আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৯

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৯
Raiha Zubair Ripte

ফুলে সজ্জিত রুমে বসে আছে রাহা। রাহার সামনেই রাহাত বসে পলকহীন ভাবে চেয়ে রয়েছে রাহার দিকে। রাহার দৃষ্টি নত। এভাবে কেউ তাকিয়ে থাকে? কয়েক মিনিট পেরিয়ে গেলো কিন্তু রাহাতের দৃষ্টি ফেরানোর কোনো নাম গন্ধ নেই। রাহা এবার বিরক্ত হয়ে বলল-

-“ আর কতক্ষণ তাকিয়ে থাকবেন। আমার তো অস্বস্তি হচ্ছে দৃষ্টি সরান অন্য দিকে।
রাহাত ভ্রু কুঁচকালো।
-“ আমি তোমাকে অস্বস্তি তে ফেলানোর জন্য এখনও কিছু করি নি রাহা। তবে এখন করবো। দেখি কাছে আসো তো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রাহাত রাহা দু গালে হাত দিয়ে মুখ টা নিজের কাছে নিয়ে আসলো। তারপর কপালে গাঢ় চুম্বন দিলো। কপাল ছেড়ে এবার ঠোঁটের দিকে অগ্রসর হলো। তারপর আকস্মিক রাহার কাঁপা কাঁপা ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে নিলো রাহাত। রাহা বরফের মতো জমে গেলো। মিনিট পাঁচেক পর রাহার ঠোঁট ছেড়ে দিলো রাহাত। বা হাত দিয়ে ঠোঁট মুছে বলে

-“ ইশ তোমার লিপ টা থেকে এমন স্ট্রবেরির ঘ্রাণ আসলো কেনো? ইচ্ছে করলো খেয়ে ফেলতে।
রাহা শাড়ির আঁচল দিয়ে ঠোঁট মুছে বলে –
-“ অসভ্য ঠোঁটে লিপস্টিক ছিলো। মুছার সময় টা তো দিবেন।
রাহাত বড় বড় করে তাকালো।

-“ লিপস্টিকের টেস্ট ও এতো ইয়াম্মি হয়?
-“ ছিঃ আপনার কাছে লিপস্টিকের টেস্ট ইয়াম্মি লেগেছে!
-“ হ্যাঁ। তবে আর চাই না খেতে। ঠোঁটে আর লিপস্টিক লাগাবে না। এবার কথা কম কাজে গেলে পড়ি?
-“ কিসের কাজ?
রাহাত মাথা চুলকে বলল-

-“ ঐ তো ইয়ে টিয়ে ওসব।
রাহাত অন্য দিকে ফিরে তাকালো।
-“ চুপ করে আছো কেনো? চুপ থাকা কিন্তু সম্মতির লক্ষণ। তাহলে কি সম্মতি আছে ধরে নিব?
রাহা কিছু বললো না। গলার ভেতর থেকে আওয়াজ টা বের হতে চাইছে না। রাহাত মুচকি হেঁসে রুমের লাইট অফ করে দিয়ে রাহার কাছে আসে। রাহাকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে তার উপর সমস্ত ভর ছেড়ে দেয়। রাহার গলায় মুখে অসংখ্য চুমু তে ভরে দেয়। তারপর আস্তেধীরে রাহার মাঝে ডুবে যায়।

ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছে সায়ান। তার সামনেই গ্রাউন খামচে দাঁড়িয়ে আছে তুলি। সায়ানের দৃষ্টি তুলির দিকেই।
-“ তুলি আমার দিকে তাকান তো।
তুলি সায়ানের দিকে তাকালো।
-“ কিছু বলতে চাই শুনবেন?
-“ হু বলুন।
-“ ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলবো নাকি ডিরেক্ট বলে দিব।
-“ ডিরেক্ট ই বলুন।

-“ ওকে তাহলে বলছি। সায়ান হাঁটু গেড়ে বসলো। তুলি হকচকিয়ে গেলো। সায়ান তুলির বা হাত টেনে ধরলো।
-“ আমার ভাবসাব দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আই লাইক ইউ৷ এন্ড আপনার বাবা কেও বলেছি আপনাকে বিয়ে করতে চাই। আপনির কি মত। আপনি করবেন আমায় বিয়ে?
তুলি বেশ বুঝেছিল সায়ান তাকে পছন্দ করে। মনে মনে মুচকি হাসলো তুলি। মুখে হাল্কা গম্ভীরতা এনে বলল-
-“ বাবা আপনার সাথে আমার বিয়ে দিলে আমার কোনো আপত্তি নেই।

