আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ৩১

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ৩১
Raiha Zubair Ripte

-“ আসসালামু আলাইকুম আন্টি। আপনার মেয়ে কোথায়?
মরিয়ম মান্নান সাব্বিরের ফোন পেয়ে পাশে থাকা মিথিলার দিকে তাকালো। মিথিলা আয়েশ করে টিভি দেখছে।
-“ মিথিলা তো আমার পাশেই টিভি দেখতেছে।
-“ আপনার মেয়ে আমার ফোন ধরছে না আন্টি। একটু ফোন টা দিতে পারবেন আপনার মেয়ের কাছে?
মরিয়ম মান্নান মিথিলার দিকে ফোন এগিয়ে দিয়ে বলল-

-“ সাব্বির ফোন দিয়েছে তোর ফোনে ফোন রিসিভ কেনো করিস নি। নে ধর কথা বল।
মিথিলা তাকালো মায়ের দিকে। মিথিলা ইচ্ছে করেই সাব্বিরের ফোন ধরে নি। ফোন সাইলেন্ট করে রেখে দিয়েছে। মেয়েকে এখনও ফোন ধরতে না দেখে মরিয়ম মান্নান ধমক দিয়ে বলে-
-“ ফোনটা নিতে এতক্ষণ লাগে কেনো?
মিথিলা ফোন টা নিয়ে বসা থেকে উঠে নিজের রুমে চলে গেলো। সোজা বেলকনিতে গিয়ে চেয়ারে বসে বলে-

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“ কি বলবেন বলুন।
-“ ফোন কেনো রিসিভ করো নি?
-“ এমনি ইচ্ছে করে নি ধরতে।
-“ ইউ নোও না আমি তোমার হবু স্বামী?
-“ হ্যাঁ আমার ব্রেন যথেষ্ট ভালো ভুলি না কিছু।
-“ তো ধরবে না কেনো ফোন? এরপর থেকে যেনো ফোন দেওয়ার সাথে সাথে রিসিভ হয়।
-“ সেটা আমার মনের উপর ডিপেন্ড করছে। আপনার কথার উপর না।
-“ তোমার মন টাকে কুরিয়ার করে আমার কাছে পাঠাও ঠাটিয়ে কয়েক টা চ’ড় দিয়ে বুঝিয়ে দেই কার উপর ডিপেন্ড করবে।

-“ কিহ্ আপনি আমাকে চ’ড় দিবেন!
-“ ভুল বলছো। তোমাকে নয় তোমার মন কে।
-“ এই আপনি বকবক বাদ দিয়ে আসল কথা বলুন। কেনো ফোন করেছেন।
-“ হ্যাঁ সেটাই বলছি শোনো কাল রেডি হয়ে থাকবে।
-“ কেনো?
-“ আমরা ঘুরতে যাব।
-“ কোথায়?
-“ ঢাবি তে।
-“ কেনো?

-“ কারন আমার সব ফ্রেন্ড তাদের বউ নিয়ে যাবে। যেহেতু আমিও মিঙ্গেল হবার পথে তো আমি তো আর সিঙ্গেল হয়ে তাদের মিঙ্গেল পিক তুলে দেওয়ার জন্য যেতে পারি না। সেজন্য তোমাকে পার্টনার হিসেবে নিয়ে যাব। আর হ্যাঁ শাড়ি পড়বে কেমন?
-“ শাড়ি নেই আমার।
-“ তাহলে রেডি হয়ে বাসার নিচে দাঁড়াও। শপিং এ যাব।
-“ কেনো?
-“ তুমি আর আমি ম্যাচিং করে শাড়ি পাঞ্জাবি কিনবো।
-“ টাকা নাই।
-“ আমি কিনে দিব তোমার টাকা থাকা লাগবে না। রেডি হও আমি আসতেছি।
সাব্বির ফোন কেটে দিলো। মিথিলা আলমারি থেকে টিয়া কালারের কুর্তি বের করে মাথায় হিজাব বেঁধে রেডি হয়ে নিল।

