স্রোতস্বিনী পর্ব ১৬

স্রোতস্বিনী পর্ব ১৬
মুগ্ধতা রাহমান মেধা

স্রোত হাতে বই নিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে।তার শূণ্য শূণ্য অনুভব হচ্ছিলো।মাথায় মেহরাদের ভাবনা আসছিলো।তাই ভাবলো বই নিয়ে বসলে একটু ভালো লাগতে পারে।তাছাড়া দুই মাস পর পরীক্ষা, না চাইলেও পড়তে হবে।মান্ধবী তার পাশে ফোন নিয়ে বসে থাকলেও মাথায় রায়হানের কর্মকান্ডের ভাবনা।সে এমন কেনো করছে?সত্যিই কি ভালোবাসে?এভাবে ভালোবাসা হয়?মান্ধবী ভেবে নিয়েছে সে কখনো রায়হানকে মেনে নিবে না সে যত ভালোবাসাই থাকুক না কেন!সে এক বছর আগের কথা ভুলে যায় নি।তার মনে পড়ে যায় একবছর আগের দিনগুলোর কথা..

সবেমাত্র এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে এডমিশনের জন্য কোচিং -এ ভর্তি হয় মান্ধবী আর ওর বান্ধবীরা।ওরা ইন্জিনিয়ারিং এস্পিরেন্ট ছিলো।ঐ কোচিং এই রায়হান ক্লাস নিতো।সেখান থেকেই তাদের পরিচয়।বলা বাহুল্য রায়হান কয়েকমাস আগে বুয়েট পাশ করে এখন একটা ফার্মে কর্মরত।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তখন রায়হান ফিফথ ইয়ারের স্টুডেন্ট ছিলো।নাবালিকা মান্ধবী তখন সাবালিকা,চারিদিকে রঙিন প্রজাপতি দেখে।রায়হানকে দেখে সে প্রেমে পড়ে যায়।ক্লাস নেওয়ার সময় ঢ্যাপ ঢ্যাপ করে তাকিয়ে থাকতো,প্রথম প্রথম রায়হানের অস্বস্তি হলেও পাত্তা দিতো না।দিনদিন মান্ধবীর জ্বালানো বেড়ে যায়।ফেসবুকতেও “ভালোবাসি” “ভালোবাসি” বলে পা গ ল করে ফেলতো।রায়হান ক্লাস করানোর আগে ওর টেবিলে ফুল রাখতো নিয়মিত। সবাই দেখলেও কেউ প্রকাশ করতো না।রায়হানকে অনেকদিন সরাসরি বলতে গিয়েও পারে নি।তবে দিন পার হওয়ার সাথে সাথে রায়হানও সব বুঝে না।বিরক্ত হয়ে একদিন ক্লাসে সবার সামনেই মান্ধবীকে রেগেমেগে অনেক কথা শোনায়।মান্ধবীর সামনে গিয়ে রাগান্বিত স্বরে বলে,

“স্ট্যান্ড আপ।”
মান্ধবী খুশি হয়ে দাড়িয়ে যায়।
“কি সমস্যা তোমার?প্রতিদিন আমায় বিরক্ত করছো কেনো?”
দাঁত কিড়মিড়িয়ে প্রশ্ন করে রায়হান।
রায়হান রাগ দেখে মান্ধবী ঘাবড়ে যায়।আমতা আমতা করে বলে,
“কোথায়?”

“তুমি কি ভেবেছো আমি বুঝি না?টেবিলে ফুল রাখা,মাঝে মাঝে চিঠি রাখা,ফেসবুকতে মেসেজ দিয়ে ইনবক্স ভরিয়ে দেওয়া,ক্লাসে ঢ্যাপ ঢ্যাপ করে তাকিয়ে থাকা,পিছনে ঘুরঘুর করা,বুঝি না আমি?আমাকে তোমার বাচ্চা মনে হয়?হোয়াট’স্ রং উইদ ইউ,ম্যান?”
মান্ধবী ভয় পেয়ে চোখ-মুখ খিচিয়ে চুপ করে থাকলে রায়হান এবার চেচিয়ে উঠে,
“স্পিক আউট।”
“আমি আপনাকে ভালোবাসি।” আমতা আমতা করে বলে মান্ধবী।

