এই কেমন ভালোবাসা পর্ব ১৫ || নুর নাফিসা খুশি || SA Alhaj

এই কেমন ভালোবাসা পর্ব ১৫
নুর নাফিসা খুশি

মাহিরের পাগলের মতো অবস্থা হয়ে যায়। মাহির নদীর ধারে যায়,সেখানে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খুশিকে। মাহির যেনো প্রান ফিরে পায় খুশিকে দেখে। কিন্তু আবার তাকিয়ে দেখে খুশি নদীতে পরে যাচ্ছে। মাহির দৌড়ে যায়,কিন্তু তার আগেই খুশি পরে যায়।
” খুশিইই!”

মাহিরের চিৎকারে অর্জুন অরিনও চলে আসে।মাহির দৌড়ে খুশি যেখানে পরেছে সেখানে যায়।এই দিকে অর্জুন বুঝতে পারে না মাহির কি করতে চাইছে তাই চিৎকার করে বলে।
“ভাই তুমি কোথায় যাচ্ছো? দাঁড়াও ভাই।”(বলেই অর্জুন ও দৌড় লাগালো সঙ্গে অরিন ও)
কিন্তু তারা যাওয়ার আগেই মাহির ও অঘটন ঘটালো।
কিছুক্ষন পরে,
অর্জুন খুশি মিলে মাহিরের পেট থেকে পানি বের করার চেষ্টা করছে। বার কয়েক পেটে চাপ দিতেই পানি বের হয়ে আসে মাহিরের পেট থেকে।মাহির কাশতে শুরু করে।
পিট পিট করে চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে অর্জুন অরিন খুশিকে দেখে লাফিয়ে উঠে মাহির। খুশিকে ঠিক দেখে খুশিলে জরিয়ে ধরে বলে,

” খুশি তুই ঠিক আছিস তোর কষ্ট হচ্ছে না তো?তুই কেন নদীতে ঝাপ দিলি এখনি ডুবে গেলে কি হতো?”
খুশি মাহির কে ছাড়িয়ে মাহিরের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে বলে,
“ওই মিয়া আমি ঠিক আছি কি না সেটা না জেনে তুই ঠিক আছিস কি সেটা বল? সাতার জানে না আবার আসছে আরেকজনকে বাঁচাতে।হিরো হওয়ার শখ কতো।”
” মানে কি?”( মাহির অবুঝের মতন)
“মানে এটাই আমি গ্রামের মেয়ে ভুলে যাস না। আমি সাতার পারি।”(খুশি জোর গলায় বলে উঠে)
” তাহলে তুই নদীতে ঝাপ দিলি কেন?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

খুশি পাশ থেকে একটা ছাগলের বাচ্চা কোলে নিয়ে বলে,
“এই যে এই কিউট বাচ্চাটা পরে গেছিলো তাই তাকে পানি থেকে তুলতে নেমেছিলাম। আর তুই কি করলি! তুই নিজেই ঝাপ দিলি সাতার না জেনে।”
” আমি পিছন থেকে ভাই কে বলেই যাচ্ছি ভাই দাঁড়াও।কিন্তু ভাই শুনলোই না।ঝাপ দিয়ে দিল।সে নিজে সাতার জানে না সেটা ভুলেই গেছে।”(অর্জুন)
“আচ্ছা বাড়ি তে চলো সবাই। আর কিছু বলা লাগবে না।”(অরিন)
অরিনের কথায় সবাই সম্মতি দিল।উঠে বাড়ির দিকে চলে গেলো তারা।

