Happily Married || Writer: Shaanj Nahar Sanjida

Happily Married part 1
Writer: Shaanj Nahar Sanjida

সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে চাকু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সবার দিকে চোখ বুলাচ্ছি।সামনে বসে আছে বাবা তাও আবার কিউট ফেস করে।
তুমি না হার্ট এ্যাটাক করছো?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
করছিলাম তো।হসপিটালে নিয়ে গেছে।ডক্টর চিকিৎসা করে বললো বাসায় নিয়ে যেতে।বিশ্বাস না হলে পিউ,পিয়া মা আর পরি ভাবীকে জিজ্ঞেস কর!(হিমেল আহমেদ–আমার বাবা)
আমি জানি তোমার কিছুই হয়নি!তোমরা সবাই মিলে আমার সাথে নাটক করছো।(আমি সবার দিকে তাকিয়ে ধমক দিয়ে)

বাবা মাথা নিচু করে বসে আছে।আমি উনার সামনে হাঁটু মুড়ে বসলাম।
কেনো এমন করছো?বিয়েই তো তার জন্য এইভাবে নিজের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে মজা কেনো করছো?তুমি জানো,তুমি ছাড়া এই দুনিয়াতে আমার কেউ নেই।(আমি বাবার হাঁটুতে মাথা রেখে)
বিয়েই তো!করে ফেল না?(হিমেল মাথায় হাত বুলিয়ে)
ঠিক আছে।কিন্তু আর নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে মজা করবে না!(আমি)
ঠিক আছে।(আমার গালে হাত দিয়ে)সবাই বিয়ের প্রস্তুতি নাও।আমার মেয়ে রাজি বিয়ের জন্য।(হিমেল খুশি হয়ে)

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রুমে
আমি চাকু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পায়চারি করছি তখনই পিয়া (আমার বেস্ট ফ্রেন্ড) রুমে ঢুকলো।
আরে কি করছিস?এখনও এইটা নিয়ে খেলছিস! কোথাও লাগলে কেটে যাবে তো?(পিয়া ভয় পেয়ে)
কাটুক।আমি সব কিছু কেটে কুচি কুচি করে ফেলবো।এই আমার পালানোর খবর বাবাকে কে দিলো রে?(আমি পিয়াকে চাকু দেখিয়ে)
আগে চাকু নামা পরে বলছি।(পিয়া)
হুম বল।(আমি চাকু নামিয়ে)
যখন আমি আর আপু তোকে তৈরি করার জন্য তোর রুমে গিয়ে দেখি তুই নেই তখন সবাইকে জানাই।তখনই আংকেলের ফোনে কে যেনো ফোন করে কিছু বললো।তারপরই তো বাবা(পাবেল আংকেল) গেলো তোকে আনতে।আর তোকে রাজি করানোর জন্য আঙ্কেল হার্ট অ্যাটাকের নাটক করলো।(পিয়া মাথা নিচু করে)
এই হার্ট এ্যাটাক এর ভয় দেখিয়ে বিয়েতে রাজি করার প্রথা কে আবিষ্কার করেছে রে?তাকে পেলে আমি,,,
বলেই রাগে কটমট করতে লাগলাম।

অতীত
এভাবে নখ খেতে খেতে কোন দিন যেনো নিজের হাত খেয়ে বসিছ!(বিছানায় আধ শোয়া অবস্থায় আমার বেস্ট ফ্রেন্ড পিয়া আমাকে পিন মেরে কথাটা বললো)
আমি কিছু না বলে একটা রাগী লুক দিয়ে কটমট করে ওর দিকে তাকালাম।
আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে লাভ নে।এইবার আমি দেখবো তুই ছেলের দাত কি করে ভাঙ্গিস?আঙ্কেল এইবার তোকে খুব ভালোই ফাঁসিয়েছে।এখন তো বিয়ে করতেই হবে তোকে।(পীয়া দাঁত গুলো বের করে হাসতে হাসতে বললো)
দেখ প্রথমত আমি কিন্তু কারো দাত ভাঙ্গি নি।দ্বিতীয়ত আমি জাস্ট তাদের বুঝিয়ে বলিছি!এইবারও কিছু না কিছু করে ঠিক সামলে দিবো(আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে পায়চারি করতে করতে)