সায়ান সময় নিলো না তুলির হাতের পিঠে চুমু খেতে। তারপর উঠে দাঁড়ালো।
-“ এবার আসি তাহলে মিস তুলি৷ আবার দেখা হবে।
সায়ান চলে যেতে নিলে তুলি পেছন থেকে বলে-
-“ আবার কবে দেখা হবে আমাদের?
সায়ান পিছু ফিরে জবাব দিলো-
-“ আপনি যখন চাইবেন তখন।
তুলি আর কিছু বললো না। সায়ান কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চলে গেলো।

রাহার বিয়ের ঝামেলা শেষ হতেই তৃষ্ণা রোমিলা বেগম কে তার সেই অবিবাহিত ফ্রেন্ডের কথা বলে। রোমিলা বেগম মেয়ের বাসায় যেতে চায়। তৃষ্ণা বিকেলে নিয়ে যাবে বলে রোমিলা বেগম কে। রোমিলা বেগম শান্তি পান। এবার ছেলেকে ব্ল্যাকমেইল করে হলেও বিয়ে তে রাজি করাবে।
বিকেল হতেই তৃষ্ণা আর রোমিলা বেগম মেয়ের বাসায় যায়। মেয়েটা দেখতে বেশ মায়াবী। নাম সুস্মিতা। ব্যাংকে জব করে৷ রোমিলা বেগমের পছন্দ হলো। মেয়ের মা কে বলে আসলো কয়েক দিনের মধ্যে তাদের বাসায় গিয়ে রাতুল কে দেখতে।

তারা রাজি হলো। তৃষ্ণা রাতুলের নম্বর সুস্মিতার কাছে দিয়ে গেলো যাওয়ার সময়।
রাতে রাতুল রুমে বসে ল্যাপটপে কাজ করছিলো। হঠাৎ ফোনে আননোন নম্বর থেকে ফোন আসায় ফোন টা আর রিসিভ করে না। পরপর তিনবার আসায় লাস্টে ফোন রিসিভ করে।

-“ হ্যালো কে?
ওপাশ থেকে জবাব আসে মিষ্টি কন্ঠে –
-“ আমি সুস্মিতা। আপনি কি রাতুল?
-“ হ্যাঁ আমি রাতুল। বাট আপনাকে তো চিনলাম না। কে আপনি,আর ফোন নম্বর কোথায় পেলে?
-“ আপনার সাথে আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। আর আপনার নম্বর টা তৃষ্ণা দিয়েছে।
-“ হেয়াট!
রেগে বললো রাতুল।

-“ রেগে গেলেন মনে হচ্ছে?
রাতুল নিজেকে সামলে নিলো।
-“ না রাগি নি। এখন রাখছি পরে কথা হবে।
রাতুল ফোন কে’টে দিলো। রুম থেকে বের হয়ে সোজা মায়ের রুমে চলে গেলো। রোমিলা বেগম আর তৃষ্ণা বিয়ে নিয়ে কথা বলছে। রাতুল সোজা তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।

-“ সুস্মিতা কে মা?
রোমিলা বেগম ছেলের পানে তাকালো। হাসি মুখে বলল-
-“ সুস্মিতা তৃষ্ণার ফ্রেন্ড। কথা বলেছিস ওর সাথে?
রাতুল রেগে গেলো। রাগী কন্ঠে বলল-
-“ তোমাদের বলেছিলাম না আমার বিয়ে নিয়ে না আগাতে? তোমরা আমি না বলার পরেও যদি এমন টা করতে থাকো তাহলে সিরিয়াসলি আমাকে আবার বিডি ছাড়তে হবে।

-“ দেখ রাতুল…
-“ কোনো ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করবে না মা। আমি কিন্তু শুনবো না। আমি বিয়ে সংসার করতে চাই না। এরপর ও যদি এটা নিয়ে কথা বলতে দেখেছি তাহলে আর এ দেশে আমার পক্ষে থাকা সম্ভব হবে না।
রাতুল চলে আসলো। রোমিলা বেগম ছেলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। তৃষ্ণা নিজেও হতবাক, রাতুল কি অধরার জন্য ই বিয়ে করতে চাইছে না?

তন্ময়,লিখন,সাব্বির,লারা,রাহাত আজ ব্যুরো তে এসেছে। নতুন কেইস এসেছে। পাঁচ বছরের বাচ্চা কে কিডন্যাপ করা হয়েছে। কিডন্যাপার মুক্তিপণ স্বরূপ ১ কোটি টাকা দাবি করেছে। কিডন্যাপ হওয়া বাচ্চা টার নাম রনি। বাবা শিল্পপতি। সিআইডি টিমের কাছে এসেছে ছেলে কে ফিরে পেতে। সাব্বির রনির বাবা লুৎফর রহমান এর থেকে এ টু জেট শুনে নিলো। বাচ্চা টা কিডন্যাপ হয়েছে গাত কাল সকালে। অলরেডি ২৪ ঘন্টা হয়ে গেছে। গতকাল সকালে বাচ্চা টিকে তার মা শারমিন রহমান স্কুলে দিয়ে আসে কিন্তু স্কুল ছুটি শেষে স্কুলে বাচ্চা কে আনতে গেলে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

