আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৮

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৮
Raiha Zubair Ripte

-“ আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল।
তুষার চেয়ারে বসে ছিলো। হঠাৎ পাশ থেকে এমন সালাম ভেসে আসায় পাশ ফিরে তাকায়। ব্লু কালারের পাঞ্জাবি পরিহিত পরিচিত মুখ দেখে বসা থেকে মুচকি হেঁসে বলল-
-“ ওয়ালাইকুমুস সালাম। কেমন আছো আবির?
আবির হাসলো। ফাস্ট টাইম সে খাঁন বাড়িতে আসলো। বিডি তে থাকলে অবশ্য আরো আগে আসতো। কিন্তু আবির দেশে ফিরেছে দু দিন হলো।

-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আমি। আপনি?
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোমার বাবা এসেছে?
-“ না বাবা আমেরিকা তেই আছে। আমি একা এসেছি বিডি।
-“ তা তোমার বাবা আরহাম আসলো না কেনো? এখনও বুঝি ভয় পায় আমায়?
কথাটা বলে হেঁসে ফেললো তুষার। আবির মাথা চুলকে বলল-

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“ মনে হয় তেমনই কিছুটা। বাবার মুখে শোনা আপনি নাকি বাবা কে কারসাজি করে আমেরিকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন জীবনে যেনো বিডি তে না দেখে। সেজন্য নাকি আসতে ভয় পায়।
-“ তো কি করতাম বলো। একটা মাত্র বউ আমার তার দিকে কত মানুষের নজর ছিলো। এখন চাইলে তোমার বাবা আসতেই পারে। তা দাদু বাড়িতেই আছো নাকি?

-“ না। হোটেলে উঠেছি।
-“ বসো। তোমার রাফি আঙ্কেলের মেয়ের বিয়ে। এনজয় করো।
রাতুল এদিক টায় আসছিলো। তুষার কে অপরিচিত ছেলের সাথে হেসে হেঁসে কথা বলতে দেখে এগিয়ে এসে বলে-
-“ কে এই ছেলে?
তুষার একবার আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে-

-“ রক্ত কে চিনতে পারছিস না?
-“ রক্ত মানে?
-“ আরহামের ছেলে ও আবির।
রাতুল তাকালো আবিরের পানে। আরহামের ছেলে! আরহাম থাকে কোথায় এখন?
-“ কোথায় থাকো তোমরা?
আবির রাতুল কে জড়িয়ে ধরলো। রাতুল হতভম্ব।
-“ কেমন আছেন চাচা?

চাচা ডাক শুনে কেমন একটা অনুভূতি হলো রাতুলের। আবিরের পিঠে হাত রেখে বলে-
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
-“ বাবা আমি আর মম আমেরিকা থাকি।
-“ এসেছে তোমার বাবা মম?
-“ না আমি একাই এসেছি। আসলে শুনেছি আপনি বেঁচে আছেন। আপনাকে দেখার জন্য ছুটে আসা।
-“ আমাকে দেখার জন্য!
-“ হ্যাঁ।

-“ আচ্ছা থাকছো কোথায় তাহলে এখন?
-“ তোর ভাইস্তা হোটেলে উঠেছে।
-“ হোটেলে কেনো উঠেছো? ও বাড়ি তো এখন ফাঁকা। তোমার দাদি থাকে শুধু।
-“ দেখা করে এসেছি দাদির সাথে। এখন আরেক দাদির সাথে দেখা করতে আসলাম। দেখাবেন না?
-“ কেনো নয়। ভেতরে চলো মা রুমে শুয়ে রেস্ট নিচ্ছে।
আবির রাতুলের সাথে বাড়ির ভেতরে গেলো। রোমিলা বেগমের রুমে ঢুকে রোমিলা বেগমের পাশে বসে রাতুল। রোমিলা বেগম চোখ বন্ধ করে আছে। রাতুল আস্তে করে ডাক দিলো।

-“ মা।
রোমিলা বেগম চোখ মেলে তাকালো।
-“ দেখো কে এসেছে।
রোমিলা বেগম ছেলের দিকে তাকিয়েই বলল-
-“ কে এসেছে?
-“ আবির এসেছে। আরহামের ছেলে।
রোমিলা বেগম ঘাড় সোজা করে তাকালো। সামনেই দাঁড়িয়ে আছে এক ছেলে। আরহাম কে খুব কমই সামনা-সামনি দেখেছে রোমিলা। কথাও হয় নি কখনও। অথচ তার ছেলে এসেছে তার কাছে!
আবির রোমিলা বেগম এর দিকে এগিয়ে এসে বলল-