খুশি মাহিরের কথায় কষ্ট পেয়ে নদীর ধারে চলে আসে একা থাকবে তাই।কিন্তু একটু দূরে তাকিয়ে দেখে একটা ছাগলের বাচ্চা পানিতে পরে যাচ্ছে। খুশি ধরার জন্য ছুটে গেলেও ধরতে পারেনি তার আগেই পরে গেছে। কি করবে কি করবে ভাবতে ভাবতেই সে নিজেও পানি তে ঝাপ দেয় ছাগলের বাচ্চাটাকে বাঁচানোর জন্য।খুশি ছোট থেকেই সাতার জানে। আর এই দৃশ্য মাহির দেখে ভাবে খুশি সুইসাইড করছে রেগে,তার কথায় কষ্ট পেয়ে। তাই সে নিজে সাতার না জেনেও খুশি কে বাঁচাতে পানি তে ঝাপ দেয়। কিন্তু উল্টো পানিতে মাহির নিজেই ডুবতে থাকে।খুশি অর্জুন মিলে মাহিরকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। ততক্ষনে মাহির পানি খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলো।বেশি সময় পানিতে থাকেনি বলে অতো বেশি পানি খায়নি। তাই জলদি জ্ঞান ফিরে মাহিরের।

খুশি আবারও প্রমান পেল মাহির তাকে কতটা ভালোবাসে। সে সাতার জানে না জেনেও খুশিকে বাঁচাতে গেছে। খুশির মনে মনে অনেক ভালোলাগা কাজ করছে। খুশি ও আস্তে আস্তে মাহিরের প্রেমে পরে যাচ্ছে তা খুব ভালোই বুঝতে পারছে খুশি। কিন্তু আটকায় না সে মাহিরের প্রেমে পরতে চায়। মারাত্মক ভাবে মাহিরের প্রেমে পরতে চায় খুশি।
নানু বাড়িতে কেটে যায় বেশ কয়েক দিন।এবার তো তাদের ফিরতে হবে। অনেক মজা মাস্তি করে কাটিয়েছে সব গুলো দিন। আজ তাদের কলকাতা ফিরে যাওয়ার দিন। খুশি গেছে আম্মু আব্বুর সাথে দেখা করতে। দেখা করে এসেই বের হবে তারা। মাহির কে অনেক বলেছে যেতে কিন্তু মাহির যায়নি। খুশি তার আম্মুর সঙ্গে দেখা করে আব্বুকে নিয়ে নানু বাড়ি আসছিল রাস্তায় হেটে।তখন খুশির আব্বু বলে উঠে।

“সময় শেষের আগে সব কিছু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবে মামনি।এমন টা যাতে না হয় সময় শেষ হয়ে গেছে আর তুমি সব কিছু বুঝে গেছো।কিন্তু কিছু করার থাকবে না।তখন কষ্টটা তোমারই বেশি হবে।”
খুশির আব্বু খুশিকে কি বুঝাতে চাইল খুশি ঠিক বুঝল না।বাবার মুখের দিকে তাকাল।খুশির আব্বু বুঝতে পারে তার মেয়ে তার কথা বুঝেনি তাই আরেকটু পরিস্কার করে বলে।
” মাহির তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে।সেই ভালোবাসা তুমি অবহেলাই ফেলো না।এখন হয়তো মাহির সব মেনে নিচ্ছে কিন্তু এমন দিন ও আসতে পারে তার এসব বিরক্ত লাগবে। আসবে বলছি না আসতেও পারে এমন দিন। সময় থাকতে সব কিছু বুঝে নেওয়া ভালো।”

এতোক্ষনে বুঝতে পারলো খুশি তার আব্বু তাকে কি বুঝাতে চাইছে। খুশি মাথা নাড়িয়ে বাবার কথায় সম্মতি জানাল। বাবা মেয়েতে কথা বলতে বলতে চলে আসে নানু বাড়ি। মাহির আগে থেকেই রেডি হয়ে খুশির জন্য বসে ছিলো।খুশি ও রেডি হয়ে গেছিলো আব্বু আম্মু কে বাই বলতে। মাহির খুশিকে দেখে উঠে দাঁড়ায়।
“চলে এসছিস তুই।চল বেরিয়ে পরি।বেশি সময় নেই হাতে।”
বলেই একে একে সবাই কে বাই আর কুশল বিনিময় করে মাহির। খুশি ও সবাইকে বাই বলে। অর্জুনকে জরিয়ে ধরে মাহির বলে,