তোর বুঝিয়ে বলা আমি জানি!এই জন্যই আঙ্কেল এইবার তার অফিসের বসকে তোর জন্য এনেছে।এইবার কি করবি তুই হিয়া?(পিয়া ভাব নিয়ে আধ শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসলো)
তুই কি আমার ফ্রেন্ড নাকি আমার আব্বুর?(আমি ভ্রু কুঁচকে চেয়ারে বসলাম)
ডাইরেক্টলি আমি তোর ফ্রেন্ড ইনডাইরেক্টলি আঙ্কেলের!(পিয়া এক গাল হেসে)
আমি ওর হাসি দেখে বিরক্ত হয়ে চেয়ারে বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম।
আমি হিয়া মনি।আসলে এতো ফিল্মি নাম আমার একদম পছন্দও না।কিন্তু আমার বাবার খুবই শখের নাম।সবাই আমাকে হিয়া বলে ডাকলেও উনি আমাকে পুরো নামেই ডাকেন।পরিবার বলতে এক মাত্র বাবাই।কিন্তু এখনও সে শত্রুতা করে আমাকে বিয়ে দিতে চাইছে। মানে মাত্র কলেজ শেষ করলাম,,এখনই বিয়ে।18 থেকে 19 এ পা দিলাম তার মধ্যেই বাবার আনা অগণিত পাত্র আমাকে রিজেক্ট করে দিয়েছে।কেনো করেছে এইটা বাবার অজানা হলেও আমার ঠিকই জানা!

বাবার দেখা পাত্র গুলোকে বুঝিয়ে না হয় শাসিয়ে বিয়ে আটকাতে পারলেও এইবারেরটা একটু আলাদা।এইবার বাবা তার অফিসের বসকে আমার জন্য ঠিক করছে।
কোথাকার কোন বস!জানি না।উড়ে এসে জুড়ে বসেছে।আমার জীবন জাহান্নাম হয়ে গেছে।এখন একে কি করে বিদায় করবো?উল্টা পাল্টা কিছু করলে বাবার চাকরি ইন্নালি্লাহ হয়ে যাবে!
এইসব ভাবছি আর বসে বসে নখ কামড়াচ্ছি।তখনই পিয়া প্রশ্ন করলো
হিয়া!এখন বসের কি করবি?
উনি আমার বাবার বস,আমার না এতো চিন্তা করে লাভ নেই। ওই বুড়ো লোকের বিয়ে করার ভীমরতি আমি বের করছি।(আমি)

তুই কি জানলি ওই লোকটা বুড়ো হবে?(পিয়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)
দেখ এতো বড় বিজনেস ম্যান তো কোনো হ্যান্ডসাম ইয়াং ম্যান হবে না।আর হলেও আমার বাবার মত সাধারণ ম্যানাজারের মেয়েকে বিয়ে করবে না!নির্ঘাত ওইটা বুড়ো টুরো হবে মেয়ে পাচ্ছিলো না বিয়ে করার তাই আমার বাবাকে সহজ সরল দেখে তার মেয়ে,মানে আমাকে বিয়ে করতে এসেছে।কিন্তু আমি আর ওইসব মেয়ে না টাকার জন্য বুড়োকে বিয়ে করবো।(আমি দাত চেপে চেপে)
তুই আর তোর তার ছিড়া লজিক।তবে কালকে দেখতে আসবে প্লিজ উল্টা পাল্টা কিছু করিস না।(পিয়া আমার পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে)
আমি মুখ ভেংচি দিয়ে বললাম
কালকে দেখতে আসবে তাই না?
বলেই একটা ডেভিল হাসি দিলাম।
হিয়া?(পিয়া শুকনো ঢোক গিলে)