মিনিট বিশেকের মাথায় সাব্বিরের আবার ফোন আসলো। মিথিলা কে বাসার নিচে আসতে বলল। মিথিলা ফোন কে’টে নিচে নামলো। সাব্বির রিকশার ভেতর বসে আছে। পড়নে তার নীল রঙের শার্ট৷ বা হাতে হাত ঘড়ি। লুক টা মারাত্মক। মিথিলা রিকশার কাছে এগিয়ে আসতেই সাব্বির হাত বাড়িয়ে দিলো। মিথিলা সাব্বিরের হাত ধরে রিকশায় উঠে বসলো।
রিকশা চলতে শুরু করলো। রস্তার উচু নিচু জায়গা দিয়ে যাওয়ার ফলে মিথিলা বারবার রিকশা থেকে পিছলে যাচ্ছিলো।সাব্বির মিথিলার কোমড় এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসলো।

-“ এবার আর পিছলে যাবে না।
মিথিলার অস্বস্তি হতে লাগলে। মাথাটা বারবার সাব্বিরের বুকে গিয়ে বারি খাচ্ছিল। এই প্রথম কোনো পুরুষের এতো কাছে গেলো। বুকের হৃৎস্পন্দন টা কেমন বেড়ে গেলো। ভয়ংকর রকমের অনুভূতি হতে লাগলো।
শপিংমলের সামনে এসেই রিকশা থেমে যায়। সাব্বির রিকশা থেকে নেমে মিথিলা কে সাবধানের সহিতে নিচে নামায়। তারপর শপিং মলে ঢুকে তার আর মিথিলার জন্য একই আকাশী কালারে শাড়ি পাঞ্জাবি কিনে মিথিলা কে বাসায় পৌঁছে দিয়ে সাব্বির নিজের অ্যাপার্টমেন্টে চলে যায়।

দোলন একের পর এক শাড়ি বের করছে একটাও তন্ময়ের পাঞ্জাবির সাথে ম্যাচিং হচ্ছে না। বিরক্ত লেগে আসলো দোলনের। চিত্রা দোলনের রুমে এসে দোলনের বিরক্ত খানা মুখ দেখে বিছানায় তাকায়৷ পুরো বিছানায় শাড়ি পাঞ্জাবি দিয়ে এলোমেলো।
-“ কি হয়েছে দোলন৷ মুখ খানায় এমন বিরক্ত লেগে আছে কেনো?
দোলন থতমত খেয়ে গেলো।

-“ আসলে মা তোমার ছেলের পাঞ্জাবির সাথে আমার একটাও শাড়ি মিলছে না।
চিত্রা পাঞ্জাবি গুলো উল্টেপাল্টে দেখলো। ব্লু কালারের পাঞ্জাবির সাথে চিত্রার ব্লু কালারের শাড়ি টা ম্যাচ খেয়ে যায়।
-“ আমার কাছে আছে। এসো আমার রুমে।
দোলন চিত্রার পিছু পিছু গেলো চিত্রার রুমে। চিত্রা তার আলমারি থেকে ব্লু কালারের শাড়ি টা বের করে চিত্রার হাতে দিয়ে বলে-

-“ এটা ম্যাচ হবে৷ এটা পড়ো।
দোলন শাড়ি টা নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখলো। সুন্দর শাড়ির কারুকাজ টা।
-“ শাড়ি টা সুন্দর তো মা।
-“ হ্যাঁ এটা তোমার বাবা দিয়েছে কিনে।
-“ বাবার চয়েস আছে তো।
-“ হ্যাঁ আমার থেকে বেটার চয়েস তোমার বাবার।