-“ আসসালামু আলাইকুম দাদি। কেমন আছেন?
রোমিলা বেগম সালামের জবাব দিলো।
-“ ওয়ালাইকুমুস সালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোমার বাবা মা কেমন আছে?
-“ ভালো আছে সকলে।
-“ দাঁড়িয়ে আছো কেনো বসো না পাশে।
আবির রোমিলা বেগম এর পাশে বসলো। রোমিলা বেগম আবিরের গালে হাত ছুঁইয়ে দিলো। ইশ তার রাতুল টা বিয়ে করলে এতোদিনে তার রাতুলের ও এতো বড় একটা ছেলে বা মেয়ে থাকতো। কিন্তু ছেলে টা তো শুনতেই চাচ্ছে না তাদের কথা।

সাব্বির চেয়ারে বসে আছে। স্টেজের সামনে নাচছে মিথিলা তুলি। সাব্বিরের দৃষ্টি মিথিলার দিকেই। তাদের যে এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে সে কথা বন্ধুমহলের কেউ জানে না। মিথিলা আসার পর থেকে এমন ভান করছে মনে হচ্ছে সাব্বির কে সে চিনে না। কথা বলতে গেলেও এভয়ড করে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। বিষয় টা গায়ে লাগলো সাব্বিরের। তাই পাশ থেকে এক ওয়েটার কে ডেকে কিছু একটা বলল।

এদিকে মিথিলা তুলি নাচতেছিল। হঠাৎ ঘুরতে গিয়ে ওয়েটারের সাথে ধাক্কা লেগে শাড়ির উপর জুশ পড়ে যায়। ওয়েটার সরি বলতে থাকে। মিথিলা ইট’স ওকে বলে ওয়াশরুমে চলে যায় পরিষ্কার করতে। সাব্বির ও পিছু পিছু আসে। মিথিলা দোলনের রুমে এসে ওয়াশরুমের ঢুকে পানির কল ছেড়ে শাড়ি ধুতে নিলে ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করার শব্দ শুনে পেছন তাকায়। সাব্বির দরজায় হেলান দিয়ে বুকে হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। মিথিলা ভ্রু কুঁচকালো।

-“ আশ্চর্য আপনি ওয়াশরুমে কেনো? আর দরজা আটকিয়েছেন ই বা কেনো? দরজা খুলুন বলছি।
সাব্বির কথার কোনো জবাব না দিয়ে মিথিলার দিকে এগিয়ে আসলো। মিথিলার ডান হাত চেপে ধরে বলল-
-“ আমাকে ইগনোর কেনো করছো?
মিথিলা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলে-
-“ আশ্চর্য আমি আপনাকে ইগনোর কেনো করতে যাব?
-“ করছিলে না ইগনোর?
-“ ন..না

সাব্বির মিথিলার গালে চুমু খেয়ে বসলো। মিথিলা হতভম্ব।
-“ ভেবেছিলাম তোমার সাথে কথা বলে বিয়ে টা ভাঙার চেষ্টা করবো। কিন্তু তুমি বারবার আমাকে এভয়ড করছিলে। তাই এখন বিয়েটা তোমাকেই করবো। তাই ভুলেও এমন এভয়ড করার চেষ্টা করো না। তাহলে এর থেকেও ভয়াবহ কিছু করে ফেলবো লোকসমাগমে।
সাব্বির দরজা খুলে চলে আসলো। মিথিলা এখন ও বরফের মতো জমে রইলো। সাব্বির কে বকতে বকতে ওয়াশরুম থেকে বের হলো।

লিখন বসে আছে বউয়ের পাশে। পকেটে থাকা ফোন বেজে উঠায় পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে রাহাতের ফোন। ফোন রিসিভ করলো লিখন। ভিডিও কল দিয়েছে।
-“ শা’লা তরে বলছিলাম না ভিডিও কল দিতে?৷ দিস নি কেনো? ক্যামেরা পেছনে দে আমার বউ রে দেখা তোর মুখ না দেখিয়ে।
লিখন ক্যামেরা পেছনের টা দিলো। স্টেজে হলুদ শাড়ি পড়ে বসে আছে রাহা। পাশেই দোলন তৃষ্ণা বসে আছে।