পরের দিন
সকাল সকাল হিয়াদের বাড়ি ধুম পড়েছে বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে আসবে বলে।
পরি আর পাবেল(পিয়ার বাবা মা) হিয়াদের বাড়িতে এসেছে।সাথে পিয়ার বড়ো বোন পিউও। হিয়ার বাড়িতে ওর বাবা আর ও ছাড়া আর কেউ থাকে না।তবে পাশের বাড়িই হচ্ছে পিয়াদের।তাই কোনো দরকার পড়লে তারাই ওদের বাড়িতে চলে আসে সাহায্য করার জন্য।খুব ভালোই সম্পর্ক তাদের সাথে হিয়াদের।
ভাই সব ঠিক হবে তো?(হিমেল চিন্তিত হয়ে)
আরে আমি চিন্তা করবেন না?সব ঠিক হবে এইবার আপনার মেয়েকে দেখেই তারা পছন্দ করে ফেলবে।(পাবেল আশ্বস্ত করে)

তাই যেনো হয়!এইবার যদি তারা না করে তবে আমার হিয়া মনি অনেক কষ্ট পাবে!(হিমেল চিন্তিত হয়ে)
কষ্ট?বিয়ে ভাঙলে ও ডিস্কো ড্যান্স দিবে।কিন্তু সকাল থেকেই বাড়িটা খুবই শান্ত শান্ত লাগছে। অবশ্য বেশি নিরবতা ভালো না।নির্ঘাত কিছু করবে মেয়েটা।(পিয়া চিন্তিত মনে)
পিয়া তার গভীর চিন্তায় মগ্ন তখনই পিউ (পিয়ার বোন)এসে বললো
পিয়া চল আমরা গিয়ে হিয়াকে তৈরি করে আসি।(পিউ)
চলো আপু।(পিয়া জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)

অন্যদিকে
আলিফ রায়হান চৌধুরী শহরের বাহিরে মিটিং শেষ করে বাড়ি ফিরছে।তখনই গাড়ির সামনের সিটে বসে থাকা ওর সেক্রেটারি সেলিমের ফোনে একটা ফোন আসে
হ্যাল্লো।স্যার(সেলিম)
তোমার বস কোথায়?ওকে ফোন দাও।(রামিম চৌধুরী)
স্যার।বড়ো স্যার ফোন করছে।(সেলিম)
আলিফ বিরক্ত হয়ে ফোনটা ধরলো
হ্যালো বাবা?
তোমার ফোন অফ কেনো?(রামিম রেগে)
ফোনে চার্জ নেই।(আলিফ)
ফোনে চার্জ নেই!নাকি তুমি ফোন বন্ধ করে বসে আছো?(রামিম রেগে)
কিসের জন্য ফোন দিয়েছো?(আলিফ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
তুমি কোথায়?এখনও আসছো না কেনো?আজকে মেয়ে দেখতে যাবো জানো না?(রামিম)
তোমরা যাও।আমার না মেয়ে দেখার শখ আছে না বিয়ে করার।(আলিফ)
তোমাকে এই বিয়ে করতেই হবে।অনেক গুলো মেয়ে তোমাকে দেখানো হয়েছে তাদের তুমি রিজেক্ট করেছো।কিন্তু এই মেয়েকে বিয়ে করতেই হবে।আমি মেয়ের ছবি পাঠাচ্ছি।দেখে নিও।
পরেই রামিম রেগে ফোনটা রেখে দিল।