কথাটা শেষ হতে না হতেই মান্ধবীর গালে থাপ্পড় পড়ে।গালে হাত দিয়ে কাতর দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো রায়হানের পানে।রায়হান রাগে কাঁপছে। সে ভুলেই বসেছে সে পুরো ক্লাসের সামনে আছে।তখনই ইরা ক্লাসে প্রবেশ করে।ইরা আর রায়হান সমবয়সী,ব্যাচমেট।দু’জনই এই কোচিং সেন্টারে পড়াতো।ইরা দৌড়ে ওদের কাছে এসে কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করে।রায়হান কিছু না বলে ইরাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে মান্ধবীকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“এই যে ইরা।আই লাভ হার।উই আর ইন অ্যা রিলেশনশিপ। নেক্সট টাইম আমাকে ডিস্টার্ব করলে এর থেকেও বেশি খারাপ হবে বলে দিলাম।”

মান্ধবীর চোখ জলে টইটম্বুর।থাপ্পড় দেওয়ায় ওর কিছু যায় আসে না।সে তাকিয়ে আছে ইরাকে জড়িয়ে ধরার দিকে।একসময় চোখের জল বাঁধ ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে।মান্ধবী সবার সামনেই বলে,
“আজকের দিনটার জন্য আপনি অনেক সাফার করবেন, অনেক।এই আমাকেই আপনি খুঁজবেন, কিন্তু পাবেন না।মিলিয়ে নিয়েন আমার কথা।” বলে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যায় মান্ধবী।
পরে ইরা সব শুনে রায়হানকে বলেছিলো যে তুমি এটা ঠিক করো নি। বাচ্চা মেয়ে বুঝিয়ে বললেই হতো। পুরো ক্লাসের সামনে ওকে থাপ্পড় মারা টি কি ঠিক হয়েছে?

“দুই মাস যাবৎ বিরক্ত করছিলো।পাত্তা দি নাই,তবুও।ভেবেছিলাম পুরো ক্লাসের সামনে ধমকালে ঠিক হয়ে যাবে।উল্টো সবার সামনে বলে ” ভালোবাসি”।তাই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি নি।”
“তবুও তোমার ওকে বুঝিয়ে বলা উচিৎ ছিলো।আলাদা করে কথা বলা উচিত ছিলো।তুমি ভুল করেছো,আগামী ক্লাসে ওকে স্যরি বলবা।” ঠান্ডা মাথায় বলে চলে যায় ইরা।রায়হান ইরার কথাগুলো ভাবতে থাকে।সে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে পরে বুঝতে পারলেও স্যরি বলার সুযোগ পায় না।

মা মরা মেয়ে মান্ধবী প্রথম প্রেম প্রত্যাখ্যান,পুরো ক্লাসের সামনে অপমান মানতে পারে নি।সে আর কোচিং এ যায় নি।অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলো।বান্ধবী ছাড়া কাউকে বলতেও পারছিলো না।স্রোত পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকায় খেয়ালও রাখতে পারে নি।অদৃষ্টের পরিহাসে, মান্ধবী ইন্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলেও ঢাবিতে পেয়ে যায়।রায়হান নিজের ভুল বুঝতে পেরে মান্ধবীর বান্ধবীদের কাছে ওর খোঁজ চাইলেও ওরা দেয় না।অফিসের খাতা চেক্ করে দেখতে পায় ঐখানে মান্ধবীদের গ্রামের বাড়ির এড্রেস দেওয়া।রায়হান আর মান্ধবীর খোঁজ পায় না,অপরাধবোধে ভুগে একটা বছর।

মান্ধবীর ধ্যান ভাঙ্গে রিহানা আর নয়নার ডাকে।ওরা এসে জানায় বসার ঘরে সবাই আড্ডা দিচ্ছে। স্রোত আর মান্ধবীও যেনো যোগ হয় ওদের সাথে।স্রোত যেতে না চাইলেও ওরা জোর করে নিয়ে যায়।বলে যে,আমরা কালকে চলে যাবো,তখন বাড়ি ফাঁকা থাকবে বেশি বেশি করে পড়ালেখা করবে,আজকে ছুটি নাও।
ড্রয়িংরুমে বাড়ির নবীন- প্রবীন সবাই উপস্থিত। সবাই নিজেদের মধ্যে হাসি ঠাট্টায় ব্যস্ত।স্রোতদের দেখতে পেয়ে বনলতা বেগম নিজের পাশে স্রোতকে বসালেন।মান্ধবীও স্রোতের পাশে বসলো।রায়হান একবার মান্ধবীর দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়।রিহানা আর নয়না হেঁসে সবাইকে বলে,

“জানো গিয়ে দেখি আমাদের নতুন বউ পড়তে বসেছে।ভাবীর নাম ইতিহাসে বড় বড় করে লিখে রাখা হবে যে বিয়ের পরদিনই কনে পড়তে বসেছে।”
সবাই হেঁসে ফেলে।বনলতা বেগম হাসি থামিয়ে স্রোতকে আদর করতে করতে বলেন,
“আমার মেয়ের পরীক্ষা দুই মাস পর।কত টেনশনে আছে ও।তোরা ওকে নিয়ে মজা করবি না।”
নবীন বলে উঠে,