পুলিশের কাছে গেলে তারা জানায় ২৪ ঘন্টা না হলে কিছু করতে পারবে না। এদিকে মাঝ রাতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। এবং হুমকি দেওয়া হয় পুলিশ বা অন্য কাউকে এসব না জানাতে তাহলে বাচ্চা টাকে মে’রে ফেলবে।
লুৎফর রহমান সকাল হতেই কাউকে না জানিয়ে চলে আসে ব্যুরো তে।
রাহাত মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসার সেই নম্বর টা চায়। লুৎফর রহমান তার ফোন টা এগিয়ে দেয়। রাহাত নম্বর টাতে ফোন দেয়। ফোন সুইচ অফ। লোকেশন ট্র্যাক করার জন্য লারা কে দেয়। লারা ফোন টা নিয়ে পিসির সামনে বসে পড়ে।

তন্ময় লুৎফর রহমান কে জিজ্ঞেস করে তার কো শত্রু আছে কি না। বা এই কয়েক দিনের মধ্যে কারো সাথে ঝগড়া ঝামেলা হয়েছে কি না। লুৎফর রহমান না জানায়। তার কোনো শত্রু নেই আর না কারো সাথে তার ঝামেলা হয়েছে।
তন্ময় লিখন কে পাঠালো রনির স্কুলে গিয়ে আশেপাশে সিসিটিভি ফুটেজ থাকলে সেটা চেক করতে।
লিখন চলে যায়। লারা পিসির সামনে থেকে উঠে ফোন টা এগিয়ে দিয়ে বলে –

-“ লোকেশন টা লাস্ট শ্রীপুর দেখা গেছে।
লুৎফর রহমান অবাক হয়ে বলে-
-“ শ্রীপুর!
-“ হ্যাঁ আপনি এমন অবাক হলেন কেনো?
-“ শ্রীপুর তো আমার অফিস আছে একটা।
তন্ময় লারার দিকে তাকিয়ে বলল-

-“ সিম টা কার নামে?
-“ মাহফুজ নামের কোনো লোক।
-“ লুৎফর রহমান আপনি কি মাহফুজ নামের কাউকে চিনেন?
-“ না স্যার চিনি না।
-“ আচ্ছা আপনি এখন বাসায় যান। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। আর কাউকে বলবেন না আপনি এখানে এসেছেন।
লুৎফর রহমান মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো।
লারা ব্যুরো থেকে বের হয়েছে। গন্তব্য শ্রীপুর। ওখানে গিয়ে লুৎফর রহমানের অফিস টা ঘেঁটে দেখে আসবে ছদ্মবেশে।

সেজন্য পড়নের শার্ট প্যান্ট বদলে বাসা থেকে বেগুনি কালারের সেলোয়ার-কামিজ পড়ে নিলো।
তারপর বাসার নিচে দাঁড়িয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করলো।
আবির যাচ্ছিল ঐ রাস্তা দিয়েই। লারা কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ফেস দেখে চিনে ফেললো। গাড়িটা নিয়ে লারার সামনে দাঁড় করালো। গাড়ির জানালা খুলে বলল-

-“ হ্যালো মিস চিনতে পেরেছেন আমায়?
লারা তাকালো।
-“ কোথায় যাবেন নাকি? আবির ফের জিজ্ঞেস করলো।
-“ সরি আপাকে ঠিক চিনতে পারলাম না।

রিকশা আসতেই লারা রিকশাতে উঠে পড়লো। আবির অবাক হলো। মেয়েটা তাকে চিনতে পারলো না!
লারা শ্রীপুর নেমে লুৎফর রহমানের অফিসে ঢুকলো। লারা লুৎফর রহমান কে আগেই বলে দিয়েছিল সে যেনো থাকে অফিসে। অফিসে ঢাকার আগে তাকে ফোন করে জানিয়ে রেখেছে যেনো এগিয়ে নিয়ে যায়।
লুৎফর রহমান দরজা অব্দি আসে লারা কে এগিয়ে নিতে। লুৎফর রহমান লারা কে তার নতুন বিজনেস পার্টনার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়।