কিছুক্ষণ পর
হটাৎ আলিফের ড্রাইভার ব্রেক কষলে আলিফ সহ সবাই সামনের দিকে ঝুঁকে পড়লো,,
হোয়াট দা হেল!গাড়ি চালানো কি ভুলে গেছো?(আলিফ রেগে)
সরি স্যার।সামনে হুট করে একটা মেয়ে চলে এসেছে।তাই ব্রেক করতে হলো!(ড্রাইভার)
দেখো গিয়ে মেয়েটা কি চায়?(আলিফ বিরক্ত হয়ে)
সেলিম জানালার কাচ নামিয়ে বললো
মিস কি চাই আপনার?
ভাইয়া আমাকে রেল স্টেশন পর্যন্ত লিফট দেবেন?আসলে হাই ওয়ে তো এখানে গাড়ি পাওয়া খুবই কষ্টের।(মেয়েটা)
আলিফ রেগে কিছু বলতে যাবে তার আগেই সেলিমের ফোনে হোয়াটস অ্যাপ এ একটা ম্যাসেজ আসলো।ম্যাসেজ দেখিয়েই সেলিম,আলিফ কিছু বলার আগেই তাকে ফোনটা ধরিয়ে দিলো।
আলিফ দেখলো ওর বাবা যে মেয়েকে ওর জন্য দেখতে যাচ্ছে সেই মেয়েই এখন ওর গাড়ি দাড় করিয়ে লিফট চাইছে।
আলিফ মুচকি হেসে
ইন্টারেস্টিং তো!যে মেয়েকে আমার বাবা দেখতে যাচ্ছে সেই মেয়েই পালাচ্ছে।দেখি এই ড্রামা কতোটুকু চলতে পারে।(আলিফ মনে মনে)
পরেই আলিফ ইশারা দিয়ে সেলিমকে সম্মতি দিল।

গাড়িতে
আমার একটু ভয় করছে একটা অপরিচিত মানুষের গাড়িতে উঠেছি।যদিও আর কোনো উপায় আমার ছিলো না।তবে আমি জানালার কাচ খোলা রেখে একদম ঘেঁষে বসছি।আর আল্লাহ আল্লাহ করছি যাতে কিছু না হয়।আমার পাশেই একটা হ্যান্ডসাম সুপুরুষ বসে আছে।আমি বেহায়ার মত আড় চোখে একটু একটু তাকাই।কিন্তু ওই লোক যেনো মনেই করছে না উনার পাশে কেউ বসেছে। অবশ্য আমার মত পেত্নীকে দেখি কেউই আজ পর্যন্ত ক্রাশ খায়নি।
আমি একরাশ দুঃখ মনে নিয়ে এইসব ভাবতেই সামনের লোকটা আমাকে জিজ্ঞেস করলো,,
মিস, আপনার নাম কি?(সেলিম)
হিয়া।(আমি)
তা আপনি পালাচ্ছেন কেনো?(সেলিম)
কে বললো আমি পালাচ্ছি?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
যাক বুদ্ধি একটু হলেও মাথায় আছে!(আলিফ অন্য মুখ করে ভাবছে)
না মানে।ব্যাগ পত্র নিয়ে বেড়িয়েছেন কিন্তু কোনো অভিবাবক নেই তাই বললাম!(সেলিম কোনোভাবে সামাল দেয়ার চেষ্টা করে)
আমি কি পাঁচ বছরের বাচ্চা?যেখানে যাবো অভিবাবক নিয়ে যাবো?আমার উনিশ বছর হয়ে গেছে।(আমি খানিকটা রেগে)
সেলিম ভয়ে ভয়ে বললো
ও আচ্ছা।
একদম আলিফ স্যারের মত।(সেলিম মনে মনে)