“ভাবী আজকে আমরা আপনাকে একটু বিরক্ত করবো।কালকে আমরা চলে যাবো তারপর পড়বেন।আজকে আমাদের আড্ডা দিন।”
স্রোত তখন স্মিত হেঁসে বলে,
“আরেহ তেমন কোনো ব্যাপার না।আসলে কিছু ভালো লাগছিলো না তাই আর কি।”
নয়না মজা করে বলে,
“কেনো কেনো?ভাইয়াকে মিস্ করছিলে নাকি ভাবী?”

স্রোত লজ্জা পেয়ে যায়।স্রোত কিছু বলবে তার আগেই নবীন বলে উঠে,
“তুই তো আরিফ ভাইয়াকে চোখে হারাস।ভাইয়া যখন বাহিরে থাকে তখন হুদায় ফোন দিয়ে বিরক্ত করিস।তাহলে ভাবী মিস করবে না কেনো?”
সবাই হেঁসে ফেলে।আরিফ সামনেই নয়না-আরিফ দুজনই লজ্জা পায়।নয়না লজ্জা আড়াল করে ভাইয়ের দিকে কটমট করে তাকিয়ে বলে,
“তুই চুপ কর।তুই দেখেছিস এমন করতে?”

“দেখি নি মানে?ভাইয়া যখন রাগ করে তোর ফোন রিসিভ করে না,তখন তো আমার ফোন দিয়েই কল করিস।হুহ”
“এই মিথ্যে বলবিনা একদম।ভালো হবে না বলে দিলাম” মেকি রাগ দেখিয়ে বলে নয়না।
সবাই দুই ভাই-বোনের খুনসুটি দেখছে আর হাসছে।মাধবী বেগম তখন ছেলেমেয়েদের থামাতে বলে উঠেন,
“এই তোরা চুপ করবি?এখানেও ঝগড়া করছিস।বাপের মতো ঝগরুটে হয়েছিস দুইটা।”
সবাই হাসছে,নোলক সাহেব তখন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন,

“এই মাধবী মিথ্যে বলবে না।আমি ঝগড়া করি না,তুমি করো।”
তখন নয়না-নবীন একসাথে বলে উঠে,
“একদম,আমরা বাবার পক্ষে।”
“আসছে,,হুহ আমি ঝগড়া করি।আমার সারাজীবন চলে গেলো এদের পেছনে খাটতে খাটতেই। আর এরা বাপের পক্ষ নেয়।হাড়মাস জ্বালিয়ে খেলো আমার।”মেকি রাগ দেখিয়ে বললেন মাধবী বেগম।
সবাই ঠোঁট টিপে হাসছে।নোলক সাহেব তখন আদুরে স্বরে বলেন,

” আহা মাধবী,রেগো না তো।আমরা মজা করছিলাম। আমরা তোমাকে অনেক ভালোবাসি।”
স্রোত চুপচাপ ওদের কান্ড দেখছে। এমন একটা সুখী পরিবার তো ওর স্বপ্ন ছিলো।সবাই কত ফ্রেন্ডলি।স্রোত মন দিয়ে ওদের খুনসুটি দেখছে।স্রোতের ধ্যান ভাঙ্গে মেহরাদের কলে।সবাইকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কল বলে ও ঘরে চলে যায়।সবাই আবার নিজেদের মধ্যে আড্ডা দিতে থাকে।মান্ধবী অনেক উপভোগ করে এই পরিবারের টক-ঝাল-মিষ্টি খুনসুটি গুলো।
ঘরে আসতে আসতে দু’বার রিং হয়ে কল কেটে যায়।আবার কল করলে স্রোত রিসিভ করে সালাম দেয়।সালাম বিনিময় শেষে মেহরাদ জিজ্ঞাসা করে,

“কি করছেন?”
“খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আছি।আপনি?”
“আপনাকে মিস্ করছি।আমাকে মিস করছেন না?”
“একদমই না।কেনো মিস্ করবো বলুন তো।বরং শান্তি লাগছে কেউ জ্বালাচ্ছে না।”
“আমি আপনাকে জ্বালাই?এটা বলতে পারলেন আপনি?” ঠোঁট উল্টিয়ে বলে মেহরাদ।
স্রোত ঠোঁট টিপে হেঁসে বলে,
“অনেক বেশিইইই।”