-“ ইশ বউ টা কে কি সুন্দর লাগছে মাশা-আল্লাহ।
লিখন এবার সামনের ক্যামেরা অন করলো।
-“ হয়েছে বউ দেখা? এবার রাখলাম।
রাহাত বিরক্ত হয়ে বলল-
-“ শা’লা মন ভরে দেখতেও দিলি না।
-“ কাল না বাসর রাত? মন প্রান ভরে সব দেখিস শা’লা এখন রাখ। নাচ দেখতে দে।
লিখন কেটে দিলে ফোন।
তুলি নেচে হয়রান হয়ে গেছে। দূরে একটা চেয়ারে বসে জিরিয়ে নিলো। সায়ান এগিয়ে আসলো। জুশের গ্লাস টা এগিয়ে দিয়ে বলল-

-“ নিন খেয়ে নিন ভালো লাগবে।
তুলি গ্লাস টার দিকে তাকালো। এই জিনিশ টারই দরকার ছিলো এই মুহুর্তে। মুচকি হেঁসে গ্লাস টা নিয়ে খেয়ে নিলো। খাওয়া শেষে গ্লাস টা সায়ানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল-
-“ থ্যাংকস এটার ই দরকার ছিলো।
-“ ওয়েলকাম মিস। আপনি তো দারুন নাচতে জানেন।
-“ শুধু নাচতে নয় নাচাতেও জানি।
সায়ান হাসলো।

-“ আপনি নাচাতে জানলে আমি নাচতেও পারবো।
আস্তে করে বলল সায়ান। তুলি শুনে ফেললো। কিন্তু কিছু বললো না।
রাহার গায়ে হলুদ লাগানো শুরু হতেই তুলি সেদিক চলে গেলো।
রাতুল এসেছে আবির কে সাথে নিয়ে স্টেজের কাছে। রাহার গায়ে হলুদ লাগাতে চলে গেলো রাতুল। আর আবির গিয়ে খালি একটা চেয়ারে বসে পড়লো।
লারা চেয়ারে বসে হলুদ লাগানে দেখছে। তার পাশে কাউকে বসতে দেখে পাশ ফিরে তাকালো। তখনকার সেই ছেলেটা কে দেখে ভ্রু কুঁচকালো। টায়রা স্টেজ থেকে লারার নাম ধরে ডেকে উঠলো। লারা বিরবির করে অসভ্য বলে উঠে চলে গেলো।

আকস্মিক লারাকে অসভ্য বলে চলে যেতে দেখে আবির ভ্রু কুঁচকালো। মেয়ে টা কি তাকে অসভ্য বলল?
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত তিনটা বেজে যায়। যে যার রুমে চলে যায়। আবির কে আর যেতে দেয় নি তুষার। যার ফলে সে খাঁন বাড়িতেই রয়ে যায়।
সকাল হতেই বাড়ির মেয়েরা গোসল করে সাজগোছ করতে ব্যাস্ত হয়ে যায়। পার্লার থেকে লোক এসে রাহা কে সাজিয়ে দিয়ে গেছে।

দুপুর হতেই রাহাত রা চলে আসে।
দোলন,তুলি রাহা কে ধরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে। তিন পুরুষ হা করে তাকিয়ে রইলো এই তিন রমণীর দিকে। দোলন পার্পল কালারের শাড়ি পড়েছে। তন্ময় রাহাতের পাশেই দাঁড়িয়ে থেকে বারবার আড়চোখে দেখছে দোলন কে। কি মিষ্টি ই না লাগছে তার বউ কে।
রাহাত তো ভাষা হারিয়ে ফেলছে বউ কে কোন কোন ওয়ার্ডে প্রশংসা করা যায়?

তুলি মেজেন্টা কালারের গ্রাউন পড়েছে। তবে সাজে নি তেমন একটা। সায়ান তাকালো একবার তুলির পানে তারপর বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস টেনে প্রস্থান করলো।
চিত্রা অফ হোয়াইট কালারের শাড়ি পড়েছে। সিমির পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। রিয়াদ রাফির সাথে কথা বলছিলো। সিমি রিয়াদের দিকে তাকিয়ে রিয়াদ কে ডেকে কাছে আসতে বলে। রিয়াদ কাছে আসে। চিত্রা কে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে বলে-

-“ দেখো তো তোমার বউ আর শালি+বেয়াইন কে কেমন লাগছে?
রিয়াদ অগ্নি চোখে তাকালো সিমির দিকে। এই মেয়েটা কোনো সুযোগই ছাড়ে না তাকে অপদস্ত করার জন্য। সিমি চিত্রা কে ছেড়ে দিলো তারপর রিয়াদের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল-
-“ সাথে এক্স ও।
রিয়াদ উল্টো ফিরে যেতে যেতে বলল-

-“ জাস্ট বিরক্তিকর।
সিমি হেঁসে ফেললো। চিত্রা বিরক্তির সহিতে বলল-
-“ হচ্ছে কি সিমি? বড় হয়েছিস। আগের মতো বাচ্চামো এখন মানায় না। আর ঐ ইডিয়ট টাকে বারবার কেনো আমার সামনে আনছিস এটা ওটার বাহানায়?