” অরিনকে নিয়ে কলকাতা ঘুরতে আসবি শালা।”
অর্জন লজ্জায় কিছু বলে না শুধু হাসে।
মাহির খুশির আব্বুর কাছে গিয়ে বলে।
” ভালো থাকবেন আঙ্কেল।আবার দেখা হবে।”
“আমার মেয়েটার খেয়াল রেখো বাবা।কিছু ভুল করলে মাফ করে দিও।খুশি এখনো ছোট।”
” চিন্তা করবেন না আঙ্কেল আমি আছি সব সময় ওর পাশে।”
মাহিরের কথায় স্বস্তি পেল খুশির আব্বু।

তারপর বেরিয়ে পরে দুইজনে কলকাতা শহরের উদ্দেশ্যে। একজন তার নিজের শহরে যাচ্ছে আর একজন তার আপনজন ছেড়ে,নিজের গ্রাম ছেড়ে অন্য শহরে যাচ্ছে।
পরের দিন সকাল ১০ টার দিকে কলকাতা আসে খুশি,মাহির। দুইজনেই খুব ক্লান্ত। বাড়িতে ঢুকে কলিং বেল চাপে মাহির। কিছুক্ষন পর লতিফা দরজা খুলে দেয়।
“আরে ভাইজান,আফামনি আপনেরা আইয়া পরছেন।”
” হুম লুতু বুবু কেমন আছো তুমি।”(খুশি)
“ভালা।আসেন ভিতরে।”

খুশি মাহির ভিতরে ঢুকে। তখনি হাওয়ার বেগে একটা মেয়ে এসে মাহিরকে জড়িয়ে ধরে। খুশির মুখ হা হয়ে যায় এসব দেখে আর বুকের ভিতর মোচর দিয়ে উঠে খুশির। মাহির ও হতবাক এমন আচমকা আক্রমনে। মাহির মাথা ঘুরিয়ে খুশির মুখের দিকে তাকায়। বেচারির মুখটা ছোট হয়ে গেছে,চোখে পানি চিকচিক করছে।
“খুশি কি এসব দেখে কষ্ট পাচ্ছে? তাহলে তো একটু বাজিয়ে দেখতে হয়।”(মনে মনে ভাবে মাহির)
মাহির মেয়েটাকে ছাড়িয়ে বলে,
“আরে রুকশা তুমি কখন এসেছ? ফুফিও কি এসেছে?”
” সারপ্রাইজ কেমন লাগলো? মম ও এসেছে।”

মাহির রুকশার সঙ্গে কথা জুরে দেয়।পাশে যে খুশি দাঁড়িয়ে আছে সেদিকে কোন খেয়ালই নেই । খুশির হাতে একটা ব্যাগ ছিল। নানু কিছু খাবার,আচার, অনেক রকম হালুয়া,নারিকেলের নাড়ু। ব্যাগটা একটু ভারি ছিলো। পুরো রাস্তা মাহিরই নিয়ে এসেছিল।এই বাড়িতেই খুশি নিয়েছে ব্যাগটা।খুশি যখন দেখল মাহির এখনো রুকশার সঙ্গে কথা বলেই যাচ্ছে তখনই হাতে থাকা ব্যাগটা মাহিরের পায়ে ফেলে দেয়।
“আহহহহ।”(মাহির ব্যাথা কুকিয়ে উঠে)
” মাহির কি হয়েছে তোমার।ইসস পায়ে কি খুব ব্যাথা লেগেছে? এই মেয়ে, কে তুমি? চোখে দেখতে পাও না? এভাবে কেউ পায়ের উপর ফেলে?”(রুকশা শেষের কথা গুলো খুশিকে বলে)
খুশি মুচকি হেসে বলে,
“সরি আপু আমি খেয়াল করিনি।”