“আমি আমার বউকে জ্বালাই।আপনার কি হুহ?এটা আমার স্বামীগত অধিকার। ” ভাব নিয়ে বলে মেহরাদ।
“স্বামীগত অধিকার আবার কি?”
“এই তো বউকে আদর করা,টুপ করে জড়িয়ে ধরা,একটু একটু চুমু খাওয়া,বউকে জ্বালানো,রাগানো।”
“আর বউগত অধিকার নেই বুঝি?”
“তা তো আছেই।কিন্তু আমার বউ তো নিরামিষ।আমাকে একটুও ভালোবাসে না।আমার থেকে পালিয়ে বাঁচে। অনেক কষ্টে আছি বুঝলেন স্রোতস্বিনী। আমার বউ আমাকে পাত্তাই দেয় না।” ঠোঁট উল্টিয়ে করুণ স্বরে মজা করে বলে মেহরাদ।

“আমি আপনাকে পাত্তা দিই না?ঠিক আছে যে পাত্তা দেয় তার কাছে যান।ফোন রাখেন।”
“আহা রাগছেন কেনো স্রোতস্বিনী। শুনুন না।”
“বলুন”
“এই আপনি আপনি করে কথা বললে দূরের মানুষ লাগে।আমার বউ কি আমার দূরের মানুষ বলো?তাই আমি এখন থেকে তুমি তুমি করে বলবো।ঠিক আছে?”
“আচ্ছা।আপনার ইচ্ছা।”

“তুমিও তুমি তুমি করে বলবে!”
“আমার সময় লাগবে।”
“নিরামিষ কোথাকার।”
“ফোন রেখে দিবো কিন্তু। ”
“না না,আমার ভালো বউটা,সোনা বউটা।শোনো না।” আদুরে স্বরে বলে মেহরাদ।
“আবার কি!”

“ভালোবাসি অনেক।” শান্ত গলায় বলে মেহরাদ।
“নতুন কিছু বলুন। এটা পুরোনো হয়ে গিয়ছে।” ভাব নিয়ে বলে স্রোত।
“পারি না।তুমি শিখিয়ে দাও।কিভাবে ভালোবাসি বলতে হয়!” ভণিতা করে বললো মেহরাদ।
“আপনার চালাকি আমি বুঝি না,ভেবেছেন?”
মেহরাদ শব্দ করে হেঁসে ফেলে বলে,

“ভালোবাসি বলো না!”
“এতো সহজে না।”
“শুনেই ছাড়বো।”
“চেষ্টা করতে থাকেন।”
“বলা লাগবে না। যখন থাকবো না তখন ঠিকই বলবে।আমি শুনতে পাবো না আর কি!”
স্রোতকে ইমোশনাল করার জন্যে কথাটা বললেও স্রোত রেগে যায়।
“সবসময় ফাজলামি ভালো লাগে না।ফার্দার আমার সামনে এসব কথা বলবেন না।”
“মজা করছিলাম।স্যরি।”

স্রোত কিছু বলে না।তার রাগ লাগছে,মা চলে যাওয়ার পরে এই কাউকে বিশ্বাস করলো,ভরসা করলো,নিজের আত্মার সঙ্গী করলো,তার হারিয়ে যাওয়ার কথা মেনে নিতে পারছে না সে।মেহরাদ সাড়াশব্দ না পেয়ে বলে,
“আমাকে হারানোর ভয় পাও তবুও ভালোবাসি বলো না।”
“বলবোও না খারাপ লোক।”

বলে ফোন কেটে দেয় স্রোত।মেহরাদ বুঝেছে বউ রেগেছে।আবার ফোন করতে থাকলো। বেশ কয়েকবার ফোন বাজার পর স্রোত রিসিভ করলো কিন্তু কথা বললো না,
“আমি তো ভুলেই গেছিলাম আমার বউয়ের অনেক রাগ।থলি বউ আর বলবো না এমন।” ঠোঁট উল্টিয়ে বলে মেহরাদ।

স্রোতস্বিনী পর্ব ১৫

ঠোঁট উল্টানো দেখে স্রোত হেঁসে ফেলে।আবার কথা বলতে শুরু করে।স্রোত নিজের পরিবর্তন নিজে খেয়াল করেছে।এই লোকটা তাকে পরিবর্তন করে ফেলছে।আগের মতো করে দিচ্ছে। এই লোকটার সাথে কথা বললে সে নিজের খোলসে থাকতে পারে না,ইচ্ছে করে না।নিজেকে অষ্টাদশী মনে হয়,যে কিনা নতুন নতুন প্রেমে পড়েছে,যার পাখির মতো ডানা মেলে উড়তে ইচ্ছে করে,রঙ্গিন প্রজাপতি হতে ইচ্ছে করে….

স্রোতস্বিনী পর্ব ১৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here