আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৪

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৪
Raiha Zubair Ripte

ফাহাদ আর বেঁচে নেই। এই তিক্ত সত্যি টা মানতেই পারছে না লারা ফারাহ্। অন্যদিকে ফারহান আহমেদ কে হসপিটালে নিতে নিতে মাঝ রাস্তায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। বাবার মৃত্যু হয়েছে সেটা নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। কিন্তু ভাইয়ের মৃত দেহ জড়িয়ে বসে আছে ফারাহ্ লারা।

পাগলের মতো বিলাপ করছে দু’জন। রাহাত লারা কে ধরে উঠাতে গেলেই লারা চেঁচিয়ে উঠছে। এদিকে লা’শ ও নেওয়ার জন্য লোক এসে দাঁড়িয়ে আছে। তন্ময় লারা কে এবার জোর করে টেনে উঠালো আর রাহাত কে ইশারা ফারাহ্ কে তোলার জন্য। রাহাত জোর করে ফারাহ্ কে টেনে সরালো। সেই সুযোগে ফাহাদের লা’শ কনস্টেবলের দুজন নিয়ে গেলো।
ফারাহ্ ভাই কে নিয়ে যেতে দেখে বারবার ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করলো। আর চিৎকার করে বলল-

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“ আমার ভাই কে নিয়ে যাবেন না। রেখে যান আমার ভাই কে। রাহাত ছেড়ে দাও,ওরা আমার ভাইকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। একটু আটকাও না।
দৃষ্টিসীমার বাহিরে চলে গেলো ফাহাদ। ফারাহ্ বসে পড়লো মাটিতে। মাটি খামচে ধরে এবার আর্তচিৎকার করে উঠলো। তার ভাই নেই! মানতে কষ্ট হচ্ছে। কালই তো ফোনে কথা হলো। আর আজই তার ভাই তাকে ছেড়ে চলে গেলো। কেনো করলে এমন টা? তার ভাই কেনো তার বোনের কথাটা একটু ভেবে দেখলো না?

লারা এবার আর কাঁদছে না। কেমন যেনো চোখের জল ফুরিয়ে গেছে। পাথরের মতো দাঁড়িয়ে ফাহাদ কে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য টুকু দেখলো। চোখের বাহিরে চলে যেতেই তন্ময়ের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে সোজা গাড়িতে গিয়ে উঠে বসে।
তন্ময় হাতের ডায়েরি টা নিয়ে গাড়ির দিকে এগোয়। রাহাত ফারাহ্ কে টানে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু ফারাহ্ উঠে না। রাহাত চলে আসে। ফারাহ্ একা বসে থাকে কোর্টের বাহিরে।

তুষারের কানে এসেছে ফারহান ফাহাদের পরিনতির কথাটা। ফারহানের সাথে ঘটা ঘটনা শুনে তপ্ত শ্বাস ফেলে। যেই ছেলেকে অন্যায় জগৎের হাতিয়ার বানালো,,সেই ছেলেই তার মৃত্যুর কারন হলো।
অপরাধের শাস্তি একসময় না একসময় পেতেই হয়।
লারা কে নিজের বাসায় পৌঁছে দিয়ে তন্ময় নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে। দোলন তৈরি হয়ে বসে আছে। তন্ময় ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে নেয়। তারপর দোলন কে নিয়ে বের হয় খাঁন বাড়ির উদ্দেশ্যে।
রাতুল বাড়ি ফিরে সায়ান কে ফোন করে বলে খাঁন বাড়িতে আসতে। সেই ছোট্ট থেকে রাতুল ছেলেটার সাথে থেকেছে। এখন পরিবার পেয়ে তাকে ভুলে গেলে চলে?সায়ান এসেছে,রাহাত,লিখন,সাব্বির এসেছে এদের তুষার আসতে বলেছে।

চিত্রা তখন খাবার টেবিল সাজাতে ব্যাস্ত। দোলন আর তন্ময় কে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে দেখে সেদিক টায় তাকায়। মুখে হাসি ফুটে উঠে। তন্ময় তখনই তার মায়ের দিকে তাকায়। চোখাচোখি হয় দু’জনের। চিত্রার মুখে হাসি দেখে তন্ময়ের মুখেও হাসি ফুটে। দোলন চলে যায় চিত্রার কাছে আর তন্ময় সোজা সোফায় গিয়ে বসে।
বাড়ির ছেলে সদস্য রা সোফায় বসে গল্প করছে। রাতুলের পাশে সায়ান বসে আছে। কথার এক পর্যায়ে বিয়ে নিয়ে কথা উঠে। রাতুল বলে উঠে –