লুৎফর রহমান তার ম্যানেজার সহ সকল স্টাফ দের পরিচয় করিয়ে দেয় কৌশলে।
লুৎফর রহমানের ম্যানেজার সালাম। লোকটা কেমন দৃষ্টি নিয়ে তাকালো লারার দিকে। লারা দৃষ্টি টা ভালো লাগলো না। লুৎফর রহমানের থেকে সালামের সব ইনফরমেশন ও নম্বর নিয়ে আসলো।
এদিকে লিখন স্কুলে গিয়ে পাশের দোকান থেকে সিসি টিভি ফুটেজ চেক করে দেখে এক লোক মাস্ক পড়ে রনি কে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই গাড়িতে উঠছে। অচেনা কেউ হলে নিশ্চয়ই রনি এতো টা স্বাভাবিক ভাবে উঠতো না। তারমানে রনি,লুৎফর রহমান চিনে এমন লোকই এই কাজ টা করেছে।

গাড়ির নাম্বার প্লেট টা দেখা যাচ্ছে না। নাম্বার প্লেটের উপর হোয়াইট রং করা।
ফুটেজ টা নিয়ে ব্যুরো তে চলে আসলো লিখন। তন্ময় ফুটেজ টা দেখলো। লারা আসে নি ব্যুরো তে। শ্রীপুর থেকে বের হতে রাত অনেক টা হওয়ায় সোজা বাসায় চলে এসেছে। তবে ফোন করে তন্ময় কে বলেছে সালামের ব্যাপারে। তাকে বেশ অস্বাভাবিক লেগেছে৷ সালামের ব্যাপারে আনা ডকুমেন্টস গুলো তন্ময় কে পাঠাতে চাইলে তন্ময় বলে কাল সকালে নিয়ে আসতে। এখন লারা কে রেস্ট নিতে বলল। এমনিতেই তো লারার শরীর তেমন একটা ভালো না। এই কেস টাতে অনেক খাটুনি খেটেছে।

সাব্বির আজ এসেছে মিথিলাদের বাড়ির এদিকে। মূলত কাজেই এসেছে। কিন্তু বাড়ির সামনে আসতেই মিথিলা কে দেখার লোভ সামলাতে না পেরে পকেট থেকে ফোন বের করে মিথিলার ফোন কল লাগায়।
মিথিলা নিজের রুমে বসে ফেসবুক স্ক্রোল করছিল। সাব্বির আকস্মিক ফোন আসায় ভ্রু কুঁচকে আসলো। ফোন রিসিভ করে কানে নিতেই ওপাশ থেকে সাব্বির বলে উঠে-

-“ বাসার নিচে আসো তো ছোটো প্যাকেট।
-“ বাসার নিচে যাবো কেনো?
-“ আহ্ আসোই না অপেক্ষা করছি আমি৷ দেখে চলে যাব।
মিথিলা জানালার ধারে গেলো। জানালার পর্দা হালকা করে সরিয়ে দেখে সাব্বির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
-“ না যাব না। আর আপনি আমার বাড়ির সামনে কেনো?
সাব্বির বিরক্ত হলো। কেবলই তো বলল তাকে দেখে চলে যাবে। মেয়েটা কি বুঝে নি নাকি?

-“ সেটা যদি বুঝতে তাহলে তো বড়ই হয়ে যেতে বাচ্চা। তাই কথা কম বলে ঝটপট নিচে আসো। আমার কাজ আছে।
-“ তো যান আপনার কাজে। মানা করছে কে?
-” অদৃশ্য মায়াজাল যেতে দিচ্ছে না৷ এখন বলো তুমি আসবে নাকি আমি আসবো তোমার বাসায়। আন্টি নিশ্চয়ই বাসায় আছে তাই না? আসি?
মিথিলা দাঁতে দাঁত চেপে বলল-

-“ আসতেছি।
সাব্বির হেঁসে ফোন কেটে দিলো। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই মিথিলা চলে আসলো। সাব্বির এগিয়ে গেলো মিথিলার দিকে। তারপর ফোনের ক্যামেরা বের করে মিথিলা কে বলল- স্মাইল। মিথিলা তাকালো ফোনের দিকে। কিন্তু বুঝে উঠার আগেই ফটাফট মিথিলার সাথে সেলফি তুলে নিলো সাব্বির। তারপর ফোন টা পকেটে ঢুকিয়ে বলে-
-“ এবার চলে যেতে পারো।
মিথিলা হতভম্ব।

-“ আপনি ছবও তুললেন কেনো?
-“ আসলে তোমার পিক নেই আমার ফোনে। আর তুমি যেহেতু আমার হবু বউ তো সেলফি তুলতেই পারি। যখন তখন দেখার জন্য তো আর বাসার সামনে আসতে পারি না। তাই ছবি তুলে নিয়ে গেলাম। তোমায় দেখতে ইচ্ছে হলে পিক টা বের করে দেখবো।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৮

-“ ঠা’ডা পড়বে চোখে।
-“ অলরেডি পড়ে গেছে। একন আসি।
সাব্বির চলে গেলো। মিথিলা সাব্বিরের যাওয়ার পানে তাকিয়ে বাড়ি চলে আসলো।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ৩০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here