দোলন আরো কিছুক্ষণ গল্প করে নিজের রুমে চলে আসে। রুমে আসতেই দেখে তন্ময় বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে এলোমেলো বিছানার দিকে তাকিয়ে আছে। দোলন পাশে দাঁড়াতেই তন্ময় বলে উঠে-
-“ হোয়াট ইজ দোলন? এমন এলোমেলো কেনো বিছানা?
দোলন শাড়ি টা সোফায় রেখে বলে-

-“ আপনি একটু সোফায় বসুন। আমি এক্ষুনি গুছিয়ে দিচ্ছি বিছানা।
তন্ময় সোফায় বসলো। দোলন ঝটপট বিছানা টা গুছিয়ে দিলো।
-“ তা এখন বলে বিছানায় এমন শাড়ি পাঞ্জাবি এলোমেলো করে রেখেছিলে কেনো?
-“ আসলে আপনার পাঞ্জাবির সাথে আমার শাড়ি গুলো ম্যাচ করতে চেয়েছিলাম।
-“ তা ম্যাচ খেয়েছে?
-“ না। মা তার শাড়ি দিয়েছে আপনার নীল পাঞ্জাবির সাথে ম্যাচ করিয়ে।
-“ কাল শাড়ি পড়বে?
-“ হ্যাঁ।

-“ বেশি আটা ময়দা মেখো না কিন্তু ফেইসে।
-“ আমি আটা ময়দা মাখি না তেমন আপনি সেটা ভালো করে জানেন।
-“ তবুও বলে রাখলাম জামাই কে ইমপ্রেস করার জন্য ও সাজতে পারো সেজন্য।
দোলন তন্ময়ের দিকে এগিয়ে আসলো। তন্ময়ের সামনে কিছুটা ঝুঁকে নিচু হয়ে তন্ময়ের বুকে তর্জনী ঠেকিয়ে বলে-
-“ আপনাকে ইমপ্রেস করতে আমার মুখে আটা ময়দা মাখার প্রয়োজন নেই। আমি মেয়ে এটাই আপনাকে ইমপ্রেস করার জন্য যথেষ্ট। ইউ নোও না হোয়াট আই মিন?

চোখ টিপ দিয়ে বলল দোলন৷ তন্ময় বাঁকা হাসলো। দোলনের তর্জনী ধরে বলল-
-“ আমি বেশ জেনে গেছি। আমার বউ আজকাল আমাকে ইশারায় আকার ইঙ্গিতে অনেক কিছুই বুঝিয়ে দেয়।
দোলন সোজা হয়ে দাঁড়ালো৷ মুচকি হেঁসে বলল-
-“ ফ্রেশ হয়ে আসুন খেতে। আমি নিচে গেলাম।
তন্ময় ওয়াশরুমে চলে গেলো ফ্রেশ হতে।
রাহাত সোফায় বসে তার বাবা রিয়াদ কে বলছে-

-“ বাবা আমাদের বিয়ের তো অনেক দিন হলো তুমি তো আমাদের হানিমুনের ব্যাবস্থা করলে না এখনও।
রিয়াদ ভ্রু কুঁচকালো।
-“ আমি কি আঁটকে রেখেছি নাকি। যাবি হানিমুনে যা, না করছে কে?
-“ আশ্চর্য হোটেল ভাড়া,খাওয়া ঘুরা,গাড়ি ভাড়া টা দিবে কে?
-“ তুই ইনকাম করিস তুই দিবি।
-“ আশ্চর্য এটা তো তুমি দিবা।
-“ আমি দিব কেনো?