-“ বুঝলি তুষার,,ভাবছি সায়ান কে এবার বিয়ে করাবো। ভালো মেয়ে খুঁজতে হবে।
তুলি তখন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলো। সায়ান আড়চোখে তুলির দিকে তাকালো। আশ্চর্য বাড়িতেই তো একটা মেয়ে ঘুরঘুর করছে। তাকে দেখলেই তো হয়।
-“ হ্যাঁ সে না হয় খুঁজলাম। কিন্তু কেমন মেয়ে পছন্দ সায়ানের?
সায়ান সোজা হয়ে বসলো। কোনো ভনিতা ছাড়াই বলল-

-“ আপনার মেয়ের মতো মেয়ে আঙ্কেল। পারবেন খুঁজে দিতে?
হকচকিয়ে গেলো তুষার। তার মেয়ের মতো মেয়ে মানে? তন্ময় ভ্রু কুঁচকালো।
-“ ইনডিরেক্টলি কি আমার বোন কেই মিন করছেন সায়ান?
-“ কারেক্ট, ইনডিরেক্টলি না ডিরেক্টলি মিন করেছি। এখন তন্ময় তুমি আর আঙ্কেল ভেবে দেখো। আ’ম পারফেক্ট ম্যান। তোমার বোনের সাথে সব দিক দিয়েই মানাবে। তাই বলছি যোগ্য পাত্র হারালে কাঁদতে হবে তখন আড়ালে।
তুলি ভেবাচেকা খেয়ে তাকালো। রাতুল ও সায়ানের দিকে তাকিয়ে আছে। এ ছেলে কি বলছে!
তুষার স্মিত হাসলো। তবে কিছু বললো না। রাহাত ও সায়ান কে বলতে দেখে একটু ভরসা পেলো। তাই আমতাআমতা করে বলল-

-“ আঙ্কেল আমি একটা কথা বলতে চাই।
তুষার বলল-
-“ হু বলো।
রাহাত তুষারের পাশে গিয়ে বসলো। ফিসফিস করে বলল-
-“ তোমার ভাই কে কি একটু মানাবে আঙ্কেল?
-“ রাফিকে?
-“ হু।
-“ কিসের জন্য মানাবো?
-“ বিয়ের জন্য।
-“ কার বিয়ে?

-“ আমার আর রাহার৷ প্লিজ তোমার ভাইকে মানিয়ো। আমি বাবা আর মা কে নিয়ে কাল আসবো।
-“ ট্রাই করবো।
-“ ট্রাই না আঙ্কেল। মানাতেই হবে।
-“ আচ্ছা মানাবো।
-“ সত্যি?
-“ হুম।
-“ এই তুই কি কথা বলছিস বাবার সাথে?

তন্ময় বলে উঠলো। অনেকক্ষণ ধরে ফিসফিস করতে দেখছে রাহাত কে। রাহাত হেসে বলে-
-“ ও কিছু না এমনি কথা বলছিলাম।
চিত্রা এবার সবাই কে খেতে ডাকলো। বাড়ির পুরুষ রা খেতে বসলো। তৃষ্ণা কে দিয়ে খাবার বেড়ে দেওয়ালো। নিজে বেড়ে দিলে যদি ছেলে তার না খায় সেজন্য।
তুলি দোলন কে নিজের রুমে নিয়ে গেছে। রাহা নিজের রুমে বসে আছে। রাহাত চটজলদি খেয়ে নেয়। কারন আসার পর থেকে একবার ও রাহা কে সে দেখেনি। এখন ছাদের যাওয়া ছুতো দিয়ে রাহার কাছে যাবে।
তন্ময়ের পাতের তরকারি ফুরিয়ে গেছে। তরকারি দিয়ে লাস্ট খাবার মুখে নিতে নিতে বলে-

-“ মা তরকারি দাও।
চিত্রা তড়িৎ গতিতে ছেলের পানে তাকায়। তার কান কে সে বিশ্বাস করতে পারছে না। তার ছেলে তাকে মা ডেকেছে!
তন্ময় মা কে এখনও তরকারি দিতে না দেখে বলে-
-“ কি হলো দিচ্ছ না কেনো?
চিত্রার চোখ জলে টইটম্বুর হলো। মুখে হাসি ফুটলো। শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের জল মুছে তরকারি দিলো তন্ময়ের পাতে। তন্ময় খেতে লাগলো। চিত্রা চেয়ে রইলো ছেলের পানে।