বলেই সেখান থেকে রুমে চলে গেলো মাহিরের দিকে রাগি চোখে একবার তাকিয়ে।
“কি অসভ্য মেয়েরে বাবা ভুল করেও কেমন চলে গেলো। কে এই মেয়ে মাহির?”(রুকশা)
“ওর নাম খুশি।আমার খালামনির মেয়ে, এখানেই থাকে। ”
মাহির খুব বুঝতে পেরেছে খুশি ইচ্ছা করে তার পায়ে ফেলেছে। ব্যাথা পেলেও মাহিরের ভালো লাগছে খুশি জেলাস হচ্ছে দেখে। মাহির মনে মনে বলে,
” এখন দেখ কেমন লাগে।তোকে এবার স্বীকার করতেই হবে তুই আমাকে ভালোবাসিস। থ্যাংকিউ রুকশা ঠিক সময় আসার জন্য।”(মনে মনে)
“রুকশা তুমি থাকো।আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।”
” ওকে।

রুকশা মাহিরের ফুফাতো বোন। মাহিরের ফুফা ফুফি প্যারিসে থাকে।তাদের একমাত্র মেয়ে রুপশা।রাগী, জেদি। যা চাই বলবে তাই চাই-ই। যেকোনো মূল্যে। মাহির প্যারিসে থাকা কালীন তাদের বাড়িতেই ছিলো। রুকশা মাহিরের এক বছরের ছোট।
রাতে খুশি ডিনার করতে এসে দেখে খাবার টেবিলে রুপশা তার চেয়ারে মাহিরের পাশে বসেছে। দেখেই মেজাজ গরম হয়ে যায় খুশির। খুশি রেগে মেগে সেখানে গিয়ে বলে,
“আপু এটা আমার বসার জায়গা।”

” তুমি আজ অন্যটায় বসে পরো খুশি।” (রুপশা)
“না আমি এখানেই বসবো।”
” এখানে কি তোর নাম লেখা আছে? অন্যটায় গিয়ে বস।”(মাহির একটু রেগে বলে)
“ভাইয়া!”
খুশি আর কিছু বলতে যাবে তখনি সেখানে খালামনি, রুপশার আম্মু রেহানা বেগম চলে আসে তাই আর কিছু বললো না খুশি। খুশি কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খালামনি বলে,
” খুশি দাঁড়িয়ে আছিস কেন?বস এসে।”
খুশি রাগে দুঃখে অন্য একটা জায়গায় বসে পরে।”
“এটা কে? চিনতে পারলাম না তো মাহিরা?”(রুকশার আম্মু বলে)
” আমার ছোট বোনের মেয়ে খুশি।এখানেই পড়াশোনা করে।”
“ওহহ।”

রেহানা বেগমের সুর করে ওহ শুনে খুশির কেন জানি মনে হলো খুশিকে মহিলার পছন্দ হয়নি। খুশি সেদিকে খুব একটা পাত্তা দিল না। মাহির আর রুকশার দিকে তাকালো খুশি।এখনো তারা কথা বলছে।
” কি এতো কথা তোদের রে। যে বলেই যাচ্ছিস।খেতে খেতে কিসের কথা এতো।” (মনে মনে বলে খুশি।মুখ ফুটে বলার সাহস নেই তার)
খুশি তেমন কিছুই খেলো না।শুধু মাহিরের দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছিল। খুশির ভালো লাগছে না আর মাহিরের রুকশার প্রতি এতো ভাব দেখে। পুরোটা না খেয়েই উঠে গেলো খুশি। খালামনি বলে,
“খুশি পুরোটা শেষ না করে উঠে যাচ্ছিস কেন?”

” খালামনি আর খেতে পারছি না।আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।আমি রুমে যাই।”
বলেই খুশি রুমে চলে যায় কাউকে কিছু বলার সুযোগ দেয় না আর। মাহির আড়চোখে খুশির প্লেটের দিকে তাকালো।একবারো খাতনি বললেই চলে।শুধু নড়াচড়া করেছে ভাত।
রাত ১২ টায় মাহির রুম থেকে বের হয়ে নিচে যায়। রান্না ঘরের আলো জ্বালিলে সব কিছু দেখেও কোন খাবার পেল না সে। ফ্রিজেও নেই কিছু। মাহির আর কিছু না পেয়ে নুডলস বানানোর জন্য রেডি হয়। মাহির নুডলস বানাতে পারে বেশ ভালোই।তাই সুন্দর করে বানিয়ে প্লেটে নিয়ে আবার উপরে চলে যায়। খুশির রুমের কাছে গিয়ে দরজা একটু ঠেলে ভিতরে ঢুকে।খাবারটা রেখে দরজা বন্ধ করে দেয় মাহির।