-“ কারন আমার টাকা নাই আমি গরিব্স। তুমি বড়লোক্স তুমি এই গরিব্স কে সাহায্য করবে।
-“ দুঃখিত বাপ তোর বাবা তোর থেকেও বড় গরিব্স।
-“ তুমি করবে না ব্যাবস্থা তাই তো?
-“ না।
-“ ওকে। মা ও মা আমি কাল থেকে শ্বশুর বাড়ি থাকবো। আমার শ্বশুর বাড়ির সকলের হৃদয় টা অনেক বড়৷ শ্বশুরের কাছে গিয়ে বললে সে নিশ্চয়ই না করবে না। তুমি কি বলো?
সিমি রান্না ঘর থেকে বের হয়ে বলে-

-“ আরে এতে তো তোর বাপের মানসম্মান চলে যাবে।
-“ তাতে আমার কি। বাবা ই তো সেই সুযোগ করে দিচ্ছে।
-“ হে গো তুমি টাকা টা দিলে কি হয়। এক লাখ টাকা তো আর খরচ হবে না। মাত্র পঞ্চাশ ষাট হাজারই তে। দিয়ে দিলেই তো পারে।।রিয়াদ বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। রাগান্বিত হয়ে স্ত্রীর পানে তাকিয়ে বলল-
-“ তোমরা মা ছেলে মিলে আমাকে সত্যি পথের ভিখারি বানিয়ে ফেলবে। কবে যাবি তোরা জানিয়ে দিস ব্যাবস্থা করে দিব। আর ঘরমুখো হবি না। নিজের অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে থাকবি। তোর মতো ছেলে থাকার চেয়ে না থাকা ঢের ভালো। বাড়িতে আসিস ই শুধু আমার টাকা ভাঙতে

-“ তুমি এতো কিপ্টে কেনো? একটু টাকা ভাঙবে নিজের থেকে তা না বলে বলে ভাঙাতে হয়।
রিয়াদ চলে গেলো বাহিরে। বউ ছেলে একই দলের। সুযোগ পেলেই যেতে ধরতে ছাড়ে না।
দোলন তন্ময়, রাহাত রাহা,মিথিলা সাব্বির,সায়ান তুলি,লারা আবির এসেছে ঢাবি। সবাই ম্যাচিল করে শাড়ি পাঞ্জাবি পড়েছে শুধু লারা,আবিরই ম্যাচিল না। লারা লাল কালারের সেলোয়ার-কামিজ পড়েছে আর আবির ব্লাক কালারের শার্ট। দু’জন কে ভিন্ন গ্রহের প্রাণীর মতো লাগছে এই তিন জুটির মধ্যে।
পাঁচ জুটি বসে আছে ঢাবি’র ক্যাম্পাসে। ঢাবি তে আজ কনসার্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। সিঙ্গার হিসেবে আসবে তাহসান।

বাংলাদেশের অর্ধেক নারীর ক্রাশ৷ তুলি এদিক ওদিক থাকা আইসক্রিমের ভ্যান গুলোর দিকে বারবার তাকাচ্ছে। সায়ান খেয়াল করলো বিষয় টা। তুলি টিয়া কালারের শাড়ি পড়েছে আর সায়ান টিয়া কালারের পাঞ্জাবি।
-“ আইসক্রিম খাবে?

তুলি উপর নিচ মাথা ঝাকালো। সায়ান বসা থেকে উঠে পাঁচ টা আইসক্রিম নিয়ে আসলো। সকল রমণীর হাতে একটা একটা করে আইসক্রিম দিলো সায়ান। তুলি তৃপ্তির সাথে আইসক্রিম খেতে লাগলো। তাহসান চলে আসতেই স্টেজে উঠে গান গাওয়ার প্রস্তুতি নিলো। রাহা স্টেজের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ ঐ দেখো তাহসান এসেছে চলো।

সবাই উঠে স্টেজের সামনে গেলো। তাহসান গান গাইছে,,
তুমি আর তো কারো নও, শুধু আমার
যত দূরে সরে যাও, রবে আমার
স্তব্ধ সময়টাকে ধরে রেখে
স্মৃতির পাতায় শুধু তুমি আমার
কেন আজ এত একা আমি?
আলো হয়ে দূরে তুমি…