তুষার চেয়ে দেখলো স্ত্রী ছেলে কে। স্ত্রীর মুখে হাসি দেখে কলিজা ঠান্ডা হলো।
রাহাত ছাঁদে যাওয়ার নাম করে রাহার রুমে এসেছে। রাহা তখন পড়ার টেবিলে বসে বইয়ের ভেতর মুখ গুঁজে বসে আছে। রাহাত বিছানায় আরাম করে বসে বলে-
-“ কি ব্যাপার ম্যাডাম নিচে যান নি কেনো?
রাহা পেছন তাকালো।

-“ অনেক পড়ার চাপ সেজন্য যাই নি।
রাফি খাওয়া শেষ করে নিজের রুমে দিকে যাচ্ছিলো। মেয়ের রুমের সামনে এসে মেয়ের বিছানায় রাহাত কে বসে থাকতপ দেখে রুমে ঢুকে। গম্ভীর কন্ঠে বলে-
-“ এই ছেলে রাহার রুমে তুমি কি করছো?
রাহাত তড়িৎ গতিতে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।
-“ আ..আসলে আঙ্কেল এমনি এসেছিলাম। চলে যাচ্ছি।

রাহাত চলে গেলো। রাহা মুক চেপে হাসলো। রাফি মেয়ের দরজা চাপিয়ে দিয়ে চলে যায়।
রাহাত সাব্বির লিখন চলে গেছে তাদের বাসায়। সায়ান যেতে চেয়েছিল কিন্তু রাতুল তুষার যেতে দেয় নি। একা একা বাসায় আর রাতে গিয়ে কি করবে একেবারে সকালে চলে যাবে।

সায়ানের জন্য আলাদা ঘর দেওয়া হয়েছে। রুম টা ঠিক তুলির রুমের থেকে এক রুম পরে। দোলন কে তন্ময় নিয়ে গেছে তার রুমে। তুলির ঘুম আসছে না সেজন্য ঘর থেকে বের হয়ে সায়ানের রুমের সামনে দিয়ে ছাঁদে চলে গেলো। সায়ানের রুমের দরজা তখন খোলা ছিলো। সায়ান বিছানায় বসে কিছু ভাবছিলো। কারো পায়ের শব্দ কানে আসতেই দরজার পানে চেয়ে দেখে তুলি হেঁটে যাচ্ছে। এতো রাতে তুলি কে যেতে দেখে আপনাআপনি ভ্রু কুঁচকে আসে।
বসা থেকে উঠে রুম থেকে বের হয়। ওদিক টা তো ছাঁদে যাওয়ার সিঁড়ি। তারমানে তুলি ছাঁদে গেছে?
সায়ান ছাঁদের দিকে গেলো। তুলি ছাঁদে দোলনায় বসে আছে। সায়ান এগিয়ে যায়।

-“ এতো রাতে আপনি ছাঁদে কি করছেন মিস তুলি?
তুলি চমকালো। পেছন ফিরে সায়ান কে দেখে স্বস্তির শ্বাস ফেলে বলল-
-“ এমনি ঘুম পাচ্ছিলো না সেজন্য ছাঁদে আসা। তা আপনি কেনো এখানে?
-“ সেম। আমার ও।
-“ ওহ্ আচ্ছা।
সায়ান ভেবে পেলো না আর কি বলা যায়। কিন্তু সে চাইছে তাদের কনভারসন আগাক। কিন্তু কি করে আগানো যায়?কিছুক্ষণ ভেবে বলল-

-“ আচ্ছা একটা কথা বলি?
-“ হু বলুন।
-“ উমম বলছি কি আপনার কি পছন্দ টছন্দ আছে কোথাও? আই মিন….
-“ নাহ্ ওসব কিছু নেই যা মিন করতে চাচ্ছেন। নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
-“ গুড,ভেরি গুড। রাত তো অনেক হলে রুমে যান। আমিও যাই রুমে।
-“ হু।
ছাঁদ থেকে নেমে গেলো দুজন।
সাব্বির নিজের অ্যাপার্টমেন্টে আসতে না আসতেই তার মা ফোন করে। এতোদিন পর আবার মায়ের ফোন পেয়ে ফোন রিসিভ করলো।

-“ হ্যাঁ আম্মা বলুন।
-“ বাসায় আসো।
-“ কেনো?
-“ কাল পাত্রী দেখতে যাবে তোমার চাচি তুমিও গিয়ে দেখে আসবে।
-“ আপনাকে না বললাম আমি বিয়ে করবো না। আপনারা হাঁটুর বয়সী মেয়ে দেখেন। আমার মোটেও পছন্দ না।
-“ ইন্টার পড়ুয়া মেয়েকে কোন দিক দিয়ে তোমার হাঁটুর বয়সী মেয়ে মনে হয়?
-“ আমি আসতে পারবো না আম্মা,রাখি।
-“ কল কাটবে না সাব্বির। আমাকে নিজের মা ভেবে থাকলে কাল অবশ্যই আসবে।