মাহির খুশিকে আস্তে আস্তে ডাকে।কিন্তু খুশি উঠছেই না। মাহির আর না পেরে গ্লাস থেকে পানি নিয়ে খুশির চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয়।খুশি লাফিয়ে উঠে সামনে মাহিরকে দেখে বলে,
“এতো জলদি সকাল হয়ে গেলো? আচ্ছা তুমি দাঁড়াও। আমি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে আসছি। কলেজে যাব।”
খুশি ভাবছে সকাল হয়ে গেছে তাই ভুল বকছে। মাহির খুশিকে থামিয়ে বলে,
” সকাল হয়নি এখনো। রাত ১২ টা ৩০ বাজে।”
“আমাকে উঠালা কেন তাহলে? আমি ঘুমাই।”

বলেই খুশি আবার শুয়ে পরে। মাহির খুশিকে টেনে তুলে মুখের সামনে নুডলসের প্লেট নিয়ে বলে,
“খেয়ে নে।”
খুশির মনে পরে যায় রাতে ডিনার করার সময়ের কথা। খুশি রেগে বলে,
“খাব না আমি।যা তুই তোর রুকশার কাছে।ওকে খাইয়ে দে।”
” যাবোই তো। তার আগে তুই খেয়ে নে।”
“খাবো না।”
” না খেলে তুই ভালো করেই জানিস আমি কি করবো।”
“যা করার রুকশার সঙ্গে কর।”
” তোর এতো জ্বলে কেন?”
“আমার জ্বলে না।আমার কিছুই হয়না। তুই যা।”
” না খেলে আমি যাবো না।তোর কাছেই ঘুমাব।”
“যা ইচ্ছা কর।”

এই কেমন ভালোবাসা পর্ব ১৪

বলেই খুশি অন্য দিকে মুখ করে শুয়ে পরে।মাহির ও প্লেট রেখে খুশির পাশে খুশিকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরে। খুশি রেগে বলে,
” থাকছিস ভালো কথা।আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে কেন শুয়েছিস?”
“আমার ভালো লাগছে তাই।আর চুপ কর, আমাকে ঘুমাতে দে।আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে।”
খুশি চুপ করে আছে।কিন্তু মাহিরের অত্যাচার বাড়তেই থাকছে।মাহির তার হাত যেখানে সেখানে নিয়ে যাচ্ছে।খুশির অনেক কাতুকুতু লাগছে। খুশি আবার বলে,
” ভাইয়া তুই রুমে চলে যা তোর।”

“না আমার এখানে থাকতে ভালো লাগছে।কতো নরম কোলবালিশ।”
মাহির এবার খুশির পেটে হাত রেখে স্লাইড করতে থাকে।খুশি এবার লাফিয়ে উঠে বলে,
” আমি খাবো!কই খাবার?আমি খাবো। খুব ক্ষুধা লাগছে।”
খুশির কথায় মাহির মুখ টিপে হাসে। তারপর উঠে খুশিকে খাইয়ে দেয়। খাওয়া শেষ করে খুশি বলে,
“এবার তুই যা।”

” এখানে থাকি না?অনেক ভালো লাগছে থাকতে।”(মাহির দুষ্টু হেসে)
“আমি তোর বউ নাকি,যে থাকবি।”
” তুই কেন বউ হতে যাবি?বউ তো হবে রুকশা।”(মজা করে বলে মাহির)
খুশি কাছে রাখা এক বই নিয়ে মাহিরের দিকে ছুড়ে মারে আর মাহির হাসতে হাসতে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে চলে যায়।
“অসভ্য ছেলে একটা।”

এই কেমন ভালোবাসা পর্ব ১৬