-“ উফ রাগ করছো কেনো৷ রেগো না,আমি তো জাস্ট ও কে জ্বালানোর জন্য এমন টা করি। আচ্ছা আর করবো না এমন টা। তবে ভাগ্য দেখো ঘুরে ফিরে নানান ভাবে সম্পর্ক হয়ে উঠছে তোমার সাথে আমাদের।
-“ হুমম। আমরা যাদের থেকে দূরে থাকতে চাই পৃথিবী ঘুরে ফিরে তাদেরই সামনে এনে দাঁড় করায়।
লারা বিয়েতে আসে নি। আবির সর্বক্ষণ রাতুলের সাথেই থাকছে৷ কারন কারো সাথে তেমন বন্ডিং হয়ে উঠে নি। তন্ময় রাতুলের থেকে আবির কে নিজের সাথে নিলো। সাব্বির ফোন হাতে এগিয়ে এসে বলল-

-“ লারা আসবে না রে। ওর নাকি শরীর অসুস্থ।
-“ শরীর অসুস্থ নাকি বাহানা?
-“ অসুস্থ ও হতে পারে। চোখ মুখ দেখিস নি কেমন হয়ে গেছে।
আবির বুঝে গেলো লারা টা কে। কাল তো যখন লারা বলে ডাকা হলো তখন তার নাম যে লারা এটা বুঝে গিয়েছিল।
-“ আর ফারাহ্ সে কোথায়?
-“ ওর আজ রাতে ফ্লাইট মালদ্বীপের সেজন্য গোছগাছ করছে।

তন্ময় আর কিছু বললো না। যে যেভাবে খুশি তাকে সেভাবেই থাকতে দেওয়া উচিত।
কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করলো। তৃষ্ণা তাকিয়ে আছে মেয়ের পানে। মেয়েকে কবুল বলতে বলছে কাজি। রাহা মায়ের দিকে তাকালো। তৃষ্ণা আশ্বাস দিলো কবুল বলার জন্য। রাগা মুচকি হেঁসে কবুল বলল।
তারপর রাহাতের পালা আসতেই রাহাত রাহার হাত শক্ত করে ধরে কবুল বলে দিলো।
সন্ধ্যা হতেই বিদায়ের পালা আসে। রাফি রাহার হাত টা রাহাতের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে-

-“ ভরসা করে মেয়ে দিচ্ছি তোমার হাতে।
-“ জ্বি শ্বশুর মশাই ভরসা করতে পারেন আমাকে।
রাফি ভ্রু কুঁচকে বলল-
-“ তোমাকে ভরসা করি নি ছেলে৷ ব্রো এর কথায় ভরসা পেয়ে তোমার হাতে মেয়েকে তুলে দিতে রাজি হয়েছি।
রাহাতের মুখ চুপসে গেলো। লিখন সাব্বির হেসে উঠলো। পৃথিবীতে এই মনে হয় একটা শ্বশুর যে কি না বিদায় বেলায় মেয়ের জামাই কে এভাবে বলে।

-“ আর হ্যাঁ শুনো কোনো কষ্ট যেনো আমার মেয়ে না পায়। যদি শুনেছি আমার মেয়ে তোমার কারনে কষ্ট পেয়েছে তাহলে তোমার নামের শেষের ত টা পারমানেন্টের জন্য সরিয়ে ফেলবো।
-“ যথা আজ্ঞা শ্বশুর মশাই,এখন যাই দেরি হয়ে যাচ্ছে তো।
সাব্বির রাহাতের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে-

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৭

-“ কিসের দেরি হচ্ছে রে বাসরের?
রাহাত রাগী চোখে তাকালো সাব্বিরের দিকে। তৃষ্ণা মেয়েকে জড়িয়ে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করলো। নিজের বিয়েতে তো কাঁদতেই পারে নি।
চিত্রা তৃষ্ণা কে সরিয়ে আনলো। রিয়াদ তাড়া দিলো। রাহাত রাহা কে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো। গাড়ি চলতে শুরু করলো। খাঁন বাড়ির সকলে চেয়ে দেখলো সেই চলন্ত গাড়ি টাকে।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here