!
চোখ নামিয়ে নিলাম।উনি বললেন,
-কি ব্যাপার বলুনতো মিস পর্বতশৃঙ্গ?কোনো বিষয়ে টেন্সড্ মনে হচ্ছে আপনাকে।

-সকালে ওই নিউজটা দেখার পর রিয়্যাক্ট করছিলেন আপনি।আবার ওটা দেখার পর থেকেই রুমে এভাবে কপাল কুচকে বসে আছেন।এনি প্রবলেম?
কিছুটা হচকিয়ে গেলাম।সত্যিই তো!ওনার সামনে ওমন করাটা ঠিক হয়নি আমার।নিজেকে একটু সামলে বললাম,
-আপনিই বা আমাকে ওই নিউজের বিষয়ে কম ইন্টারেস্ট দেখাতে বললেন কেনো?
-নট ব্যাড হা?আমার তীর আমাকেই তাক করছেন?
-আই উইশ,সে তীর যেনো লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয়।আন্সার মি!আপনি কেনো ওই কথা বললেন?নিউজও দেখতে দেননি পুরোটা।
-আপনি ওই নিউজের সাথে জড়িত না রাইট?
ওনার ঠোটে বাকা হাসি।চোখ সরিয়ে নিলাম।উনি বললেন,

-হা করুন!
-আর খাবো না!
-পুরোটাই খেতে হবে আপনাকে!
-জোর করবেন?
-না।তবে ওইযে,বলেছি তো।একবেলা না খেলে পরের দুদিন খাওয়া জুটবে না।আর তারপর কি হবে আপনি ভালোমতোই জানেন!
-আমাকে দিন।আমি খেয়ে নিচ্ছি!
-এএসএ খাবার হাতে লাগিয়েছে,তার একটা দাম আছে।ফিনিশ ইট!
বিরক্তি নিয়ে খেতে লাগলাম।এর সাথে তর্কে যাওয়া বেকার।উনি বললেন,

-মানলাম আপনি সিক্রেট রিপোর্টার!কিন্তু তা বলে সব বিষয়েই আগ্রহ?ওটা তো টিভি নিউজ ছিলো।আপনার সো কলড্,ভোরের বাংলা পত্রিকার খবর না।তাছাড়া,নিউজে রিপোর্টার হিসেবে তো অদ্রি ছদ্মনামটাও ইউজ হয়নি।আমি তো দেখলাম না।তারমানে আপনার সম্পৃক্ততা কোনোভাবেই থাকতে পারে না।এমনিতেও এখানে থেকে পড়াশোনা হ্যাম্পার হচ্ছে আপনার।সে বিষয়ে ভাবুন না!সেটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখুন!নতুন,অন্যকিছুতে আগ্রহ দেখান!তা না,ওই নিউজ নিয়ে ইন্টারেস্ট দেখাবেন কেনো?
-এতোসব আপনাকে কে ভাবতে বলেছে?
খাওয়ানো থামিয়ে উনি কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে।বললাম,
-হোয়াট?বলছেন না কেনো?আমাকে নিয়ে এতো ভাবতে বলেছে কে আপনাকে?আপনার আমাকে ধমক দেওয়াটাই মানায়।

-আমার অনাগত বাচ্চার মা আপনি।এটুকো তো ভাবতেই হয়!
আবারো রাগ উঠলো।দাতে দাত চেপে বললাম,
-আমার আপনার কোনো কথা শুনতে ভালো লাগছে না।নাইবা আপনার হাতে খেতে ভালো লাগছে।আপনি আসুন!
-বুঝলাম।
-কি?
-এই,যে আপনার ভালো লাগছে না।
-বোঝেন আপনি?আপনি তো….
আবারো খাবার দিয়ে আমাকে থামিয়ে দিলেন উনি।বললেন,
-হোয়াই নট?বুঝবো না কেনো?আমাকে কি অবুঝ মনে হয়?

-যাই হোক,ভালো না লাগার কারনটা কি আমার শর্ত?এজ অলয়েজ?
-যা কোনোদিনও মানবো না,তা নিয়ে খারাপ লাগাকে কেনো পাত্তা দেবো?আপনার শর্তকে অনেক আগেই এভোয়েড করেছি আমি।
-তাহলে?তাহলে আর কি কারনে আপনার মন খারাপ?

-আমার ব্যবহার?আইমিন,সকালের ধমকটা?
ওনার দিকে তাকাতেই প্লেটের দিকে ইশারা করলেন উনি।খাবার শেষ হয়নি।অন্যদিক ঘুরে বসে বললাম,
-প্লিজ একা থাকতে দিন আমাকে!প্লিজ!
-আপনাকে ধমক দেওয়ায় সরি বলার প্রয়োজনবোধ করছি না।ভুল করিনি আমি।বাট ইয়েস,যেটা হয়,ভালোর জন্যই হয়।আজ দ্বিতীয়বার মনে হলো কথাটা।খাবার পুরোটা খেলেন না।পানিটা খেয়ে নেবেন।আর হ্যাঁ,ডিনার টাইমে যেনো ডাকতে না হয়।আসছি।

সবটাই তুমিময় পর্ব ৪

উনি বেরিয়ে গেলেন।দরজা খোলা রেখেই।ঢকঢক করে গ্লাসের পানি শেষ করলাম।আজকের সবগুলো ঘটনা বারবার মনে পরছে।অঙ্কুরের অতীত,তার ব্যবহার,সবকিছু।কিন্তু আমি তো তার বিষয়ে ভাবতে চাইনা!ঘৃনা করি তাকে।তবে তাকে নিয়ে ভাবছি কেনো?তার ধমক দেওয়া নিয়ে তার উপর অভিমান হচ্ছিলো কেনো?কোনোভাবে কি আমি তার উপর দুর্ল হতে শুরু করেছি?না!উনি শুধু নিজের স্বার্থে সবটা করছেন।আর তাই আমার দুর্বলতা নয়,ঘৃনাই প্রাপ্য তার।ঘৃনা করি আমি তাকে।তার জন্য শুধু ঘৃনাই থাকবে আমার মনে।অন্য কিছু নয়!

[ আসসালামু আলাইকুম রিডার্স,
আসলে আমি অসুস্থ্য।জ্বর,ঠান্ডা।তাই লিখতে পারছি না ঠিকমতো আর গল্প‌ দেওয়াটা অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে।আশা করি বুঝবেন।আর যারা সেরোগেশন নিয়ে একটু অজ্ঞাত,তাদের জন্য-
সেরোগেশন বা কৃত্রিম গর্ভধারন পদ্ধতি!এ পদ্ধতিতে প্রথমে বাচ্চার বাবার জননকোষ(স্পার্ম) এবং মায়ের জননকোষ(ওভাম) তাদের দেহ থেকে সংগ্রহ করা হয়।এরপর কৃত্রিম উপায়ে মাতৃদেহের বাইরেই ওভাম,স্পার্মের মিলন(ফার্টিলাইজেশন) ঘটিয়ে শিশুর ভ্রুন তৈরী করা হয়।অপারেশনের মাধ্যমে সেই বর্ধনশীল ভ্রুন মায়ের জরায়ুতে সংস্থাপন করা হলে,শিশু আর পাঁচটা স্বাভাবিক বাচ্চার মতোই মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠতে থাকে।গুগলে আইভিএফ পদ্ধতি লিখে সার্চ দিলেই আরো ভালোভাবে জানতে পারবেন।
ভুলত্রুটি মার্জনীয় ]

সবটাই তুমিময় পর্ব ৬