আপনি যেহেতু লিফট দিয়েছেন আমি তো আপনাকে বলতেই পারি।তাহলে শুনুন,,আসলে আজকে আমাকে বিয়ের জন্য দেখতে আসবে কোনো এক বুড়ো লোক।তাই আমি পালাচ্ছি।(আমি হাসি দিয়ে)
বুড়ো লোক কথাটা শুনে আলিফের চোখ গুলো বড়ো হয়ে গেল।আমার বয়স মাত্র 26।বুড়ো কোনদিক দিয়ে?(আলিফ মনে মনে)
হিয়ার কথা শুনে সেলিম ফিক করে হেসে দিলো!
আপনার কেনো মনে হয় লোকটা বুড়ো হবে?(সেলিম হাসতে হাসতে)
দেখুন।কোনো হ্যান্ডসাম ইয়াং ম্যান এর কি ওতো বড়ো বিজনেস থাকবে?আর থাকলেও আমার মত মেয়েকে তো ভুলেও বিয়ে করতে আসবে না।নির্ঘাত লোকটা বুড়ো হবে মেয়ে পাচ্ছিলো না বিয়ে করার জন্য তাই আমাকে বিয়ে করতে আসছে।(আমি একদম এ বললাম)
আমি মেয়ে পাচ্ছি না বিয়ে করার জন্য?আমাকে বিয়ে করার জন্য মেয়েরা লাইন লেগে থাকে আর এই মেয়ে কি না!(আলিফ রাগে ফেটে যাচ্ছে)
আপনি আর আপনার লজিক!(সেলিম জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
এক্সক্যালি এই কথাই আমার বেস্ট ফ্রেন্ডও বলছে।এই আমার নামার সময় হয়ে এসেছে।থামান।
বলেই গাড়িটা থামিয়ে সেখান থেকে নেমে আসলাম।আসার আগে সামনের সিটে বসা লোকটার কাছে(সেলিম)গিয়ে বললাম
আপনি আর আমার বেস্ট একদম এক রকম কথা বলেন।আর হ্যা,, ধন্যবাদ।আর আপনাকেও(আলিফ)।
বলেই মুচকি হেসে কাধে ব্যাগ ঝুলাতে ঝুলাতে চলে আসলাম।

আলিফ হিয়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,,,
সেলিম বাবাকে ফোন করে বললো তার হবু বউ মা রেল স্টেশন আছে।আর সে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।যদি বিয়ে দিতে চায় তাহলে এসে যেনো তাকে আটকায়!
আলিফ মুচকি হেসে মনে মনে
We will be happily married,,,

রেল স্টেশন এ
আমি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি।
কিছুক্ষণ পরেই কোথা থেকে যেনো পাবেল আংকেল আসলো।আর এসেই আমার হাত ধরে টানতে লাগলো
ছাড়ো বলছি!আমি যাবো না তোমার সাথে?(আমি পাবেল আংকেলের হাত থেকে ছুটার আপ্রাণ চেষ্টা করে)
তোর বাবা হার্ট অ্যাটা করছে।তুই না গেলে মারা যাবে।(পাবেল আংকেল)
উনার কথা শুনে আমি বাধ্য মেয়ের মতো উনার পিছু পিছু গেলাম।কারণ আমার কারণে বাবার কিছু হোক তা আমি কিছুতেই চাই না।কিন্তু বাড়ি ফিরে নিজেরই হার্ট এ্যাটাক করার অবস্থা হলো।
বাড়িতে গিয়ে দেখি উনি সোফায় আধ শোয়া অবস্থায় আরাম করে অরেঞ্জ জুস খাচ্ছে আর তা দেখেই আমার সেই পরিমাণ রাগ উঠে গেলো।মাথার ভেতরকার আগ্নেয় গিরি ফেটে গেলো।
তাই পাশে থাকা চাকু নিয়ে সোফায় বসলাম।
তারপর তো সব জানেনই।

বর্তমান
আমি চাকু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দাত চেপে চেপে বললাম,,,
কে খবরটা দিলো?যেই হোক না কেনো তাকে আমি খুন করে ফেলবো। Happily married?? In my nightmare!
বলেই চাকুটা সামনের টেবিলে জোরে গেঁথে দিলাম।

Happily Married part 2