কেটে গেলো ফোন। সাব্বির চেয়ে রইলো ফোনের দিকে। সালমা বেগম সাব্বিরের বাবার দ্বিতীয় বউ। সাব্বিরের যখন বয়স ছয় বছর তখন তার মা মা’রা যায়। তার মা মা’রা যাওয়ার দু বছর পর সালমা বেগম কে বিয়ে করেন সাব্বিরের বাবা। ছেলের দেখাশোনা, পরিবার দেখাশোনা আর নিজের ও প্রয়োজন হয় একজনের সঙ্গীর। সকল দিক ভেবেই বিয়ে টা করেন। তবে সালমা বেগম খুব প্রয়োজন ছাড়া সাব্বিরের সাথে কথা বলতো না। সৎ ছেলে দেখেই বোধহয় এমন টা করতো। তবে কখনও বাজে ব্যাবহার করে নি সালমা বেগম সাব্বিরের সাথে। মায়ের সব কর্তব্য পালন করেছে।

সকাল হতেই সায়ান চলে যায় নিজের বাসায়। তন্ময় জানিয়েছে এখন থেকে এ বাড়িতেই থাকবে। চিত্রা ভিষণ খুশি। এতো খুশি এক সাথে আসছে যে তার খুশির ঝুলি পরিপূর্ণ করে দিচ্ছে। চিত্রা তখন দোলন আর তুলি কে নিয়ে সোফায় বসে আছে। তন্ময় আসতেই দোলন পাশে সরে গেলো। ইশারায় বললো মায়ের পাশে বসতে। তন্ময় বসলো। চিত্রা তাকিয়ে আছে ছেলের দিকে। তন্ময় মায়ের হাত টেনে মুঠোয় নিলো। হাতের পিঠে চুমু খেয়ে বলল-
-“ আ’ম সরি মা রিয়েলি রিয়েলি সরি। অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছি। ক্ষমা করবে তো?

চিত্রা হাত ছাড়িয়ে নিলো। তন্ময় তাকালো। চিত্রা তন্ময় কে জড়িয়ে ধরেছে। মাথায় আলতো করে হাত রেখে বলে-
-“ ক্ষমা চাচ্ছিস ক্যান বাপ। দোষ তো তোর নেই। ঐ অধরা যা বুঝেয়েছে সেটাই তোর ছোট্ট মস্তিষ্কে ঢুকে গিয়েছিল। তাই বলছি ক্ষমা চাস না। আমার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে এতো বছর পর এতেই আমি খুশি।
তন্ময় জড়িয়ে ধরলো মাকে। দোলন তুলি হেসে ফেললো মা ছেলেকে দেখে।
তুষার বসে আছে রাফির ঘরে। রাফি তুষার কে অনেকক্ষণ ধরে বসে থাকতে দেখে বলে-

-“ কিছু বলবে ব্রো?
-“ হ্যাঁ।
-“ কি বলো।
-“ বলছি রাহাত আসবে আজ ওর বাবা মা কে নিয়ে।
-“ তো?
-“ রাহা কে দেখতে।
-“ আশ্চর্য রাহাকে দেখতে কেনো?
-“ কারন, রাহা, রাহাত একে ওপর কে ভালোবাসে সেজন্য।
-“ হোয়াট!
-“ আশ্চর্য হোয়াট বলছিস কেনো? তুই নিজেও তো তৃষ্ণা কে ভালোবেসে বিয়ে করছিস। আমি বা বাবা কি আপত্তি করেছি?

-“ নাহ্।
-“ তাহলে তুই করছিস কেনো?
-“ আমার মেয়েটা পড়ছে তো।
-“ বিয়ের পর কি মানুষ আর পড়ে না? চিত্রা তৃষ্ণা কি পড়ে নি বিয়ের পর?
-“ এখন আমার কি করা লাগবে ব্রো?
-“ কথা বলবি,ওদের সাথে।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৩

-“ সব তো তুমিই করলে কথাবার্তা টাও না হয় তুমিই বলো।
-“ মেয়েটা তো তোর৷ তুই কি কিছুই বলবি না?
-“ হু বলবো। মেয়ে কে বিদায় দেওয়ার সময় ঐ রাহাতের হাত ধরে বলবো।
তুষার সরু চোখে তাকালো।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৫

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here