দোলন মুগ্ধ চোখে তাকালো দোলনের দিকে৷ গান টা হয়তো তাদের মতো প্রেমিক পুরুষ দের জন্য ই বানানো হয়েছে।
গান টা শেষ হতেই আবার তাহসান অন্য গান গাওয়া শুরু করলো,,
শোনো গো দখিন হাওয়া,
প্রেম করেছি আমি
লেগেছে চোখেতে নেশা,
দিক ভুলেছি আমি
শোনো গো দখিন হাওয়া,
প্রেম করেছি আমি
লেগেছে চোখেতে নেশা,
দিক ভুলেছি আমি

আবির তাকালো লারার দিকে। লারা নির্নিমেষ তাহসানের দিকে তাকিয়ে গান শুনছে৷ দিক বেদিক খেয়াল নেই। কেউ যে পাশ থেকে তাকে আর চোখে দেখছে সেটা বুঝতেই পারছে৷ আবির সে প্রেমে পড়েছে ইয়েস সে প্রেমে পড়েছে এই মেয়েটার। তাকো লাগবে তার এই একাকী জীবনে।
আমি সেই সুতো হবো ,

যে তোমায় আলোকিত করে নিজে জ্বলে যাবো… আমি সেই নৌকো হবো,
যে তোমায় পার করে নিজেই ডুবে যাবো… হবো সেই চোখ যে তোমায় দেখেই বুজে যাবো,
হবো সেই সুর যে তোমায় মাতিয়ে করুণ হবো, হবো সেই চাঁদ যে হয়ে গেলে আধ,
তোমাকে আলো দেবে দিন ফিরে এলেই আবার ফুরিয়ে যাবো , শুধু ভালোবেসো আমায়!ওগো সপ্নে আশা প্রিয়তমা।
সাব্বির মিথিলা কে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। মিথিলা হকচকিয়ে গেলো। মিথিলার কানে ফিসফিস করে বলল-

-“ গানটা তোমাকে ডেডিকেট করা। ইউ নো এই গানটার মানে?
মিথিলা সাব্বিরের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়।
-“ বেশ ভালো করেই জানি এই গানটার মানে।
-“ তোমাকে যতটা পিচ্চি ভেবেছিলাম ছোট প্যাকেট তুমি ততটাও ছোট প্যাকেট নও।
মিথিলা তাহসানের দিকে তাকিয়ে বল-

-“ কথাতেই তো আছে ছোট প্যাকেট বড় ধামাকা।
শেষে চোখ টিপ দিলো সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে। সাব্বির মুচকি হাসলো।
সায়ান তুলি ভিড় থেকে বেরিয়ে নির্জন জায়গায় বসে আছে। গরমে ঘেমে একাকার তুলি। তুলি শাড়ির আঁচল দিয়ে বাতাস নিচ্ছে। সায়ান চেয়ারে বসে একটু ঝুঁকি দিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। তুলি উঠে দাঁড়ালো। সায়ান ভ্রু কুঁচকালো।

-“ আবার যাবেন ঐ ভীড়ের মাঝে?
-“ না।
-“ তাহলে?
-“ দেখুন গোলাপ গুলো কি সুন্দর!
-“ কিনে আনবো?

-“ এটা আবার জিজ্ঞেস করা লাগে? আমি সুন্দর বলেছি মানে আমার সেগুলে চাই।
সায়ান মুচকি হেঁসে তুলির হাত ধরে ফুলের দোকানে গেলো। সব রকমের গোলাপ নিয়ে গুচ্ছ বানিয়ে তুলির হাতে দিলো৷ তুলি ফুল গুলে মুখের সামনে নিয়ে ঘ্রাণ শুঁকে নিলো।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ৩০

-“ খুশি?
-“ অন্নেক।
হেঁসে বলল তুলি। সায়ান প্রেয়সীর হাত ধরে হাঁটতে লাগলো।
রাত নয় টা বাজতেই সকলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ শেষ পর্ব 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here